আপনিময়?তুমি Part-04

0
1937

#আপনিময়?তুমি [ An unexpected crazy love ]
#Written By: Åriyâñà Jâbiñ Mêhèr [ Meherjan ]
Part:04……

এভাবেই আরো কতগুলো দিন কেটে যায়।

হঠাৎ একদিন স্কুলে টিফিনের সময় মাঠে আনহা আর অন্তি কথা বলছিল তখনি সিমান আসে। [ ক্লাস 9 ছেলে ]

সিমান: অর্নি….. তোমার সাথে কিছু কথা ছিল।

সিমানকে দেখে আনহা অন্তির হাত ধরে। পিছনে ফিরে মুখ লুকিয়ে একটা হাসি দেয়। আনহার বুকের ভিতর কিছু একটা মোচর দেয়। ও অনেক কষ্টে নিজের হাসিটা থামায়……. ফাস্ট ক্রাশ বলে কথা…..

অন্তি: ওই যে তোমার হিরো এসেছে… ইসস আজ বোধহয় তোকে প্রপোজ করেই দেবে।

আনহা: সত্যি বলছিস….

অন্তি: হুমম দেখিস… আমারে যদি কেউ বলতো…. ???

সিমান: অন্তি দয়া করে একটু সাইডে আসো….. অর্নির সাথে কথা আছে…..

অন্তি: জি ভাইয়া. …. [ ভেংচি কেটে ]

সিমানকে দেখে আনহা নিজের হাতের নক খুটছে…. এইটা দেখে সিমান হেশে দেয়….

আনহা: জি বলুন….. [ মুচকি হেশে ]

সিমান: আসলে….

আনহা: বলুন…

সিমান: আমি তোমাকে অনেক পছন্দ করি। I mean… I love u…. একটা গোলাপ আর চিঠি দিয়ে……. এখন তুমি কি বলো….

আনহার তো লুঙি ডান্স করতে মন চাইছে।

আনহা: আমিও…..

তখনি ইহান আসে……

অন্তি: এবার মনে হয় অর্নিকে গার্লফ্রেন্ড বানিয়ে ছাড়বে….

ইহান: গার্লফ্রেন্ড মানে মেয়ে বন্ধু। আনহা ওই ছেলেটার বন্ধু হবে… কই আমাকে তো বন্ধু বলল না।

এইটা ভেবে ইহানের মন খারাপ হয়..

ইহান: আনহা আপনি এখানে কি করছেন চলুন আমার সাথে [ আনহার হাত টেনে ]

ইহানের দিকে তাকিয়ে আনহা চুপসে যায়। সিমান একটু বিরক্ত হয়…. কিন্তু আনহা বলে কিছু বলে না।

সিমান: এই পিচ্চি তুমি কে… [ ইহানের নাক টেনে ]

ইহান কিছুটা বিরক্ত হয় তারপর ওর নাক থেকে হাত সরিয়ে রেগে বলে…..

ইহান: আমি অয়ন। আপনি কে???

সিমান: তুমি কি অর্নির ভাই…

ইহান: না।

সিমান: তাইলে অর্নি তোমার কি হয়….

ইহান: আনহা আমার #আপনি হয়….

সিমান: “আপনি” হয় মানে…..

আনহা: ওর কথা ছাড়ুন ছোট মানুষ।

ইহানের কথাটা গায়ে লাগে। ও ওখান থেকে কান্না করে চলে যায়।

সিমান: কি হলো…

আনহা: আমি আসছি…..

সিমান: অর্নি…. অর্নি…. [ কিন্তু ও চলে যায় ]

অন্তি: আমি তো সাইড দিলাম কিন্তু কিছু হল না তাইনা….

সিমান: তোকে তো…. ???

অন্তি: থামেন। গিফট গুলা দেন অর্নিরে দিয়া দিমু…..

সিমান: [ এরে রাগালে হবে না। ] এই নেও…

,
,
,

,,

আনহা: ইহান শোন আমার কথা… ইহান…. [ ইহানের পিছন পিছন দৌড়ে। ইহান কাদতে কাদতে বেঞ্জে বসে পরে ]

আনহা: কি হয়েছে পিচ্চিটার???

ইহান:….. [ হিচকি তুলে কান্না করে ]

আনহা: ইহান…..

