#অবশেষে_তুমি (পর্ব ১৩)
#Mohua_Afrin_Mim
·
·
·
আমি বললাম
নিসাঃ এই আপনার সমস্যা কি হে!! আপনাকে আমি আমি ভালো বলে সরি বলতে এসেছি আর আপনি বলছেন যে — “আমি ভাবলাম কি করে আপনি আমার সরি মেনে নিবেন”।। আমার না বয়ে গিয়েছে আপনাকে সরি বলার জন্য।। আমি তো আপনাকে কখনোই সরি বলতাম না শুধু মাত্র ফারিয়ার কথায় আপনাকে সরি বলার জন্য রাজি হয়েছি।। আর এই নিসা কাউকে কখনো সরি বলেনা।। আপনার ভাগ্য ভালো যে আমি আপনাকে সরি বলতে এসেছিলাম।। যত্তসব ফাউল কোথাকার।।
অর্ণবঃ এই তুমি আমাকে কি বললে আমি ফাউল।। তাহলে তুমি কি!! তুমি তো একটা বেয়াদব।। বড়দের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় জানো না!! আর লাগবে না তোমার ওই সরি।। আমারো বয়েই গেছে তোমার থেকে সরি পাওয়ার।।
নিসাঃ আপনি আমাকে বেয়াদব বললেন!! আমি বেয়াদবের কি করেছি।। আপনাকে আমি জাস্ট সরি বলতে এসেছি আর আপনি আমাকে যা নয় তাই বলছেন।। আমি আর আপনার সাথে কখনোই কথা বলতে চাইনা।।
নিসা কথাটা বলেই চলে আসলো সেখান থেকে।। আর ফারিয়া অর্ণবকে বললো
ফারিয়াঃ ভাইয়া আপনি এমন করলেন কেনো ওর সাথে!!ও তো শুধু আপনাকে সরি বলতে এসেছিলো।। আর আপনি ওর সাথে খারাপ ব্যবহার করলেন!!
কথাটা বলে ফারিয়াও সেখান থেকে চলে এলো নিসাকে খুঁজতে।।
আর অর্ণব এইদিকে হা করে তাকিয়ে আছে।।
ফারহানঃ দোস্ত তুই এমন করলি কেনো মেয়েটার সাথে।। সত্যিই তো ও তো তোকে সরি বলতে এসেছিলো।।
অর্ণবঃ আমার মাথা ঠিক ছিলো না।। ও আমাকে ফাউল বলেছে শুনে আমার মাথায় রাগ উঠে গিয়েছিলো।। আর আমি তো শুধু মজা করছিলাম।। ব্যাপারটা যে এরকম সিরিয়াস পর্যায়ে চলে যাবে আমি ভাবতে পারিনি।।
ফারহানঃ এখন কি করবি।। নিসা তো রাগ করে চলে গিয়েছে।।
এদিকে নিসা কেঁদেই চলেছে।। ফারিয়া নিসাকে শান্ত করার চেষ্টা করছে কিন্ত নিসা কোনোমতেই শান্ত হচ্ছে না।। ফারিয়া বললো
ফারিয়াঃ দোস্ত এইভাবে কান্না করছিস কেনো!! কান্না করিস না আর।।বাদ দে তো ওইসব কথা।।
নিসাঃ উনি আমাকে বেয়াদব বললেন কেনো!! আমি কি করেছি!! উনিই তো শুরু করেছিলেন।। আমি আর কখনো উনার সামনে যাবো না।।
ফারিয়াঃ ঠিকই বলেছিস।। তুই আর উনার সামনে যাবি না।। তাহলেই সব ঠিক থাকবে।।
ক্লাস শেষে আমি আর ফারিয়া বের হয়েছি বাসায় যাওয়ার জন্য।। কিন্তু সামনে দেখি অর্ণব দাড়িয়ে আছে।। অর্ণব আমার দিকে তাকিয়ে আছে।। হাব ভাবে মনে হচ্ছে কিছু বলতে চায়।। কিন্তু আমি তো উনার সাথে কথা বলবো না।। উনার সামনে দিয়ে যেতে নিলে উনি আমাকে কিছু বলতে যাবেন তার আগেই আমি উনাকে পাশ কাটিয়ে চলে গেলাম।। পেছনে ফিরে আর তাকালাম না।। তাকালে হয়তো দেখতে পেতাম উনি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছেন।।
পরেরদিন কলেজে আসার পর শুনি প্রথম ক্লাস নাকি হবে না।। তাই আমি আর ফারিয়া বাহিরে বসে গল্প করছিলাম।। তখনি দেখি অর্ণব কোথা থেকে যেনো আসছে।। ভালোভাবে খেয়াল করে দেখি আমাদের দিকেই আসছে।। তাই ফারিয়াকে নিয়ে সেখান থেকে একপ্রকার দৌড়ে চলে এলাম।। কারণ উনার মুখোমুখি হতে চাই না…….. আবার যদি অপমান করে বসে।।
.
