#আমার_গল্পে_আমি_খলনায়ক
#MD_Nachemul_Hasan
#part_19
“প্রায় এিশ মিনিট পরে আহিল এসে কাজি অফিসের সামনে দাঁড়ায়। গাড়ী থেকে নামতেই তার সামনে তিশাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে, তিশার দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করে।এগিয়ে এসে তিশার হাত ধরে বলেতে শুরু করে,,,,,
__তিশা আমি এসে পড়েছি তোমার বিয়ে অন্য কারো সাথে আমি হতে দিবো না। তোমার সাথে আমার বিয়ে হবে,আজকে আর এখুনি।
আহিলের হাত থেকে তিশার হাতটা ছাড়িয়ে, তিশাকে টান দিয়ে নিজের পাশে নিয়ে দাড় করায়। আহিলের উদ্দেশ্যে বলে,,,
__তোমার সাহস কি করে হয়, আমর স্ত্রীর গায়ে হাত দেওয়ার!
সায়ানের মুখে স্ত্রী কথাটা শুনে যেনে আহিলের পুরো পৃথিবী ওল্টে গেছে। এটা কেনো হলো ওর সাথে,এরকমটা তো হওয়ার কথা ছিলো না! তার প্রেয়সী কি করে অন্য কাওকে বিয়ে করে ফেলতে পারে! সে তো তাকে কথা দিয়েছিলো, তাহলে! সবকিছুই কি ছিলো মিথ্যা, এই চার বছরের সকল ভালোবাসা সব মিথ্যা।অশান্তিতে ভরা এই পৃথিবীকে শান্তির সুশীতল ছায়ায় ভরিয়ে দেয়ার একমাত্র হাতিয়ার হলো প্রেম । প্রেম এক সাম্যময় সত্ত্বা যা মনের সকল অশান্তিকে দুরীভূত করে।
কিন্ত এখন এই প্রেমই আহিলের জীবনের সবচেয়ে অশান্তির কারণ হয়েছে। কথায় আছে না, প্রেমের আনন্দ থাকে স্বল্পক্ষণ কিন্তু বেদনা থাকে সারাটি জীবন।আহিল অপলক দৃষ্টিতে তিশার দিকে তাকিয়ে আছ,তার চোখ দিয়ে অনবরত পানি পরছে। কিছু একটা বলতে গিয়ে ও যেনো গলায় আটকে যাচ্ছে।কোনোভাবে তিশাকে বলে,,,
__তিশা তুমি আমার সাথে এটা করতে পারো না, আমাকে তুমি কথা দিয়েছিলে। আমাকে ছাড়া অন্য কাওকে তুমি বিয়ে করবে না, তাহলে তুমি এখন এই অচেনা ছেলেটা কে কি করে বিয়ে করলে!বলো আমাই তোমাকে কি জুর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে! তাহলে এখুনি আমি পুলিশ স্টেশনে কল করছি। তারা এখুনি এসে ওদের ধরে নিয়ে যাবে, তুমি শুধু একবার বলো তিশা, শুধু একবার। তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচবো না, তুমি অন্য কারো হয়ে যাবে আমার চোখে সামনে আমি তা কখনোই সজ্য করতে পারবো না।
আহিলের কথা মাঝ পথে থামিয়ে রায়হান বলতে শুরু করে,,,
__তিশা কি বলবে! আমি তোকে বলছি, আমি আমার মেয়ে তিশার বিয়ে সায়ানের সাথে দিয়েছি। তাদের দুজনের ইচ্ছায়, এখন তুই পুলিশ স্টেশনে কল কর আর তোর যেই যায়গায় মনে চাই, ও-ই যায়গায় কল কর। তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না।
রায়হানের মুখে এইসব কথা শুনে যেনো আহিলের রাগে সারা শরীর ফুঁসছে।
__আপনার কি আমাকে বোকা মনে হয়! রায়হান কাকা। আমি জানি যে তিশা নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেনি। আপনি আর এই ছেলেটা মিলে ওকে ব্লেকমেইল করে বিয়েতে রাজি করিয়েছেন। কিন্তু এখন আমি এসে গেছি, তাই আমি তিশাকে আমার সাথে নিয়ে যাবো, ওর কার সাথে বিয়ে হয়েছে নাকি কি হয়েছে তা আমার জানার কোনো ইচ্ছে নেই।
