প্রেয়সী পর্ব-১৭

0
1114

#প্রেয়সী♥️🥀
#লেখনীতেঃmoumita_mehra
#পর্বঃ১৭

৩৩.

—-” এতোটাও বেখেয়ালি হওয়া ঠিক নয় যেখানে নিজের সম্মান খোওয়াতে হয়! ড্রেস টা চেঞ্জ করে তবেই ছাদে আসবে!”

তিড়িং মেরে বসা থেকে দাঁড়িয়ে গেলাম! অস্বস্তিতে শরীরের মধ্যে যেন বিদ্যুৎ ছুটতে লাগলো। আয়নার সামনে গিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিজেকে দেখতেই চোখে পড়লো টি-শার্টটার পেছনের হুক গুলো বেকায়দা ছিড়ে গিয়েছে! একদম নাজেহাল অবস্থা। লোকটার আচরণ টা খারাপ থাকলেও উনি আমার জন্যই এসব কিছু করছেন! আমার বেখেয়ালির জন্যই এতবড় শাস্তি দিয়ে গেলেন! নিজের এহেম অবস্থায় কান্না পেয়ে যাচ্ছে আমার। এতোটা অন্যমনষ্ক আমি কি করে হতে পারি? আর ঢং করে পিঠের উপর ঝেকে থাকা চুলগুলোও সামনে এনে রেখেছি! না জানি কে কে দেখলো আমার এই করুন দশা!

এটা তার দুই নম্বর চিরকুট। স্কার্টের সাথেই ঝুলছিলো। প্রথমে না দেখলেও পরে চোখে পড়লো। রুমের ভেতর পায়চারি করতে করতে বারবার পায়ে বেঁধে খোঁচা লাগছিলো। তাই বিরক্ত হয়েই বেডের উপর বসে দেখতে লাগলাম কি বাঁধছে পায়ে? অতঃপর এই কাহিনী। প্রথমেই খোলা দরজাটার দিকে তাকিয়ে কারোর থাকার খোঁজ চালালাম! নাহ্, কেউ নেই! চটজলদি দরজাটা লাগিয়ে একটা সাদা রঙের চুরিদার নিয়ে চেঞ্জ করতে চলে গেলাম! চেঞ্জ করতে গিয়ে বাঁধলো আরেক বিপত্তি। যা চোখে পড়লো তা যে কখনো দেখার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না আমি! গলার কাছে হাত লাগছেই মরিচের মতো জ্বলে উঠলো! বড় কৌতুহল নিয়ে আয়নার দিকে তাকাতেই স্পষ্ট কামড়ের দাগ ভেসে উঠলো চোখের সামনে। তৎক্ষনাৎ নিশ্বাস বন্ধ হয়ে এলো আমার। একি অবস্থা হলো? দেয়ালের সাথে লেপ্টে গিয়ে খিঁচে থাকলাম কতক্ষণ। আমার শরীর থরথর করে কাঁপতে লাগলো। গলায় কিছু একটা দলা পাকিয়ে আসতেই মুখ চেপে ধরে কেঁদে উঠলাম! এই মুহুর্তে নিজেকে যে কতটা ঘৃণ্য লাগছে তা কেবল আমিই জানি! কাউকে সাহায্য করার জন্য কেউ এমন পথ কি করে বেছে নেয়? কতটা বাজে লোক সে!! আমার গলার এই অবস্থা যদি কেউ বিন্দু মাত্র আচ করে তবে আমাকে নিয়ে তাদের ধারনা কতটা নিম্ন পর্যায়ে নেমে আসতে পারে!! ছিঃ____ কাঁদতে কাঁদতে হেঁচকি উঠে গেলো! পারছিনা ব্যাপার টা মেনে নিতে! এই অবস্থায় সবার সামনে কি করে যাই? না যাবো না! নিজের রুমেই বসে থাকবো। কিছুতেই কারোর সামনে যেতে চাই না আমি। তাছাড়া কে এমন কাজটা করলো সেটাও আমি জানি না! এতো গুলো মানুষের মধ্যে কে সে? আজ তো বাড়িতে কত মানুষ! রাহিয়ান ভাইয়ার সব ফ্রেন্ডস্-রা আজ উপস্থিত! তবে কি তাদের মধ্যে কেউ? কিন্তু কে?

