#সাইকো_নীড়
part : 36
writer : Mohona
.
নির্ঝর-নিরব সেই গাড়ি খুজে বের করলো।
নির্ঝর : thats the car…
নিরব : ওই দেখো গাড়ির হাল খারাপ।
নির্ঝর : হামমম।
নিরব : তাহলে কি সত্যি দাদাভাইয়া?
নির্ঝর : চুপ থাক। চেক কর গাড়ি।
২জন মিলে চেক করলো।
নির্ঝর : এই দেখে ব্রেক এর তার কাটা..
নিরব : oh my goodness…
নির্ঝর : yes yes yes… i just knew it… দাদাভাইয়া করতেই পারেনা…। আরো কিছুর খোজ যদি পাওয়া যায় …
নিরব : স্টিয়ারিং এর সাথেও ছেরছার হয়েছে ।
নির্ঝর : হামমম। গুড। কিন্তু কার এতো সাহস হলো নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষনের সাথে এমন করার ?
নিরব : সেটা তো আছেই… কিন্তু কথা হলো এই যে যেখানে পুলিশ-কমিশনাররা দাদাভাইয়ার এই accident এর কথা জানলো না, প্রমান পেলোনা সেখানে অর্নব ভাইয়া কিভাবে?
নির্ঝর : এর জবাব তো অর্নবই দিবে… চল …।
২জন মিলে অর্নবের কাছে গেলো। থার্ড ডিগ্রি দিলো । এরপর তোতা পাখির মতো অর্নব সব বলে দিলো। এরপর ওর রেকর্ডিং নিলো। ছুটলো বাসায় ।
.
নীড় বসে আছে ।
নীড় : একবার এই রুম থেকে বের হই একেকটাকে খুন করে ফেলবো। &&& you… my snow white ….৩দিন ,,, ৭২ঘুন্টা ধরে তুমি আমার থেকে দূরে। এর শাস্তি তো তোমাকে পেতেই হবে… ভুল করেছি। শাস্তি দাও। কিন্তু দূরে কেন থাকবে?
তখন নিরব-নির্ঝর ওর রুমে ঢুকলো।
২জন : দাদাভাইয়া তুমি খুনী নও…
নীড় : মার না খাওয়ার জন্য বাকওয়াস করছিস?
নির্ঝর : না… এই দেখো।
নীড় দেখলো। আর দেখে মাথায় আগুন উঠে। গেলো। গানটা লোড করে নিলো। বেল্টে লাগালো।
নীড় : আজই ওই অর্নবের শেষ দিন…
বলেই নীড় যেতে নিলো। তখন নির্ঝর থামিয়ে দিলো।
নির্ঝর : দারাও দাদাভাইয়া …
নীড় : why?
নির্ঝর : অর্নবের সাথে যা করার পরেও করতে পারবে। কিন্তু ভাবি…? she needs you & you need her… আগে ভাবির কাছে যাও।
নীড় : ….
নিরব : এখন তো অপরাধবোধের কোনো কারন নেই… go দাদাভাইয়া…
নীড় : হামমম।
নীড় ছুটলো মেরিনের কাছে।
.
মেরিন ছাদে দারিয়ে আছে ।
মেরিন : আপনার মায়ায় জরিয়ে পরেছি । ভীষন ভালোবাসি আপনাকে। কিন্তু আমি… আম্মু-বাবাকেও ভালোবাসি। বাবার বিরুদ্ধে গিয়ে আপনাকে ভালোবেসেছিলাম। বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম … কিন্তু আপনি…
মেরিন নীড়ের দেয়া গানটা বের করলো।
মেরিন : কখনো ভাবিনি আপনার দেয়া গান আমার জীবন দেয়ার কাজে লাগবে… কখনো ভাবিনি গান চালানোটা এভাবে কাজে লাগাতে হবে…
নীড় মেরিনকে খুজতে লাগলো।
নীড় : snow … এই snow …. কোথায় গেলো snow ? ছাদে গিয়ে দেখিতো…
নীড় ছাদে গেলো। আর দেখলো মেরিন নিজের মাথায় গান ঠেকিয়ে রেখেছে। যা দেখে ওর পায়ের নিচের মাটি সরে গেলো।
নীড় : snow white…
মেরিনের নজর গেলো নীড়ের দিকে। নীড় মেরিনের সামনে যেতে নিলে মেরিন থামিয়ে দিলো।
মেরিন : একদম আগে বারবেন না । আগে বারলে আমি নিজেকে shoot করে দিবো…
নীড় : এএএকটা থাপ্পর দিবো। রাখো ওইটা। by at any chance trigger এ প্রেস লেগে যাবে। দুর্ঘটনা ঘটে যাবে।
মেরিন : ঘটুক। আমি নিজেকে শেষ করেই দিতে চাই।
নীড় : এই না খবরদার না। পাগল হয়েছো নাকি?