আহিল রায়হান কে কথা গুলো বলে আবার তিশার হাত ধরতে নিবে, এমন সময় সজোরে থাপ্পড় পড়ে আহিলের গালে,সাথে সাথে আহিলের মাথায় যেনো রক্ত ওঠে যায়,, আহিল গিয়ে শক্ত করে রায়হানের গলা চেপে ধরে। রায়হানের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে, রায়হান নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্ত কিছুতেই নিজেকে ছাড়াতে পারছে না, অবস্থা খারাপ দেখে সায়ান দ্রুত গিয়ে আহিলকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে।আহিল রায়হানের গলা ছেড়ে সায়ানকে ধাক্কা মারে,ধাক্কার তাল সামলাতে না পেরে সায়ান পড়ে যায়,আর তার মাথা গিয়ে লাগে সিড়ির মধ্যে। সাথে সাথেই মাথা কেটে ফিনকি দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করে। রক্ত বের হওয়ার কারনে সায়ানের শারা শরীর কেমন যেনো ঢুলছে।আর এদিকে আহিলের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে, রায়হান বড়ো বড়ো শ্বাস নিচ্ছে। যাক্ বাবা বাচাঁ গেলো, এতোখন তো মনে হচ্ছিল যে আজকেই হয়তো আমার শেষ দিন।
সায়ান নিচে পড়ে যাওয়ার সাথে সাথেই আহিল আবার রায়হানের দিকে এগিয়ে গিয়ে, ওর গলা চেপে ধরে বলতে শুরু করে,,,,
__কেনো করেছিস তুই আমার সাথে এইরকমটা, আমাদের চার বছরের প্রনয় তুই কেনো এইভাবে শেষ করে দিলি! তোকে আজকে আমি মেরেই ফেলবো, তারপর তোর ওই আদরের জামাই কে।তুই আমার জীবনটা তছনছ করে দিয়েছিস, তোর জন্য আমার মা কে হারাতে হয়েছে। তোর জন্য এখন আমি তিশাকে হারাতে বসেছি, এতো সহজে আমি তোকে ছেড়ে দেই কি করে!আজকেই তোর শেষ দিন, তুই মরবি, আর সাথে তোর জামাই।
কথা গুলো বলে আহিল রায়হানের গলা আরো জুড়ে চেপে ধরে, এইবার রায়হানের অবস্থা নাজেহাল। মুখ দিয়ে ফেনা বের হওয়ার শুরু হয়েছে।তিশা এতোক্ষণ নিরব দর্শকের মতো সব কিছু দেখছিলো। কিন্তু এখন নিজের চোখের সামনে ভালোবাসার মানুষের এই খারাপ রূপ যেনো তাকে জাগিয়ে তুলেছে। তার নজর যখনই তার বাবার দিকে যায় সাথে সাথে সে আহিলের দিকে এগিয়ে গিয়ে, আহিল কে পিছন থেকে টান দিয়ে তিশার সামনা -সামনি এনে সজোরে একটা থাপ্পড় মারে।
তিশা কে থাপ্পড় মারতে দেখে আহিল যেনো কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে, যার জন্য এতো কিছু সেই তাকে মারলো! এই কয়দিনে তার প্রেয়সীর এই রূপ যেনো তার মনে ভয়ের সৃষ্টি করে দিয়েছে।তিশার দিকে তাকিয়ে আহিল, বলতে শুরু করে,,,
__তুমি আমার গায়ে হাত তুললে তিশা!
__হ্যা তুলেছি, তোমার সাহস কি করে হয় আমার বাবার গায়ে হাত তুলার! যেই লোকটা তোমার বাবার ও বড়ো তুমি সেই লোকের গায়ে হাত তুললে। আমার সামনেই আমার বাবা কে মেরে ফেলতে চাইছো,এতে ওনার মেয়ে হয়ে আমি তোমার গায়ে হাত তুলেছি, ভুল তো কিছু করি নি৷
__তিশা আমি আমাদের ভালোর জন্যই এইসব করছি। বিশ্বাস করো, তা না হলে তোমার আমার মিল কখনোই হবে না, এদের দুজন কে মেরে ফেলতে হবে। এরাই যতো নষ্টের গুরা,এদের মেরে ফেললে আমি তোমাকে পেয়ে যাবো।আমি জানি তুমি এই বিয়েটা ইচ্ছে করে করো নাই তোমাকে জোর করে রাজি করানো হয়েছে। তোমার ভয় পাওয়ার কোনো দরকার নেই, এখন আমি চলে এসেছি। আমি তোমাকে আমার সাথে নিয়ে যাবো এবং, আজকেই আমি আবার তোমাকে বিয়ে করবো।
কথা গুলো বলে আহিল এগিয়ে গিয়ে তিশার হাত ধরে, সাথে সাথে তিশা জারি দিয়ে হাত ছাড়িয়ে নেই।
