#আমার_শুধু_তোমাকেই_চাই🍁🍁
#লেখিকা;সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী
#পর্ব;৫
১৪,,,
আচ্ছা আপু আপনি চিন্তা করবেন না আমি দেখছি।
এই বলে মেহরাব বাইক নিয়ে ওই ছিনতাই কারির পিছে গেলো আর তখনি,,,,,ওই ছিনতাইকারী বাইক সহ উল্টে পড়ে গেলো। মেহরাব নিজের বাইক থামিয়ে ওই ছিনতাইকারীর সামনে গিয়ে ওকে মারতে মারতে বলল।
কিরে,, আল্লাহ দুটো হাত দিয়েছে কাজ করে খাওয়ার জন্য অকাজ করার জন্য না বুঝলি(ওকে মারতে মারতে)
কি বেপার মাহির কলেজের সামনে এতো ভিড় কেনো কি হয়েছে(মেঘ)
আচ্ছা ওখানে কি হয়েছে এতো ভিড় কেনো (মেঘ একটা লোককে জিগাস করলো)
আর বলবেন না একটা বখাটে ছেলে,,, (মেঘ লোকটাকে আর বলতে না দিয়ে)
বখাটে ছেলে?? দেখতে হচ্ছে তো এই বলে মেঘ ভিড় ঠেলে সামনে গেলো আর গিয়ে দেখলো মেহরাব একটা ছেলেকে মারছে।(মেঘ ভাবলো ওই লোকটা যাকে বখাটে বলছে সে মেহরাব)
আরে এটা তো সেই বিয়াদপ ছেলেটা এখানে এসব কি করছে নিশ্চয়ই কোনো উল্টো পাল্টা কিছু করেছে। কিন্তু ওই ছেলেকে ওমন মারছে কেনো,, আর,আমিও না বখাটে দের কাজই তো বখাটেপনা করা।। তাই মেঘ মেহরাব এর সামনে গিয়ে বলল।
এখানে কি হচ্ছে (চিৎকার করে)
ছিনতাইকারী ছেলেটা কে মারছিলাম তখনি দেখলাম সেদিন এর সেই পুলিশ টা।
কেনো দেখতে পারছেন না কি হচ্চে??(মেহরাব)
এই ছেলে ওকে এমন ভাবে মারছো কেনো?? আর তোমাকে কি বলবো গুন্ডা দের কাজ তো গুন্ডামি করা তুমিতো সেটাই করছো (মেঘ)
এই যে স্যার সব কিছু না জেনে এভাবে আগে আগে কথা বলবে না। আর আমি মোটেও গুন্ডা না আমি তো।,,,(মেহরাব)
ওকে বলতে না দিয়ে,,,, জানি তো আমি তুমি কি,, শুনো আমি তোমাকে লাস্ট ওয়ার্নিং দিচ্চি শুধরে যাও নয়তো থানায় নিয়ে এমন থেরাপি দিবো যে গুন্ডামী করা বার হয়ে যাবে(এই বলে মেঘ চলে গেলো)
আরে লোকটা পাগল না কি না জেনে শুনে কতগুলো কথা শুনিয়ে দিয়ে গেলো। তারপর মেহরাব ওই মহিলার ব্যাগটা ফিরিয়ে দিয়ে বাড়ি চলে গেলো।
,,,,রাতে,,,,
আরে এটা কি?? দেখেতো মনে হচ্ছে কেউ কামড়ে দিয়েছে কিন্তু এখানে আবার কে কামড়াবে (মাহি আয়নার সামনে গিয়ে চুল বাধছিলো তখনি দেখলো গলায় একটা কালচে দাগ হয়ে আছে)
কিন্তু এখানে এই দাগ আসলো কীভাবে,,,(একটু ভেবে)দুপুরে ভার্সিটীতে তো ওই মেহরাব আমায় চেপে ধরে এখানে মুখ দিয়েছিলো। কিন্তু ওটা তো হ্যালুসোলেশন ছিল তাহলে এখানে দাগ পড়বে কীভাবে?? তারমানে কি তখন কার ওই ঘটনা সত্যি ছিলো?? কিন্তু কীভাবে,, একি মানুষ একি সময়ে দুই জায়গা কীভাবে থাকতে পাড়ে।
মাহি আয়নার সামনে দাড়িয়ে যখন এসব ভাবছিলো তখনি ওর ফোনে ফোন আসল।
আরে এতো রাতে আবার কে ফোন করলো। কিন্তু এটা কার নাম্বার চিনি না তো দেখিতো মনে হচ্ছে আননোন নাম্বার থাক বাবা ধরবোনা।
কিন্তু তা আর হলো কই ফোনটা বেজেই যাচ্ছে। তাই মাহি অসয্য হয়ে ফোনটা ধরলো।
হ্যালো কে বলছেন (মাহি)
আমি কে সেটা পরে বলছি আগে বলো তুমি ফোন ধরতে এতো দেরি করলে কেনো (মেহরাব)
এই আপনি কে হ্যাঁ যে আপনার ফোন ধরতে হবে (মাহি)
খুব সাহস বেরেছে না কাল ভার্সিটী আসো দেখাবো মজা এখন রাখি অনেক রাত হয়েছে ঘুমায় যাও ওকে (এই বলে ফোন কেটে দিলাম)
আরে আজব তো কে না কে ফোন দিলো আবার কেটেও দিলো পাগল না কি। থাক বাবা ওসব ভেবে আমার কাজ নাই আমি ঘুমায়।
১৫,,,,
,,সকালে,,,
কি হয়েছে ভাইয়া তুমি এতো সকাল সকাল কোথায় যাচ্ছো (মাহি)
কে ও তুই আমি এয়ারপোর্টে যাচ্ছি (মেঘ রেডি হতে হতে বললো)
এয়ারপোর্টে?? কিন্তু কেনো??
