বৃষ্টিতে ভেজা সেই রাত পর্ব-১৪

0
1088

বৃষ্টিতে ভেজা সেই রাত
লেখকঃ আবু সাঈদ সরকার
পর্বঃ ১৪

সাঈদঃ অনেক হয়েছে আর না এবার তামান্নাকে কঠিন থেকে কঠিন শাস্তি পেতে হবে..
এর জন্য আমাকে যা করার লাগে আমি সব করবো কিন্তু তামান্নাকে তার পাপের শাস্তি পেতেই হবে…


আদ্রিতাঃ তাড়াতাড়ি করে আমি বাসায় চলে আসলাম হয়তো ওনি বাসায় ফিরে এসেছেন কিন্তু না কোথাও ওনাকে দেখতে পেলাম না পুরো বাড়িটা খুজে দেখলাম কোথাও ওনাকে দেখতে পেলাম না..



অপর দিকে..
তামান্নাঃ এটা কী করে সম্ভব ধুর এত সুন্দর প্লেন টা ভেসতে গেলো এবার আলাদা কিছু দিয়ে ট্রাই করতে হবে…


সাঈদঃ একটা বুদ্ধি মাথায় এসেছে এটা কাজে লাগাতে পারলেই খেলা পুরো জমে ঘি হয়ে যাবে…

সেই সকাল থেকে না খেয়ে আছি আর এখন তো দেখছি প্রচুর খিদেও পেয়েছে…

না এবারে গিয়ে কিছু একটা খেতে হবে না হলে না খেয়েই মারা যাবো নদীর ধারে একটা ছোট্ট দোকান ছিলো সেখানে গিয়ে হালকা কিছু খাওয়া করতে শুরু করলাম তখনি..

একটা ছোট্ট ছেলে..

ছেলেটাঃ স্যার দু টাকা দেন না সকাল থেকে না খেয়ে আছি..

পাশে থাকা মানুষ গুলো

যা ভাগ এখান থেকে জানি না কোথা থেকে উড়ে আসে…

সাঈদঃ দাড়াও…

ছেলেটাঃ…….

সাঈদঃ ছেলেটাকে এভাবে বলতে লজ্জা লাগলো না আপনারা মানুষ নাকি জানোয়ার…

মানুষ গুলোঃ কেন এদের মতো ছোট্ট লোকেদের সাথে কথা বলতে ঘৃণা লাগে ছিঃ গা থেকে গন্ধ বেড় হচ্ছে..


সাঈদঃ ঠিক বলেছেন এরা হতে পারে ছোটো লোক নিম্ন বৃও শ্রেণির মানুষ তবে আপনাদের থেকে অনেক ভালো?..


সাঈদঃ আচ্ছা তোমার বাসায় কে কে আছে..

ছেলেটাঃ মা আর আমি… মা চোখে দেখতে পান না আর আমাকেও কেউ কাজে নেয় না তাই এই পথ বিছে নিতে হয়েছে..


সাঈদঃ ছেলেটার কথা শুনে খুব কষ্ট লাগলো তখনি আদ্রিতার কথা মনে পড়ে গেলো…
আমার পকেটে তখন মনে হয় দু হাজার এর মতো টাকা ছিলো সে সমস্ত টাকা গুলো ছেলেটাকে দিয়ে..

সাঈদঃ আজ আর কারো কাছে সাহায্যে না চেয়ে সোজা বাসায় গিয়ে মার জন্য খাবার নিয়ে যাও আর হ্যা আমি তোমাকে একটা কাজ দিতে পারি…
তার পর আমার বাসার এড্রেস টা দিলাম..


ছেলেটাঃ স্যার আমি আপনার কথা কোন দিনও ভুলবো না এই গরিবের জন্য আপনি এতটা করবেন ভাবতেও পারি নি আজ পযন্ত জানতাম ভগ্যবান একটাই না আমি ভুল ছিলাম উপরে একজন আর নিচে আপনি আমার ভগ্যবান…


সাঈদঃ ছিঃ ছিঃ কী বলছো এসব আমি ওসব কেনো হতে যাবো।( ছেলেটা মনে হয় হিন্দু ধর্মের )


সেখান কার মানুষ গুলো কিছু বললো না শুধু দেখেই থাকলো…


সাঈদঃ তার পর আমি সেখান থেকে চলে আসলাম…

রাস্তায় হঠাৎ বৃষ্টি পড়তে লাগলো…
প্রচন্ড জোরে বৃষ্টি পড়তে শুরু করলো
আজ কাল মেঘের অবস্থা খুবই খারাপ যাচ্ছে না এবার বাসায় যেতেই হবে..

বৃষ্টিতে ভিজতে মন চাইছিলো কিন্তু না বৃষ্টিতে আর ভিজলাম না বাসায় ডুকতেই


আদ্রিতাঃ আমি ওনার জন্য সেই কখন থেকে দরজায় দাড়িয়ে আছি যে ওনি কখন আসবেন…
হঠাৎ ওনার গাড়ির শব্দ পেয়ে দৌড়ে বেড় হলাম ওনি এসেছেন দৌড়ে গিয়ে ওনাকে জরিয়ে ধরলাম…

আপনার কিছু হয়নি তো ওরা আপনার কোন ক্ষতি করে নি তো বলতে বলতে কেদে ফেললো মেয়েটা…

সাঈদঃ আমি হয়তো এই কয়েক দিনে অনেকটা কষ্ট দিয়ে ফেলেছি মেয়েটাকে…

সাঈদঃ না না ওরা আমরা কিছুই করে নি তুমি ঠিক আছো তো…


আদ্রিতাঃ হুম

সাঈদঃ এবারে ভিতরে চলো বাইরে তো প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে…

আদ্রিতাঃ হোক তাতে কী আপনার কিছু হয়নি এর থেকে বড় কিছুই নেই..