এখানে বসে কাঁদলেও যে চলবে না! চোখে মুখে ভালো করে জল ছিটিয়ে বাইরে এলাম। গলায় কামড়ের দাগ নিয়ে যেভাবে কারোর সামনে যাওয়া যাবে না সেভাবেই নিজের রুমে বসে থাকলেও চলবে না! মানুষ টা কে খুঁজে বের করতে হলেও যে বাইরে বের হতে হবে। তোয়ালে দিয়ে হাত মুখ মুছে ড্রেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে বসলাম! অল্প সল্প মেকাপের নীচে দাগটা ঢেকে ফেলার তীব্র প্রচেষ্টা চালালাম। এক পর্যায়ে ঢেকেও গেলো দাগটা। কিন্তু মনের দাগটা কিছুতেই মেটাতে পারছিনা! বারবার মনে হলেই কান্না এসে যাচ্ছে। চিরুনি নিয়ে অর্ধেক চুল এনে দাগের উপর রেখে মেকাপের জায়গাটাও ঢেকে ফেললাম! আর বাকি চুল গুলো পেছনে ছেড়ে দিলাম! কাঁদতে কাঁদতে চোখ দুটোতে লাল মরিচের মতো আভা ফুটেছে। জানি রঙটা ধীরেধীরে উঠে যাবে তবে বেশ সময় নিয়ে। তাই চোখের নীচে গাঢ়ো করে কাজলের রেখা দিলাম! ঠোঁটে বসালাম হালকা লিপস্টিক। ব্যস আর কিছুই দিতে ইচ্ছে হলো না। নিজেকে আয়নার মধ্যে থেকে দেখে বড় একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ফোনটা নিয়েই বের হয়ে ছাদের উদ্দেশ্যে হাঁটা ধরলাম। এতকিছুর মাঝে তখন কলের কথা পুরোপুরি ভুলেই গেলাম! ছাদের দরজায় পা রাখতেই প্রথমে চোখ পড়লো আরফান ভাইয়ার দিকে। মনেমনে ঠিক করলাম যার চাহনিতে লোভাতুর ভাব থাকবে তবে সেই হবে আসল কালপ্রিট। আরফান ভাই আমাকে দেখতেই মুচকি হাসলেন। আমাকেও হাসতে হলো জোরপূর্বক। আমি উনাকে উপেক্ষা করে নিতু আপুদের দিকে যেতে নিলেই উনি ডেকে উঠলেন পেছন থেকে। আমাকে অগত্যাই দাঁড়াতে হলো,সেই সাথে মুখে রাখতে হলো অনিচ্ছাকৃত হাসি।

—-” আধঘন্টা ধরে তোমার নিখোঁজ হওয়ার খবর যেন ছাদটাও দিচ্ছিলো বারবার! হঠাৎ কোথায় চলে গিয়েছিলে?

আরফার ভাইয়ের কন্ঠ খুবই স্বাভাবিক। যেমনটা হলে সন্দেহ বাতিক হবেনা! আমি বিরস মুখে জবাব দিলাম,

—-” একটা কল এসেছিলো। তাই রুমে গিয়েছিলাম!”

—-” মুড অফ মনে হচ্ছে?এভরিথিং ইজ ফাইন?”

—-” হু!”

—-” বাই দ্য ওয়ে একটা কথা কিন্তু না বললেই নয়! হোয়াইটে তোমায় ভীষণ কিউট লাগছে!”

আমি আঁড়চোখে উনার দৃষ্টি পর্যবেক্ষণ করলাম! নাহ্ ঠিকই আছে। আমি নড়েচড়ে উঠে মাথা দুলিয়ে জবাব দিলাম,

—-” ধন্যবাদ ভাইয়া।”

আমার কথায় হাসলেন আরফান ভাই। আমি বিরস মুখে চেয়ে থেকেই ভাবতে লাগলাম,

—-” কাউকে ধন্যবাদ দিলে যে কেউ হাসে সেটা প্রথম দেখা আমার নিষ্পাপ চোখ!”

