ভালোবাসার_অভিনয় পর্ব-১৭+১৮

0
2849

#ভালোবাসার_অভিনয়
#Anuridhi_Rahman
#পর্ব ১৭

রুমা বেগম-রুবির বিয়ের কথা মনে আছে একটা মেয়ে নিলয় এর কবুল বলার আগে তারহাতে একটা চিঠি দিয়ে গেছিলো,,,নিলয় যা বলেছিলো আপনারা বিশ্বাস করলেও আমি করতে পারনি,,,,

আমি মেয়েটিকে সব জিজ্ঞেস করতেই মেয়েটি আমাকে সব বলে ছিলো জানেন কী বলেছিলো মেয়েটি আমায়,,,,

রুবির বাবা-কী বলেছে মেয়েটা,,,
.
.
.
.
.
.
.
রুবির মা-মেয়েটি বলেছিলো,,আমার মেয়ে আর আমার মেয়ের জামাই দুজনে সফলতা পাওয়ার জন্য একটা মেয়ের ইমোশেন নিয়ে খেলেছে,,,,আপনার মেয়ে অফিসের সব কাজ এ পরীর থেকে অনেক পিছেয়ে ছিলি,,,

তার পরীর কারনে রুবির আসাইন মেন্ট ওল টাইল রিজেক্ট হয়ে যায়,,,,তাই রুবি নিলয় এর সাথে মিলে পরীর সাথে আভিনয় করে #ভালোবাসার_অভিনয়,,,,,,আর তারা সফল ও হয়েছে আজ আমার বোনের মতো না আমার আমার বোনটা মৃত্যুর মুখে,,,,

চিন্তা করবেন না আমি আপনার সো কল মেয়ে জামাই এর নামে কেস করিনি চিঠিতে পরী মানা করেছে শুধু তাই,,,,

এসব শুনে রুবি বেগম এর চোখে পানি চলে এসেছিলো তাও নিজেকে সামলে দু হাত জোর করে চেলে এসেছিলাম,,,,

সেদিন নিচের চোখে ছোটো হয়ে গেছিলা শুধু মাএ রুবির মতো মেয়ের জন্য,,,,

সবাই এসব শুনে স্থির বসে রইলো,,তখন রুবির বাবা নিলয় কে বলল-নিলয় রুবিকে নিয়ে এখনি চলে যাও,,,,তোমাদের যেনো এ বাড়িতে না দেখি বলে রুমে চলে গেলেন,,,,

এক এক করে সবাই রুমে চলে গেলেন,,,,রেদ এর দাদি আর মিনা রুমে চেলে এলেন,,,,

রাবেয়া বেগম- বুঝলি মিনা,,,কী জানতে এসে কত কী জানতে পারলাম,,,,,

মিনা-পরী আফার জীবনটাই কটলো কষ্টে,,,,,

রাবেয়া বেগম একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ছাড়লেন,,,,

পরী অফিস থেকে বেড়িয়ে রাস্তা দিয়ে হাটছে,,,,সকালে রেদ পরীর সাথে অনেকক্ষন কথা বলে কিন্তু পরী শুধু হ্যা হুম ছাড়া কিছুই বলেনি,,,,,

রেদ পরীকে জিজ্ঞেস করে সকালে তাকে না বলে কেনো চলে এসেছো,,,,তখন পরী কিছু না বলে মাথা নিচু করে রেখেছিলো,,,,,তাই রেদ আর কিছু বলেনি,,,,

পরী চুপ চাপ নিজের কাজ করেছে,,,কারো সাথে কোনো কথাও বলেনি,,,দুপরে মিনা আর শিলার জোরা জোরিতে একটা প্রেস্টি কেক খেয়েছিলো,,,

পরী একটা লেক এর ধারে একটা বেঞ্চে গেয়ে বসলো,,,,,চারদিকে বাস্ত শহর,,, পরী লেক এর শেষ মাথায় বসে আছে এইদিকে শব্দ আর মানুষ জন নেই একদম,,,,

পরী আকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছে,,,,আজ বড় একলা একলা লাগছে,,,,

আজ যদি তার পাশে তার মা বাবা থাকতো,,,আচ্ছা মা বাবা তোমরা আমার পাশে থাকলে হয়তো আমার জগত টা অন্য রকম হতো তাইনা,,,হয়তো আমার জীবন এ নিলয় নামের কেও আসতেই পারতো না,,,না কাল রাত টা আমার জীবন এ আসতো,,,,,

