ভুলে যেতে ভালোবাসিনি পর্ব-১৩

0
3401

ভুলে যেতে ভালোবাসিনি
পর্ব-১৩
রোকসানা আক্তার

নাতাশা রুব্বানকে নিয়ে ডিপার্টমেন্টে যায়।ডিপার্টমেন্ট দেয়ালে টাঙ্গানো নোটিশ বোর্ডের দিকে তাকায়।নাতাশা নোটিশটা পড়া শেষ করে দীর্ঘ একটা দম ছাড়ে।সামান্য বিচলিত হয়ে রুব্বানকে বলে,
-ফর্ম-ফিলাপে পাঁচ হাজার টাকা ফিক্সড হয়েছে।
-হু। টাহা ত সাথে কইরাই নিয়া আইলি।তাইলে, এহনি ফর্ম-পিলাপ টা কইরা লা।
নাতাশা রুব্বানের কথায় চোখের পাতা হালকা বুঁজে আনে।মুখটা মলীন মলীন করে বলে,
-এত্ত টাকা!
রুব্বান খিলখিল করে হেঁসে উঠে।আর খচখচ কন্ঠে বলে,
-বড়লোকের ছেমরিরা যদি এই রহম কথা কয়,তাইলে আমগো মতন ফকিন্নারা চিয়া ভিজিয়া পানিও পাইমু না!
-নাহহ রে রুব্বান তুই ব্যাপারটি বুঝিস নি।আসলে,আমি ভাবলাম ফর্ম-ফিলাপে ২/৩ হাজারের মতো যাবে।আর বাদবাকি টাকাটা দিয়ে বাবাকে ডাক্তার দেখাবো।কিন্তু এখন পাঁচ হাজারই যদি ফর্ম-ফিলাপে চলে যায় তাহলে না দেখাতে পারবো বাবাকে ডাক্তার,না কিনতে পারবো বাবার ওষুধ!

রুব্বান কিছুক্ষণ চুপ হয়ে থাকে।নাতাশা আরেকটা নিঃশ্বাস ছেড়ে বলে,
-চল বাসায় যাই।
রুব্বান থ মেরে দাঁড়িয়ে যায়।আর তোতলে তোতলে বলে উঠে,
-সে-কি! তোর ফর্ম-হিলাপ?
-সেটা পরে করা যাবে।এখন বাসায় যাই।
রুব্বামের হাতে টান মেরে রাস্তার দিকে নিয়ে যায়।কলেজ গেটের বাহিরে এসে দাড়ায়।কোথাও থেকে উল্লাস এসে বলে,
-কী নাতাশা,ফর্ম-ফিলাপ করা শেষ হয়েছে?
-আজ করিনি।কিছুদিন পর এসে করে যাবো।
-ওউউ
রুব্বান নাতাশার হাতে চিমটাচিমটি করে ফিসফিসিয়ে বলে,
-আহ,এতক্ষনে ওনারে অনেকগুলা মিস করসিলাম।
উল্লাস হাই তুলতে তুলতে রুব্বানকে ইঙ্গিত করে নাতাশাকে বলে,
-উনি তোর কি হয় রে?
-আমার ছোটবেলার বান্ধবী।
-ওহ,নাম কি?
-জ্বী,আমার নাম ওইলো রুব্বান।ডাক নাম রুবু।অনেকে মজা কইরা আবার ডাহে রুব্বা।হিহিহিহি দারুণ না?
নাতাশা থতমত খেয়ে যায়।রুব্বানকে চোখ দিয়ে ইশারা করে চুপ থাকতে।কিন্তু রুব্বান শুরু করলে কি আর থামে?স্টার্ট হয় তার মেশিন।
-সুন্দর নাম ত।
-হ।আইচ্ছা আপনে কারো লগে পিরীত টিরীত করেন?
-ম-ম-মানে?প্লিজজ আবার বলুন।
রুব্বান গলার বাকটা বড় করতে গেলেই নাতাশা উল্লাসকে এক্সকিউজ ইঙ্গিত করে রুব্বানের হাত চেপে সামনের দিকে হাঁটা ধরে।উল্লাস এসবের আগাগোড়া না বুঝতে পেরে একটা হট্র হাসি দেয়।তারপর কলেজের গেইটের দিকে ঢুকে পড়ে।নাতাশা রুব্বানকে বকা দিতে থাকে।
-এই তোর কি কমসেন্স নেই?যখন যার সামনে মুখ ফসকে যা আসে তাই বলিস!
-ব,আমি আবার কি কইলাম!?স্বাভাবিক কইরাই ত কইলাম কোনো মাইয়ার লগে টাংকি মারে টারে নি!
-মাথা তোর!ওই ব্যাটার একশো মেয়ের সাথে লাইন।বুঝলি?
রুব্বান হাঁটার মাঝেই থমকে দাড়ায়।মুখে হাতরেখে বলে,
-হাই নাতু,এই কি হুনাইলি!হালা ত তাইলল আস্তা একটা চ্যাচরা!তয় হালা তোরে যে পছন্দ করে তহন তা কইলো ক্যান?
-আরেহ বুঝিস না।মজা জাস্ট!
-ওউউ মাগো!এই লাইগাই আমি সুন্দর ছেমড়া গুলার মুখে থু তু মারি।
-আচ্ছা, এখন এত্তকথা না বলে বাসায় চল!
নাতাশা রাস্তামধ্যে একটা রিক্সা থামায়।তারপর তারা দুজনে রিক্সার সিটে উঠে বসে।রিক্সা চলতে শুরু করে।

