#ভালোবাসার_অভিনয়
#Anuridhi_Rahman
#পর্ব ১৯
রেদ-ওহ হ্যা ওই তৃনা আন্টি যার জন্য মা প্রতি বছর তার জন্ম দিনে আমাকে নিজে তার জন্ম দিন পালন করতো,,,,হ্যা এবার চিনেছি,,,বাট ওনিতো কোনোদিন এ বাড়িতে আসেনি তো তাই ভুলে গয়েছিলাম,,,,,
সিদ্দিক সাহেব বললেন-মেয়েটাকে যে আমরা ও কত বছর হলো চোখে দেখিনা,,,,
.
.
.
.
.
.
.
.
পরী সব কাজ কম্পিলিট পাশের ফ্লোর এর দুই আন্টির হেল্প এ,,২১ পদ খাবার তৈরি করছে,,,,আর ফল ফ্রুট তো আছে,,,,
মিলি আর শিলা মীম কে রেডি করে দিচ্ছে,,,,মীমকে একটা মেরুন কালার এর শাড়ি পরিয়েছে পরেছে,,,সাথে হালকা মেকআপ,,,চুল গুলো এক পাশ স্টাইল করে সামনের চুল গুলো সিথি করে চুল ফুলিয়ে কাটা দিয় আটকে দিলো,,,,,
হাতে মেরুন কালার চুড়ি পরিয়ে দিলো,,,আর কপালে একটা টিপ,,,খুব সুন্দর লাগছে,,,,তখনি পরী ওড়নায় হাত মুছতে মুছতে রুমে ডুকে,,,দেখ মীম পুরো রেডি,,,,,
পরীকে দেখে শিলা বলল-পরী সাজ কম্পিলিট তুই বলছিস তাই কানে আর গলায় কিছু পরাইনি,,,,কিন্তু এগুলো না পরালে তো সাজ অসম্পুন লাগছে,,,,
পরী নিজের আলমারি খুলতে খুলতে বলল-হুম জানি,,,,এক মিনিট,,,,
পরী আলমারি থেকে একটা গহনার বক্স বের করে মীম এর সামনে গেলে,,,বক্স টা মিলি হাত এ দিয়ে বক্স খুলে তার ভেতর থেকে এক জোরা সোনার জুমকো কানের দুল বের করে মীম কে পরীয়ে দিলে,,,গলার হার টা ও পরিয়ে দিলো,,,,,
গহনার সেট টা দেখে মিলি আর শিলা এক সাথে বলে উঠলো,,,ওয়াও ইটস সো বিউটিফুল,,,
মীম আয়নাতে পরীর দিকে তাকিয়ে দেখলো পরী মুখে একটা সুন্দর হাসি দিয়ে তাকে দেখছে,,,
মীম-এই জন্য সকালে কাওকে কিছু না জানিয়ে বের হয়েছিলি,,,,
পরী মাথা ঝুকিয়ে বলল হুম,,,মীম উঠে পরীর দিকে ঘুরে জরিয়ে ধরলো,,,,পরী একটা ধমক দিয়ে বলল-এই ছাড় ছাড় আমার শরীল এ ঘাম লেগে আছে,,,তোর মেকআপ খারাপ হয়ে যাবে,,,,
মীম-একটু ইমোশনাল হয়ে গিয়েছিল,,,,সরি,,,বাট তুই এতো টাকা কোথায় পেলি,,,,
পরী বিছানার সামনে গিয়ে বিছানার ফেলে রাখা কাপর গুলো তুলতে তুলতে বলে,,,আগেই কিনে রেখেছিলাম,,,আজ ব্যাংকের লকার থেকে নিয়ে এলাম,,,,,আর বেশি দাম না বেছ আমার ৩মাস এর জমানো টাকা দিয়ে কিনেছি,,,,
মীম-কী দরকার ছিলো এটার,,,,
পরী-বাহ রে আমি কী আমার বোন কে খালি হাতে শশুর বাড়ি পাঠাবো নাকি,,,,
মিলি-আজি কী বিয়ে হয়ে যাবে নাকি,,,,,
মীম-হ্যা তাইতো আজ তো শুধু এংগেজমেন্ট আর বিয়ের দিন ঠিক হবে,,,,