আমরা ও হয়তো হতে পারতাম শুখী পরিবার,,,কিন্তু পরী এখনো জানেনা তার কালো অতিত,,,

পরীর চোখ বেয়ে নেমে যাচ্ছে নোন জল এর ডেউ,,,,পরী অনেক ক্ষন সেই জায়গায় একা বসে রইলো,,,,পরী নিজের হাত ঘড়িতে তাকিয়ে দেখলো ১০:২১ বাজে,,,,

পরী নিজের চোখ মুছে মুখে নকল হাসি টেনি বাড়ির গেলো,,,,,একবার বেল দিতেই মিম দরজা খুলল,,,পরী ভেতরে ডুকে দেখে আয়ান ও বসে আছে,,,,

পরী নিজের কষ্ট ভুলে মজার ছলে আয়ান কে বলল-ইস রং টাইমে চলে এলাম,,,,,,,

আয়ান-আরে না না ঠিক আছে,,,

মীম করা গলায় বলল-এতো দেরি হলো কেন,,,,আর তোর চোখ লাল কেন,,,,কেঁদেছিস,,,,

পরী জানতো এই প্রশ্নের মোকাবেলা তাকে করতে হবে তাই আগে থেকেই সব রেডি করে এসেছে-আসলে মিলি আর শিলার জোর করে মুভি দেখতে নিয়ে গেছিলো,,,,আর মুভিটা একটু ইমোশনাল ছিলো,,,,

মীম টেবিলে খাবার সাজাতে সাজাতে বলল-বাহানা ভালো ছিল এখন খেতে আয়,,,কিছু বলার আছে,,,,,আয়ান আসো,,,,

পরী-আমি ফ্রেস হয়ে আসছি ২মিনিট,,,,বলে পরী রুমে চলে গেলো,,,,

মীম আয়ান টেবিলে বসলো,,,,মীম আয়ান কে খাবার সার্ভ করতে করতে পরী একটা লং স্কার্ট আর সাদা টি সার্ট সাথে একটা স্কার্ফ পরে বেরিয়ে আসে,,,

পরী মীম এর পাশের চেয়ারে বসে তখন মীম পরীকে খাবার দিতে দিতে বলে-কাল বারিতে থাকতে পারবি ২টার পর,,,,

পরী খেতে খেতে বলল-কেনো,,,,

মীম আয়ান কে বলল-সব কী আমি বলবো তুমিও কিছু বলো,,,,

পরী ভ্রু কুচকে আয়ান এর দিকে তাকালো তখন আয়ান কিছুটা আস্থিরতায় পরলো,,,, তা দেখে পরী বলল-don’t worry just say everything,,,,,

আয়ান কিছুটা সুস্থি পেয়ে বলল-পরী আমার বাবা মা আর ভাই ভাবি চায় কাল আমাদের বিয়ের ডেড ঠিক হোক,,, আমিও কোনো দেরি করতে চাইনা,,,,যেদিন থেকে অফিস জয়েন করেছি,,,, মীম কে ভালোবাসতে শুরু করেছি,,,,

আমি আর মীম কে ছাড়া থাকতে পারবো না,,,, তাই কালই তারা আসে বিয়ের দিন ঠিক করতে,,তুমি আর মীম দুজন দুজনের গার্জিয়ান তাই তুমিই তো সব দেখবে,,,,,

আয়ান এর কথা শুনে পরীর গলায় ভাত আটকে গেলো,,,,কী বলছে আয়ান,,, মীম আর তার বিয়ে এতো তারাতারি,,বিয়ে হয়ে গেলেতে মীম ও চলে যাবে,,,,একদম একা হয়ে যাবো একদম শুন্য,,,,

ভাবতেই পরীর চোখে পানি চলে এলো,,,তার নিজেকে সামতে নিলো,,, চোখের পানি নাকি ভাত এ পরতে নেই,,,তাই বা হাত দিয়ে আড়ালে চোখ মুছে নিলো,,,

তারপর খুশি খুশি বলল-ঠিব বলেছেন,,তা কাল কখন আসবেন আপনারা,,,

এমন অনেক কথা হলো,,,,খাওয়া দাওয়া শেষে আয়ন কিছু ক্ষন পর চলে গেলো,,,,পরী রুমে এসে জানলা ধরে দারিয়ে আছে,,,,আর মনে মনে ভাবছে এক এক করে সব হারিয়ে ফেলছে,, সব,,,