এখন বিকেল।নাতাশা তার ঘরে জামাকাপড় গুলো গোছগাছ করছে।নাতাশার মা ভেতরে ঢুকে বলেন,
-নাতাশা?তোর সাথে আমার কথা আছে?
নাতাশা গোছগাছের দিকে লক্ষ রেখেই বলে,
-বলো।
-তুই নাকি আজ ফর্ম-ফিলাপ করে আসিস নি?
-রুব্বান বললো তোমায়?
-যেই কইছে,কথাটি কি সত্য?
-বাদ দাও।
এ বলে নাতাশা তার মাকে পাশ কেটে ঘর থেকে বের হয়ে যায়।

ডলি কাউন্টারে বসে আছে।রিসিপশনে বার বার গিয়েও খালি হাতে ফিরে আসতে হচ্ছে তার।
রিসিপশনে নীরকে বারংবার অফিস লাইনে কল করলেও নীরের একটাই কথা সে এখন ব্যস্ত!ডলি নীরকে পার্সোনাল নাম্বারে কল দিয়েও সে নাম্বারে তাকল পায়নি।তাই বাধ্য হয়েই রিসিপশনের হ্যাল্প নিতে হয়,তারপরও নীরের অফিসে প্রবেশের দ্বার পাচ্ছে না।
অপেক্ষার প্রহর অনেকক্ষণ কাটে।মুখে ক্রোধ ফুটিয়ে ডলি সিট ছেড়ে উঠে দাড়ায়।সিদ্ধান্ত নেয় জোর করেই অফিসের মধ্যে ঢুকবে।কারো বারণ মানবে না।মনে জেদ চেপে সবাইকে উপেক্ষা করে অফিসের মধ্যে ঢুকে পড়ে ডলি।নীর ম্যানেজারের সাথে কথা বলছে। ডলির আকস্মিক এমন ঢুকে পড়াটা নীর হয়তো আশা করেনি।নীর ম্যানেজারকে কিছু একটা বলে বিদেয় দেয়।ম্যানেজার অফিস ত্যাগ করার পর ডলি নীরের কাছে এসে বলে,
-তোর প্রবলেম টা কী নীর?বলতো আমায়?সবকিছুরই একটা লিমিটেশন থাকা লাগে!
-লিমিটেশন আমি ক্রস করিনি বরং তুই করেছিস!
-আমি করেছি মানে?কিসব যা তা বলছিস!
নীর চুপ হয়ে যায়।ডলি নীরের কাছে এসে গাঁ ঘেষে দাড়ায়।গালে স্পর্শ করে নীরকে বলে,
-আমার প্রতি কি তোর খুব বোর ফিল হয়?
নীর কথার কোনো জবাব তোলেনি।ডলি নীরের শরীরের সাথে আরো ঘেঁষে দাড়ায়।নীরকে এবার দু’হাত দিয়ে হট হট ভাব নিয়ে জড়িয়ে ধরে। আর বলে,
-তোর কিসের এত বিষণ্ণতা? আমায় বল!আমি তোর বিষণ্ণতা, একাকীত্ব সব কাটিয়ে দিব!কি হলো আমায় একটু ত জড়িয়ে ধর।অনেক আরাম পাবি!আরে ধর না!?

