#তোকেই ভালোবাসি
#লেখক – তানভীর হৃদয় নীল
##পর্ব – ০৬
– হঠাৎ করে রাত তিনটাই মামুন ভাইয়ের ফোনে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি ফোন রিসিভ করলাম।
মামুন – ছোট্ট ভাই তুমি কোথায়?এখনো ফ্যাক্টরিতে আসো নি কেন?
তানভীর – রবিন ভাইয়ের বাসায় আছি। আজকে আর আসবো না।কেন কোনো সমস্যা হয়েছে?
মামুন – হুম।(কিছুটা মন খারাপ করে)
তানভীর – কি হয়েছে বলেন?
মামুন – তোমার মামাতো ভাই রনি।মানে মন্ত্রী আসাদ চৌধুরীর ছেলে। দুই দিন আগে একটা মেয়েকে ধর্ষণ করেছিলো। সাথে তার তিন বন্ধু ছিলো। মেয়েটি এখনো হাসপাতালে। কিন্তু তার বাবা মারা গেছে।
তানভীর – মেয়ের বাবা মারা গেছে মানে? ওনার কী হয়েছিলো?(অবাক হয়ে)
মামুন – হার্টের রুগী ছিলেন।মেয়ের এই অবস্থা তিনি কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি। অতিরিক্ত চিন্তা করার কারণে। সকালে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যায়।
তানভীর – ওনাদের বাসা কোথায়? বাসায় কে কে আছে?
মামুন – আমাদের ফ্যাক্টরি থেকে পাঁচ মিনিট লাগে যেতে। বাসায় মেয়েটির মা, বড় বোন,আর এক বড় ভাই আছে।
তানভীর – ঠিক আছে। রনির বন্ধুদের কোথায় যাবে এখন?
মামুন – একটা হোটেলে পাওয়া যাবে।। সারা রাত ফূর্তি করে।শেষ রাতের দিকে বাসায় ফিরে।আরেক জনের বাসা ঢাকায়।
তানভীর – ঠিক আছে। আপনি মেয়ের বড় ভাইকে নিয়ে ফ্যাক্টরির সামনে দাঁড়ান। আমি এখুনি আসছি।
মামুন – কেন কি করবে?
তানভীর – এতে কিছু জেনে কি করবেন?যা বলছি তাই করেন?(জোরে ধমক দিয়ে)
মামুন – ঠিক আছে। আমি লোক পাঠিয়ে মেয়ের ভাইকে নিয়ে আসছি। তুমি তাড়াতাড়ি চলে আসো।
তানভীর – হুম আসছি।
– ফোনটা কেটে দিয়ে মোবাইল খাটের উপর রেখে। তাড়াতাড়ি করে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। ফ্রেশ হয়ে এসে বাসা থেকে বের হয়ে গাড়ি নিয়ে। তাড়াতাড়ি ফ্যাক্টরির সামনে চলে গেলাম। গিয়ে দেখি মামুন ভাই আর তার সাথে দুজন লোক দাঁড়িয়ে আছে। আমি গাড়ি থেকে নেমে মামুন ভাইয়ের সামনে যেতেই। মামুন ভাই বললো, চারজনকে পাঠিয়েছি। মেয়ের ভাইকে নিয়ে আসার জন্য।
তানভীর – আর কতক্ষন লাগবে আসতে?
মামুন – খুব তাড়াতাড়ি চলে আসবে। কিন্তু তুমি মেয়ের বড় ভাইকে দিয়ে কী করবে?
তানভীর – রনির দুই বন্ধুকে উচিত শিক্ষা দিবো।
মামুন – এটা তো আমরাই পারবো।ওকে নিয়ে আসার কী দরকার ছিলো?
তানভীর – নিজের বোনের ধর্ষকের নিজ হাতে শাস্তি দিবে।এতে কিছুটা হলেও শান্তি পাবে।
মামুন -কিন্তু ……
– মামুন কিছু বলার আগেই আমাদের সামনে একটা গাড়ি এসে থামলো।গাড়ি থেকে আমাদের লোকজন একজন ছেলেকে বের করে নিয়ে আসলেন। দেখে কি রকম চেনা চেনা লাগছে।
– ভাই ও হলো মেয়েটির বড় ভাই। নাম শুভ।
তানভীর – তোমার আসল নাম কী?
