অনুর উপাখ্যান পর্ব-১৩

0
1832

গল্প : অনুর উপাখ্যান
পর্ব : ১৩

— আইচ্ছা যাইয়ো তুমি, কোনো সমস্যা নাই । কিন্তু, একটা কতা কই শোনো । সামনের শুক্কুরবার তো বন্ধু রিপনের বিয়া । সেই হানে তো সব বন্ধুরা আইবো বউ নিয়া ।

— তো ? কি সমস্যা ?

— না, মানে কালাম ও আইবো বউ নিয়া । তুমি আবার ভাবির সামনে কিছু কইবা নাতো ?

— অবশ্যই বলব । কালামরে বলবেন আমার কাছ থেকে দূরে থাকতে । ও আমার চোখে পড়লে ওর বউ এর সামনেই জুতাবো আমি । আর আপনি তো জানেন ই; আমি মিথ্যে বলি না ।

— হ, তা জানি । তুমি আবার ওরে খুঁইজা বাইর করবা নাতো ?

— না, তা করব কেনো ? ওর মতো একটা কুকুর কে আমি খুঁজবো কেনো ?

— তাইলে আর সমস্যা নাই । ওরে কমুনে আমাদের কাছাকাছি না থাকতে ।

আজকের দিনটা অনুর জন্য খুব খুশির দিন । আজ তার পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে । অনু সেকেন্ড ডিভিশন পেয়েছে । যদিও তার তুলনায় এ রেজাল্ট ভালো না; তবুও সময় সাপেক্ষে এটাই অনেক বড় পাওয়া ! নিয়মিত ছাত্রী হয়েও ক্লাস না করায় প্র্যাকটিক্যাল ও ভাইবাতে শুধু পাস মার্ক দিয়েছে । নয়তো রেজাল্ট আরও ভালো হতো তার । অনুর চোখে এখন নতুন স্বপ্ন ! ধাপে ধাপে লেখাপড়া শেষ করে বিসিএস পরীক্ষা দিবে ।

— মঈন, কই তুমি ? এদিকে আসতো ।

— কি ভাবি ? কি হইছে কন ।

— কাল সকালে কলেজে গিয়ে খোঁজ নিবা বি,এসসি তে ভর্তি শুরু কবে থেকে ?

— আইচ্ছা যামুনে । ভাবি আমনে আরও পড়বেন ?

—কী বলো তুমি ! পড়া তো মাত্র শুরু আমার ।

— আমনে পারেন ও ভাবি । এত কষ্ট কইরা পড়তাছেন । আর মেজো আপা ? শুইয়া,বইসা থাইকা ও পড়তে পারলনা । তিন বার ফেল করল !

— শোনো, এখন আর ওর পড়া হবে না । ওরে বিয়ে দেয়াটা জরুরি । মার খুব ইচ্ছে ছিল ওর বিয়ে দেখার । এখন ওরে বিয়ে দিতে পারলে আমার মাথা থেকে বড় একটা দায়িত্ব নামবে । তারপর তোমার বিয়ে দিব ।

—থাক, আমার বিয়ার চিন্তা বাদ দেন । আগে মেজো আপার বিয়া হোক । আইচ্ছা ভাবি, সুজন ভাই যে মেজো আপার জন্য একটা বিয়ার প্রস্তাব আনছিল, ভায়ে রাজি হয় নাই ক্যান ?

— ঐ ছেলের নিজের কোনো বাড়ি নেই । লীজের জমিতে নাকি টিনসেড বাড়ি করেছে, তাই নিহানের আব্বু রাজি না । কেনো ? ওরা কি এখনো চাচ্ছে বিয়ে করাতে ?

— হ, সুজন ভাই তো তাই কইল ।

—তুমি এক কাজ করো , সীমা আর সুজন ভাইকে কাল আসতে বলো । আমি আজকে তোমার ভাইকে বলে রাখব । আবার সবাই আলোচনা করে দেখি, যদি সে রাজি হয় ?