__তোমার সাহস কি করে হয় আমার গায়ে স্পর্শ করার! আমি এখন অন্য একজনের স্ত্রী, তাই আমি চাইবো না যে আমরা গায়ে কোনো পর পুরুষ হাত দিক। আর কি যেনো বলছিলে! যে আমাকে জোর করে বিয়েতে রাজি করানো হয়েছে, তাই তো। তুমি ভুল আহিল আমি আমার নিজের ইচ্ছায় সায়ানের সাথে বিয়েতে রাজি হয়েছি। আর তোমার সাথে যাওয়ার কথা বলছো, তা কখনোই না। যেই ছেলে আমার বাবা কে অসম্মান করে, আমার চোখের সামনে আমার বাবার গায়ে হাত তুলে, তাকে বিয়ে করে আমি সারা জীবন পস্তাতে চাই না। আমি মানুষ চিনতে ভুল করেছিলাম,এই চার বছর আমার জীবন থেকে স্পয়েল হয়ে গেলো! শুধু মাএ তোমার জন্য। আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি এতোদিনে, তাই আমও তোমাকে বিয়ে না করে সায়ান কে বিয়ে করেছি, আমার নিজ ইচ্ছায়। বুঝতে পারছো তুমি! এখন আমার চোখের সামনে থেকে যাও, না হলে আমার হাত তোমার গায়ে আবার উঠবে।
আহিলের এই নতুন রূপ যেনো তাকে অবাকের চরম পর্যায়ে পৌঁছে দেয়। এই কি সেই আহিল, যাকে আমি ভালোবাসতাম! না এটা সেই আহিল হতেই পারে না। তা না হলে কি করে আমার চোখের সামনে আমার বাবা কে মেরে ফেলতে চাই,সাথে সায়ান কে ও।আহিলের এই ভয়ংকর রূপের সাথে সে কখনোই পরিচিত নয়।সে তো আহিলের সরলতা, ডিসপ্লেইন, উদার মনোভাবের জন্যই আহিলের প্রেমে পরেছিলো।আহিলের এই রূপ দেখে তিশার ভালোবাসা, শ্রদ্ধা সব কিছু কমে যায় আহিলের প্রতি। তা-ও কেনো জানি এই কথাগুলো বলার সময় তিশার চোখ দিয়ে অনবরত পানি পরছিলো, নিজেকে সামলে গুলো আহিল কে বলে।
তিশার মুখে নিজের ইচ্ছায় বিয়ের কথা শুনে আহিল যেনো কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে। এই চিনলো তার প্রেয়সী তাকে! এই চার বছরের অফুরন্ত ভালোবাসাকে একমুহূর্তের মধ্যে শেষ করে দিয়ে অন্য একটা ছেলেকে বিয়ে করে নিলো।একবার ও তার কথা ভাবলো না যে তার কি হবে! সে আদৌও তাকে ছাড়া থাকতে পারবে কিনা।
তার কানে শুধু একটা কথাই বার বার বাজছে, যে আমি নিজের ইচ্ছেয় সায়ান কে বিয়ে করেছি। আহিল এখন পুরো উন্মাদ হয়ে গিয়েছে, তার মাথা যেনো কাজ করছে না, সে গিয়ে তিশার গলা চেপে ধরে বলতে শুরু করে,,,
__কেনো করলি তুই আমার সাথে এই ছলনা! কি অপরাধ ছিলো আমার, আমি তো তোকে সত্যিই ভালো বেসেছিলাম।তাহলে তুই কেনো এই ছেলেটাকে বিয়ে করলি! তোর ভাগ আমি কাওকে দিবো না,তোকে যদি আমি না-ই পাই তাহলে তোকে সায়ানের ও হতে দিবো না।তোকে আমি মেরে ফেলবো তারপর নিজেও মরবো।
______
এদিকে রায়হান ছাড়া পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ স্টেশনে কল করে তার বন্ধু রাসেল কে ডাকে। যে তাদের ওপর নারী পাচার কারী গ্যাং এর একটি ছেলে আক্রমন করেছে। কাজি অফিস থেকে পুলিশ স্টেশন বেশি একটা দূরে না হওয়ায় পুলিশ ও দ্রুত চলে আসে। এসে দেখতে পায় আহিল তিশার গলা চেপে ধরে আছে, তার একটু দূরে সায়ানের মাথা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে, আর রায়হান পাশে বসে কাসছে, রায়হানের গলায় চেপে ধরার কারনে এখনো তার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। পুলিশ এই দৃশ্য দেখে যা বুঝার বুঝে গেছে।তাড়াতাড়ি করে আহিল কে ছাড়ায়, এবং সাথে সাথে হাতে হ্যান্ডক্যাপ পরিয়ে নিয়ে গাড়িতে উঠায়।
