#আমার_শুধু_তোমাকেই_চাই🍁🍁
#লেখিকা;সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী
#পর্ব;৬
১৭,,,,
দোস্ত দেখ এটা স্যার নাকি কোনো সিনেমার হিরো,,কি হ্যান্ডসাম আর ড্যাশিং আর বডি?? ও মাই আল্লাহ (মেঘলা)
ওই মাইয়া তুই চুপ করবি?? আর তুই না ভাইয়া কে ভালোবাসিস তাহলে এখন অন্য ছেলের দিকে নজর দিচ্ছিস কোনো?? দাড়া ভাইয়াকে বলছি(মাহি)
হিহিহহি রাগ করছিস কেনো জানু আমি তো মজা করছিলাম। আমার জন্য তো মেঘই ঠিক আছে (মেঘলা)
হয়েছে এখন সামনে তাকা দ্যাখ স্যার কি বলে(মাহি)
তো স্টুডেন্ট এবার আমি যাই বাকি পরিচয় না হয় স্যার নিজেই করবে (এই বলে পিন্সিপাল স্যার চলে গেলো)
তো আমি হলাম তোমাদের নতুন টিচার জয় আহমেদ।আমি তো আমার পরিচয় দিয়ে দিলাম এবার তোমরা তোমাদের পরিচয়টা দাও(জয়)
এই বলে স্যার একে একে সবার সামনে গিয়ে নাম জিগেস করল তারপর আমার সামনে আসল।
তো এবার তোমার নামটা বলো (জয়)
জি মাহিয়া মাহি(মাহি)
ওয়াও বিউটিফুল তোমার নাম আর তুমিও (আাস্তে করে বলল জয়)
জি বুঝলাম না(মাহি)
ওমম কিছু না এবার তুমি বসো।
তারপর স্যার ক্লাস নেওয়া শুরু করলো। ক্লাস শেষ করে আমি আর মেঘলা মাঠের দিকে যাচ্ছিলাম আর তখনি পিছন থেকে কেউ আমায় ডাকল।
মাহী দাড়াও(জয়)
পিছনে তাকিয়ে দেখি জয় স্যার তাই হেসে বললাম। জি স্যার বলুন।
তুমি কি এখন বাড়ি যাবে??
জি স্যার। কিন্তু কেনো??
নাহ এমনিতেই জিগাস করলাম আরকি আচ্ছা যাও কাল আবার ঠিক সময়ে চলে এসো ওকে (এই বলে স্যার চলে গেলো)
কিরে আমার কিন্তু সন্দেহ হচ্ছে (মেঘলা)
কেনো কি নিয়ে।
১৮,,,,
দেখলি না কেমন গায়ে পড়ে তোর সাথে কথা বললো আই থিংক স্যার প্রথম দেখায় তোর উপর ফিদা হয়ে গেছে (মেঘলা)
হুম তোর মাথা। এখন চল সব সময় খালি বাজে চিন্তা করা (এই বলে ভার্সিটীর গেটের সামনে এসে দাড়ালাম আর তখনি সামনে মেহরাব এসে দাড়ালো।
মেঘলা তুই আমার বাইক এর কাছে গিয়ে দাড়া আমি আসছি(মেহরাব)
আচ্ছা চল মাহী(মেঘলা)
না ও কোথাও যাবে না ওর সাথে আমার কথা আছে তুই যা(মেহরাব)
কিন্তু,,,,
আমি তোকে যেতে বলেছি যা(মেহরাব)
ওকে এই বলে মেঘলা চলে গেলো। আর মেহরাব আমার হাত ধরে টেনে একটা গাছের পিছনে নিয়ে গিয়ে আমায় চেপে ধরে বলল।
কি হ্যাঁ হমম?? ওই স্যার এর সাথে তোমার এতো কিসের কথা শুনি। খুব তো হেসে হেসে কথা বলছিলে কই আমার সাথে তো কখনো ওমন হেসে কথা বলোনি (মেহরাব)
প্রথমত আপনি আমার হাত ছাড়ুন আর আমি যার সাথেই কথা বলি না কেনো তাতে আপনার কি আপনি কে হন আমার। আর আমায় এভাবে টাচই বা করেছেন কেনো?? বলুন (মাহি)
এতো কথা আমি বলতে পারবো না একটা কথা কান খুলে শুনে রাখো আমি যেনো আর কখনো কোনো ছেলের সাথে তোমাকে না দেখি ওকে (এই বলে মেহরাব চলে গেলো)
হুমম ওনার কথা,,,, কে ওনি যে আমি ওনার কথা শুনবো আমি একশো বার ছেলেদের সাথে কথা বলবো তাতে ওনার কি যত্তসব(নিজে একা একা এই সব বলে আমি ও বাড়ি চলে গেলাম)
বাড়িতে গিয়ে কলিং বেল টিপছি আজব কেউ দরজাই খুলছে না সবাই কোথায় গেছে। এসব ভাবছি আর কলিং বেল টিপছি। তারপর কেউ এসে দরজা খুলে দিলো। দেখলাম একটা ছেলে দাড়িয়ে আছে চিনি না।
আরে আমি কি ভুল কোনো বাড়ি আসলাম নাকি?? হতে পারে দেখতে তো আমাদের বাড়ির মতোই মনে হচ্ছে হয়ত তো ভুল করে অন্য বাড়ি চলে আসছি তাই ওনাকে সরি বলে চলে যাচ্ছিলাম তখনি পিছন থেকে ওনি বলে উঠল৷
