ভালোবাসি তাই পর্ব-৩৮+৩৯

0
1211

#ভালোবাসি তাই
#পর্বঃ৩৮
#Tanisha Sultana

“তানহা এই তানহা
ছিটকে ওঠে তানহা। এতোখন একটা ঘোরের মধ্যে ছিলো। অভি বেশ বিরক্ত হয়। সবে একটু রোমান্স করতে যাচ্ছিলো ব্যঘাত ঘটালো। তানহা অনেক হাতটা ছাড়ানোর চেষ্টা করছে কোমর থেকে।
” ককেউ এসেছে
থেমে থেমে বলে তানহা।
“তো
স্বাভাবিক ভাবেই বলে অভি।
” তো আমাকে জানতে হবে। কেনো ডাকছে।
“হবে না
” দেখুন
“দেখাও
অসব্ভ্য
এরই মধ্যে আবার ডাক পরে।
” এই তানহা দরজা খুলছিস না কেনো? তোর বাবা ডাকছে তো
তানহার মা দরজা ধাক্কাতে ধাক্কাতে বলে।
“মা ডাকছে। অসহায় ফেস করে অভির দিকে তাকিয়ে বলে তানহা।
” মা কে বলে দাও বিজি আছি।
ফিসফিস করে বলে অভি
“কিসের বিজি?
বলছি বলতে
” পারবো না
“সত্যি
” হুমম
“শাশুড়ী মা আপনার মেয়ে আমার সাথে বিজি আছে। সকালে শুনে নেবে
কিছুটা জোরে বলে অভি। তানহার কান ঝা ঝা করে ওঠে। মাকে কি বলে ফেললো?
তানহার মা মুচকি হেসে চলে যায়।

তানহা রাগী দৃষ্টিতে তাকায় অভির দিকে।
” এটা কি করলেন আপনি?
“তুমি বলতে পারছিলে না তাই আমি বললাম।
তানহা ধাক্কা দিয়ে অভিকে দুরে সরিয়ে দেয়।
” আমার মানসম্মান নষ্ট করে দিলেন। এবার আমি মায়ের সামনে যাবে কি করে?
অভি খাটে লম্বা হয়ে শুয়ে পড়ে।
“বলেছিলো যা বলবো তাই শুনবে।
হাই তুলে বলে অভি। ভেবাচেকা খেয়ে যায় তানহা।
” তাই বলে
“তাই বলে যা বলবো শুনতে হবে। নাহলে চলে যাচ্ছি
অভিকে মনে মনে বকতে বকতে বেলকনিতে চলে ষায় ভেজা জামা মেলে দিতে।

মাঝ রাত। আকাশে থালার মতো চাঁদ উঠেছে। মারাক্তক সুন্দর আজকের চাঁদটা। চাঁদের চারপাশে কিছু কিছু মেঘ ভাসছে। তানহা চাঁদের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে।
” ইসসস আমাদের বিয়ের রাতেও যদি এই রকম চাঁদ উঠতো তো ফুলসজ্জার খাটটা ছাঁদেই সাজাতে বলতাম অভিকে।
মনে মনে বলে তানহা।
হঠাৎ পেছন থেকে অভি তানহাকে জড়িয়ে ধরে তানহা কাঁধে থুতনি রাখে। তানহা চমকায় না। কারণ ও জানতো অভি আসবে।
“চাঁদটা সুন্দর বাট আমার চাঁদের থেকে বেশি না
অভি বলে। তানহা হালকা মাথা ঘুরিয়ে অভির দিকে তাকায়।
” আমি চাঁদ?
“আমার কাছে
” পাগল আপনি
অভির চুল টেনে দিয়ে মুচকি হেসে বলে।
“তোমার জন্য
তানহার গালে ঠোঁট ছোঁয়ায় তানহা।
শিউরে ওঠে তানহা। জমে যায়। নিশ্বাস ছাড়তেও কেমন লাগছে। অভি বেপারটা খেয়াল করে।
“আর ইউ ওকে
তানহাকে ছেড়ে দিয়ে তানহার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বলে অভি।
তানহা হালকা মাথা নারায়।
“তোমার পবলেম কি? আমি খেয়াল করেছি আমি তোমাকে ছুলেই কেমন অপ্রস্তুত হয়ে যাও নার্ভাস হয়ে যাও। কেনো?
তানহা ভয় পেয়ে যায়। অভি রেগে গেলো।
” আমি রেগে যায় নি। আমার মনে হচ্ছে কোনো একটা পবলেম আছে। শেয়ার করতে পারো আমার সাথে।
তানহার গালে হাত রেখে বলে অভি।
“কোনো পবলেম নেই।
সাথে সাথে কিছুটা জোরে বলে ওঠে তানহা।
অভি ভ্রু কুচকে তাকায়।
” শিওর
“হুমম
তানহা মাথা নিচু করে বলে।
” তাহলে প্রুফ করো।
তানহা ঘাবড়ে যায়।
“জানি পবলেম আছে। দেখো আবার নার্ভাস হয়ে যাচ্ছো।
হাসি চেপে রেখে বলে অভি।
“আমি আসলে
হাত কচলে বলার চেষ্টা করে তানহা।
” তুমি আসলে
তানহার দিকে ঝুঁকে বলে অভি।
“প্রুফ করতে পারবা না। তোমার কোনো পবলেম আছে। বলে ফেলো। ভয় পাওয়ার কিচ্ছু নেই।

