#টর্চার
#Apis_Indica
#part_2
।
খাবারের টেবিলের সামনে লাঠি নিয়ে বসে আছে আয়মান।। হাতে তার একটি ৩ হাত লম্বা লাঠি।।
-তাড়াতাড়ি খাবে না লাঠি দেখিয়ে এটার কাজ শুরু করবো।।(আয়মান)
– লাঠি দেখে ভয় পাই সে ছোট থেকে এর হাতে লাঠি দেখে আমার ভয়ে অবস্থা খরাপ হয়ে যাচ্ছে উপায় না পেয়ে খেয়ে নিলাম।।(সাফুরা)
-এইতো লক্ষি মেয়ে বলে কপালে চুমু এঁকে দিলাম। তারপর উঠে তাকে রেডি হয়ে নিতে বললাম।।(আয়মান)
-কই যাবো আবার মাথা নিচু করে মুখ গুমরা করে। (সাফুরা)
-তোমার বাসায়, বলে উঠে দাড়িয়ে চেয়ার থেকে তার কোর্টটি পড়তে পড়তে বললাম ১০ মিনিট সময় তার থেকে এক মিনিট এদিক সেদিক হের ফের হলে খবর আসে।।(আয়মান)
-আমি দৌড়ে উপড়ে গেলাম।।আর হাত মুখ ধুয়ে বেড় হয়ে আসলাম।।
হাতের মধ্য নাম লিখার অংশটা কে ভালোভাবে ওড়না দিয়ে ডেকে দিলাম যাতে কেউ না দেখে। এরি মধ্যে আয়মান নিচে থেকে গাড়ির হর্ন বাজিয়ে পাগল করে ফেলতেসে তাই দৌড়ে নিচে গেলাম।।
।
-আয়মান দরজাটা খুলে দিল আর সাফুরা বসে পড়লো।।
আর ডুব দিল সেই অতিতে।।
সেই কুফা দিনটির কথা মনে হলেই এখন সাফুরার মনে হয় যদি রাবার দিয়ে মুছা যেতো তো মুছে দিতো সে।।
আর নতুন করে সে ওদিনটি গড়ে তুলতো এই আয়মান নামক ব্যক্তিটি ছাড়া।।
।
-কি এতো ভাবছো (আয়মান)
-আয়মানের কথায় ধেয়ান ভাঙ্গলো তার।।।
একটু জোড়ে শ্বাস নিয়ে কিছু না।(সাফুরা)
।
।
-আয়মান আর কিছু জিগেস করলো না শুধু আর চোখে তাকিয়ে বেস কয়েক বার দেখেনিলো তার পেঙ্গুইন পাখিকে।।
-আর সাফুরা এক ধেয়ানে বাহিরের পানে চেয়ে আছে।। যা আয়মান এর কাছে ভালো লাগছে না।।।
সে মনে মনে ঠিক করলো ওটা একটি ছোট শিক্ষা দেয়া যাক, ভেবেই বাকা হাসলো আয়মান।।
-হটাৎ গাড়ি চলতে চলতে বন্ধ হয়ে গেল।।
-আয়মানের দিকে তাকিয়ে ১ ভ্রু নাজিয়ে জিগাসা করলো কি হইসে।।(সাফুরা)..
-নেমে দেখতে হবে, তুমি বসো আমি দেখতেসি বলে গাড়ি থেকে বেড় হয়ে গেল আয়মান সামের ঢালা তুলে তার সামনে দাড়িয়ে রইলো কিছুখন।
তার পর পকেট থেকে সিগারেট বের করে ফুকতে লাগলো,,, ঠোটে তার একটি রহস্যময় হাসি।।।
– কি সমস্যা হইসে।। সমস্যার সমাধান না করে এখানে দাড়িয়ে পরিবেশটা দূষন করতেসেন কেন কিছুটা রেগে (সাফুরা)
-সমাধানতো পেয়েছি ধাক্কা দিতে হবে।(আয়মান)
-মানে ভ্রু কুচকে (সাফুরা)
-মানে গাড়ি ধাক্কা দিতে হবে তাহলেই স্টার্ট নিয়ে নিবে।।(আয়মান)
-তো দাড়িয়ে আছেন কেন দিন ধাক্কা,, (সাফুরা)
-সিগারেট টা ফেলে পা দিয়ে পিশে দু হাত বেধে, গাড়ি চালাতে জানো।(আয়মান)
-না তো। কেন? (সাফুরা)
-তো ধাক্কা দেও তুমি। আমি ড্রাইভ করছি।।(আয়মান)
-আজিবতো আপনি একটা মেয়েকে এসব করতে বলতেসেন।(সাফুরা)
-হে বেবি বলতেসি।।।এখন তুমি ধাক্কা না দিলেতো হচ্ছে না।।
আচ্ছা এক কাজ করো তুমি গাড়ি ড্রাইভ করো আমি ধাক্কা দেই (আয়মান)
– আমি ড্রাইড করতে পারি না মাথা নিচু করে,কিছুখন চিন্তা করে,, আজবতো আপনি,, আশেপাশের মানুষ ডাকলেই হয়।।(সাফুরা)
-কিছুটা ঝুকে আশেপাশে কি আমাদের দুজন ছাড়া কাওকে দেখতে পাচ্ছো বেবি।।(আয়মান)
-আশেপাশের দিক তাকিয়ে দেখে আমি শক্ড।।আমরা দুজন ঁছাড়া কেউ নেই।(সাফুরা)
-তাহলে তুমি ধাক্কা দেউ আমি ড্রাইভ করি (আয়মান)
