অভদ্র প্রেমিক পর্ব-১+২

0
5550

অভদ্র_প্রেমিক
#পর্বঃ০১
#Arshi_Ayat

তিহান নিশাতের গলা চেপে ধরে বলল”তোরে যা বলছি তুই তাই করবি।এক্ষুনি বাইরে গিয়ে বলবি ছেলে তোর পছন্দ হয়নি। তুই বিয়ে করতে পারবি না।”এটুকু বলে তিহান নিশাতের গলা ছেড়ে দিলো।

নিশাত কাশতে কাশতে বলল”এতো অভদ্র তুমি?কেনো মানা করবো?ছেলে পছন্দ হলে আমি অবশ্যই বিয়ে করবো।এটাতে তুমি এতো রিয়েক্ট করছো কেনো তিহান ভাইয়া?”

“আমি অভদ্র হলে তোর কি?একদম তেড়ামি করবি না।তোর থেকে ভালো তেড়ামি আমি করতে পারি।”

“আচ্ছা তোমার কি হয়েছে বলো তো।যে ছেলেই আসছে তুমি বলছো বিয়ে করতে না।তোমার জন্য তিনটা হ্যান্ডসাম ছেলে হাতছাড়া করলাম।” নিশাত মুখ গোমড়া করে বলল।

“মেরে দাত খুলে ফেলবো…”

এতুটুকুর বেশি আর একটা কথাও বলতে পারে নি।পিছন থেকে নিশাতের মা মানে তিহানের খালা বলল”কিরে তিহান মেরে ওর দাত খুলবি কেনো?”

সাথে সাথে তিহান পাল্টি মেরে বলল”আরে খালামনি আর বলো না তোমার মেয়ে কিছুতেই বিয়ে করতে চাইছে না।”

তিহানের কথা শুনে নিশাতের মুখ অটোমেটিক হা হয়ে গেলো।কি মিথ্যুক ছেলেরে বাবা।এক্ষুনি আমার গলা চেপে ধরে বলল বিয়ে করতে না আবার এক্ষুনি মাকে দেখে পাল্টি নিয়ে নিলো।দাড়া ব্যাটা এবার এই ছেলেকে আমি বিয়ে করবোই।দেখি তুই কি করে আটকাস।

তিহানের কথা শুনে নিহিতা বেগম বলল”সে কি নিশাত তুমি এর আগেই তিনটা ছেলে রিজেক্ট করেছো।কিন্তু কেনো?চলো ছেলেপক্ষ এসে গেছে।তিহান ওকে নিয়ে আয়।”

বলেই নিহিতা বেগম চলে গেলো।নিহিতা বেগম যাওয়ার পর তিহান একটা শয়তানি হাসি দিয়ে বলল”যা বললাম যাতে মনে থাকে।এখন চল।”

নিশাত কিছুই বলল না রাগে ফোঁসফোঁস করতে করতে চলে গেলো ওকে ছেলে পক্ষের সামনে বসানো হলো।নিশাত একপলক ছেলেকে দেখেই ফিদা হয়ে গেলো।মনে মনে বলল”এই ছেলেকে আমি ভুলেও না করবো না।”

ছেলের মা নিশাতের সাথে কথা বলছে।নিশাত দাত কেলিয়ে সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে।নিশাতের দাত কেলানো দেখে তিহান ধারণা করে ফেলেছে ওর উদ্দেশ্য।ছোটোছোট চোখে নিশাতের চোখে চাইতেই নিশাত একটা ভিলেনি মার্কা ভেটকি দিলো।এই হাসি তেই তিহান বুঝে গেলো নিশাত কি করবে।তিহান সেই রাগ হলো।কিন্তু কিচ্ছু বলল না।যথারিতী নিশাত তিহানের সন্দেহ সত্যি করে দিয়ে বিয়েতে হ্যা বলে দিলো।তবে তিহানও কম না।ছেলেরা চলে যেতেই নিশাত ওর রুমে চলে গেলো।আর তিহান ও ওর পিছনে পিছনে গেলো।তিহান নিশাতকে রাগী গলায় বলল”সমস্যা কি তোর?তোরে বলছি না করে দিতে।তুই হ্যাঁ করলি কেনো?”

