সম্পর্কের মায়াজাল পর্ব-১৩

0
4211

#সম্পর্কের_মায়াজাল
#ফারজানা_আফরোজ
#পর্ব_১৩

সেদিন রাতে তারা বাসায় চলে যায়। রাত ভালো ভাবেই চলে যায়। পরের দিন সকালে…….

সকাল ছয়টা কিন্তু আকাশ এখনও আঁধার ঘন কালো কুয়াশায়। শীতের সকাল মানেই প্রকৃতির এক অপরূপ সৌন্দর্য যা চোখের সামনে ভেসে ওঠে ঊষার চিত্র হিসেবে। শীতের সকালে মানবজাতির মনের ভিতরে বিচিত্র এক অনুভুতি সৃষ্টি করে। সেই অনুভূতি মানুষকে দেখায় এক নতুন স্বপ্ন। সেই স্বপ্নে মানুষ চায় ভাসতে। শীতের সময় মানুষ শীতে অনেকটা কাবু হয়ে পড়ে তখন সে একটু রোদের উত্তাপ পেতে চায়। শরীরের এই ঠান্ডা উষ্ণতা দূর করার জন্য প্রয়োজন তাদের রোদ।

আজ রোদ একবারও উকি দিবে না জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুভ্রতা শীতে চাদর গায়ে দিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। বার বার নিজেকে দেখছে। ভাবছে কতটা পরিবর্তন হয়ে গেছে সে। এই পরিবর্তনের কারণ খুঁজতে গিয়েও খুঁজছে না সে। যদি কারণ খুঁজে পায় সেই কারণ তো কষ্টের হতে পারে।

—” এইভাবে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি দেখছেন?”

শুভ্রতা স্পন্দনের দিকে তাকিয়ে মন খারাপের ভঙ্গিতে বলল……

—-” এমনি দেখছি মোটা হয়ে গেছি না-কি চিকন? আমাকে কি দেখতে বাজে লাগছে না-কি সুন্দর? স্যার, দয়া করে বলবেন আমায় কেমন লাগছে?”

স্পন্দন কিছুক্ষণ শুভ্রতার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো। মাথা থেকে পা পর্যন্ত কয়েক পলক দেখে বলল….

—” এতটা সুন্দর কবে থেকে হলেন? আগে তো এত সুন্দর ছিলেন না!”

শুভ্রতা আয়নায় নিজেকে দেখলো। চোখ বন্ধ করে নিঃশ্বাস ফেলে বলল…..

—” আগে কোনদিন আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন? ”

—” অবশ্যই তাকিয়েছি। তা-নাহলে আপনাকে চিনতে পারছি কিভাবে?”

—” মনোযোগ দিয়ে কোনোদিন দেখেন নি। আজ দেখেছেন তাই বলতে পারছেন।”

—” ওহ্ আচ্ছা। জানা ছিল না এমন কথা।”

—” স্যার, প্রেমে পড়লে বা ভালোবাসলে কেউ সুন্দর বা সুন্দরী হয়?”

—” হতে পারে কিন্তু সি-উর জানি না।”

—” সাধনাকে যখন ভালোবেসেছেন তখনও কি বুঝতে বা জানতে পারেন নি?”

—” সাধনাকে কোনোদিন ভালোবাসি নি আমি। একটা অন্যায়ের জন্য ওর সাথে ভালোবাসার অভিনয় করতে বাধ্য হয়েছি।”

—” কি এমন অন্যায় করেছেন ওর সাথে?”

—” যদি বলি রেপ তাহলে কি বলবে তুমি?”

‘রেপ’ নামক শব্দটি যখন স্পন্দন উচ্চারণ করেছিলো শুভ্রতার বুক কেঁপে উঠলো। স্পন্দন জীবনে এমন কাজ করবে না শুভ্রতা বিশ্বাস করে। ছলছল চোখে তাকালো স্পন্দনের দিকে…..