তিশার শরীর আগে থেকেই অসুস্থ, দুইদিন ধরে তার পেটে দানা পানি পর্যন্ত পরে নাই। আহিল গলায় চেপে ধরায় তার শ্বাস আটকে প্রায় মরে যাওয়ার অবস্থা। সে সাথে সাথেই অজ্ঞান হয়ে নিচে পরে যায়। সায়ান আর রায়হান দ্রুত তিশার কাছে আসে, রায়হানের পুলিশ বন্ধু ও তিশার এখানে আসে। তিশাকে অজ্ঞান হতে দেখে সায়ান যেনো নিজের মাথার চোটের কথা ভুলে যায়,দ্রুত গিয়ে মাটিতে বসে তিশার মাথাটা তার পাওয়ের ওপর রেখে তিশার গালে আলতো হাত ছোঁয়ে ডাকতে শুরু করে,,,,
__তিশা কি হয়েছে তোমার! ওঠো না, এইতো দেখো পুলিশ চলে এসেছে,আহওল এখন আর কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।
তিশাকে না উঠতে দেখে রায়হান গিয়ে দ্রুত একটি গাড়ি নিয়ে আসে, তারপর সায়ান কোলে করে তিশাকে গাড়িতে বসায় সাথে নিজেও বসে পরে। আর সামনে রায়হান বসে পরে হসপিটালে যাওয়ার উদ্দেশ্যে।রায়হানের পুলিশ বন্ধু কিছু জিজ্ঞাসা করতো ওদের কিন্তু তিশার এই অবস্থা দেখে আর কিছু জিজ্ঞেস না করে সেও আহিল কে নিয়ে পুলিশ স্টেশন চলে যায়।
আহিল কে পুলিশ স্টেশনে আনা হয়েছে প্রায় এক ঘন্টার মতো হয়েছে। তাকে সাথে সাথেই কোনো কিছু জিজ্ঞেস বাদ না করে কাস্টাডির ভিতরে ডুকিয়ে দেয়। এর মধ্যেই একজন মহিলা আসে পুলিশ স্টেশন,,,,,,
__এখানে এসপি কে আছেন! আমার তার সাথে জরুরি কথা আছে,,,
সাড়ি পরিহিত এই মহিলাকে দেখে রাসেলের কেমন যেনো চেনা চেনা লাগছিলো।কিন্তু কোথায় দেখেছে তা মনে করতে পারছে না। না চিনতে পেরেই রাসেল বলে,,,
__জি আমি বলুন কি বলবেন! আমিই এসপি মোঃরাসেল।
মহিলাটি রাসেলের দিকে একটও পেপার এগিয়ে দেয়। রাসেল মহিলার হাত থেকে পেপারটা নিয়ে খুলে পড়তে শুরু করে। পড়া শেষ হলে কনস্টেবল কে ডাক দিয়ে বলে,,,,
__রমিজ উদ্দিন কিছুখন আগে কাজি অফিসের সামনে থেকে যে ছেলেটাকে আমরা ধরে নিয়ে এসেছি। তাকে তাড়াতাড়ি বের করে নিয়ে আসো।
রাসেলের আদেশ পাওয়ার সাথে সাথেই রমিজ উদ্দিন আহিল কে কাস্টাডির থেকে বাহিরে বের করে মহিলার সামনে নিয়ে আসে।
মহিলা কে দেখে আহিলের মুখে যেনো বিশ্ব জয়ের হাসি, তারপর আহিল এসপি রাসেলের দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিয়ে পুলিশ স্টেশন থেকে বের হয়ে যায় সাড়ি পরিহিত মহিলাটির সাথে,,,,,,,,,,,,
চলবে,,,,,
#আমার_গল্পে_আমি_খলনায়ক
#MD_Nachemul_Hasan
#part_20
“মহিলা কে দেখে আহিলের মুখে যেনো বিশ্ব জয়ের হাসি, তারপর আহিল এসপি রাসেলের দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিয়ে পুলিশ স্টেশন থেকে বের হয়ে যায় সাড়ি পরিহিত মহিলাটির সাথে।
“তিশাকে নিয়ে সায়ান আর রায়হান দ্রুত হসপিটালে চলে আসে। তিশার এখনো জ্ঞান ফিরে আসে নাই, তাকে ওটিতে নেওয়া হয়েছে। ওটির বাহিরে বসে, রায়হান পায়চারি করছে। আর সায়ানকে মাথায় বেন্ডেজ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সায়ান অবশ্য যেতে চাইছিলো না তিশাকে একা ফেলে, রায়হান একপ্রকার জোর করে পাঠিয়েছে।রায়হানের অবস্থা ও বেশি একটা ভালো না, তাও মেয়ের চিন্তায় শরীর খারাপের কথা ভুলে গেছে। হঠাৎ করে রায়হানের ফোনে মেসেজ আসার শব্দ হয়, রায়হান সাথে সাথে ফোনটি পকেট থেকে বের করে, মেসেজটি দেখে।মেসেজটি দেখার পর রায়হানের অস্তিরতা যেনো আরও বেড়ে গেছে। ও কি করে জানলো আমরা এখানে আছি!