মামুন – ওর আসাল নাম শুভ। তিন বছর ধরে আমাদের এই এলাকায় থাকে।
শুভ – আপনারা করা? এতো রাতে আমাকে হাসপাতাল থেকে তুলে এখানে নিয়ে আসলেন কেন?(রেগে গিয়ে)
তানভীর – তোমার রাগ দেখে খুব খুশি হলাম। চলো আমাদের সাথে।
শুভ – না আমাকে ছেড়ে দে। আমার বোন একা হাসপাতালে আছে।ওর কাছে যেতে হবে।( জোরে চেঁচিয়ে)
তানভীর – যারা তোর বোনকে এই অবস্থা করেছে। যাদের জন্য তোর বোন আজকে হাসপাতালে। যাদের জন্য তো বাবা মারা গেলো। তাদের কে কিছুট করবি না। এমনি এমনি ছেড়ে দিবি?(জোড়ে ধমক দিয়ে)
শুভ – কে তুমি?এতো কিছু জানলে কীভাবে?
তানভীর – আমি কে ? তা জেনে লাভ নেই।চলো আমার সাথে।
শুভ – কোথায়?
তানভীর – বোনের ধর্ষকদের শাস্তি দিবে।
শুভ – ঠিক আছে চলো।
(কিছুক্ষণ চুপ থেকে থেকে)
তানভীর – মামুন ভাই হোটেল যেতে কতক্ষন লাগবে?
মামুন – বেশী দূরে না।চলো আমার সাথে।
– গাড়ি উঠার কিছুক্ষণ পর।একটা হোটেলে সামনে নিয়ে গাড়ি থামালেন।
মামুন – এটাই সেই হোটেল। মাঝেমধ্যে মেয়েদের নিয়ে ফূর্তি করতে আসে এখানে।
তানভীর – ওরা বের হবে কখন?
মামুন – মনে হয় খুব তাড়াতাড়ি বের হয়ে আসবে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করো।
তানভীর – ঠিক আছে।ওরা দুজনে বের হওয়ার সাথে সাথে। দুজনকে তুলে আমাদের কাছে নিয়ে আসবে।খুব সাবধানে যাতে কোনো শব্দ না করতে পারে।(লোকদের উদ্দেশ্য করে)
– ঠিক আছে ভাই। আপনি কোনো চিন্তা করবেন না।
– পাঁচ মিনিট পর দুজন লোক হোটেল থেকে বের হলো। এমন সময় মামুন ভাই বললো,
যা ওরা গাড়িতে উঠার আগে এখানে তুলে নিয়ে আয়।
– মামুন ভাইয়ের কথা শুনে।চার জন গিয়ে তাড়াতাড়ি ওদেরকে ধরে নিয়ে আসলো।এনে আমাদের সামনে এনে ওদের দাঁড় করালো।
তানভীর – নাম কী তোদের?
– রিমন ওর নাম রিফাত। কিন্তু তোরা কে? আমাদের এখানে আনলি কেন?
মামুন – ছোট্ট ভাই,যা করার তাড়াতাড়ি করো। এখানে বেশীক্ষণ থাকা যাবেনা।
তানভীর – তোমার বোনের ধর্ষক আর বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নাও।
(রিভাল বার এগিয়ে দিয়ে)
– বলার সাথে সাথে শুভ আমার হাত থেকে রিভাল বার নিয়ে। বললো, তোদের মতো মানুষ নামের জানোয়ারদের বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই। তোরা বেঁচে থাকলে। আমার বোনের মতো হাজারো বোন ধর্ষিতা হবে।
– ওরা দুজন কিছু বলার আগেই।দুজনকে পর পর কয়টা গুলি করলো ওদের বুকে।সাথে সাথে দুজনে মাটিতে পড়ে গেলো।
তানভীর – ওর হাত থেকে রিভাল বার নিয়ে নেও। আর দুজনে লিঙ্গ কেটে রাস্তার মাঝ খানে ফেলে আসো।এই কাগজটা ওদের শরীর উপরে রেখে দিও।যাতে সবার নজরে আসে।(একটা কাগজ এগিয়ে দিয়ে)
– ঠিক আছে।ভাই আপনারা যান আমারা খুব তাড়াতাড়ি চলে আসবো।( শুভর কাছে থেকে রিভাল বার নিয়ে)
– তিনজনের গিয়ে গাড়ি উঠলাম। কিছুক্ষণ পর আমাদের লোকজন ও চলে আসলেন।
– চলেন ভাই। আমাদের কাজ সম্পন্ন।
তানভীর – ঠিক আছে চলো।
– তারপর ওখান থেকে ফ্যাক্টরির সামনে চলে আসলাম।গাড়ি থেকে নামতেই একজন জিগ্গেস করলো,ভাই ওই কাগজে কি কিছু লিখা ছিলো?
