অবশেষে তুমি পর্ব-১১+১২

0
471

#অবশেষে_তুমি (পর্ব ১১)
#Mohua_Afrin_Mim
·
·
·
অর্ণব রুমে এসে খাটের উপর বসে ভাবছে মিমের কথা।। কেনো কান্না করছে…… কি এমন কারণ আছে যার জন্য ও কান্না করছে।। অর্ণবের অনেক কষ্ট হচ্ছে মিমকে কান্না করতে দেখে……..মিমের কান্না করাটা ও মেনে নিতে পারছে না।। কিন্তু ওর কেনো এতো খারাপ লাগছে মিমের জন্য…….. ও তো মিমকে পছন্দ করেনা…….তবে কেনো বুকের মদ্ধে এক চাপা কষ্ট অনুভব করছে।।আর ও এখনো রুমে আসছে না কেনো।।

বৃষ্টির মদ্ধে দাড়িয়ে ভাবছি কেনো আমার সাথে এমনটা হলো…… আমি কি দোষ করেছিলাম যে আমার সাথেই এমনটা হতে হলো।। উনি যদি অন্য কাউকে পছন্দ করেই থাকেন তাহলে কেনো আমাকে বিয়ে করলো।। আর বিয়ে করে এখন আমাকে মেনে নিতে পারবে না।। উনি কি প্রমাণ করতে চাচ্ছেন……….. মায়ের কথামতো বিয়ে করে কি উনি মহান সাজতে চাচ্ছেন……. আমাকে এভাবে কষ্ট দিয়ে।। আমকে এইভাবে কষ্ট দিয়ে উনার কি লাভ হচ্ছে……. উনি কি মজা পাচ্ছেন।। আমি আর মেনে নিতে পারছিনা এসব।।

আধাঘন্টা পর মিম নেমে এলো ছাদ থেকে।। মিমকে রুমে ঢুকতে দেখে অর্ণব জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মিমের দিকে।। আর মিম সেদিকে পাত্তা না দিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে গেলো।। অর্ণব অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আর ভাবছে হয়েছেটা কি মেয়েটার।। মিম ওয়াশরুম থেকে বের হওয়ার পর অর্ণব মিমের দিকে তাকালো।। ভালো ভাবে তাকিয়ে ভাবছে—এতক্ষণ তো খেয়ালই করেনি সে……… মিম এতক্ষণ কাঁদাতে মিমের চোখ মুখ ফুলে আছে আর চোখ নাক লাল হয়ে আছে।। মেয়েটাকে এই মুহূর্তে অনেক বেশি সুন্দর লাগছে…… অনেক কিউট লাগছে।। কাঁদলে বুঝি মানুষকে এতো সুন্দর লাগে আগে জানা ছিলো না।।

মিম অর্ণবের পাশ কাটিয়ে এসে শুয়ে পড়লো আর অর্ণব হা করে তাকিয়ে আছে।। একটু পর অর্ণবও শুয়ে পড়লো।। রাতে কারো কাঁপুনিতে ঘুম থেকে উঠে যাই।। ভালো করে খেয়াল করে দেখি মিম কাঁপছে।। বুঝতে আর বাকি রইলো না বৃষ্টিতে ভিজার ফলে জ্বর আসছে।। তাই একটা কাথা ওর গায়ে দিয়ে দিলাম কিন্তু তাও ওর কাঁপুনি বন্ধ হচ্ছে না।। তাই আর কিছু না ভেবে ওকে জড়িয়ে ধরলাম।। জড়িয়ে ধরাতে কাঁপুনি কিছুটা কমেছে।। উষ্ণতা পেয়ে মিম মনে হচ্ছে আরো ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে আর অর্ণবও আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়লো।।

সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি মিমকে জড়িয়ে ধরে আছি।। তাই ওকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে নিলাম।। মিমের দিকে তাকিয়ে আছি…….. অনেক ভালো লাগছে ওকে দেখতে………. কি সুন্দর করে ঘুমাচ্ছে!! অনেক কিউট লাগছে ওকে।। এই মুহূর্তে ওকে অনেক ছুতে ইচ্ছা করছে তাই ওর কপালে আলতো করে চুমু এঁকে দিলাম।। তারপর তাড়াতাড়ি উঠে এলাম সেখান থেকে আর নইতো মিম যদি টের পেয়ে যায় কি না কি ভাববে।।

অনেক্ষণ ধরে ফোনটা বাজছে।। দেখতে ইচ্ছে করছেনা কে ফোন করেছে।। কিছুই ভালো লাগছে না।। ফোনটা কেটে গিয়ে আবার যখন বাজতে লাগলো তখন হাতে নিয়ে দেখি আম্মু ফোন দিয়েছে।। অনেকটা বিরক্তি নিয়ে ফোনটা ধরি

আম্মুঃ হ্যালো মিম।।

মিমঃ হ্যা আম্মু বলো।।

আম্মুঃ সেই কখন থেকে ফোন দিয়েই যাচ্ছি ধরছিস না কেনো??