.
.
.
.
.
এক সপ্তাহ কেটে গেলো নিসা কোনোমতেই অর্ণবের সামনাসামনি হয়নি।। অর্ণবকে দেখলেই নিসা দৌড়ে পালিয়েছে।। আর অর্ণব নিসার সাথে কথা বলার চেষ্টা চালিয়ে গেছে।।
এই কয়দিনে নিসার অনেকের সাথেই বন্ধুত্ত হয়েছে।। ভালোই কাটছে নিসার দিনগুলো।।
আর এদিকে অর্ণব কোনোমতেই নিসার সাথে কথা বলতে পারছে না।। অনেক কষ্ট করেও কিছুই হয়নি।। নিসা ওর সামনেই আসেনা।। তাই ফারহানকে বললো
অর্ণবঃ দোস্ত কি করি বল তো!! নিসা তো কিছুতেই সামনে আসছে না।। ওকে সরি বলবো কি করে!! আর ওকে এখনো সরিই বলতে পারিনি আর কবে যে বলতে পারবো ওকে পছন্দ করি!! সেটা হয়তো আর কখনো বলাই হবেনা।।
ফারহানঃ আরে দোস্ত তুই চিন্তা করিস না।। আমি আছি কি করতে!! আমি থাকতে তোর কোনো চিন্তা করতে হবেনা।। আমি আজকেই ব্যবস্থা করছি।। তুই আজকেই নিসাকে সরি বলবি।।
নিসা আর ফারিয়া বসে গল্প করছিলো।। তখনি ফারহান এসে বললো
ফারহানঃ নিসা শুনছো!!
নিসাঃ আরে ভাইয়া আপনি!! জ্বী বলেন।।
ফারহানঃ তোমার সাথে কিছু কথা ছিলো।।
নিসাঃ হ্যা বলেন।।
ফারহানঃ এখানে না।। একটু দূরে আসো।।
নিসাঃ উনি আবার আমার সাথে কি কথা বলতে চায়!! আর এখানে বলবে না দূরে বলতে চায়।। ব্যাপারটা কি!! (মনে মনে)
চলেন ভাইয়া।।
ফারহানঃ চলো।।
ফারহান ভাইয়া হাঠছেন আর আমি ভাইয়ার পিছে পিছে হাঠছি।। ব্যাপার কি উনি না আমার সাথে কথা বলতে চায় তো না বলে এইভাবে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে আমাকে!!
একটু পর দেখলাম ভাইয়া আমাকে ভার্সিটি ক্যাম্পাসের এক জায়গায় নিয়ে এলেন।। জায়গাটায় মানুষজন নেই বললেই চলে।। একদম নিরব।। হঠাৎ দেখলাম অর্ণব দাড়িয়ে আছে।। আমাকে ফারহান অর্ণবের কাছে নিয়ে এসে বললো
ফারহানঃ তাহলে আমি যাই।।
নিসাঃ যাই মানে!! আপনি না আমার সাথে কথা বলবেন!! তাহলে কোথায় যাচ্ছেন!! আর উনি এখানে কেনো!!