—” কি হলো কষ্ট লাগছে? আগেই বলেছি এই ধরনের প্রশ্ন করবে না। আর হুম যা বলেছি মিথ্যা বলেছি এমন কিছু হয় নাই।”

শুভ্রতা হাফ ছেড়ে বাঁচলো স্পন্দনের কথা শুনে।

—” স্যার, ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে আসুন।”

—” হুম।”

ড্রয়িং রুমে যেতে নিলে শ্বশুর শ্বাশুড়ির কথা কাটাকাটি শুনতে পেলো শুভ্রতা। মিসেস সাবিনা বেগম বললেন…..

—” তুমি সব কিছু করেছো।তোমার জন্যই আমার সুখের সংসার এখন আর সুখের সংসার নেই। তোমার জন্যই কিছু না কিছু বাঁধা সৃষ্টি হয় আমার সংসারে। কে বলেছে সন্ধ্যার বিরুদ্ধে গিয়ে এই মেয়েকে স্পন্দনের সাথে বিয়ে দেওয়ার। দুনিয়াতে কি আর মেয়ে ছিল না শুভ্রতা ছাড়া।”

শাশুড়ি মায়ের কথাটা শুনে অবাক সাথে কষ্ট পায় শুভ্রতা। শাশুড়ি মা যে তার এমন কথা বলতে পারে জানা ছিল না। মন খারাপ নিয়ে যেই নিচে নামতে যাবে তখনি আবারো শাশুড়ি মায়ের কথা শুনে থেমে গেলো……

—” তুমি জানো সন্ধ্যা কেমন। ও যখন যা বলে তাই করতে হয় আমরা কিছু বলতে পারি না। আমার মেয়েটা অন্য কোনো মেয়ের মতো স্বাভাবিক না। ও এখনও সাত বছরের বাচ্চার মতো আচরণ করে। নিজের ভালো এখনও বুঝতে পারে নাই। স্পন্দন ওকে চড় মারাতে ওর খুব অভিমান হলো তাই বাসায় আসছে না। কিছুদিন ধরে ওর শরীর না-কি ভালো লাগছে না। আমার এক মাত্র মেয়েকে আমি এইভাবে দেখতে চাই না।”

কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মিসেস সাবিনা বেগম। মিস্টার আজম কোনো কথাই বলছেন না। শুভ্রতার এখন সন্ধ্যাকে নিয়ে অনেক কিছু ভাবছে। কেনো সন্ধ্যা তাকে পছন্দ করে না? কেনোই বা তার জন্য বাড়ি থেকে চলে গিয়েছে? তার সাথে তো আগে সন্ধ্যার কোনোদিন দেখা হয় নাই। সন্ধ্যাকে দেখার খুব ইচ্ছা করছে শুভ্রতার।

খাবার টেবিলে চারজন বসে খাবার খাচ্ছে। শুভ্রতা যেদিন থেকে বাড়িতে এসেছে দেখছে স্পন্দন ওর বাবার সাথে কথা বলে না। তাদের বাপ ছেলের সম্পর্ক ঠিক নাই স্পন্দনের আচরণ দেখে বুঝেছে সে। কিন্তু আজ স্পন্দনের বাবা মিস্টার আজম বললেন……

—” স্পন্দন!”

স্পন্দন খাবার মুখে দিয়ে চুপ করে বসে আছে। ওর বাবার সাথে ও কথা বলেনা অনেক বছর ধরে। কিন্তু আজ হটাৎ তার নাম ডাকায় খাবার মুখে দিয়ে চুপ করে আছে। কথায় আছে না নিরবতা সম্মতির লক্ষণ । মিস্টার আজম স্পন্দনের নিরবতা দেখে বুঝলেন, স্পন্দন যে তার কথা শুনেছে। বিষন্ন মন তার শান্ত হলো, অস্বস্তি বোধটুকু আর রইলো না।

—” সন্ধ্যার সাথে কি তোমার কথা হয়?”