-আমি পারবো না,, আপনি আমাকে বাসায় দিয়ে আসেন আমার ফ্রেন্ড চিন্তা করছে নেকা কান্না করে(সাফুরা)
-সাফুরার কাপলে পড়ে থাকা ছোট ছোট চুল গুলো ককপাল থেকে শরিয়ে কানের কাছে গুজে দিয়ে, তাইতো বলছি ধাক্কা দেও নয়তো আরেকটা দিন আমার সাথে থাকতে হবে।।
দু হাত টানা দিয়ে আমার জন্য কিন্তু তা অনেক ভাল হবে বেবি কানের কাছে মুখ নিয়ে গেয়ে তোমার সাথে রোমান্স করা যাবে বলে বাকা হাসলো।।।(আয়মান)
– আমি তার কথা শুনে অবাক বেটা কয়কি না না এর সাথে আর এক মুহুর্থেও থাকা যাবে না মনে মনে ভাবলো।।
-ঠিক আছে আমি ধাক্কা দিচ্ছি বলে কমরে ওরনাটা ভালো ভাবে পেঁচিয়ে ধাক্কা দিতে লাগলাম(সাফুরা)
-বেচারি আমার কথা শুনে ভয়ে শেষ। আর তাই ওরনাটা কমরে পেচিয়ে ধাক্কা দিতে লাগলো।।খুব হাসি পাচ্ছে কারন আমি ব্রেকে পা দিয়ে রাখসি।।।
-কি বেপার আরেকটু জোরে ধাক্কা দেও সকালে না খাওয়াই দিলাম,, সব শক্তি শেষ,, (আয়মান)
-জিনা আমার যথেষ্টসংখ্যক শক্তি আছে বুঝলেন।। জোরে চিল্লিয়ে(সাফুরা)
-সাফুরার কথা শুনে কিটকিটিয় হাসছে।।।
তার টর্চার করার ধরনিয়ে এমন উল্টো যা মানুষ হয়তো চিন্তাও করতে পারে নি।।
-আয়মান ইচ্ছা করে এমন করছে।।।
তার সাফুরাকে জালাতে খুব ভাললাগে।।
সে এখনো বুঝতে পারতেসে না এটা ভাললাগা না ভালোবাসা।।।
হয়তো ভাললাগা না তা কি করে হবে যদি এটি যদি সত্য ভালোলাগা হতো তাহলে কি আয়মান কাল সাফুরা অধিকারের কথা বলাতে তার হাতে হাতে তার নামের মহর কি মেরে দিতো?
এসব কিছুর প্রশ্ন তার অজানা। কিন্তু সে এটা জানে যে সাফুরাকে ছাড়া সে অক্ষম।।
তাকে তার চাই, রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে একটি বার তার মুখটি দেখা চাই, সকালে তার মুখটি দেখ ঘুম থেকে উঠতে চায় সে।।
তাইতো সে তার বেড রুমে সাফুরার একটি ইয়া বড় ছবি টানিয়ে রেখে দিয়েছে যেন সব সময় ঘুম থেকে উঠে আর ঘুমতে যাওয়ার আগে সাফুরার মুখ খানা দেখেনেয়।।
এমন কি সে গাড়িতে বাড়িতে অফিসে সব জায়গায় তার ছবি।।
তাহলে কি সুদু এটা ভালোলাগা না কি ভালোবাসা।।। যা বুঝতে সে প্রতি নিয়ত হীমসীম খাচ্ছে।।।
।
-এই আপনি ইচ্ছা করে এমন করতেসেন নাতো?জানালার সামনে এসে একটু ঝুকে(সাফুরা)
-সাফুরার কথায় ধেয়ান ভাঙে আয়মানের,
সে শুধু মাথা নারায় সাইড টু সাইড যার অর্থ না।।(আয়মান)
-আমার সামনে আবার স্টার্ট দিন আমি দেখবো,, হয়তো এটাও আপনার আমাকে টর্চার করার একটি অংশ এক ভ্রু কুজকে বলে উঠে(সাফুরা)
-আয়মান খু্ব ভদ্র ছেলের মতো তার কথা শুনে স্টার্ট দিল। তখন তার ভাব খানা এমন যে সে সাফুরার কথায় উঠে আর বসে।।।
আয়মনের এমন কান্ড দেখে কিছুটা না পুরোটাই অবাকের ৭ আসমান।।
-সাফুরা হয়তো কথাও কোনো গন্ডগোল আছে।(মনে মনে)
-আচ্ছা আমি এবার বিসমিল্লাহ বলে শুরু করছি এতে আল্লাহ আমাদের বরকত দিবে।।
(সাফুরা)
-ওকে বলে বাকা হাসি দিল।।(আয়মান)
-এর হাসি দেহে কিছুটা ভেবাচেকা খেয়ে যায়।।
তার পর গাড়িতে ধাক্কা দেয়ার জন্য রেডি া
হয়।।
১,২,৩ বিসমিল্লাহ্ বলতেই যেই না ধাক্কা দিল আয়মান গাড়ি জোড়ে স্টাট দিয়ে শাহ করে চলে গেল।।
আর সাফুরা তাল সামলাতে না পেরে পড়ে গেল।।
উঠে দেখে আশেপাশে গাড়ির গ ও নেই।।
-এবার বুঝতে পারলাম কেন এমন করছে তিনি ইচ্ছা করে করছে এমন কান্না করতে করতে বলল্?(সাফুরা)
.