পরী মন খারাপ করে বলে হুম তার পর শিলা বলে-মীম তো রেডি বাট বাকিরা কী রেডি হবি না,,,পরী মিলি চল আমাদের ও তো রেডি হতে হবে,,,,
পরী হালকা হেসে বলে-তদের ধরে রেখেছে যা রেডি হ,,,,
মীম এক পাশে গুয়ে দাড়িয়ে দাড়িয়ে সেলফি তুলছে,,,,তর মিলি শিলা নিজেরা রেডি হতে লেগে গেলো,,,,পরী বাইরে এসে ২আন্টিকে ৭টার পরে চলে আসতে বললো,,, তারাচলে গেলে পরী রুমে এসে নিজের আলমারি খুলে দেখলো একপাশে সেই নীল শাড়িটা,,,,
কিন্তু এটা এখানে কেনো এটাতো আমি বারান্দা দিয়ে বাইরে ফেলে দিয়েছিলা,,,,,,মীম ছবি তুলছিলো পরীর হতে নীল শাড়ি দেখে বলল
-আরে ওটা নিচে পরে গিয়েছিলো বারান্দা দিয়ে দারওয়ান চাচা সবার বাড়িগিয়ে জিজ্ঞেস করছিলো এটা কার শাড়ি আমি অফিস যাওয়ার সময় ওনার হাতে দেখে চিনে ফেলেছিলা,,,,,
তাই বাড়িতে এনে ধুয়ে দিয়েছিলা,,,বাট একটা কথা বুঝলাম না তুই পার্টিতে বেবি পিং কালার শাড়ি পরে গেলি আর সকালে ফিরলি এই নীল শাড়িটা পরে,,,,
মীম এর কথা শুনে মিলি আর শিলা চমকে পিছে পরীর দিকে তাকালে,,,, দুজনে এক সাথে বলে উঠলো-মানে কী তুই তো সবার আগে তাহলে রাতে কোথায় ছিলি,,,,
এ কথা শুনে মীম অবাক হয়ে বলল-মানে
মিলি মীম কে পার্টিতে কূ হয়েছিলো বলতে যাবে তখনি পরী একপ্রকার জরে বলে উঠলো-স্টপ ইট গাইজ,,,,,আর হ্যা আমি পার্টি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলাম,,,পরে ফিরে ও এসেছিলাম,,,খুব বৃষ্টি শুরু হওয়ার কারনে ভিজে গিয়েছিলা তখন রেদ স্যার এই শাড়িটা আমাকে পরতে দিয়েছিলেন বাস এর বেশি কিছুনা,,,,
বলে মীম এর হাত থেকে শাড়ি টা নিয়ে ওয়াস রুমে চেলে গেলো যাওয়ার আগে মিলি আর শিলা কে চোখ রাঙিয়ে চলে গেলো,,,,মিলি আর শিলা আবার মেকাআপ করতে লেগে গেলো,,,,
পরী সাওয়াব নিয়ে দেখে নীল শাড়িটা নিয়ে চলে এসেছে-ওহ আল্লাহ শাড়ি তার ওপর এই শাড়ি 😖😖,,,
পরী মীম মিলি শিলাকে ডাকে অন্য কোনো ড্রেস দেওয়ার জন্য,,,,বাট মিলি আর শিলার বায়না পরীকে এই নীল শাড়িতে দেখতে চায়,,,, তাই বাধ্য হয়ে ব্লাউজ আর পেটিকোট পরে কোনো রকম শাড়িটা পেচিয়ে ওয়াসরুম থেকে বেরিয়ে আসে পরী,,,,,,
পরীকে এই ভাবে দেখে মিলি শিলা মীম হাসতে হাসতে শেষ,,,,
মিলি-তোকে জোকার লাগছে একদম,,,,হাহাহ,,,
পরী-এই একদম চুপ,,,হাসবি না,,,,আমি শাড়ি পরতে পারি না,,,শাড়ি পরিয়ে দে,,,,
তারপর হাসতে থামিয়ে তিন জন মিলে পরীকে শাড়ি পরিয়ে দিলো,,,,পরী শাড়ি সাথে মেচিং দুহাতে নীল রেশমি চুড়ি পরলো,,,,হালকা মেকআপ করে চোখে কাজল,,,কপালে টিপ ঠোটে লিপজেল,,,,
