#তোকেই ভালোবাসি
#লেখক – তানভীর হৃদয় নীল
##পর্ব – ০৪
— পরের দিন সকালে মামুন ভাই এসে বললো, তোমার কাজ হয়ে গেছে। ছবি গুলো চলে এসে। চাইলে এখনি দেখে নিতে পারো।
তানভীর – ঠিক আছে।দেন ছবিগুলো দেখে নেওয়া যাক চিনতে সুবিধা হবে।
মামুন – এই নাও মোবাইলে সবার ছবি আছে।(মোবাইলটা এগিয়ে দিয়ে)
– ছবিগুলো দেখা শেষ হলে রাকিব বললো, তুই এতো কিছু করলি কখন?
তানভীর – আমি কিছুই করেনি? যার করার মামুন ভাই করছে।
রাকিব – ধন্যবাদ মামুন ভাই।(খুশি হয়ে)
তানভীর – মামুন ভাই আরেক টা কাজ করতে হবে। খুব সতর্কতার সাথে সাথে যাতে কেউ জানতে না পারে।
মামুন – কী কাজ বলো?
তানভীর – ঢাকার এমপির ছেলে অনিক কে কিডন্যাপ করতে হবে।যাতে ও কিছুতেই বিয়েতে উপস্থিত না হতে পারে।
মামুন – কিভাবে কী করবো বুঝতে পারছি না।
তানভীর – আমাদের চারজন লোককে বলে দিন। যেকোনো উপায়ে অনিককে কিডন্যাপ করে।যাতে বিয়েতে কিছুতে না পৌঁছাতে পারে।ওই দিকে বিয়ের কাজটা শেষ হয়ে যাওয়ার পর।আবার অনিককে অজ্ঞান অবস্থায় ওর বাড়ির সামনে ফেলে আসতে।
_ এমন ভাবে কাজটা করবে যাতে অনিক বা অন্য কেউ বুঝতে না পারে।আর একজনকে বলে দিবেন। অনিকের ফোন থেকে ওর বাবার ফোনে একটা মেসেজ পাঠাতে।যে অনিক অন্য একটা মেয়েকে ভালোবাসে।সে তাকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।
মামুন – বুঝতে পেরেছি। কিন্তু রবিন ভাইকে জানানো দরকার ছিলো। আর বিয়েটা ভেঙে গেলে তো মন্ত্রীর মান সন্মান সব শেষ।সাথে মেয়েটার জীবন…
তানভীর – কিছুই হবে না মেয়েটার জীবন।আর বিয়েটাও ভাঙ্গবে না ।
মামুন – কিন্তু পাএ পাবে কোথায়?
তানভীর – আমার সাথে তো দাঁড়িয়ে আছে।
মামুন – কিহ্ ।(অনেকটা অবাক হয়ে)
তানভীর – জ্বী। আমি যা বলছি আপনি তাই করেন। বাকিটা আমি সামলে নোবো।
মামুন – ঠিক আছে। আমি যাচ্ছি।
_মামুন ভাই চলে যাওয়ার পর রাকিব বললো, সবকিছুর জন্য তোকে ধন্যবাদ। কিন্তু রিয়া কি আমাকে বিয়ে করতে রাজি হবে?
তানভীর – সেটা সময় এলেই বুঝবি।
রাকিব – আমার মাথায় কিছু কাজ করছে না।কিভাবে কী করবো?
তানভীর – আগে বিয়েটা শেষ হোক। তারপর ওই সিকরিটি গার্ডকে আর ওকিল কে খুজে বের করবো। তাহলেই সবকিছু জানতে পারবো।
রাকিব – ওদের কী আর এতো সহজে খুঁজে বের করতে পারবো?
