#ভালোবাসি_বুঝে_নাও🍁🍁
#পর্ব_২২
#সুমাইয়া_সুলতানা _সুমী(writer)
.
এ আবার এখানে কেনো?? কি যানি তাতে আমার কি, আমাকে তো মেহরাব আসতে বলেছে (মাহি কে দেখে মনে মনে বলল মীরা)
আরে মীরা আপু তুমি এখানে হঠাৎ কি মনে করে??(যদিও জানি তবুও জিগাস করলাম)
একটা কাজ করি আগুন লাগিয়ে দিই,, মাহি মনে হয় জানে না যে মেহরাব আমায় আসতে বলছে,, আমি মাহি কে বলি তাহলে মাহি জ্বলবে আর লুচির মতো ফুলবে,, আহ কি মজা (কথাগুলো মনে মনে ভেবে একটা শয়তানি হাসি দিলো মীরা তারপর বলল)
কি বলতো মাহি, আমি আসতে চাইনি মেহরাব ফোন করে এতো করে বললো তাই আসলাম।
কিহ মেহরাব ভাই তোমাকে আসতে বলেছে??(অবাক হওয়ার অভিনয় করে)
হুম তো,, ও বলেছে বলেই তো আসছি নইতো কি আসতাম আমি(মনে মনে খুশি হয়ে বলল মীরা)
ওহ আচ্ছা (মন খারাপের ভান করে)
আচ্ছা তুমি এটা বলো যে মেহরাব কোথায়??(মীরা)
জানি না, হয়ত উপরে আছে,, আচ্ছা মীরা আপু তোমাকে একটা কথা জিগাস করবো??(মাহি)
হুম বলো(মীরা)
তুমি কি সত্যি মেহরাব ভাই কে ভালোবাসো??(মাহি)
হ্যাঁ অবশ্যই, সেটা আবার বলতে (মীরা)
তা তুমি ওনার জন্য কি করতে পারবে (মাহি)
আমি, আমি,,আমি ওর জন্য হাত কাটতে পারবো,,,, তুমিও তো ওকে ভালোবাসো তো তুমি ওর জন্য কি করতে পারবে??(মীরা)
আমি??(মুচকি হেসে) আমি ওনার জন্য হাত কাটতে পারবো না, তবে ওনার জন্য নিজের চোখ থেকে দু ফোঁটা পানি ঝড়াতে পারবো,, আমার প্রতিটা নামাজের মোনাজাতে
(গল্পের লেখিকার নাম,,,সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী)
আল্লাহর কাছে মন প্রান দিয়ে ওনাকে চাইতে পারবো,,, ওনার জন্য মরতে পারবো না,, কেননা আমি ওনার থেকে নিজেকে বেশি ভালোবাসি,, কারণ যে ব্যাক্তি নিজেকে নিজে ভালোবাসাতে পারে না সে অন্য কাউকে কীভাবে ভালোবাসবে?? ওনার জন্য মরতে পারবো না কেননা আমি ওনার সাথে একসাথে ওনার হাতে হাত রেখে অনেক বছর বাঁচতে চাই। আল্লাহর দরবারে দু ফোঁটা চোখের পানির বিনিময়ে আমি ওনাকে চাই।
হাত কাটতে তো সবাই পারে কিন্তু ভালোবাসার মানুষের জন্য চোখ থেকে দু ফোঁটা পানি ঝড়াতে সবাই পারে না,, বুঝলে আপু(এই বলে মাহি চলে গেলো,, আর মাহির বলা প্রতিটা কথা সিঁড়ি থেকে দাড়িয়ে মেহরাব শুনলো,,,)
