#টর্চার
#Apis_Indica(Suraiya_Sattar_Urme)
#Part_13
.
.
-আমার সেই ছোট থেকে শখ ছিল,,ফানুশ উড়ানোর।। বাট ভয় পেতাম তাই কখনো সাহস করে উড়াতে ট্রাই করিনি।। তাই এক্সসাইটেড হয়ে আপনাকে,,, আম সরি।।(আমায়রা)
-কিছুক্ষণ আগে আমু এতটাই খুশি হয়েছিল যে না বুঝ আয়মানকে জড়িয়ে ধড়ে ফেলে।। আয়মান কিছুটা অবাক হলেও পরে বুঝতে পারে।। তাই সেও খুশিতে তাকে জরিয়ে ধরে তার কাছে যেন খুব ভালোলাগছে আমায়রার কাজ গুলো।। আমায়রা যখন বুঝতে পারে তখন সে আয়মানের কাছ থেকে সরে আসে।।
।
-সমস্যা নেই।। বুকে হাত দিয়ে এ জায়গাটা তো তোমারি।। বলে (সুইট স্মাইল দিয়ে)(আয়মান)
।
-আমু কিছুটা লজ্জা পেয়ে রিসোর্ট এর দিক দৌড়ে চলে গেল।।আয়মান এখনো বুকে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে আর হাসছে।।
-ওই দিকে আমাদের টক মিস্টি ঝাল ওয়ালা লাভাররা কি করছে দেখে আসি।।
-নুহা,, এই নুহা,,,(এহসান)
-চোখ বন্ধ করে এহসানের কাধে মাথা রেখে বলল হুম,,,(নুহা)
– আমাদের এইবার আমাদের সম্পর্কের একটি নাম দেয়া উচিৎ না।।(এহসান)
।
-মাথা তুলে চোখ ছোট করে মানে,,,,(নুহা)
।
-মানে বলে ছাদের কর্নার থেকে উঠে দাড়িয়ে,,নুহাকেও দার করলো।। হুট করে এহসান এক হাটুতে ভর নিচে বসে নুহার সামনে একটি আংটি ধরে বলতে লাগে,,,
-will u marry me??
-নুহার চোখ থেকে পানি পড়তে লাগলো। এ খুব খুশি আজ এতো খুশি যে হ্যা বলার আগেই জ্ঞান হারায় নুহা।।
-এহসান নুহার কান্ড আহম্মোক এর মত তাকিয়ে আছে,, আর ভাবছে কি এমন বলাম যে এ মেয় সেন্সলেস হয়ে গেছে।।
-এহসানের সব ভাবনার বাধ ভাঙ্গে কারো চিৎকারে তাকিয়ে দেখে আমু দাড়িয়ে।।(এহসান)
।
– ভাইয়া কি হয়েছে ওর,,, এই নুহা নুহা উঠ কি হয়েছে।। ভাইয়া পানি দাড়িয়ে আছেন কেন ওকে নিয়ে চলেন রুমে (আমায়রা)
।
-আমি কি বলবো আমিতো যাষ্ট বিয়ের জন্য প্রপোজ করেছি তার পরই এমন হয়ে গেছে।। কিছু বুঝলাম না।। (এহসান)
– এহসান কথা বলতে বলতে নুহাকে কোলে করে রুমে নিয়ে এসে শুয়ে দেয়।।
-হুম এখন বুঝলাম কেন এমন হইসে।(আমায়রা)
।
-কেন?(এহসান)
।
-বেশি খুশি হলে ওই সেন্সলেস হয়ে যায়।। হাসতে হাসতে বলতে লাগলো(আমায়রা)
।
-এহসান আমুর কথা কি রিয়েকশন দিবে বুঝতে পারছে না।। সে মাথা চুলকিয়ে বের হয়ে গেল।।আর ভাবতে লাগলো বাহ কি মাইয়ারেই না লাভ করলাম।। যেকিনা খুশি হলেই জ্ঞান হরায়।।
।
।
।
সকাল সকাল ঢোলের বাড়িতে ঘুম ভাঙ্গে সবার।। রাতে দেড়িতে ঘুমানো কারোনে সবার লেট হয়ে গেছে উঠতে।। যেহেতু রাতে বিয়ে হবে তাই আরো সবাই আরামসে গুমাচ্ছে।।
।
ঢোল জোড়সে বাজছে সবাই বেড় হয়ে দেখে আয়মানের কাধে ঢোল আর সে তা বাজাচ্ছে।। তার পাশেই ব্যান্ডবাজারা তার সাথে তাল দিয়ে বাশি ঢোল ইত্যাদি বাজাচ্ছে।।
ঢোলের তালে তালে ছোট বাচ্চারা নাচতে লাগলো।। কিছুক্ষণ পর তার সাথে বড় বুড়ো সবাই যোগ দিল।। চারিপাশে নাচের রোল পরে গেল।।।
।
ঢোলের শব্দে আমু আর নুহা বেলকনিতে চলে আসে এ অবস্থা দেখে নুহা আমুকে নিয়ে টানতে টানতে নিচে নেমে যায়।। আর ডান্স করতেন থাকে।। নুহা আর এহসানতো এক সাথে সেই লেভেলের ডান্স করছে।। তাদের দেখে মনে হচ্ছে যেন ঢোলের তালটা তাদের জন্যই। আমু ডান্স না করে আয়মানের দিক তাকিয়ে আছে। আয়মান ও ঠিক তাই।। তাদের যেন আই কন্টাক্ট এ কথা হচ্ছে।।।।
।
।
?⚫?(past)
.