তানভীর – দেখা যাক কী করতে পারি।
হঠাৎ নিচে থেকে একজন লোক এসে বললো, তোমাদেরকে রবিন ভাই রেডি হয়ে তার রুমে যেতে বলেছে।
রাকিব – ঠিক আছে। আপনি যান আমরা খুব তাড়াতাড়ি আসছি।
_ লোকটা চলে যাওয়ার পর।আমার দুজনে তাড়াতাড়ি হয়ে রেডি হয়ে রবিন ভাইয়ের রুমে গেলাম। আমাদের দেখে রবিন ভাই বললো, মন্ত্রীর মেয়ের বিয়েতে যেতে হবে। আমাদের সাথে তোমারা ও চলো।আর ওখানে কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে আসল পরিচয় দিবে না।বলবে তোমারা আমার মামাতো ভাই।
রাকিব – ঠিক আছে ভাইয়া।
রবিন – তোমরা দুজন মামুনের সাথে যাও। আমি আর মেহেদী কিছুক্ষণ পরে আসছি।
মামুন – ঠিক আছে ভাই। আমি ওদেরকে নিয়ে যাচ্ছি। আপনারা আসেন তাহলে।
রবিন – ঠিক আছে যা।কোনো সমস্যা হলে আমাকে ফোন করবি।
মামুন – ঠিক আছে ভাই।
_ রবিন ভাইয়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রওনা দিলাম ঢাকার উদ্দেশ্যে। ঢাকায় গিয়ে কিছুক্ষন ঘুরাঘুরি করে। তারপর মামার বাড়িতে গেলাম।ওখানে গিয়ে গাড়ি থেকে নামতেই সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।সবার মাঝেই কথা হচ্ছে এখনোও
বর আসছে না কেন? সমস্যা কী? এই বিয়েটা কী হবে না নাকী?
_কারো মনে কোনো আনন্দ নেই। বিয়ের বাড়ির এই অবস্থা দেখে মামুন ভাই কিছুটা হেসে বললো, ছোট্ট কাজ হয়েগেছে। আমি কিছু না বলে একটা মুচকি হাসি দিলাম।
রাকিব – আগে তো ভেতরে চলেন।
মামুন – হে চলো।
_ভেতরে যেতেই মেহেদী ভাই এসে বললো, এতোক্ষণ লাগে তোমাদের আসতে?
তানভীর – সরি ভাই একটু দেরি হয়ে গেল।
মেহেদী – সরি বলার কিছু নেই। বিয়েটাই নি না হয় দেখ।
তানভীর – ওহ্ আচ্ছা। রবিন ভাই কোথায়?
মেহেদী – রনি মানে তোমার মামাতো ভাইয়ের সাথে।চলো দেখা করবে।
রাকিব – চলেন ভাই।
_ তিনজনে ই মেহেদী ভাইয়ের সাথে যেতে লাগলাম। মেহেদী কিছুটা সামনে যেতেই মামুন ভাইকে বললাম.,,
তানভীর – মামুন ভাই।
মামুন – হে বলো।
তানভীর – লোকদের বলে দিন এমপির ফোনে মেসেজ টা পাঠাতে।(মুচকি হেসে)
মামুন – ঠিক আছে।তোমরা যাও আমি আসছি।
_তারপর রবিন সাথে গিয়ে দেখা করলাম। আমাদের দেখে রবিন ভাই বললো,আসতে কোনো সমস্যা হয়নি তো?
রাকিব – জ্বী না ভাইয়া।
রনি – রবিন কে ওরা?
রবিন – আমার ফুফাতো ভাই।
রনি – ওহ্ আচ্ছা। (কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে)
হঠাৎ মামুন ভাই আমার কানের কাছে এসে বললো,ছোট্ট ভাই বলে দিয়েছি। মনে হয় এমপি সাহেব মেসেজ পেয়ে গেছেন। এমন সময় একজন লোক এসে বললো,রনি ভাইয়া চাচ্চু তোমাকে ভিতরে যেতে বলছে।
রনি – ঠিক আছে। তুই যা আমি আসছি।
রনি – তোমরা এখানে থাকো এখানে। আমি একটু ভিতর থেকে আসছি।
রবিন – ঠিক আছে।
রনি চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর। রাকিব রবিন ভাইকে বললো,ভাই চলেন ভিতরে গিয়ে দেখি কী সমস্যা?
