অনুভবে তুমি পর্ব-০৭

0
601

#অনুভবে তুমি
#পর্ব_০৭
#মুমতাহিনা_জান্নাত_মৌ

নরমালি বাসায় আমি টপ আর প্লাজু পড়ে থাকি।আজও তেমনি একটা ব্লাক কালারের প্লাজু আর মিষ্টি কালারের একটা টপ পড়ে আছি।সোফার একটা কুশন মাথার নিচে আরেকটা কুশন কোলের মধ্যে নিয়ে শুয়ে থেকে টিভি দেখছিলাম।
আমাদের এই জীবন টা খুবই অল্প সময়ের জন্য।সেজন্য ছোট্র এই জীবনটাকে সুন্দরভাবে সাজাতে হবে,অল্প এই সময়টুকু কে নানাভাবে উপভোগ করতে হবে। টেনশন, হতাশা,দুঃখ দূর করার একটাই উপাই হলো সব সময় আনন্দে থাকা আর হাসিখুশি থাকা।আর আপনাদের কে আনন্দে রাখাই আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য। শুরু করছি আপনাদের সবার প্রিয় অনুষ্ঠান “আনন্দে আনন্দে” এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আপনারা আপনাদের প্রিয় মানুষ টির উদ্দেশ্যে না বলা কথাগুলো আমাদের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে পারেন।আমাদের সাথে সরাসরি কথা বলার জন্য স্ক্রিনে দেওয়া নাম্বারে কল করুন।
আমি খুব মনোযোগ দিয়ে অনুষ্ঠান টি দেখছিলাম।কারণ এই অনুষ্ঠান টা আমার খুব প্রিয়।বিশেষ করে সবাই যখন সবার ভালোবাসার মানুষের উদ্দেশ্যে না বলা কথাগুলো বলে সেগুলো শুনতে আমার ভীষণ ভালো লাগে।পার্সোনাল একটা ফোন থাকলে আমিও কল করে আমার মনের কথাগুলো জানাতাম।কিন্তু আফসোস আমার কাছে কোনো ফোন নেই।এসব ভাবতেই,
হঠাৎ কলিং বেল বেজে উঠলো। আমি কলিং বেলের শব্দ শুনে তাড়াতাড়ি করে ওড়নাটা গায়ে মাথায় দিয়ে দরজা খুলতে গেলাম।কারন এই রাতের বেলায় ভাইয়া ছাড়া আর কেউ আসার কথা না।
কিন্তু দরজা খুলতেই আমার চোখ কপালে উঠে গেলো।কারন আজ ভাইয়া একাই আসে নি।সাথে দুইজন মধ্যবয়সী মহিলা আর পুরুষ। আর ভাইয়ার ফ্রেন্ডরা।ভাইয়া এই প্রথমবার তার ফ্রেন্ডদের বাসায় নিয়ে আসলো।নিশ্চয় কোনো উদ্দেশ্য আছে তা না হলে এনাদের কে বাসায় আনার প্রশ্নই আসে না।সবাইকে দেখে আমি ভীষণ লজ্জা পেয়ে গেলাম।সবার সামনে দৌঁড়ে নিজের রুমে যেতেও পারছি না।

এদিকে আমাকে দরজা খোলা দেখে ভাইয়া রাগ করে বললো, এতো রাতে তুই কেনো দরজা খুলতে এসেছিস?আম্মু কই?
আমি সেই কথা শুনে বললাম,আমি টিভি দেখতিছিলাম,সেজন্য খুলে দিলাম।
–আচ্ছা রুমে যা।যাওয়ার সময় আম্মু আর দাদীকে গেস্ট রুমে পাঠিয়ে দেস।এই বলে ভাইয়া সবাই কে নিয়ে গেস্ট রুমের দিকে চলে গেলো।
কি হতে চলেছে বা ভাইয়ার উদ্দেশ্য কি কিছুই বুঝতে পারলাম না।তবে খেয়াল করলাম ভাইয়ার সব বন্ধু আসলেও সেই চিরকুট ওয়ালা বন্ধুটি আসে নি।আমি আর দেরী না করে ডাইরেক্ট আম্মুর রুমে চলে গেলাম আর বললাম দাদীকে নিয়ে গেস্ট রুমে চলে যাও,ভাইয়া ডাকছে।