— তাইলে তো খুব ভালো অইবো । আপার বিয়াটা খুব দরকার এখন ।

— হ্যাঁ, দরকার মানে ? মহা দরকার ।

লোহার গ্রীলের গেটে কে যেনো জোড়ে শব্দ করছে । নিহানকে কত কষ্ট করে ঘুম পাড়িয়েছে অনু । ছেলে এখন উঠে গেলে গোসল, নামাজ সব বাদ হয়ে যাবে । উফফ !

শব্দ পেয়ে মঈন ঘর থেকে বের হয়ে এসেছে । দেখে একটা লোক দাঁড়িয়ে আছে গেটে ।

— কি মিয়া, এত জোড়ে শব্দ করে কেউ ? বাড়িতে ছোট পোলাপান আছে না ?

— মারুফ ভাই আছে ?

— না, ভায়ে নাই । দুপুরে আইতে পারে; না ও আইতে পারে । ক্যা কি দরকার ?

— ভাবি নাই ?

— হ, ভাবি আছে তো ।

— একটু ডাকেন তারে ।

— ভাবি , একটা লোক আমনের সাথে কথা বলতে চায় ।

— কে ?

— চিনি না আমি , ভায়েরে খুঁজতাছে ।আমনে আসেন ।

— জি, আসসালামু আলাইকুম । কি বলবেন বলেন ।

— ভাবি, মারুফ ভাইরে কইবেন : হ্যায় যে গয়না নৌকা ভাড়া করতো চাইছে সারাদিন আমনেরে নিয়া ঘুরব তাই । হেই নৌকার মাঝি আমি । কাইলকা সকালে ঘাটে থাকমু নৌকা নিয়া । এইটা কইতে আইছিলাম ।

— ও আচ্ছা । আসলে বলব আমি ।

— মঈন, লোকটা কি বলে গেলো বুঝলাম না !তোমার ভাই আমাকে নিয়ে সারাদিন ঘুরবে ? কই আমি তো কিছুই জানি না !

— ভায়ে আগে আসুক, জিগায় দেখেন । হয়তো আপনাকে সারপ্রাইজ দিব তাই কয় নাই ।

— তাই তো ! এটাই হবে মনে হয় । ভাবছি তোমার ভাই এত রোমান্টিক হলো কবে থেকে ?

মারুফ আজ তাড়াতাড়ি বাসায় খেতে এসেছে । ঢাকা ফার্মগেট যাবে ডিমের আড়তে । অনেক টাকা জমে আছে, আনতে হবে । টাকার পরিমান বেশি হলে সে নিজে গিয়েই নিয়ে আসে ।অনু তাড়াহুড়ো করে খাবার রেডি করে দিলো । খাওয়া শেষ হলে মারুফ বের হওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে ।

— আপনি যে আমার জন্য গয়না নৌকা ভাড়া করেছেন, আমাকে বলেন নাই কেনো ? মাঝি বলল নৌকা সকালে ঘাটে থাকবে ।

— আমি আসি দেরি হইতাছে আমার ।

— আমার কথার উত্তর দিলেন না যে ? কোথায় যাব আমরা নৌকায় করে ? নিহান কে নিব না সাথে ?

— কিসের নৌকা ? কে যাইব তোমারে নিয়া ঘুরতে ? ইয়ের প্যাঁচাল পারতে আসছে ! সরো, যাইতে দাও আমারে ।

মঈন খাবার টেবিলে বসে সব কথাই শুনল । রাগে মনে হচ্ছে ভাইরে বাইন্ধা পিটাই । এত খারাপ মানুষ হয় ! এমন পুতুলের মতো একটা বউরে কি কেউ তাচ্ছিল্য করে ! আর ভাবি ? সে কেনো বুঝেনা নৌকা ভাড়া করছে অন্য কাউরে নিয়া ঘুরব তাই । ইস, ভাবি নিশ্চই কানতাছে ?