চুল গুলো বাধতে যাবে তখিনি বেল বেজে উঠলো,,,চুল গুলো আচরে পিটে ছেরে দিলো কোনোমতে,,, তারপর মীম কে রেখে পরী মীম আর শিলা গেলো দরজার সামনে,,,, পরী দরজা খুলে হ্যা হয়ে গেলো,,,
পরী-আপনি,,,এখানে এখন,,,বাট কেনো,,,,,
মিলি শিলাও অবাক হয়ে গেলো,,,অবাক হবার কথাই,,,,করান দরজার বাইরে রেদ আর পিছে ৩জন দাড়িয়ে আছে,,,,,
পরীর ওপর রেদ এ চোখ পরতেই রেদ চমকে যায়,,,,পরী সেই নীল শাড়িটা পরেছে,,,,,সেদিন রাতে খেয়াল না করলে ও এখন পরীকে নীল পরী লাগছে,,,,
পরী-স্যার আপনি এখানে কেনো,,,,কোনো দরকার হলে কল দিতেন,,,,,
পরীর কথায় রেদ এর ঘোর কাটে,,,,আর নিজেকে সাভাবিক করে বলে,,,,
-ভেতরে আসতে বলবে না,,,,,
মিলি পরীকে খোচা দিয়ে বলল-স্যার কে ভেতরে আসতে দে,,,কেনো এসেছে,,,জানতে পারবি,,,,
পরী রেদ কে ভেতরে আসতে বলল রেূ এর সাথে বাকি তিন জন ও ভেতরে এলো,,,,তাদের সোফায় বসতে বলল পরী,,,,
সিদ্দিক সাহেব আর শাকিল সাহেব পরীকেই দেখে চলেছে,,,,যেনো তাদের সামনে তাদের তৃনা দাড়িয়ে আছে,,,,,,,,
পরী এতে বেশ আনইজি ফিল করছে তখনি আবার বেল বেজে উঠলো,,,,পরী তারাতারি গিয়ে দরজা খুলল পাশের বাড়ির দুই আন্টি এসেছেন,,,
দুজনে ভেতরে গিয়ে দেখে রেদ স্যার আর সিদ্দিক সাহেব আর তার ছেলে আর ছেলের বউ বসে আছে,,,,তারা জানে আজ পাএ পক্ষ আসবে বাট তারা কী আর জানে নাকি এনারা পাএ পক্ষ না,,,
১ম আন্টি -একি এনারা চলে এসেছেন,,পরী চা নাস্তা দেওনি কেনো,,,,
২য় আন্টি-তা পাএ কী উনি নাকি পাএ আসে নাই,,,,
এসব কথা রেদ আর সিদ্দিক সাহেব আর তারছেলে আর ছেলের বউ এর মাথার ওপর দিয়ে গেলো,,,,পরী মিলি শিলা একথা শুনে চোখ তো নয় যেনো রসগোল্লা হয়ে গেছ,,,
মিলি-আন্টি এনারা তারা,,,, ওনারা এখনো আসে নি,,,,
২য় আন্টি-ওহ মাফ করবেন বলে তারা রান্নাঘর এ সব গুছ গাছ করতে চলে গেলো,,,,,
রেদ-ওনারা কাদের কথা বলছিলো,,,,,
মিলি-স্যার আসলে পরীর বড় বোন মীম এর আজ বিয়ের ডেট ফিক্স হবে,,,এই আর কী,,,,
সিদ্দিক সাহেব ফোট করে বলে ফেললেন-তোমার আপন বোন,,,,,
এ কথা শুনে পরী তা দিকে অধভুত ভাবে তাকালো,,,,,
বাকিটা পরে জানবে,,,,,,
#ভালোবাসার_অভিনয়
#Anuridhi_Rahman
#পর্ব ২০
রেদ-ওনারা কাদের কথা বলছিলো,,,,,
মিলি-স্যার আসলে পরীর বড় বোন মীম এর আজ বিয়ের ডেট ফিক্স হবে,,,এই আর কী,,,,
সিদ্দিক সাহেব ফোট করে বলে ফেললেন-তোমার আপন বোন,,,,,
এ কথা শুনে পরী তা দিকে অধভুত ভাবে তাকালো,,,,,
.
.
.
.
.
.
.
.
.