এদিকে আমি আমার রুমে গিয়ে অযথাই পায়চারী করছিলাম।কারন টেনশনে একদম শেষ হয়ে যাচ্ছি।কি বলছে সবাই জানার ভীষণ ইচ্ছা হচ্ছিলো।পানি ভরানোর অজুহাতে বোতল টা হাতে নিয়ে কিচেন রুমের দিকে চলে গেলাম।গেস্ট রুম থেকে সবার কথা স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে।একেকজন একেক কথা বলছে।কান পেতে শোনার চেষ্টা করেও কিছুই বুঝতে পারলাম না।তবে আন্দাজ করলাম হয় তো বিয়ে নিয়েই কোনো ডিসিশন নেওয়া হচ্ছে।
হঠাৎ দাদী পিছন দিক থেকে টোকা দিয়ে বললো,রুমে চল।কথা আছে তোর সাথে।আমি আর এক মুহুর্তও দেরী করলাম না।সাথে সাথে রুমে চলে গেলাম।
আমি রুমে যাওয়ার সাথেই দাদী বললো,তুই কি তানিম কে পছন্দ করিস?
আমি সেই কথা শুনে ভীষণ অবাক হলাম।কারন আমি তানিম নামের কাউকে চিনি না।তানিম আবার কে?
–কি রে চুপ হয়ে আছিস কেনো?
আমি তখন বললাম, তানিম আবার কে?চিনি না আমি।
আর কিসের ভালোবাসার কথা বলছো?
দাদী তখন আমার মাথায় একটা টোকা দিয়ে বললো,আর ঢং করতে হবে না,শুনেছি সব।
–কি শুনেছো?প্লিজ তাড়াতাড়ি বলো।আমাকে আর অযথাই টেনশনে রেখো না।
দাদী তখন বললো তুই আর তানিম নাকি দুইজন দুইজনকে ভালোবাসিস?অনেকদিন থেকেই নাকি তোদের প্রেম চলছে।আর ওইসব প্রেমপত্র তানিমই পাঠাতো তাই না?
দাদীর কথা শুনে আমি আকাশ থেকে মাটিতে পড়ে গেলাম।তানিম কি করে এটা বলতে পারলো,আমি তো ওর নামই জানি না।আর ও বলেছে আমরা দুইজন দুইজনকে ভালোবাসি?হ্যাঁ একটু ভালো লাগা শুরু হয়েছিলো কিন্তু সেটা তো ওনাকে জানাই নি আমি।তাহলে উনি কি করে এই কথা বলতে পারলেন?
দাদী আমাকে চুপ করে থাকা দেখে বললো,
তোর বিয়ের কথা শুনে তানিম ভীষণ ভেঙ্গে পড়েছে।ওর বাবা মা সেটা বলার জন্যই এসেছে।ওনারা বিয়ের প্রাস্তাব দিচ্ছে।অয়ন মোটেও রাজি নয়,সে কোনো কথা না বলে চুপচাপ নিচ মুখ হয়ে বসে আছে।ওর মুখ চোখ দেখে আমি বুঝতে পারছি সে ভীষণ রেগে আছে।

