#সাইকো বস
#নাহিদা ইসলাম
পর্ব ৬
এই তুই আমাকে তোর কাছ থেকে সরিয়ে দিলি কেনো, তুই জানিস না তোর প্রতি শুধু আমার ই অধিকার আছে। কিছু বলছি না বলে কী বার বেড়ে গেছে এই বলে এক হাতে আমার মুখে চেপে ধরলো অন্য হাত দিয়ে আমাকে ওনার সাথে মিশিয়ে নিলো।
এতো জোরে পেটে চাপ দিলো ব্যথায় আমার চোখ দিয়ে পানি পড়তে শুধু করলো। এটা দেখে শুভ্র পাগলের মতো বলতে শুরু করলো
—- সরি জানেমান আমি বুঝতে পারিনি রাগের মাথায় কী করে বসলাম সরি।
আমি চুপ করে কান্না করছি কিছু বলছি না।
— কী হলো এখন ও কান্না করছো কেনো, আর এমন করবো না এবারের মতো মাফ করে দেও।
—- কারবো না মাফ বজ্জাত হনুমান একটা। বলছিলাম তো দুপুরে আপনার ভালোবাসার কথা ভেবে দেখবো। এখন আর একবার আপনার কথা মনে ও করবো না। দূর হন আমার কাছ থেকে।
— এতো তেজ দেখালে কিন্তু আজকে রাতে আমার বেডে ঘুমাতে হবে।
আজ রাতে তোর আরামের ঘুম যদি না ভাঙ্গছি তো আমার নাম ও অহনা না। এখন শুধু চুপ করে আছি ভয়ে, গাড়িতে আর কেউ নাই বলে। আর নিধি তুই আসিস আমার সাথে ভাব জমাইতে পরে বুঝবি, তোর জামাই তোতলা থাকবো দিয়ে দিলাম বদদোয়া। মনে মনে কথাগুলো বলে চুপ করে বসে আছি। কী আর করবো আমি নিরীহ একটা মেয়ে পেয়ে এমন জরিয়ে ধরে বসে আছে।
— এই আমাকে নিরীহ একা পেয়ে এমন করছেন নাকি। কান্না করে দিবো কিন্তু।
—-কী তুমি নিরীহ। ভুতের মুখে রাম রাম শুনছি শয়তানের পুরো পরিবারের শয়তানি তোমার মাথায় আছে। এই মেয়ে নাকি নিরীহ।
এই চলে এসেছি। এখন এই বাসায় অহনা ই রাজা। গাড়ি থামার সাথে সাথে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে চলে আসলাম।
মামার বাসায় কর্নারের একটা রুমে আমি আর নিধি থাকি যখন মামার বাসায় আসি। রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। হঠাৎ আমার মহারানী বোন নিধির আগমন ঘটলো,
—-এই আপু এমন মুখ করে আছিস কেন, কথা বল আমার সাথে।
—তুই আমার বোন নাকি শুভ্র এসিস্ট্যান্ট কোনটা।
—কেনো আমি আবার কী করলাম।
— আমার চোখের সামনে থেকে যা আমাকে একা রেখে কী চলে গেছিলি ড্রাইভার এর সাথে। ড্রাইভার কী তোর বয়ফ্রেন্ড হয়।
— এই আপু কী বলিস এগুলো শুভ্র ভাইয়া ই তো আমাকে বলেছে আমি যেন সামনে চলে যাই।
—আচ্ছা শোন, যা ফ্রিজে গিয়ে ঠান্ডা পানি রাখ, বজ্জাত টা ঘুমালে ঠান্ডা পানি শরিরে দিয়ে চলে আসবো।
— আচ্ছা, আপু তুমি শুধু শুধু শুভ্র ভাইয়ের পিছনে পড়ে আছো কেনো।
— যেটা করে বলসি ঐটা কর। যা এখান থেকে
কিছুক্ষণ পর,
খাবার টেবিলে সবাই বসে খাবার খাইতেছে। শুভ্র হনুমান টা আমার সামনের চেয়ারে বসেছি উনার পা দিয়ে আমার পা সাইড করছে, আমি কিছু বলতে ও পরতেছি না উঠে চলে যেতে ও পরতেছি না। আমার এমন অবস্থা দেখে মুখ টিপে টিপে হাসছে শুভ্র।