রেদ কিছু একটা ভেবে বলল পরী ওনার অন্য একটা রুমে বসার ব্যবস্তা করো,,,তোমাদের মেহামান ও তো আসবে,,,,,
পরী এবার শস্তি পেলো,,,,তাদের গেস্ট রুমে দিয়ে আসলো,,,,চা নাস্তা ও পাঠিয়ে দিলো,,,,,
রেদ পরীর সামনে গিয়ে দাড়ায় পরী ও কেমন যেনো লাগছে কিন্তু কিছু বলছে না,,, রেদ এর ও সেম অবস্তা,,,,রেদ কিছু বলবে বলবে করে ও কিছু বলতে পারছেনা,,,,
মিলি আর শিলা দূরে দাড়িয়ে দাত দিয়ে নখ কাটছে আর রেদ স্যার আর পরীকে দেখছে,,,
শিলা-কিছু বুঝিলি,,,,
মিলি-হুম,,,,
শিলা-কী বুঝলি,,,,
মিলি-তুই যা বুঝলি,,
শিলা-আমিতো কিছু বুঝিনা
মিলি-সেম,,
বলপ মীম এর রুমে চলে গেলো,,,শিলা নিজে নিজেকে বলল-সেম মানে ও নিজেই কিছু বুঝেনাই,,,,আমি আসছি থাম,,,,
রেদ পরী এভাবে অনেক ক্ষন যাবত দাড়িয়ে আছে,,,,নিজে ও কিছু বলছে না রেদ ও কিছু বলছে না,,,,পরী নিজেকে সংযত করে কিছু বলতে যাবে তখনি বেল বেজে উঠলো,,,
পরী-ওনারা হয়তো এসে পরেছেন,,,,মিলি শিলা তারাতারি আয়,,,,
মিলি শিলা তারাতারি চলে এলো,,,পরী রেদের পাশ কাটিয়ে গিয়ে দরজা খুলল,,,,বাইরে আয়ান আর তার পরীবার দাড়িয়ে আছে,,,,
পরী মিলি শিলা সদর আপায়ন করে ভেতরে নিয়ে এলো,,,,আয়ন স্যার আর তার বাবা পরী আর মীম কে চিনে,,,তারা ভেতরে ডুকলেন,,, পেছনে এক জন মিষ্ট ফল ফ্রুট এনেছে,,,সেই বেগ গুলো,,মিলি আর শিলাকে দিলো,,,,
২জন এ সেগুলো নিয়ে রান্নাঘর এ চলে গেলো,,,,আয়ন তার ফ্যামিলি এর সদস্য দের সাথে পরীর পরিচয় করিয়ে দিলো,,,
আয়ান-পরী বাবাকে তো চিনো আর ইনি হলেন আমার মা(একজন বদ্র মহিলাকে দেখিয়ে দিলো)ইনি আমার বড়। ভাই রায়ান আর আর তার স্ত্রী মেঘা,,,এর এ হচ্ছে আমাদের বাড়ির সবচেয়ে ছোটো সদস্য বৃস্টি,,,
পরী এক গাল হাসলো,,,রেদ দূর থেকে রায়ান কে দেখে দেখে সামনে এগিয়ে এলো,,,,সবাই টুক টাক কথা বলছিলো,,,রেদ সবার সামনে গিয়ে রায়ান এর কলার ধরে তাকে দার করায়,,,,
এটা দেখে পরীর চোখ চাকল গাছ,,,,সবাই রেদ কে অবাক হয়ে দেখছে,,,,পরীর হাত কাপছে এটা কী করছে রেদ তা ভেব,,,,,,কিন্তু পরীকে আবাক করে সবাই হেসে দিলো,,,,রেদ রায়ান ে জরিয়ে ধরে বলল-বিয়ের পর বেষ্ট ফ্রেন্ড কেই ভুলে গেলি,,,,
এটা শুনে পরী অবাক হলো আয়ান এর বড় ভাই রেদ স্যার এর বেষ্ট ফ্রেন্ড মিলি আর শিলা নাস্তা নিয়ে আসে আয়ান দের জন্য,,,,এসে দেখে সবাই হাসি খুশি আর রেদ স্যার ও তাদের জয়েন করেছে,,,,
এক এক করে ১৭ পদ খাবার আয়ান আর তার ফ্যামিলির সামনে খেতে দিলো,,,,কিন্তু খাবার এ কারো ইন্টারেস্ট একদম নেই সবাই রেদ কে নিয়ে পরলো,,,,
এতো দিন কোথায় ছিলে কেমন আছো দেখে কবে ফিরলে,,,,ব্লা ব্লা,,,,,আর কত কী তারা হয়তো ভুলে গেছে তারা মেয়ে দেখতে এসেছে,,,,
পরীর এবার রাগ লাগছে,,,তাও কিছু বলতে পারছে না,,,,মনে মনে ভাবছে এনি এখানে ককেন এসেছেন,,,,হঠাৎ তার মনে পরে বাড়িতে তো আরো গেস্ট আছে,,,
পরী মিলি আর শিলাকে এখানে রেখে,,,,রান্নাঘর এ গিয়ে ২আন্টি কে বলল- আন্টি অন্য প্লেট এ আরো কিছু খাবার দেওতো,,,বলতে বলতে পরী ফ্রিজ থেকে পুডিং বের করে কেটে পিস করে,,,,একটা প্লেট এ সাজালো,,,,
