তুই আমার জানপাখি পর্ব-১৪

0
3719

তুই আমার জানপাখি
Faria Siddique
Part 14

ভাইয়া আর রুশার মাঝে সব কিছু ঠিক হয়ে গেছে।।।আসলে আমার ভাইয়াই সব ঠিক করেছে সেইদিন।।।রুশার রাগ ভাগ্ঙিয়ে সব কিছু ঠিক করে এসেছে।।।।।
ভাইয়াকে খুশি দেখে আমারও খুব খুশি লাগতাছে।।।।।আজকে আমি আর ভাইয়া যাব রুশাদের বাসায় ভাইয়া আর রুশার বিয়ের ডেট ফিক্সড করতে।।।
আমার খুব ইচ্ছা বড় ভাইয়াকে নিয়ে আর দাদা দাদুকে নিয়ে ভাইয়ার বিয়ের ডেট ফিক্সড করার।।।।।
ভাইয়া রুমে বসে চিলির।। আমি গিয়ে দরজা নক করলাম।।।।
আমিঃভাইয়া আসব?????
ভাইয়াঃতুই আবার আমার রুমে আসার জন্য পারমিশন কবে থেকে নেয়া শুরু করলি???????
আমিঃএখন থেকেই পারমিশন নেয়ার অভ্যাস করছি।।।।কিছুদিন পর থেকে তো পারমিশন নিয়েই ঢুকতে হবে।।।।।
ভাইয়াঃতবে রে।।।দাঁড়া বলছি।।।।
ভাইয়া আমার পিছনে পিছনে দৌড়াতে থাকল।।।।।
আমিঃআচ্ছা বাবা আর বলব না।।।।।।
ভাইয়াঃ আমার যতই বিয়ে হোক আর যতই সুন্দরী বউ আসুক তোকে কখনও এইটুকু অবহেলা করব না।।।।।।।
আমিঃ আমি জানি।।।।।
Love u বলে ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরলাম ভাইয়াও love u tuku বলে জড়িয়ে ধরল।।।।
এমন সময় রহিম চাচা আসল আর বলল
রহিম চাচাঃভাইবোনের ভালবাসা শেষ হলে এবার খেতে চল।।।।
আমি আর ভাইয়াঃ আসছি।।।।।।
আমি আর ভাইয়া খাবার টেবিলে বসে খাচ্ছি।।।
আমিঃ ভাইয়া একটা কথা বলব।।।।।
ভাইয়াঃবল।।।।
আমিঃনা আগে প্রমিস কর রাখবে।।।।।।
ভাইয়া কখনও আমার সাথে করা প্রমিস ভাংগে না।।।।।তাই আমি এটারই সুযোগ নিলাম।।।
ভাইয়াঃ হুম্ম করলাম প্রমিস।।।
আমিঃআমি চাই বড় ভাইয়াও আমাদের সাথে যাক।।।।।।
ভাইয়া খাওয়া বন্ধ করে আমার দিকে তাকালো।।।।।।।
আমিঃপ্লিজ ভাইয়া।।।।।দেখ ভাইয়ার তো কোন দোষ নাই তাহলে কেন এমন করছ ভাইয়ার সাথে।।প্লিজ ভাইয়াকে মাফ করে দাও।।।।।
ভাইয়াঃ ওর সবচেয়ে বড় দোষ হচ্ছে আমাদের ছেড়ে চলে যাওয়া।।।
আমিঃতাতে তো ওর কন্যা দোষ নাই।।।।।বড় ভাইয়ার জায়গায় তুই থাকলে তুই ও তাই করতি।।।।।
ভাইয়াঃওকে আমি তোর কথা রাখব।।।।।
আমিঃ এই না হল আমার ভাই।।।।।
ভাইয়াঃ হইছে এবার খা।।।।।পাগলি একটা।।।।
খাওয়া শেষ করে বড় ভাইয়াকে কল করে সব বললাম।।।।ভাইয়া তো হেব্বি খুশি আর বলল আমাদের জন্যও নাকি সারপ্রাইজ আছে।।।।
রাতের বেলা আমি আর ভাইয়া বের হলাম রুশারদের বাড়ির উদ্দেশ্যে।।। বড় ভাইয়া একবারে ওখানে চলে আসবে।।।।
আমি আর ভাইয়া গিয়ে দেখি বড় ভাইয়া দাঁড়িয়ে আছে।।।।আমি গিয়ে ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরলাম।।।।।বড় ভাইয়া ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরতে চাইলেই ভাইয়া ভিতরে চলে যায়।।।।।।
ভিতরে গিয়ে দেখি সবাই বসে আছে।।।।।
আমাকে দেখা মাত্রই রুশা এসে জড়িয়ে ধরল।।।।।রুদ্রর দিকে আমি তাকালামি না কারন ওর এটা শাস্তি।।।।
আমার দুইভাই একসাথে ভিতরে ঢুকল।।।।
যেহেতু এখানে আমি ছাড়া কেউ জানে না যে আমার ভাইয়ারা যমজ তাই সবাই হা হয়ে তাকিয়ে আছে।।।।।।
রুদ্রঃ কিরে ফারদিন তুই কোনডা এখানে?????
আমি এবার আমার বড় ভাইয়াকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলাম।।।।।
আমরা সবাই মিলে ভাইয়ার বিয়ের ডেট ফিক্সড করলাম।।।।খাওয়াদাওয়া শেষে চলে আসতে গেলে সবাই মিলে জোর করল থাকার জন্য।।।। তাই আমরা তিনজন থেকে গেলাম।।।।।