রবিন – ভিতরে যাওয়াটা কী ঠিক হবে?
মেহেদী – আরে চল তো?
রবিন – ঠিক আছে।চল তাহলে…
_ রবিন ভাইয়ের পেছনে পেছনে বাড়ির ভেতরে যেতে লাগলাম। ভিতরে গিয়ে দেখি এমপি সাথে ছোট্ট মামার কথা কাটাকাটি হচ্ছে। এমন সময় রনি মেহেদী ভাইয়ের কাছে এসে বললো, মেহেদী এখন আমার বোনের কী হবে?
মেহেদী – কেন কী হয়েছে?
রনি – এমপির ছেলে অনিক অন্য একটা মেয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছে। এখন কে আমার বোনকে বিয়ে করবে?(হতাশা হয়ে)
মামুন – আপনি চাইলে আমি একজন ভালো পাএের সন্ধান দিতে পারি।
রবিন – কার কথা বলছিস?
মামুন – কেন আপনার ফুপাতো ভাই রাকিবের কথা। সে তো কোনো দিক থেকে কম নয়।
রনি – কিন্তু তার সম্পর্কে আমি তো কিছুই জানি না।
মামুন – কী জানতে চান।ছেলে ভালো বিয়ে দিয়ে দেন। আপনার বোন সুখে থাকবে। কিছুদিনের জন্য আমেরিকা থেকে দেশে এসে। আবার কিছুদিন পর আমেরিকা চলে।ওখানে তাদের বাসা বাড়ি অফিস সব আছে। এবার আপনি ভেবে দেখুন। কি করবেন?এই মূহূর্তে এরচেয়ে ভালো পাএ খুঁজে পাবেন না।
রনি – ঠিক আছে।তোমরা দাঁড়াও আমি বাবার সঙ্গে কথা বলে জানাচ্ছি।
_ রনি চলে যাওয়ার পর। রবিন ভাই বললো, মামুন তুই এইসব কি বললি?যদি একবার জানতে পারে তখন কী হবে?
তানভীর – আরে ভাই এতো কিছু চিন্তা করে লাভ নেই।যা হচ্ছে হতে দিন।
রবিন – কিন্তু……..
মেহেদী – এইসব কিন্তু পরে দেখা যাবে। এখন এইসব বাদ দে।
– কিছুক্ষন পর রনি দৌড়ে এসে বললো…….
চলবে।
#তোকেই ভালোবাসি
#লেখক – তানভীর হৃদয় নীল
##পর্ব_০৫
– কিছুক্ষণ পর রনি দৌড়ে এসে বললো, মেহেদী আব্বু রাজি হয়েছে। তোমাদের কে আব্বুর কাছে নিয়ে যেতে বলছে।
মেহেদী – ঠিক আছে। চলো তাহলে…
– তারপর সবাই ছোট্ট মামার কাছে গেলাম। ছোট্ট মামার কাছে যাওয়া পর। আমাদের দেখে বললো, ধন্যবাদ বাবা। তোমাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আজকে আমার মান সম্মান বাঁচালে তোমারা। চারদিকে লোক জন যে ভাবে বলাবলি করছিলো।আর কিছু সময় গেলে হয়তো।সবাই আমার মেয়েকে নিয়ে নানা রকম বাজে কথাবার্তা বলতো। তারপর আমাকে অপমান করে চলে যেতো।
তানভীর – এতে ধন্যবাদ দেওয়ার কিছু নেই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিয়েটা সম্পন্ন হলে ভালো হয়।
ছোট্ট মামা – কিন্তু জমাই এইভাবে যাবে?