ও তোকে তো তো বলায় হয়নি। ওই যে বড় মামা আছে না ওনার ছেলে শান্ত ও আসছে ট্রেনিং এর জন্য বাইরে ছিলো কালকেই ট্রেনিং শেষ হয়েছে তাই আজকে আসছে ১ মাস পরে পুলিশে জয়েন করবে। আর আমি এখন ওকেই রিসিভ করতে যাচ্ছি তুইও চল সেই কবে দেখেছিস (মেঘ)
ও শান্ত ভাইয়া আসবে?? আচ্ছা যাও,, না না আমি যেতে পারবো না আজকে তো আমাদের ভার্সিটীতে নতুন ইংরেজি টিচার আসবে এই জন্য সকাল সকাল যেতে হবে (মাহি)
আচ্ছা সাবধানে যাস আমি গেলাম (এই বলে মেঘ চলে গেলো)
ওদিকে,,,,
একি মা এতো আয়োজন কার জন্য কেউ কি আসবে নাকি আজ(মেহরাব আপেল খেতে খেতে সোপায় বসে ওর মাকে বলল)
হ্যাঁ মেঘলারা আসবে। আর শোন তুই আজকে বাড়ি থাকবি কিন্তু(রুপালি)
ও মেঘলা আসবে?? তো ভালো এতে আমার বাড়ি থাকা লাগবে কেনো (মেহরাব)
শুধু মেঘলা না সাথে বুড়ি ও আসছে আর এখানে কদিন থাকবে ও(রুপালি)
বুড়ির কথা শুনে মেহরাবের হাত থেকে আপেলটা পড়ে গেলো। কি মা আমার জম আসছে আর তুমি বলছো বাড়ি থাকতে নো আমি তো একুনি পালাবো নয়ত আমার হাল বেহাল হয়ে যাবে(মেহরাব)
বুড়ি হলো মেঘলার ছোট বোন ভালো নাম মুনিরা সবাই আদর করে বুড়ি বলে ডাকে। এবার ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে। ভীষণ দুষ্ট মেঘলা যতটা শান্ত মনিরা ততটাই দুষ্ট। আর মেহরাবকে তো সারাক্ষণ জালিয়ে মারে একদম নাজেহাল করে দেয়। তাই তো মেহরাব ওকে এতো ভয় পাই।
মা ওতো ট্যুরে ছিলো এতো শীঘ্রই চলে আসলো কেনো(মেহরাব)
কেনো গো তুমি চাও না আমি আসি।আমি কি আজীবন ট্যুরেই থাকবো নাকি(মুনিরা আর মেঘলা বাড়িতে ঢুকতে ঢুকতে কথাটা বলল মুনিরা)
এই কেরে (পিছনে তাকিয়ে) ও বুড়ি তুই ভালো আছিস(ঢোক গিলে বললো মেহরাব)
কি ভাইয়া তুমি আমায় দেখে ভয় পাচ্ছো কেনো আমি কি বাঘ নাকি ভাল্লুক (মুনিরা)
বাঘ ভাল্লুক হলে তো ভালো হতো কিন্তু তুই তো পেত্নী (মেহরাব)
ও তাই নাকি তাহলে তোমার ঘার মটকায়??(মেহরাবের দিকে এগিয়ে এসে)
আরে বুড়ি কি হচ্ছে কি ভালো করে ওখানে বস। মেহরাব ভাইয়া তুমি ভার্সীটি যাবে না??(মেঘলা)
হুম যাবো তো তুই ও তো যাবি চল একসাথে যাই(মেহরাব)
আরে আমি এতোদিন পর আসলাম কোথায় ভাবলাম ভাইয়ার সাথে ঘুরবো ফিরবো মজা করবো তা না করে তোমরা আমায় একা রেখে এখন ভার্সীটি যাচ্ছো(মুনিরা)
রাগ করে না বুড়ি আমরা তো দুপুরেই চলে আসবো তারপর বিকেলে সবাই মিলে ঘুরতে যাবো ওকে(মেহরাব)
সত্যি আমরা ঘুরতে যাবো??
হুম,, তাহলে আমরা এখন যাই??
আচ্ছা যাও।
এরপর আমি আর মেঘলা বেরিয়ে আসলাম।
,১৬,,,,
,,,ভার্সীটিতে,,,,
এই তোর এখন আসার সময় হলো চল যলদি চল নয়তো দেরি হয়ে যাবে (মাহি)
আরে আমি তো মেহরাব ভাইয়া দের বাড়ি থেকে আসলাম আর সবার সাথে কথা বলে আসতে দেরি হয়ে গেলো। এখন চল ক্লাসে চল।(এই বলে ওরা ক্লাসে চলে গেলো)
হুট আজকে বিউটি কুইন কে ভালো করে দেখতেই পারলাম না। বুড়ির জন্য আসতে দেরি হয়ে গেলো। তো কি হয়েছে যাওয়ার সময় দেখেনিবো।(মেহরাব।।তারপর মেহরাব ও নিজের ক্লাসের দিকে চলে গেলো)
,,,,ডিয়ার স্টুডেন্ট এনি হলো তোমাদের নতুন টিচার,,, মিস্টার জয় আহমদ,,, (পিন্সিপাল)
হ্যালো (জয়)
আমি হ্যালো বলা শুনে মাথা তুলে সামনে দিকে তাকিয়ে নতুন টিচার কে দেখে তো হা হয়ে গেলাম (মাহি)
চলবে,,,,,,,