মেরিন : হ্যা হ্যা আমি পাগল হয়ে গিয়েছি …আর এর জন্য আপনি দায়ী … শুধুই আপনি ।
নীড় : মেরিন আমি শশুড়ড্যাড-শাশুড়িমমকে মারিনি…
মেরিন : কি? কি বললেন? আপনি আম্মু-বাবাকে মারেননি?
নীড় : হামমম।
মেরিন : হাহাহা।
নীড় : আমি সত্যিই মারিনি…
মেরিন : আপনার জীবনের কোনো কিছুই সত্যি নেই। আপনি আমার আম্মু বাবাকে মেরেছেন। আর আজকে আপনাকে এমন শাস্তি দিবো যে আপনি সারাজীবন মনে রাখবেন। খুব ভালোবাসেন আমাকে তাইনা? আজকে চোখের সামনে আমার মৃত্যু দেখবেন…
নীড় : না… না snow … এমন করেনা। বিশ্বাস করো আমি মারিনি ওদের। আমার দোষ ছিলোনা।
মেরিন : বিশ্বাস শব্দটা মুখেই আনবেন না। good bye…
নীড় : না দারাও। দদদেখো তুমি যদি আমাকেই অপরাধী মনে করো তবে আমাকে shoot করো। কিন্তু প্লিজ … নিজের কোনো ক্ষতি কোরোনা।
মেরিন : আমার হাতে আপনি খুন হলে তাতে আপনার শাস্তি না তৃপ্তি হবে।
নীড় : আমার কথাটা একটু শোনো …
নীড় ১পা আগে বারতে নিলো।
মেরিন : একদম আগে বারবেন না। না হলে জজজঘন্য মৃত্যু দিবো নিজেকে।
নীড় : মেরিন আমার ভালোবাসার দোহায় লাগে ওটা ফেলে দাও । আমার কসম গানটা ফেলে দাও ।
মেরিন : আপনাকে আমি ভালোবাসি … কিন্তু এর মানে এটা নয় যে আমি আমার আম্মু-বাবাকে ভালোবাসিনা। আপনাকে শাস্তি না দিলে ওদের সাথে অবিচার হবে।
নীড় : আমার দোষ নেই ইয়ার…
মেরিন : good bye নীড়। নিজের একাকিত্ব মোবারক হোক।
নীড় : ১মিনিট… তুমি নিজেকে shoot করবেই…?
মেরিন : হামমম।
নীড় : কোনো দাম নেই আমার কথার? বিশ্বাস নেই?
মেরিন : না…
নীড় : তো ম্যাডাম মেরিন বন্যা… দুনিয়া ঘুরে গেলেও আমাকে শাস্তি দেয়ার জন্য আপনি নিজেকে শেষ করবেন?
মেরিন : হামম।
নীড় ৩টা তালি দিলো।
নীড় : প্রমান পেয়ে গেলাম সত্যিই আমাকে কতোটা ভালোবেসেছো …
মেরিন : আমিও পেয়েছি ।
নীড় : মরতে চাও। তুমি আমার মেরিন… তোমার সবকিছুর ওপরও আমার অধিকার। তোমার জীবনের ওপর… এমনকি তোমার মৃত্যুর ওপরও।
বলেই নিজের গানটা বের করলো।
নীড় : গানটা লোড করেছিলাম অর্নবকে shoot করবো বলে।
মেরিন : পারেনই তো কেবল খুন করতে…
নীড় : তোমার জায়গায় অন্যকেউ হলে অর্নবকে মারতে চাওয়ার কারন জানতে চাইতো…
মেরিন : না তো আমার কিছু জানার আছে আর বোঝার…
নীড় মেরিনের দিকে বন্দুক তাক করলো।
নীড় : তোমাকে shoot করার অধিকারও আমার বলেই। মরে যাওয়া মোবারক হোক…
বলেই চোখ বন্ধ করে shoot করলো। আর গুলি গিয়ে লাগলো মেরিনের মাথায়….
লম্বা অতীত শেষ হলো।
⛈️⛈️⛈️
]]]
.