তানভীর – সেটা কাল সকালেই জানতে পারবে।
– এখন বললে কোনো সমস্যা?
তানভীর – শুভকে হাসপাতালে দিয়ে আসো। আমি রবিন ভাইয়ের বাসায় চলে যাচ্ছি।
– ঠিক আছে।
তানভীর – মামুন ভাই কোন সমস্যা হলে জানাবেন। আমি আসি তাহলে।
মামুন – যাও কাল সকালে দেখা হচ্ছে তাহলে।
– মামুন ভাইয়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে। তাড়াতাড়ি ড্রাইভ করে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে গাড়িটা পার্ক করে। তাড়াতাড়ি রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লাম। সকালে নিচেই আসতেই। রিয়ার সাথে আসা একজন মেয়ে বললো………
চলবে।
#তোকেই ভালোবাসি
#লেখক – তানভীর হৃদয় নীল
##পর্ব – ০৭
– রিয়ার সাথে আসা একজন মেয়ে বললো, ভাইয়া আপনি রাতে কোথায় গিয়েছিলেন?
তানভীর – কোথায় গিয়েছি মানে?
– রাতে দেখলাম গাড়ি নিয়ে কোথায়ও গিয়েছিলেন?তাই জিগ্গেস করলাম আর কি।
তানভীর – এতো কিছু জেনে তুমি কি করবে?
– সরি, ভাইয়া।(মাথা নিচু করে)
তানভীর – নাম কী তোমার?
– আমার নাম জান্নাত।ওর আমার ব্রেস্ট ফ্রেন্ড জিনিয়া।(সাথে থাকা মেয়েটিকে দেখিয়ে)
তানভীর – ওহ্ আচ্ছা। রিয়া তোমার কি হয়?
জান্নাত – মামাতো বোন। মানে আমার ছোট্ট মামার মেয়ে।
জান্নাতের কথা শুনে পুরো অবাক হয়ে গেলাম।সেই ছোট্ট বেলার দেখেছিলাম জান্নাতকে।ছোট্ট বোনটা এখন কতো বড় হয়েছে। পাশাপাশি বসে আছি দুই ভাই,বোন। অথচ কেউ কাওকে চিনতে পারছিনা। সময় বড়ই অদ্ভুত। এইসব ভাবতে ভাবতে চোখে পানি চলে আসলো।
জান্নাত – আপনি দুলাভাইয়ের ভাই তাই তো?
তানভীর – হুম।(চোখের পানি মুছে)
জিনিয়া – একি ভাইয়া আপনার চোখে পানি কেন?
তানভীর – ও কিছুনা।চোখে কি যেন একটা পড়েছিলো।
জিনিয়া – না,আপনি মিথ্যা বলছেন।
তানভীর – আরে বাদ তো এইসব। আচ্ছা জান্নাত তোমার বাড়িতে কে কে আছে?
জান্নাত – আমি আব্বু,আম্মু,বড় ভাইয়া,আর বড় আপু।
জিনিয়া – ওদের দুজনের বিয়ে হয়ে গেছে। শুধু জান্নাতই বাকী আছে।(কিছুটা হেঁসে)
জান্নাত – কি বললি তুই?(বলেই জিনিয়াকে মারতে লাগলো)
জিনিয়া – আরে কী করছিস?এটা কিন্তু তোদের বাড়ি না।
জান্নাত – ঠিক আছে।আজকে ছেড়ে দিলাম। আরেক দিন এই কথা বললে। তোর কপালে দুঃখ আছে।(বলেই জিনিয়াকে ছেড়ে দিলো)
জিনিয়া – ভাইয়া আপনি জান্নাতের দিকে এইভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?
