গ্যাংস্টার যখন রোমান্টিক প্রেমিক পর্ব-০৪

0
1877

গল্প : গ্যাংস্টার যখন রোমান্টিক প্রেমিক

লেখক : Farhan Ahmed Sajjad

পর্ব : ৪

মেয়েটা আমার সামনে এসে দাড়ালো”
এরপর আমার মত করেই”
মেয়েটা আমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখতে লাগলো!!
আমি কিছুটা অভাক হলাম!

মেয়েটার নাম হলো অহনা ” ভার্সিটিতে নতুন, শরিরের গঠনরূপ ভালো, সুন্দর চেহারা, এজন্য অনেক দেমাগি !!

অহনা : আপনি কি জনগণের ভাই??
আমি : লিমিটেড রেখে কথা বলেন!!
কি হয়ছে সেটা বলেন!!

অহনা : কি আর হবে আজ আমার ভার্সিটির প্রথম দিন, কাওকে ভালো ভাবে চিনিও না!
অথচ প্রায় ছেলেই আমার সাথে কথা বলার জন্য এমন ভাব নিচ্ছে যেনো হাজার বছর আগে থেকে তারা আমাকে চিনে!!
আর কিছু ছেলে তো আমাকে ট্রিস করেছে!!
তাদের গালে কসে দুটা দিতেই!!
তারা বলে ফারহান ভাই কে বলে দিবো!!

আমি : সো আমি কি করতে পারি??

অহনা : আপনি কি করতে পারেন মানে!!
আপনি কি আপনার ছোট ভাইদের এসব শিক্ষা দেন!!

আমি : আমার সাথে চলেন সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে আসি যাতে কেও আপনাকে কিছু না বলতে পারে!!

অহনা : এখন তো সব ক্লাসে স্যার ঢুকে গিয়েছে!!

আমি : এখনি ভালো টাইম আসেন!!

অহনা কে নিয়ে প্রতিটা ক্লাসে ক্লাসে গিয়ে!!
স্যারদের থেকে ২ মিনিট করে টাইম নিয়ে!!
অহনা কে ছোট বোন হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে আসলাম!!

অহনা অভাক হয়ে জিজ্ঞেসা করলো : আপনি কি ভার্সিটির ছাত্র নাকি অন্য কিছু!!

আমি : কেনো??

অহনা : ক্লাস টাইমে স্যারদের সামনে ক্লাস অফ রেখে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন এটা কিভাবে পসিবল!!

আমি : সত্যি কথা বলবো??
অহনা : হুম আমিও সত্যি টা যানতে চাই!!

আমি : সত্যি বলতে আপনি প্রচন্ড বেশি কথা বলেন!!

এইটুকু বলে চলে আসছিলাম!
অহনা আমার পিছু পিছু আসছে আর বলছে : হ্যা কি বললেন এটা!!

আমি অহনার কথায় কান না দিয়ে ভার্সিটির বাহিরে চলে আসলাম!!

এসে সিগারেট খেতে খেতে যাচ্ছি এমন সময় মনে পড়ে গেলো নীলার কথা!!

নিজেকে অনেক শান্ত রাখার চ্রেষ্টা করলাম বাট পারছি না!!
আমাকে বিয়ে করবে না বলে কোন মেয়ে সুইসাইড করবে এটা আমার কল্পনার বাহিরে ছিলো!!

হঠাৎ এক ছোট ভাই হাপাতে হাপাতে আমার কাছে আসলো!!

রবিন : ভাই আমার গার্রফ্রেন্ড কে আমার থেকে আলাদা করার জন্য!
বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে!! কিছু করেন ভাই না হলে আমি বাচঁবো না!!

আমি : বিয়েটা কবে?
রবিন : কাল সকালে!!

আমি : আজ রাতে তোদের বিয়ে হবে,
মিশন হবে রাতেই!!

রবিন : সত্যি ভাই!!
আমি : হুম ”

সো বাসায় চলে যাবো ভালো লাগছে নাহ্!!
তাই বাইক নিতে ভার্সিটি গেলাম!!

আমার বাইকের চাবি সব সময় বাইকেই লাগানো থাকে!!
কারন কেও আমার বাইকে হাত দিবে তো দূরের কথা,
বাইকের আশেপাশেই আসে নাহ্!!

বাট আমি আজ সত্যি শিহরিত বাইকের চাবি নেই!!
মাথা গরম হয়ে গেলো!!
চিল্লাপাল্লা করে ভার্সিটি তুলপার করে দিচ্ছি!!