রাতে আমি আমার রুমের দরজা লাগিয়ে শুয়ে পরলাম।।।।।।হঠাৎ অনুভব করলাম কেউ আমাকে স্পর্শ করল।।।।আমি লাফ দিয়ে ওঠে যাব ঠিক তখনি আমার মুখ চেপে ধরে বলে উঠল
রুদ্রঃ আস্তে জানপাখি।।।।।।
আমিঃউম উম শব্দ করছি।।।।।
রুদ্র বুঝতে পেরে তারাতারি আমার মুখ ছেড়ে দিল।।।।।।।
রুদ্রঃ সরি।।।।
আমিঃআপনি এখানে এত রাতে!!!!!!!
রুদ্রঃকি করব বল তো তুমি তো আমাকে পাত্তাই দাও না তাই আসলাম তোমার সাথে একটু রোম্যান্স করতে।।।।।(দুস্ট হাসি হেসে)
আমিঃআপনি এক্ষুনি এখান থেকে যান বলছি।।।।
রুদ্রঃ হুদাই চিল্লাইয়ো না।।।। তুমি জানো আমি তোমার কথা শুনব না।।।।
এই বলেই আমার পাশে শুয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরল।।।
আমিঃ অসভ্য লোক।।।।।। আপনি ছাড়েন আমাকে না হলে কিন্তু আমি চিল্লাব।।।।।
রুদ্রঃচিল্লালে আমারি ভাল হবে তারাতারি তোমাকে বিয়ে করতে পারব।।।।
এই বলে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরলেন।।।আমি কিছু বলতে যাব তখনি রুদ্র বলে ওঠে।।
রুদ্রঃ তুমি যদি আর একটা কথা বল তাহলে তোমার সাথে যা হবে তার জন্য আমি কিন্তু দায়ী থাকব না।।।।।
আমি চুপচাপ শুয়ে থাকলাম।।।।।এই লোকের সাথে বিশ্বাস নাই যা খুশি করতে পারে।।।।।
এসব কথা ভাবতে ভাবতে আমি ঘুমিয়ে গেলাম।।।।।
রুদ্রঃ জানপাখি তুমি এত সুন্দর কেন।।।।ঘুমালে পুরাই তোমাকে sleeping beauty এর মত লাগে।। এই বলে আমার কপালে চুমু দিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে নিজেও ঘুমিয়ে গেল।।।।।।

চলবে…………..