আগুন ঝরার দিনে পর্ব-৪+৫

0
158

#আগুন_ঝরার_দিনে
#পর্ব_৪

আশফাক অনেক খানি দোটানার মধ্যে পড়ে গেল। তার বিবেক বলছে, এই বৃষ্টির মধ্যে ক্যাম্পাসের মেইন দরজায় যে-ই দাঁড়িয়ে থাকুন না কেন তার কোনো যায় আসে না। তার এক্ষুনি, এই মুহুর্তে রিক্সা নিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে চলে যাওয়া উচিৎ। তবে হৃদয় বলছে অন্য কথা। তার হৃদয় বলছে, তার এই মুহুর্তে রিক্সা থেকে নেমে যাওয়া উচিৎ। যে মেয়েটি এভাবে কাক ভেজা হয়ে ভিজছে সেই মেয়েটি তার অতি পরিচিত। মেয়েটিকে তার এই অবস্থায় ফেলে যাওয়া কোনোভাবেই ঠিক হবে না। মেয়েটির তাকে এখন প্রয়োজন। আশফাকের বিবেক, বুদ্ধি তার হৃদয়ের কাছে হার মানল। আশফাক বৃষ্টির মাঝেই রিক্সা থেকে নেমে পড়ল।

রিক্সাচালক অবাক বলল, এহানে নামেন ক্যান? চলেন আপনারে ভেতরে রাইখ্যা আসি।

আশফাক বলল, দরকার নেই। তুমি আমাকে এখানে নামিয়ে দাও।

রিক্সাচালক বেশ অবাক হয়ে আশফাকের দিকে তাকিয়ে রইল। এই লোক পুরো রাস্তায় যেন না ভিজে এই নিয়ে সদা সতর্ক ছিল অথচ এখানে এসে কী এমন হলো যে এত বৃষ্টির মাঝে নেমে পড়তে হলো! রিক্সাচালক হতাশ হয়ে ভাবল, মানুষ আসলে বড়োই আজব কিসিমের প্রাণী! তার চেয়েও বড়ো আজব হলো মানুষের মন!

আশফাক যতক্ষনে রুহির কাছে পৌঁছালো ততক্ষনে সে নিজেও ভিজে একাকার হয়ে গেছে। এদিকে রুহি তখনও একই ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। আশফাক রুহির কাছে যেয়ে বলল, তুমি এইখানে এইভাবে দাঁড়িয়ে আছো কেন?

রুহি কোনো জবাব দিল না। ফ্যালফ্যাল করে সে আশফাকের দিকে তাকিয়ে রইল। কয়েক মুহূর্তের জন্য আশফাকের মনে হলো, রুহি বোধহয় তাকে চিনতে পারেনি। পরোক্ষনেই তার ভুল ভাঙল। রুহি তাকে নরম গলায় বলল, আপনার জন্য।

এবার আশফকের অবাক হবার পালা। সে হতভম্ব হয়ে বলল, আমার জন্য?

– হুম, আপনার জন্য।

– কেন বলো তো?

– আজ আপনি আমায় বিকেল চারটার সময় আপনার কাছে আসতে বলেছিলেন।

আশফাকের অনেকক্ষন সময় লাগল রুহির কথাটুকু বুঝতে। আজ সে রুহির কাছে বিকেল চারটার মধ্যে ক্লাসে উপস্থিত থাকতে না পারার কারন লিখিত ভাবে জমা দিতে বলেছিল বটে তাই বলে কোনো ভাবেই এই সময় এবং এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে নয়। রুহি কাগজটা কালকেও তার কাছে জমা দিতে পারত। তাছাড়া বিকেল চারটা অনেক আগেই পার হয়ে গেছে। আশফাক অবাক হয়ে রুহির দিকে তাকিয়ে রইল। দীপা যদি আজ রাগ করে তাকে গাড়ী থেকে নামিয়ে না দিত তবে এতক্ষনে সে হয়ত দীপার বোনের হলুদ সন্ধ্যায় থাকত। স্বাভাবিক সময় হলে, আশফাকের কোনোভাবেই এখন ক্যাম্পাসে ফিরে আসার কথা নয়। চারপাশে এত বৃষ্টি, ঝড়ো হিমেল বাতাস আর তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অসম্ভব মায়াবতী মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আশফাকের মন কেমন করে উঠলো। এই মুহুর্তে যে কাজটি করা তার জন্য সবচেয়ে বেশী অনুচিৎ ছিল সেই কাজটি সে নির্দ্বিধায় করল।

রুহির একটা হাত ধরে কোমল গলায় বলল, এমন পাগলামী কেন করছ তুমি? আমার সাথে কাল দেখা করলেও চলত তোমার। এই ভাবে বৃষ্টির মাঝে দাঁড়িয়ে থাকার কোনো মানে হয় কি?