তানভীর – দুজনের ঝগড়া দেখছিলাম আর কি। আচ্ছা জান্নাত তোমার তো আরো একজন ভাই ছিলো।সে এখন কোথায়?
জান্নাত – জানি না। ছোট্ট থাকতে একবার মামার বাসায় গিয়েছিলো। তখন আমার বড় মামা মারা যান।তার পর থেকে আর বাসায় যায়নি। আম্মুর কাছে জিগ্গেস করলে বলে, ভাইয়া ও নাকী মারা গেছে।
তানভীর – বাহ্ কী চমৎকার। আমি জীবিত আছি। অথচ আম্মু বোনকে বললো, আমি মারা গেছি। ওহ্ আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম দশ বছর আগের কথা। আমি তো তাদের কাছে মৃত্যু।(মনে মনে)
জিনিয়া – এইভাবে কি ভাবছেন ভাইয়া?
তানভীর – কিছু না।(মন খারাপ করে)
জান্নাত – বললেই হলো।কিছু তো একটা হয়েছে?
– হঠাৎ করে নিশি ভাবি এসে বললো,আরে ওর কথা বাদ দাও। টিভিটা অন করো তো। এখনো সকালের খবর দেখা হয়নি।
– নিশি ভাবির কথা শুনে। জান্নাত গিয়ে টিভি অন করলো। টিভি অন করতেই……
– ব্রেকিং নিউজ, ভোর পাঁচটার নারায়ণগঞ্জ এক হোটেলের সামনে থেকে বিখ্যাত ব্যবসায়ী রিয়াদ চৌধুরীর ছেলে রিমন চৌধুরী ও তার বন্ধু রিফাতের মৃত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
– দুজনের বুকে কিছু গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে দুজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো। দুজনেরই লিংঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে।কে বা কারা ওদের দুজনকে হত্যা করেছে। সেই বিষয়ে এখনও পুলিশ কিছু জানতে পারেনি।
– দুজনের মৃতদেহের উপর একটা চিরকুট পাওয়া গেছে।যাতে লেখা ছিলো,তোদের মতো মানুষ নামের জানোয়ার বেঁচে থাকলে। হাজারো বোন ধর্ষিতা হবে।তোদের বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই।আর বাকী দুজন । চিরকুটের নিচে একজনের নাম লেখা ছিলো। নামটা হচ্ছে নীল।
-এখন প্রশ্ন হচ্ছে কে এই নীল? কাকে রিমন আর রিফাত ধর্ষন করেছে? যার কারণে ওদের দুজনকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে।চার জন লোক ওদের দুজনকে ধরে নিয়ে যায়। কিন্তু কারো মুখ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না।
– স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রিমন, রিফাত দুজনে মাঝে মাঝে মধ্যে ওই হোটেলে মেয়ে নিয়ে ফূর্তি করতে যায়। কিন্তু গতকাল রাতে কে বা কারা ওদের মেরেছে। ওখানকার কেউ জানে না।
– নিউজটা দেখার সাথে সাথে হেসে উঠলাম। আমাকে হাসতে দেখে রবিন ভাই জিগ্গেস করলো,কি ব্যাপার তুমি এইভাবে হাসছো কেন?
