#সম্পর্কের_মায়াজাল
#ফারজানা_আফরোজ
#পর্ব_২৩
—“পাগল হয়ে গেলে না-কি? এইভাবে কেউ ধাক্কা মারে? আজব।”
—-” আপনার সাহস কি করে হয় আমাকে টাচ্ করার। ভুলে যাবেন না আমাদের বিয়ে চির স্থায়ী নয় । আর কিছুটা মাস বাকি, পরেই আমাদের ডিভোর্স।”
—” আমাদের ডিভোর্স আদৌ হবে কি? ”
—” কেন হবে না? আমি তো অলরেডি ভেবে রেখেছি ডিভোর্সের পর কি কি করবো। আপনার মত খারাপ লোকের সাথে তো আমি মরে গেলেও থাকবো না। এখন যদি ডিভোর্স হতো তাহলে আরো বেশি খুশি হতাম।”
—” শুভ্রতা……!”
—-” আমাদের বিয়ের রাতেই কথা ছিল আমরা এক বছর পর আলাদা হবো। কথার খেলাপ নিশ্চয় মিস্টার স্পন্দন করে না।”
—” তোমার কি হয়েছে? কেন এইভাবে কথা বলছো?”
—” আপনি কিন্তু শর্ত দিয়েছিলেন আমরা একে অন্যকে আপনি বলে সম্মোধন করবো। বাড়ির মানুষের সামনে তুমি করে বলবো। এখন আমার আর আপনার মাঝে তৃতীয় কোনো ব্যাক্তি নেই সো আপনি করে বলুন।”
—” শুভ্রতা রাগ উঠাবে না বলছি। কখন থেকে কি সব বাজে কথা বলছো। জ্বরে কি পাগল টাগল হয়ে গেলে না-কি?”
—” ছিঃ কতটা নির্লজ্জ আপনি। এত বড় খারাপ কাজ করা সত্বেও কোনো দ্বিধা বোধ নেই,অনুশোচনা নেই। থাকবেই বা কি করে যার চরিত্র এতটা কালো তার আবার অনুশোচনা।”
স্পন্দনের মাথা রেগে আগুন হয়ে যাচ্ছে। ওর ইচ্ছা করছে এখন শুভ্রতা-কে মাথার উপরে তুলে ফ্লোরে আছাড় মারতে। কিন্তু কেন যে পারছে না সে এখনও তা বুঝে উঠতে পারছে না।
—” কি মুখের কথা শেষ হয়ে গেল। আপনার কু-কীর্তির কথা তো এখনও বলিই নেই।”
স্পন্দন দাঁতে দাঁত চেপে ধরে বলল…..
—-” কি করেছি আমি? বুঝিয়ে বলবেন….!”
—” এখনও জিজ্ঞাসা করছেন কি করেছেন? বাহ খুব ভালো মানুষ তো আপনি। আমি আপনার বাহিরের রূপ দেখে আপনাকে সম্মান করে এসেছি। মানুষদের পাশে থেকেছেন তাদের যাবতীয় সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেছেন সেই জন্য আপনাকে আমি অনেক অনেক ভালো মনের একজন ভেবে এসেছিলাম। কিন্তু এখন বুঝলাম এইগুলো আপনি করতে জাস্ট সবার চোখে ভালো সাজার জন্য। আসলে আপনার মন তো কয়লার থেকেও যদি কালো কিছু থাকে সেটা হবে। ছিঃ এই মানুষটার সাথে কি-না আমি এতদিন থেকেছি। নিজের প্রতি এখন ঘৃনা লাগছে আমার। মরে যেতে ইচ্ছা করছে এখন আমার।”
স্পন্দন এইবার নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রন করতে না পেরে শুভ্রতার হাত ধরে টান দিয়ে দেওয়ালের কাছে মিশিয়ে হাত পিছন থেকে চেপে ধরলো……
—” অনেক্ষণ ধরে তোমার বাজে বকবক গুলো সহ্য করেছি বলে ভেবো না এই স্পন্দন কিছু বলতে পারে না। তোমাকে ভালোবাসি বলে তোমার মিথ্যা অপবাদ গুলো নিজের বলে মাথায় চাপিয়ে নিয়েছি। এই জন্য যা খুশি তাই বলবে সব মানতে পারবো না।”
—” আমার হাতে লাগছে ছাড়ুন।”
—” কেন ছাড়বো? তোমার তো মরার শক জেগেছে তাহলে সামান্য এই ব্যাথা-তেই ছাড়তে বলছো।”
—” আপনার স্পর্শ আমার কাছে তীরের মত মনে হয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে মনে হয় কেউ আমার শরীর টুকরো টুকরো করে দিচ্ছে।”
—” আমি কি এমন অপরাধ করেছি যার জন্য আমার স্পর্শ তোমার কাছে তীরের মত লাগে?”
