#ডাক্তার_মিস
পর্ব ২০
“আমি বিবাহিত।”
এইটুকু বলেই থেমে গেল রায়হান। ওর এই ছোট্ট স্বীকারোক্তি হাসপাতালের কেবিনটাতে যেন একটা ছোটখাট বোমা ফেলল। বুশরা প্রেসক্রিপশনে চোখ বুলাচ্ছিল। ব্যাপারটা বুঝতে কয়েক সেকেন্ড লাগে ওর। তারপরই বিস্ফোরিত চোখে তাকাল রায়হানের দিকে।
মুখ দিয়ে আপনাআপনি বেরিয়ে এলো,
“আর ইউ জোকিং মিঃ চেয়ারম্যান?”
রায়হান সিলিঙয়ের দিকে তাকিয়ে ছিল। বুশরার প্রশ্ন ওর কর্ণগোচর হলো না বোধহয়। তবে প্রশ্নটা করেই বুশরার মনে হল ও ভুল প্রশ্ন করে ফেলছে। খুব কষ্টে হৃদয়পোড়া গন্ধ ধামাচাপা দিয়ে আলতো করে বলল,
“কখনো শুনিনি তো। আপনার স্ত্রী…. ?”
কৌতূহল হলেও প্রশ্নটা শেষ করলনা বুশরা। পাছে অনধিকার চর্চা হয়ে যায় যদি। রায়হানের সিরিয়াস টাইপ প্রেমিকা ছিল, ব্যাপারটা বোঝার পরেও অবাধ্য অনুভূতিগুলোকে শাসন করতে পারেনি বুশরা। অজান্তেই আকৃষ্ট হয়েছে মানুষটার প্রতি। কিন্তু হঠাত করে এই নির্মম সত্যিটা জানার পর পা টলে উঠলো ওর। নিঃশব্দে একটা চেয়ার টেনে নিয়ে বসে পড়ল। চেহারা থেকে অনুভুতিগুলো আড়াল করার আপ্রাণ চেষ্টা করল।
রায়হান বলতে শুরু করল, “কখনো শোনেননি কারন বিয়ের সাক্ষীরা ছাড়া কেউ জানেনা। পাগলের মত ভালবাসতাম। পাগলামি করেই ক্যাম্পাসে থাকতে বিয়ে করেছিলাম আমরা। ইচ্ছা ছিল পড়াশুনা শেষ করে পরিবারের সম্মতিতে আবার বিয়ে করে সুখী সংসার শুরু করব।”
“তারপর?” , কাঠের পুতুলের মত প্রশ্ন করল বুশরা।
“রূপকথা চায়নি আমি গ্রামে ফিরে আসি। ও দেশ দেখতে চেয়েছিল, চেয়েছিল বিশ্ব ঘুরতে। পাখির মত উড়তে ছেয়েছিল। আর… আমিও ওর ডানা ছেঁটে দিতে চাইনি। ও ভেবেছিল বিয়ের পরে আমি গ্রামে ফেরার পাগলামি বাদ দিব। কিন্তু আমাদের ভালবাসা এতই ঠুংকো ছিল যে কেউই ভালবাসার জন্য নিজের স্বপ্ন বিসর্জন দিতে পারিনি।”
লোকে বলে পুরুষ মানুষের কাঁদতে নেই। কিন্তু এই মুহুর্তে রায়হানের চোখজোড়া চকচক করছে। দুফোটা পানি গড়িয়ে পড়বে যেকোন মুহুর্তে। প্রিয় পুরুষের অব্যাক্ত কষ্ট অনুভব করে বুশরারও গলা ভারি হয়ে এল। সব অভিমান গিয়ে পড়ল রূপকথা নামের অদেখা মেয়েটার উপর।
“আপনার ওয়াইফ খুব বোকা। এত ভালবাসা কেউ পেয়ে হারায়?”