ইহান: আপনার সাথে কথা নেই আনহা। আপনি আমার একটু ও ভালোবাসেন না। আপনি ওই পচা ছেলেটাকে ভালোবাসেন। [ কাদতে কাদতে ]

আনহা ইহানের কথা শুনে হেশে দেয়…..

আনহা: কে বলেছে এইত আমি আমার পিচ্চি ইহানকে খুব ভালোবাসি। [ ইহানের কপালে চুমো দিয়ে ]

ইহান: তাহলে ও কেন আপনাকে ভালোবাসি বলল…..

আনহা: ইয়ে মানে…. [ হায়রে এখন কি বলি একে ]

ইহান: কি হল বলুন….

আনহা:……

ইহান: ও আপনাকে গার্লফ্রেন্ড কেন বানাতে চায়??? আপনি তো শুধু আমার মেয়ে বন্ধু তাই না….??? কি হল আনহা বলুন না?? আপনি আমার ফ্রেন্ড তাইনা। ওই পচা ছেলেটার না….. [ আনহার হাত টেনে কান্না করে ]

আনহা: আচ্ছা আমি শুধু তোর গার্লফ্রেন্ড কেন??? সিমানের কেন না???

ইহান: আমি তো আপনার ফ্রেন্ড তাইনা….

আনহা: হুমম…

ইহান: আপনি আমাকে ভালোবাসেন তাই না….

আনহা: হুমম তো…..

ইহান: আমি রিয়াদকে [ ইহানের ক্লাসে পরে ] বলতে শুনেছি একটা ছেলের একটা মেয়ে বন্ধু আর একটা মেয়ের একটা ছেলে বন্ধু থাকতে হয়…. আর তারা দুজনকে ভালোবাসে। যেমন আপনি আমাকে ভালোবাসেন আমাকে খাইয়ে দেন, কথা বলেন, আমাকে আদর করেন আর তাই আমি আমিও আপনাকে ভালোবাসি।

আনহা: তারপর….

ইহান: আমার তো আর কোনো মেয়ে ফ্রেন্ড নেই। তাহলে আপনার ও কোনো ছেলে ফ্রেন্ড থাকবে না আনহা….

আনহা: বুঝলাম…. [ ইহানকে কাছে টেনে ] আমার ইহান আমার ছোট্ট পিচ্চি আমাকে নিয়ে হিংসা করছে…

ইহান: আপনি শুধু আমার ফেন্ড আনহা…

আনহা: আচ্ছা…. [ ইহানকে কোলে বসিয়ে ] পিচ্চি একটা আমার কোমরে পর্যন্ত পরে না কিন্তু কথা দেখ…

ইহান: আমি রোজ কমপ্লেন খাই…. তাই বড় হয়ে যাব…

আনহা: গুড বয়…. [ এখন এই পিচ্চিটাকে কি করে বুঝাই ওর ভালোবাসা আর সিমানের ভালোবাসা এক না ]

ইহান: আমায় বলুন আপনি ওই পচা ছেলেটার ফ্রেন্ড হবেন না। প্রমিস করুন….. [ হাত বাড়িয়ে ]

আনহা: আচ্ছা…. প্রমিস…… [ ইহানের হাত ধরে ]

ইহানের সামনে ঠিক মত দাত নেই। হাসি দিলে খুব সুন্দর লাগে….. ইহান একটা হেশে আনহাকে জড়িয়ে ধরে..

আনহা: ইহান….. [ তারপর হেশে দিয়ে ওর চুল গুলো নেড়ে দেয় ] পাগল পিচ্চি একটা……

,
,

,
,
,
,
,
,

,
পরেরদিন ইহান আনহার জন্য নিজের কিছু চকলেট নিয়ে আসে… আনহাকে দেবে বলে….. তখনি ইহান আনহাকে সিমানের সাথে দেখতে পায়….. সিমান আনহাকে ভালোবাসি বলার সাথে সাথেই ইহান কেদে দেয়।

অন্তি: অর্নি ইহান…..

আনহা: ইহান….. [ চোখ গুলো বড় বড় করে ]

ইহান ওইখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। আনহা অনেক খুজেও ইহানকে পায় না। সিমান এসেই আনহার হাত ধরে…

সিমান: কে ছেলেটা যার জন্য তুমি আমাকে ইগনোর করছ….

আনহা: আমার ইহানকে খুজতে হবে।

সিমান: পিচ্চি ছেলে যেখানে ইচ্ছে যাক তাতে তোমার কি??? অসহ্য লাগে ওকে….