হাঠাৎ রায়াহানের নজর যায় তার পাসের চেয়ারে, যেখানে সায়ানের ফোন আর ওয়ালেট পড়ে আছে। রায়হান ফোন ও ওয়ালেট টা হাতে নেয় এই ভেবে যদি কেও নিয়ে যায়। হাতে নেওয়ার পড়ে কৌতুহল বশতো ওয়ালেট টা খুলে,,খুলার সাথে সাথেই রায়হানের হাত থেকে ওয়ালেট পড়ে যায় ভয়ের চুটে। কথায় আছে না যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই সন্ধা হয়। আমার সাথেও এখন এটাই হচ্ছে, কোথায় ভেবেছিলাম এখন একটু শান্তিতে থাকবো তা না। আমার কপালেই এসে সব বিপদ জুটে। এই ছেলে দেখি গোয়েন্দা বিভাগের বড়ো অফিসার। ওহ কি আমাদের ব্যপারে সব কিছু জানে!তাই কি আমার মেয়ে তিশাকে বিয়ে করেছে, আমাদের হাতে নাতে ধরার জন্য। কিন্তু আমার তো তা মনে হচ্ছে না, যদি শুধু আমাদের ধরার জন্য হয়ে থাকে তাহলে, তো আর তিশার প্রতি এতো কেয়ার দেখাতো না। আমি ওর চোখে তিশার জন্য ভালোবাসা দেখেছি, যেটা একসময় আমরা চোখে ছিলো মীরার জন্য। কিন্ত ওহ কি পাল্টে যাবে আমার মতো! না না তা কি করে হয়, আমার মেয়ে তিশা আর যায় হোক নিজের স্বামীকে রেখে পর পুরুষের সাথে মে*লা মে*শা করবে না। আমার ওর প্রতি এই বিশ্বাস আছে, কিন্তু সায়ান যদি কোনো ভাবে আমাদের সত্যিটা জেনে ফেলে! তখন কি হবে। ও নিশ্চয় আমাদের এমনি এমনি ছেড়ে দিবে না! ওর কথা বার্তায় যা বুঝলাম ও খুব লয়াল একটা ছেলে। এখন যে করেই হোক ওদেরকে দেশের বাহিরে পাঠানোর ব্যবস্তা করতে হবে। তাহলেই আমার বিপদ কমে যাবে, তারপর ওই ম্যাডামের চর্বি কমাবো।কিন্তু সায়ান আর তিশা কি এমনি এমনি আর্জেন্ট দেশের বাহিরে যেতে রাজি হবে! একটা কিছু করতে হবে।
“এরিমধ্যে ওটি থেকে ডাক্তার বেরিয়ে আসে,তিশাকে ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে। তার জ্ঞান ফিরতে আরও প্রায় দুই ঘন্টা মতো লাগবে। সায়ানও মাথায় বেন্ডেজ নিয়ে রায়হানের পাশে এসে বসে। রায়ান কিছু বলতে গিয়ে ইতস্ততবোধ করছে দেখে,সায়ান নিজেই বলে ওঠে,,,
__আংকেল আপনি কি কিছু বলতে চাচ্ছেন!
সায়ানের কথা শুনে আমি খানিকটা চমকায়,তারপর নিজেকে সামলে সায়ান কে বলি,,
__আসলে বাবা আমি-তো বাংলাদেশে থাকি না । ইউরোপে আমরা সেটেল্ড, আমার বড়ো মেয়ে দিশাকে বিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এখানে এসেছিলাম।এরি মধ্যে ঘটে গেছে অনেক ঘটনা, যাক তার মধ্যে আর না যায়।আসল কথা যেটা, সেটা বলি,,,আমাদের ইতালি চলে যেতে হবে, এখন আমি আমার মেয়ে তিশাকে একা রেখে কিছুতেই ইতালি যেতে পারবো না। তাই আমি চাইছিলাম কি আমার সাথে আমার মেয়ে এবং তুমিও চলো!
__তিশাকে ইতালি নিয়ে যাবেন মানে! ও এখন আমার স্ত্রী, আর স্ত্রী স্বামীকে ছেড়ে বাবা মা’র সাথে গিয়ে ইউরোপে থাকবে কেনো! আমার হয়তো আপনার মতো এতো টাকা পয়সা নেই,কিন্তু ওকে সুখে রাখার মতো সবকিছু আছে। আর আপনি আমাকে কিভাবে আপনাদের সাথে ঘরজামাই যেতে বলছেন! আমি কি এতোটাই অপদার্থত যে শ্বশুর এর টাকায় ইউরোপে বসে খাবো!