” আমার মনে হয় নাহ। ওর জায়গায় অন্য কোন মেয়ে হলেও হয়ত একই কাজ করত।”
“মোটেই নাহ… আমি হলে যক্ষের ধনের মত এই ভালবাসা আগলে রাখতাম।” , বিড়বিড় করে একথা বলল বুশরা।
“কিছু বললেন মিস?”
থতমত খেল বুশরা। ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে আমতা আমতা করে বলল, “আপনি হঠাত আমাকে এত গোপন কথা বলছেন যে?”
কোনও রকম ভণিতা না করে রায়হান বলল, “কারণ আপনার গলায় যে লকেটটা ঝুলছে ওটা আমার ওয়াইফের জন্য বানানো হয়েছিল।”
বুশরা এত অবাক হল যে কথা বলতেও ভুলে গেল। আঙ্গুল ছোয়ালো লকেটটায়। সংবিৎ ফিরে পেতেই বলে উঠলো, “আমি আসলে জানতামনা। আমি এখুনি খুলে দিচ্ছি।”
“তাতে তো আম্মার ইচ্ছা বদল হবে না মিস।”
কিছুক্ষণ দুজনেই কোন কথা বলল না।
নীরবতা ভেঙ্গে বুশরা বলল, “আমি জানতামনা চাচীআম্মা এরকম পরিকল্পনা করছে। আপনি চিন্তা করবেন না। আপনি চাইলে আমি চাচীআম্মাকে বুঝিয়ে বলতে পারি।”
“আর আপনি কি চান?” , প্রশ্নটা করে অন্তর্ভেদী দৃষ্টিতে বুশরার ডীকে তাকালো রায়হান। চোখে চোখ পড়তেই ধরা পড়ার ভয়ে অন্যদিকে তাকাল বুশরা।
মুখে কিছু না বললেও যা বোঝার বুঝে গেল রায়হান।
আলতো করে বলল, “বুশরা, আমি আপনাকে হয়ত একটা ভরা পরিবার দিতে পারব। স্ত্রীর সম্মানও দিতে পারব। দায়িত্ব পালনেও অবহেলা হবে না আমার দিক থেকে। কিন্তু অনুভূতির উপর তো জোর চলে না। আমার সময় লাগবে। ঠিক কতটা… আমি জানিনা।”
একটু থেমে আবার বলল, “আম্মা আব্বা আপনাকে খুব ভালবাসে। খুব অল্প সময়ে আপনি সবার মনে অনেকটা যায়গা করে নিয়েছেন। আপনাকে সসম্মানে নিজের কাছে রাখার জন্যই হয়ত আম্মা আপনাকে পুত্রবধূ করতে চাচ্ছে। আপনাকে হয়ত কিছুদিনের মধ্যেই নিজের ইচ্ছার কথা জানাবে আম্মা। তার আগেই আমি আপনাকে আমার একান্ত গোপন অনুভূতিগুলো জানালাম। এখন সিদ্ধান্ত আপনার।”
“আর আপনার সিদ্ধান্ত? জানিয়েছেন?”
“আমি আম্মাকে ভালবাসি। রূপকথার চেয়ে অনেক বেশি। আম্মা আপনাকে আদরে, আহ্লাদে নিজের কাছে রাখতে চায়। বহুদিন পর আম্মা মুখ ফুটে কিছু চেয়েছে আম্মার কাছে। আমি অবশ্যই সেটার ব্যাবস্থা করে দিব। আপনার সিদ্ধান্ত না বোধক হলে অন্য কোনভাবে। দরকার হলে আমি নিজে অন্য কোথাও থাকবো। তাহলেই তো আর কেউ আমাকে আপনাকে জড়িয়ে কিছু বলতে পারবে না।”
ফোনের বেসুরো রিংটোনে কেবিনের গুমোট ভাব কেটে গেল। জরুরি রোগী আসায় কথা আগালোনা আর। এক মুহুর্ত দেরী না করে বেরিয়ে গেল বুশরা। নেমে পড়ল রোগী নিয়ে নিত্যদিনের যুদ্ধে।
তার কিছুক্ষণ পরেই শিউলি বেগম আর রুস্তম শেখ এসে পড়লেন। চেয়ার টেনে ছেলের মাথার কাছে বসলেন। আলতো করে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। আর নিঃশব্দে চোখের পানি ফেললেন।
“আম্মা আমি ঠিক আছি তো। এত কাঁদে কেউ? আব্বার ও মুখ শুকায়ে গেছে।”
শিউলি বেগম বললেন, “নিজে যেদিন বাপ হবি সেদিন টের পাবি।”
বরাবরের মতই এ কথা শুনে কাষ্ঠহাসি হাসল রায়হান।
চলবে??