—-” সাধনার সাথে যে আপনার রিলেশন ছিলো আমাকে বললেন না কেন?”
—” তুমি জানো না? আর আমি আগেও বলেছি তোমাকে, একটা দূর ঘটনার জন্য ওর সাথে প্রেমের অভিনয় করেছি এমনকি বিয়ে পর্যন্ত করতে চেয়েছি।”
—” কেমন দূর ঘটনা?”
শুভ্রতার প্রশ্ন শুনে স্পন্দন শুভ্রতা-কে ছেড়ে দিয়ে উল্টো ঘুরে বলল…..
—-” আমি এই বিষয়ে কোনো কথা বলতে ইচ্ছুক না।”
—” হাহাহা, মানুষ কিন্তু তার কু-কর্মের কথা প্রকাশ করতে চায় না। ওকে আমিই বলছি…..!”
স্পন্দন শুভ্রতার দিকে ভয়ার্ত দৃষ্টিতে তাকালো। শুভ্রতা স্পন্দনের আলমারি থেকে ছোট একটি বক্স বের করে একটা চিঠি আর কয়েকটা পিক বের করে বলল…..
—-” সাধনার বাচ্চাটি যে আপনার সে কথা গোপন রেখে কি ভাবছিলেন আমি জানবো না? সত্য কোনোদিন গোপন থাকে না মিস্টার স্পন্দন। এই চিঠিতে আমার বোনের লেখা সুইসাইড নোট। সে আপনার সন্তানের মা হতে চলেছে কিন্তু আপনি না-কি তাকে ভালোবাসেন না তাই ও আত্মহত্যা করার পথ বেছে নিয়েছিল। এই জন্য কি আপনি ওকে বিয়ে করতে চাইছিলেন?”
স্পন্দন অপরাধীর মতো শুভ্রতার দিকে তাকালো। সে তো এই অন্যায়ের জন্য সাধনাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল কিন্তু সাধনাই তো তাকে ঠকিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। সে তো তার ধায় নিতে অস্বীকার করে নি। তাহলে এইখানে তার দোষ কোথায়?”
—” আমার বোন আপনাকে বাঁচানোর জন্য আমার সাথে মিথ্যা বলেছে। সে বলেছে সে না-কি অন্য কাওকে বিয়ে করে সুখে আছে। এখন তো আমার মনে হচ্ছে আপনি আমার বোনকে কিডন্যাপ করে তাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে আমাকে মিথ্যা বলাতে রাজি করিয়েছেন যেন আমি আমার বোনের চিন্তা আর না করি। কেন করলেন এইগুলো আপনি আমার বোনের সাথে?”
—” ট্রাস্ট মী শুভ্রতা আমি সাধনার ব্যাপারে কিচ্ছু জানি না। হ্যাঁ এইটা ঠিক ও আমার বাচ্চার মা তাই ওকে আমি বিয়ে করতে চেয়েছিলাম কিন্তু ও পালিয়ে যায় এরপর থেকে ওর সাথে আমার আর কোনো যোগাযোগ নেই। কোথায় আছে কি করছে কিছুই জানি না আমি।”
—” আপনাকে আমি আর বিশ্বাস করি না। আপনি যে এতটা নিচ আমি কোনোদিন ভাবতে পারেনি। আপনার মত নোংরা মানুষের সাথে আমি থাকতে চাই না।”
স্পন্দন শুভ্রতার সাথে আর কথা না বাড়িয়ে বাসা থেকে বের হয়ে গেল। শুভ্রতা বসে বসে কান্না করছে। গতকাল রাতে স্পন্দনের আলমারি ঘাটাঘাটি করে সে একটা খাম পায়। খামের ভেতর সাধনার হাতের লেখা একটি চিঠি পায়। চিঠিতে স্পষ্ট ভাষায় লেখা ছিল……
স্পন্দন! তোমার সন্তানের মা হতে চলেছি আমি। আমি জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো না তাহলে আমার এই ক্ষতি কেন করলে? আজ তোমার জন্য পরিবারের কারো সামনে থাকতে লজ্জা বোধ হচ্ছে আমার। ঘর বন্ধ হয়ে থাকতে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। আপু, আব্বু ও আম্মু চিন্তা করছে আমার জন্য। হটাৎ আমার পরিবর্তন তাদের চোখে সন্দেহ সৃষ্টি করছে। আমি পারছি না এই অপবাদ নিয়ে বেঁচে থাকতে। বাচ্চাটির কথা শুনলে সবাই আমাকে খারাপ মেয়ে বলবে। আমার বাবা মাকে খারাপ কথা শুনা-বে, আমার আপুকে সবাই বলবে খারাপ বোনের বোন কি আর ভালো হতে পারে? তুমি তো আমাকে কোনোদিন মেনে নিবে না তাই আমিই আমার পথ বেছে নিচ্ছি। চলে যাবো তোমার জীবন থেকে তাহলে কেউ আর বলবে না সাধনা খারাপ তার পরিবার খারাপ আর কেউ বলবে না এই বাচ্চা তোর বাবা নেই তোর বাবা কে কেউ জানে না। প্রশ্নগুলো করার আগেই আমি চলে যাচ্ছি এই পৃথিবী থেকে। ভালো থেকো।
~~~সাধনা~~~
চিঠিটা পড়ে শুভ্রতা কিছুক্ষণের জন্য সব কিছু ভুলে যায়। ওর মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। স্পন্দন যে এই রকম একটি কাজ করতে পারে কল্পনা করা তো দূর ভাবেনি পর্যন্ত শুভ্রতা।
শুভ্রতার কান্নার মাঝে সন্ধ্যা আসলো হাতে অনেকগুলো চকোলেট। সন্ধ্যা মুখ বাঁকা করে বলল…..