__সায়ান তুমি আমাকে ভুল বুঝছো! আমি এইভাবে বলতে চায়নি। আসলে তুমিতো জানোই তিশাকে কিডন্যাপ করা হয়েছিলো তা ও আমার বাড়ি থেকেই।তো আজকেও কিডন্যাপার রা আমাকে মেসেজ দিয়ে ধমকি দিয়েছে তোমাকে আর তিশাকো মেরে ফেলবে। আমার জন্য ওদের এতো বড়ো লস হয়ে গেছে। এখন আমি আর কোনো রিক্স নিতে চাইছি না। তাই আমি চাই পার্মানেন্টলি না হলেও, কয়েক মাসের জন্য তোমরা ইতালিতে চলে যাও।আমি আর আমার মেয়েকে বিপদের মুখে ফেলতে চাইনা। যতো দ্রুত সম্ভব তোমাদের ইতালি যাওয়ার ব্যবস্থা করছি।
সায়ান কিছু বলতে যাবে, তার আগেই কথা গুলো বলে রায়াহান এক সাইডে গিয়ে দিশা কে কল করে সায়ান আর তিশার ব্যপারে বলে,,যে ওরা দুইদিনের ভিতরে ইতালি আসছে ওদের জন্য রুমের ব্যবস্থা করতে।
পাগলের বেশে হসপিটালের ভিতরে দৌড়াতে দৌড়াতে ঢুকে মীরা। তার এখন দিন দুনিয়ায় কোনো খেয়াল নেই, নিজের আদরের মেয়েকে পাওয়া গেছে এবং সে অসুস্থ, এই কথা শুনার পড়ে মীরা আী নিজেকে আটকে রাখতে পারেনি। নিজে একা একা হসপিটালে চলে এসেছে। হসপিটালে ঢুকবার পড়ে রায়হান একটি বেঞ্চে বসে থাকতে দেখে,এক প্রকার দৌড়ে রায়হানের সামনে গিয়ে দাড়ায়,,,,,
__রায়হান তিশা কোথায়! ওর কি হয়েছে ওকে হসপিটালে আনলে কেনো! আমার মেয়ে ভালো আছেতো। ওর কি হয়েছে বলো না,,,,,
মীরাকে নিজের সামনে দেখে আমি চমকে যায়, ওকে কে বলেছে এই যায়গার কথা! এখন ন্যাকামো শুরু করছে, মন-তো চাইছে একে এখানেই শেষ করে দেয়। কিন্ত, আমার হাত বাঁধা পাব্লিক প্লেসে কিছু করলে আমি ফেঁসে যাবো। এখম ওর সামনে নরমাল থাকতে হবে,,,,
__তিশা সামনের রুমে আছে, ওকে ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে। এখন ঘুমাচ্ছে, তাই ওকে ডিস্টার্ব করতে যেও না। মেয়েটার শরীরটা শেষ, আমার মেয়েকে যারা এই কস্ট দিয়েছে তাকে, আমি এই পৃথিবী থেকে চিরো তরে মুছে ফেলবো।সে হয়তো জানে না যে কার রক্তে সে হাত দিয়েছে।
রায়হানের কথার কোনো কিছুই মীরা বুঝতে পারলো না। মীরা রায়হানের পাসের বেঞ্চে বসে পড়লো।সায়ানেট আর বুঝতে বাকি রইলো না যে এটা তিশার মা। সে দ্রুত গিয়ে, মীরাকে সালাম করে,,,,,,