আশফাক অবাক হয়ে দেখল রুহি তার কথা শুনে ফুঁফিয়ে কেঁদে উঠল। তার দুই চোখ জুড়ে টলমল করছে অশ্রু, যদিও বৃষ্টির পানিতে অশ্রুগুলো সব ধুয়ে মুছে একাকার হয়ে যাচ্ছে তবুও রুহির কান্নাটুকু আশফাকের হৃদয় পর্যন্ত পৌঁছালো। আশফাক রুহির হাতটুকু একই ভাবে ধরে রইল। এর মাঝে বৃষ্টি থেমে এলো। সন্ধ্যাও নেমে এলো। কেউ জানলো না তবে দুই জন মানব মানবী জানল বৃষ্টি হয়ত থেমে গেছে, ঝড়ো বাতাসগুলোও স্থির হয়ে গেছে, তবে নতুন একটা অস্থির ঝড় বয়ে চলেছে, দুই জন অসম বয়সী মানব মানবীর হৃদয়ে!

………………….

রুহির প্রচন্ড জ্বর এসেছে। আজ বিকেলের বৃষ্টিতে সে বড়ো বেশী ভেজা ভিজেছে। তবে শরীরের এই জ্বরটুকু তার ভালো লাগছে। একটু আগে মা জোর করে তাকে একবাটি চিকেন স্যুপ খাইয়েছেন। যাবার আগে দুটো নাপা দিতেও তিনি ভোলেননি। নাপা খেয়ে রুহির জ্বর একটু কমেছে বটে তবে তার পুরো শরীর জুড়ে বিরাজ করছে অদ্ভুৎ এক আলস্যতা। এই আলস্যতাটুকু অবশ্য রুহী খুব উপভোগ করছে। আজ আশফাক স্যার তাকে বাসা পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে গিয়েছেন। তারা দুজন এতটা পথ একসাথে একটা সিএনজি করে এসেছে। আশফাক স্যার পুরোটা পথ তার বৌ বাচ্চার গল্প করেছেন। রুহি বুঝতে পারছিল, তিনি ইচ্ছে করেই কাজটা করছেন। ইচ্ছে করেই রুহিকে জানিয়ে দিচ্ছেন, তিনি একজন বিবাহিত পুরুষ যার দিকে রুহির তাকানো বারণ। রুহির হঠাৎ করেই মনে হলো, নাকি আশফাক স্যার আসলে রুহিকে বলা কথাগুলো নিজেকেই বলছিলেন? রুহি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। একটু আগে মনটা অসম্ভব যে ভালোলাগাটায় ভরেছিল এখন আর তা নেই। রুহি নিজের অজান্তেই দুইদিকে মাথা নাড়ালো। মরীচিকার পেছনে ছুটে আসলে কোনো লাভ নেই। মরীচিকা সব সময় দূর থেকে দেখা যায় কিংবা বলা যায় দূর থেকেই মরীচিকা দেখতে ভালো। কাছে গেলে মরীচিকার কোনো অস্তিত্ব থাকে না। রুহি ফোনটা হাতে নিল। অনেক দিন পর সে খুব আগ্রহ নিয়ে সজলকে ফোন করল।

……………..

আশফাকের বাড়ি পৌঁছাতে পৌঁছাতে রাত এগারোটার মত বেজে গেল। সে বাসায় পৌছে দেখল দীপাও ইতিমধ্যে চলে এসেছে। আশফাক সরাসরি তাদের শোবার ঘরে ঢুকল। ছেলেটা বিছানার এক পাশে গভীর ঘুমে তলিয়ে আছে। সাধারনত তার আর দীপার মাঝেই বাচ্চাটা ঘুমায়। কোনো কোনো বিশেষ দিনে ছেলেটাকে বিছানার একপাশে রাখা হয়। আশফাকের মন হলো আজ বোধহয় সেই বিশেষ দিন। দীপা ইচ্ছা করেই এই কাজটা করেছে। হয়ত আজ বিকেলের সেই ব্যবহারের জন্য দীপা মনে মনে অনুতপ্ত। আশফাক বুঝতে পারল না, তার খুশী হওয়া উচিৎ নাকি মন ভার করে রাখা উচিৎ? আশফাকের ভাবনার মাঝেই দীপা ঘরে ঢুকল। তার চোখে স্পষ্ট আহবান। এই আহবান উপেক্ষা করার সাধ্য কোনো পুরুষ মানুষের নেই। তাছাড়া দীপার আহবান উপেক্ষা করার কোনো স্পষ্ট কারন কিংবা যুক্তি কোনোটায় আশফাকের কাছে নেই। সে সব ভুলে দীপার মাঝে ডুবে গেল।

“চলবে”