“বেশ করছি।তোমার যা ইচ্ছা করো।”

তিহান রেগে ঘরে থেকে বেরিয়ে গেলো।

নিশাত বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে।ছোট থেকেই অনেক আদরের।এখন সমাজবিজ্ঞান নিয়ে অনার্স করছে।সামনেই দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা।কিন্তু এখন সে বিয়ে করবে বলে বাবা মায়ের কান খেয়ে ফেলছে।আর তিহান নিশাতের বড় খালার ছেলে।তিহানের পড়া শেষ।চাইলেই চাকরি বাকরি করতে পারে কিন্তু সে করবে না।তার ভাষ্যমতে আমি এখনো বিয়ে করি নি তো আমি এখন চাকরি করে কি করবো?যখন বিয়ে করবো তখন চাকরি করবো।তিহানকে নিশাতের মা অনেক ভালোবাসে তাই বছরের ছয়মাস তিহান খালার বাসায় থাকে আর বাকি ছয়মাস নিজের বাসায়।তিহানের আরেকটা ভাই আছে।ও ছোট।

রাতের খাবারের সময় আসাদ সাহেব নিশাতকে ডাক দিলেন।তারপর সবাই একসাথে খেতে বসলো।খেতে খেতে আসাদ সাহেব বলল”নিশাত ওই ছেলের সাথে তোর বিয়ে দেবো না।ছেলেটা একনম্বরে বেয়াদপ।”

নিশাত চমকে বলল”কেনো বাবা?”

“ওই ছেলেকে তিহান নিজের চোখে অন্যমেয়েকে জড়িয়ে ধরতে দেখেছে।” নিহিতা বেগম বলল।

নিশাত এবার তিহানের দিকে তাকাতেই ও বাঁকা হাসলো।তিহানের বাঁকা হাসির অর্থ হলো তুই যদি শয়তান হস তাহলে আমি তোর গুরু।”

নিশাত দাত মুখ খিচে খেয়ে হনহনিয়ে উঠে চলে গেলো।তিহান আরামসে খেয়ে হেডফোন কানে দিয়ে ছাদে চলে গেলো।কিছুক্ষণ পর নিশাত এসে তিহানের পাশাপাশি দাড়িয়ে বলল”কেনো করলে এমন?”

তিহান হেডফোন খুলে বলল”কি বললি আবার বলতো একটু।”

“তোমার মাথা আমার মুন্ডু বলেছি।” নিশাত রাগে গজগজ করতে করতে বলল।

“ও তাহলে ঠিক আছে।” বলে তিহান আবার কানে হেডফোন গুজতে নিবে তার আগে নিশাত ওর হেডফোনট খুলে ছাদ থেকে ফেলে দিলো।তিহান রেগে বলল”কি করলি এটা?”

নিশাতও রেগে বলল”আমারও প্রশ্ন কি করলে এটা?কেনো করলে?এনি হাউ তুমি কি আমাকে লাইকে করো?”

নিশাতের কথা শুনে তিহান অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো।তারপর হাসি থামিয়ে বলল”তোকে আমি তিহান লাইক করবো ঠাট্টা করার জায়গা পেলি না?শোন আমি আমার বেষ্টফ্রেন্ড প্রান্তর জন্য এমন করছি ছেলেটা তোকে ভালোবাসে।তাই আমাকে দেখে রাখতে বলেছে।ও এখন বিদেশে আছে।একবছরের মধ্যে চলে আসবে।তখন আমার দায়িত্ব শেষ।”

“ও।তা তোমার ফ্রেন্ডের ছবি দেখাও তো।”

“এখন না যাখন আসবে তখন দেখিস।”

“আচ্ছা এটলিস্ট ফোন নাম্বারটাতো দিবে?”

“কোনো কিচ্ছু দিবো না।তুই যা এখান থেকে।আর পাঁচশ টাকা দিয়ে যা।আমার হেডফোনের জরিমানা।”

“পাঁচশ কেনো?হেডফোনের দাম তো আশি টাকা।”

“আমি তোর মতো ফকিন্নি হেডফোন ইউজ করি না।আমার হেডফোনের দাম পাঁচশ।”

“পাঁচশ টাকা মনে হয় গাছের পাতা যে ছিড়লাম আর দিয়ে দিলাম।”

“তো হেডফোন ফেললি কেনো?”

“বেশ করেছি।”

তিহান নিশাতের চুল টেনে বলল”আমিও বেশ করেছি।”

এবার নিশাতও তিহানের চুল টানা শুরু করলো।শুরু হলো দুজনের চুল টানাটানি।

একপর্যায়ে নিশাত তিহানের হাত কামড় দিয়ে পালালো।আর তিহান ধরতে গেলেও পারলো না।নিশাত ঘরে এসে শুয়ে পড়লো।

কিন্তু ঘুম আসছে না নিশাতের।মাঝরাতে নিশাতের ক্ষিধে পাওয়ায় উঠে কিচেনের দিকে যেতেই দেখলো কেউ একজন অন্ধকারে কিচেনের ভেতর কি যেনো করছে।নিশাত আস্তে আস্তে ঘাপটি মেরে কিচেনে গিয়ে ওই লোকটার ওপর ঝাপিয়ে পড়ে বলল”চোর!চোর!চোর!বাবা,মা শিগগির বেরিয়ে আসো।”

চলবে?