এইটা শুনে আনহা রেগে সিমানকে একটা থাপ্পড় মারে….

আনহা: ও আমার অনেককিছু হয়। ওকে নিয়ে একটাও বাজে কথা না। আমার…. আমার…. পিচ্চিটা কই গেলো….. ইহান……[ কিন্তু কোথাও খুজে পেল না ]

,
,
,

,
তারপর বেশ কয়েকদিন ইহান স্কুলে আসে না। এইটা দেখে আনহা পাগল প্রায় হয়ে যায়। তারপর কিছুদিন পর ও স্কুলে আসে কিন্তু আনহার সাথে কোনো কথা বলে না। আনহা ওর কাছে গেলেও ওর দিকে না তাকিয়ে চলে যায়……

দুদিন এইরকম ভাবেই চলে যায়।

পরেরদিন…….

আনহা: ইহান…. ইহান শোন আমার কথা…

ইহান কোনো কথা না বলেই চলে গেল। তখনি আনহা ওকে জোর করে বেঞ্জে বসিয়ে দেয়। ইহান মাথা নিচু করে বসে আছে।

আনহা: কি হয়েছে তোর কথা বলছিস না কেন???

ইহান:……

আনহা: এত রাগ করিস না ইহান। কি হয়েছে বলবি তো….

ইহান: আমি আপনার সাথে কথা বলতে চাই না আনহা…. [ কান্না করে ]

আনহা: কি হয়েছে আমাকে বলবি না।

ইহান: আপনি আমার কথা রাখেনি আনহা। আপনি আমায় বলেছিলেন ওই পচা ছেলের সাথে কথা বলবেন না কিন্তু আপনি তা রাখেনি.…..

আনহা: তাই তুই এত রাগ করেছিস। [ আনহা নিজেও এবার কান্না করে দেয় ]

ইহান: হুমম….

আনহা: আচ্ছা আমি যদি আর ওর সাথে কথা না বলি তাহলে…..

ইহান: আপনি আবার মিথ্যে বলছেন।

আনহা: মিথ্যে বলছি নারে পিচ্চি। সত্যি বলছি….. বল রাগ করবি না তাহলে…. [ ইহানের গাল ধরে ]

ইহান: আচ্ছা…. তবে….

আনহা: কি????

ইহান: চলুন আমার সাথে……

তারপর আনহাকে টানতে টানতে সিমানের কাছে নিয়ে যায়।

সিমান: আনহা তুমি…..

আনহা:…….

ইহান: এইযে পচা ছেলে একটা কথা শুনে রাখ আনহা শুধু আমার ফ্রেন্ড তোমার না। আর তাই ওনার সাথে কথাও বলবে না।

ইহানের এমন কথায় আনহা আর সিমান দুজনেই আকাশ থেকে পরে……

ইহান: আমি অনাকে ভালোবাসি ওনি আমাকে আদর করে। অনিও আমাকে ভালোবাসে আমায় খাইয়ে দেয়। তাই তুমি আনহার সাথে কথা বলবে না।

সিমান: [ সালার পিচ্চি বলে কি??? ]

ইহান: কিহল…..

সিমান এবার নিচে বসে পড়ে। কারন ইহান ওর কোমরেও আসে না।

সিমান: সালার পিচ্চি… আমারে আনহার থাপ্পড় খাইয়ে মন ভরে নাই এখন আবার এইটুকু বয়সে এত বড় মাইয়ারে ভালোবাসি কস…..

ইহান: তুমি পচা বাজে কথা বলো। [ সিমানের নাকে কিল মেরে আনহার পিছনে লুকালো ]

সিমান: তোকে….. ???

আনহা: সিমান…. [ ইহানকে আগলে ]

ইহান: আপনি ওকে বলুন আপনি ওর সাথে কথা বলবেন না। [ আনহার হাত ধরে ]

আনহা: সিমান…..

সিমান: কি বলছে ও এসব…. ???

আনহা: ঠিক বলছে। দয়া করে তুমি আজ থেকে আমার সাথে কথা বলো না। আমি শুধু ইহানের ফ্রেন্ড……

ইহান: ইয়েয়ে…… আনহা শুধু আমার ফ্রেন্ড….