দাদী পুরো কথা শেষ না করতেই হঠাৎ ভাইয়া এলো রুমে।ভাইয়া এসেই রুমের দরজা লাগিয়ে দিলো।আমার হাত ধরে টেনে এনে দুই গালে দুইটা চড় মারলো।আর বলতে লাগলো,কি করেছিস এটা?কিভাবে করলি এ কাজ? এতো শাসন করার পরও তুই এই সাহস কোথায় পেলি?আমার মাথায় এটা কিছুতেই ঢুকছে না যে তুই তানিমের দেখা পেলি কই?আমি যে ভয়ে বন্ধুবান্ধব বাসাতেই আনি না,সেটাই ঘটে গেলো।আমার তো মাথা একদম নিচু করে ফেললি।আমার ভাবতেই অবাক লাগছে আমার বোন প্রেম করে।সেটাও আবার আমার ফ্রেন্ড এর সাথে।আমি তোকে আজ মেরেই ফেলবো।
এই বলে ভাইয়া আবার আমাকে মারতে এলো।
দাদী তখন ভাইয়াকে আটকিয়ে দিলো আর বললো কি করছিস এটা?এতো বড় মেয়েকে কেউ মারে?
ভাইয়া সেই কথা শুনে বললো,শুধু মার না ওরে আজ খুন করতে মন চাইছে?ও এতো বড় সাহস কই থেকে পেলো?
দাদী ভাইয়ার এমন চিৎকার চেঁচামেচি শুনে বললো, চুপ কর এখন।শুনবে তো ওনারা।এ নিয়ে পড়ে কথা বল।
ভাইয়া সেই কথা শুনে আরো জোরে চিৎকার করে উঠলো,আর বললো এখন কি বলবো আমি ওনাদের? যাদের এতো শ্রদ্ধা করি তাদের কে কিভাবে মুখের উপর না বলে দেই?আন্টি বার বার হাত ধরে অনুরোধ করছে।
দাদী তখন বললো, এখানে আর ভাবার কি আছে?দুইজন যখন দুইজনকে ভালোইবাসে তাহলে আর দেরী করে কি লাভ?রাজি হয়ে যা।

আমি এই কথা শুনে আর চুপ করে থাকতে পারলাম না।আজ সব সত্যি বলে দেবো ভাইয়াকে।কারন এখন থেকে এই মুহুর্তে আমি সবচেয়ে বেশি ঐ তানিম কে ঘৃনা করি।যে নিজের স্বার্থের জন্য আমাকে ব্যবহার করলো।তানিম আমাকে পছন্দ করে,ভালোবেসে পার্সেল পাঠায়,আবার বিয়েও করতে চায়।সব ঠিক আছে।কিন্তু মাঝখানে কেনো ও আমার নাম নিলো?কেনো বলেছে আমরা দুইজন দুইজনকে ভালোবাসি?ওই ছেলের প্রতি এতোদিন আমার যতটুকু ভালোলাগা আর ভালোবাসা তৈরি হয়েছিলো মুহুর্তের মধ্যে সব শেষ করে ফেললাম।
আমি তখন জোরে জোরে চিৎকার করে বললাম, ভাইয়া আমি তোকে অনেক বেশি ভয় পাই।আর সেজন্যই তোকে আমি কিছু বলি নি।ভাইয়া বিশ্বাস কর তোর বন্ধুর সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নাই।তাকে আমি দেখিও নি কোনোদিন।এমন কি তার নাম ও আজকেই ফাস্ট শুনলাম।বিশ্বাস কর।ওনারা যা যা বলছে সব মিথ্যে বলছে।
ভাইয়া আমার কথা শুনে রাগে ফায়ার হয়ে গেলো।আর চিৎকার করে বললো,তানিম আমার সাথে এতো বড় ফাজলামি করলো?ওর সাহস হয় কি করে আমার বোনের নামে অপবাদ দেওয়ার?
আমি তখন বললাম,ভাইয়া আগে পুরো কথা শোন তারপর কথা বল।
–আর শোনার প্রয়োজন নেই।ওরে আমি আজ মেরেই ফেলবো।ও কি করে এতো বড় সাহস পেলো?
আমি তখন ভাইয়ার হাত ধরে বললাম,ভাইয়া প্লিজ শান্ত হ।আগে পুরো কথা শোন।ওনারও তেমন দোষ নেই।উনি ভেবেছে আমি বাসার কাউকে পার্সেলের কথা বলি নি তার মানে আমিও ওনাকে ভালোবাসি।তারপর উনি কালকে একটা চিরকুট দিয়েছিলেন সে কথাও বলি নি তোকে।সেজন্য মনে হয় উনি ভেবেছে আমিও ভালোবাসি ওনাকে।
দাদী সেই কথা শুনে এগিয়ে এলো।আর আমার গা ধরে ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বললো, হ্যাঁ ঠিকই তো কথা।তুই কিছু বলিস নি কেনো?অয়ন কে না বললি!আমাকেও তো বলতে পারছিস?
আমি তখন ভাইয়ার সামনে গিয়ে ভাইয়ার দুই হাত ধরে বললাম,ভাইয়া আমি যে কারনে এই পার্সেলের কথা কাউকে বলি নি তার কারন শুনলে তুই আবার আমাকে মারবি না তো?
–মানে?কি বলতে চাচ্ছিস?কি এমন কথা?
আমি তখন বললাম,ভাইয়া সেদিন আমি ভার্সিটিতে এমনি এমনি অজ্ঞান হয়ে যাই নি?আমি সেদিন ভার্সিটির পিছন গেটে পাঁচজন মুখ বাঁধা ছেলেকে দেখেছিলাম যাদের সবার হাতে পিস্তল ছিলো।আর তারা কাকে যেনো খুন করে বস্তায় ভরে ভার্সিটির পাশের সেই ডোবায় ফেলে দিচ্ছিলো।আমি দেখে ফেলেছি দেখে তারা আমার বাসার ঠিকানা নিয়ে নেয় আর আমাকে হুমকি দেয়, যদি আমি কাউকে এটা বলে দেই তাহলে তারা আমার ফ্যামিলির সর্বনাশ করবে।আমি জানি তুই কত টা রাগী।এই কথা শুনলে তুই আর ঠিক থাকবি না।রাগ করে যা নয় তাই করবি।এইজন্য তোকে কিছু জানাই নি ভাইয়া।কারন আমি তোকে ভয় পেলেও অনেক বেশি ভালোবাসি। যদি ওরা আবার তোর কোনো ক্ষতি করে!এই ঘটনার পরের দিনই পার্সেল আসে আমার নামে।আমি ভেবেছি সন্ত্রাসী রা হয় তো পাঠায়ছে। সেজন্য ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।আর ভয়েই বাসার কাউকে বলি নি। কিন্তু পরে যখন দেখলাম কেউ আমাকে ভালোবাসার কথা বলছে তখন খুঁজেই পাচ্ছিলাম না কে হতে পারে?তুই যদি উলটো আমাকেই সন্দেহ করিস এই ভেবে কথা টা লুকিয়ে রেখেছিলাম।কিন্তু সামান্য এই বিষয় টা যে এতো বড় হবে কখনোই ভাবি নি।