নীর নাতাশাকে এক ঝাটকায় সরিয়ে দেয়।খরখর গলায় বলে,
-এটা অফিস!কোনো হোটেল নয়!প্লিজজ ডলি?আই এম নাউ বিজি দ্যাট ইউ সি।তারপরও কেন জ্বালাতন করছিস?
-নীর তোকে ভালোবাসি!প্লিজজ ট্রাই টু আন্ডার্সটেন্ড!
-উফস,প্লিজজ গো।
ডলি নাজেহালে পড়ে যায়।আর থমথম গলায় বলে,
-আমার এন্সার?
-কিসের এন্সার?
-আচ্ছা বলা লাগবে না।আমি গেলাম।ভালো থাকিস!
ডলি মনটা খারাপ করে মাথা ঘুরিয়ে দরজার দিকে পা বাড়াতেই নীর বলে উঠে,
-ডলি?আই এম স্যরি!আসলে,আমি নিজেই বুঝি ইদানীং কেন সবার সাথে এত্ত উদ্ভট বিহেভ করি!প্লিজজ তুই কিছু মনে করিস না।
ডলি পেছনের দিকে আবার ঘুরে দাড়ায় । অবাক চোখে তাকিয়ে নীরকে বলে,
-তোর কি কিছু হয়েছে নীর?আমায় যদি বলতিস তাহলে প্রবলেম সলভ করার ট্রাই করতাম।
-নাথিং।এভয়েড ইট।সিটে এসে বস।

ডলি চারপাশ তাকিয়ে আক্ষেপ সহিত একটা দীর্ঘ দম ছেড়ে বলে,
-আমি এখন চলে যাচ্ছি।যদি তোর ইচ্ছে হয় তাহলে ফোন করে কথা বলিস।বায়, গেলাম।
কথা শেষ করেই ডলি চলে যায়।নীর হুইল চেয়ারে উপর অস্থির মনে দাড়ানো অবস্থায় বসে পড়ে।

পরেরদিন,
সকালে নাতাশা তার বাবাকে নিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে রওনা করে।নাতাশার বাবা যদিও যেতে তেমন রাজি ছিলেন না,তবে নাতাশার ইচ্ছের বিরুদ্ধে কুলিয়ে উঠতে পারেননি।বাধ্য হয়ই নাতাশার সাথে রওনা করলেন।নাতাশা ডাক্তারকে আগের সব রিপোর্ট এবং প্রেসক্রিপশন দেখায়।ডাক্তার প্রেসক্রিপশন দেখে আরো কিছু ওষুধ দিয়ে দেন।আর ক’দিন পর আবার যেতে বলেন।
তারপর নাতাশা বাবাকে নিয়ে চেম্বার থেকে বের হয়। একটা রেস্টুরেন্ট থেকে দুপুরের খাবার সেরে নেয়।নাতাশার বাবা সাদা ভাত, পুটিমাছের ঝোল,সবজি এবং নাতাশা মুরগির মাস,ভাত দিয়ে দুপুরের খাবার শেষ করে।