পেছন থেকে কথা বলতে বলতে হাজির হলেন রূপ ভাইয়া আর জিয়ান ভাইয়া। আমাকে আরফান ভাইয়ের সাথে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তারাও হাসি মুখে কথা বললেন। জিয়ান ভাইয়া জিজ্ঞেস করলেন,

—-” নিধি কেমন আছো? তোমার বাবা এখন কেমন আছেন?”

রূপ ভাইয়া বললেন,

—-” সব ঠিকঠাক তো নিধি?”

আমি মাথা নাড়লাম। “হু,হা” করে দু’জনেরই প্রশ্নের জবাব দিয়ে ছাদের শেষ মাথায় গিয়ে দাঁড়ালাম। মনটা বিষন্ন ছায়ায় ঢেকে যাচ্ছে যেন। যদি সবার মুখের ছাপই খুব স্বাভাবিক থাকে তবে কে করলো এমন কাজ?

—-” কোথায় চলে গিয়েছিলিস রে? কতক্ষণ ধরে খুঁজছি তোকে! বউমনি, নিতু আপু, রিম্মি আপু সবাই খুঁজছিলে তোকে।”

রাইয়ের কথা গুলোতে বিশেষ ভাবাবেগ ঘটাতে পারলাম না নিজের। চুপ করেই রইলাম। রাই হয়তো বুঝলো কিছু। তাই গলার স্বর কোমল করে আমার কাঁধে থুতনি ঠেকিয়ে বলল,

—-” মুড অফ?”

—-” না!”

—-” তবে এভাবে আছিস কেন? দেখ দোস্ত, তোর মুখ থেকে কারনে হোক বা অকারণে, দু-চারটা বকা না খেলে যেন মনেই হয়না তুই জীবিত আছিস! কি অদ্ভুত না বল?”

—-” হু!”

—-” কি রে বলনা না?”

—-” হু বললাম তো!”

—-” কি হয়েছে বলতো নিধু? সব ঠিকাছে তো? অর্নব ভাইয়ের সাথে কোন ঝামেলা??”

আমি সোজা হয়ে রাইয়ের দিকে ঘুরে দাঁড়ালাম। হৃদের ব্যাপারটা রাইকে বলা হয়নি! বললে হয়তো অন্তত ওর ব্যাপারে কোন সমাধান আসতো। আমাকে সিরিয়াস মুডে দেখতে রাইও নড়েচড়ে দাঁড়ালো। বিরস মুখে বলল,

—-” সব ঠিক নেই তাই না? মনেই হচ্ছিল এমন কিছু! অর্নব ভাইয়ের সাথে ঝামেলা হয়েছে?”

আমি মাথা নাড়লাম। রাই অসহায় কন্ঠে জিজ্ঞেস করল,

—-” কি হয়েছে?”

৩৪.

রাত ১০ টা বেজে ২০ মিনিট। পুরো ছাদ টা আজ অন্যান্য দিনের তুলনায় বিশেষ হয়ে আছে। প্রকৃতির ঝিরিঝিরি বাতাসে মনে এক অন্যরকম শান্তি স্থাপিত করে যাচ্ছে। ছাদের অধিকাংশ ফুলের গাছ গুলো থেকে সুগন্ধ ছড়াচ্ছে। ইশশ! মাতাল হতে যে বড্ড ইচ্ছে করছে। সবাই পাটির উপর এলোমেলো হয়ে বসেছে। রূপ ভাইয়া, দিপু ভাইয়া আর জিয়ান ভাইয়া তিনজনে তেড়ে বেঁকে শুইয়ে পড়েছে। তাদের পাশ থেকেই আরফান ভাইয়া আর রাহিয়ান ভাইয়া আসন পেতে বসেছে। রাহিয়ান ভাইয়ার গা ঘেঁষেই আবার অরিন আপু আর অনন্যা আপু বসেছেন। তারপর হলো আমাদের পারিবারিক লাইন, মানে ফাহিম ভাইয়া,আসিফ ভাইয়া, রিম্মি আপু, বউমনি, আমি আর রাই। রাইকে জোর করে রাখা হয়েছে। আমিই রেখে দিয়েছি। ও থাকলে মনে বেশ জোর জোর একটা ভাব থাকে। অন্যথা প্রায় সময়ই নিজেকে এক অসহায় কালা কাউয়া বলে ঠাহর হয়। আমি প্রকৃতির গন্ধ নিতে ব্যস্ত আছি। এই মুহুর্তে যে কতটা ভালোলাগা উপভোগ করছি তা কেবল আমিই জানি! মন ভরে নিঃশ্বাস নিলেই যেন জীবনের সব দুঃখ কষ্টগুলো চাপা পরে যাচ্ছে। সেই দুঃখ গুলোকে ছাপিয়ে আত্মা শান্তি নিয়ে ছোটাছুটি করতে পারছে। সে এক অদ্ভুত ভালোলাগা মনে বাসা বেঁধে নিয়েছে। আমি অনুভব করতে পারছি।
আমার ভাবনার জগতে হাতছানি পড়লো রাহিয়ান ভাইয়ার গিটারের টুংটাং আওয়াজে। আমার চোখ জোড়া আপনাআপনিই উনার চোখের উপর পড়লো৷ মুহুর্তেই চোখ বুঁজে নিলেন উনি। আমি শঙ্কিত মনে উনার দৃষ্টি পর্যবেক্ষণেই ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। পাশ থেকে বউমনি আর আসিফ ভাইয়া বলে উঠলেন,