ভাইয়া কথা টা শোনামাত্র আরো দুই টা চড় মারে আমাকে।আর রাগান্বিত কন্ঠে বলে তুই ভার্সিটির পিছন গেটে কেনো গিয়েছিলি?যদি কিছু হতো তোর?যদি সন্ত্রাসীরা তোকেও খুন করতো?কি হতো তখন?
আমি ভাইয়ার এমন রাগ দেখে সাথে সাথে জড়িয়ে ধরলাম তাকে।আর বললাম,এই ভুল আর হবে না ভাইয়া।আমি এখন বুঝতে পারছি তুই কেনো আমাকে এটা ওটা করতে নিষেধ করিস?কেনো আমাকে এতো সাবধানে থাকতে বলিস?আমি আজ থেকে তোর সব কথা শুনবো।কোনো কথা আর অমান্য করবো না।প্লিজ আমাকে ভুল বুঝিস না।
আমার কথা শুনে ভাইয়াও আমাকে জড়িয়ে ধরলো।আর বললো আর কখনোই কোনো কিছু লুকাবি না।

এদিকে দরজার ওপাশ থেকে আম্মু চিৎকার করে ডাকতে লাগলো।ভাইয়া আম্মুর ডাক শুনে দরজা খুলে দিলো।আম্মু রুমে এসেই ভাইয়াকে বললো,কি হলো তোর আবার?দরজা লাগিয়ে দিয়েছিস কেনো?ওনারা তো ডিসিশন চাচ্ছে।কি বলবো এখন?
ভাইয়া সেই কথা শুনে বললো, ডিসিশন সম্পূর্ণ অতশীর হাতে।ওর লাইফ,ও যেটা বলবে সেটাই হবে।
আমি আর এসব নিয়ে মাথা ঘামাবো না।ও যদি চায় তানিম এর সাথেই ওর বিয়ে হবে তাহলে সেটাই হবে।আর যদি বলে না হবে না তাহলে সেটাই।এই বলে ভাইয়া চলে গেলো।