এমন সময় অহনা এসে বলল : বাপ রে বাপ, সামান্য বাইকের চাবি নেই তাই বাচ্ছাদের মত চেঁচামিচি করছেন!!
যদি বাইক টাই উদাও হয়ে যায় তখন কি করবেন!!

অহনার কথায় বুঝতে পারলাম চাবি অহনার কাছেই!!

আমি বললাম : চাবিটা দাও!!
অহনা : দিতে পারি এক শর্তে!!

আমি : কিসের শর্ত??
অহনা : আমার কাছে বাসায় যাওয়ার ভাড়া নেই সো আপনি আমাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসবেন!!

আমি : ওকে আমি ভাড়া দিয়ে দিচ্ছি!!
অহনা : উমম হবে নাহ্ ” আমাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসতেই হবে!!

কি আর করার ‘
অহনা কে বাইকের পিছনে বসিয়ে পরে গেলাম আরেক বিপদে,
রাস্তায় দেখা হলো : আম্মু আর আপুর সাথে!!

আমি কোন ভাবে মুখ লুকিয়ে বাইক স্পিডে চালিয়ে চলে এলাম!!
বাট আম্মুর চোখ এত সহজে কি করে ফাকি দেওয়া যায়!!

আমার পিছনে অহনা কে দেখে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো আম্মু – আর আপু!!

সো অহনা কে বাসায় নামিয়ে দিয়ে বাসায় আসলাম!!

আম্মু : মেয়েটা কে??
আপু : অনেক কিউট তো মেয়েটা!!

আমি : চিনিনা!!

আম্মু : ভালো ভাবে প্রশ্ন করছি ভালো ভাবে উত্তর দে!!
আপু : বলে ফেল আম্মু মেনে নিবে!!

মনে মনে ভাবলাম আম্মু শুধু আমাকে বিয়ের জন্য চায় দেয়!
সো অহনার কথা বলেই এখান থেকে বাচাঁ যাবে!!
আর অহনার বাসাও কেও চিনে নাহ্!!

তাই আম্মুকে বললাম : আমি ঐ মেয়েকে পছন্দ করি!! বাট মেয়েটা আমাকে ফ্রেন্ড ভাবে,
যেদিন মেয়েটা কে রাজি করাতে পারবো তখন তুমার যে সপ্ন আমাকে বিয়ে করাবে, ঐ সপ্নটা পূরন হবে!!
বাট এর আগে আমাকে বিয়ের জন্য কোন প্রকার চাপ দিবে না ওকে!!

আম্মু আমার কথায় রাজি হয়ে গেলো!!
আমিও বেচেঁ গেলাম!!

সো দিন শেষে রাত আসলো!!
রাত ১০ টার দিকে রবিন ফোন দিয়ে বললো : ভাইয়া কাল আমার গার্লফ্রেন্ডের বিয়ে প্লিজ কিছু করেন আপনি বলেছিলেন আজ নাকি আমাদের বিয়ে!!

আমি : ও হ্যা, তুই আমার বাসার নিচে চলে আয়!!

রবিন : রাত ৯ টা থেকে আমি আপনার বাসার নিচেই বাট ফোন দেওয়ার সাহস পাচ্ছিলাম না!!

আমি : ওকে থাক আসতেছি!!

সো আমি নিচে গিয়ে বললাম আমার এক ফ্রেন্ড কে ফোন দিচ্ছি ও তোকে সাহায্য করবে!!

রবিন : না ভাই আপনি আমার সাথে যাবেন!!

সো রবিন অনেক রিকুয়েস্ট করলো তাই রবিনের সাথে প্রথম এমন কাজে যাচ্ছি!!

সো রবিন অহনার বাসা দেখিয়ে বলল : এটাই বাসা!!

আমি অভাক হয়ে গেলাম!!
আমি বললাম : পাগল নাকি এটা তো অহনা দের বাসা!!

রবিন : হুম অহনা আপুর ছোট বোন আমার গার্লফ্রেন্ড!!

আমি : তুই আজ আমাকে মেরেই ছাড়বি!!
তোর গার্লফ্রেন্ড কে ফোন দিয়ে নিচে আসতে বল!!

রবিন : ভাই ও অনেক ভীতু তাই ও কে বাসার ভিতর থেকে বের করে নিয়ে আসতে হবে!!

আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না!!
রবিন আজ আমাকে একদম শেষ করে দিবে!!
অহনার চোখেও হয়তো খারাপ করে দিবে!!
বাট কথা যখন দিয়েছি, সো কথা আমি রাখবো!!

#চলবে???