মিমঃ এমনি ভালো লাগছিলো না।।

আম্মুঃ কেনো কিছু হয়েছে!!

মিমঃ না কিছু হয়নি।। বলো কি বলবে!!

আম্মুঃ মিম তুই ভালো আছিস তো সুখে আছিস তো!!

মিমঃ হ্যা ভালো আছি।। ভালো থাকবো না কেনো এতো ভালো ছেলের কাছে বিয়ে দিয়েছো।।

আম্মুঃ এমন করে বলছিস কেনো!! আমরা কি তোর ভালো চাই না!!

মিমঃ হ্যা ভালো চাবে না কেনো।। এতো ভালো ছেলে তো পাওয়াই যায় না এজন্য বিয়ে দিয়েছো।। তাই ভালো না থাকার তো কোনো প্রশ্নই উঠে না।। ভালোই আছি অনেক ভালো আছি।।

আম্মুঃ এমন করে কথা বলছিস কেনো তুই!! কিছু হয়েছে তোর!!

মিমঃ না কিছু হয়নি আমার।।

আরো কিছুক্ষণ কথা বলে রেখে দেই।। কোনো কিছুই ভালো লাগছেনা বিরক্তিকর লাগছে সব কিছু।। ইচ্ছা করছে কতক্ষণ চিল্লাই।।

.
.
.
.
.
.
.

এক সপ্তাহ হয়ে গেছে মিম অর্ণবের সাথে ভালো করে কথা বলে না।। এই এক সপ্তাহ ধরে মিম অর্ণবকে ইগনোর করে চলেছে।। আর অর্ণব সেটা ভালো করেই বুঝেছে।। অর্ণবের সাথে তো ভালো করে কথা বলেই নি অর্ণবের সব কথায় শুধু হু হা করেছে।। কিন্তু অর্ণবের এটা মোটেও ভালো লাগছে না।। মিম এমনিতেও কম কথা বলে তাই বলে অর্ণবের সাথে এইভাবে কখনো কথা বলেনি।। অর্ণব কেনো যেনো মিমের এই ব্যবহার মেনে নিতে পারছে না অনেক কষ্ট হচ্ছে ওর।। কিন্তু মিমের এসব কিছুতেই এখন আর যায় আসে না।। মিমের কথা হলো ও এখন নিজেকে অর্ণবের থেকে দূরে সরিয়ে রাখবে………. ও ওর মতো চলবে আর অর্ণব অর্ণবের মতো।।
.
.
.
.

রাতে খাবার শেষে রুমে গিয়ে দেখি অর্ণব রুমে নেই।। অনেক্ষন হয়ে গেছে কিন্তু উনি রুমে আসছে না।। তাই উনাকে খুঁজতে গেলাম।। কিন্তু বাড়ির কোথাও পেলাম না।। হঠাৎ খেয়াল এলো ছাদে তো দেখাই হয়নি।। এখন শুধু ছাদই বাকি আছে।। গিয়ে দেখি ছাদে আছে নাকি।। ছাদে গিয়ে দেখি উনি দাড়িয়ে আছেন।। উনি উল্টা দিকে মুখ করে দাড়িয়ে আছে বিধায় উনার মুখটা দেখতে পারছিনা।। আমি উনার কাছে গেলে খেয়াল করলাম উনি কান্না করছেন।। উনার কন্নার আওয়াজ শুনা যাচ্ছেনা কিন্তু উনি যে ফুঁপিয়ে কাঁদছেন সেটা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে।।

আমি উনার কাধে হাত রাখতেই উনি পিছন ফিরেই আমাকে জড়িয়ে ধরলেন।। উনার এমন কাজে আমি অনেক অবাক।। চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছি।। কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছিনা।। ছেলে মানুষ নাকি সহজে কান্না করে না।। ছেলেদের মন নাকি অনেক শক্ত।। কিন্তু উনি এইভাবে কান্না করছেন কেনো!! আমি উনাকে বাধা দিলাম না।। উনি আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করেই যাচ্ছেন।।

কিছুক্ষণ পর উনি আমাকে ছেড়ে দিলেন।। আমাকে ছেড়ে দিয়ে উনি অনেক ইতস্তত বোধ করছেন।। কান্না করাতে উনার চোখ মুখ লাল হয়ে আছে।। বুঝাই যাচ্ছে অনেক্ষন ধরে কান্না করেছেন।। আমি জিজ্ঞাসা করলাম

মিমঃ কি হয়েছে আপনার??