বাবা মা শব্দটি যতটা না মধুর তার চেয়ে হাজারগুণ মধু বাবা মা নামক মানুষটি। হাজারো কষ্টে সন্তানের মুখে হাঁসি ফোটানোর জন্য কত কিছুই না করেন তারা। সন্তানের প্রতি তাদের অভিমান হয় রাগ হয় কিন্তু প্রতিশোধ তারা নিতে পারে না। রাগ,অভিমান হলো সাময়িক। সন্তানের ভালোর জন্য সব কিছু করতে পারেন তারা। তাই তো আজ সন্তানের কাছে হার মেনে নিজেই কথা বললেন মিস্টার আজম…….

—” সন্ধ্যা আমার ফোন ধরে না। আমার সব নাম্বার ব্লক করে রেখেছে। ইমো,হোয়াটস অ্যাপ সব থেকে ব্লক মেরেছে।”

স্পন্দনের কথা শুনে শুভ্রতার মনে একটা প্রশ্ন উদয় হলো। মিসেস সাবিনা ও মিস্টার আজম এর কথা শুনে বুঝ-লো সন্ধ্যা নিজের বুদ্ধিতে কিছু করতে পারে না। ওর মাথায় ব্লক দেওয়া বা হোয়াটস অ্যাপ চালানো কিছুই আসবে না তাহলে ও কিভাবে ব্লক দিলো। সন্ধ্যা যদি এখন সাত বছরের বাচ্চার মতো আচরণ করে তাহলে অবশ্যই এখন গেম নিয়ে ব্যাস্ত থাকার কথা তাহলে কি সন্ধ্যা অভিনয় করছে না-কি কেউ ওকে খারাপ পরামর্শ দিচ্ছে……?

মিসেস সাবিনা অনেকদিন পর বাপ ছেলের একত্রে কথা শুনলেন। দুইজন দু’জনের সাথে আজ কথা বলেছে। খুশিতে তার চোখ বেয়ে আনন্দের অশ্রু বের হচ্ছে।

।।

।।

।।

অফিসে আজ মিটিং। অনেক বড় একটা ডিল হবে। যে কোম্পানির সাথে আজ এত বড় টাকার অংকের ডিল হবে সেই কোম্পানির বসের ছেলে এসেছে। কোম্পানির মালিকের ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে উনি চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছেন। উনার ছেলে আজ কোম্পানির সব কাজ করার জন্য এসেছেন।

—-” মিস্টার স্পন্দন আমরা কি এখন প্রজেক্টর নিয়ে কথা বলতে পারি? এমনিতেই অনেক দিন অপেক্ষা করছি। আপনার সমস্যা তো শেষ হতেই চাচ্ছে না। এত সমস্যা থাকলে বলুন আমরা অন্য কোথায় দেখতে পারি। শুধু মাত্র ড্যাড এর সাথে আপনার সম্পর্ক ভালো থাকায় আমি এতদিন সময় নষ্ট করেছি।”

—” সরি মিস্টার ফায়াজ। আমার পার্সোনাল কিছু প্রবলেম থাকায় আপনার অনেক সময় নষ্ট করেছি আমি।”

—-” তাহলে দেরি কিসের শুরু হয়ে যাক।”

—” ইয়াহ।”

শুভ্রতাকে ফোন দিলো। এই প্রজেক্টের সব কাজ শুভ্রতাকে দেওয়া হয়েছে। শুভ্রতা তার ছোট্ট নোটবুকে তখন লিখছিল……

“সন্তানের মঙ্গলের জন্য পিতা হেরে গিয়ে সন্তানকে জিতিয়ে দিলো। হুম বাবা মা তো এমনেই।”

ফোন রিসিভ করতে ঐ-পাশ থেকে মিষ্টি কণ্ঠে স্পন্দন বললো….