#আগুন_ঝরার_দিনে

পর্ব-৫

রুহি আজ হালকা গোলাপী রংয়ের একটা শাড়ি পরেছে। গলায় জড়িয়েছে সাদা রংয়ের মুক্তোর মালা। তার কোমর পর্যন্ত লম্বা চুলগুলো সারা পিঠময় ছড়িয়ে আছে। রুহি ড্রেসিং টেবিলের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে। আজ তার ক্লাসে একটা প্রেজেনটেশন রয়েছে। এই জন্য তার এত প্রস্তুতি। একটু পর সজল বাড়িতে আসবে। কাল রাতে সজলের সাথে তার কথা হয়েছে। সজল তাকে ক্যাম্পাসে পৌঁছে দিয়ে অফিসে যাবে। রুহি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। সেদিনের পর আশফাক স্যারের সাথে তার আর আলাদা করে কোনো যোগাযোগ হয়নি। এর মাঝে স্যার দুদিন তাদের ক্লাস নিয়েছেন বটে, রুহি সেই ক্লাসগুলোও করেছে তবে স্যার ক্লাসে একদম নিস্পৃহ ছিলেন। রুহির দিকে একবারের জন্যও তাকাননি পর্যন্ত। ভাবটা এমন যেন রুহিকে তিনি চেনেননি, যেন রুহির সাথে সুন্দর একটি বিকেল তার কখনো কাটেনি!

রুহির ভাবনার মাঝেই সজল এলো। সজল সরাসরি তার শোবার ঘরে চলে এসেছে। আর ক’দিন পর যে মেয়ের সাথে তার বিয়ে হবে সেই মেয়ের শোবার ঘরে ঢোকার জন্য অনুমতি নেয়ার সে কোনো প্রয়োজন মনে করেনি। সজলের এই ব্যাপারটা রুহির খুব খারাপ লাগে। ছেলেটার মধ্যে এসব নূন্যতম ভদ্রতা কিংবা সূক্ষ্ম রুচিবোধের কোনো বালায় নেই।

রুহি একটু বিরক্ত হয়ে বলল, এভাবে হুট করে ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়লে যে! ঢোকার আগে একটু নক করলে তো পারতে।

সজল হাসিমুখে বলল, বারে! দুদিন বাদে যে মেয়ের সাথে আমার বিয়ে হবে সেই মেয়ের ঘরে নক করে ঢুকতে হবে কেন?

– তাই বুঝি? বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে তাই নক করার আর কোনো প্রয়োজন পড়বে না? এর মানে তুমি বলতে চাচ্ছো, বিয়ের পর একজন মানুষ আরেকজন মানুষের একেবারে ব্যক্তিগত সম্পত্তি হয়ে যায়, তাই তো?

– তা তো একটু হয়েই যায়। কেন বিয়ের পর আমাদের শোবার ঘরে ঢোকার সময় তুমি কি আমার অনুমতি নিয়ে ঢুকবে নাকি?

রুহি সজলের কথার জবাবে কিছু বলতে যেয়ে থেমে গেল। সজল হয়ত ভুল কিছু বলছে না। এমনটায় তো আমাদের সমাজে হয়ে আসছে। রুহি নিজেও তার চারপাশে এসব দেখে বড় হয়েছে। রুহি সজলের দিকে তাকিয়ে একটা প্রশ্রয়ের হাসি দিলো। আর এইভাবে হাসাটায় রুহির সবচেয়ে বড় ভুল হলো। রুহি কিছু বুঝে ওঠার আগেই সজল তার ঠোঁটে একটা গাঢ় চুমু খেলো। রুহি কয়েক মুহূর্তের জন্য হতভম্ব হয়ে গেল। সজল তার সাথে এমনটা করতে পারে তা সে কল্পনাও করেনি। রুহির চোখ ভর্তি করে পানি এলো। জীবনের প্রথম চুমু, প্রথম আদর নিয়ে প্রতিটা মানুষের মাঝেই কিছু আবেগ থাকে। রুহির মাঝেও ছিল। আজ এই সকালে রুহির সকল আবেগ এক নিমিষে নষ্ট হয়ে গেল এবং রুহি প্রথমবারের মত জানল, সজল সিগারেট খায়। সজলের মুখে সিগারেটের কটু গন্ধ। অথচ এতদিন অনেক জিজ্ঞাসার পরেও বিষয়টা সে রুহির কাছে বেমালুম চেপে গেছে।

রুহির চোখে পানি দেখে হয়ত সজল একটু বিব্রত বোধ করল। সে রুহির একটা হাত ধরে বলল, আই অ্যাম সরি রুহি। আমি আসলে বুঝিনি আমার একটা চুমুতে তুমি এতখানি মন খারাপ করবে। তোমাকে শাড়ি পরে আজ এত সুন্দর দেখাচ্ছে যে আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারিনি।

সজল জবাবের আশায় রুহির দিকে তাকিয়ে রইল। রুহি সেই তখন থেকে ঠিক একই ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। সজল আবারো বলল, রুহি প্লিজ। এবারের মত মাফ করে দাও। বললাম তো, এমন ভুল আর হবে না।

রুহি ঠান্ডা গলায় বলল, তুমি সিগারেট খাও?