আরে তুই মাহি না?? চলে যাচ্ছিস কেনো(শান্ত)
আপনি??(মাহি)
আরে আমি শান্তু চিনতে পারছিস না এতো ভুলো হলি কবে থেকে(মাথায় কাট্টা মেরে)
ও তুমিই তাহলে শান্ত ভাইয়া আমিতো চিন্তেই পারিনি বিদেশে গিয়ে এতো হ্যান্ডসাম হয়ে গেছো যে চেনায় যাচ্ছে না(মাহি)
তাই নাকি আয় ভিতরে আয়(এই বলে আমি ভিতরে গেলাম তারপর ফ্রেশ হয়ে শান্ত ভাইয়ার সাথে অনেক গল্প গুজব করলাম যেহেতু ভাইয়া বাড়ি নেই তাই শান্ত ভাইয়া কে আমাকেই কোম্পানি দিতে হবে)
১৯,,,
,,,বিকেলে,,,
জায়গাটা অনেক সুন্দর তাই না ভাইয়া??(মুনিরা)
হুম সুন্দর তো লাগবেই আমি যেহেতু এনেছি সেহেতু সুন্দর হতেই হবে (মেহরাব মুনিরা আর মেঘলা কে নিয়ে একটা পার্কে ঘুরতে এসেছে)
আচ্ছা অনেক তো হাটলাম এবার একটু বসি আমার পা বেথ্যা করছে(মেঘলা)
হুমম তুই তো কুড়ের ঢেকি,,, তুই বসে থাক তোর হাটা লাগবে না,, এই ভাইয়া শোনো না আমার না আইসক্রিম খেতে মন চাইছে এনে দাও(মুনিরা)
এই তো শুরু হয়ে গেলো,, সব আমার পকেট ফাকা করার ধান্দা (মেহরাব)
কি,,,??তুমি আনবে কি না(রেগে কমড়ে হাত রেখে বলল মুনিরা)
আরে এতো রাগ করছিস কেনো বুড়ি,,তুই থাক আমি এক্ষুনি আনছি(,এই বলে মেহরাব আইসক্রিম আনতে চলে গেলো। তারপর একটু সময় পর দুইটা আইসক্রিম আনলো একটা মেঘলার আর একটা মুনিরার)
এই নে তোদের আইসক্রিম।। শুননা আমার একটা ফোন আসছে তোরা থাক আমি কথা বলে আসছি (তারপর মেহরাব কথা বলতে চলে গেলো)
কিরে আপু তুইকি এখানেই বসে থাকবি নাকি চল একটু ওদিকে যাই(মুনিরা)
আমি পারবো না আমার পা বেথ্যা করছে (মেঘলা)
আচ্ছা তুই থাক আমি একাই যাচ্ছি।
আরে তুই কি চিনিস নাকি। দারা যাসনে,, যাহ চলে গেলো এই মেয়েটা কারো কথাই শোনে না(মেঘলা)
তারপর আমি একা একা আইসক্রিম খেতে খেতে হাটছিলাম আর চারপাশে সবকিছু দেখছিলাম হঠাৎ কারো সাথে ধাক্কা লেগে আমার হাত থেকে আইসক্রিম টা মাটিতে পড়ে গেলো।
এই কেরে আমার এতো প্রিয় আইসক্রিম টা ফেলে দিলো (রেগে বলল মুনিরা)
আই এম সো সরি আমি সত্যি দেখিনি সরি এগেইন (শান্ত)
কিসের সরি হ্যাঁ আপনার সরি দিয়ে কি আমার আইসক্রিম ফিরে আসবে (এই বলে মুনিরা শান্তুর দিকে তাকিয়ে দাখে যে ওর হাতেও একটা আইসক্রিম তাই ওটা শান্তর হাত থেকে নিয়ে খেতে খেতে বলল।
এইতো আইসক্রিম হুমম মজা। এবারের মতো ক্ষমা করে দিলাম ওকে (এই বলে মুনিরা চলে গেলো)
আরে,??এটা কি হলো??এই,বলে,,শান্ত ওখানে বাক্কেলের মতো দাড়িয়ে থাকলো।
আরে শান্ত ভাইয়া তুমি এখানে দাড়িয়ে আছো কেনো আর আমার আইসক্রিম কোথায়(মাহি)
আসোলে শান্ত আর মাহি মেহরাবরা যেখানে ঘুরতে এসেছে ওরাও সেখানে ঘুরতে এসেছে আর একটু আগে শান্ত মাহির জন্য আইসক্রিম গিছিলো সেখানেই মুনিরার সাথে দেখা।
কি হলো বলো (মাহী)
তোর আইসক্রিম একটা বাচ্চা এসে নিয়ে গেছে (শান্ত)
কিহ??(অবাক হয়ে)
হুম।
মানে কি একটা বাচ্চা তোমার থেকে আইসক্রিম নিয়ে গেলো আর তুমি দিয়ে দিলে?? আর যদি দিয়েও থাকো তাহলে কাকে দিলে তুমি কি চিনো তাকে??(মাহি)
আরে এই বাচ্চা সেই বাচ্চা না এটা হলো বড় বাচ্চা ১৮ বছরের বাচ্চা (শান্ত)
মানে???(মাহি)
তারপর মুনিরার সাথে ঘটা সব কিছু বলল আর সেটা শুনে তো মাহি হাসতে লাগল। আর শান্ত ও।
এদিকে যে ওদের দিকে কেউ রাগি চোখে তাকিয়ে আছে সেটা ওরা কেউ জানে না।
চলবে,,,,,,