আনহা: হুমম [ মলিন হাসি দিয়ে ]

ইহান: আপনি দাড়ান আমি চকলেট নিয়ে আসি….. [ বলেই দৌড় দেয় ]

সিমান: আমি জানি আনহা তুমি ওর মন রাখার জন্য মিথ্যে বলেছো। আমি বুঝতে পারছি ও তোমার খুব কাছের…. [ আনহার ঘাড়ে হাত দিয়ে ]

আনহা: তুমি ভুল ভেবেছ… ইহান যা বলেছে সেইটাই ঠিক… [
ঘাড় থেকে সিমানের হাতটা সরিয়ে ]

সিমান: মানে???

আনহা: মানে ওইটাই। আমি শুধু ইহানের….[ বলার আগেই ইহানের ডাক ]

ইহান: আনহা এই নেন..[ অনেকগুলো চকলেট দিয়ে। হাসি মুখে ইহানের হাত থেকে নিয়ে সিমানের সামনে থেকে চলে আসে। ]

ইহান: thanks আনহা আপনাকে….. ???

আনহা ইহানের কথা শুনে বেশ অবাক হয়। কয়েকমাস আগেও ও কারো সাথে কথা বলত না সেই ইহান আজ তার জন্য সিমানের সাথে ঝগড়া করল।

আনহা: আচ্ছা পিচ্চি….. [ দেখে নিজের আনা চকলেট ইহান নিজেই খায়। আর আনহা ওকে দেখতে থাকে ],
,
,

,
,,
,
,

,
,

দিন যতই যাচ্ছে ইহান আনহাকে নিয়ে তত বেশি প্রটেকটিভ হয়ে উঠেছে। এমনকি অন্তির সাথে দেখলেও রিয়েক্ট করে ওওও…… কারো সাথে মিশতে দেয় না। আর নিজেও কারো সাথে মিশে না। ইহানের দুনিয়া হয়ে গেছে আনহা। আর আনহার দুনিয়ায় কাউকে যেন সহ্য করতে পারে না ইহান…
,
,
,
,

,

,
,,
এভাবেই আনহা ৮ম শ্রেণীতে উঠে। আর ইহান ৩য় শ্রেনিতে।

একদিন.……

ইহান গিয়ে একটা ছেলের মাথায় ইট মেরে পালিয়ে আসে। কারন ছেলেটা আনহাকে টিজ করেছিল। যদিও ছেলেটা ইহানকে দেখেনি। আরেকদিন আনহাকে সারাদিন নিজের সাথে বসিয়ে রেখেছিল কারন অন্তি বলেছিল আনহাকে আর ওর কাছে যেতে দিবে না। দিন দিন আনহার জন্য ওর পাগলামি বেড়েই চলেছে। কিন্তু এসব কেউ বুঝতেও পারত না। কারন আনহা জানলে রাগ করবে……..

আরেকবার….. আনহা ক্লাসে পরা পারেনি বলে হাই স্যার আনহাকে প্রচুর বকে আর স্কেল দিয়ে বাড়িও মারে এইটা ইহান জানতে পেরে ওই স্যারের প্রিয় গাছের টব ভেঙে ফেলে….. এইটা আনহা দেখে ফেলে…..

আনহা: তুই কি করেছিস….

ইহান:……..

তখনি স্যার আসে…….

স্যার: এটা কে করেছে…???, ??

আনহা একবার ইহানের দিকে তাকায়। তারপর স্যারের দিকে। হাই স্যার খুব রাগী খুব মারেন সবাইকে…..

ইহান: স্যার…..

আনহা: সরি স্যার আমার সাথে ধাক্কা লেগে পরে গেছে…..

স্যার: তুমি অনেক বদমাস হয়ে গেছো অর্নি। পরা পারোনি তাই বকেছি এইজন্য আমার প্রিয় গাছটাকে???

তারপর স্কেল দিয়ে আনহাকে প্রচুর মারে। আনহা ওখানে কেদে দেয়। আনহার কান্না দেখে ইহানো আনহার সাথে কাদে….

স্যার যেতেই আনহা ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদে আর ব্যাথা জায়গায় ফু দিতে থাকে…. তা দেখে ইহানের কান্নার বেগটা বেড়ে যায়। এটা দেখে আনহার কান্না থেমে যায়……

আনহা: এই পিচ্চি তুই কাদছিস কেন???

ইহান: আপনার খুব লেগেছে না আনহা??? [ কাদতে কাদতে ]

আনহা: ধুর পাগল ছেলে। আমার একটু ও লাগেনি….

ইহান: তাইলে কাদছেন কেন???

আনহা: আরে না কাদলে স্যার আরো বেশি মারত….