#ডাক্তার_মিস
পর্ব ২১
এর পরের দিনগুলো কেটে গেল স্রোতের মতন। বাসা, হাসপাতাল, হাসপাতাল বাসা ছোটাছুটি করতেই কাহিল বুশরা। সক্কালবেলা উঠে কোন মতে ওটস বা রেডি রুটি খেয়ে বেরিয়ে যায়। দুপুরে খাওয়ার জন্য ব্যাগে থাকে ইন্সট্যান্ট নুডলস। অবশ্য ব্যাগের নুডলস ব্যাগেই থেকে যায় বেশিরভাগদিন। শেখ বাড়ি থেকে নিয়ম করে টিফিন ক্যারিয়ার পৌঁছে যায় দুপুর বেলা। শিউলি বেগমকে বার বার নিষেধ করেও কোন লাভ হয়নি।
যে দুয়েক দিন কফিল চাচা থাকে না বাড়িতে, চাচী ফোন করে খুব অনুরোধ করেন বাড়ি গিয়ে খেয়ে আসার। নানা অজুহাতে এড়িয়ে যায় বুশরা। ওবাড়িতে যাওয়ার কথা উঠলেই রায়হানের মুখোমুখি হওয়ার অস্বস্তি জেঁকে বসে। এক পশলা মন খারাপের বৃষ্টিতে ভেসে যেতে চায় মনপ্রাণ।
তবে আজ কোন ভাবেই অজুহাত দাঁড় করাতে পারলো না বুশরা। চাচীআম্মার জেদের কাছে হার মেনে লাঞ্চটাইমে শেখবাড়ি গেল বুশরা। হাতমুখ ধুয়ে খেতে বসে দেখলো বাহারি আয়োজন।
“বাসায় গেস্ট আসবে নাকি চাচীআম্মা?”
“তুমি নিজেই তো গেস্ট হয়ে গেছো। কত অনুনয় করে নিয়ে আসা লাগে। আবার বলে চাচীআম্মা! একবার মনে ও পড়েনা। এই মেয়েকে নাকি আমি আদর দিয়ে মাথায় তুলছিলাম।”, অভিযোগের সুরে বললেন শিউলি বেগম।
বুশরা মৃদু হেসে বলল, “অন্নেক রোগীর চাপ থাকে, কি করব বলো?আর বিকালে আসলে তো সন্ধ্যা হয়ে যাবে। ফিরতে এমনিই সন্ধ্যা হয়ে যায়।”
“হইছে, আর কারন দেখানো লাগবে না। খাওয়া শুরু করেন।”
“তুমি খাইছো?”
“না”, অন্যদিকে তাকিয়ে উত্তর দিলেন তিনি।
” কয়টা বাজে দেখছ? আসো আমার সাথে খাবে।”
বিনা বাক্যব্যয়ে খেতে বসে গেলেন শিউলি বেগম। তবে খাওয়ার চেয়ে বরং কিশোরী মেয়েদের মত ভাত নাড়াচাড়া করতে থাকলেন।
বুশরা খেয়াল করে বলল, “এত্ত কিছু রান্না করছো। খাচ্ছো না কেন?”