আমি কখনোই ভাবিনি আমার অবুঝ পরী টা আমায় এতোটা ভালোবাসে,,, আমি তোকে কথা দিচ্ছে নিজের সবটুকু দিয়ে তোকে ভালোবাসবো,, তোকে আগলে রাখবো,, কখনো কোনো কষ্ট তোকে ছুঁতে পারবে না,, যদি কখনো কোনো বিপদ আসে তাহলে নিজে ডাল হয়ে তোর সামনে দাঁড়াবো,,, নিজের সবটুকু ভালোবাসা দিয়ে তোকে রক্ষা করবো,,, কেননা তোকে অনেক বেশি ভালোবাসিরে (মনে মনে কথাগুলো বলে উপরে চলে গেলো)
আচ্ছা মাহি ওগুলো কি বলে গেলো?? কাউকে ভালোবাসলে এমন ও করা যায় নাকি?? কিন্তু কই আমার তো এমন হয় না,, আমার তো শুধু মনে হয় আমার মেহরাব কে চাই,, সেটা যেকোনো মূল্যেই হোক না কেনো,,,
কেননা আমি কিছুতেই ওই মাহির কাছে হারতে পারবো না (এই বলে মীরা রুমে চলে গেলো)
,,,,,ওদিকে,,,
হ্যাঁ ফুপি শুনো না বলছি কি যে মাহির পরিক্ষার এ কদিন ও আমাদের এখানেই থাক,, সোহান এর সাথে পরবে আর এখন মেঘলাও তো আছে তোমার কোনো টেনসন করতে হবে না। (মেহরাব ফোনে বলল)
আচ্ছা ঠিক আছে,, তোর উপর আমার বিশ্বাস আছে,, কিন্তু ওর জামা কাপড় গুলো তো নিয়ে যা নইলে ও পরবে কি??(মাহির মা)
ওটা তুমি বিকেলে মনির কে দিয়ে পাঠিয়ে দিও যদি ও না নিয়ে আসে তাহলে আমি সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফিরার সময় নিয়ে আসবো
আচ্ছা তাহলে ঠিক আছে।এরপর ফোন রেখে দিলো।
যা ফুপিকে আমি বলে দিয়েছি,, এখন থেকে পরিক্ষার কদিন তুই এখানেই থাকবি,, তবে শুধু আড্ডা মারলেই হবে না পড়তেও হবে কিন্তু(মেহরাব)
ও আচ্ছা ঠিক আছে (গা ছাড়া ভাব নিয়ে বলল মাহি)
তা মেহরাব তুই তো এখন অফিস যাবি তাইতো?? চল আমিও যাবো দুজন একসাথে বার হয়,, আর হ্যাঁ আমি নেহাল কে ফোন করে বলে দিয়েছি ও বিকেলের দিকে চলে আসবে (মেঘ)
আচ্ছা ঠিক আছে তোরা এখন যা আমার মাহির সাথে কিছু কথা আছে (মেহরাব)
হুম থাকবেই তো,, মেঘ চলেন আমরা চলে যাই, (এই বলে মেঘলা একটা গান বলতে বলতে চলে গেলো,,, হাম তুম এক কামড়া মে বান্ধ হে)
এটা আমার বোন?? অবিশ্বাস্য (মেহরাব)
যেমন ভাই তার তেমন বোন (হাসতে হাসতে বলল মাহি)
তাই নাকি,, খুব কথা বলা শিখেছিস দেখছি।
শিখবোই তো,, দেখতে হবে না বউটা কার (ভাব নিয়ে বলল মাহি)
তাই না?? আচ্ছা শোন আমি এখন অফিস যাচ্ছি আর নেহাল যদি আসে তাহলে নেহাল আর মীরার থেকে সাবধানে থাকবি,, একা একা মস্তানি করতে যাবি না৷, সব সময় মা নয়ত মেঘলার সাথে থাকবি বুঝেছিস??(মাহির কাছে গিয়ে মাহির সামনের চুলগুলো কানের পিছে গুজে দিতে দিতে বলল মেহরাব)