বর্তমান…
মেরিন বসে বসে ভাবছে ।
মেরিন : নীড় নীড় নীড় … এই ১টা নাম সবকিছু গুলিয়ে দিচ্ছে উনার চোখ দেখে কেন যেন সব গুলিয়ে যাচ্ছে । তবে নীড় পাগল নাকি পাগল হওয়ার নাটর করছে সেটা জানা জরুরী । কালই যাচাই অভিযান শুরু করবো। আম্মু-বাবার প্রতিশোধ তো নিবোই।
তখন নির্ঝর-তিন্নি , নিরব-ইশিতা এলো।
মেরিন : তোমরা?
ইশিতা : হামমম গো রঙ্গিলা ভাবি। তোমার কথা ভীষনভাবে মিস করছিলাম।
মেরিন : আসো ভেতরে আসো ।
নিরব : রঙ্গিলা ভাবি দাদাভাইয়ার অবস্থার কি কোনো উন্নতি হয়েছে?
মেরিন : না আসলে নীড়কে বোঝা বড় দায়। ও খুব critical …. ওকে বোঝা বড় দায়।
নির্ঝর : হামম তা ঠিক বলেছো।
.
পরদিন…
নীড় চুপচাপ বসে আছে পুন্টুসকে কোলে নিয়ে বসে আছে ।
ভম্বল : কিরে নীড় তুই কালকে থেকে চুপ কেনরে?
নীড় : জানিনারে। কেন যেন ভালো লাগছেনা। বুকে ব্যাথা করতেছে ।
ভম্বল : তোর বুক কোথায়রে?
নীড় মাথায় হাত দিলো।
নীড় : এই যে এখানে। আর তোরটা কোথায়রে?
ভম্বল পিঠে হাত দিলো।
ভম্বল : এই যে এখানে…
নীড় : ও ।
অভি : এই তোরা এখানে? চল আমরা খেলা করি ।
নীড় : তোরা খেলা কর। আমি বসে বসে দেখি।
সৈকত : কেনরে? তুই কেন খেলবি না?
ভম্বল : ওর নাকি বুকে ব্যাথা…
শ্রাবন : তাহলে চল আমরা বসে বসে খেলা করি…
মেরিন : আমিও খেলবো তোমাদের সাথে।
সৈকত : তুমি খেলবে?
মেরিন : হামম খেলবো। নিবেনা আমায়?
ভম্বল : হামমম হামমম নিবো নিবো।
মেরিন : thank you…
অভি : কিন্তু আমরা কি খেলবো?
মেরিন : চলো আমরা রুমাল চোর খেলি।
সবাই : ইয়ে… কি মজা কি মজা ।
নীড় : তোরা খেলা কর। আমি ঘুমাতে গেলাম।
বলেই নীড় যেতে নিলো। মেরিন হাত ধরলো।
মেরিন : কোথায় যাচ্ছো? অনেক ঘুমিয়েছো আজকে। আর ঘুমাতে হবেনা । চলো খেলা করি।
নীড় নিজের হাত ছারিয়ে নিলো।
নীড় : আমার ভালো লাগছেনা ।
মেরিন : কেন কি হয়েছে?
ভম্বল : ওর নাকি বুকে ব্যাথা …
মেরিন : তোমার বুকে ব্যাথা?
নীড় কিছু না বলে দৌড়ে চলে গেলো।
মেরিন মনে মনে : তোমার এই পালিয়ে যাওয়া প্রমানের ১ম ধাপ নীড় …
.
বিকালে…
নীড় পাগলের মতো পুন্টুসকে খুজছে ।
নীড় : পুন্টুস …. পুন্টুস …. এই এই তোরা কেউ আমার পুন্টুসকে দেখেছিস ?
সবাই না করলো।
নীড় : আমার পুন্টুস… আমার sn…
মেরিন : এখানে তোমার পুন্টুস। আমার হাতে ।
মেরিন ১বার ওটা ওপরে ছুরে মারছে আবার ধরছে।
নীড় : আমার পুন্টুসকে দদদিয়ে দাও।
মেরিন : তুমি এসে নিয়ে যাও।
নীড় : এই ভম্বল ওর হাত থেকে আমার পুন্টুসকে এনে দে না…
ভম্বল : আচ্ছা। এই যে শোনো তুমি… তোমাকেই বলছি নীড়ের পুন্টুসকে দিয়ে দাও।
মেরিন : তোমাকে কেন দিবো? এটা কি তোমার ?