বাবাকে নিয়ে বাড়ি ফেরে।বাড়ি ফেরার পর নাতাশা ক্লান্তি মগ্নে নিজ ঘরের আলনা থেকে একটা থ্রী-পিস হাতে তুলে নেয়।
গোসলের জন্যে পুকুরের দিকে রওনা করতে নাতাশার মা সামনে এসে দাড়ায়। আর নাতাশাকে উদ্দেশ্য করে বলে,
-নাতাশা?তোর শাশুড়ী আজ প্রদীপের বিকাশ এজেন্টে তোর জন্যে বিশ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন!
নাতাশা চমকে উঠে।কপালে ভাঁজ এনে বলে,
-হঠাৎ টাকা পাঠালেন বুঝলাম না এর মানে কিছু!
নাতাশার মনে সন্দেহের দানা বাঁধতে থাকে।কারণ,তার মা আবার কোহিনুর বেগমকে ফোন করে আজকে ফর্ম-ফিলাপ না করার কথা বলে দিল নাতো!?নাতাশা তার মাকে কাঁপা কাঁপা স্বরে বলে,
-মা?তুমি আমার শাশুড়ীকে আমার ফর্ম-ফিলাপের ব্যাপারে কল করে আবার বল নি ত?
নাতাশার মায়ের মুখটা ভার হয়ে যায়।তারপর হাসতে হাসতে বলেন,
-ইয়ে মানে বাদ দে।এখন ত তোর পরিক্ষা দেওয়া লাগবে।ফর্ম-ফিলাপের জন্যে আসলি যদি ফর্ম-ফিলাপই না করতে পারিস তাহলে!
নাতাশা তার মায়ের প্রতি ক্রুদ্ধ হয়ে যায়।থ্রী-পিসটা একপাশে ছিটকে ফেলে উচ্চস্বরে বলে উঠে,
-মা,তোমায় কে বলেছে?উনাকে এ ব্যাপারে জানাতে?আমি তোমায় বলেছি, বলো?
নাতাশার মা থতমত খেয়ে যান।বুঝতে পারছেন না মেয়েকে কি বলবেন।নিজেকে শান্ত রেখে বলেন,
-নাতাশা আসলে এছাড়া আমার কিছুই করার ছিল না।ওদিক দিয়ে তোর বাবাকে নিয়ে গেলি ডাক্তারের কাছে।আর এদিক দিয়ে তোর ফর্ম-ফিলাপ টা!
-কথা বলবে না তুমি আমার সাথে।