অর্ণবঃ……………

মিমঃ কিছু কি হয়েছে আপনার??

অর্ণবঃ……………

মিমঃ কিছু বলছেন না কেনো??
·
·
·
চলবে……………………..

#অবশেষে_তুমি (পর্ব ১২)
#Mohua_Afrin_Mim
·
·
·
অর্ণব বললো….

অর্ণবঃ শুনতে চাও কি হয়েছে!!

মিমঃ হ্যা বলেন।।
আজকে আমি শুনবোই কি লুকাচ্ছে উনি আমার থেকে।। আর কি এমন কারণ আছে।।(মনে মনে)

অর্ণব বলা শুরু করলো—-

তিন বছর আগের কথা তখন আমি অনার্স ৪র্থ বর্ষে পড়তাম আর নিসা অনার্স ১ম বর্ষে।

Flashback……..

কলেজে ঢুকতেই কারো সাথে সজোরে ধাক্কা খেলাম।। টাল সামলাতে না পেরে আমার সামনেরজন পরে যাচ্ছিলো তখনি আমি তাকে কোমর পেচিয়ে ধরে ফেলি।।
ঠিক তখনি সামনেরজন বলা শুরু করলো— “কেরে এটা আমাকে এইভাবে ধাক্কা দিলি।। চোখে যখন দেখতে পাস না তাহলে কলেজে আসিস কেনো।। গিয়ে চোখের ডাক্তার দেখা।। শালা কানা, অন্ধ, কুম্ভভূত কোথাকার।।” এক শ্বাসেই কথাগুলো বললো নিসা।। আর অর্ণব নিসার দিকে এক ধ্যানে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।।

অর্ণবঃ এই যে মিস আপনি নিজে অন্ধ হয়ে আমাকে বকছেন।। আপনি অন্ধ আর গিয়ে চোখের ডাক্তার দেখান।। আর আমাকে কি বললেন কুম্ভভূত।। আমি যদি কুম্ভভূত হই তাহলে আপনি পেত্নি।।

কথাগুলো বলেই অর্ণব নিসাকে ছেড়ে নিচে ফেলে দিতে নিলে নিসা বললো

নিসাঃ এই কি করছেন।। আমাকে ফেলে দিচ্ছেন কেনো!!

তখনি অর্ণব নিসার হাতটা ধরে ফেললো আর বললো

অর্ণবঃ আমি না চোখে দেখি না আপনাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিচ্ছি।। তাহলে আপনাকে বাঁচিয়ে কি লাভ হলো।। ফেলেই দেই।।

নিসাঃ ফেলে দিবেন না প্লিজ।।

অর্ণব নিসাকে ধরে দাড় করালো।।

এবার রেগে গিয়ে কিছু বলতে যাবো তার আগেই ফারিয়া এসে বলা শুরু করলো

ফারিয়াঃ আরে অর্ণব ভাইয়া আপনি এখানে।। কেমন আছেন!!

নিসাঃ তুই কি চিনিস নাকি এই ব্যাটাকে!! (আস্তে করে বললাম)

ফারিয়াঃ উনি হচ্ছেন অর্ণব চৌধুরী।। আমাদের সবার সিনিয়র ভাইয়া।।

অর্ণবঃ হ্যা ভালো আছি।। কিন্তু এই মেয়েটা কে!! আর এখানে কি করছে??

ফারিয়াঃ ভাইয়া ও হলো আমার ফ্রেন্ড নিসা।। আমাদের কলেজে নতুন এডমিশন নিয়েছে।। অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে।।

অর্ণবঃ ওহ্।। তো এতো বকবক করে কেনো বাচালের মতো।। কম কথা বলতে পারে না নাকি!!

এবার আমার মেজাজ এতো খারাপ হলো যে রাগে যেনো আমার মাথায় আগুন ধরে গেলো।। তাই উনাকে কিছু বলতে যাবো তার আগেই ফারিয়া আমার হাত শক্ত করে ধরে বলে

ফারিয়াঃ আচ্ছা তাহলে ভাইয়া আসি।।

অর্ণবঃ ঠিক আছে।।

ফারিয়া আমাকে হেচকা টান দিতে দিতে নিয়ে একটা গাছের নিচে দাড়ালো।। এদিকে আমি রাগে গজগজ করছি আর ফারিয়ার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি।।

নিসাঃ তুই আমাকে ওইখানে কিছু বলতে না দিয়ে এইভাবে নিয়ে এলি কেনো??

ফারিয়াঃ আর নইতো কি করতাম!! তোর কি বেশি মরার সখ হইছিলো নাকি!!