আচ্ছা ঠিক আছে এমন ভাবে বলছেন যেনো মনে হচ্ছে আমি কোনো বাচ্চা।
বাচ্চাই তো,, ফিডারে মাংস খাওয়া বাচ্চা (এই বলে মেহরাব মাহির নাকটা টেনে দিয়ে কপালে একটা কিস করে বেরিয়ে গেলো)
ওনি কি বলে গেলো?? আমি ফিডারে মাংস খাই?? আপনি খান আপনার বউ খাই (জোরে চেচিয়ে বলল মাহি)
যেতে যেতে মাহির কথাগুলো শুনে মুচকি হাসলো মেহরাব,, কেননা পাগলিটা ভুলেই গেছে ও নিজেই আর কদিন পর আমার বউ হবে।
,
,
,
একি আপনি দরজা বন্ধ করছেন কেনো??(মেঘলা)
হাম তুম এক কামড়া মে বান্ধ হো (দরজা বন্ধ করে গানটা গাইতে গাইতে মেঘলার কাছে গেলো মেঘ)
এসব কি আপনি না অফিস যাবেন তাহলে এসব কি করছেন??(পিছাতে পিছাতে বলল মেঘলা)
কেনো তুমি না এইমাএ বললে যে হাম তুম এক কামড়া মে বান্ধ হে তো চলো এক কামড়ায় তো বান্ধ হয়েই গেছি, তাহলে বাকিটা শুরু করা যাক (মেঘলার কমোড় জরিয়ে ধরে বলল মেঘ)
এই না একদম না,, এখন এসব নয় যান অফিস এ যান (নিজেকে ছাড়াতে ছাড়াতে বলল মেঘলা)
না না অতো সহজে ছাড়ছি না আমার পাওনা আমি নিয়েই ছাড়বো (এই বলে যেই মেঘ মেঘলার ঠোটের দিকে আগালো তখনি রুমের বাইরে থেকে মেহরাব মেঘকে ডাক দিলো)
এই মেঘ কইরে দেরি হয়ে যাচ্ছে তো অফিস যাবি না??(টাই ঠিক করতে করতে বলল মেহরাব)
এই তোমার ভাই সব সময় আমার রোমান্স এর বারোটা বাজিয়ে দেয় কেনো বলো তো??,, সালা নিজে তো বউয়ের সাথে রোমান্স করে আসলো ওরে ভাই আমাকেও একটু করতে দে,, তা না ষাড়ের মতো চেঁচানো শুরু করেছে (মেঘলাকে ছেড়ে দিয়ে বলল মেঘ)
আর মেঘের কাহিনি দেখে মেঘলা তো হাসতে হাসতে শেষ৷
হাসো আরো বেশি করে হাসো যেমন ভাই তার তেমন বোন যত্তসব,,, তবে তোমাকে ছাড়ছি না রাতে এসে দেখাবো মজা(মেঘলার কানে কানে বলল মেঘ)
কিরে আয় দেরি হয়ে যাচ্ছে তো (বাইরে থেকে আবার ও ডাকলো মেহরাব)
ওরে আসছি রে ভাই,, কেনো যে এখানে আসলাম,, আমি শিওর এখানে থাকলে আমি আর জীবনে বাবা ডাক শুনতে পারবো না,,, বন্ধুর বোনকে বিয়ে করলে এমনি হয় (এসব বিরবির করতে করতে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো মেঘ)
আর মেঘলা হাসতে হাসতে বলল পাগল একটা।
,,,,বিকালে,,,
মেঘলা আপু জলদি আসো দেখে যাও নিচে কি হচ্ছে,, বাহ কিয়া সিন হে (মেঘলা কে ডাকতে ডাকতে বলল মাহি)
চলবে,,,,,,?
#ভালোবাসি_বুঝে_নাও🍁🍁
#পর্ব_২৩
#সুমাইয়া_সুলতানা _সুমী(writer)
.