দাড়া আমি ও কম না শুভর পা টা আমার পায়ের উপর দেওয়ার পর রোমান্টিক একটা ভাব নিয়ে তাকিয়ে আছি, আমার এমন ভাব দেখে শুভ্র একনজরে তাকিয়ে আছে আশেপাশে কী হচ্ছে উনার মাথায় কিছুই যাচ্ছে না। সুযোগ বুঝে দিলাম এক লাথি।
উনি তো চেয়ার থেকে লাফিয়ে উঠেছে। শুভর এমন লাফিয়ে উঠতে দেখে মা বলতে শুরু করলো,
—- কী হইছে বাবা, বিড়াল কী পায়ে কামড় দিলো নাকি।
—- হুম আন্টি বড় বিড়াল লাথি দিয়েছে।
আমি এখন মুখ টিপে টিপে হাসতেছি।
রাত প্রায় দুইটা বাজে বুঝলাম সবাই ঘুমাচ্ছে। সুযোগ বুঝে রুম থেকে বেড় হয়ে শুভ্র রুমে গেলাম একটি বালতিতে ঠান্ডা পানি নিয়ে।
গিয়ে দেখি কী সুন্দর ঘুমাচ্ছে।
হাসতে হাসতে পানিটা শুভ্র উপরে ঢেলে দিয়ে যেই না বেড় হতে যাবো এমনি হাত ধরে হ্যাচকা টান দিয়ে বেডে ফেলে দিলো।
— কী ভেবে ছিলে জানেমান, আমার উপর পানি দিয়ে চলে যাবে। তা কখনো হবে না।
— ছাড়ুন আমাকে। আমি রুমে যাবো।
— নিজ থেকে এসেছো, আমি যাইনি। আর আমাকে যখন ভিজালে তোমাকে ও এখন ভিজতে হবে।
এই বলে আমাকে কোলে তুলে নিয়ে গিয়ে ঝর্না ছেড়ে দেয়। শুভ্র আমার চুলগুকো খুলে দিয়ে গালায় মুখ ডুবিয়ে দিলো আমি যেনো বাকরুদ্ধ হয়ে যাচ্ছি, কিছু বলতে চেয়ে ও বলতে পারতেছিনা। উপর থেকে পানি পড়তেছে ভেজা শরিরে কাপড়গুলো লেপটে আছে, শুভ্র এক অন্য রকম নেশাতে পড়ে গেলো। ধীরে ধীরে স্পর্শগুলো গভীর হতে থাকে।এক হাত দিয়ে পেটে সাইড করছে অন্য হাত দিয়ে আমার দুইহাত চেপে ধরে রেখেছে। শুভ্র ঠোঁট দুটো আমার ঠোঁট যুগল বন্দি করে নিলো। আমি ছাড়ানোর বৃথা চেষ্টা করে জোরে কেঁদে উঠলাম, শুভ্র আমার এমন অবস্থা দেখে আমাকে ছেড়ে দিলো, দৌড়ে রুমে চলে আসলাম।
এই শুভ্রর স্পর্শ যে আমি নিতে পাড়ি না, শুভ্র আমাকে স্পর্শ করলে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে যাই কথা বলার শক্তি থাকে না। কেনো এমন হচ্ছে আমার সাথে।
পরদিন বিকেলে,বাসায় চলে যাচ্ছি। শুভ্ররা ও এখন চলে যাবে। কিন্তু কালকে রাতের পর থেকে আমি আর শুভ্রর সামনে যাইনি। আম্মু সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়েছে, আমি কাউকে কিছু বলি নাই। আমি জানি বিদায় নিতে গেলে শুভ্র সামনে পড়তে হবে।
পরের দিন সকালে,
অফিসে যাচ্ছি কিন্তু অনেক লজ্জা লাগছে আমি শুভ্রর সামনে কী করে যাবো। না যেয়ে ও কোনো উপায় নাই কারন আমি উনাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ।
অফিসে যাওয়া পর,
— আপনি এতোদিন অফিসে আসেনি কেন মিস অহনা।
—স্যার আম্মু তো ফোন করে বলেছিলো, তাও কেনো জিজ্ঞেস করছেন।
—তো কী হয়েছে আপনি তো বলেননি।
— তা এখন আমাকে কী করতে হবে।
—সিম্পল, কান ধরে সবার সামনে দাড়িয়ে থাকেন নয়তো আমাকে একটা কিস করেন।
— আমি অবাক দৃষ্টিতে দাড়িয়ে আছি। এই কী সব বলছেন আপনি মাথা ঠিক আছে।
— আমি একদম ঠিক আছি, যা করতে বলছি তা করো দ্রুত।
বজ্জাত হনুমান তোকে এখন আমার বট গাছের মগ ডাল ঝুলিয়ে রাখতে ইচ্ছে করছে। এখন আমি কী করবো,
চলবে