নিসাঃ কেনো??

ফারিয়াঃ তুই জানিস না উনি কে।। উনি এই কলেজের সিনিয়র আর কলেজের একজন বড় মাপের মানুষ।। সব মেয়ের ক্রাশ উনি।। কিন্তু ভাইয়া কাওকে পাত্তা দেয় না।। কারো দিকে তাকায়ও না।। আর তুই কিনা উনার সাথে ঝগড়া করছিলি।। তোকে যদি এখন কিছু করতো তাহলে কি তুই বাঁচতে পারতি।। ভাগ্যিস আমি এই কলেজে আগে থেকে পরতাম বলে ভাইয়াকে চিনি আর তোকে বাঁচাতে পারলাম।।

নিসাঃ হুম।।ছেলেটা আসলেই ক্রাশ খাওয়ার মতো যে কেউ দেখলেই ক্রাশ খাবে।। না না এইসব আমি কি ভাবছি ওই কুম্ভভূতটার উপর আমি ক্রাশ খাবো।। কখনোই না।। (মনে মনে)

ফারিয়াঃ তুই ভাইয়ার কাছে সরি বলবি।।

নিসাঃ কি!! আমি বলব সরি উনাকে!! তোর কি মাথা ঠিক আছে।। আমি কখনোই উনার কাছে সরি বলতে পারবো না।।

ফাইয়াঃ না তোকে বলতেই হবে।। তোর উপর যদি রেগে থাকে আর পরে যদি তোকে কিছু বলে।।

নিসাঃ ঠিক আছে।। দেখা যাবে।।
আজকের দিনটাই খারাপ।। আজকে প্রথম কলেজ ভাবলাম মজা করবো।। তা না সব আনন্দই শেষ হয়ে গেলো ওই ব্যাটার জন্য।। শালা কুম্ভভূত কোথাকার।।

ফারিয়াঃ হয়েছে হয়েছে আর গালি দিতে হবে না।। চল ক্লাসে যাই।।

নিসাঃ চল।।

এদিকে অর্ণব নিসাকে দেখার পর থেকে ওকে ভুলতেই পারছে না।। ফারহানকে বলছে

অর্ণবঃ দোস্ত দেখেছিস মেয়েটাকে।। কি সুন্দর।। মেয়েটাকে তো আমি ভুলতেই পারছিনা।। ওকে আমার চাই যেভাবেই হোক।।

ফারহানঃ আমি কি ভুল শুনছি নাতো!! অর্ণব কাউকে পছন্দ করে।। যে ছেলে নাকি কলেজের সব মেয়ের ক্রাশ।। যে ছেলেকে দেখলে সব মেয়ে পছন্দ করে ফেলে সেখানে সেই ছেলে কাউকে পাত্তা দেয় না।। সেই ছেলে নাকি এই মেয়েকে পছন্দ করেছে।।

অর্ণবঃ মজা করিস না তো।। আমি সিরিয়াস।। এই মেয়েকে আমি সত্যিই পছন্দ করে ফেলেছি।। At any cost এই মেয়েকে আমার চাই চাই।।
.
.
.
.
.
অর্ণব বাসায় আসার পর থেকে নিসাকে ভুলতেই পারছে না।। সব সময় নিসার কথা মনে করেই যাচ্ছে।। রাতে ঘুমাতেও পারেনি ঠিক মতো।।

পরেরদিন কলেজে আসলাম ফারিয়ার সাথে।। কলেজে ঢুকেই দেখি অর্ণব বসে আছে উনার ফ্রেন্ডদের সাথে।।উনাকে দেখে ফারিয়া বললো

ফারিয়াঃ দোস্ত এটাই সুযোগ ভাইয়ার কাছে সরি বলার।।

নিসাঃ কি বলছিস তুই এসব!! আমি বলতে পারবো না উনাকে সরি।।

ফারিয়াঃ দেখ জিদ করিস না।। সরি বলার জন্য মেনে যা।। চল আমি তোকে নিয়ে যাচ্ছি ভাইয়ার কাছে।।

অর্ণবের কাছে গিয়ে বললাম

নিসাঃ ভাইয়া শুনছেন!!

অর্ণবঃ হ্যা বলো।।

নিসাঃ আসলে কালকের জন্য সরি।। আমার ভুল হয়ে গিয়েছে।। আসলে আপনাকে কালকে এতো কিছু বলা উচিত হয়নি।।

অর্ণবঃ হুহ্।। তুমি বলছো সরি!! আর আমি তোমার সরি মেনে নেবো!! ভাবলে কি করে!!

এবার আমার মেজাজ চরম সিমানায় পৌঁছে গিয়েছে।। আমি বললাম……….
·
·
·
চলবে……………………..