রাকিব – কোনো সমস্যা নেই চলুন।
মামুন – সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি বিয়ের কাজটা শুরু করলে ভালো হবে।
রনি – কোনো কিছু করতে হবে না। এইভাবে চলো সমস্যা নেই।
তানভীর – হুম চলুন।
তারপর রাকিব কে নিয়ে একটা স্টেজে বসানো হলো। কিছুক্ষণ পর কাজি এসে বিয়ে পড়ানো শুরু করলেন। কিছুক্ষণ পর বিয়ের কাজটা সম্পন্ন হওয়ার পর।সবাই আমাদের বিদায় জানালেন।
– আসার সময় রিয়া অনেক কান্নাকাটি করছিলো। রিয়ার সাথে দুজন মেয়ে এসেছে।দুজনে সমবয়সী বয়স সতেরো মতো হবে আর কি।ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ আসতে আসতে প্রায় রাত হয়ে গেলো।
– নারায়ণগঞ্জ এসে রাকিব আর রিয়াকে রবিন ভাইয়ের বাসায় নিয়ে যাওয়া হলো। রবিন ভাইয়ের বাসায় আসার পর।তিন জন মেয়ে এসে রিয়াকে অন্য একটা রুমে নিয়ে গেলে।
– ঢাকা থেকে আসার আগেই আমাদের লোকদের মামুন ভাই ফোন দিয়ে বলে দিয়েছেন।তিন জন মেয়ের সাহায্য নিয়ে বাসর ঘর সাজিয়ে ফেলেছে।তাই এই বিষয় নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি।
– রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে।রবিন ভাইয়ের বউ মানে নিশি ভাবি এসে বললো, কি ব্যাপার রাকিব হঠাৎ বিয়ে করে ফেললে?
রাকিব – হুম।তো কি হয়েছে?
নিশি – কিছু হয়নি যা হওয়ার আজকে রাতে হবে।রুমে যাও রিয়া তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।
রাকিব – আপনি যান।আমি একটু পর আসতেছি।
তানভীর – ভাবি আপনি ওকে নিয়ে ওর রুমে দিয়ে আসেন।ওর কোনো কথা শুনবেন না।
নিশি – চলো তো,এতো লজ্জা পেতে হবে না। এসে আমার সাথে।
– বলেই হাত ধরে টানতে টানতে রাকিব নিয়ে রুমে দিয়ে আসলেন। রাকিব কে রুমে দিয়ে এসে আমাকে বললো,কী এখানে দাঁড়িয়ে আছো কেন? পা ব্যাথা করছে না।নাকী তুমিও.. (বলেই হাসতে লাগলো)
তানভীর – আপনি হাসছেন কেন? দাঁড়িয়ে আছি।এতে হাসার কী আছে?
নিশি – তো কী করবো শুনি?
তানভীর – দেখেন ভাবি আপনি সবকিছুই জানেন।আর ওদের বিয়েটা স্বাভাবিক ভাবে হয়নি। অবশ্যই এর পেছনে আমার হাত আছে।এই কথা রবিন ভাই কিংবা অন্য কেউই জানে না। একমাত্র মামুন ভাইয়েকে ছাড়া। প্লিজ, আপনি কাউকে এইসব বলবেন না। এমনকি রবিন ভাইকে ও না।
নিশি – হুম জানি। কিন্তু রিয়ার হবু বর সত্যি কী পালিয়ে গেছে?(হাসি থামিয়ে)
– তারপর নিশি ভাবিকে সবটা খুলে বললাম। নিশি ভাবি সবটা শুনে বললো,সব ঠিক আছে। কিন্তু ওরা তো একদিন সত্যিটা জেনেই যাবে। তখন কী করবে?
