#কারণে_অকারণে_সে
#পর্ব:২
#লেখক:রিয়ান আহমেদ(ছদ্মনাম)
;
সাভাশ আরশিকে ধরে ফেলে।আরশির মাথা তার বুকের উপর এসে ধাক্কা খায়।আরশিকে অচেতন অবস্থায় দেখে এরপর হেসে দিয়ে বলে,
“তুমি তো খুবই দুর্বল হৃদয়ের মানুষ দেখছি।অজ্ঞান হয়ে গেলে ঠিকাছে কিন্তু তোমাকে এমন একটা অবস্থাতেও এতো কিউট কিভাবে লাগতে পারে?,,ভাবছি তোমাকে নিজে কোলে করে নিচে নিয়ে যাব নাকি তোমার পরিবারের লোকজনকে ডাকবো।নাহ্ তাদেরকেই ডাকি। নাহলে তোমার ভাই আরহাম যেই ধরনের মানুষ আমাকে দুটো থাপ্পড় বসাতে সময় নেবে না।”
আরশি চোখ খুলে দেখলো তার মা তার মাথার কাছে বসে আছে।আরশি চোখ কচলাতে কচলাতে উঠে বসলো।আরশির মা কাঁদতে কাঁদতে বললেন,
“মা তোর কি হয়েছে হঠাৎ হঠাৎ ঠাস করে পড়ে যাস?তোর বাবা ডাক্তার এনেছিল।সে বলল লো প্রেশার।কিন্তু আমার এসব বিশ্বাস হয় না।তোর উপরে বোধহয় জ্বীন পরী ভর করেছে।কাল তোর নানা বাড়ি থেকে হুজুর এসে তোকে দেখে যাবে বুঝলি।”
আরশি চোখ মুখ কুঁচকে বিরক্তি নিয়ে বলল,
“উফফ মা ভালো লাগে না এসব।কিছু খেতে দেও আমাকে।বাবা আজ মিষ্টি আনিয়েছিল না সেগুলো আনো।”
আয়েশা বেগম ভড়কে গেলেন চোখ বড় বড় করে বললেন,
“ও আল্লাহ্ আমার মেয়েটারে জ্বীনে ধরছে।এর জন্যই মনে হয় মিষ্টি চাইতাছে।”
“কি বলো এইসব।মিষ্টি কি মানুষ খায় না শুধু জ্বীন পরীরা খায়?তোমাকে মিষ্টি আনতে হবে না আমিই গিয়ে খেয়ে নেবো।”
আরশি খাট থেকে উঠে দাঁড়ায়।দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাবে তখন তার সাভাশের কথা মনে পড়ে।সে তরিৎ গতিতে পেছনে ঘুরে মায়ের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়,
“মা ঐ সাভাশরা কি আমাকে রিজেক্ট করে দিয়েছে?”
আয়েশা বেগম শাড়ির আঁচলে চোখ মুছে বললেন,
“ওনাদের তোকে পছন্দ হয়েছে।সাভাশে আম্মু সাভাশের নানীর বোনের মৃত্যু বার্ষিকীতে গেছেন। উনি আসলে তারা এসে পাকা কথা বলে যাবে।”
আরশি চিৎকার দিয়ে বলল,
“আমি থাকবো না এই বাড়িতে।আর ভালো লাগে না আমার।”
“থাকতে হবেও না।তোর বিয়ে হলে এমনিতেই এই বাড়ি থেকে চলে যেতে।”
আরশি আয়েশা বেগমের কথা কানে না তুলে সাভাশকে একশোটা গালি দিতে দিতে রান্না ঘরে চলে গেল।আরশি সোফায় পায়ের উপর পা তুলে মিষ্টি খাচ্ছে আর নিজে নিজে করে বলছে,
“ঠাডা পড়বো ঐ শয়তান পোলার উপরে।বললাম ভাই আপনি আমার ধর্ম ভাই লাগেন। এই বিয়ের জন্য তবুও রাজী হয়ে গেল।বেশরম লোক।এতো সুন্দর চোহারা দুনিয়াতে কি আর মেয়ে পাবি না?হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত ধুয়ে আমার পেছনে পড়ছে।”
তখনই আরশির ভাই আরহাম এলো আর সোফায় বসতে বসতে বলল,
“কে হাত ধুয়ে তোর পেছনে পড়েছে?”
