টর্চার Last part

0
2300

#টর্চার
#Apis_Indica
#Last_part
.
.

?❤?(আতীত)

আয়মানকে সেদিনের পর থেকে আর দেখা যায় নি।। দেখা যায়নি বললে বুল হবে সে দেখা দেয় নি। কিন্তু দূর থেকে ঠিকি লক্ষ রেখেছে আয়মান আমুকে।।

দেখতে দেখতে পরীক্ষা ও শেষ হয়ে গেছে।। আর কলেজে ছড়ানো তার নামের অপবাদ টাও হালকা হয়ে গেছে।।
এরি মধ্য আমু আয়মানকে অনেকটা ভুলে গিয়েছে বলতে গেল।।

নুহা আর এহসানের ভালোবাসা আরো ঘনিষ্ঠ হয়ে গেছে।।
আমুর নতুন একটি ফ্রেন্ড ও হয়েছে।। নুহা এহসানের সাথে সারাক্ষণ বিজি থাকায় তার সেই ফেন্ড ঝুমুর সাথে প্রচুর খাতির করে ফেলেছে সে।।
বাট আমুর সসহপাঠী রা এই মেয়েটির সাথে মিশেত না করে বলে মেয়েটি ভালো না। বাট কে শুনে কার কথা আমুতো আমু সেতো মিশবেই।।


একদিন মেয়েটি আমুকে তার পার্টিতে দাওয়াত দেয়।।
বাট আমু যেতে চায় না। সেদিন নুহা বাসায় ছিল না ডেটে গেছিল এহসানের সাথে কিন্তু ঝুমু ওকে অনেক জোর দিতে লাগলো।। যার ফল লাস্ট পর্যন্ত সে পার্টিতে উপস্তিত।
পার্টিতে গিয়ে আমু যেন আকাশ থেকে পরলো।। সবাই কেমন অর্ধ নগ্ন ড্রেস আপ পরেছে।।আমু একবার নিজের দিক আর আরেক বার সবার দিক দেখে যাচ্ছে কারন আমু একটি লং রেড কালারে ড্রেস পরেছে।। আর মনে মনে নিজেকে গালি দিচ্ছে কেন আসলো।।
তখনি সে উল্টো পথে হাটা ধরলো বাসায় চলে আসার জন্য। তখনি ঝুমু এসে জড়িয়ে ধরলো আমুকে।ঝুমুকে দেখে আমুর চোখ যেন খুলে পরে যাবে।। ও নিজে অতি ক্ষুদ্র একটি ড্রেস পরেছে।।
-বেবী কই যাস চল তোকে আমার ফ্রেন্ডস দের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই।(ঝুমু)
– নিজেকে ছাড়িয়ে আশেপাশে বার বার তাকিয়ে আমু বলতে লাগে,,
– না দোস্ত আমার এখানে ভালো লাগছেনা। বার বার এদিক ওদিক তাকিয়ে আমি বরং যাই।। বলে যেতে নেয়।(আমায়রা)
-আচ্ছা ঠিক আছে চলে যাস আগে চল আমি তোকে আমার বয় ফেন্ডের নাথে মিট করিয়ে দেই চল।।(ঝুমু)
-কিন্তু,,
আমুকে কিছু বলতে না দিয়ে বলতে লাগে ঝুমা,,,
-কোনো কিন্তু না চল,,(ঝুমা)
পরে টানতে টানতে নিয়ে গেল বসার জায়গায়।। সেখানে যেতেই আমুর গলা সুকিয়ে গেল।। কারন ওর বয় ফ্রেন্ড আর কেউ না সেই ছেলে যে আমুকে সবার কিস করছিল,, আর পরবর্তিতে কল গার্লের খ্যাতাব দিয়ে ছিল।। আয়মান ওকে পরে অনেক পিটিয়ে ছিল তাকে।। আজ আমু বুঝতে পারছে সে কতো বড় ভুল করেছে।। আমু যেই না সেখান থেকে যেতে নেয় তখনি সেই ছেলেটি হাত ধরে তার সাথে লেপটে ধরে আমুকে।
আমু অনেক ছুটার চেষ্টাও করছে কাজ হচ্ছে না।। আর উপস্তিত সকলেই থাকা হাসতে লাগলো ঝুমা সহ।।
– জানিস আমু তোকে বসে আনতে কতো কাঠখড় পোহাতে হয়েছে।। (ঝুমা)
ঝুমার কথা শুনে আমু চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পরছে।। সে হারে হারে বুঝতে পারছে সে কি বুলটাই না করে ফেলেছে।।
তখনি ছেলেটি ধাক্কা মেরে আমুকে ফেলে দেয় ডান্স ফ্লোরে।। আমুও ছিটকে গিয়ে স্টেজে পরে যায়। কি করবে কিছু বুঝতে পারছে না সে। স্টেজে পরার সাথে সাথে গান বন্ধ হয়ে যায়। আর ছেলে মেয়েরা সবাই চারিদিক রাউন্ড হয়ে আমুর দিক তাকিয়ে আছে।। তখনি ছেলেটি বলতে লাগে,,
-অনেক সহ্য করেছি তোর জন্য জেল খেটেছি, বাড়ি ছাড়া হয়েছি কলেজ থেকে বের করে দিসে এক মাএ তোর জন্য বলে আমুর চুলের মুঠি ধরে টেনে তুলো।।
-আমু সেলেটির হাত ছাড়াতে ছাড়াতে বলতে লাগলো
– যা হয়েছে তোর পাপের শাস্তি পেয়েছিস তোকে তো জুতার মালা দিয়ে শহর ছাড়া করা উচিত।।(আমায়রা)
-সেলেটি আমুর কথা শুনে আমুকে কসে এক থাপর মারে আমু টাল সামলাতে না পেরে নিচে পরে যায়। চড়টা এতোই জোরে ছিল যে ঠোট কেটে যায়।। আমু কাদঁ তে লাগে।।
তখনি ছেলেটা আমুর ওরনা টেনে নিয় ফালিয়ে দেয়। আমু চিৎকার করতে থাকে।।