— ভাবি, প্লিজ কাইন্দেন না । আপনি কই যাইবেন ঘুরতে ? আমারে কন, আমি নিয়া যামু আপনারে । তবুও কান্না কইরেন না ।

— না মঈন, আমি কোথাও যাব না । আমি কি বেড়ানোর জন্য কাঁদি ? লোকটা তবে কার জন্য নৌকা ভাড়া করল, সেই কষ্টে কাঁদি ।

মারুফ একটা জিনিসের হিসাব মিলাইতে পারতাছেনা । কেমনে কইরা সব খবর অনুর কাছে চইলা যায় ? অনুর কাছে কোনো কিছুই গোপন থাহেনা ক্যান ? বেটা মাঝির কি দরকার ছিল বাড়িত যাওয়ার ? রাইতে বাড়িত গিয়া কি কমু ? ঝাড়ি মাইরা তো আইলাম এহন ; কিন্তু রাইতে কি করমু ? এদিকে রোজিরে কইয়া রাখছি কাইল নিয়া যামু । আমার খুব শখ নৌকার মধ্যে প্রেম করার । নৌকার এক ধারে মাঝি থাকবো জাইন্নাও শপিং এর লোভে রোজি রাজি অইছে নৌকায় থাকতে । এই সুযোগ কি হাত ছাড়া করন যাইব ? এহন যদি অনুরে কই চলো তোমার লগে গয়না নৌকার ভিতরে থাকমু, অনু কি তাতে রাজি অইবো ? কোনো দিন ও রাজি অইবো না । তাইলে কি আমার শখ আমি পূরন করতাম না ? এমন অস্বাভাবিক জিনিসই আমার বেশি বালা লাগে । কি করতাম আমি ?

গত কয়েক মাস ধরেই খেয়াল করছি মারুফের আচরন স্বাভাবিক না । কোনো কারন ছাড়াই দুর্ব্যবহার করে । মারুফের সমস্যাটা কোথায় ? ফার্মে গিয়ে ও তো কোনো লাভ হয় নি, কারণ হিসেবে কোনো অনিয়ম চোখে পড়েনি । তবে কি সে সত্যি অন্য নারীতে আসক্ত ? না, আর ভাবতে পারছে না অনু । এসব চিন্তা করলেই আর বাঁচতে ইচ্ছে করে না । কোনো প্রমান ছাড়া তো আর কোনো পদক্ষেপ নেয়া যায় না ।

— এত রাত করলেন যে আসতে ? খাবার রেডি করব ?

— তোমরা খাও নাই ?

— লীমা, মঈন খেয়েছে । আমি খাই নি ।

— ক্যা খাও নাই ক্যা ? আমি তো খাইয়া আইছি ।
— না খেয়ে আমি ভুল করেছি, স্যরি ।

অনেক কষ্টে কান্না আটকে অনু খেতে বসল । জীবনে অনেক কিছু শেখা বাকি আছে তার । এমন একটা লোকের জন্য এত রাত পর্যন্ত না খেয়ে থাকার কোনো মানে হয় ? যে নাকি ভালো কিছুর যোগ্যই না ।

সবাই মিলে মারুফকে বুঝানো হয়েছে লীমার বিয়ের জন্য । এত বাছলে আর বিয়েই হবে না । অবশেষে মারুফ, সুজন ভাইয়ের আনা প্রস্তাবের ছেলের সাথে বিয়ে দিতে রাজি হয়েছে । কাল লীমার বিয়ে । ছেলে খুবই ভালো, নামাজী । সে এতটাই মা ভক্ত যে, মেয়েকে না দেখেই বিয়েতে রাজি হয়েছে । বাসার সবাই অনেক খুশি ! ঝুমা আপা এসেছেন । আজ লীমার গাঁয়ে হলুদ । খুবই সিম্পল ভাবে হচ্ছে সবকিছু । কারণ, ছেলের হলুদের অনুষ্ঠান করা পছন্দ না । তাই অনু শুধু বাসার সবাইকে নিয়ে হলুদের আয়োজন করেছে । মঈন খুব খুশি । খুশিতে সে রীতিমত নাচছে । তার সাথে বাড়ির সবাই নাচে যোগ দিয়েছে ।

— ও ভাবি, আমার অনেক খুশি লাগতাছে । লীমা আপার যে এত ভালো বিয়া অইব চিন্তা করতে পারি নাই । তুমি দেখছ, ছেলের যেমন সুন্দর চেহারা;তেমন আচার আচরণ ! আপার কপালটাই ভালো । কি কও তুমি ?