—-” এই নেও এইগুলো তোমার।”
শুভ্রতা মুখ তুলে সন্ধ্যাকে দেখে মুখে হাসি আনার চেষ্টা করে বলল…..
—” আমি খাবো না তুমি খাও।”
—” উহু। এইগুলো তোমার।”
—” আমার যেহেতু আমি যাকে খুশি তাকে দিতে পারি। আমি তোমাকে দিলাম তুমি খাও।”
—” কিন্তু আপু তো তোমাকে দিয়েছে এই চকোলেট। এখন যদি আপু শুনে আমি তোমার চকোলেট নিজের কাছে রেখে দিয়েছি তাহলে তো আমাকে আর চকোলেট দিবে না।”
—” না দিলে না দিবে তুমি নিজে কিনে খাবে। বাই দা ওয়ে আপু-টা কে?”
—-” আপুর নাম বলতে বারণ।”
শুভ্রতা কথা না বাড়িয়ে আবারো বলল…..
—” ওকে বলতে হবে না। এখন তুমি চকোলেট গুলো নিয়ে যাও। আর আপু যদি তোমায় চকোলেট আর না দেয় আমাকে বলো আমি কিনে দিবো তোমায়।”
—” আপুর চকোলেট গুলো বেস্ট চকোলেট। এই চকোলেট কোথাও পাওয়া যায় না। আপু আমার জন্য স্পেশাল ভাবে অর্ডার করে এই চকোলেট।”
সন্ধ্যার কথা শুনে শুভ্রতার মনে খটকা লাগে। কি এমন চকোলেট যে স্পেশাল ভাবে অর্ডার করতে হয়।
—” কি চকোলেট দেখি তো?”
সন্ধ্যা চকলেট গুলো ব্যাগ থেকে বের করে। ব্যাগের ভেতর একটা বক্স। কোম্পানির নাম নেই। বক্সের মধ্যে গোল আর লম্বা আকৃতির চকোলেট। শুভ্রতার মনে সন্দেহ সৃষ্টি হতে লাগলো।
—” সন্ধ্যা তুমি কি এই চকোলেট ছাড়া অন্য কোন চকোলেট খেতে পারো না বা ভালো লাগে না?”
—” উহু। আমার তো অন্য চকোলেট মুখে দিলেই বমি হয়। দেখো না আমি সব সময় এই চকোলেট গুলো খাই।”
বলতে না বলতেই সন্ধ্যা বক্স থেকে চকোলেট তুলে খেতে লাগলো। শুভ্রতা এইবার খুব মনোযোগ সহকারে ভাবতে লাগলো ও যখন থেকে সন্ধ্যাকে দেখে আসছে সন্ধ্যার হাতে চকোলেট দেখে। চকোলেট পাগলী তো সে নিজেও বাট সন্ধ্যার মতো এত চকোলেট খেতে আর কাওকে দেখেছে বলে মনে হচ্ছে না শুভ্রতার।
—-” দেখি তো কেমন লাগে।”
শুভ্রতা প্রথম চকোলেট মুখে দিতেই মুখ চেপে ধরে দৌড়ে ওয়াশ রুমে চলে গেল। শুভ্রতার নাকে খুব বাজে একটি গন্ধ আসে চকোলেট থেকে।
ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে সন্ধ্যার হাত থেকে সব চকোলেট কেড়ে নিলো শুভ্রতা…….
—” এইটা কি করলে তুমি?”
—” তুমি আর এই চকোলেট খাবে না।”
—-” তোমার কথা কেন শুনবো আমি?”
