গল্প : গ্যাংস্টার যখন রোমান্টিক প্রেমিক
লেখক : Farhan Ahmed Sajjad
পর্ব : ৫
আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না!!
রবিন আজ আমাকে একদম শেষ করে দিবে!!
অহনার চোখেও হয়তো খারাপ করে দিবে!!
বাট কথা যখন দিয়েছি, সো কথা আমি রাখবো!!
রবিন কে নিয়ে জানালা দিয়ে রুমের ভিতের ডুকলাম!!
এরপর অহনার ছোট বোন কে কেন ভাবে রুম থেকে বের করলাম!!
হঠাৎ ফ্যানের বাতাসে একটা পর্দা উঠে গেলো!!
খেয়াল করলাম,
ঐ পাশে অহনা ঘুমাচ্ছে, আমি আর একটু কাছে গেলাম!!
অহনা ট্রি-শার্ট পড়ে ঘুমিয়েছে তাই কোমড় – নাভি থেকে কাপড় সরে গিয়েছে!!
অহনা এমনি যে সুন্দর, আর যেসব জিনিস সব সময় ডাকা থাকে যেমন এখন দেখছি কোমড় আর নীভি!! একদম ঝকমক করছে!!
পিছন থেকে রাকিব আমার হাত টানতে শুরু করলো বললো : ভাই এখানে বেশিখন থাকলে কেস খাবো!!
আমি : ও হ্যা ” চল তাহলে!!
এরপর অহনার ছোট বোন আর রবিনের বিয়ে পড়িয়ে দিলাম!!
আমি : কোথায় থাকবি ঠিক করেছিস??
রাকিব : হুম আমার মা সব যানে বাট বাবার ভয়ে বিয়ের প্রপোজাল দেইনি!!
আমি : তাহলে সরাসরি তোদের বাসায় উঠবি এখন??
রবিন : হুম আমার সাপোর্টে মা থাকবে!!
আমি রবিন আর অহনার বোন কে রবিনের বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে বললাম : রবিন তুই কিন্তু আমার দায়িত্বে বিয়ে করেছিস সো আমার ছোট আপুর সাথে কখনো কিন্তু খারাপ আচরন করতে পরবি নাহ্!!
আমার কথা শুনে অহনার ছোট বোন আমার পায়ে সালাম করে বললো : ভাইয়া আপনার এই সাহায্যর কথা কখনো ভুলবো নাহ্!!
আমি : হুম ভালো থেকো সুখি হও, আর রবিন শোন যদি কোন ঝামেলা হয় ফোন দিছ আমি আজ আসি!!
সো আমি সেখান থেকে বাইক নিয়ে বাসায় আসছি!!
এমন সময় রাস্তায় সেই বৃদ্ধা লোকের সাথে দেখা!!
যাকে সেদিন রাতে খালি গায়ে শুয়ে থাকতে দেখে আমার চাদর দিয়েছিলাম সেই বৃদ্ধা টা!!
আমার চাদর হাতে নিয়ে সংকেত এর মত দেখাচ্ছে তার মানে বাইক থামাতে বলছে!!
বাইক থামালাম!!
আমি : কি দাদু কিছু বলবেন??
বৃদ্ধা : হুম এই নাও তুমার চাদর!!
আমি : আপনি যানলেন কি করে, এটা আমি আপনাকে দিয়েছি!!
আপনি তো তখন ঘুমাচ্ছিলেন!!
বৃদ্ধা : আমি তখন ঘুমিয়ে ছিলাম নাহ্!!
ঠান্ডায় ঘুম আসছিলো নাহ্!!
যখন তুমি আমাকে চাদর দিলে তখন আমি ঘুমের ভাব নিচ্ছিলাম!!
কারন চাদর টা আমার খুব দরকার ছিলো!!
আমি : আজ লাগবে না?
আমার কথা শুনে বৃদ্ধা কিছুক্ষন চুপ থেকে বললো :- কাল যদি চাদর টা ফিরিয়ে দিতে, তুমাকে না পাই!!