ফারহানঃ তোমার সব প্রশ্নের উত্তর অর্ণব দিবে।।
কথাটা বলেই ফারহান চলে গেলো আর আমি হা করে তাকিয়ে আছি।। কিছুই বুঝতে পারছি না কি হচ্ছে।।
অর্ণবঃ নিসা শুনো।।
নিসাঃ আমি ভ্রু কুঁচকে অর্ণবের দিকে তাকিয়ে আছি।। তাহলে এইসব আপনি করেছেন!!
অর্ণবঃ আর নইতো কি করতাম!! তুমি তো আমার সামনেই আসো না।। আমাকে দেখলে পালিয়ে যাও।। আমি কি বাঘ নাকি ভাল্লুক যে তুমি এইভাবে পালিয়ে যাও।।
নিসাঃ আপনার সাথে আমি কোনো কথাই বলতে চাই না।। বলেই চলে যাচ্ছিলাম
অর্ণবঃ নিসা প্লিজ চলে যেয়ো না।। তোমার সাথে আমার কথা আছে।।
নিসাঃ আমার সাথে আপনার আবার কিসের কথা!! আমার জানা মতে আমার সাথে আপনার কোনো কথাই থাকতে পারে না।। আর আমি আপনার সাথে কথা বলবো না।।
অর্ণবঃ নিসা I’m sorry. আসলে তোমার সাথে আমার ওইদিন এমন করা উচিত হয়নি।। আমার অনেক রাগ উঠে গিয়েছিলো তাই তোমাকে রাগের মাথায় অনেক কিছু বলে ফেলেছি।। সত্যিই সরি।।
আমি বললাম………
·
·
·
চলবে……………………..
#অবশেষে_তুমি (পর্ব ১৪)
#Mohua_Afrin_Mim
·
·
·
আমি বললাম
নিসাঃ আপনি বলছেন সরি আমাকে!! এখন তো মনে হচ্ছে আমি সজাগ অবস্থায় স্বপ্ন দেখছি!!
অর্ণবঃ কেনো আমি কি তোমাকে সরি বলতে পারি না!!
নিসাঃ না আপনি যেমন মানুষ!! আপনার তো ভাবই আলাদা।।
অর্ণবঃ কেনো আমি কেমন মানুষ!!
নিসাঃ না কিছু না।।
অর্ণবঃ দেখো আমাকে যতোটা খারাপ ভাবো আমি কিন্তু ততোটাও খারাপ না।। আমি যথেষ্ট ভালো আছি।।
নিসাঃ হুম।। তা তো দেখতেই পাচ্ছি।।
অর্ণবঃ কি দেখতে পারছো!! (গম্ভীর স্বরে জিজ্ঞাসা করলাম)
নিসাঃ না না কিছু না।।
অর্ণবঃ আচ্ছা আমরা কি ভালো ফ্রেন্ড হতে পারি!!
নিসাঃ আমার সাথে আপনার আবার কিসের ফ্রেন্ডশিপ!!
অর্ণবঃ না মানে…….. আমাদের এই ঝগড়ার সম্পর্কটাকে কি বন্ধুত্তে পরিণত করতে পারিনা!!
নিসাঃ দেখা যাক।।
অর্ণবঃ Thank you.
নিসাঃ হুম।। তাহলে আমি আসি।।
অর্ণবঃ ঠিক আছে।।
কথা শেষ করে আমি চলে এলাম ফারিয়ার কাছে।। ফারিয়ার কাছে আসার পরই ফারিয়া আগ্রহের সাথে জিজ্ঞাসা করা শুরু করলো
ফারিয়াঃ দোস্ত কি হয়েছে!! তোকে কোথায় নিয়ে গিয়েছিলো!! আর কি বলেছে!! (কথাগুলো এক শ্বাসেই বললো)
নিসাঃ আরে থাম থাম।। আগে তুই নিঃশ্বাস নে।।
ফারিয়াঃ বলনা কি হয়েছে!!
