বৃষ্টিতে ভেজা সেই রাত
লেখকঃ আবু সাঈদ সরকার
পর্বঃ ১০.
আদ্রিতাঃ আমি কোনো দিন মা হতে পারবো এটা জানলে আপনি বিয়ে করতেন আমায় উওর দিন….
।
সাঈদঃ ( মুখ থেকে একটা কথাও বেড় হলো না)
।
।
আদ্রিতাঃ সত্যি টা জানার পর তো এখন আফোস হচ্ছে বিয়েটা না করেই ভালোই হয়েছে বিয়েটা হলে কোন দিনও বাবা হতে পারতাম না আর এখন তো সত্যি টা জানার পর নতুন কাউকে বিয়ে করবেন তাই না…
।
আর হ্যা আমিও আপনাকে অনেক ভালোবাসি যখনি মনে পড়ে যায় আমি কখনো মা হতে পারবো তখনি সব ভালোবাসা নিজের মাঝেই বন্দি হয়ে যায়,…
।
।
আমি আর এভাবে থাকতে পারছি তাই সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছি আমি আপনার কাছ থেকে অনেক দুরে কোথাও চলে যাবে এতটাই দুরে চলে যাবো যে আপনার আর আমার কথা কখনোই মনে পড়বে না ( এক নিঃশ্বাসে কথা গুলো বলে ফেললাম)
।
চলে যাচ্ছিল আমি বলেই বেড়িয়ে যাচ্ছিলাম.. তখনি.
।৷
।
সাঈদঃ পিছন থেকে হাতটা ধরে টান দিলাম হয়তো নিজকে সামলাতে না পেরে আমারি বুকে এসে পড়লো আমিও শক্ত করে জরিয়ে ধরে..
।
।
তুমি আমাকে এই কয়েক দিনে এতটাই চিনলে তুমি মা হতে পারবে না বলে আমি তোমাকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করবো এটা তুমি ভাবলে কীভাবে…
।
তোমার মতো তো হাজারো মেয়ে রয়েছে এই পৃথিবীতে যারা কোন দিনও মা হতে পারবে না তাদের কী বিয়ে হয় নি….
।
।
আমার শুধু তোমাকে চাই কোন বাচ্চা চাই না আমার তুমি হলেই চলবে পুরো পৃথিবীটা লাগবে না…
।
।
আদ্রিতাঃ আপনিই এতটাই ভালোবাসেন আমায়…
।
।
সাঈদঃ হ্যা যতটা তুমি কল্পনাও করতে পারবে না…
।
তুমি কথা দাও জীবনে যত বড়ই বিপদ আসুক না কেনো তুমি আমাকে ছেড়ে কখনো যাবে না…
।
।
আদ্রিতাঃ এই যে প্রতিঙ্গা করলাম আমি কখনো আপনাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না
।
এই পৃথিবীতে আমাকে আপনার কাছ থেকে কেউ আলাদা করতে পারবে না…
।
।
সাঈদঃ হুম
।
আদ্রিতাঃ আচ্ছা একটা কথা জিজ্ঞেস করবো….
।
সাঈদঃ হুম বলো…….
।
আদ্রিতাঃ থাক আজ বলবো না আরেক দিন বলবো..
।
সাঈদঃ ওকে অনেক রাত হয়েছে এবার ঘুমাতে হবে….
।
।
আদ্রিতাঃ হুম..
।
সাঈদঃ আমি গিয়ে সোফায় শুতে যাচ্ছিলাম তখনি…
।
।
আদ্রিতাঃ এই আপনি আজও সোফায় ঘুমোতে যাচ্ছেন আজ থেকে আপনি আমার সাথে ঘুমাবেন আমার একা ঘুমাতে ভয় লাগে..
।
সাঈদঃ
।
আদ্রিতাঃ কী হলো বিছানায় আসুন আজ মনে হয় সারা রাত বৃষ্টি পড়বে…
।
সাঈদঃ হুম পড়ুক না বৃষ্টি… বৃষ্টি পড়লে আমার খুব ভালো লাগে..