আমি : ফিরিয়ে দিতে হবে না, আপনার কাছেই রেখে দেন!!
লক্ষ্য করলাম বৃদ্ধার ঠোটের কুনে মিষ্টি হাসি!!
বৃদ্ধাটা আমার হাতে একটা লাল সূতা বেধে দিয়ে বলল : এইটা অনেক শক্তিশালী ও অলৌকিক সূত ” এটা কখনো হারাতে দিও নাহ্!!
এই সূতোর অনেক ক্ষমতা!!
আমি : ক্ষমতা গুলো কি কি যানতে পারি??
বৃদ্ধা : না, কিন্ত সময় হলে বুঝতে পারবা!!
আমি : ওকে আমার যেতে হবে, আমি আজ আসি!!
এইটুকু বলে সেখান থেকে চলে আসলাম!!
বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে ”
বিছানার নিচ থেকে নীলার ছবিটা বের করলাম!!
ছবিটার উপরে হাত বুলাতে থাকলাম!!
প্রচুর মিস করছি নীলাকে!!
একটা সিগারেট জ্বালালাম ”
হঠাৎ মনে মনে ভাবলাম, নীলার একটা স্বভাব
অহনার মধ্যে রয়েছে!!
কারন অহনাও নীলার মতই বেশি কথা বলে!!
নীলা তো আমাকে ছেড়ে অনেক দূরে চলে গিয়েছে!!
আমার জিবনে হয়তো আর কাওকে ভালোবাসতে পারবো নাহ্!!
হ্যা আমি অহনা কে পছন্দ করি!!
বাট, পছন্দ করা এক জিনিস আর ভালোবাসা অন্য জিনিস!!
এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে সিগারেট শেষ হয়ে গিয়েছে!!
সেটা সিগারেটের আগুনে আঙুলে ছ্যাকা না খেলে হয়তো বুঝতেই পারতাম নাহ্!!!
সারাদিন অনেক প্যারা গিয়েছে তাই,
চোখ বুঝতেই ঘুমিয়ে পড়লাম!!
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে নিচে গিয়ে দেখি জিসা এসেছে!!
আপু কে নিয়ে যেতে ”
জিসা কে ভালো মন্দ জিজ্ঞেসা করে আমি নাস্তা করতে বসে পড়লাম!!
বাহিরে বের হবো এমন সময় আপু বললো :- কোথায় যাছ??
আমি : এইতো একটু বাহিরে!
আপু : আগে আমাদের নামিয়ে দিয়ে আয়!!
আমি বাইক বের করে নিচে গিয়ে দাঁড়ালাম!!
আপু আর জিসা কে নিয়ে যাচ্ছি!!
রাস্তায় আপু আমাকে প্রশ্ন করলো : অহনার কী খবর??
আমি : ওমা তুমি ঐ মেয়েটার নাম যানলে কি করে??
আপু : তুই ‘তো বলেছিলি!!
আমি : ওহ্ আচ্ছা!!
আপু : আর শোন সিগারেট কম কম খেয়ে একদম বাদ দিয়ে দিছ ” এগুলা ভালো নাহ্!!
আমি : ছিঃ আপু কি সব বলো, আমি এগুলা ছাইপাঁশ খাই নাহ্!!
আপু : ও তাই বুঝি ” তাহলে আজ সকালে তোর রুম গুছাতে গিয়ে বিছানার নিচে এত সিগারেটের প্যাক ছিলো কেনো!!
আমি : সিগারেট তো আর ছিলো নাহ্ ” সিগারেট এর প্যাক ছিলো তার মানে এই না যে আমি সিগারেট খাই ” মনে করো আমার কাছে বাইক আছে বাট বাইকের চাবি নেই!!
তাহলে কি আমি বাইক টা চালাতে পারবো??
আপু : আসমান থেকে লজিক বের করছিস তাই না!!
সিগারেট প্যাকে সিগারেট তার মানে তুই সবগুলা সিগারেট খেয়েছিস!!