—” চলে আসুন শুভ্রতা।”

—” জ্বি স্যার আসছি।”

—” গুড। ”

স্পন্দন ফোন কেটে দিলো। শুভ্রতা আঙ্গুল দিয়ে চুল পেঁচিয়ে মুচকি মুচকি হেসে বললো….

—-” চলে আসুন শুভ্রতা আহা কি সুন্দরভাবে ডেকেছে। শেষে আবার গুড বলেছে। আমি তো স্যারের এই মধুর ডাকে পাগল হয়ে যাবো। ”

প্রজেক্টরের সব ডিটেলস নিয়ে শুভ্রতা স্পন্দনের কেবিনে গেলো। গোল্ডেন সানগ্লাস চোখে দিয়ে ফোন ঘাট-ছে একজন ইয়াং,হ্যান্ডসাম ছেলে। শুভ্রতা জানে বয়স্ক একজন লোক আসবে কিন্তু এইখানে এসে ভিন্ন কিছু দেখে স্পন্দনের দিকে তাকালো…..

স্পন্দন শুভ্রতাকে দেখে বললো…..

—” আপনি চলে এসেছেন। আসুন পরিচয় করিয়ে দেই। এনি মিস্টার ফায়াজ। উনার বাবা অসুস্থ থাকায় উনিই এই প্রজেক্টের ডিল করবেন। আর মিস্টার ফায়াজ উনি হলেন শুভ্রতা। আপনাকে এই প্রজেক্ট নিয়ে যা কিছু বলার উনিই বলবেন।”

ফায়াজ শুভ্রতার দিকে তাকিয়ে বললো…..

—“হ্যায় মিস , নাইছ টু মিট ইউ।”

ফায়াজ হাত বাড়ালো শুভ্রতাও হাত বাড়িয়ে হ্যান্ড-সেক করলো। ফর্মালিটি বলে একটা কথা আছে না। স্পন্দন শুভ্রতার হাত বাড়ানো দেখে চোখ তাদের দুই হাতের দিকে যায়।

—” শুভ্রতা তোমাকে যে কাজ দেওয়া হয়েছে তাই করো।”

—” জ্বি স্যার।”

শুভ্রতা প্রজেক্টর নিয়ে অনেক কথা বলছে। মিস্টার ফায়াজ শুনছেন না-কি বুঝা যাচ্ছে না। শুভ্রতার কথা শেষ হলে স্পন্দন বলা শুরু করে। স্পন্দনের কথায় কোনো আগ্রহ নেই ফায়াজের সে তাকিয়ে আছে শুভ্রতার দিকে। শুভ্রতা তা খেয়াল না রাখলেও স্পন্দন ঠিকই সব খেয়াল করছেন। সব কথা শেষ হওয়ার পর…..

—” মিস্টার ফায়াজ আপনি এখন এই ডিল করতে চান?”

—” ইয়াহ।”

—” প্রজেক্টের ব্যাপারে আপনিও কিছু বলেন এখন মিস্টার ফায়াজ?”

কিছু বলার কথা বলাতে ফায়াজ ‘থ’ মেরে যায়। ও যে প্রজেক্টের কিছুই মনোযোগ দিয়ে শুনিনি স্পন্দন বুঝতে পেরে এই বিভ্রান্ত মূলক প্রশ্নটি করে। কথা ঘুরানোর জন্য তখন ফায়াজ বলে…..