তানহা আচমকা অভির কপালে ঠোঁট ছোঁয়ায়। অভি অবাক হয়ে যায়। শীতল একটা হাওয়া বয়ে যায় সারা শরীরে। এাি মেয়ের ছোঁয়া ড্রাগসের থপকে কম কিছু না। কয়েক সেকেন্ড পরে ঠোঁট সরিয়ে নেয়।
চাঁদের দিকে তাকিয়ে বলে
” আপনি আমার কাছে আসলে আমার সেই দিনটার কথা মনে পড়ে যায় যেদিন আপনি আমাকে ফেলে চলে গেছিলেন। জীবনে সব থেকে বড় আঘাত সেদিন পেয়েছিলাম। অসুস্থ শরীর নিয়ে এয়ারপোর্ট ওবদি গেছিলাম। আপনাকে ফেরানোর জন্য না। অল দ্যা বেস্ট বলার জন্য। আমি আপনার প্রতি দুর্বল এটা আমি সেদিনই বুঝতে পেরেছিলাম যেদিন চলে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। জানেন তিনদিন হাসপাতালের বেডে পড়ে ছিলাম। আপনার মা কতো ফোন দিয়েছিলো আপনাকে। আপনি তোলেন নি। আমি জানি আমাদের সম্পর্ক ঠিক করতে দুরে যাওয়ার প্রয়োজন ছিলো কিন্তু এতেটা দুরে নয়।
আমি ভেবেছিলাম আপনার সাথে কথা বলবো না। কিন্তু পরে ভাবলাম আপনি অভিমান বোঝেন না। অভিযোগ বোঝেন না। আবেগ বোঝেন না। আমার অভিমানকে সম্মতি মনে করে যদি আবার দুরে চলে যান তাই রিক্স নেই নি।
ভালোবাসি তো তাই

অভির ভীষণ খারাপ লাগছে। সত্যিই এমন করা ঠিক হয় নি। অভি পেছন ফিরে তাকায় নি কারণ তানহার চোখের পানি ওকে আটকে দিতো। কল রিসিভ করতো মা কারণ ওর ভয়েস শুনতে ও কিছুতেই এতো দুরে থাকতে পারতো না।
“তানহা আই এম সরি
অভি কানে হাত দিয়ে বলে।
” ইটস ওকে।
ভালোবাসতে আগলে রাখতে হয়। ছেড়ে যেতে হয় না।

শক্ত করে জড়িয়ে ধরে অভি তানহাকে। তানহার চোখ দিয়ে দুফোঁটা পানি গড়িয়ে পরে।

“ভালোবাসি খুব আপনাকে। ভীষণ ভালোবাসি।
“আমিও
তানহা চট করে মাথা তুলে
“আমিও কি? চোখ পাকিয়ে বলে
“ভালোবাসি
” কারে
“তানহা নামের একটা পাগলী কে
নাক টেনে বলে অভি।
” বলবেন জুনিয়র নেইমারের মামনিকে।
“আবার জুনিয়র নেইমার
” হুমম। আগেই বলে রাখি ফুটবল টিম কিন্তু আমার চাই ই চাই। পরে যে আপনি বলবেন এতোগুলোকে আমি খাওয়াবো কি পড়াবো কি? এসব বললে শুনবো না। আরে বাবা জীবনে কিছু পেতে হলে কিছু তো দিতেই হয়। এতোগুলো জুনিয়র নেইমার থাকলে হয়ত আমাদের বড় করতে একটু কষ্ট হবে। কিন্তু পরে যখন এতো এতো কাপ টফি এনে দেবে গর্বে বুকটা ভরে যাবে।
অভি মাথায় হাত দেয়।
“তুমি বাঁচবা তো?
” আমি আমার বেবিদের বিশ্বকাপ না নেওয়া দেখা পর্যন্ত মরবো না। আপনি কিন্তু পাল্টি খেতে চলবে না।
“দেখা যাবে
” একদম না। পরে মত পাল্টানো যাবে না।
“ওকে
শুধু ব্রাজিল টিম কেনো? আর্জেন্টিনা টিমও বানাবো৷ হ্যাপি
পাগলএকটা৷ আমাকে পাবনা না পাঠানো পর্যন্ত শান্তি দেবে না।
এতো রোমান্টিক একটা মোমেন্ট নষ্ট করে দিলো
অভি রেগেমেগে রুমে চলে যায়।
” যাহহহ বাবা আমি কি করলাম?
তানহা বলে।