—-” রাহিয়ান একটা গান ধরো!”

উনাদের কথা রাহিয়ান ভাইয়ার অব্দি পৌঁছতেই উনি চোখ মেলে তাকালেন। মৃদু হেসে বললেন,

—-” খাওয়া দাওয়া বেশি হয়ে গিয়েছে বউমনি। এখন গান! পসিবল হচ্ছে না গো!”

আসিফ ভাইয়া মেনে গেলেও বউমনি মানলো না। রাহিয়ান ভাইয়ার বক্তব্য নেহাতই অযুহাত ভেবে বউমনি বারবার বলতো লাগলো গান গাওয়ার কথা। কিন্তু রাহিয়ান ভাইয়া উনার বক্তব্যে স্থির। গাইবেননা মানে গাইবেননা ব্যাস! পাশ থেকে সবাই খুব করে জোরাজোরি করতে লাগলো কিন্তু উনি কারোর কথাই কানে তুললেন না। তাই সবাই অধৈর্য্যে হয়েই হাল ছেড়ে দিলেন। দিপু ভাই আরফান ভাইকে উদ্দেশ্য করে বললেন,

—-” ওকে ছাড়, তুই একটা গান ধর!”

আরফান ভাই দিপু ভাইয়ার প্রস্তাব শুনে যেন চমকে গেলো। অসহায় কন্ঠে বারবার না করতে থাকল। বিরক্ত কন্ঠে রাই বলে উঠলো,

—-” ধুর! কাউকে গান করতে হবেনা! গল্প করছিলেন তাই বরং করুন।”

রাই এভাবে মোটা স্বরে কথা বলে উঠবে কেউ ভাবতেও পারেনি! রূপ ভাইয়া রাইয়ের এমন গুনে মোহিত হয়েই বলল,

—-” একদমই তাই। রাই কিন্তু ঠিকই বলেছে।”

রূপ ভাইয়ার কথায় সবাই গোলগোল চোখে তাকালো তার দিকে। এক শত্রুপক্ষ অন্য শত্রুপক্ষ কে সাপোর্ট করে ফেললো। কথাটা যতক্ষণ রূপ ভাইয়ার মাথায় ঢুকলো ততক্ষণে দিপু,জিয়ান,অরিন সবার হাতেই কম বেশ কয়েক ঘা খেয়ে পেঁচার মতো মুখ করে বসলো।

আমি তাদের কান্ড দেখে না হেসে পারলাম না। আমি ফিক করে হেসে ফেলতেই বাকিরাও পুরো ছাদ কাঁপিয়ে হেসে উঠলো।

—–” তোর চোখ গুলো এতো বাচাল কেন?
নীরবে অনর্গল কথা বলে!
এতো মাতাল হয় কিভাবে?
শুধু জাদুর মতো আকর্ষণ করে!”

বুকের ভেতর টা ছ্যাঁত করে উঠলো। লোকটা কি সারাদিনই এসব কবিতা নিয়ে পড়ে থাকে?