আর কোন বোকা বা উজবুক ছাড়া অন্য কেও, চাবি ছাড়া বাইক কিনবে নাহ্!!
এভাবে কথা বলতে বলতে আপুদের বাসায় চলে আসলাম!!
রাস্তায় জিসা আমার সাথে একটা কোথাও বলেনি!!
আমি যানি জিসা আমাকে পছন্দ করে,
আর সেদিন থাপড়ানো খেয়ে আমাকে এখন ভয় পায়!!
সো আপুকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে ”
বেশি দেরি করলাম নাহ্!!
সোজা ভার্সিটির দিকে চলে এলাম!!
কারন কেমন যেনো অহনা কে দেখতে মন চাচ্ছে!!
একদিন না দেখলে ভালোই লাগে না!!
ভার্সিটি গিয়ে বাইক রেখে,
ক্লাসে ঢুকতে যাবো এমন সময় পিছন থেকে অহনা আমার ট্রি-শার্ট টেনে!!
আমার গালে অনবরত চড় মারতে থাকলো!!
আগে ভাবতাম,
মেয়েদের নরম হাতের চড় বেশ মজাদার হয়!
বাট এখন তো দেখছি তার উল্টো!!
অহনা তো আমাকে নরম হাতের গরম চড় মারতেছে!!
আমি বিষয় টা বুজতে পারছি, কেনো এমন করছে!!
কাল রাতে অহনার ছোট বোন কে পালিয়ে যেতে আমি সাহায্য করেছি এটা হয়তো যেনে গিয়েছে!!
ভার্সিটির সবাই থমকে গেলো!!
আমি আজ পর্যন্ত এত ঝামেলা করার পরেও কোন স্যার মারেনি আর ছাত্র- ছাত্রী তো লিষ্টের বাহিরে!!
আমি সব যেনেও অহনা কে জিজ্ঞেসা করলাম!!
আমি : এমন কেনো করলে!!
অহনা : তুই যানিছ না কেনো এমন করছি,
কাল রাতে তুই আমার আদরের ছোট বোন কে ভুলিয়ে ভালিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে পড়িয়ে দিয়েছিস!!
তার পরেও জিজ্ঞেসা করছিস কেনো এমন করলে!!
এমন কথা শুনে আমার কিছু ফ্রেন্ড অহনার গায়ে হাত তুলতে দৌড়ে আসছিলো আমি তাদের বাধা দিয়ে অন্য পোলাপান দিয়ে আমার সব ফ্রেন্ডের সেখান থেকে সড়িয়ে দিলাম!!
এরপর অহনার সামনে গাল পেতে দিয়ে বললাম!!
আমি : এখন যত খুশি মারো!!
অহনা হাত উঠিয়ে আবার নামিয়ে ফেললো!!
অহনা : তোকে ভালো ভাবতাম আর তুই কি না শেষে!!
এইটুকু বলে অহনা সেখান থেকে চলে গেলো!!
লক্ষ্য করলাম সবাই আমাকে ঘিড়ে কাহিনি দেখছে!!
আমি জানালার রট ভেঙে বললাম!!
এখান থেকে একটা পোলাপান ও যেতে পারবি নাহ্!! যারা যারা এতখন মজা নিচ্ছেলে!!
মাথা পুরো গরম হয়ে গিয়েছে!!
এমন সময় আমার ফ্রেন্ডরা এসে বললো :
যে এত কিছু করলো! তাকে কিছু করতে পাররি না ” অন্যদের সাথে বা* এর রাগ দেখাছ কেনো!!
এইবলে ওরা আমাকে ভার্সিটির বাহিরে নিয়ে এসে বলল : তুই মেয়েটাকে কিছু বললি না কেনো!!
আমি কিছুক্ষন চুপ থেকে বললাম ”
ঐ মেয়েটাকে ভালো লাগে তাই!!
এমন কি অহনা কে ভালোবেসে ফেলেছি!!
#চলবে???