এদিকে এসব কিছু এফ বির লাইভে চালু করে সুট করছে ঝুমা।। যা আয়মানের ফ্রেনড শাফিন দেখে তাৎক্ষণিক আয়মানকে যানায়।। আয়মানের রাগের এখন কোনো সীমানা নাই আয়মান খুব স্প্রিডে গাড়ি ড্রাইভ করতে থাকে সাথে আমুর ফোন ট্রেস করে লোকেশন নিয়ে নেয়। র এহসানকে কল করে যানিয়ে দেয়।


পার্টিতে উপস্তিত সকলেই হাসাহাসি করছে আর আমু নিজের জন্য লড়াই করে যাচ্ছে।। এক পর্যায় যেই না আমুর জামায় হাত দিবে রাফি। তখনি আয়মান এসে এক লাথি মারে।। আর সে ছিটকে পরে যায়।। আর সেখানে গিয়ে বেধারাম মারতে থাকে আয়মান রাফিকে।। মুহুর্থে এহসান ও এসে হাজির। নুহা যেয় আমুকে টেনে বুকের সাথে জড়িয়ে নেয় আর বলতে লাগে,,,
-আমাকে মাফ করে দিস আমার তোর সাথে আসা উচিত ছিল। (নুহা)
-আমু কাদতে লাগলো।।তখনি আয়মান রাফিকে ছেড়ে আমুকে দরে জোড়ে থাপর মারে।। আর বলতে লাগে তোর সাহস কতো বাসা থেকে একা বের হওয়ার।
(আয়মান)
-আমু কিছু বলতে পারছেনা শুধু কাদছে।। তা দেখে ায়মানের গা যেন আরও জলছে।। সে আমুকে টেনে বাহিরে নিয়ে আসে আর গাড়ি থেকে পানির বোতল খুলে মুখে পানি ছুড়ে মারে।
-আমু হুশে আসে তখন।। আমুর তখন মাথায় একটি কথাই ঘুরছে যা হয়েছে সব আয়মানের জন্য।।
সে চিল্লিয়ে বলতে লাগে,,
-আজ আমার এই অভ্যস্ত ার জন্য আপনি দায়ি না আপনি আমার লাইফে আসতেন না আমার এতো টর্চার সহ্য করতে হতো।। কি চান আপনি বলেন।। কোন অধিকারে এসব করেন আপনি। বলে মাটিতে বসে কাদে লাগে।।
-আমুর মুখে অধিকারের কথা শুনে তার মাথায় রাগ উঠে যায় আর সে আমুকে টেনে হিচরে নিয়ে যায় তার বাসায়। আর তার হাতে সুচ সুতা দিয়ে আয়মান নামটি লিখে দেয়।।
*বাকিটাতো আপনাদের জানা*