মীম পেছন থেকে বলল-মন খারাপ কেনো,,,,

পরী-বিয়ের পর তুই আমাকে ছেড়ে চলে যাবি আমি একা হয়ে যাবো রে,,,একদম একা,,,,

পরীর কথা শুনে মীম এ কী বলবে ভাষা খুজে পায়না,,, ঠিকি তো আমি ছাড়াতো পরীর কেও নেও,,

কথাটা ভাবতেই মিম এর চোখে পানি চলে আছে,,মীম পরীকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে দেক পরীর চোখ দিয়ে পানি পরতেই আছে,,,,

মীম পরীকে জরিয়ে ধরে বলল-সরি রে আমার যে কী হয়েছে যে তোর কথা কী করে ভু্লে গেলাম আমিছাড়া যে তোর কেও নেই,,,,

বলে মীম ও কাঁদতে লাগলো,,,দুজনে ইচ্ছে মতো কাদলো,,,

চলবে,,

#ভালোবাসার_অভিনয়
#Anuridhi_Rahman
#পর্ব ১৮

কথাটা ভাবতেই মিম এর চোখে পানি চলে আছে,,মীম পরীকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে দেক পরীর চোখ দিয়ে পানি পরতেই আছে,,,,

মীম পরীকে জরিয়ে ধরে বলল-সরি রে আমার যে কী হয়েছে যে তোর কথা কী করে ভু্লে গেলাম আমিছাড়া যে তোর কেও নেই,,,,

বলে মীম ও কাঁদতে লাগলো,,,দুজনে ইচ্ছে মতো কাদলো,,,
.
.
.
.
.
.
.
.
সকাল সকাল মীম ঘুম থেকে উঠে দেখে পরী বেড এ নেই,,,এতো সকালে কোথায় যেতে পারে এসব ভাবতে ভাবতে রুম থেকে বাইরো এসে দেখে,,,,

পরী ঘর পরিষ্কার করছে,,,আর ফোনে মীম এর ফোন দিয়ে কার সাথে যেনো কথা বলছে,,,,

মীম-কীরে এসব কী আর আমার ফোনে কার সাথে কথা বলছিস,,,,

পরী পিছনে ঘুরে দেখে মীম ঘুৃম থেকে উঠে গেছে তাদেখে পরী একটা চিৎকার দিয়ে বলে তুি এতো তারাতারি উঠেছিস কেন,,,,

মীম অবাক হয়ে বলে-কেন কী হইছে,,,

পরী ফেন রেখে হাতের ময়লা কাপর টা ফেলে মীম এর সামনে এসে বলল-কাল রাত একদুপর কান্নাকাটি করে ঘুমিয়েছিস,,,আর এখন এতো ভোর এ ঘুম থেকে উঠে পরেছিস,,,,

মীম ঘড়ি দেখে বলে -কী এখন ভোর ৭:৩৮ বাজে আর এখন নাকি ভোর,,,,এই তোর মাথা ঠিক আছে তো,,,,

পরী-কাল কখন ঘুমিয়েছিস,,,

মীম-এই হবে হয়তো ১১টা বাজে,,,,

পরী-জ্বী না কাল তুই ঘুমিয়েছিস ১২:৫১তে ঘুমিয়েছিস,,আর কাল আমার সাথে অনেক কেঁদেয়েছিস আর একন এতো সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে গেছিস,,,,

পরী মীম কে রুমে নিয়ে বিছানায় শুয়ে কাথা মুরি দিয়ে বলে আর যাই ১০ আগে যেনো বিছানে থেকে না উঠে,,,,বলে রুম লক করে বেরিয়ে গেলো,,,,,

পরী সব পরিষ্কার করে সব নতুন করে সাজিয়ে রাখলো,,,পরী ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো ৯ টা বাজতে আর মাএ ৯মিনিট বাকি,,,,

পরী মীম এর ফোন টা দিয়ে আবার মিলি কে কল দিলো মিলি কল ধরতেই পরী বলে-কীরে ছুটি হলো,,,,

মিলি-হ্যা তোর কথা বলতেই ছুটি দিয়ে দিলো রেদ স্যার,,,,কেনো ছুটি চেয়েছি তাও জানতে চায়নি,,,,

পরী রেদ এ নাম শুনেই চুপ হয়ে যায়,,,বেশ অনেক ক্ষন ভুলে ছিলো রেদ কে কিন্তু কোনো না কোনো ভাবে মনে করিয়ে দিলো তাকে,,,

মিলি-কিরে কই গেলি,,,,

মিলির কথায় পরীর ঘোর কাটলো আর সে নিজেকে সামলে নিয়ে বলল-ও সব ছার তারাতারি চলে আয়,,,অনেক কাজ আছে,,,,,

ফোন রেখে পরী বসে পরলো,,,আর ভাবতে লাগলো এই কথা গুলো কী মীম কে বলবে নাকী না,,,,না মীম কে এসব বলা যাবে না এসব শুনলে মীম কষ্ট পাবে,,হয়তো নিজেকে দায়ি করবে এসব এর জন্য,,,না এসব বলা যাবে না,,,

পরীর চোখে পানি চলে এলো চোখ মুছে নিজেকে নিজেই বলল-রেদ স্যার এর সাথে কী কথা বলবো,,,না স্যার এর তো কিছুই মনে নেই ওনাকে কী বলবো,,,,

তখনি হঠাৎ বেল বেজে উঠে পরী ভাবনায় বাধা পরে পরী চোখ ভালো মতো মুছে দরজা খুলে দেখে মিলি আর শিলা দাড়িয়ে আছে,,,,২ জনের হাতেই শপিং বেগ,,,,

পরী-আয় আয় বস,,,

মিলি আর শিলা ভেতরে ডুকে সোফায় বসে পরে,,,,পরী ডোর ওফ করে দুজনের জন্য দু গ্লাস অ্যাপেল জুস এনে দেয়,,,,

মিলি-ওহ দস্ত শুকরিয়া,,,সকাল থেকে গলা দিয়ে একফোটা পানিও নামে নি,,,,

এটা শুনে পরী বলল-এই কেনো কিছু খেয়ে আসিস নি নাকি,,,,

শিলা হাফ জুস টা খেয়ে বলল-চুপ থাক ভুতনি,,,এক তো এতো সকাল সকাল এ কল দিয়ে ঘুম ভাঙেছিস,,,,আর এতো তারা দিয়েছিস যে তারাতারি ফ্রেস হয়ে সোজা অফিস গেছি,,,,

ভাগ্য ভালো রেদ স্যার আজ সকাল সকাল অফিস এসেছিলো,,,,আর তোর কথা বলে ছুটি চাইতেই কিছু একটা ভাবলো তারপর ছুটি দিয়ে দিলো,,,

রেদ এর নাম শুনে পরী একটা দীঘ নিশ্বাস ফেলে বলল তোরা বস আমি টেবিলে খাবার দিচ্ছি,,,,

সকাল সকাল নিলয় আর রুবি বাড়ির উদ্যেসে বেরিয়ে পরলো,,,,রুবি প্রেগন্যান্ট তাই তার মা রাত এ যেতে মানা করেছেন,,,,

রাবেয়া বেগম আর মিনা ওপর থেকে নামতেই দেখলেন সিদ্দিক সাহেব আর তার ছেলে সোফায় বসে আছে আর ছেলের বউরা একপাশে দাড়িয়ে রইছেল,,,,

রাবেয়া বেগম কে নামতে দেখে উঠে দাড়ালেন,,,,রাবেয়া বেগম সিদ্দিক সাহেবোর সামনে গিয়ে বলল-কিছু বলবেন ভাইজান,,,

সিদ্দিক সাহেব-আপা আসলে,,,,

রাবেয়া বেগম-হ্যা বলুন,,,,

সিদ্দিক সাহেব-আপা আমি আপনার সাথে যাবো,,,আমি আমার তৃনার মেয়েকে দেখতে চাই,,,, বলতেই তার চোখে পানি চলে এলো,,,,

রাবেয়া বেগম-আপনি যাবেন আপনার নাতনীর সাথে দেখা করতে যাবে এতে আমার কাছে জিজ্ঞেস করবেন কেনো,,,,,

তিনি হালকা হেসে বললেন,,,,তাইলে আজই আমরা ঢাকা বেক করবো,,,,

সিদ্দিক সাহেব রাজি হয়ে গেলেন তারা সকাল এর নাস্তা করে ১০ টার দিকে বেরিয়ে পরলেন ঢাকার উদ্যেসে,,,, রেদের দাদি রাবেয়া বেগম মিনা সিদ্দিক সাহেব আর তার ছোটো ছেলে শাকিল সাহেব আর তা স্ত্রী রুমা ও আছেন,,,,,