#অভদ্র_প্রেমিক
#পর্বঃ০২
#Arshi_Ayat

নিশাতের চিৎকারে নিহিতা বেগম আর আসাদ সাহেব দৌড়ে কিচেনে চলে এলো।এসে লাইট অন করতেই দেখলো নিশাত তিহানকে পিছন থেকে দুইহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে রেখেছে চোর ভেবে।নিহিতা বেগম ঝাড়ি মেরে বলল”চোর কোথায়?ও তো তিহান”

নিশাত চমকে ছেড়ে দিয়ে তিহানের দিকে তাকাতেই দেখলো তিহান দাঁত কটমট করছে।নিশাত ঢোক গিলে বলল”আসলে লাইট অফ ছিলো বলে বুঝতে পারি নি।”

“তোর কি কমনসেন্স নেই নিশু?চোর আসবে কোথা থেকে?দরজা জানালা সব লক।বাসায় আমরা ছাড়া আবার কে আছে?”আসাদ সাহেব বলল।

“খালুজান ওর আবার কমনসেন্স।ওর তো সেন্সই নেই।এই হাটুর নিচের বুদ্ধি নিয়ে আবার বিয়ে করার শখ।যতদিন এর বুদ্ধি হবে না ওকে কিছুতেই বিয়ে দিবে না।পরে দেখো শ্বশুরবাড়ি গিয়ে কি করে।”

নিশাত ভেতরে ভেতরে ফুসছে আর মনে মনে বলছে’শালা চান্সে ডান্স মারো তাই না?আমারও চান্স আসবে তখন দেইখো কি করি।’

নিশাতকে বকাবকি করে আসাদ আর নিহিতা চলে গেলো।আর তাহিন হাসতে হাসতে রুমে চলে গেলো।নিশাত বেচারি দুঃখে কষ্টে পানি খেয়ে শুয়ে পড়লো।

“নিশাত যা তো তাহিনকে ডাক।নাস্তা খেতে হবে।” নিহিতা বলল।

“আমি তার ঘরে যাবো না।তুমি যাও।” নিশাত বলল।

“মানে আমি বুঝি না কি সমস্যা তোদের?যা ডেকে আন।”

মায়ের ধমক খেয়ে নিশাত তিহানের রুমে গিয়ে দেখলো।বদের হাড্ডি তিহান চুলে স্টাইল দিচ্ছে।নিশাত পা থেকে মাথা অবধি একবার চোখ বুলিয়ে দেখলো আজ তিহানকে একটু বেশিই হিরো হিরো লাগছে।আজকে এতো স্টাইল মারছে কেনো?নিশাত সন্দিহান চোখে তিহানকে জিগ্যেস করলো”তুমি কি কোথাও যাবে?”

“হ্যা তোর ভার্সিটিতে।” তিহান চোখে সানগ্লাস দিয়ে বলল।

“কেনো?” নিশাত ভ্রু কুচকে বলল।

“খালামুনি যেতে বলেছে।তোর ভার্সিটিতে নাকি আজ ফাংশন আছে।”

“হুম আছে কিন্তু তুমি গিয়ে কি করবে?”

“তোর বান্ধবীদের পটাবো।ইউ নো হোয়াট তাশরিফ খান তিহান যে রাস্তা দিয়ে হাটে সে রাস্তায় মেয়েদের লাইন লেগে যায়।”

নিশাত মুখ বাকিয়ে বলল”চলো মা ডাকছে নাস্তা খেতে।”

“হুম চল।”

নিশাত আর তিহান নাস্তা করে বেরিয়ে পড়লো।নিশাতের গাড়ি আছে বাট ও গাড়ি নেয় নি।রিকশা দিয়ে যাবে।দুজনে ভার্সিটির সামনে নেমে তিহান বলল”ভাড়া দিয়ে দে।”

“আমি কেনো দেবো?তুমি দাও।”

“তোর ভাড়া আমি দিবো কেনো?”

“আমি একা আসছি নাকি তুমি আসো নাই?তো তোমার ভাড়া আমি দিবো কেনো?”

“আচ্ছা তোরটা তুই দিবি আমারটা আমি দিবো।”

তারপর দুজনই দুজনার ভাড়া দিয়ে ভেতরে ঢুকলো।নিশাত ওর ফ্রেন্ড নিত্যকে দেখে ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো।নিত্য তিহানকে দেখিয়ে বলল”দোস্ত ওই ছেলেটা কে রে?”