—” সব কিছুই ঠিক আছে। আমি এই প্রজেক্ট নিয়ে আপনার সাথে ডিল করতে চাই। সব পেপার রেডি আছে চলুন কাজ সম্পূর্ণ করা হোক।”

—” ইয়াহ চলুন। আর শুভ্রতা আপনি এখন যেতে পারেন। আপনার কাজ শেষ এই মুহূর্তে।”

শুভ্রতা চলে যেতে নিলে ফায়াজ পিছন থেকে ডাক দিলো……

—” এই যে মিস রৌপ্য কোথায় যাচ্ছেন? জানেন আপনার কণ্ঠ কিন্তু অসাধারন। আমি তো আবারো সেই মুগ্ধকর কণ্ঠ শুনতে চাই। একজন রমণীর এই অসাধারণ কণ্ঠ আমাকে এতটা তুষারাবৃত করবে ভাবতে পারিনি। আপনিও থাকুন না এইখানে।”

এই রকম অদ্ভুদ কথা কোনদিন শুনেনি শুভ্রতা। স্পন্দনের দিকে তাকালো দেখলো স্পন্দন ফায়াজের দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। অগ্নি তীর এক্ষুনি বিঁধে দিবে ফায়াজের দুই চোখে। একদিক থেকে ভালোই লাগছে শুভ্রতার। স্পন্দনকে জেলাস ফিল করতে দেখে নাচতে ইচ্ছা করছে…..

—” থ্যাংকস স্যার আমার কণ্ঠের এত ভালো সুনাম করার জন্য। কিন্তু আমি জানি আমার কণ্ঠ আপনার বলা সুনামের এক দিকও না। তবুও আমাকে খুশি করার জন্য বলেছেন তাই আবারো বলছি ধন্যবাদ।”

—” আপনাকে খুশি করানোর জন্য বলিনি। সত্যিই আপনার কন্ঠ-টা খুব কিউট। এই রকম কণ্ঠ যদি প্রতিদিন আমার কানের কাছে এসে কথা বলে সারাদিন না খেয়ে থাকা যাবে।”

স্পন্দন তখন ফায়াজের দিকে উদ্দেশ্য করে বলল….

—” ধন্যবাদ মিস্টার ফায়াজ আমার বউকে এত সুন্দর ভাবে সুনাম করার জন্য।”

থমথম গলায় ফায়াজ বললো…..

—-” বউ মানে?”

—” ওহ্ সরি আপনাকে বলা হয় নি শুভ্রতা মিস নয় মিসেস। ও হচ্ছে আমার বিয়ে করা ওনলি ওয়ান বউ।শুভ্রতা তুমি বাসায় চলে যাও। এখন আর কোনো কাজ নেই তোমার।”

—” ওকে।”

শুভ্রতা তাড়াতাড়ি করে স্পন্দনের কেবিন থেকে বের হলো। অনেক কষ্ট করে হাঁসি কন্ট্রোল করেছে সে। নিজের কেবিনে ঢুকে ব্যাগ পত্র গুছিয়ে অফিস থেকে বের হয়ে গেলো। স্পন্দনের গাড়ি না নিয়ে হেঁটে হেঁটে যেতে লাগলো। যেহেতু অনেকটা সময় আছে তাই হেঁটে হেঁটে যাবে বলে ঠিক করেছে শুভ্রতা। কিছুটা পথ যেতেই রাস্তায় একটা মেয়েকে দেখে দাঁড়িয়ে গেলো। অনেকগুলো ছেলে মেয়েটিকে একা পেয়ে বিরক্ত করছে। নিজের অজান্তেই সেই দিকে পা বাড়ালো শুভ্রতা…….

চলবে……

বানান ভুল ক্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কিছুদিন আগে সিগারেট নিয়ে যা বলেছিলো শুভ্রতা তা কিন্তু ঠিক। আমার আব্বু আমি ছোট থাকতে প্রচুর সিগারেট খেতো। আমার বয়স তখন চার বা পাঁচ তখন আমিও আব্বুর সামনে আব্বুর একটা সিগারেট খেয়েছিলাম 😷 সেইদিন আব্বু উনার সিগারেটের সব প্যাকেট পা দিয়ে পিষে আমাকেও বলেছিল পা দিয়ে পিষতে। সেইদিনের পর থেকে আজ অব্দি আব্বু সিগারেট খায় না।