??❤(বর্তমান)
আজ আজমিন সাওারের বাসায় খুব বড় সড় করে আয়োজন করা হচ্ছে।। যেন ছেলে পক্ষের কোনো আপ্যায়নে কমতি না থাকে।।
আজ আয়মান আর এহসানের বাবা-মা আসছে তাদের বাসায়।। আয়মান আর এহসান তাদের এখানে থাকাতে আজমিন সাওার তাদের ২ জনকে বাজারে পাঠিয়ে দিয়েছে মোতালেব চাচার সাথে।।
নুহা আর আমু বসে বসে আচার খাচ্ছে।।
-আমু আন্টির মাথা কি কোনো প্রোব আছেরে(নুহা)
-আচার খেতে খেতে কেন?(আমায়রা)
-এই যে হবু জামাইদের এভাবে টর্চার করছে।।(নুহা)
-ঠিকিতো আছে। আমার মা প্রতিশোধ নিচ্ছে বুঝলি।। প্রতিশোধ।। কতোই না জালিয়েছে বল আমাদের।। এখন উচিত শিক্ষা হচ্ছে।। বিয়ে করার শক মিটে যাবে এবার। এই কি ইশারা করছিসরে তুই আমার কথা শুন।।(আমায়রা)
আমুতো বক বক করেই যাচ্ছে বাট তার পিছনে যে তার যম দারিয়ে সব শুনে ফেলেছে তা আমু বুঝতে পারছে না।। আয়মান আর এহসান আমুর পিছনে দারিয়ে আছে,,, এহসান হাসছে তার ভাইয়ে রাগ করা ফেস দেখে কেমন লাল হয়ে যাচ্ছে।। আর নুহা ইশারায় চুপ করতে বলছে আর পিছনে তাকাতে বলছে।। নাহ সেতো সেই পক পক পক পক করেই চলেছে।। তখনি পিছন থেকে আয়মান বলে উঠে,,,
-খুব জালিয়েছি তাই না।। (আয়মান)
আয়মানের কন্ঠ শুনে যেন আমু ৪৪০ ভোল্ট এর ঝটকা খেয়ে যায়।। ধীরেধীরে পিছনে তাকিয়ে চোখ বড় বড় করে ফেলে।।
-ইয়ে না মানে এমনি বলছি,,(আমায়রা)
কিছু বলতে না দিয়ে আয়মান নিজেই বলতে লাগে
-ইয়া মানে কি বলছো হুম আমি তোমাকে জালাই না।। এই শুনো এই কাজ গুলো আমি ইচ্ছা করে করছি বুঝেছো।। ছেলের দায়িত্ব পালন করছি এক বার শুধু এক বার হতে দেও আকাদ টা দেন তোমাকে বুঝাবো কতো ঝালে কতো চাল।।(আয়মান)
আয়মানের কথায় সকলে হেসে দেয়। আমুতো সোফায় বসে গড়াগড়ি খাচ্ছে।।
-ভাই এটা কত ধানে কত চাল হবে ?? নাকি কত ঝালে কত চাল।।(এহসান)
আয়মান কিছুটা লজ্জা পেয়ে গেল। আর মাথা চুলকিয়ে বলতে লাগলো,,
-ওই একটাই।।বলে আজমিন সাওারের কাছে চলে গেল।। (আয়মান)