নিসাঃ কি আর হবে।। গিয়ে দেখি অর্ণব ভাইয়া দাড়িয়ে আছে।। আর ফারহান ভাইয়া উনার সাথে কথা বলার জন্যই নিয়ে গিয়েছে।।
ফারিয়াঃ কি বললো অর্ণব ভাইয়া!!
নিসাঃ আমাকে সরি বলেছে।। আর আমার সাথে ফ্রেন্ডশিপ করতে চায়।।
ফারিয়াঃ কি!!! সত্যি!!! ভাইয়া তোর সাথে ফ্রেন্ডশিপ করতে চায়!! সব মেয়ের ক্রাশ নাকি যে ছেলে।। যে নাকি কোনো মেয়ের দিকে তাকায় না…………. পাত্তা দেয় না সে তোর সাথে ফ্রেন্ডশিপ করতে চায়!! আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না।।
নিসাঃ আরে কি শুরু করেছিস বাদ দে তো।।
ফারিয়াঃ এখন আমি বাদ দিবো!! ঢং যত্তসব।।
এদিকে অর্ণব অনেক খুশি।। ও নিসাকে সরি বলতে পেরেছে।। ফারহানকে বলছে
অর্ণবঃ দোস্ত thank you. তোর কারনে আজকে নিসাকে সরি বলতে পেরেছি।। তুই না থাকলে হয়তো বলাই হতো না।।
ফারহানঃ আরে ফ্রেন্ড হয়ে যদি কোনো উপকারেই না আসি তাহলে ফ্রেন্ড হলাম কেনো।।
অর্ণবঃ এই জন্যই তো তুই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।।
ফারহানঃ হা হা হা।। এখন তুই ওরে কিভাবে বলবি যে তুই ওকে পছন্দ করিস সেইটা ভাব।। যেমন হাইপার টাইপের মেয়েরে বাবা!! দেখলেই ভয় লাগে।।
অর্ণবঃ হুম।। ফ্রেন্ডশিপের অফার তো দিলাম।। দেখা যাক কি হয়।। আগে ভালো ফ্রেন্ড হয়ে নেই তারপর বলবো।।
ফারহানঃ ok.
.
.
.
.
.
.
কলেজ শেষে রিকশার জন্য দাড়িয়ে আছি কিন্তু কোনো রিকশাই পাচ্ছিনা।। আজকে ফারিয়াও আসেনি কলেজে।। এখন একা একা এখানে দাড়িয়ে কি করবো।। হঠাৎ দেখি একটা গাড়ি সামনে এসে দাড়ালো।। ভালো করে খেয়াল করে দেখি অর্ণব।। অর্ণব বলছে
অর্ণবঃ এখানে একা একা দাড়িয়ে না থেকে আমার সাথে আসো।। আমি তোমাকে পৌঁছে দিচ্ছি।।
নিসাঃ না না।। আমি একাই যেতে পারবো।। আপনার কষ্ট করতে হবেনা।।
অর্ণবঃ অনেক্ষন থেকে তো দাড়িয়ে আছো।। একটা রিকশাও তো পেলেনা।। কখন পাবে তার নিশ্চয়তা নেই তার চেয়ে বরং আমার সাথেই চলো।।
নিসাঃ আসলেই কখন যে রিকশা পাবো তার কোনো গ্যারান্টি নেই।। উনার সাথে চলে যাওয়াটাই ভালো হবে।। (মনে মনে)
অর্ণবঃ কি হলো কি এতো ভাবছো।। আসো।।
আর কিছু না ভেবে গাড়িতে উঠে গেলাম।।
অর্ণব নিসাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে চলে গেলো।।
.
.
.
.
.
.