মুখটা বিমর্ষ করে নিজঘরের দিকে ধেয়ে চলে আসে নাতাশা।আজ আর গোসল করা হয়নি তার।এখন সন্ধে গড়িয়ে গেল।দুপুর থেকে এখন পর্যন্ত নিজঘরে নাতাশা।ঘর বেরুবার প্রয়োজনও বোধ করেনি এতটাই ক্রুদ্ধ সে!!কারণ,তার মা তার শাশুড়ীর কাছে টাকা চাওয়াটা মন থেকে মানতে পারেনি।একে ত ছোটলোকি কাজ,আবার অবস্থানের প্রশ্নও আসে!
দিনের আবছা আলো ঘুটঘুটে অন্ধকারের মাঝে মিশে যায়।নাতাশা বিছানা থেকে নেমে জানলার দিকে হেটে চলে ধীর পায়ে। জানলার রেলিং এ হাত রেখে তারাভর আকাশ দেখতে থাকে আনমনে।আর মনে পড়ে সেদিনের সেই বাসর রাতের বিমর্ষ রাতটির কথা।সে রাত নীরের সাথে তার ডিভোর্স ব্যাপারে কথা হয়।ডিভোর্সটার সম্পূর্ণ অধিকার নাতাশার উপর ছেড়ে দেয় নীর।আর,এখনো হয়তো ডিভোর্স পেপার পাওয়ার অপেক্ষায় দিনগুলো পার করছে নীর।নাতাশা কবে ডিভোর্স লেটার পাঠাবে, কবে আসবে সেই ডিভোর্স পেপার!?সে সাইন করবে আর মুক্তি পাবে বন্দি খাঁচা থেকে।
নাতাশার এমন ভাবনার ছেদ ঘটে কাঁধে কারো হাতের স্পর্শের ছোঁয়ায়।তড়িঘড়ি চোখের পানি মুছে ফেলে নাতাশা।নাতাশার মা পেছন থেকে বলেন,
-নাতাশা?তোর শাশুড়ী কল দিয়েছেন।এই ধর কথা বল।
মোবাইলটা হাতে নেয় নাতাশা।হ্যালো বলতেই কোহিনূর বেগম নাতাশাকে ঝাড়তে থাকেন,
-এই মেয়ে,বেশি পেঁকে গেছিস না?বাপের বাড়ি চলে যেতেই আমায় পর করে ফেললি?আমাকে আপন মা বলে মনে হয় না?কষ্ট পেলাম,অনেক পেয়েছি.. হু!
নাতাশার দু’চোখ বেয়ে পানি পড়তে থাকে।কান্নার বাঁধ আগলে রেখে বলে,
-মা এসব কেমন কথা বলছেন।
-তো কেমন কথা বলব,হু?আজকে টাকাটা যদি আমার জায়গায় তোর মা দিতেন তাহলে কি এমন করতে পারতিস?বল?পারতিস না।তুই আমায় পরই ভেবে রইলি নাতাশা?আমি কি তোর আপন মায়ের সমতূল্য হতে পারি নি?
-মা সে কেমন কথা।প্লিজজ এসব বলবেন না।
-তাহলে,এখনই তোমার মায়ের থেকে ফর্ম-ফিলাপের টাকাটা নিয়ে নিও।যদি না-ই নাও তাহলে ভাববো আমার সাথে তোমার সব ছলনাময়ী ভালোবাসা ছিল।আমি শুধু একতরফাই ভালোবেসে গেলাম।
নাতাশার মুখে ছলছল হেসে চলে আসে কোহিনূর বেগমের কথায়।কোহিনুর বেগম তা বুঝতেই সড়াৎ বলে উঠেন,
-এই মেয়ে হাসছিস যে?
নাতাশা আরো হেসে ফেলে।কোহিনূর বেগম নাতাশাার হাসির কারণ বুঝতে পেরে বলেন,
-একটু রসিকতা করলাম।বউমার সাথে রসিকতা দোষের কিছু না।
-নাহ মা,নাহ মা।আমার কাছে কথাগুলো শুনে ভালো লাগলো।আরেকটু রসের কথা শুনতে চাই মা।
-হয়েছে,অনেক শুনেছ। এবার লক্ষী মেয়ের মতো কাল কলেজে গিয়ে ফর্ম-ফিলাপটা সেরে এসো।মনে থাকবে?আর হু এখন রাখলাম।অনেক কথা বলে ফেলছি।ভালো থেকো।
-আচ্ছা,মা।
কলটা রাখার পর নাতাশা মুখে একটা মৃদু হাসি টানে।আসলেই,তার শাশুড়ী মায়ের কোনো তুলনাই হয় না।
অতঃপর একপ্রকার চাপাচাপি তে ফর্ম-ফিলাপ টা সেরেই আসলো নাতাশা।তার পরদিন থেকে নাতাশা প্রিয়ার থেকে সাজেশন নিয়ে স্টাডি শুরু করে দেয়।ঠিক আগের মতো।আগে যেমন একগাদা বই পুরো টেবিল ছড়িয়ে পড়তে বসতো,আজও তাই।
এভাবে কয়েকটা দিন কেটে যায়,নাতাশার বাবার শরীরটারও আগ থেকে ভালোর দিকে যাচ্ছে।নাতাশা
দরজার একপাশে দাড়িয়ে বাবাকে উঁকি মেরে দেখে আর একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে।

একদিন নীর অফিসে বসে কম্পিউটারে টাইপিং করছে।হুট করে কল বেজে উঠে।নীর কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে মোবাইলটা হাতে নিয়ে বেখেয়ালে হ্যালো বলে।ওপাশ থেকে নাতাশার কন্ঠস্বর শুনতে ভেসে আসে।চমকে উঠে নীর।তড়িঘড়ি মোবাইলটা নিচে নামিয়ে চোখের সামনে ধরে।সত্যিই ত নাতাশা কল দিয়েছে!

চলবে…