গল্প : অনুর উপাখ্যান
পর্ব : ১১
— ছি: সীমা, কী বলো এসব ! চিকিৎসা করাবো না মানে ? আমাদের সাধ্য মতো সব করব । যত টাকা লাগুক খরচ করব । তুমি চিন্তা করো না । সবাই এখন শুধু আল্লাহকে ডাকো ।
— ক্যান্সারের চিকিৎসা তো অনেক টেকা খরচ অইবো ভাবি !
— হোক খরচ, আমাদের আল্লাহই দিবেন আবার । এখন কোন হসপিটালে নেয়া যায় তা ঠিক করতে হবে । আর নিহানের আব্বু, আপনি রিপোর্ট গুলো ডা: জামাল ভাইকে কাল সকালেই দেখাবেন । মাকে কোথায় ভর্তি করতে হবে জেনে আসবেন । কারণ সময় কম, ক্যান্সার শরীরের দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে । আর টাকা যা আছে আপনার কাছে সব বাসায় নিয়ে আসবেন ।
পুরো বাড়িটাতে যেনো শোকের ছায়া নেমে এসেছে । সীমা, লীমার সেই হিংসা মূলক আচরণ এখন আর নেই । লীমা বেশি কান্না কাটি করছে । এত বয়স হয়েছে তবু বিয়ে হচ্ছে না ওর । মার সাথে সারাক্ষণ লীমাই থাকে । ওর জন্যই শাশুড়ি মায়ের যত চিন্তা ।
অনুর যেনো দম নেয়ার ও সময় নেই । বাড়ির সবচেয়ে ছোট সদস্য হয়ে ও সবাইকে তার শান্তনা দিতে হচ্ছে । কাল থেকে শাশুড়ি মায়ের কেমোথেরাপি শুরু হবে । ধানমন্ডির একটা ক্লিনিকে ভর্তি করে কেমো দিয়ে আবার বাসায় নিয়ে আসা হবে। দেশে কেমোথেরাপি হাতে গুনে মাত্র কিছু হসপিটালে চালু আছে । তবুও চেষ্টার যেনো কোনো ত্রুটি না হয়, এটাই অনুর চিন্তা এখন ।
শাশুড়ি মাকে কেমোথেরাপি দিয়ে বাসায় নিয়ে এসেছি । মায়ের বয়স অনেক বেশি হওয়ায় কেমোর ধকল সহ্য করতে পারবে কিনা সেই টেনশনে আছে সবাই । একটু পর পর মা বমি করছেন, খেতে পারছেন না কিছু । সারাক্ষণ মায়ের পাশে বসে আছি আমরা । এভাবে রাতটা কোনো রকম পার হলো ।
সকালে উঠেই মাকে মুখে তুলে খাইয়ে দিলো অনু । শাশুড়ি মা অন্যকারো হাতে পেট ভরে খান না । তাই অনু নিজ হাতে প্রতি বেলা খাইয়ে দেয় ।
— ও লীমা, আমার শরীল জ্বলতাছে । আমার গায়ে পানি দেও ।
— মা, আমনে গোসল করবেন ? খাড়ান, ভাবিরে ডাকতাছি ।
— ভাবি, মায় গোসল করতে চাইতাছে, কি করতাম ? হাঁটতে তো পারে না । বাথরুমে নিমু কেমনে ?
— আমি দেখছি আসো আমার সাথে ।লীমা বাথরুম তো দূরে । এক কাজ করি বারান্দায় গোসল করাই । একটা চেয়ারে বসিয়ে গোসল করাব। আর তুমি মার একটা শাড়ি গ্রীলের এই পাশে মেলে দাও । আশে পাশে কোনো দোতলা বাড়ি নেই, কাজেই কিছু দেখা যাবে না ।
— আইচ্ছা ভাবি, খুব ভালো কতা কইছেন ।
—রিনা, এ্যাই রিনা ? এদিকে আসো তো ।
— জি মামি। ডাকছেন আমারে ?
— হ্যাঁ, মার জন্য এক বালতি পানি, মগ আর সাবানটা দিয়ে যাও । বুয়াকে বলো কলসে করে পানি এনে ঢালতে । তুমি একা পারবে না বালতি উঁচু করতে ।
— আনতাছি মামি ।
সবকিছু রেডি করে শাশুড়ি মাকে অনু আর লীমা মিলে বারান্দায় নিয়ে একটা চেয়ারে বসিয়ে অনু নিজ হাতে মাকে গোসল করিয়ে দিলো । পরে দুপুরে আবার ভাত মেখে খাইয়ে দিলো । একটা বিষয় অনু খেয়াল করল যে, ভাত খাওয়ানোর সময় শাশুড়ি মা কেমন যেনো অবাক চোখে অনুর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকেন । অনু আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছে শাশুড়ি মা যেনো তার কাছ থেকে কোনো কষ্ট না পান । তাই সে সাধ্য মতো সেবা করে যাচ্ছে । অনু বিশ্বাস করে, আজ যদি সে তার শাশুড়িকে অবহেলা করে, তবে তার ছেলের বউ ও একদিন তাকে অবহেলা করবে । দুনিয়াটা হলো বদলার জায়গা । যে যেমন কর্ম করবে;সে তেমন ফল পাবে ।
বাসার এত করুন পরিস্হিতিতে ও মেজো ভাবি বাবার বাড়ি থেকে আসতে পারে নি । মেজো ভাই বিদেশে চলে যাওয়ার পর ভাবি ওখানেই থাকেন । দেশে বন্যা শুরু হয়েছে । তাই আসা কষ্টকর ।আর বড় ভাবির বাতের সমস্যা বেড়ে হাঁটু ফুলে গেছে । তাই তিনি সিঁড়ি বাইতে পারেন না । মার সেবা তো দূরের কথা, কেউ মায়ের মুখটা ও দেখতে পায় না । অনুই একমাত্র বউ যে শাশুড়ি মাকে আগলে রেখেছে ।
সারাদিন আত্মীয়রা বাসায় আসা যাওয়া করছেন । নিহানকে সময় মতো খাইয়ে ঘুম পাড়িরে অনু শাশুড়ি মায়ের কাছে বসে থাকে । যখন যা লাগে তাই করে দেয় সে ।তিন মাস বাকি আছে এইচ, এস, সি পরীক্ষার । কি পরীক্ষা দিবে সে ? পড়ার তো কোনো সুযোগই নেই । শাশুড়ি মা যখন ঘুমিয়ে থাকেন, অনু মার কাছে বসে পড়তে থাকে । এভাবে চেষ্টা করছে পড়া চালিয়ে যেতে। কলেজে যেতে দেয়নি কোনো দিন ক্লাস করার জন্য । শুধু সাজেসন আর নোট কালেক্ট করে অনু নিজের মতো করে পড়ছে ।
মিসেস জামিল আজ খুব ভোর থেকেই রান্না শুরু করেছেন । অনুর শাশুড়ি বড় পাঙ্গাস মাছের তরকারি খেতে চেয়েছেন, তাই মাছ রান্না করে নিয়ে যাবেন, সাথে চিকেন কর্ন স্যুপ রান্না করেছেন । আর যাওয়ার সময় দোকান থেকে কিছু ফল, হরলিক্স, জুস কিনে নিবেন ।
— কই ঝিনু, তাড়াতাড়ি রেডি হ। এতদূরের পথ যাব, আবার ফিরে আসতে হবে আজই ।
— আমি রেডি আম্মু, চলো বের হই । আচ্ছা আমরা কেনো থাকতে পারব না অনুর বাসায় ? একটা রাত থাকলে কি হয় ?
— না, মা এখন বেড়ানোর সময় না । এমনিতেই অনুর উপর এখন অনেক বেশি চাপ যাচ্ছে । আমরা থাকলে মেয়েটা আরও সমস্যায় পড়বে । ঐ বাড়িতে এত মানুষ ! মেয়ে আমার কত কষ্ট যে করছে !
শাশুড়ি মায়ের কেমোথেরাপি দেয়া শেষ । এখন উনি বেড রেস্ট এ আছেন । এখন উনার প্রচুর যত্ন আর ভালো ভালো খাওয়া দরকার । মারুফ সব এনে দিচ্ছে, আর অনু জান প্রান দিয়ে সেবা করে যাচ্ছে । বাসার পরিস্হিতি এখন একটু ভালো । সবাই অনেক খুশি, মা এ যাত্রায় বেঁচে গেছেন । ডাক্তার এটাই বলেছিলেন, যদি কেমো সহ্য করতে পারেন তবে হয়ত আর কয়েক মাস সময় পাওয়া যাবে ।
বিকেলের দিকে ঝিনুরা অনুর বাসায় পৌঁছালো । অনুতো এত দিন পর আব্বু আম্মু আর বোনকে পেয়ে মহা খুশি । আর ঝিনু খুশি নিহানকে পেয়ে । অনু সবাইকে শাশুড়ি মায়ের কাছে নিয়ে গেল। আব্বু আম্মুকে সেখানে বসিয়ে ঝিনুরে নিয়ে রান্না ঘরে গেল চা বানাতে । অনুর হাতের চা অনুর আব্বুর অনেক প্রিয় ।
— কিরে আপু তুই কেমন আছিস ?
— ভালো রে আলহামদুলিল্লাহ ।
— তুই জীবনে স্বীকার করবি যে তুই ভালো নেই ? কারণ, তুই হচ্ছিস বাংলা মুভির নায়িকা শাবানা । নিজে কষ্টে মরে যাবি তাও কাউকে বুঝতে দিবি না !
— আরে না, এখন ভালোই আছি । আসলে এত ব্যস্ত থাকি যে, কষ্ট কাউন্ট করার সময়ই পাই না ।
— তোর ননদ কালনাগিনীরা কেমন ব্যবহার করে এখন ?
— এখন ভালো হয়ে গেছে সবাই । আর কষ্ট দেয় না ।আর ঝুমা আপা তো আগের থেকেই ভালো ।
— যাক, শান্তি পেলাম শুনে;ওরা মানুষ হয়েছে ।
— বাদ দে এসব । বড় আপু শুভ্র কেমন আছে রে ? আপু আসলেন না ?
— কীভাবে আসবে ? বন্যায় রাস্তা ঘাট প্রায় বন্ধ । আমরাই কত কষ্ট করে এসেছি । জানিস আপু ? আমাদের বাসায় দুইটা পরিবারকে আশ্রয় দিয়েছি । তাদের ঘর পানিতে ডুবে গেছে ।
— ভালো করেছিস । মানুষের বিপদে পাশে থাকতে হয় । চল চা রেডি ।
চায়ের সাথে হালকা নাস্তা করে ঝিনুরা যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে । অনু হটলাইনার থেকে খাবার গুলো ঢেলে রেখে হটলাইনারটা ফেরত দেয়ার জন্য নিয়ে আসলো ।
— দেহি ভাবি বাটি টা দেন তো একটু দেহি ।
— কেনো কি হয়েছে লীমা ?
— না, কিছু না এমনি দেখতাম ।
লীমা হটলাইনার এর প্রতিটা বাটির ঢাকনা খুলে খুলে বাটি চেক করছে ভিতরে কিছু আছে কিনা । অনু লজ্জায় অপমানে মনে হচ্ছিল মরেই যাবে । অনুর আম্মু চোখের ইশারায় অনুকে কিছু বলতে নিষেধ করল । লীমা চলে যাওয়ার পর মিসেস জামিল মেয়েকে অনেক বুঝিয়ে আদর করলেন ।
— থাক মা, মন খারাপ করো না । ওরা এমন পরিবেশেই বড় হয়েছে । তুমি তোমার কর্তব্য করে যাও । আল্লাহ আছেন তোমার সাথে ।
আম্মুদেরকে বিদায় দিয়ে অনু ঘরের দরজা আটকে হাউমাউ করে কাঁদছে । চোখার সামনে নিজের মায়ের এই অপমান সহ্য করতে পারছে না সে ।ছি: কি রুচি ওদের ! বাটিতে করে আমি কী জিনিস দিব আম্মুকে ? আর আমার বাবার কি কোনো কিছুর কমতি আছে ? ঢাকাতে নিজের বাড়ি, বিজনেস সব আছে । কতটা ছোট মন হলে মানুষ এমন চিন্তা করে !
— অনু, এ্যাই অনু দরজা খোলো । কি অইছে তোমার ?
— কিছু না । দাড়ান খুলছি ।
— কি অইলো কান্দো ক্যা ? আব্বু আম্মু কখন গেছে ?
— এইতো একটু আগে ।
— তোমার কি হইছে ?
— লীমা আজকে আম্মুকে অপমান করেছে ।সবকিছু শুনে মারুফ রেগে গিয়ে বলল :
— ওর গালে একটা চড় মারতে পারলানা ?
— কি বলেন ? ও বয়সে আমার কত বড় ! আর মা অসুস্হ এখন এসব করা যায় ? আমি তো ওরে জিজ্ঞেস ও করি নি কেনো এমন করল সে ?
— হুনো, বড় ভাবি তো অনেক গরীব ঘরের মাইয়া ছিল । তাই তারে এমন কইরা চেক করত । কিন্তু, তোমার লগে এমন করল কত সাহস !
— মায়ের চিকিৎসা শেষ তো, তাই আবার ওদের আসল চেহারা বের হয়েছে । থাক বাদ দেন, আল্লাহই এর বিচার করবেন ।
দেখতে দেখতে দুই মাস পার হয়ে গেছে । শাশুড়ি মা এখন অনেকটাই সুস্হ । লীমার আচরন আবার আগের মতোই । ঝুমা আপারা ফরিদপুর বদলি হয়ে চলে গেছেন । সীমা নিজের সংসারে আধা বেলা আর এখানে আধা বেলা করে থাকে।
সামনের মাসে অনুর ফাইনাল পরীক্ষা । সারাদিন পর যখনই অনু পড়তে বসে , শুরু হয়ে যায় লীমার অত্যাচার । বিটিভিতে জোড়ে জারি গান চালু করে দেয় । যদি সাউন্ড কমাতে বলা হয় তো বলে,কানে তুলো দিয়ে পড়তে । কারণ হলো এ পর্যন্ত লীমা তিন বার পরীক্ষা দিয়েও পাস করতে পারে নি । তাই অনুকে ও পাস করতে দিবে না ।
সব ঝড় উপেক্ষা করে অনু পরীক্ষা দিচ্ছে । রিনা সাত মাসের নিহানকে নিয়ে হলের বাহিরে অপেক্ষা করে । নিহান কাঁদলে অনু তাকে ব্রেস্ট ফিড করতে করতে লিখতে থাকে । বোর্ড পরীক্ষায় কখনো হলের ভিতর এমন দৃশ্য কেউ হয়ত দেখে নি । হলের রাউন্ডে যে শিক্ষক ছিল সে অনুর কাছ থেকে দূরে সরে থাকে । সব নিয়ম ভেঙে শিক্ষকরা অনুকে এই সুযোগটা দিয়েছেন ! লেখাপড়ার প্রতি অনুর অদম্য ইচ্ছে দেখে । পুরো কলেজে অনু যেনো একটা উদাহরণ হয়ে রইল ।