??⚫(past)
.
-মা ও মা আর কতো দেড়ি ট্রেনতো ছেড়ে দিবে।। তোমার মেয়েকে পড়ে না নিয়ে চলে যাবে টাক্কু আঙ্কেল।(সাফুরা)
-এতো উল্টা পাল্টা কথা কেন বলিস।।
ট্রেন আবার তোর টাক্কু আঙ্কেল কেমনে হয়।।(আজমিন)
-কেন মা তুমি দেখনি ট্রেনের ড্রাইভারদের যে মাথায় চুল থাকে না ?।
-তোকে কে বলেছে?(আজমিন)
– মা আমি অদ্ভুত ১০০ তে দেখেছি।।বিশ্বাস করো গলায় ধরে পাক্কা বালা প্রমিষ।।(সাফুরা)
-হইসে রাখ তোর আজাইরা পেচাল, এখন তোর ট্রেন চলে যায় না বুঝি।।(আজমিন)
-ও হে তাইতো।। মা যাই বলে হাগ করলাম আর মা কেদে দিল, হায়রে মা তুমি এতো ইমোশনাল কেন আমিতো পরের মাসে আসবোই।।(সাফুরা)
-তাতো আসবি। তোরা বাপ বেটি সব এক।আমাকে একা করে চলে যাচ্ছিস।।(আজমিন)
-ওহো মা।। চোখের পানি মুছে দিয়ে।। তুমি যদি কান্না না থামাও তবে কিন্তু আমি পড়রের মাসে এসে মাছ কাটা শিখবো না।।
আর আমি তো বলেই ছিলাম আমাকে এখানে ভর্তি করিয়ে দাও কিন্তু তুমি আর বাবা তো নাসর বান্দা। বড় চাচার ছেলে মেয়ে ডাকায় পরে তাই তোমাদের চাই আমি ঢাকা পরি।।ওহো মা এবার চোখটা মুছোতো তোমাকে দেখে এখন নাইকা ভবিতার মতো লাগতেসে??(সাফুরা)
-শয়তান মেয়ে যাওয়ার সময়েও আমাকে জালিয়ে যাচ্ছিস?।
এভার আয় তুই তোকে উচিত শিক্ষা দেব বেয়াদব(আজমিন)
-ওহো আমার সেন্টি মা আদুরে কন্ঠে দিয়ো কেমন গালে চুমু খেয়ে ওকে এখন আসি (সাফুরা)
-ওকে ভালো করে যাস সময় মতো খেয়ে নিস।।
আর হোষ্টেলে পৌছে আমাকে কল দিবি কেমন।।
আর হে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে যা যা সবজির নাম শিক্ষিয়েছি ভুলে যাস না কেমন।।(সাফুরা)
-ওকে মামুনী। বের হয়ে গেলাম স্টেশন।।
আমি ঢাকা পড়তে যাচ্ছি মুলত আমার বাবা-মার জন্য।।
কারন এটা তাদের ইচ্ছা ছিল।।
তারাও পড়তে চাইসে।।
মধ্যবিত্ত হওয়ার কারনে তারা পাড়ে নাই।।
তাই আমার জেনো কোনো কিছুতে কস্ট না হয়, সে দিকে সব সময় খেয়াল রাখেন।।
আমিও চাই যেন তার ইচ্ছে পূরন করতে পাড়ি।
এসব ভাবতে ভাতবে ট্রেনে উঠে পড়লাম।।
একা যাচ্ছি প্রথমবার।।
কুব খুশি লাগতেসে আজ।(সাফুরা)
।
সাফুরা তার স্বপ্নের দিকে এগিয়ে যাচাছে।।
সে কি যানে সামনে তার জন্য কি ওয়েট করছে।।
কতো বড় বিপদে সে পড়তে যাচ্ছে।।
।
চলবে,,