.
– ব্যাগটি আনপ্যাক করতেই ২ জনের চোখ ছানাবড়া।। খুব সুন্দর ২ টা গ্রাউন।। একটি বেবি পিংক একটি মিস্টি কালার।। ২ টোতেই নাম লিখা।।বেবি পিংক নুহার আর মিস্টি কালার আমুর।।। বাট কে পাঠিয়েছে নাম লিখা নেই।। কি করবে তারা বুঝতে পারছে না।। তাড়া।। সাথে সাথে এহসান কল করে।। নুহা কথা বলতে চলে যায়।। আমু ড্রেসটি নিজের গায়ে জড়িয়ে আয়নায় দেখতে থাকে এ পিঠ ও পিঠ করে।। তার গায়ের সাথে মানিয়েছ খুব।। কিছুক্ষণ পর নুহা এসে জানায় এটা এহসান পাঠিয়েছে।। তাই তাড়া আর সময় নষ্ট না করে রেডি হয়ে নেয়।।
।
দুজনকেই আজ পুতুল পুতুল লাগছে,,,
রেডি হয়ে ২ জনেই চলে গেল এহসানের পার্টি উদ্দেশ্যে।।….
।
-খুব বড় একটা গেট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলো।। বাড়িটির বাহিরে খুব সু্ন্দর করে ডেকোরেশন করা হয়েছে।।। তার সাথে এড করা হয়েছে গ্যাস বেলুন।। যা উপরের দিক উঠে আছে।।। নিচ দিক সুতো দিয়ে বাধা।।
।
।
।
-নাসরিন এই নাসরিন,,, কি হলো তাড়াতাড়ি এ দিকে আয়,,, দেখ এ দিক কিভাবে ফুল গুলো পরে আছে,, এগুলো তোলতো মা।। এ সার্ভেন্ট গুলো কোনো কাজের না।। (আয়মানের মা)
।
– কি হলো মনোয়ারা (আয়মানের মা) চেচাচ্ছ কেন?(আয়মানের পাপা)
– চেচাবো নাতো কি করবো।। আমার ছোট ছেলের বার্থডে বলে কথা কোনো কমতি চাই না।। আর দেখে এদিকে সব কেমন ওগুছালো,,তার উপর মেহমান এখনি এসে যাবে।।(মা)
-আরে চিন্তা করো নাতো।। সব ঠিক হবে।। তুমি প্রতিবারি এত ভয় পাও। আর প্রতি বাড়ি আমাদের বাসার পার্টি গুলোই বেষ্ট হয়।। দেখ এবারো হবে।।(পাপা)
– আয়মানের বাবা-মা কথা বলার মাঝই সদর দড়জা দিয়ে এন্টার করলো নুহা আর আমু,, ঠিক সেই সময় উপরের এক জন সার্ভেন্ট খাচা ভরে গোলাপ ফুলের পাপড়ি নিয়ে যাচ্ছিল তখনি কিচুর সাথে হোচট ছেয়ে এক গাদা গোলাপ ফুলের পাপড়ি ২ জনের উপর পরে গেল।।
– আরে আরে সাকিল কি করলে এটা সাথে সাথে চেঁচিয়ে উঠলো(পাপা)
– আয়মানের মাতো দরজার দিক হা করে চেয়ে আছে।। আয়মানের মার দৃষ্টি অনুসরণ করে আয়মানের পাপাও তাকাও সেও থ।।
-ওগো শুনছো আমি যা দেখছি তুমি কি তা দেখছো।। (মা)
-হুম এক দম ২ টা রাজকুমারিকে দেখতে পাচ্ছি।(পাপা)
-হুম আমি।।।(মা)
-তখনি উপর থেকে দৌড়ে এহসান তাদের ভিতরে নিয়ে আসে।। এহসান তো নুহাকে দেখে ক্রাশ।। হা করে চেয়ে আছে।। তার তো হুশ নেই যে তার দিকে যে তার বাবা মা (?) প্রশ্নবোধক চিন্হ নিয়ে দাড়িয়ে আছে।।
-এহেম এহেম,,,গলাটা পরিস্কার করে এহসানকে বলতে লাগলো তার পাপা,,,
-বাবা,,, এরা কারা,,? তোমার গেস্ট বুঝি? তা বাহিরে কেন মারা আসো ভিতরে আসো।।(পাপা)
।
-ইয়ে মানে হে পাপা আমার ফ্রেন্ড।। মাথা চুলকাতে চলকাতে।।(এহসান)
।
।
চলবে,,,,