তানভীর – কিছু না ভাইয়া। ধর্ষকদের উচিত শিক্ষা দিয়েছে।সেটা দেখে খুশি হলাম।
জান্নাত – ঠিক বলেছেন ভাইয়া। উচিত শিক্ষা পেয়েছে জানোয়ারগুলো।
তানভীর – হুম।
নিশি – আমি ও একমত। কিন্তু ওই হোটেলে টা তো ইকরাম ভাইয়ে ছিলো।
রবিন – ছিলো কিন্তু এখন আর নেই। ইকরামকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে পাঠিয়ে। রিফাত ও তার বন্ধুরা দখল করে নিয়েছে।
নিশি – আচ্ছা বাদ দাও এইসব।সবাই নাস্তা করতে এসো।
রবিন – তোমারা সবাই যাও। আমি আর তানভীর একটু পরে আসছি।
নিশি – ঠিক আছে। তোমার তাহলে এসো।
– নিশি ভাবি, জান্নাত,আর জিনিয়া চলে যাওয়ার পর।রবিন ভাই বললো, ইকরাম চারদিন পর জেল থেকে ছাড়া পাবে।তার আগেই ওর হোটেল আমাদের দখলে আনতে হবে। দুজনের মৃত্যুতে আমাদের কাজ কিছুটা সহজ হয়ে গেছে।
তানভীর – আমাদের কিছু করার দরকার নেই।যা করার পুলিশ করবে। এখন এইসব ঝামেলায় জড়ানোর কোনো দরকার নেই।
রবিন – তা না হয় ঠিক আছে। কিন্তু রিমন আর রিফাকে কে মারলো?এখানে ওদের গায়ে হাত তোলার সাহস তো কারোর নেই।
তানভীর – হয়তো নতুন কেউ এসেছে।
রবিন – হতে পারে। কিন্তু কে সে? তার বিষয়ে জানতে হবে। যাইহোক চলো এখন নাস্তা করবে।
তানভীর – চলেন….।
– রবিন ভাইয়ের সাথে খাবার টেবিলে গিয়ে দেখি। সবাই আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।
আমি খাবার টেবিলে গিয়ে বসতেই। রাকিব বললো,কিরে এতোক্ষণ লাগে আসতে।
তানভীর – কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা ছিলো।তাই একটু দেরি হয়ে গেছে।
নিশি – আগে খাওয়া শেষ করো তারপর যতখুশি গল্প করো।
রবিন – তিন্নি কোথায়?
(রবিন ভাইয়ের মেয়ের নাম তিন্নি)
নিশি – ঘুমিয়ে আছে।
রবিন – ওহ্ আচ্ছা।
– খাওয়া দাওয়া শেষ করে।সবাই এসে কিছুক্ষণ গল্প করলাম। হঠাৎ রবিন ভাই বললো,তোমরা গল্প করো। আমি একটু ফ্যক্টরি থেকে আসছি।
তানভীর – আমাকেও একটু যেতে হবে।
নিশি – সবাই চলে যাবে নাকী?
তানভীর – সবাই কোথায় দেখলেন? আমি আর ভাইয়াই তো যাচ্ছি। রাকিব তো বাসায় আছে।
রবিন – কোনো দরকার পড়লে ফোন দিও।
নিশি – ঠিক আছে।
– সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ফ্যাক্টরিতে চলে গেলাম।গাড়ি থেকে নেমে ভেতরে যেতেই একজন বললো,ভাই কালকের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছি।
রবিন – কিসের প্রশ্নের উত্তর?
তানভীর – কিছুনা ভাইয়া চলেন তো।
– রবিন ভাই কিছুনা বলে ভেতরে চলে গেল। আমি ভেতরে যেতেই মামুন ভাই বললো,আরে ছোট্ট ভাই আসতে এতো দেরি হলো কেন?
তানভীর – তেমন কিছু না।
মামুন – শুভর বোন হাসপাতাল থেকে বিকালে বাসায় নিয়ে আসবে। শুভ তোমাকে যেতে বলছে। তুমি কি যাবে?
তানভীর – হুম যাবো।(কিছুক্ষণ ভেবে)
মামুন – ঠিক আছে। আমি শুভকে ফোন করে জানিয়ে দিচ্ছি।
– তারপর বিকালে মেহেদী ভাইয়ের কাছের বলে। মামুন ভাইয়ের সাথে শুভদের বাসায় চলে গেলাম।ওদের বাসায় সামনে গিয়ে।গাড়ি থেকে নেমে ভেতরে গেলাম। ভিতরে গিয়ে দেয়ালে দিকে তাকিয়ে পাশাপাশি দুটো ছবি দেখে পুরো অবাক হয়ে গেলাম। কেননা ছবিটিতে……….।।
চলবে।
[ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন]