তুই আমার জানপাখি পর্ব-০১

0
5687

তুই আমার জানপাখি
writer : fariya Siddique
Part 1

In London
মামনি এবার ওঠ।আর কত ঘুমাবি।দেখ 9:49 বাজে।University তে যাবি না???(ছোটআব্বু)
এই কথা শোনা মাত্রই ঘুম থেকে লাফ দিয়ে ওঠে ছোটআব্বু কে জড়িয়ে ধরে দৌড়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম।৷ এবার গল্পের নায়িকা মানে আমার সম্পর্কে কিছু জানা যাক
( নাম ফারিয়া সিদ্দিকী সৃষ্টি।অনার্স ২য় বর্ষে পড়ে।উচ্চতা ৫” ৬’,ফরসা এক কথায় বলতে গেলে খুবই সুন্দরী। কিন্তু খুবই জেদি আর রাগি আর প্রতিবাদী।আমার পরিবার বলতে আমার ছোট আব্বু,ছোট মা আর আমার ভাইয়া।আর আমার দুই টা বেস্ট ফ্রেন্ড আছে।আমার পরিবার সম্পর্কে আরও অনেক কিছু জানতে পারবেন আস্তে আস্তে।)

ওয়াশরুম থেকে বাহির হয়ে রেডি হয়ে নিচে নামতেই দেখি ভাইয়া,ছোট আব্বু,ছোট মা।
এবার আসুন আমার পরিবারের সবার সম্পর্কে কিছু জানা যাক।
(আমার ভাইয়ার নাম ফারদিন সিদ্দিকী স্রোত। London এর নাম করা বিজনেসম্যান। দেখতে খুবই সুন্দর। স্মার্ট, হ্যান্ডসাম।উচ্চতা ৬” ১’।খুবই বদমেজাজি,রাগি,জেদি।সবাই বলে আমি নাকি একদম ভাইয়ার মত হইসি।ছোট আব্বু ও ভাইয়ার মত বিজনেসম্যান আর ছোট আম্মু ফ্যাশন ডিজাইনার। আর পরিবারের সবার জান আমি।আমাকে তিনজনে খুব খুব আদর করে।কিন্তু ভাইয়া একটু বেশি এ করে।)

good morning ভাইয়া।(আমি)
good morning টুকু (ভাইয়া)
good morning ছোট আব্বু,ছোট মা।(আমি)
good morning Princess (ছোট আব্বু আর ছোট মা)
ঘুম কেমন হল?(ভাইয়া)
খুবই ভালো। (আমি)
তারপর ভাইয়া আর ছোট আব্বু বিজনেস নিয়ে কথা বলতে লাগল।
খাওয়া শেষ করে সবাই সবার গাড়ি নিয়ে বের হয়ে পরল।আর আমি বাইক নিয়ে University তে চলে আসলাম।গিয়ে দেখি আমার দুই কুত্তা আমার ওপর সেই ভাবে ক্ষেপে আছে।কারণ আমি আজকেও লেট করে আসছি।
এবার এই দুই কুত্তা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
(বিশাল পান্ডে আর জন।বিশাল ভারত থেকে হলেও তার মা বাবা এখানেই সেটেল।আর জন হচ্ছে আমার ছোট আব্বু র খুবই ভালো বন্ধু র ছেলে। তারা দুজই দেখতে মাশাল্লাহ। কিন্তু এদের কপালে এখন কোন মেয়ে জোটে নাই।)
তুই সবসময় এমন করিস।যা তোর সাথে কোন কথা নাই।(বিশাল)
আরে বাবা সরি বললাম তো।এবার মাফ করে দে।প্লিজ (আমি)
নো। টুই প্রটিদিন এমম করিস।(জন)
তুই এতো বছর আমাগোর সাথে থাইক্কা বাংলা ভাষা শিখতে পারলি না রে ছেমরা।(আমি)
তুই যতই কথা ঘুরানোর চেস্টা করস আমরা আজকে মাফ করছি না।(বিশাল)
yes,he is right(জন)
ok,বাবা এবার লাস্ট বারের মত সরি।প্লিজ(আমি)
ok.last time (জন আর বিশাল)