নিশাত মনে মনে বলল ‘চান্স পাইছি দাড়াও চান্দু আমার ফ্রেন্ডগোরে পটাইবা তুমি এটা আমি হতে দিবো না।’এটা ভেবে নিত্যকে বলল”আরে আমার খালাতো ভাই একনাম্বারের টাউট।তিনটা গার্লফ্রেন্ড আছে।তবুও খালি মাইয়া পটায়।ও আসলে চান্স দিবি না।”

এতুটুকু বলতে বলতেই তিহান এসে হাজির।নিশাতের ফ্রেন্ডদের সামনে গিয়ে একটু ভাব নিয়ে বলল”হাই আমি তিহান।নিশাতের কাজিন।”

“ও!!ভাইয়া আমি নিশাতের ফ্রেন্ড।”

“পরিচয় হয়ে গেছে এখন চলো গিয়ে বসি।” নিশাত বলল।

“তারপর তিনজনই গিয়ে বসলো।”

ফাংশনের মাঝ দিয়ে তিহান বলল”যা তো আমার জন্য একটা চিপস নিয়ে আয়।”

“টাকা দাও।”

“দোকানদারকে গিয়ে আমার নাম বল দিয়ে দিবে।”

“তুমি কি এক্স প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে তোমার নাম বললে দিয়ে দিবে।”

“তুই জানিস না আমি কতো ফেমাস।”

“জানি তুমি ফেমাস গরু চোর।” এটা বলেই নিশাত চেয়ার ছেড়ে দৌড়ে পালালো।তিহানও ওর পিছনে দৌড় দিলো।দৌড়ে ভার্সিটির পিছনে আসতেই নিশাতের সাথে একটা মেয়ের ধাক্কা লেগে মেয়েটা পড়ে গেলো।নিশাত মেয়েটাকে টেনে উঠাতেই মেয়েটা রেগে নিশাতকে বলল”চোখ কি হাতে রেখে হাটো?বেয়াদব মেয়ে।সিনিয়রদের সম্মান করতে জানো না।”

“সরি আপু।আসলে আমি খেয়াল করি নি।”

“তা করবে কিভাবে সারাদিন বয়ফ্রেন্ডের সাথে ঘুরলে তো আর খেয়াল করার কথা না।”

“আপু এবার কিন্তু বেশি হচ্ছে।আমি বলছি ভুল হয়েছে।মাফও চেয়েছি।তবুও আপনি এমন কেনো করছেন?”

“আবার মুখে মুখে তর্ক করো।আসলেই বেয়াদব তুমি।”

“বেয়াদব আপনি।একটা ছোট বিষয়কে বড় করছেন টেনে টেনে।”

নিশাতের কথায় মেয়েটি চরম রেগে গিয়ে ঠাটিয়ে এক চড় মারলো নিশাতের গাল বরাবর।তিহান পিছন থেকে দেখে ফেললো।প্রচুর রেগে গেলো।ও এসেই কিছু না বলেই মেয়েটার গালে একটা মেরে বলল”সাহস কি করে হয় ওর গায়ে হাত তোলার?”

নিশাত তিহানকে থামানোর ট্রাই করছে কিন্তু পারছে না।তিহান নিশাতকে ধমকে বলল”চুপচাপ দাড়িয়ে থাক।কোনো কথা বলবি না একে আমি দেখছি।”

নিশাত চুপ হয়ে গেলো।তিহান এবার নিজের ঘাড়ে বাম হাত রেখে বলল”কি হয়েছে যে ওর গায়ে হাত তুললে।”

মেয়েটা গালে হাত দিয়ে বলল”ও আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে।”

“ওহ তাই?ও ধাক্কা দিতে আসার পর তোমার চোখ কোথায় ছিলো?”

“আমি খেয়াল করি নি।”

“তা আনমনে কি ভেবে রাস্তা দিয়ে হাটছিলে যে খেয়ালই ছিলো না।”

মেয়েটা আর কিছু বলল না।তিহান মেয়েটার মুখের সামনে চুটকি বাজিয়ে বলল”নেক্সট টাইম এমন ভুল করবে না।”

এই বলে তিহান নিশাতের হাত ধরে চলে গেলো।আর মেয়েটা রাগে ফুসতে ফুসতে চলে গেলো।

ফাংশন শেষে তিহান আর নিশাত হেটেহেটে বাড়ি ফিরছিলো।তিহান বলল”একটা গান ধর।”

“পারি না।”

“যেটা পরিস ওইটাই গা।”

নিশাত শুরু করলো

“দেখা হে পেহেলি বার,
তালগাছের ওপর মুরগির খোয়াড়।
কুত্তা নাচে বিলাই নাচে।
ট্যাং টাট্যং ট্যাং টাট্যং”🐸

এতটুকু শোনার পর তিহান বলল” থাম তুই থাম।তোর গান শোনার পর আশেপাশের কুত্তাগুলি মনে হয় মইরা গেছে।”

চলবে…

(ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।গঠনমূলক মন্তব্য চাই।)