আয়মান মনে মনে ফন্দী আঁটতে লাগে আমুকে টর্চার করার তখনি সামনে থাকা মাছের দিক নজর যায়।। আর সে মনে মনে কিছু একটা ভেবে আজমিন সাওারকে বলতে লাগে,,,
-যানো আন্টি আমার এই মাছটা খুব প্রিয়।। আমার অনেক শখ জানো হবু বউ আমাকে মাছ কেটে রান্না করে খায়াবে,,,বাট কপালে হাত দিয়ে সবই কপাল আন্টি কপাল।। বলে শয়তানী হাসি দিয়ে চলে গেল বসার ঘরে।।(আয়মান)
আজমিন সাওার কিছু একটা চিন্তা করে জোড়ে জোড়ে আমুকে ডাকতে লাগলো।। আমু মাএ আচারের শেষ বাইটটা মাএ মুখে পুরেছিল। গিলতেও পারি
নি দৌড় লাগায়া রান্না ঘড়ে।।
-কি হইসে মা।। এভাবে চেঁচাচ্ছে কেন? তুমি যানো বুকে থুতু দিয়ে আমি কতো ভয় পাইসি হু।(আমায়রা)
-আয় বস অনেক তো বসে বসে খেলি নে ধর মাছ কাট(আজমিন)
-মা তুমিতো যানো আমি মাছ কাটতে পারি না,,(আমায়রা)
-আমি কিছু জানি না এই নে দা আমি যেভাবে বলছি সেভাবে কর।। আর একটা কথা বলবি তো এই দা দিয়ে তোর জ্বিব কেটে দিবো।। কতো বলেছি শুনিশনি এখন বুঝ।।(আজমিন)
-মা গন্ধতো।।নাক ছিটকে বললো(আমায়রা)
-বেশি কথা বলবি নে শুরু কর।।(আজমিন)
আমু আজমিন সাওারের পিড়াপিড়িতে মাছ কাটতে লাগলো।। মাছের লেটাপেটার গন্ধে আমু ওয়াক ওয়াক করছে।। লাস্ট পর্যন্ত মাছ কেটে হাত ধুয়ে যেই না চলে যাবে তখনি আজমিন সাওার বলে উঠে
-কই যাস রাধবে কে।।(আজমিন)
-মা জানতো,,, কিছু বলতে না দিয়েই আজমিন সাওার বলতে লাগলো,,
-জানিস জামাইয়ের কত শখ তার বউ তাকে রেধে খাওয়াবে।। আর তুই।।আয় আমি সব দেখিয়ে দিচ্ছি।।(আজমিন)
আমু আজমিন সাওারের কথা শুনে আর বুঝতে বাকি নেই এসব আয়মান তাকে টর্চার করার জন্য এই কাজ করেছে।। আর যাই হোক এই বেটা তাকে টর্চার করার একটা পয়েন্ট ও সে ছাড়ে না।।



সন্ধ্যায় সব কিছু জাঁকজমক ভাবে এরেন্জ করা হয়েছে। যেহেতু নুহার বাবা দেশের বাহিরে তাই সব দায়িত্ব আজমিন সাওারের উপর পরেছে।। আয়মান আর এহসানের তাড়া দেয়ার কারনেই এত তাড়াতাড়ি আকাদ করা।। নুহার বাবা আসলে ধুমধাম করে বিয়ে পরানো হবে তাদের।।

আয়মানের বাবা মা এসে গেছে সব কিছু সুন্দর ভাবে চলছে,, আকাদও হয়ে গেল।।
এখন তাদের চার হাত ২ হাত করা হয়েছে।।সবাই খুব আনন্দ করছে।। আমু আর আয়মান এহসান আর নুহা তারাবাতি জালাচ্ছে বাহিরে। আর বাচ্চারা দুরে থেকে হাততালি দিচ্ছে।।


২ তালার বারান্দা য় দারিয়ে আজমিন বেগম আমু আর আয়মানকে দেখে যাচ্ছে।। আর ছলছল চোখে আকাশ পানে তাকিয়ে তার স্বামীর কথা মনে করছে।। আজ হয়তো সে থাকলে তার মেয়ের আনন্দ আরো দ্বিগু হতো।। চোখের পানি মুছে তাদের দিকে তাকিয়ে হাসতে থাকলো সে আজ তার মেয়েরা সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষদের হাতে তুলে দিতে পেড়েছে।।


এভাবেই চলতে থাকবে আয়মান আর আমুর করা দুষ্ট মিষ্টি টর্চার।। আর এহসান আর নুহার খুনসুটি ভালোবাসা।।

সমাপ্ত