।
আদ্রিতাঃ ওও
।
সাঈদঃ আমি বিছানার এক পাশে একটা বালিশ নিয়ে শুয়ে পড়লাম তখনি আদ্রিতার কান্ড গুলো দেখে অবাক হয়ে গেলাম
।
আদ্রিতা আমার বুকে উপর এসে শুয়ে পড়লো আর শক্ত ভাবে জরিয়ে ধরলো..
।
।
সাঈদঃ বা বা তুমি তো খুব রোমান্টিক মুডে আছো দেখছি…
।
আদ্রিতাঃ
।
সাঈদঃ হয়ছে এবার ঘুমিয়ে পড়ো..
( বাকি রাতে কী হলো সেটা জানতে হবে না)
।
পরে দিন..
।
।
সকাল বেলা কেউ কলিং বেলটা বাজিয়ে বাজিয়ে যাচ্ছে ধুর এত সকালে কে এলো আর এভাবে পাগলের মতো কলিং বেলটা বাজিয়ে যাচ্ছে কেনো…
।
।
সাঈদঃ আদ্রিতাকে ছাড়িয়ে উঠে পড়লাম মেয়েটা এখনো ঘুমোচ্ছে…
।
।
সাঈদঃ নিচে এসে দরজাটা খুলতে কিছু টা অবাক হয়ে গেলাম এত সকালে পুলিশ এখানে কী করছে..
।
।
পুলিশঃ মিস আদ্রিতা সাথে আমরা দেখা করতে চাই…
।
।
সাঈদঃ পুলিশ গুলোর কথা শুনে মাথায় হাজারটা প্রশ্ন ঘুর পাক খাচ্ছে আদ্রিতা আর সঙ্গে আছে এটা কীভাবে জানলো আর আদ্রিতার সঙ্গে দেখা করতে চায় বা কেনো..
।
।
সাঈদঃ কী দরকার ওর যা বলার আমাকে বলুন …
।
।
পুলিশঃ মিস আদ্রিতাকে আমাকে সাথে পুলিশ স্টেশনে যেতে হবে তার উপর কেস টার্চ করা হয়েছে…
।
।
সাঈদঃ কেস মানে কী করছে ও…
।
।
পুলিশঃ মিস আদ্রিতা যে বাসায় আগে থাকতো সেই বাসার মালিক তার উপর কেস করেছে..
।
।
সাঈদঃ ওও আপনারা যা আমি ওকে নিয়ে যাচ্ছি…
।
।
পুলিশঃ ওকে তাড়াতাড়ি আসবেন..
।
সাঈদঃ তার পর তারা চলে গেলো কিন্তু আদ্রিতা তো কিছুই করে নি তাহলে তিনি কেনো এমন করলো সেটা সেখানে গেলেই বুঝা যাবে..
।
।
সাঈদঃ আদ্রিতা এই আদ্রিতা উঠো..
।
।
আদ্রিতাঃ উম্ম এত সকাল সকাল ডাকছেন কেনো..
।
সাঈদঃ আরে উঠো তো আগে একটা জরুরি কাজে যেতে..
।
।
আদ্রিতাঃ তার পর আর কী উঠে ফ্রেশ হয়ে নীলাম তার পরে রেডি হয়ে নিলাম..
।
।
আচ্ছা আমরা কোথায় যাচ্ছি..
।
।
সাঈদঃ থানায়..
।
।
আদ্রিতাঃ কথাটা শুনে কেমন যানি ভয় ভয় করতে শুরু করলো..
।
সাঈদঃ কিছু খন পরে থানায় পৌছে গেলাম সেখানে যেতেই একটা ভয়ানক কান্ড ঘটে গেলো যেটা আমি কল্পনাও করতে পারি নি..
।
।
চলবে.