ভোর হতে না হতেই অভি চলে গেছে। অনেক রাত ওবদি জেগে থাকার কারণে একটু বেলা করে ঘুম থেকে ওঠে তানহা। ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট করতে যায়। বাবার রুমের ওই খান দিয়ে যাওয়ার সময় শুনতে পায় বাবা কাউকে বলছে
” অভি কিচ্ছু করতে পারবে না। আমি যখন তোমাকে বলেছি বিয়ে হবে তারমানে হবেই। আমার আর তোমার পথের কাটা কেউ থাকবে না।

তানহা ঠিক বুঝতে পারছে না। কার বিয়ে হবে? আর বাবা আর কে?
এতোসব প্রশ্ন নিয়ে খাবার টেবিলে গিয়ে বসে তানহা।
“মা খেতে দাও
টেবিলে মাথা ঠেকিয়ে বলে তানহা। সাথে সাথে কোথা থেকে আবির মায়া আর তাতানকে নিয়ে এসে বসে। তানহা মাথা উঁচু করে তাকায় না।
“তানহা কি অবস্থা তোমার? মায়া বলে
তানহা না তাকিয়েই বলে
” ভালো
“মুড অফ
আবির জিজ্ঞেস করে
” মা খেতে দিতে বলছি
কিছুটা জোরে বলে তানহা। আবির মায়া ভরকে যায়। তানহা ওদের সাথে কথা বলতে চায় না।
ফুপি ছুটে এসে তানহাকে আগে খাবার দেয়। তারপর মায়া আর আবিরকে।
পুরোটা সময় আবিরের দৃষ্টি তানহার দিকে ছিলো। তানহা ভুলেও তাকায় নি। মায়া তাতানকে খাওয়াচ্ছে আর নিজে খাচ্ছে।
তারাহুরো করে কিছুটা খেয়ে উঠে যায় তানহা। হাত ধুয়ে এসে দেখে অনিক বাসায় ঢুকছে। তানহার মুখে হাসি ফুটে যায়। দৌড়ে অনিকের কাছে যায়।

“অনিক ভাইয়া তুমি
” তোমাকে নিতে এসেছি। বিয়ের শপিং করতে হবে তো।
“দুই মিনিট বসো আমি জামা পাল্টেই আসছি।
তানহার মা অনিককে আপ্যায়ন করতে থাকে।

চলবে

#ভালোবাসি তাই
#পর্বঃ৩৯ #প্রপোজ
#Tanisha Sultana

জামাটা পাল্টে চুলটা ঝুঁটি করে বেধে গলায় ওড়না ঝুলিয়ে বেরিয়ে পরে তানহা। অনিক খেতে বসেছে। আবিরের খাওয়া হয়ে গেছে ও এখন তাতানকে কোলে করে বসে আছে। মায়া তাতানের জন্য দুধ গরম করছে।
“আমি রেডি
ওড়না ঠিক করতে করতে বলে তানহা।
অনিক এক নজর তানহার দিকে তাকিয়ে খাওয়াই মন দেয়। তানহা অনিকের পাশে চেয়ার টেনে বসে।
“তোমার ব্রো কি করছে?
একটু লজ্জা মাখা মুখে বলে তানহা।
” তোমার জন্য অপেক্ষা করছে। মুখে রুটি পুরে বলে অনিক। তানহার মা পাশেই বসে খাচ্ছিলো। এক নজর তাকায় তানহার দিকে। তানহা লজ্জা পায়।
আবির আড় চোখে তানহার দিকে তাকাচ্ছে।