অর্ণব আর নিসার সম্পর্কটা এখন ভালোই চলছে।। দুজন এখন আর ঝগড়া করে না।। দুজন এখন ভালো ফ্রেন্ড হয়ে গিয়েছে।। একসাথে বসে গল্প করে…….ঘুরাঘুরি করে।। এখন ওদের ফোনেও যোগাযোগ হয়।। দুজন দুজনের খেয়াল রাখে।। অর্ণব নিসাকে প্রতিদিন বাসায় পৌঁছে দেয়।।
একদিন অর্ণব নিসাকে বাসায় পৌঁছে দেয়ার সময় বললো
অর্ণবঃ আচ্ছা আমরা তো এখন অনেক ভালো ফ্রেন্ড।। আর ফ্রেন্ডকে কি কেউ আপনি বলে!! তুমি আমাকে তুমি বলে ডাকবে।। কেমন!!
নিসাঃ ঠিক আছে।। আচ্ছা তোমার কি কোনো গার্লফ্রেন্ড নেই।।
অর্ণবঃ না নেই।।
নিসাঃ কাউকে পছন্দ করো নাকি??
অর্ণবঃ করি একজনকে কিন্তু সে বুঝে না।।
নিসাঃ কে সেই ব্যক্তি!!
অর্ণবঃ আমার সাথে যে বসে আছে সে।। (আস্তে করে বললাম)
নিসাঃ কিছু বললে!!
অর্ণবঃ না কিছু না।। সময় হলে বলবো।।
নিসাঃ ok.
দুইদিন পর নবীণবরণ অনুষ্ঠান।। আমি ফারিয়া অর্ণব আর ফারহান ভাইয়া একসাথে বসে গল্প করছিলাম।। হঠাৎ করে ফারিয়া বলে উঠলো
ফারিয়াঃ দোস্ত নবীনবরণ অনুষ্ঠানে সবাই শাড়ি পরে আসবে।। আমিও পরবো তুইও কিন্তু শাড়ি পরে আসবি।।
নিসাঃ না বাবা আমি শাড়ি পরবো না।। আমি এমনিতেই শাড়ি পরতে পারিনা।। আর শাড়ি পরে সামলাতেও পারিনা।।
ফারিয়াঃ আমি কিছু শুনতে চাই না।। তুই শাড়ি পরে আসবি।। এটাই শেষ কথা।।
নিসাঃ দোস্ত এমন করিস না প্লিজ।।
অর্ণবঃ মানা করছো কেনো।। শাড়ি পরে আসবা প্লিজ।।
নিসাঃ আচ্ছা বাবা ঠিক আছে।।
ফারিয়াঃ Thank you দোস্ত।।
নবীনবরণ অনুষ্ঠানের দিন নিসা মেরুন কালারের শাড়ি পরে কলেজে এসেছে।। ফারিয়া আর নিসা একসাথে দাড়িয়ে কথা বলছিলো এমন সময় অর্ণবের চোখ যায় নিসার দিকে।। নিসার দিকে তাকিয়েই অর্ণবের চোখ আটকে যায়।। মেরুন কালারের শাড়ি আর এই হালকা সাজে যেনো মেয়েটাকে অপ্সরীর মতো লাগছে।। চোখ ধাঁধানো সুন্দর লাগছে।।মেয়েটাকে এতো সুন্দর লাগছে যা বলার বাহিরে।। মেয়েটা এতো সুন্দর কেনো!! আচ্ছা ও যে এতো সুন্দর সেটা কি ও জানে।। (মনে মনে ভাবছে অর্ণব)
এদিকে নিসা অর্ণবকে খুজেই যাচ্ছে কিন্তু পাচ্ছেনা।। অর্ণব যে ওকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছে সেটা নিসা জানে না।।
এক সময় নিসা অর্ণবকে খুঁজতে খুঁজতে এক জায়গায় পেলো।। নিসা অর্ণবকে দেখে রাগ করে বললো
নিসাঃ আপনি এখানে!! আর আপনি এতক্ষণ কোথায় ছিলেন?? আমি আপনাকে সেই কখন থেকে খুঁজছি।।
·
·
·
চলবে…………………….