__কে তুমি! আর আমাকে সালাম করছো কেনো!
__জি, আন্টি আমি সায়ান।
__তুমি সায়ান না যেই হোও, তা আমাকে কেনো সালাম করছো!
সায়ান আর মীরার কথার মাঝেই রায়াহান বলতপ শুরু করে,, ও তিশার জামাই।কিছুখন আগে ওর সাথে তিশার বিয়ে হয়েছে। রায়হানের মুখে তিশার বিয়ের কথাটা শুনে মীরা অবাক হয়ে যায়। নিজেকে সামলে রায়হান কে জিজ্ঞেস করে,,,
__তিশার জামাই মানে! তুমি এসব কি বলছো রায়হান। আমার মেয়েকে আমার অনুমতি ছাড়া কেনো বিয়ে দিয়ে দিয়েছো।আমি ওর জন্মদাত্রী, তুমি এই কাজ কি করে করতে পাড়লে! আমি ওকে ছোটো থেকে একা মানুষ করেছি, তখন তো তোমি বাবার দায়িত্ব পালন করতে আসে নাই।তো এখন কোন অধিকারে তুমি, আমার অনুমতি ছাড়া আমার মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দাও!আমি এই বিয়ে কিছুতেই মানি না, আমি আমার মেয়েকে আমার সাথে নিয়ে যাবো।
__অধিকারের কথা বলছো! তাহলে তো তোমার ও ওর ওপর কোনো অধিকার নেই। ওকে ছোটো থেকে ১৮ টা বছর হোস্টেলে বড়ো করেছো।যদি এতো মায়ের দরদ থাকতো তাহলে তো আর নিজের মেয়েকে হোস্টেলে রাখতে না।আমার মুখে হোস্টেলের কথা শুনে মীরার কথা বলা একদম বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
এদিকে সায়ান মীরা আর রায়হানের থেকে কিছুটা দূরে এসে পকেট থেকে ফোন বের করে ইতালি যাওয়ার জন্য, গোয়েন্দা বিভাগের সবচেয়ে বড়ো যে অফিসার তাকে কল দিয়ে ছুটির কথা বলে।প্রথমে এতো মাসের জন্য ছুটি দিতে রাজি হচ্ছিল না। পড়ে কি ভেবে যেনো আবার ছুটি দিতে রাজি হয়ে যায়। সায়ান কথা বলা শেষ করে আবার রায়হান আর মীরার সামনে এসে দাঁড়ায়। সায়ান কে দেখার সাথে সাথেই দুইজনের কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরিমধ্যে ডাক্তার এসে বলে যায় যে তিশার জ্ঞান ফিরেছে।সবাই দ্রুত তিশাকে দেখার জন্য কেবিনে ঢুকে পড়ে।
নিজের আদরের মেয়ের এই অবস্থা দেখে মীরার চোখ দিয়ে অনবরত পানি পরছে। তিশার পাশে বসে আলতো হাতে তিশার মাথায় হাত ভুলিয়ে দিচ্ছে। আমার এই ন্যাকামো দেখে ঘা জ্বলে যাচ্ছে। এতোই যদি দরদ থাকতো তাহলে আমার মেয়ের আজকে এই হাল হতো না। আমিও গিয়ে আরেক পাশ দিয়ে বসে তিশার মাথায় হাত ভুলিয়ে দিতে দিতে বললাম,,,
একদম ভয় পাবি না মা,তোর আব্বু সবসময় তোর সাথে আছে। তোর আব্বু তোর জন্য কোনো খারাপ সিদ্ধান্ত নেইনি,একদিন তুই এই জিনিসটা বুঝবি।সায়ানের সাথে তোর বিয়েটা ভালোর জন্যই হয়েছে, আজকেই দেখতে পেলি আহিলের সকল কার্য কলাপ। ওর মতো একটা খারাপ ছেলের হাতে তোকে তোলে দিলে, তোর জীবনটা ও নরক বানিয়ে ফেলতো।তাই আমি অনেক ভেবে চিন্তে সায়ানের সাথে তোর বিয়ে দিয়েছি।সায়ান সবসময় তোর পাশে থাকবে,তোকে সকল বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করবে।তুই আমাকে আজকে একটা কথা দে মা, যে যেকোনো পরিস্থিতি আসুক না কেনো, তুই সায়ানকে কখনোই ছাড়বি না ওকে ওর স্বামীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করবিনা,তুই তোর বাকি জীবনটুকু ওর সাথে কাটাবি, ওই আহিলের সাথে আর যোগাযোগ করার চেষ্টা ও করবি না। আমাকে ছুঁয়ে কথা দে,,,,,
রায়হানের কান্না বেজা চোখ দেখে তিশা আর না করতে পারেনি।তাই নিজের বাবাকে ছুঁয়ে কথা দেয় যে সে সায়ানকে নিজের স্বামীর অধিকার দিবে এবং তার সাথেই সারা জীবন কাটাবে।আর আহিলের সাথে সে কখনো যোগাযোগের চেষ্টা ও করবে না।
মীরা আর সায়ান এতোখন নিরব দর্শকের মতো সবকিছু দেখছিলো।মীরা নিরবতা ভেঙে বলে উঠে,,,,