এবার সজলের অবাক হবার পালা। সজল ভেবেছিল, রুহি বোধহয় চুমু খাবার ব্যাপারটা নিয়ে এতখানি মাইন্ড করেছে। তবে এখন তো দেখা যাচ্ছে ঘটনা ভিন্ন। সজল বুঝতে পারলো, সে আসলে চুমু খেয়ে সব দিক থেকে বিপদে পড়েছে। আজ এই চুমু খাবার কারনেই তার ধুমপানের বিষয়টা রুহির কাছে স্পষ্ট হয়ে গেল।

সজল একটু হেসে বলল, মাঝে মাঝে একটু আধটু খাই। সিগারেটের খুব বেশী নেশা নেই আমার।

– সিগারেট খাবার মত আর কী কী লুকিয়েছো আমার কাছ থেকে তুমি?

সজল দুইদিকে তীব্রভাবে মাথা নাড়িয়ে বলল, না না। বিশ্বাস করো আর কোনো কিছু আমি তোমার কাছ থেকে লুকোইনি।

………………..

আশফাকের ক্লাসের প্রেজেনটেশনটা খুব ভালো মত শেষ হলো। ক্লাসের সব ছেলেমেয়েরা মোটামোটি ভালো করেছে। আর দুই একজনের পারফরমেন্স তো আউটস্ট্যান্ডিং। তার মধ্যে রুহি একজন। মেয়েটি যদিও প্রথমদিকে একটু নার্ভাস ছিল। আশফাকের মনে হচ্ছিল, মেয়েটির খুব মন খারাপ যা তার নার্ভাসনেসের আড়ালে চাপা পড়ে গিয়েছে। রুহির প্রেজেনটেশনের দুই এক মিনিট যেতেই আশফাক রুহিকে থামিয়ে কিছু কারেকশন দিয়েছিল। আর এতেই যেন ম্যাজিকের মত কাজ হয়েছিল। রুহি তার সকল জড়তা কাটিয়ে উঠে খুবই সাবলীল ভাবে তার প্রেজেনটেশন সম্পূর্ণ করেছিল।

আশফাক অনেকক্ষন থেকে একাই টিচার্স রুমে বসে রয়েছে। তার সামনে বেশ কিছু কাগজপত্র এলোমেলো ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা আছে। আশফাক সেগুলোর দিকে শুন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে। তার আসলে যাবার কোনো জায়গা নেই। দীপার সাথে দিনগুলো তার ভালো যাচ্ছে না। রোজ ঝগড়া, খিটিমিটি লেগেই আছে। ছেলেটা না থাকলে আশফাক বোধহয় বাড়িতেও ফিরত না। যে ব্যাপারগুলো প্রথমে তুচ্ছ সন্দেহ নিয়ে শুরু হয়েছিল তা এখন বড় আকার ধারন করেছে। দীপার এখন সব কিছুতেই সমস্যা। আশফাকের বেশী আদরেও সমস্যা, কম আদরেও সমস্যা। দীপাকে বেশী সময় দিলেও সমস্যা, কম সময় দিলেও সমস্যা। তার মাঝে মাঝে মনে হয় আসলে দীপারই বোধহয় তার সাথে সংসার করার কোনো ইচ্ছা নেই। সে বোধহয় অন্য কারো সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছে। তাই এখন সে বিভিন্ন অজুহাতে আশফাকের সাথে ঝামেলা করছে। আশফাকের হঠাৎ করেই খুব একা লাগল। তার সব আছে তবুও কোথাও যেন কেউ নেই। আশফাক আনমনে তার সামনে পড়ে থাকা কাগজগুলো নিয়ে নাড়াচড়া করল। হঠাৎ করেই একটা কাগজের উপর তার চোখ পড়ল। এটা দুই সপ্তাহ আগে রুহি তার কাছে জমা দিয়েছিল। এই কাগজে রুহি তার ক্লাসে উপস্থিত থাকতে না পারার কারন ব্যাখ্যা করেছে। আশফাক এক দৃষ্টিতে কাগজটার দিকে তাকিয়ে রইল। তার দৃষ্টি কাগজে লেখা কোনো ইংলিশ হরফের উপর ছিল না, তার দৃষ্টি ছিল কাগজে লেখা রুহির ফোন নম্বরের উপর! আশফাক মোহগ্রোস্থের মত পকেট থেকে তার ফোন বের করল। তারপর ডায়াল করল রুহির নম্বর!

“চলবে”