ভম্বল : শোনো শোনো নীড় আমার কিউট বন্ধু। ও যা বলে আমি তাই করি। ও যখন বলেছে পুন্টুসকে দিতে । তখন তো আমি দিবোই।
মেরিন : কিভাবে দিবে? পুন্টুস তো আমার হাতে।
ভম্বল : এখনই দেখাচ্ছি ।
বলেই ভম্বল এমন জোরে পুন্টুসকে টান দিলো যে মেরিনই পরে যেতে নিলো। নীড় এসে ধরে ফেলল।
মেরিন : thank you…
মেরিন ঘুরে দেখে নীড় ওকে ধরেছে। অদ্ভুদভাবে তাকিয়ে আছে । আর নীড়ের এমন তাকানোতে মেরিনের কেন যেন ভয় করছে।
মেরিন মনে মনে : এই মাস্ক আর চশমার আরালেও কি নীড় আমাকে দেখে ফেলল নাকি? মারবে টারবে নাকি?
নীড় মেরিনকে ছেরে দিয়ে চলে গেলো।
.
দীপ্ত : মামনি… কি ভাবছো?
মেরিন : নীড়ের কথা।
দীপ্ত : কেন কি হয়েছে?
মেরিন সব বলে দিলো। মাথা ফাটানো , ব্যান্ডেজ লাগানো এরপর আজকের কথা সব।
দীপ্ত : ও তোমাকে চিনে ফেলেছে।
মেরিন : চিনে ফেলেছে মানে?
দীপ্ত : মেরিন যতোই পর্দার আরালে থাকুকনা কেন নীড়ের চোখ এরাতে পারেনা।
মেরিন : নীড় তো এখন স্বাভাবিক নেই। তাহলে ও কিভাবে আমাকে চিনতে পারে?
দীপ্ত : ও কখনোই তোমাকে ভুলেনি। সেদিন ফ্লাইটে মনে আছে? তোমাকে দেখে snow white বলে…
মেরিন : হামম।
দীপ্ত : আচ্ছা ১টা কাজ করলে কেমন হয়?
মেরিন : কি?
দীপ্ত : আমরা পুরো পরিবার পিকনিকে গেলে কেমন হয়?
মেরিন : ভালো। কিন্তু কোথায়?
দীপ্ত : যেখানে পাহাড় আর সাগর একসাথে মিশে গেছে। কারন ২টাই নীড়ের প্রিয় । আর family moment নীড়ের খুব ভালোলাগার। যেটা কখনোই ও enjoy করেনি।
মেরিন : হামম???
দীপ্ত : এমন ভাবে হামম বললে আমার কানে প্রশ্নবোধক চিহ্ন বাজছে।
মেরিন : 😅।
দীপ্ত : any way… আজই দুলাভাইয়ার সাথে কথা বলতে হবে।
.
৭দিনপর…
ওরা সবাই মিলে গেলো। কিন্তু নীড়ের মন খারাপ।
দীপ্ত : মন খারাপ কেন?
নীড় : জানিনা? কিন্তু আমরা এখানে কেন এলাম?
দীপ্ত : enjoy করতে। আর ওই পচা আকরাম ডক্টরের গোলাপ ফুলের গাছটা তুমি ভুল করে ভেঙে ফেলেছিলেনা? জানতে পারলে কি হবে বলো তো…
নীড় : আমাকে তো কাচাই খেয়ে ফেলবে।
দীপ্ত : তাইজন্য তো এখানে চলে এলাম। যেন তোমাকে কাচা না খেতে পারে।
নিহাল : কার এতো সাহস যে আমার ড্যাডডার্লিংকে কাচা খাবে?
নীড় : ওই যে ওই আকরাম টাকরাম। huh… ও না অনেক পচা… খালি আমাকে বকে।
নিহাল : কি? তোমাকে বকে? এতো সাহস ওই ২টাকার ডক্টরের? ও জানেনা যে নীড় কার ছেলে? ওর কপাল ভালো যে নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন ওর হসপিটালে ছিলো। ওপ হসপিটালও আমি বন্ধ করে দিবো। আর ওর licence ও বাতিল করে দিবো।
দীপ্ত : দুলাভাইয়া শান্ত হন।
নিহাল : শান্ত হবো? কিভাবে? আর দীপ্ত তুমি আমার কাছে বিষয়টা লুকিয়ে ঠিক করোনি। আমি ধ্বংস করে দিবো।
নীড় : না না না না না … ধ্বংস ধ্বংস ভালোনা । পচা কথা… ভালোবেসেও তো কাজ করা যায়….
.
চলবে…