__রায়হান ডাক্তারের সাথে কথা বলে তিশাকে বাসায় নেওয়ার ব্যবস্তা করো।আমি আর আমার মেয়েকে এখানে রাখতে চাই না।
__হুম কথা বলে নিয়েছি।এখন সায়ানের সাথে ও চলে যাবে।
__সায়ানের সাথে যাবে মানে!ও আমাদের বাসায় না গিয়ে ওই ছেলের বাসায় কেনো যাবে!তোমাকে আমি কি বলেছি তুমি বোধহয় শুনতে পাওনি তাই না! আমি এই বিয়ে মানি না।চিনি না জানি না একটা ছেলের সাথে আমি আমার মেয়েকে কিছুতেই একা যেতে দেবো না। আর ও তো এই ছেলেকে ভালোবাসে না ও ভালোবাসে আহিল কে, তাই আহিলের সাথেই ওর বিয়ে দিবো আমি।আহিল নিচেই গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য, আজকে আমি আমার মেয়ে আর আহিলের ভালোবাসার পূর্নতা দিবো। এতে আমাকে কেও আটকাতে পারবে না।
আহিলকে যে কও ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে এটা রায়হান ওর এসপি বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পারে। তাই আহিলের নিচে গাড়ি নিয়ে বসে থাকার কথা বলাতে রায়হান অবাক হচ্ছো না। অবাক হয় তখন, যখন মীরার মুখে তিশাকে আহিলের সাথে বিয়ে দেওয়ার কথা শুনে রায়হানের মাথায় রক্ত ওঠে যায়। সারা শরীর রাগে ফুঁসছে,মনে মনে বলছে,,,যদি এখানে আজকে তিশা আর সায়ান না থাকতো। তাহলে আজকেই তোর শেষ দিন ছিলো এই পৃথিবীতে। এদিকে মীরা রায়হানকে কথাগুলো বলে তিশাকে বেড থেকে নামাতে নিলেই,,,,,রায়হান গিয়ে সজোরে একটা থাপ্পড় মারে মীরার গালে।থাপ্পড় এর চুটে মীরা গিয়ে কিছুটা দূরে ছিটকে পড়ে। তিশা মীরাকে দরার জন্য উঠতে নিলেই, রায়হান হাত দিয়ে ইশারা করে থামিয়ে দেয়। তারপর বলতে শুরু করে,,,,,,
__তুমি এখনি এই হসপিটাল থেকে বেরিয়ে যাবে। যেই ছেলে আমার মেয়েকে আমার চোখের সামনে মেরে ফেলতে চাই, সেই ছেলের হাতে তুমি মেয়ে তুলে দিবে।তুমি কি আদৌও ওর মা! আর সায়ানের কথা বলছিলে না, যে চিনি না জানি ছেলের হাতে মেয়ে কেনো তুলে দিলাম। তাহলে শুনো, এই সায়ান হলো হাঁটি শোনা। আমার পড়ে যদি আমার মেয়েকে কেও বেশি ভালোবাসে তাহলে সে হলো এই সায়ান।আর বলছিলে না তার পরিচয় কি! সে হলো গোয়েন্দা বিভাগের একজন উচ্চ পদস্থ অফিসার। তাই আমার মতে আমার মেয়ে তিশার জন্য ওর মতো ভালো ছেলে খুঁজে পাওয়া সম্ভব না।
রায়হানের মুখে সায়ানের সম্পর্কে শুনে মীরা কিছুট অবাক হয়। তাও নিজেকে সামলে বলে,,,
__তুমি বললেই তো আর আমি চলে যাচ্ছি না! আমি আমার মেয়েকে আমার সাথেই নিয়ে যাবো এবং আহিলের সাথেই ওর বিয়ে দিবো।তিশা উঠে আয়, আহিল তোর জন্য নিচে অপেক্ষা করছে,,,
আহিলের নাম শুনলে আগে তিশার মুখে যেই হাসি ফুটতো, এখন আহিলের নাম শুনেই তার রাগ উঠছে।কিছুখন আগে আহিলের করা ঘটনা এখনো তিশা মাথা থেকে বের করতে পারছে না।তিশা একবার নিজের বাবা-মা’র দিকে আরেকবার সায়ানের দিকে তাকালো। সায়ান উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তিশার দিকে যে তিশা কি বলে!তিশা নিজেকে সামলে মীরার উদ্দেশ্যে বলে,,,,,
__আমি আপনার সাথে যেতে পারবো না। আমি বিবাহিত, আমার স্বামীর সামনে দাড়িয়ে আপনি কি করে আমাকে আবার অন্য যায়গায় বিয়ে দেওয়ার কথা চিন্তা করেন। আমি একটু আগে আব্বু কে কি কথা দিয়েছিলাম তা কি আপনি শুনতে পান নি! আমি আমার কথার খেলাপ করতে পছন্দ করি না।
তিশার মুখে, আহিল কে বিয়ে করতে মানা করায় মীরা অবাকের চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এটা কি করে সম্ভব! যেই মেয়ে আহিল কে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করবে না, সেই মেয়ে এখন আহিলের নামটা ও শুনতে পছন্দ করছে না। মীরা তিশার মাথায় আবারও হাত রেখে বলে,,,,কি আর করবার এখন যেহেতু তুমি যেতে চাইছোনা। আমিতো আর জোর করতে পারিনা আমার সাথে যাওয়ার জন্য, তাই ভালো থেকো আমি আসছি,,,!
কথাগুলো বলে মীরা আর একমুহূর্ত দেরি করেনি, দ্রুত পায়ে হসপিটাল থেকে বেরিয়ে আসে।নিচে এসেই দেখতে পায় আহিল গাড়ির সামনে বসে সিগারেট খাচ্ছে।মীরা গিয়ে আহিল কে বলে,,,,,,
_আজকে রাতেই শেষ করে ফেলতে হবে! তা না হলে বিপদ আরও বাড়বে।
চলবে,,,,,,,,,,,,