— আলহামদুলিল্লাহ । আমি খুশি না মানে ? তোমার চেয়ে বেশি খুশি আমি । এখন আমি দায় মুক্ত হব ।

— তবে ভাবি, মনটা ও খারাপ লাগে একটা বিষয়ে ।

— কেনো ? কি বিষয়ে সীমা ?

— বেচারা লীমার জামাইয়ের যে কপাল টা পুড়ল তাই । হা হা হা ।

— হা হা হা দারুন বলছো তো তুমি ! তোমারে তো পুরস্কার দেয়া উচিত । দাঁড়াও দিচ্ছি : অনু আস্তে করে হাতে একটু হলুদ নিয়ে সীমার মুখে মাখিয়ে এক দৌড়ে অন্য দিকে সরে গেল । ব্যাস শুরু হয়ে গেল হলুদের আনন্দ । সীমার টার্গেট অনুর মুখে হলুদ দেয়া । আর অনু কিছুতেই তা হতে দিবে না । সাথে যোগ হলো নিপা, বড় ভাবি, ঝুমা আপা ।পুরো বাড়ি মেতে উঠল আনন্দে । মঈন আইয়ূব বাচ্চুর গান ছেড়ে নিহানকে কোলে নিয়ে নাচছে । নিহান ও বেশ খুশি তাতে ।

পার্লার থেকে বউ সেজে বসে আছে লীমা । দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে । অনু তাকিয়ে আছে লীমার দিকে । লীমা হাসছে । দেখতে যেমনই হোক, প্রতিটা মেয়েকেই বিয়ের দিন বউ সাজে অনেক সুন্দর লাগে । লীমার ক্ষেত্রে ও তাই হয়েছে ।

— কি ভাবি ? চাইয়া রইছেন ক্যা ? বালা লাগতেছে না আমারে ?

— হ্যাঁ, পাগলি । অনেক সুন্দর লাগছে । এজন্যই তো তাকিয়ে আছি । চিন্তা কইরো না তোমার বর অনেক খুশি হবে তোমাকে দেখে ।

— আপা চিন্তা কইরেন না, দুলাভাই আদর বেশি করবো আমনেরে ।

— যা শয়তান, মুহে কিছু আটকায় না ! সীমার কথায় লীমা লজ্জা পেয়ে বলল ।

নিপা দৌড়ে এসে জানালো বরযাত্রী চলে এসেছে । বাসার নিচে বর ও মেহমানদের বসার এবং খাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে । বড় ভাসুর একটু পর পর এসে দেখে যাচ্ছে আমারা রেডি কিনা । বিয়ে বাড়ি বলে কথা ! আবার এমন একজনের বিয়ে, যার নাকি বিয়েই হচ্ছিল না । সবার মধ্যে তাই বেশি উদ্বেগ ।

বরের আনা লাগেজ অনু নিজ হাতে খুলল । বিয়ের শাড়ি বের করে সীমার হাতে দিয়ে লীমাকে শাড়ি পড়িয়ে দিতে বলল। গহনার বক্সটা অনু খুব সাবধানে বের করল । বেশ বড় বক্স । বক্স খুলে দেখে সীতা হার সহ পুরো এক সেট গহনা । কিন্তু, গহনার ডিজাইনটা পুরোনো ।

— ইস, এত গহনা কিনবে আমাকে কেনো জানালো না ! আমি সাথে গিয়ে পছন্দ করে দিতাম । এখন কত নতুন ডিজাইন বের হয়েছে ।ধুর, লীমা তুমি বলতে পারলে না যে, গহনা ভাবি পছন্দ করে দিবে । নিশ্চই তোমার শাশুড়ি পছন্দ করেছেন এটা ।

অনুর কথা শুনে লীমার মুখটা কালো হয়ে গেল । সীমা আস্তে করে ঘর থেকে বের হয়ে গেছে । অনু কিছুই বুঝতে পারছে না কি হলো ওদের ?