আম্মু তখন দাদীকে জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে অয়নের?হঠাৎ এভাবে কথা বলছে কেনো?
দাদী তখন বললো তানিম মিথ্যা বলেছে।অতশীর সাথে ওর কোনো সম্পর্ক নাই।তানিম অতশীকে পার্সেল পাঠাতো এই পর্যন্ত ঠিক আছে।বাকি সব মিথ্যে।তাই না অতশী?
আমি মাথা নাড়িয়ে বললাম হ্যাঁ।কারন এই ঘটনার পর আর বিন্দুমাত্র আগ্রহ হচ্ছে না এই ছেলের প্রতি।

তানিমের বাবা মা খালি হাতে ফিরে গেলো।কারন ভাইয়া আমার উপর ছেড়ে দিয়েছে ডিসিশন।আর আমি ডাইরেক্ট না বলে দিয়েছি।আমার একটাই রাগ তানিম কেনো বলেছে আমার আর তার মধ্যে সম্পর্ক আছে?তানিম এই মিথ্যে কথা টা বলে দুটো জিনিস হারালো।এক,বন্ধুত্ব।আর দুই,আমার ভালোবাসা।কারন একটু হলেও ভালোবাসতে শুরু করেছিলাম তাকে।

এই ঘটনার পর তানিম প্রতিদিন এখন ভার্সিটির গেটে এসে দাঁড়িয়ে থাকে।আমার সাথে হয় তো কথা বলতে চায়,কিন্তু আমার সাথে আম্মু বা ভাইয়া কেউ না কেউ থাকে।এজন্য আর কিছু বলে না।তবে তানিম এখনো আশা ছাড়ে নি।সে নাকি ভাইয়ার পায়ে ধরেও মাফ চেয়েছে।ভাইয়া সোজা আমার কথা বলে দিয়েছে।কিন্তু আমার কথা একটাই সেটা হলো “না”।এখন আমি বিয়ে করবো না।

আমার দিনকাল ভালোই যাচ্ছে।কারন মাথার উপর থেকে অনেক বড় একটা বোঝা নেমে গেছে।বিয়ের জন্য সবাই যেভাবে উঠে পড়ে লাগছিলো এটা আপাতত বন্ধ আছে।আমি এখন এসব আজেবাজে চিন্তা বাদ দিয়ে পড়াশোনায় মনোযোগী হলাম।কিন্তু এই আনন্দ আর হাসির মাঝে আমার জীবনে এক ঘোর অন্ধকার নেমে এলো।যা আমার পুরো জীবন টা এলোমেলো করে দিলো।একটি ব্রেকিং নিউজ মুহুর্তের মধ্যে আমাকে সবার চোখে অপরাধী করে তুললো।একদিকে মিডিয়ার লোক খুঁজে বেড়াচ্ছে অন্যদিকে সন্ত্রাসীরা।

ব্রেকিং নিউজ!গোপন সিসিটিভি ফুটেজ এ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছন গেটের কিছু ভিডিও গনমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।যেখানে দেখা গিয়েছে দুইজন মুখ বাঁধা লোক একটা বস্তা গড়িয়ে গড়িয়ে ডোবার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।আর তিনজন মুখ বাঁধা লোক পাশে দাঁড়িয়ে আছে।তার কিছুক্ষন পরে সেখানে একটি মেয়েকে দেখা যায়।মেয়েটির মুখ খোলা ছিলো।সেজন্য জুম করে মেয়েটিকে সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।মেয়েটিকে ধরতে পারলেই এর আসল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব!
আসলে মেয়েটিও ওই দলের? না, সে ওই গেট দিয়ে বের হতে ধরেছিলো!এই ঘটনার সাথে তমাল হত্যার কোনো যোগসূত্র আছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

#চলবে,,,,,,,