ক্লাস শেষে প্রিন্সিপালের রুম এ ডাক পরল।গিয়ে শুনি আমাদের তিনজন কে বাংলাদেশ এ যেতে হবে এক টা প্রজেক্টের কাজে।দুই কুত্তা খুবই খুশি কিন্তু আমি খুশি না।কারন পরে জানতে পারবেন।

বাসায়
আমি কিছুতেই যেতে দিব না তোকে। (ভাইয়া)
একদম ঠিক বলেছে ফারদিন (ছোট আব্বু)
ভাইয়া,ছোট আব্বু তোমরা বুঝার চেস্টা কর।এই প্রজেক্ট টা কম্পলিট না করলে আমি সেমিস্টারে ফেল করব। (আমি)
আমরা কিছু শুনতে চাই না।(ভাইয়া আর ছোট আব্বু)
আমি রাগ করে নিজের রুম এ গিয়ে ঠাস করে দরজা বন্ধ করে দিলাম।সারাদিন কিছু খেলাম না।রাতেওখেলাম না। দরজা ও খুললাম না।ভাইয়া এসে বলল যে
তুই জানিস তোকে কেন আমরা যেতে দিতে চাইছি না।আচ্ছা আমি যেতে দিতে পারি একশর্তে।
সত্যি…….(আমি)
ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে বললাম।
হুম।কিন্তু তুই ঢাকার বাইরে যেতে পারবি না।আমি যেই বাড়িটা কিনেছি ওই টা থাকতে হবে।আর আমি কিছুদিন পরে যাব।(ভাইয়া)
done.(আমি)

ln Bangladesh

রুদ্র খান।বাংলাদেশের টপ বিজনেসম্যান আর most powerful মাফিয়া।মাত্রই কতগুলা খুন করে এসে ফ্রেশ হয়ে নিজের রুম এ বসে অফিসের কাজ করছিল।এমন সময় তার ছোট বোন এসে বলল
এসব আর কতদিন। এবার তো একটা বিয়ে কর।অবশ্য তোর মত পোলারে কে মাইয়া দিব।(রুশা)
তবে রে।দাড়া( রুদ্র)
দুই ভাইবোন এভাবেই ঝগড়া করতে থাকে।
এবার আসুন আমার নায়ক মানে রুদ্র ও তার পরিবার সম্পর্কে কিছু বলি
(রুদ্র দেখতে মাশাল্লাহ। ৬” ২’ লম্বা,বডিবিল্ডার।আমার থেকে হাজার গুনে রাগি,জেদি,বদমেজাজি আর নিজের যা ইচ্ছা তাই করবে।পরিবার বলতে মা,বাবা,আর ছোট বোন।পরিবারের সবাই তাকে না তার রাগ কে ভয় পায়। সেও আমার ভাইয়ার মত নিজের ছোট বোন কে খুবই ভালবাসে।তার বাবাও একজন বিজনেসম্যান। তাদের কম্পানির নাম খান ইন্ডাস্ট্রিয়াস।আর আমাদের টার নাম F.S.S company..। আর রুদ্র র মা একজন গৃহিনী।)

In london

আমি আর ভাইয়া কান্না করেই যাচ্ছি। কারন একটু পরে আমার ফ্লাইট। আমাদের শান্তনা দিচ্ছেন ছোট আব্বু আর ছোট মা।
নিজের খেয়াল রাখবি।ঠিকমত খাওয়াদাওয়া করবি।আর ভাইয়া খুব তাড়াতাড়ি চলে যাব বাংলাদেশ এ। (ভাইয়া)
ok তুমিও নিজের খেয়াল রেখ।। (আমি)
ছোট আব্বু,ছোট মা আদর করে দিল।আমি ও ফ্লাইট এ উঠে গেলাম।আমি একাই যাচ্ছি।কারন আমার দুই কুত্তার ভিসায় সমস্যা থাকার কারনে যেতে পারছে না।তারা ওএসে বিদায় দিয়ে গেল।
অনেক বছর পর ওই দেশে যাচ্ছি যেই দেশে আছে আমার কস্টেবরা অতীত। আর কিছু কি অপেক্ষা করছে আমার জন্য।

চলবে…….

সবাই গঠনমূলক মন্তব্য করবেন। আশাকরি ভালো লাগবে।