— ভাবি, থাইক আমনে গয়না নিয়া কিছু কইয়েন না । এই গয়না আমার না । হেরা কোনো গয়না দিতে পারতো না । তাই হের বন্ধুর বউ এর গয়না নিয়া আইছে । অনুষ্ঠান শেষ অইলে গয়না ফেরত দিয়া দিতে অইবো ।

অনু যেনো স্তব্দ হয়ে গেল ! এ ও কি সম্ভব ? আল্লাহ এভাবেই মানুষকে তার কর্মফল দেখান ? এরা যে অন্যায় অনুর সাথে করেছিল, আজ ঠিক একই ঘটনা এদের মেয়ের সাথেই ঘটলো ! অনু কোনোদিন চিন্তাও করেনি এমন দিন আল্লাহ তাকে দেখাবেন !

— কই গো ? সব রেডি অইছে ? অনুর দিকে তাকিয়ে মারুফ জিজ্ঞেস করল ।

— হ্যাঁ, রেডি । অনু ঘর থেকে বের হয়ে মারুফকে নিয়ে তাদের রুমে গেল ।

— আপনি কি জানেন লীমাকে যে ওরা কোনো গহনা দেয় নি ?

— না, জানি না । ওরা তো কইছে মেয়ে সাজাইয়া নিব ।

— শোনেন তবে, ছেলে পক্ষ ধার করা গহনা মানে ভাড়া করা গহনা নিয়ে এসেছে লীমার জন্য । এখন কি করবেন ? বিয়ে দিবেন না ?

মারুফ এক নজর অনুর দিকে তাকালো। অনু কি বলতে চাচ্ছে সেটা বুঝতে পেরেই তার মুখ কালো হয়ে গেছে ।

— বিয়া দিতাম না মানে ? এখন আর কিছু করার আছে ? আর কাউরে কিছু কইও না তুমি । চুপচাপ থাকো ।

লীমার বিয়ের পর থেকেই বাড়িটা খালি খালি লাগছে । সীমা দীর্ঘ দিন পর শ্বশুড়বাড়ি গিয়েছে ।ঝুমা আপা আছেন এখনো । আপা সামনের সপ্তাহে ফরিদপুর চলে যাবেন । মঈন বিকেলের চা নাস্তা করে কিছুক্ষণ আগে বের হয়েছে । রিনা আপার চুলে তেল দিয়ে দিচ্ছে । অনুর তো কোনো বিশ্রাম নেই । লীমা চলে যাওয়াতে নিহানকে রাখা মুশকিল হয়ে গেছে ।নিহান প্রতিদিন বিকেলে তার লীমা ফুপির সাথে পাড়া বেড়াত । এখন তাই আম্মিকে জ্বালিয়ে মারছে ! অনু সব কাজ বাদ দিয়ে নিহানকে নিয়ে বারান্দায় খেলছে । গেটে হঠাৎ জোড়ে শব্দ হলো । অনু চমকে দেখে মঈন !

— ভাবি মরলাম আমি !

— ও আল্লাহ এটা কি হলো ! অনুর চিৎকারে আপা, রিনা দৌড়ে এসেছে ।

মঈনের মাথা, দুই হাত দিয়ে সমানে রক্ত পড়ছে ।সেই হাত দিয়েই মঈন নিজের পেট চেপে ধরে আছে । পেটের মধ্যে লম্বা করে কাটা । এতটাই কেটে গেছে যে পেটের ভিতরের অংশ দেখা যাচ্ছে । অনু ভয়ে সমানে চিৎকার করে কান্না করছে । আপা, রিনা সবার চিৎকারে পুরো বাড়িটা যেনো কাঁপছে !

চলবে…..

✍? নায়না দিনা