প্রেয়ন_পৃথুর_প্রেমসুতো পর্ব-০৯

0
8964

#প্রেয়ন_পৃথুর_প্রেমসুতো💖
#পর্ব_০৯
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা

–পৃথু (ধমক শুরে)
–জি(ভয় পেয়ে)
–তুই নামছিস কই।
–ওয়াসরুমে (আস্তে)
–ওহ আয় আমি নিয়ে যাচ্ছে।
–(হুহ যেতে পারি না নাকি শুধু বকে আমাকে মনে মনে)
ওয়ারুম থেকে এসে রাতের খাবার আর ঔষধ খেয়ে ঘুমিয়ে পরলাম।
উনি হয়তে সারা রাত পাশে বসে ছিলেন।
সকালে ডক্টর আমাকে রিলিজ দিলো
আমরা বাসায় আসলাম।
বাসায় এনে প্রেয়ন আমাকে টেনে আগে উপরে নিলো মায়ের সাথে কথা না বলতে দিয়ে
–তুই না অসুস্থ রেস্ট নে।
–ও মা তাই বলে মায়ের সাথে দেখা করবো না।
–কেন করবি না হাত মুখ ধুয়ে নে পরিস্কার হয়ে তার পর।
–ও হসপিটাল থেকে আসছি তাই?
–এতো প্রশ্ন কেন করিস পৃথু (রেগে)
–সরি
আমি ওয়াসরুমে চলে এলাম।
কুসুম গরম পানিতে হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে ঘরে এলাম।
–এবার ঠিক আছে।
–সমস্যা ছিলো আগে আপনিও আসছেন আপনিও জান মুখ ধুয়ে আসুন (এটিটিউড নিয়ে)
পৃথুলার কথা বলা শুনে প্রেয়ন মনে মনে হাসতে হাসতে ওয়াসরুমে যায়।
–এবার ঠিক আছে (প্রয়ন স্টাইলে)
হুহ আন্ডা ঠিক আছে।
–পৃথুলা।
–মা তুমি আমি আসতে যাচ্ছিলাম।
মাকে জড়িয়ে ধরে।
–কিরে মা এখন কেমন আছিস।
–এই তো ভালোই আছি। তুমি? বাবা কই।
–তোর বাবা বাইরে গেছেন।
–ও।
–কি খাবি বল তো আজ তোর জন্য আমি রান্না করবো।
–সত্যি!
–হুম।
–তাহলে আমার ফুপি স্টাইলে ঝাল মাংস রান্না করো। ভাবলেই আমার খাওয়া ইচ্ছে যাগতে থাকে
–পাগলি মেয়ে দুই দিন পর যে নিজে মা হবে সে কিন বাচ্চামি করে৷
মায়ের মুখে মা হবার কথা শুনে আমার ১ মাসের কথাটা মনে পড়ে গেল৷
মূহুর্তে আমার মুখের রঙ বদলে ফ্যাকাসে হয়ে গেল।
–কিরে পৃথুলা।
–কিছু না মা তুমি করবে রান্না।
–হুম করবো তো তুই থাক এখানে।
মা চলে গেল।
বসে পড়লাম বিছানায়।
সত্যি মানুষের জীবনের মোড় কোথা থেকে কোথায় যায় কেউ বলতে পারবে না।



কোচিং থেকে বাসায় ফিরছে রইমা।
রাস্তায় কোন রিকশা নেই তাই হেঁটে হেঁটে যাচ্ছে।
তার বান্ধবী রা একটু আগে গেছে ওর একটা কাজ ছিলো তাই দোকানে লেট হলো।
–ধুর ভালো লাগে না। একা একা হাঁটতে।
আগে আপু ছিলো ফোন দিলেই চলে আসতো এখন সব মরন আমার।
–রাইমা।
হটাৎ ফাঁকা রাস্তায় কারোর কন্ঠে নিজের নাম শুনে থমকে দাঁড়ায় রাইমা।
পেছনে ফিরে কালকের সেই মুডি বেক্তি টাকে দেখে ভিশন রাগ হয়।
–আপনি এখানেও চলে এসেছেন? (কিছুটা রেগে)
— আমি আসি নি তুমি এসেছো আমার জায়গায়।
–মানে?
–এই যে দেখছো এই পুরো এলাকা টায় আমার রাজত্ব চলে।
–রাজা হোন বা প্রজা হোন আমার কিছু যায় আসে না।
আমি আসছি।
রাইমা হাঁটা ধরলে নীল রাইমার সামনে তার একটা দুল ধরে।
–এটা তো আমার।
–হুম তোমার আমি কারোর জিনিস নিজের কাছে রাখি না তাই ফেরত দিলাম।
কথাটা বলে দুলটা দিয়ে নীল চলে যায়।
–যাহ বাবা আবারও মুড দেখিয়ে চলে গেল।
হুহ আমারো কম না আবার দেখা হলে দেখিয়ে দিবো।
Attitude এর বস্তা যাকে বলে।
রাইমা বাসায় চলে এলো।



–পৃথু৷ (চিল্লিয়ে)
–জি চিল্লান কেন সময় সময়.।
–তুই আমার কথা না শুনলে তো চিল্লায় না।
–সমস্যা কি?
–ঠান্ডার পোশাক কই।
–কেন আলমারি তে। (সিম্পল ভাব নিয়ে)
–পৃথু তোর শরীরে কই(দাঁতে দাঁত চেপে)
–ওহ আমার নাই তো।
–তোকে আমি,
–পরতেছি তো এই যে চাদর।
–আবার এমন দেখলে মারবো কিন্তু
–আমি মারা গেলে বা কি মাত্র ১ মাসের জন্য এতো কষ্ট করার কি দরকার৷
আমার কথায় প্রয়ন চুপ হয়ে গেলেন।
আমার দিকে একটু তাকিয়ে থেকে।
হটাৎ আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলেন।
কি কান্ড এগুলা।
এ লোকের মাথায় আসলে চলে কি আজিব!


–পৃথুলা তোর খাবার।
–তুমি এনেছো ধন্যবাদ মা।
অনেক খুশি হয়ে।
–চলো নিচে এক সাথে খাবো।
–আচ্ছা চল।
সবাই মিলে ফুপির হাতের স্পেশাল রান্না খেলাম।
বেশ মজা ছিলো।
আমার কাছে নিজের সংসারের মতোই সব টাকে মনে হচ্ছে।
কিন্তু এটা তো শুধু খনেকের শুখ।
শুখ সত্যি মরিচিকা।
চলবে,
(গল্প সম্পর্কে সবার মতামত আসা করছি)