তারা বিকেল ৫টায় ঢাকা পৌছালো,,,,রাবেয়া বেগম তাদের নিজের বাড়ি নিয়ে গেলেন,,,কারন উনি জানেন না পরীর বাড়ি কোথায় তা রেদ হয়তো জানতে পারে,,,তাই বাড়ি গিয়ে পরীর ঠিকানা ও জানা যাবে আর মেহামান আপ্যায়ন ও করা যাবে,,,,,

বাড়ি পৌছে রাবেয়া বেগম মিনা কে বলল উনাদেও ওপরেদ রুম দেখিয়ে দিতে সবাই ফ্রেস হয়ে নিক তার পর রেদ এলে বাকি কথা হবে,,,,

রেদ কাল ভিডিও টা প্লে করে শুনেছে,,,তাতে সে বেশ বুঝতে পেরেছে মাতাল অবস্তায় ও পরীর এতোটা কাছে চলে গেছিলো যতটা একজন হাজবেন তার ওয়াই এর সাথে হয়ে থাকে,,,,,

তখন রেদ বুঝতে পারে কেনো পরী এতো সকাল সকাল চলে গিয়েছিলো,,,,এসব ভেবেই রেদ নিজের চোখেই ছোটো হয়ে যাচ্ছে,,,,যেই রেদ কাল পরীকে বাজে কথা বলার কারনে আরফান সাহেব কে এতো আপমান আর তার পার্টনারশিপ শেষ করে দিলো,,,,,

সেই জায়গার সে নিজে পরীর সাথে এতো বড় অন্যায় করে ফেলল,,,,এসব ভেবেই সারারাত ঘুম হয়নি,,, তাই সকাল সকাল অফিস গিয়েছিলো পরীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে তার তাই,,,,পরী যা শাস্তি দিবে রেদ মাথা পেতে নিবে,,,,

কিন্তু পরী আজ অফিস আসলো না,,, আবার মিলি আর শিলাকে সহ ছুটি নিলো,,,,কিন্তু কেনো তা বুঝতে পারছে,,,,সারাদিন কাজে একটু ও মন দিতে পারেনি,,,,

রেদ বাড়িতে ডুকে দেখে তারদিদা আর২জন লোক আর এক জন মহিলা বসে আছেন মিনা এখানে নেই হয়তো পরতে বসছে,,,,

রেদ নিজের দাদির সামনে গিয়ে বলে-দাদিজান মিস ইউ লট,,,,,,,বলে রাবেয়া বেগম এর পাশে বসে তার কাধে মাথা রেখে ওনাকে জরিয়ে ধরলো,,,

রাবেয়া বেগম-দাদুভাই ছাড়ো দেখ মেহামান এসেছেন,,,, তাদের সামনে কেও এমন করে,,,,

রেদ সোজা হয়ে বসলো মুখে হাসি টেনে বলল-আসসালামু আলাইকুম,,,

– ওয়ালাইকুম আসসালাম,,,,

তিন জন এক সাথে উওর দিলেন,,,,,রাবেয়া বেগম বললেন-ও আমার দাদুভাই রেদ আর দাদুভাই ইনি তোমার তৃনা আন্টির বাবা আর ভাই ভাবি,,,

রেদ ভ্রু কচকে তার দিদার দিকে তাকিয়ে হালকা হেসে বলল-সরি বাট আমি এখনো চিনিনি,,,

রাবেয়া বেগম-মনে আছে ছোঠো থাকতে তোমার মা শুধু তৃনা তৃনা করতো তোমার মা এর বেষ্ট ফ্রেন্ড তৃনা মনে পরেছে,,,,,,

রেদ-ওহ হ্যা ওই তৃনা আন্টি যার জন্য মা প্রতি বছর তার জন্ম দিনে আমাকে নিজে তার জন্ম দিন পালন করতো,,,,হ্যা এবার চিনেছি,,,বাট ওনিতো কোনোদিন এ বাড়িতে আসেনি তো তাই ভুলে গয়েছিলাম,,,,,

সিদ্দিক সাহেব বললেন-মেয়েটাকে যে আমরা ও কত বছর হলো চোখে দেখিনা,,,,

চলবে,,,,,