সাঈদঃ মেয়েটা আমাকে এতটাই ভালোবাসে যে সেটা নিজের চোখে না দেখলে হয়তো বিশ্বাসি হতো না …


আদ্রিতাঃ আচ্ছা আপনাকে একটা কথা বলা হয় নি…

সাঈদঃ কী কথা হুম..

আদ্রিতাঃ কয়েক দিন আগে একটা মানুষ আপনাকে খুজতে আসছিলো আপনি তখন বাসায় ছিলেন না ওই মানুষটা আপনাকে না পেয়ে আমার কাছে একটা কাগজে সাইন করিয়ে নিয়ে গেছে


সাঈদঃ আমার বুঝতে বাকি রইলো না যে আর কেউ নয় ওই লোকটাই…

এই কথাটা আগে বললে কী হতো তোমাকে এতটা কষ্ট পেতে হতো না,…

আদ্রিতাঃ কিছু বলছেন না কেনো আপনাকে আজ কাল দেখছি অনেকটাই পরিবর্তন পরিবর্তন হয়ে গেছেন আগের মতো কথা বলেন না আমার সাথে নিজের মনে মনেই কী যেনো বিড় বিড় করতে থাকেন…


সাঈদঃ তেমন কিছু না কয়েক দিন ধরে মনটা ভালো নেই তাই আর কী ( মিথ্যা কথা বলাম)

আদ্রিতাঃ কেনো আমার কোন কথায় কষ্ট পেয়েছেন…


সাঈদঃ আরে না তুমি তো আমার লক্ষি বউ তোমার কথায় কষ্ট পেতে পারি ( কিন্তু তোমাকে যারা কষ্ট দিতে চেয়েছিলো তাদের ছাড়বো না.. মনে মনে)


আদ্রিতাঃ ভিতরে চলুন…

সাঈদঃ হুম ভিতরে গিয়ে…

হ্যালো রাজু..

রাজুঃ হুম বল এত দিন পর কী মনে করে..

সাঈদঃ একটা কাজ করে দিতে হবে তার পর তামান্নার ফটো পাঠিয়ে দিয়ে ..


রাজুঃ কাজ হয়ে যাবে তবে টাকাটা একটু বেশি লাগবে..

সাঈদঃ তা নিয়ে চিন্তা করিস না রাতের মধ্যে যেনো কাজটা হয়ে যায়…


রাজুঃ টেনশন বটেও করিস না এটা..আমার বা হাতের কাজ..।

সাঈদঃ আচ্ছা এখন রাখি…

আদ্রিতাঃ আপনি কার সাথে কথা বলতেছিলেন…


সাঈদঃ এইতো অফিসের এক স্টাফের সঙ্গে..


আদ্রিতাঃ রাত হয়েছে তো ঘুমাবেন না..

সাঈদঃ হুম বলেই শুয়ে পড়লাম…

আদ্রিতাঃ আমিও ওনার পাশে শুয়ে পড়লাম..

আদ্রিতাঃ অনেক দিন হলো ওনাকে জরিয়ে ধরে ঘুমাই নি তাই আজ শক্ত করে জরিয়ে ধরলাম ওনাকে…

তার পর ওনার বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়লাম…


পরে দিন

সাঈদঃ এত খনে হয়তো কাজ হয়ে গেছে তাই দেরি না করে জঙ্গলের মধ্যে একটা ভাঙ্গা বাড়ি আছে সেখানে চলে গেলাম কেনো না ওরা তামান্নাকে সেখানেই নিয়ে আসবে…


সেখানে যেতেই দেখলাম তারা ওদের কাজ করে ফেলেছে..
তামান্নাকে একটা চেয়ারে বেধে রেখেছে..

আমি গিয়ে…


তামান্নাঃ ছাড়ো আমায় আমি কিন্তু ছাড়বো না তোমাদের..

সাঈদঃ ছাড়াছাড়ি পরে হবে আগে এখান থেকে বেড় হও তো সোনা..

সঙ্গে একটা নাপিত নিয়ে এসেছি…


সাঈদঃ এই মেয়েটার মাথা নেড়া করে ফেলুন ..

নাপিত আমার কথা মতো তামান্নার মাথা নেড়া করে ফেললো আমি সেটা ভিডিও করে নিলাম

বেচারা কিছুই করতে পারলো ওয়াও জোস দেখাচ্ছে..

তামান্নাঃ

এটা কী করলেন আপনি এত বড় সর্বনাশ করলেন আমার ..


সাঈদঃ সর্বনাশ কই করলাম আপনার কপাল ভালো যে শুধু মাথাই নেড়া করেছি এর পর যা করবো তা ভাবতেও পারবে না বলেই….

চলবে