ইতিউতি করে নিজের মনের কথা বলে ফেললেন শিউলি বেগম। এই দিনটা শিঘ্রই আসবে, সেটা জানতো বুশরা। তৈরিও ছিল মনে মনে। গলার চেইনটা ছুয়ে বহুবার চিন্তা করেছে, কি চায় ও। তবু আচমকা চাচীআম্মার মুখে কথাটা শুনে বিষম খেল ও। পানি খাওয়ানোর জন্য ব্যাস্ত হয়ে পড়লেন শিউলি বেগম।
একটু ধাতস্থ হতেই শিউলি বেগম বললেন,
“বিয়েতে রাজি না হলেও তুই কিন্তু আমার মেয়েই থাকবি বুশরা। ঠিক যেমনটা এখন আছিস।”
একটু ভেবে বুশরা বলল, “আর রাজি হলে বউমা হয়ে যাবো?”
“মা হবি আমার, মা।”
“এত ভালোবাসো কেন?”, অশ্রুসিক্ত চোখে মধ্যবয়সী রমনীটিকে বাম হাতে জড়িয়ে ধরলো বুশরা।
” আমি কি হ্যাঁ ধরে নিব? নাকি না?”
“যেটাতে তুমি খুশি হও সেটাই সই।”
চিন্তার রেখা ভেদ করেও শ্যামবর্ণা গালদুটো লজ্জারাঙা হলো সহসাই। সারামুখে আঙুল ছুয়ে দিয়ে চুমু খেলেন শিউলি বেগম।
“লক্ষী মা আমার।”
বুশরার রাজি হওয়ার খবর রায়হানের কান পর্যন্ত গড়াতে চব্বিশ ঘন্টাও দেরি হলো না। বুশরার সিদ্ধান্ত আন্দাজ করত্র পেরেছিল রায়হান, কিন্তু এর নেপথ্যে কারনটা কি রায়হানের প্রতি ছেলেমানুষী অনুভূতি নাকি এই পরিবারের মানুষগুলোর আরো আপন হওয়ার চেষ্ঠা, সে বিষয়ে সন্দিহান সে।
তবে কারন যেটাই হোক, রায়হান ব্যাক্তিত্ববান পুরুষ। দায়িত্বে অবহেলা ওর রক্তে নেই। এতদিন যে দায়িত্ব থেকে পালিয়ে বেড়িয়েছে, আজ সেটা দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে। ফলস্বরূপ, সে বিচলিত, চিন্তিত। তাছাড়া সবকিছু সামলে ওঠার জন্য হাতে সময় বেশ কম।
শিউলি বেগম উঠে পড়ে লেগেছেন সপ্তাহ দুইয়ের মধ্যেই বুশরাকে ফিরিয়ে আনার। আর রুস্তম শেখও চাচ্ছেন, ছেলে সিদ্ধান্ত বদলের কোন সুযোগ খোঁজার সময় না পাক। ওদিকে বুশরার পরিবার বলতে কেউ নেই বললেই চলে। তাই ওদিক থেকে বাগড়া দেওয়ার কেউ নেই।
সিদ্ধান্ত হয়েছে যে গায়ে হলুদ, বিয়ে, বৌভাত সবই শেখ বাড়িতেই হবে। তবে সে কয়দিন রায়হানের যায়গা হবে ওর ছোট চাচার বাড়িতে। মানে নিজের বাড়িতে নিজেই উদ্বাস্তু। কি জাদু যে করেছে মেয়েটা সবাইকে। ভেবে পায়না রায়হান।
বিয়ের কেনাকাটা চলছে জোরেসোরে। তবে সেখানে রায়হানের ভূমিকা নেই বললেই চলে। ও ব্যাস্ত নিজের কাজ নিয়ে৷ বুশরাও কম কিসে। সারাদিন তো হসপিটালেই পড়ে থাকে। বিকালে হসপিটালের সামনে থেকে ওকে গাড়িতে তুলে নেয় রুকু আর শিউলি বেগম। দোকানপাট বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত চলে কেনাকাটা। বেশি রাত হয়ে গেলে গ্রামে না ফিরে গাদাগাদি করে থেকে যায় বুশরার এক রুমের বাসাতেই।