আরশি ভাইকে দেখে দমে গেল।তারপর ঢোঁক গিলে বলল,”ভাই তেমন কেউ না।আসলে আমি ঐ পাশের বাসার তাবিবের আম্মুর কথা বলছিলাম।ওনার ছেলেকে আমার কাছে পড়ানোর জন্য অনেক রিকোয়েস্ট করছে।”
আরহাম পায়ের জুতো খুলতে খুলতে বলল,
“ওহ্ আচ্ছা বাদ দে ওসব কথা।আজকে বিকেলে ডাক্তার তোকে দেখে বলেছেন কিছু টেস্ট করিয়ে নিতে।কাল সকালে আম্মুর সাথে হসপিটালে গিয়ে টেস্ট করিয়ে নিস এই নে আমার এটিএম কার্ড আর নতুন চশমাও কিনে নিস।”
“আমি একটা জামা কিনবো ভাবছি।”
“আচ্ছা কিনে নিস এই টাকা দিয়ে।”
আরশি খুশি হয়ে বলল,
“থ্যাংক ইউ ভাই।”
আরহাম বোনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে হেসে বলল,”পাগলি।”
আরহাম চলে গেল সিঁড়ি বেয়ে নিজের ঘরে।এই তো সবকিছু স্বাভাবিক বলেই মনে হচ্ছে আরশির কাছে।আরশি উঠে নিজের ঘরে যেতে নিবে তখন হঠাৎ তীব্র চলে আসে।আরশি বেশ অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে তীব্রর সামনে যেটা আগে কখনো হয়নি।তীব্র আরশিকে স্বাভাবিক ভঙ্গিতেই বলল,
“আরশি ছোট আম্মুকে ডেকে নিয়ে আয়।”
আরশি যেন এই কথাটার অপেক্ষায়ই ছিল।সে ছুটে চলে যায় আর নিজের মাকে পাঠিয়ে দেয় হলরুমে।
আরশি পর্দার আড়ালে লুকিয়ে দাঁড়িয়ে তীব্র আর আয়েশা বেগমের কথোপকথন শোনার চেষ্টায় করছে।
তীব্র হাসিমুখে একটা শপিং ব্যাগ এগিয়ে দিয়ে আরশির মাকে বলল,
“ছোট আম্মু নেহার পরিবার থেকে তোমার জন্য এই শাড়িটা দেয়া হয়েছে।এই নেও।”
“বাহ্ বেশ সুন্দর হয়েছে।কাল তোর জীবনের এমন একটা অনুষ্ঠানে আমার মেয়েটার বোকামির কারণে ব্যাঘাত ঘটেছিল এর জন্য আমি খুবই দুঃখিত।”
তীব্র হেসে বলল,
“আরে ছোট আম্মু আরশি ছোট মানুষ তাই একটু ভুল হতেই পারে এ আর এমন কি!”
“তুই বোস আমি আরহামকে ডেকে দিচ্ছি।”
তীব্র আয়েশা বেগমের কথায় সম্মতি জানিয়ে মাথা নাড়ালো।
আয়েশা বেগম চলে গেলেন হলরুম থেকে।উনি চলে যাওয়ার পরপরই তীব্র গম্ভীর গলায় বলল,
“আরশি পর্দার আড়াল থেকে বেরিয়ে আয়।”
আরশি একটু অবাক হলো এটা ভেবে যে তীব্র কিভাবে জানলো ও এখানে।কিছুক্ষণ আকাশ পাতাল ভেবে সে পর্দার আড়াল হতে বেরিয়ে এলো এবং তীব্রর কথা মতো সোফায় বসলো।তীব্র জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে বলতে শুরু করলো,
“আরশি গতকালের আচরণের জন্য আমি দুঃখিত নই।কারণ আমার দিক থেকে আমি যা করেছি তা ঠিক।তবে হ্যা আমি হয়তো একটু বেশিই রুড বিহেভ করে ফেলেছি।আমি চাইলে তোকে চুপচাপ নিজের সামনে বসিয়ে ঠান্ডা মাথায় কথাগুলো বলতে পারতাম।কিন্তু তোর অপ্রত্যাশিত আচরণগুলি আমার হিতাহিত জ্ঞান হারাতে বাধ্য করেছে।যাইহোক এখন আসল কথা হলো তুই আমাকে ভালোবাসিস।আমিও তোকে ভালোবাসি কিন্তু শুধুমাত্র আমার বোন এবং বন্ধু হিসেবে।তোর ভালোবাসা আর আমার ভালোবাসাটা আলাদা তাই এর পরিণতিটা কখনোই মধুময় হবে না।তাছাড়া আমার বাগদত্তা আছে।আমাদের দুজনের বিয়ে হবে।তাই তোর ভালোবাসা নিয়ে আমার ভাবনাচিন্তার সময় কখনোই হবে না।তুইও আমাকে নিয়ে ভাবা বন্ধ করে দে।এমন মানুষকে ভালোবাসাটা নেহাত বোকামি যে তোকে নিয়েই প্রয়োজন চিন্তা করে না।আর তোর ভালোবাসা নিয়ে ভাবা তো দূরের কথা।”
আরশি কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনে এরপর কিছুক্ষণ চুপ থেকে প্রশ্ন করে তীব্রকে,
“তীব্র ভাই আপনি নেহা আপুকে ভালোবাসেন?”