ইহান: আপনি মিথ্যা কেন বললেন???

আনহা: কিছু মিথ্যে খারাপ হয় না তাই। এবার কান্না থামা…. [ ইহানের চোখ মুছিয়ে দিয়ে ]

ইহান: আচ্ছা….

আনহা উঠতে গিয়ে পরে গেল। তারপর আর কিছু বলল না।

ইহান: আপনি ঠিক আছেন…..

আনহা: কিছুনা। আর শোন হয়ত আমি কাল আসতে পারবনা। তাই তুই রাগ করিস না কেমন….

ইহান: আচ্ছা…..

পরেরদিন আর আনহা স্কুলে আসল না। কারন মারের জন্য ওর শরীরে প্রচুর জ্বর হয়েছে। আনহা বুঝেছিল ও আসতে পারবে না। কিন্তু এতটা হবে বুঝতে পারেনি।

কয়েকদিন পর আনহা স্কুলে এসে জানতে পারে হাই স্যারের মাথা ফেটে গেছে কেউ তার মাথায় পাথর ছুড়ে মেরেছে….. শুনে বেশ খুশি হয় আনহা।

আনহা: ওই পিচ্চি…. দেখ স্যার আমাকে মেরেছে তাই আল্লাহ তার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে.. ???

ইহান:…….

আনহা: কিরে তুই খুশি হস নি…

ইহান নিচের দিকে তাকিয়ে হাসি দেয়।

আনহা: তাইলে তুই বস আমি আসছি খাবার নিয়ে। [ চলে যায় ]

ইহান: আপনাকে মেরেছিল আনহা তাই আমিও ওনার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছি। আমার আনহাকে কেউ মারবে আমি ছেড়ে দিব। কোনোদিন না আমার আনহাকে কেউ কিছু বলবে না। [ কান্না করে দিয়ে ]

এভাবেই দিন দিন ইহান জিদ্দি আর একগুয়ে হয়ে পরে আনহার জন্য কিন্তু সেটা শুধু মাত্র নিজের কাছে। ইহানের এই রুপ কেউ দেখেনি।
,
,

,
,

,
,
,
,
,

বর্তমানে……..

আনহা: এই ইহান…. আর এই আমার খেয়ালি স্টুডেন্ট….. কোথায় হারিয়ে গেলি…

ইহান: বলুন…. [ আনহার ডাকে ঘোর ভাঙে ]

আনহা: আচ্ছা তোর সমস্যা কই বার বার কই হারিয়ে যাস… ???

ইহান: [ আপনার মাঝে ]

আনহা: আরে ওই গাধা……

ইহান: বলো…. [ আনমনে ]

আনহা: কি???

ইহান: কি… সরি আপনি বলুন…..

আনহা: তোর বাবা মা কই…..

সবার আগে আমার গল্প পড়তে চাইলে “নীল ক্যাফের ভালোবাসা” পেজে পাবেন।

ইহান: ওনারা কিছুদিনের জন্য দেশের বাইরে। কিছুদিন পর আসবে।

আনহা: তারমানে তোর মা জানে না। [ ঢোক গিলে ] আর না তোর বাবা…. [ খুব ভয় পেয়ে ] মানে ওনারা জানেন না বিয়ের কথা। হায়রে হিটলার গুলো জানতে পারলে কি হবে।

ইহান: [ আমি জানি আনহা আপনি কি ভাবছেন তবে চিন্তা করবেন না। এবার আমার থেকে আপনাকে কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। ]

আনহা: আমি একটু আসছি…. [ বলে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়…. ]

ইহান: আপনি শুধু আমার আনহা। জানেন সেই ছোটবেলা থেকে পাগল ছিলাম কিন্তু তখন ফিলিংটা বুঝতে পারিনি। কিন্তু আপনি যখন আমাকে ছেড়ে গেলেন। আমি আপনাকে ভোলার বদলে আপনাকে আকড়ে ধরে বাচতে চেয়েছি। যা করেছি সবটা আপনার জন্য আনহা….. আমি যে আপনাকে পাগলের মত চাই….. কিন্তু আপনি তা কোনোদিন বুঝতে পারেনি। তাই আমি আপনাকেই কারো কাছে আসতে দিতে চাইনি……

যদিও আপনি এটা গ্রহন করবেন না। কিন্তু আমার কিছু করার নেই আমি বাধ্য..

Åriyâñà Jâbiñ Mêhèr