—” তোমার ভালোর জন্যই বলছি। আর তোমার ওই আপুর নাম ঠিকানা বলো আমার কাছে।”
—” আপু ঠিকই বলেছে তুমি কাল সাপ। তোমার সাথে থাকলে সবাই খারাপ হবে। শুনো তুমি আমার সাথে আর কথা বলবে না।”
সন্ধ্যা হনহন করে রুম থেকে বের হয়ে গেলো। শুভ্রতার মাথায় কিছুই আসছে না। স্পন্দন তাকে এত বড় ধোঁকা দিলো তার সাথে ভালো মানুষের অভিনয় করলো তার বোনকে ঠকালো তবুও কেন যেন সে সন্ধ্যার ক্ষতি হোক মানতে পারছে না।
মানুষের মন বড়ই অদ্ভুত ধরনের। কখন কাকে সাহায্য করতে মন চায় বুঝা মুশকিল। মানুষের মাঝে আপন হওয়ার এক বড় সম্পর্ক সৃষ্টি হতে কিন্তু বেশি পরিচয়ের দরকার নেই। দরকার মন মানসিকতা। এই মন মানসিকতার জন্যই শুভ্রতা পারছে না সন্ধ্যাকে এই অন্ধকারে ঠেলে দিতে। সন্ধ্যাকে আলোর জগতে আনার জন্য সে এখন সেই আড়ালে আবডালে থাকা আপু নামক মানুষটিকে খুঁজবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্পন্দনের সাথে তো এক বছর পর ডিভোর্স হবেই তা নিয়ে এখন আর ভাবার দরকার নাই।
।।
।।
।।
সমুদ্র বার বার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের পেট দেখছে। একটি ফিতা নিয়ে পেট মাপতে লাগলো।
—-” ওরে বাবা রে আমি তো মোটু হয়ে গেছি। আম্মুকে কত করে বলেছি আম্মু বেশি খাবার দিও না কিন্তু কে শুনে কার কথা ঠিকই বেশি খাবার দিবে। এখন আমি এই পেট নিয়ে কই যে যাবো? শার্ট গেঞ্জি যাই গায়ে দেই বডির আগে পেট যাবে। ”
সমুদ্রের ভাবনায় এক বালতি পানি ঢাল-লো নাদিয়া। হাতে নুডলসের দুই বাটি এনে খাটে বসে সমুদ্রকে বলল…..
—-” এই নে খা। আম্মু পাঠিয়েছে আর সস দেওয়া আছে।”
—” ওই নাদু দেখ আমার পেট বেড়েছে।”
—” ছিঃ ভাইয়া ছিঃ তুই এই আকাম কুকাম কিভাবে করলি? এখন আমরা রাস্তায় বের হবো কিভাবে? তাড়াতাড়ি বল বাচ্চার মা কে?”
সমুদ্র বিরক্তি গলায় বলল…..
—-” অল টাইম ফান মুড নিয়ে কিভাবে থাকিস তুই?”
—” ফান কই করলাম আজব প্রাণী তো! আমি সত্যি কথাই বলেছি হুহহ।”
—” নাদু আমাকে দেখতে কি বেশি খারাপ লাগছে?”
নাদিয়া বেশ কিছুক্ষণ দেখে মনোযোগী ভাব নিয়ে বলল…..
—-” তোর আর এই জন্মে বিয়ে টিয়ে হবে না রে ভাইয়া। এমনিতে তো বোকা ছিলি রোমান্স সম্পর্কের ‘র’ জানিস না তার উপর পেট মোটা। এই জন্মে বিয়ের চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দে।”
—-” পেট কমানোর কোনো উপায় নেই?”
—” আছে বাট তুই পারবি না। যে খাদক তুই।”
—” পারবো বল আমায়।”
—-” ডায়েট কন্ট্রোল করতে হবে, ওয়ার্ক আউট করতে হবে, জীরা পানি, আদা পানি, লেবু পানি যেটা ইচ্ছা সেটা খেতে হবে।”
—” এত কষ্ট করতে হবে?”
—” হো এখন দেখ পারবি কি-না?”
—” হুম পারবো। কেন পারবো না?”
—” তাইলে এই নুডলস আর তুই খাবি না। ওকে যা তোরটা আমিই খেয়ে নিচ্ছি।”
নাদিয়ার কথায় পুরো বোকা বনে গেল সমুদ্র। তার মানে নাদিয়া যে এতক্ষণ এই নুডলসের উপর নজর ছিল সে বুঝতে পারে নাই। তার এই পেট কমানোর এক মাত্র উপায় হলো শুভ্রতা। শুভ্রতা-কে ফোন দিয়ে সে কোনো না কোনো উপায় ঠিকই খুঁজে দিবে সমুদ্রকে।
চলবে……