,,বিকালে,,,
মেঘলা আপু জলদি আসো দেখে যাও নিচে কি হচ্ছে,, বাহ কিয়া সিন হে (মেঘলা কে ডাকতে ডাকতে বলল মাহি)
মাহির ডাক শুনে মেঘলা তড়িঘড়ি করে মাহির কাছে এসে বলল।
কিরে কি হয়েছে?? ওভাবে ডাকলি কেনো(মেঘলা)
আরে, আমার দিকে না তাকিয়ে নিচে তাকাও তাহলেই বুঝতে পারবে।
মাহির কথা শুনে মেঘলাও নিচে তাকিয়ে ওর মুখটা পুরাই হা হয়ে গেলো।কেননা নিচে নেহাল মীরার কমর জরিয়ে ধরে আছে, আর মীরা নেহাল এর গলা জরিয়ে আছে। আর তারপাশে মনির একটা ব্যাগ হাতে নিয়ে হা করে নেহাল আর মীরার দিকে তাকিয়ে আছে।
আসোলে হয়েছে কি,,, মনির মাহির সব জামা একটা ব্যাগে করে নিয়ে মেহরাব দের বাড়ি আসছিলো,
(গল্পের লেখিকা ,,সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী)
তারপর রাস্তায় আইসক্রিম দেখে আবার বাড়ি ফিরে গিয়ে টাকা এনে একটা আইসক্রিম কিনে খেতে খেতে মেহরাবদের বাড়িতে আসলো,, তারপর ডয়িং রুমে ঢুকে সিঁড়ি কাছে আসতে কিছু একটার সাথে ধাক্কা লেগে অল্প একটু আইসক্রিম নিচে পড়ে গেলো,, এমনিতেই যে গরম আর বাইরেও অনেক রোদ পরেছে তাই অনেক তারাতাড়িই আইসক্রিম টা গলে যাচ্ছে।
তো মনির ব্যাগটা নিচে রেখে পরে যাওয়া আইসক্রিম টা যেই উঠাতে যাবে তখনি নেহাল বাইক এর চাবিটা হাতে ঘুরাতে ঘুরাতে ভিতরে আসতে লাগলো।
হে পিচ্চি তুমি মাহির ভাই নাহ?? বিয়েতে দেখেছি তোমায়(কথাগুলো বলে নেহাল মনির এর কাছে এসে দাঁড়ালো আর মনিরও পিছে ঘুরে নেহাল এর দিকে তাকালো,, আর তখনি সিঁড়ি বেয়ে মীরা নিচে নামছিলো আর ভুলবসত নিচে পড়া আইসক্রিম টার উপর পা পরতেই স্লিপ কেটে গিয়ে সোজা নেহাল এর গায়ের উপর পড়ল,, আর নেহাল ও মীরাকে নিচে পরা থেকে আটকাতে মীরা কমর চেপে ধরল, আর মীরা ভয় পেয়ে নেহাল গলা জরিয়ে ধরলো,, আর বেচারা মনির হা করে সেই দৃশ্য দেখতে গিয়ে তার হাতের আইসক্রিম টার কথা বেমালুম ভুলে গেলো,, আর আইসক্রিম টা গলে পুরোটা নিচে পড়ে গেছে এখন মনির শুধু কাঠিটাই ধরে আছে)
আমার এমন কেনো লাগছে?? বুকের ভিতরটা কেমন যেনো ঢিপঢিপ করছে,, সারা শরীলে কেমন শীতল বাতাস বইছে,, এমন কেনো হচ্ছে?? যেনো মনে হচ্ছে এ চোখে চোখ রেখে বাকিটা জীবন চেয়ে থাকি(মীরা নেহাল এর দিকে তাকিয়ে মনে মনে কথা গুলো বলল)
আরে কি করছেন ছাড়ুন আমায়,, অসভ্য মেয়ে মানুষ ছেলে দেখলেই গায়ে পড়তে মন চাই??(মীরাকে ছেড়ে দিয়ে বলল নেহাল)
কিন্তু প্রতি উত্তরে মীরা কিছুই বললো না শুধু ড্যাবড্যাব করে নেহাল এর দিকে তাকিয়ে থাকলো,, কেনো যেনো কিছু বলতে মন চাইছে না, শুধু মন চাইছে এভাবেই ওনার দিকে তাকিয়ে থাকি।
এরি মাঝে মেঘলা আর মাহি নিচে নেমে আসলো।
এখানে কি হচ্ছে?? (মেঘলা)
আপনি মীরা আপুর সাথে কি করছিলেন??(মন খারাপ এর অভিনয় করে বলল মাহি)
আরে তেমন কিছুই না,, ওনি পড়ে যাচ্ছিলো আর আমি শুধু ওনাকে ধরেছি এই আরকি,, এর বেশি কিছুই না তুমি আবার ভুল ভেবো না (নেহাল)
হুম?? আমি তো দেখেছি আপনি ওনার কমর জরিয়ে ছিলেন। (মাহি)