এর মাঝে রায়হানের সাথে একবারও দেখা সাক্ষাৎ হয়নি ওর। তাই দ্বিধাদ্বন্দগুলো ডালপালা ছড়াচ্ছে ইচ্ছামত। কিন্তু একই সাথে একরাশ ভাললাগার আবেশেও ভাসছে বুশরা। পরিজনহীন বুশরা কখনো ভাবেনি ও যে ওর বিয়েতে এত ধুমধাম হবে। সবকিছু ছাড়িয়ে একটা কানায় কানায় ভরা একটা পরিবার, আর পরিবারের মানুষগুলোর ভালবাসায় মুগ্ধ বুশরা। এত ভালবাসার প্রতিদানে নিজের জীবনটাও বিলিয়ে দিতে দু’বার ভাববে না ও। সেখানে রায়হানতো ওর পছন্দের মানুষ, হোক তার অতীতটা অন্য কারো। ভবিষ্যতটা নাহয় নিজের করে নেবে সযত্নে।
বিয়ের মাত্র তিনদিন বাকি। কেনাকাটা মোটামুটি শেষ। গহনা রেডি হতে আরো দুয়েকদিন লাগবে হয়তো। শুধু বিয়ের আর হলুদের শাড়ি কেনা বাকি। হাসপাতাল থেকে বের হতেই দেখলো গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। তবে অবাক করা বিষয় হলো, গাড়ির একপাশে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মানুষটা। আজ হঠাৎ কি হলো। নিজেকে চিমটি কাটে বুশরা। ব্যাথার অনুভূতিরা জানান দেয়, সামনের মানুষটা ভ্রম নয়।
বুশরাকে আসতে দেখে ঘুরে গিয়ে গাড়ির দরজা খুলে দিল রায়হান৷ অন্যদিন পেছনে বসলেও রায়হানকে আগ্রাহ্য করলনা ও। চুপচাপ উঠে বসলো। দরজাটা বন্ধ করে ড্রাইভিং সিটে এসে বসলো রায়হান। বুশরা খেয়াল করল আজ রুকু বা শিউলি বেগম কেউই আসেনি। বুশরার জিজ্ঞাসু দৃষ্টি উপেক্ষা করে গাড়ি চালানোয় মনযোগী হল রায়হান। অনেক্ষন কেউ কোন কথা বলল না। অস্বস্তির গুমোট ভাব ছড়িয়ে পড়েছে গাড়ির কোনায় কোনায়। গ্রাম ছাড়িয়ে মফস্বলি এলাকায় ঢোকার পর রায়হান বলল,
“আম্মার শরীর এত ধকল নিতে পারছে না। তাই আজ আমি আসলাম। আপনাকে কি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেললাম?”
“না তো।”, সংক্ষিপ্ত জবাব বুশরার।
“তাহলে একদম চুপচাপ যে?”
“আপনাকে বিরক্ত করতে চাচ্ছিলাম না।”
“বিরক্ত হলে আসতাম না। শাড়ির দোকানে গিয়ে কিছু পছন্দ না হলে আবার এরকম ভাববেন না যেন। আমার না হলেও আপনার তো প্রথমবার। শখগুলো মিটিয়ে নিন। এই দিনগুলো আর ফেরত আসবে না।”
“অতীতেটাকে কথায় কথায় টেনে আনা কি খুব জরুরি?”
বুশরার প্রশ্ন শুনে ফিরে তাকালো রায়হান। মেয়েটার ব্যাথিত চেহারা দেখে বলল,
“আমি যে এখনো অতীতই মুখ থুবড়ে পড়ে আছি, বুশরা। টেনে তুলবেন আমায়?”
চলবে…