“ভালোবাসি না কিন্তু কখনো যে ভালোবাসতে পারবো না এমনটাও তো নয়।আমরা দুজন বন্ধু এছাড়া একে অপরকে জানি ভালো।”
আরশি একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে,
“তীব্র ভাই আমাকে আপনি এখন ভালোবাসেন না।এর মানে এই এই নয় যে আমাকে ভবিষ্যতেও ভালোবাসতে পারবেন না।নেহা ক্ষেত্রে যদি এটা ভাবতে পারেন তাহলে আমার ক্ষেত্রে এটা ভাবা কি কঠিন?”
তীব্র কিছু বলছে চুপচাপ ভাবছে আরশির প্রশ্নের উত্তর কি দেবে।আরশি আবারও বলল,
“আমি আপনাকে অনেক বেশি জানি তীব্র ভাই হয়তো আপনার থেকেও বেশি।”
“কিভাবে?”
“আপনার পিঠে কয়টা তিল আছে আমি সেটা জানি কিন্তু আপনি জানেন না।”
আরশির কথা শুনে তীব্র এমন সিরিয়াস কথোপকথনের মাঝেও হেসে দেয়।আরশি ফ্যালফ্যাল করে তীব্রর সেই হাসি দেখে।তখনই আরহাম আসে।সে নিজের ভেজা চুল নাড়াতে নাড়াতে হেসে বলল,
“কি অবস্থা মিস্টার?বিয়ে শাদি করে তো আমার থেকে সিনিয়র হয়ে যাচ্ছিস।”
“এই তো ভালো।এতক্ষণ কি করছিলি?”
“আরে আরশিকে আজ দেখতে এসেছিল তাই অফিসে যেতে পারি নি সন্ধ্যায় গিয়েছিলাম কিছু কাগজপত্র সাইন করতে। এই কিছুক্ষণ হলো ফিরলাম।গোসল করতে গিয়ে লেট হয়ে গেল।”
আরশি উঠে দাঁড়ায় নিজের রুমের দিকে যাওয়ার জন্য পা বাড়ায় তখনই আরহাম বলল,
“এই আরু বিউটি খালাকে বলিস আমাদের জন্য ছাদে কিছু স্ন্যাক্স পাঠিয়ে দিতে।”
আরশি হ্যা বোধক মাথা নাড়িয়ে চলে যায়।যাওয়ার আগে শুধু তীব্রর একটা কথা কানে আসে,”কে দেখতে এসেছিল আরশিকে?”
এরপরের কোনো কথোপকথন আরশি শুনে নি আসলে শুনতে চায় নি।আরশি রুমে গিয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে পড়ে।তারপর কিছুক্ষণ তীব্রর কথা ভেবে সাভাশ নামক আপদকে নিজের জীবন থেকে বিতাড়িত করার পদ্ধতি খুঁজতে থাকে।আরশি নিজের সব চুল খুলে সামনে নিয়ে আসে আয়নাতে নিজেকে দেখে একটা ডেয়ারডেভিল হাসি দিয়ে বলে,
“অসাধারণ লাগছে।জ্বীনে ধরা মেয়েকে কি কেউ বিয়ে করবে না কি?আম্মাজান আব্বাজান আপনাদের মেয়েটার বোধহয় আর বিয়ে হবে না।ওওও সো স্যাড।পরশু থেকে জ্বীনের কাহিনী শুরু হবে।কালকে এসব করা যাবে না কারণ আমার ঐ জামাটা কিনতে হবে আর চশমাও।”
আরশি সকালে হসপিটালে টেস্ট করিয়ে মায়ের সাথে মার্কেটে গেল।জামা কিনে মার্কেট থেকে বাসায় ফিরতেই এক বান্ধবীর ফোন আসে।আরশি বিরক্তি নিয়ে ফোন রিসিভ করে বলল,
“ফোন দিছোস কেন সাবিনা?”
“দোস্ত একটা কাহিনী ঘটে গেছে।”
“কী কাহিনী?”
“আমি আর নাজমুল আজকে বিয়ে করবো কোর্টে গিয়ে।”
“কর।তো আমি কি করবো?”