তানভীর – জানুক এতে কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু এখন যদি কিছু দিনের মধ্যে আমাদের আসল পরিচয় জেনে যাই। তাহলে খুব সমস্যা হয়ে যাবে।
নিশি – ঠিক আছে। আমি যতটুকু পারি তোমাদের সাহায্য করবো।আর রিয়া যাতে কিছু জানতে না পারে।সেই বিষয়ে ও সতর্ক থাকবো। তুমি কোনো চিন্তা করো না।
তানভীর – ধন্যবাদ ভাবি। আমি তাহলে আসি।
নিশি – আসি মানে? কোথায় যাবে রাতে?
তানভীর – ফ্যাক্টরিতে যাবো।সকালে আবার আসবো।
নিশি – মানে তুমি এখন ফ্যাক্টরিতে যাবে রাতে থাকার জন্য?
তানভীর – হে কেন?
নিশি – কেন মানে? বাসায় রিয়া বাদে আরও দুই জন মেয়ে এসেছে।তারা যদি দেখে জামাইয়ের ভাই রাতে বাসায় থাকে না। সকালে বাইরে থেকে বাসায় আসে। তখন কী ভাববে তারা?
তানভীর – যা ভাবার ভাবুক। এতো কিছু চিন্তা করে লাভ নেই।
নিশি – এখন থেকে তুমি এখানেই থাকবে। তোমার ভাইয়াও বলে গেছে। আমাদের বাসায় কী জায়গায় কম নাকি? যে তোমাদের রাতে ফ্যাক্টরিতে থাকতে হবে। এতো দিন যে থেকেছো এটাই অনেক। এখন থেকে আমাদের সাথে থাকবে।
তানভীর – না ভাবি এ হয় না। আমি ফ্যাক্টরিতেই থাকবো। তাছাড়া ওখানে কোনো সমস্যা হয় না।
নিশি – কেন হয় না ? আর এখানে থাকতে তোমার সমস্যা কোথায়?
তানভীর – কোনো সমস্যা নেই। এমনিতেই রবিন ভাইয়া আমার জন্য অনেক কিছু করছে। তার জন্য ভাই……..
– আর কিছু বলতে পারলাম না।তার আগেই রবিন ভাইয়া এসে বললো, আর কোনো কথা নয় তানভীর।আজ থেকে তুমি এখানে থাকবে।এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত।
তানভীর – কিন্তু ভাইয়া….
রবিন – কোনো কিন্তু নয়।যদি আমকে বড় ভাই মনো করে। তাহলে আজ থেকে এখানে থাকবে।আর যদি মনে না করো। তাহলে চলে যেতে পারো।কিছু বলবো না।
– আর আজকে যা করেছো তার জন্য ধন্যবাদ জানাই। কারন আনিক ছেলেটা তেমন ভালো না।ওর বুদ্ধিতে রনি এখন আমাকে দিয়ে নানারকম অন্যায় কাজ করাচ্ছে। আমিও তেমন কিছু করতে পারছি না।আমাকে নানাভাবে হুমকি দেয়। এখন কিছুটা হলেও হয়তো রক্ষা পাবো।
রবিন – এবার ভেবে দেখো তুমি কি করবে?(একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে)
– বলেই রবিন ভাই উপরের রুমে চলে গেলেন। আমি কোনো কথা না বলে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম।
নিশি – তারপর ও কী চলে যাবে?
তানভীর – নিশ্চুপ…..।
নিশি – উপরে চলো রুম দেখিয়ে দিচ্ছি।
– আমি কোনো কথা বললাম না। চুপচাপ নিশি ভাবির পেছনে যেতে লাগলাম।নিশি ভাবি আমাকে নিয়ে উপরে একটা রুম দেখিয়ে দিয়ে বললো, এখন থেকে এটাই তোমার রুম।
এখানেই থাকবে তুমি। কোনো সমস্যা হলে আমাকে জানিও।
তানভীর – ঠিক আছে।
– নিশি ভাবি চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর। আমি বিছানায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। হঠাৎ করে রাত তিনটাই……….
চলবে।