পরী খাবার গুলো ট্রে তে করে তাদের যে রুমে বসিয়েছ সে রুমে গেলো,,,,,গিয়ে দেখলো যা দিয়ে গিছিলো খাবার ঠিক সেই রকমই আছে,,,,
পরী ট্রে টার কাবার তাদের সামনের টেবিল টায় রেখে বলল-আরে আপনারা দিখি কিছুই খাননি,,,,
সিদ্দিক সাহেব উঠে পরীর সামনে গিয়ে বলল-খাবো মা খাবো কিন্তু তোমার সাথে সব কথা শেষ হোক তারপর,,,,,
সিদ্দিক সাহেব এর চোখে পানি ছলছল করছে কিন্তু চোখ দিয়ে নামছে না,,,,রুনা বেগম সিদ্দিক সাহেবের পাশে দাড়িয়ে বলে-আগে বোন এর বিয়ের দিন ঠিক করো তারপর না হয়ে আমাদের কথা শুনো,,,,
পরীর কেমন যেনো লাগছে,,,,এরা কী বলতে চায়,,কিছুই বুঝছে না পরী যাদের চিনে না তাদের সাথে কী কথাই বা থাকতে পারে তাদের,,,,
পরী-ঠিক আছে,,,,কিন্তু আর কিছু ন হলেও জুস টা খান,,,,আসছি,,,,
বলে পরী রুম থেকে বেরিয়ে এলো,,,,পরী আসতেই আয়ান এর মা বলে-পরী মীম কে নিয়ে আসো বউমা কে দেখে,,,,
এই কথা শুনে এক গাল হেসে বলল -এখনি নিয়ে আসছি,,,,
পরী চার দিকে চেয়ে দেখলো রেদ আয়ান এর বড় ভাই এখানে নেই কোথায় গেলো,,,,
পরী আর শিলা মীম কে আনতে গেলে আর মিলি সেখানেই দাড়িয়ে রইলো,,,কার কী লাগে সেই জন্য,,,,,,,,,
পরী আর শিলা মীম কে নিয়ে এলো,,,বেচারা আয়ান জুস খেতে নিয়েছিলো,,,,মীম কে দেখে জুস না খেয়ে ফ্লোর এ ফেলছে,,,এটা দেখে সবাই শব্দ করে হেসে উঠলো,,,,
আয়ান বুজতে পারলো মীম কে দেখতে গিয়ে জুস সব ফ্লোর আর তার জামায় কিছুটা পরেছে,,,,মীম বেশ লজ্জা পেলো,,,,আয়ান বলল-পরী ওয়াস রুম টা কোন দিকে,,,,
পরী তো আবাক-আয়ান এই বাড়ির সব চিনে তাও এই কথা বলছে,,,পরী আয়ান কে ওয়াসরুমের রাস্তা বলে দিলে,,,,
আয়ান চলে যেতেই আয়ান এর মা মীম কে বলে -মা এদিকে এসো,,,,
মীমকে নিজের পাশে বসিয়ে দেখে বললেন-বাহ ছেলের পছন্দ আছে বলতে হবে,,,,
মেঘা-মা মীম কিন্তু খুব সুন্দরী মেয়ে,,,আর লজ্জা পেলেতে রুপ যেনো ২x বেরে যায়,,,,
আয়ানের মা-একদম ঠিক মেঘা বেগ থেকে এটা বের করে দেও,,,,
আয়ান এর ভাবি তার শাশুড়ি এর কথা মতো বেগ থেকে এক জোরা সেনার বালা বের করে দেয়,,,,,
আয়না এর মা মীম কে বালা দুটি পরিয়ে দিয়ে বলে-এই বালা জোরা আমার শাশুড়ি মা আর ছোটো নাত বউ এর জন্য রেখেছি আজ থেকে এটা তোমার,,,,,
কথা শেষ হতে না হতে আয়ান চলে এলো,,,,কিন্তু রেদ আর রায়ান এখনো এলো না,,,,
অনেক কথা হলো,,,,তারপর রিং পরাবার সময় মেঘা তার হাজবেন কল দিয়ে বলে রিং সেরেমানি হবে চলে এসো,,,,
৫মিনিট পরেই রেদ আর রয়ান চলে আসে,,,,তারপর আয়ান আর মীম এর রিং সেরেমানি হয়,,,,,
আয়ান এর বাকি সবাই কে ডিনার করতে দেওয়া হলো তখনি পরী পাশের রুমে গিয়ে সিদ্দিক সাহেব আর তার ফ্যামিলি কে ও বাইরে সবার সাথে খেতে বলে বাট তারা যাবে না,,,,
আয়ান এর ফ্যামিলির সবাই জোর করে তাদের সাথে রেদ কে খেতে বসতে সে বলে না সে খাবে না,,,,,এখনে খেতে নাকি তার ইচ্ছে করছে না,,,,
বাকিটা পরে জানবেন,,,