খাওয়া শেষে তানহা আর অনিক বেরতে যায়। আবির বলে ওঠে
“আমি আর মায়াও যাবো। আমাদেরও কিছু কেনা হয় নি।
তানহার বেশ বিরক্ত হয়। এখন এদের সাথে যেতে হবে?
” হ্যাঁ যাও না
তানহার বাবা রুমে থেকে বেরতে বেরতে বলে।
তানহা কিছু বলতে গিয়েও বলে না। বিরক্তির একটা নিশ্বাস ফেলে।
মায়া আর আবির ড্রেস চেঞ্জ করতে যায়। তানহার বাবা খেতে বসে।
“তানহা এরা যাবে কেনো?
ফিসফিস করে বলে অনিক।
” আমিও বুঝতে পারছি না। বিরক্তিকর
“তোমার আর কি কোনো এক ফাঁকে ব্রো তোমায় ছোঁ মেরে নিয়ে যাবে আমি ফেসে যাবো

গাড়িতে আবির আর মায়া পেছনে বসেছে। অনিক ডাইভ করছে তানহা পাশে বসে।
আধঘন্টা ডাইভ করার পরে ওরা শপিং মলে পৌছায়। অভি ফুলের তোড়া নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো। তানহা নেমে দৌড়ে অভির কাছে চলে যায়। তানহার সাথে মেচিং করে অভিও সাদা শার্ট কালো জিন্স পড়েছে। তানহাও সাদা লেডিস শার্ট আর কালো জিন্স।
আবির মায়া অনিক পেছন পেছন আসে।
” ওয়েলকাম মেডাম
তানহার দিকে ফুলের তোড়া এগিয়ে দিয়ে বলে অভি।
তানহা হাসি মুখে ফুলের তোড়াটা নেয়।
“এখন আর নিশ্চয় আমার দরকার নেই? গেলাম আমি।
অনিক বলে। অভি অনিককে কিছু টাকা দেয় গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ডেটিং এ যাওয়ার জন্য। অনিক নাচতে নাচতে চলে যায়। আবির মায়া দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে।

” চলুন
অভি তানহার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলে।তানহা এক দৌড়ে ফুলের তোড়া গাড়িতে রেখে এসে অভির ডান হাত জড়িয়ে ধরে।
“দেখেন না ওরা এসেছে।
ফিসফিস করে বলে তানহা।
” আরে আসুক না
স্বাভাবিক ভাবে বলে অভি।

শপিং মলের দরজায় পা রাখতেই পুরো শপিং মলটা অন্ধকার হয়ে যায়। তানহা ভয় পেয়ে অভিকে আঁকড়ে ধরে।
“এটা কি হলো?
” ওয়েট বেবি
আরেক পা বাড়াতেই পুরো মলে মোমবাতি জ্বলে ওঠে। ভীষণ সুন্দর লাগছে। তানহা হা করে দেখছে।
“তানহা সামনে তাকাও
অভি তানহাকে সামনের দিকে ইশারা করে বলে।
সামনে তাকিয়ে তানহা পুরো অবাক হয়ে যায়। তানহা ইয়া বড় একটা ছবি। যেখানে একটা প্রজাপতি হাতে নিয়ে তানহা হাসছে।
” এটা
অবাক হয়ে বলে তানহা।
“তোমার জন্য।
মুচকি হেসে বলো অভি।
” চলো
সিঁড়িতে প্রথম পা রাখতেই ওপর থেকে গোলাপ ফুলের পাপড়ি এসে পড়ে দুজনের মাথার ওপর। ওই দিকে তাকিয়ে দেখে দশ বারোটা পিচ্চি মেয়ে ফুল ছুঁড়ে দিচ্ছে। সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতেই বাম পাশ থেকে কতোগুলো ছেলেমেয়ে এক সাথে বলে ওঠে
“ওয়েলকাম স্যার এন্ড ম্যাম
তানহাকে অভি একটা রুমে নিয়ে যায়। যেই রুমের পুরোটা জুরে গোলাপের পাপড়ির ছড়াছড়ি। সাদা কালো গোলাপি সব ধরনের গোলাপের পাপড়ি।

অভি তানহাকে রুমটার ঠিক মাঝখানে নিয়ে দাঁড় করায়। জোরে একটা শ্বাস নিয়ে তানহার সামনে হাঁটু মুরে বসে।