আহ মাহি তুই কিন্তু বেশি বেশি করছিস,, ওভার একটিং করা অফ কর হিতে বিপরীপ হয়ে যাবে কিন্তু (ফিসফিস করে মাহির কানে বলল মেঘলা)
আহ তুমি দাখোই না কি হয় মেঘলা আপু (মাহি)
না না মাহি তেমন কিছুই না তুমি ভুল ভাবছো আমি তো,,,, নেহাল কে আর কিছু বলতে না দিয়ে মেঘলা বলল।
আরে এখন এসব ছাড়ো তো,, নেহাল তুমি ভিতরে যাও গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসো,,
আচ্ছা ঠিক আছে ভাবি (এই বলে নেহাল মাহির দিকে এক পলক তাকিয়ে চলে গেলো)
আর ওদিকে মীরা তো এখনো নেহাল এর দিকেই তাকিয়ে আছে,,, তাই দেখে মাহি মীরার সামনে তুরি বাজিয়ে বলল।
চলে গেছে (মাহি)
হ্যাঁ???(আনমনে বলল মীরা)
নেহাল ভাইয়া চলে গেছে।
ওহ আচ্ছা। এই বলে মীরা উপরে চলে গেলো।
,,,,রাতে,,,
মেহরাব অফিস থেকে এসে সোজা সোহান এর রুমে চলে গেলো গিয়ে দেখল যে মাহি আর সোহান পরছে,,,, কি হলো বেপ্যার টা মাহি পরছে?? এটাও সম্ভব?? (মনে মনে এটা বলে মেহরাব চলে গেলো)
দেখলি তো কীভাবে তোর ভাইকে বোকা বানালাম হিহিহি কিছুই বুঝে নাই (মাহি)
তুই নিজেকে যতটা চালাক ভাবিস আসোলে তুই অতটাই বোকা,,, ভাইয়া যদি জানতে পারে যে তুই না পরে এতোক্ষণ ফোনে গেম খেলছিলি আর ভাইয়ার আসা দেখেই বই নিয়ে পড়তে বসলি,, তাহলে তোর খবর আছে (সোহান)
আ্যা বললেই হলো খবর আছে,এতো জ্ঞান দেওয়া বন্ধ করতো,, কি খবর করবে হা ক,,কি,,ক,,,,,,(আর বলতে পারলো না মাহি কেননা দরজার সামনে মেহরাব ভ্রু কুচকে মাহির দিকে তাকিয়ে আছে)
নে এবার সামলা আগেই বলেছিলা (ফিসফিস করে বলল সোহান)
মেহরাব এর আগেই সন্দেহ হয়েছিলো কেননা মাহি চুপচাপ পরড়ে বসার মেয়েই নয়,, তাই তখন মেহরাব রুম থেকে বার হয়ে দরজার সামনে দাড়িয়ে ছিলো।আর মাহির বলা সব কথা শুনেছে।
বই খাতা সব নিয়ে আমার রুমে আয় (এই বলে মেহরাব চলে গেলো)
কপাল রে কপাল সবি কপাল,,,, এটা বলতে বলতে মাহি বই খাতা সব গুছিয়ে মেহরাব এর রুমে চলে গেলো,আর তা দেখে সোহান তো হেসে কুটিকুটি,, মাহি সোহানের মাথায় একটা গাট্টা মেরে বেরিয়ে গেলো,,,,, গিয়ে দেখলো জুতোটা ফ্লোরে রেখে বিছানার উপর টাই টা ছরিয়ে রেখে ফাইল গুলো সারা বিছানায় ছড়িয়ে সিটিয়ে রেখে মহাসয় ওয়াশরুমে গিয়ে বসে আছে।
এত বর একটা ছেলে হয়ে গেছে তবুও কোনো কিছু ঠিক মতো করতে পারে না,, পুরো রুমটাই একদম জঙ্গল বানিয়ে দিয়েছে কয়েক মিনিটে (সব কিছু গোছাতে গোছাতে বলল মাহি, ঠিক তখনি ওয়াশরুম থেকে চুল ঝাড়তে ঝাড়তে বার হলো মেহরাব,,, পরনে একটা টাওজার আর গায়ে একটা কালো টির্শাট মুখে ফোঁটা ফোঁটা পানি লেগে আছে,, বড় বড় চুল থেকে টপটপ করে পানি পরছে আর ওনি হাত দিয়ে তা ঝাড়ছে,, সুঠাম দেহে টির্শাটটা একদম টাইট হয়ে লেগে আছে,,, শরীলের গঠনটা শার্টের উপর থেকেই বোঝা যাচ্ছে ,, আর আমি ড্যাব ড্যাব করে চোখ দিয়ে ওনাকে গিলে খাচ্ছি, কি সুন্দর, আচ্ছা ছেলে মানুষ ও বুঝি এতো সুন্দর হয়??
ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে হাত দিয়ে চুল গুলো ঝাড়তে ঝাড়তে সামনে তাকিয়ে দেখি মাহি আমার দিকে ড্যাব করে তাকিয়ে আছে, তাই দেখে শয়তানি করে বললাম।
নিজেই যদি নিজের জিনিসে এভাবে নজর দিস তাহলে তো নজর লেগে যাবে,, তখন আবার তোকেই সেই নজর কাটাতে হবে কিন্তু।
ওনার কথায় হুশ ফিরলো আর এতোক্ষণ নিলর্জ্জর মতো ওনার দিকে তাকিয়ে ছিলাম এটা ভাবতেই নিজের কাছে নিজেকে কেমন বেহায়া মনে হলো,, ছি ওনি কি ভাবলো নিশ্চয়ই আমাকে হ্যাংলা ভেবেছে। ভাবুক তাতে আমার কি ওনি তো আমারি আমি যতক্ষন ইচ্ছে ওনার দিকে তাকিয়ে থাকবো,, নজর দিয়ে একদম ডুবিয়ে ফেলবো তাতে ওনার কি হম মানুষ টা তো আমারি (মনে মনে কথাগুলো ভেবে লজ্জায় কুকড়ে উঠলাম)
মাহির এমন লজ্জা পাওয়া দেখে মেহরাব আস্তে আস্তে মাহির কাছে এসে,, কপালে পড়া চুলগুলো কানের পিছে গুজে দিতে দিতে বলল,,
আমার সামনে এভাবে লজ্জা পেয়ো না তাহলে কিন্তু আমি তোমায় টুপ করে খেয়ে ফেলবো,, কেননা লজ্জা পেলে তোমার গালদুটো পুরাই লাল টমেটো লাগে,৷ আর ইউ নো না?? আই লাভ রেড টমেটো।
মেহরাব কথা শুনে মাহি আরো বেশি লজ্জা পেলো,, আর মাথাটা নিচু করে রাখলো,, তা দেখে মেহরাব মুচকি হাসি দিয়ে মাহির হাতটা নিজের হাতে নিয়ে বলল।
শোনো না তোমায় কিছু বলার আছে (অনেকটা রোমান্টিক ভাবে)
মাহি মাথাটা তুলে মেহরাব এর চোখের দিকে তাকিয়ে রইলো। যেনো চোখ দিয়েই জিগাস করছে বলুন না বলুন যা খুশি বলুন আমি সব শুনতে রাজি,,,,, তবে মুখে কিছু বললো না।
বলছি কি যে বলছি কি (মেহরাব)
মাহি এবার নিজের মুখ খুলে ফিসফিস করে বলল।বলুন না কি বলবেন।
বলছি কি যে এখন পড়তে বসেন কাল বাদে পরশো থেকে পরিক্ষা,, পড়াশোনা বাদ দিয়ে রোমাঞ্চ করতে এসেছে,, এই এতোটুকু বাচ্চা মেয়ে আবার রোমাঞ্চ এর কি বুঝিস রে যা পড়তে বস। (মেহরাব)
মেহরাব এর কথা শুনে মর্হুতেই মাহির লজ্জা রাঙা মুখটা রাগে পরিনত হলো,, আর ভ্রু কুচকে মেহরাব এর সামনে থেকে সরে টেবিলে বসতে বসতে বিরবির করে বলতে লাগল।
খরুচ একটা,, শালা আনরোমান্টিক এর বস্তা,, এভাবে পড়া পড়া করলে জীবনে বাবা ডাক শুনতে হবে না (বিরবির করে বলল)
মাহির এমন রাগ করা দেখে মেহরাব হু হা করে হেসে উঠল। কিন্তু যখনি মাহি রেগে ওর দিকে তাকালো তখনি আবার হাসি অফ করে ঠোঁটের উপর আঙুল রেখে চুপ করে বসে থাকলো,, তবে মিটমিট করে হাসতেই লাগল।
চলবে,,,,,?