কেমোথেরাপি নেযার চার মাস শেষ হয়েছে । শাশুড়ি মার শরীর একটু খারাপ । ঠান্ডা জ্বর হয়েছে । ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে । কিন্তু ডা: জামাল ভাই দেশে নেই, ইন্ডিয়া গেছেন । তাই মারুফ ফার্মেসি থেকে একটা সিরাপ নিয়ে এসেছে । সীমাকে বলল খাইয়ে দিতে ।
— দেখি লীমা আমাকে দাও তো একটু লীফলেট টা পড়ে দেখি । অনু দেখলো ডায়াবেটিক রোগীর জন্য এই ঔষধ নিষেধ । অনু লীমাকে সিরাপ খাওয়াতে নিষেধ করে দৌড়ে ঘরে গেল ।
— নিহানের আব্বু, আপনি কি ঔষধ এনেছেন আন্দাজে ? এটা খেলে মার ক্ষতি হবে । ওখানে লেখা আছে যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা এটা খেতে পারবে না ।
— ধুর, কিছু অইতো না । বাদ দেও । ডাক্তার ভাই নাই কি করমু । সামান্য জ্বর ঠান্ডা কিছু অইতো না ।
অনুর বুকের মধ্যে কেমন কামড় দিলো মনে হয় । ওর কেনো জানি মনে হচ্ছে কাজটা ঠিক হচ্ছে না । শাশুড়ি মা ক্যান্সারের রোগী , উনার জ্বর মানে নরমাল জ্বর না ।
অনুর কথা উপেক্ষা করে শাশুড়ি মাকে ঔষধটা খাওয়ানো হলো । পরের দিন থেকেই মার শরীর খারাপ হতে লাগল । অনুর মন কেমন জানি করছে । সে যা বুঝতে পারছে অন্য সবাই তা কেনো বুঝতে পারছে না ?
— নিহানের আব্বু, মাকে ঢাকা নিয়ে চলেন তাড়াতাড়ি । যদি বাঁচাতে চান । মার অবস্হা খারাপ ।
একটা মাইক্রোবাস ভাড়া করে মাকে এক ক্লিনিকে নেয়া হলো । কিন্তু , ওরা এই রোগী রাখবে না । পরে শাশুড়ি মাকে সোহরাওয়ার্দী হসপিটালে ইমার্জেন্সিতে নেয়া হলো ।
— এই রোগীর সাথে কে আছে ? ডাক্তার জিজ্ঞেস করল।
— আমি আছি বলুন । অনু বলল ।
— রোগী আপনার কি হয় ?
— শাশুড়ি মা হন ।
— শোনেন, রোগীর আবস্হা অনেক খারাপ । ক্যান্সার উনার পুরো পেট, গলা ছড়িয়ে গেছে । পেটে শুধু পানি ভরা । উনাকে বাঁচানোর কোনো উপায় নেই । আপনার সাথের লোকজন কই ?
— ঐ দিকে আছে, আমি ডাকছি । মারুফ আর সীমাকে ডেকে অনু সব বলল ।
শাশুড়ি মা একা বেডে শুয়ে আছেন । অনু তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে । অনু খেয়াল করলো শাশুড়ি মা এক দৃষ্টিতে অনুর দিকে চেয়ে আছেন । অনুর অনেক কান্না পাচ্ছে দেখে ।
— কিছু বলবেন মা ? পানি খাবেন ?
— শাশুড়ি মা চোখের পাতা নেড়ে সম্মতি দিলেন । সীমা পানির গ্লাস এগিয়ে দিলো । অনু নিজ হাতে শাশুড়ি মাকে চামচ দিয়ে পানি পান করালো ।
কিছুক্ষণ পর খেয়াল করল মায়ের অবস্হা আরও খারাপ হয়ে গেছে । ডাক্তাররা সবাই দৌড়াদৌড়ি করে মাকে আইসিইউ তে নিয়ে গেলেন । মায়ের সাথে অনু আর মারুফ ও আইসিইউতে গিয়ে মায়ের বেডের পাশে দাঁড়িয়ে রইল ।
চলবে…..
✍? নায়না দিনা