“দোস্ত আমার পক্ষ থেকে একজন সাক্ষী লাগবো।”
“না না ভাই আমি এসব কাজ করি না।আমার ভাই আমার না ভেঙ্গে ঘরে বসিয়ে রাখবো।”
“তুই যদি না আসিস তাহলে আমাদের ফ্রেন্ডশিপ ওভার।”
“আমার কোনো যায় আসে না।”
সাবিনা অনুনয়ের সুরে বলল,
“প্লিজ দোস্ত।এই শেষ সাহায্যটা কর।”
“না মানে না।”
অনেকক্ষণ রিকোয়েস্ট করার পর আরশি শেষ পর্যন্ত ক্লান্ত হয়ে রাজী হয়ে গেল।রেডি হয়ে স্কুটার নিয়ে কোর্টে গেল।
বিয়ের কার্য সম্পাদন করে সে বের হচ্ছিল তখনই হঠাৎ দেখা হয় সাভাশের সাথে।সাভাশ আরশিকে দেখেই খুশিতে গদগদ করে উঠলো।আরশি সাভাশকে ইগনোর করতে চাইলেও সাভাশ তা হতে দিল না।সে আরশির সামনে গিয়ে বলল,
“কি ম্যাডাম এখন আপনার কি অবস্থা?কালকে একটু মন ভরে তোমার সঙ্গে কথাও বলতে পারি নি।”
আরশি বিরক্ত হয়ে বলল,
“এতো মন ভরে কথা বলার কি আছে?,,,আর আপনি কাল আমার পরিবারকে না করলেন না কেন?দেখেন ভাই আমি আপনাকে কেন কাউকেই বিয়ে করতে চাইছি না।”
“দেখো ভাই বলবা না।বুকে চিনচিন ব্যাথা হয়।,,তা এখানে কেন এসেছো?”
“কেন এটা কি আপনার সম্পত্তি যে এখানে আসতে পারবো না?আমিও আপনাকে স্যাম প্রশ্ন করছি যে আপনি এখানে কেন এসেছেন?”
“গুড কোয়েশ্চেন।আমি একজন অ্যাডভোকেট তাই আমার কোর্টে,থানায় যাতায়াত চলেই।”
“হুহ অ্যাডভোকেট!তা আজ পর্যন্ত কয়টা কেস জিতেছেন শুনি?”
“দেখো আমি তোমার সামনে যাই বলবো তুমি বলবে শো অফ তাই নাই বললাম।”
“আমিও শোনার জন্য বসে নেই।”
“এখন বলো তুমি কেন এসেছো এখানে।”
আরশি চিন্তায় পড়ে যায় সত্যি বলে দেবে?কিন্তু সাভাশ যদি ওর ভাইকে বলে দেয়?আরশির চিন্তা ভাবনার মাঝেই হঠাৎ সাবিনা এসে আরশিকে বলে,
“আরশি চল রেস্টুরেন্টে তোকে আজ আমি আমার বিয়ের সাক্ষী হওয়ার উপলক্ষে ট্রিট দেবো।”
সাভাশ চট করে বলে ফেলে,
“জ্বী আপু উনি আমার সঙ্গে আজ লাঞ্চ করবেন সরি আপনার সাথে পারছেন না।”
সাবিনা আরশির দিকে প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,”উনি কে?”আরশি সাভাশকে রেগে কিছু বলতে যাবে তখনই সাভাশ বলল,
“আমি আরশির হবু বর।”
সাবিনা আর কিছু না বলে মিটমিট হাসি দিয়ে সেখান থেকে প্রস্থান করে।আরশির রেগে সাভাশের উপর ফেটে পড়ার মতো অবস্থা।
“আপনি আমার ফ্রেন্ডকে কি বললেন এটা?”
“যা বলেছি ঠিক বলেছি।”
“কিন্তু আমি আপনার সঙ্গে লাঞ্চ করছি না।”
“আমি কিন্তু তোমার ভাইকে বলে দেবো তুমি একজনের বিয়ের সাক্ষীর জন্য এখানে এসেছো।”
আরশি সাভাশের দিকে অসহায় চোখে তাকায় অর্থাৎ “ভাই তোর আমার উপর একটু কি দয়া হয় না?”
সাভাশ নাচিয়ে হেসে বলল,”নাহ হয় না চলো।কালকের আলাপ আজকে রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে খেতে করবো।”
;
#চলবে!
(সাভাশের নামের স্পেলিংটা আমি প্রথম পর্বে ভুল করেছিলাম আর এর জন্য আমি দুঃখিত।’সাভাশ’ একটি তুর্কি নাম বা তুর্কি শব্দ।তুর্কি ‘savaş’ এই শব্দটার অর্থ ‘battle’ অথবা যুদ্ধ।বাংলায় উচ্চারণ করলে সাভাশের শেষে ‘স’ দিলে উচ্চারণটা আসলে বদলে যায় তাই আমি ‘স’ এর পরিবর্তে ‘শ’ দিয়েছি।এতে উচ্চারণটা তুর্কি ভাষায় যেভাবে করা হয় সেভাবেই আসে।ভালো লাগলে অবশ্যই জানাবেন ,ধন্যবাদ।)