” তোমাকে প্রথম যেদিন দেখেছিলাম সেই দিনই মনের কোথাও একটা রং লেগে গেছিলো। আমার জীবনের প্রথম বসন্ত তুমি। কখনোই ভাবতে পারি নি একদিন তুমি আমার হবে। ভেবেছিলাম তুমি আমার জন্য না। কিন্তু আমার অনন্ত ভালোবাসা তোমাকে আমার কাছে এনেছে। তোমার মনে আমার জন্য ফিলিং তৈরি করেছে। এখন আমি আমাদের সম্পর্কটাকে একটা নাম দিতে চাই। ছোট্ট একটা ঘর বানাতে চায়। তোমার এতোগুলো জুনিয়র নেইমারের বাবা হতে চায়। তোমার সাথে প্রতিদিন গোধুলি দেখতে চাই? তোমার মন ভালো করার মেডিসিন হতে চায়? তোমার অভিমানের কারণ হতে চায়। প্রতিটি সকালে তোমার মুখটা দেখতে চাই। তোমার ভাবনা গুলোতে আমি থাকতে চায়। দুজন মিলে একটা নতুন পৃথিবী বানাতে চায়।
পকেট থেকে একটা স্বর্নের অংটি বের করে বলে
“Will you Mary me

তানহা ভীষণ খুশি হয়ে অভির দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়। অভি আংটিটা পড়িয়ে দেয়। উঠে দাঁড়ায় অভি।
” তোমাকে সেরকম ভাবে কখনো প্রপোজ করা হয় নি। তাই এই সামান্য আয়োজন। তাছাড়া আমাদের তো এংগ্রেসমেন্টও হয় নি।
তানহা শক্ত করে জড়িয়ে ধরে অভিকে।
“থ্যাংকইউ। আমি কখনো কোনো সারপ্রাইজে পাই নি। কখনো ভাবিও নি কেউ একজন এইভাবে প্রপোজ করবে। এতোগুলো ধন্যবাদ আপনাকে।

” শুধু ধন্যবাদ পাওয়ার জন্য তো এসব করি নি?
অভি বাঁকা হেসে বলে।
“তাহলে?
” জুনিয়র নেইমারের বাবা হতে।
সাথে সাথে হাত তালির আওয়াজ ভেসে আসে। তানহা লজ্জা পেয়ে সরে আসে। একদল ছেলেমেয়ে ঢুকে পড়ে। চারপাশে অভি আর তানহার প্রপোজ করার দৃশ্য ভেসে ওঠে। তানহার এবার বেশ লজ্জা লাগছে।
“আমাদের সিঙ্গার অভি এতো রোমান্টিক
পোলাপান বলা বলি করছে।
হালকা আওয়াজে নিরব একটা মিউজিক বেজে ওঠে। অণেক কাপলরা ডান্স করা শুরু করেছে। অভি তানহার দিকে হাত এগিয়ে দেয়।
” আমি ডান্স করতে পারি না। মন খারাপ করে বলে তানহা।
অভি তানহার কোমর আকড়ে ধরে বলে
“আমি আছি তো
তানহা প্রশান্তির হাসি হাসে।

আবির আর মায়া অনেক আগেই চলে গেছে। কেনো চলে গেছে অজানা।
রকি এক পাশে দাঁড়িয়ে দেখছিলো আর বাঁকা হাসছিলো।
” এতো ভালোবাসা দেখে প্রাণটা জুড়িয়ে গেলো।

ডান্স শেষে অভি সবার সাথে সেলফি তুলে বেরিয়ে যায় তানহাকে নিয়ে। তানহাকে গাড়িতে বসিয়ে চলে যায়। পাক্কা দশ মিনিট পরে হাতে ফুসকা নিয়ে ফিরে আসে।
” এতোখন লাগে
মুখ ভার করে বলে তানহা।
অভি গাড়িতে বসে তানহার দিকে ঝুঁকে
“ককি করছেন? ভরকে গিয়ে বলে তানহা।
অভি ভ্রু কুচকে ফেলে।
” কি করলাম
“এটা পাবলিক প্লেস
মাথা নিচু করে বলে তানহা।
” তো?
“আপনি
বলতে গিয়েও তানহা থেমে যায়। এ বুঝবে না। অভি তানহার সিটবেল বেঁধে দিয়ে দুরে চলে আসে।
” তুমিও তানহা
সব সময় মাথার মধ্যে আবোলতাবোল চিন্তা ঢুকিয়ে রাখো।
তানহা নিজের বোকামির জন্য নিজেই লজ্জা পাচ্ছে।
“আর তো মাএ তিনটা দিন তারপর নো ছাড়াছাড়ি আর নো এক্সকিউজ। শুধু ভালোবাসা
মুচকি হেসে বলে অভি। তানহা লজ্জা পেয়ে ফুসকা মিখে পুরে।
” অসব্ভ

চলবে