—-” না, মাঝেমধ্যে গানও গাই! আজ ভীষণ ইচ্ছে করছে গান গাইতে। যদি তুমি পারমিশন দাও তবে একটা গান নিশ্চিত গাইবো।”

আবারও মনে হলো বুকের ভেতরটায় ধরাম করে বারি বসালো কেউ। লোকটা ম্যাসেজ পাঠাচ্ছে আর আমি মনে মনে কথা বলছি! তবুও সে আমার প্রশ্ন মোতাবেক উত্তর কি করে দিচ্ছে?

—-” পারমিশন পাওয়া যাবে?”

কি ঢং দেখো? যেন আমার অনুমতির জন্য তিনদিন ধরে পেট শুঁকিয়ে মরছে। আমি বিরক্ত হয়েই টাইপ করতে লাগলাম,

—-” আপনার মন আপনার ইচ্ছে! আমাকে কেন ঢং করে প্রশ্ন করছেন পারমিশন মিলবে কিনা? আপনি যা খুশি করবেন তাতে আমার কি হ্যাঁ?”

—-” মিল গায়া পারমিশন!”

লেখাটা পড়তেই হাসি পেয়ে গেলো আমার। লোকটা সত্যি পাগল বটে। ফোনটা হাত থেকে নামিয়ে রেখে সবার আড্ডায় যোগ দেওয়ার জন্য তৈরি হলাম। এমন মুহুর্তে রাহিয়ান ভাইয়া গলায় সুর তুললেন। গিটারে টোন তুলে কিছুক্ষণ গুন গুন করে হঠাৎ গেয়ে উঠলেন,

—-” Dil,
badal bane….
Aankhein,
behne lagein….
Aahein,
aise uthein…..
Jaise,
Aandhe chale….
Toh phir aao,
Mujhko sataao….
Toh phir aao,
Mujhko rulaao….
….ooo ooo ooo….
Aabhi jaao,
Aabhi jaao.
Aa bhi jaao,
Aa bhi jaao.
Aa bho jaao,
Aa bhi jaao.
Aa bhi jaao,
……ooo ooo ooo…..
Gham,
Le ja tere….
Jo bhi,
Tu ne diye….
Ya phir,
Mujhko phir
In ko,
Kaise sahein….
Toh phir aao….
Mujhko sataao….
Toh phir aao
Mujhko rulaao
…ooo ooo ooo…
Aa bhi jaao,
Aa bhi jaoo
Aa bhi jaao,
Aa bhi jaao
Aa bhi jaao,
Aa bhi jaao
Aa bhi jaao,
….ooo ooo ooo….

Aab to,
Iss manjar se
Mujhko,
Chale jana hain….
Jin raahon,
Pe mera yaar hai…
Unn raahon ko,
Mujhe paana hai…

Toh phir aao,
Mujhko sataao….
Toh phir aao,
Mujhko rulaao….

….ooo ooo ooo….
Aabhi jaao,
Aabhi jaao.
Aa bhi jaao,
Aa bhi jaao.
Aa bho jaao,
Aa bhi jaao.
Aa bhi jaao,
……ooo ooo ooo…..

গান শেষ হতেই করতালিতে ধ্যান ভাঙলো আমার। আঁড়চোখে রাহিয়ান ভাইয়ার দিকে তাকালাম। গান গাইলো না মুক্ত ঝড়ালো তা নিয়ে আমার মস্তিষ্ক বেশ টানাপোড়নে আঁটকে গেলো। এতক্ষণ মানুষ টা চোখ বুঁজেই গাচ্ছিলো! উনি চোখ মেলতেই উনার চোখে চোখ পড়লো। বেশিক্ষণ চেয়ে থাকার দুঃসাহস আমার হলো না! তৎক্ষনাৎ মাথা নীচু করে নিলাম! পাশ থেকে সবাই উনার গানের গলার প্রশংসায় পঞ্চমুখ! রাই আমাকে সমানে খোঁচাতে লাগলো। আমি বিরক্ত হয়ে ওর দিকে ফিরে তাকাতেই ও ফিসফিসিয়ে বলে উঠলো,

—-” কি মারাত্মক গাইলো দোস্ত! আমি তো ফিদা।”

#চলবে____________________