আমার গল্পে আমি খলনায়ক পর্ব-১৫+১৬

0
141

#আমার_গল্পে_আমি_খলনায়ক
#MD_Nachemul_Hasan
#part_15

“সায়ন কিছু বলতে যাবে তার আগেই রায়হানের মুঠোফোনটি বেঝে উঠে,,ফোনের স্ক্রীনে কারো নাম দেখার সাথে সাথে রায়াহানের হাত থেকে মুঠোফোনটি মাটিতে পরে যায়,,,,রাজিবের কল!মুঠোফোনটি মাটি থেকে তুলে, রায়হান কিছুটা দূরে সরে আসে সায়ানের কাছ থেকে। তারপর রাজিবের কল রিসিভ করে,,,

__হ্যালো স্যার,,,,

__তোমাকে না বলেছি আমার কাছে কোনো মেয়ে নেই! তাহলে আবার কেনো কল দিয়েছো! এক কথা তোমাকে বার বার বলতে হয়। আমি এইসব ঝামেলার মধ্যে নেই। মেয়ে কোথা থেকে আনবে না আনবে তা আমার দেখার বিষয় না। এখন কল রাখো আমার মেয়েকে খুঁজতে যেতে হবে,,,,

__স্যার মেয়ের ব্যাবস্থা হয়ে গিয়েছে, আপনার কাছে মেয়ের জন্য কল দেই-নি।আমি-তো আপনাকে কল করেছি এটা জানানোর জন্য যে কাল মেয়ে ডেলিভারি, আপনাকে এখানে আসতে হবে। আমিতো আর বেশি একটা ইংরেজি পারি না,, ফরেনার দের সাথে কথা কে বলবে! তাই আর কি আপনাকে কল করেছি। আপনি কাল সকাল সাতটায় বন্দরে এসে পরেন, ওখান থেকেই মেয়ে ডেলিভারিতে যাবে।

__মেয়ের ব্যবস্থা হয়েছে মানে! কে এনেছে এ-ই কম সময়ের মধ্যে!

__ম্যাডামের লোকরা নিয়ে আসছে কালকে বিকেলে। মেয়েটার বয়স চব্বিশ এর মতো হবে, দেখতে ও সেই,,,,। কিন্তু একটু অসুস্থ, কোমরে নাকি ব্যাথা,তাই কান্না -কাটি করছে।কিছুতেই থামাতে পারছি না, শুধু বলছে আমাকে ছেড়ে দাও, আমাকে এখানে কেনো এনেছো। আমার আব্বু জানতে পারলে তোমাদের অবস্থা খারাপ হবে।কিন্তু এই মেয়েতো আর জানে না যে আমরা কেমন লোক, এই দেশের সেরা পাচারকারী চক্র।

রাজিবের মুখে মেয়েটির কথা শুনে কেনো জানি আমার মেয়েটি কে দেখার আগ্রহ হলো। কালকে-ই
তো আমার মেয়ে তিশা কে কিডন্যাপ করা হয়েছে, তিশার বয়স ও তো চব্বিশ এর মতোই হবে।আর তিশাও তো কমোরে ব্যাথা পেয়েছিলো।না, না আমি আর ভাবতে পারছিনা, এটা যদি কোনো ক্রমে আমার মেয়ে তিশা হয়।

রায়হানকে চুপ থাকতে দেখে রাজিব আবার বলতে শুরু করে,,,

__হ্যালো,, হ্যালো স্যার,,, আপনি কিছু বলছেন না কেনো!

ফোনের ওপাশে রাজিবের মুখে স্যার ডাক শুনে রায়হানের খুশ আসে,তারপর রাজিব কে বলতে শুরু করে,,

__নতুন যেই মেয়েটাকে ম্যাম এর লোকজনরা কালকে নিয়ে এসেছে, তার একটা পিক তুলে আমাকে পাঠাও।

__আপনি নতুন মেয়ের পিক দিয়ে কি করবেন স্যার! কাল সকালে এখানে আসলেই দেখতে পারবেন মেয়েটাকে।

__তোমাকে যা বলেছি, তুমি তা করো। নতুন মেয়ের পিক দিয়ে আমি কি করবো তার কৈফিয়ত তোমাকে দিবো না। কিন্তু, পিক যে আমাকে দিচ্ছো তা যেনো তুমি আর আমি ছাড়া কেও না জানে।আর যদি কোনো ভাবে কেও জানে, তাহলে তোমার অবস্থা অনেক খারাপ হবে আর সাথে তোমার বাচ্চাদের ও । কথাটা মনে থাকে যেনো! এখন তাড়াতাড়ি পিক উঠয়ি আমাকে পিক পাঠাও মেয়েটার। দেরি যেনো না হয়, আমি এখন ফোন রাখছি।(কথা গুলো বলেই কল কেটে দেয় রায়হান)

রায়হান কল কাটতেই, রাজিব নিজে নিজেই বলতে শুরু করে, “কি কপাল আমার এক দিক দিয়ে রায়হান স্যার, আরেক দিক দিয়ে ম্যাডাম! আমি এখন কোনদিক যাবো! রায়হান স্যারকে পিক দিয়েছি শুনতে পারলে ম্যাডাম আমার অবস্থা খারাপ করে দিবে। আবার পিক না দিলে স্যার আমার অবস্থা খারাপ করে দিবে সাথে আমার বচ্চাদের ও। যা আমি একদমই চাই না, আমার জন্য আমার বাচ্চাদের কোনো ক্ষতি হোক। অনেক ভাবনা চিন্তা করে রাজিব তিশার পিক তুলে রায়হানের হোয়াটসঅ্যাপ এ পাঠায়।

হোয়াটসঅ্যাপ এ পিক আসতেই রায়হান পিক দেখার সাথে সাথে মাথায় রক্ত ওঠে যায়।আরে এটা তো সত্যি তিশা,, হাত পা বেধে ফেলে রেখেছে। কান্না করতে করতে চোখ মুখ ফুলিয়ে ফেলেছে।এই দৃশ্য দেখার সাথে সাথে রায়হানের বুকের ভেতর একটা কষ্ট অনুভব হয়। এগুলো আমার পাপের শাস্তি আমার জন্য আমার মেয়ের আজ এই অবস্থা। আমার মেয়েকে আজকে এই অবস্থায় দেখে আমার এতো কষ্ট হচ্ছে! আর যাদের মেয়েদের কে আমারা পাচার করে দেই তাদের জানি কি অবস্থা হয়। এসব ভাবতে ভাবতে রায়হান মনে মনে একটা বড়ো সিদ্ধান্ত নেয়। তারপর তাড়াতাড়ি আবার রাজিব কে কল করে।প্রথমবার রিং হতেই রাজিব কল ওঠায়,,,

__হ্যালো স্যার,,, পিক পাঠালাম-তো।

__হুম আমি দেখেছি পিক,এখন তুমি তাড়াতাড়ি গিয়ে মেয়েটার হাত পায়ের বাঁধন গুলো খুলে দাও। আর একটাও প্রশ্ন ও করবে না।

__আপনার মেয়ে মানে! কিছু বুঝলাম না স্যার।

__এতো কিছু বুঝতে হবে না, তোমাকো যা বলছি তুমি তা করো। সকল মেয়েদের কে নিয়ে আমাদের পুরনো আস্তানায় আসো।

__স্যার কালকে মেয়ে ডেলিবারি, এখন পুরনো আস্তানায় গিয়ে কি হবে। আর ম্যাডাম এর সাথে কথা না বলে আমি মেয়েদের কে কোথাও নিয়ে যেতে পারবো না।

__তোমার এতো বড়ো সাহস তুমি আমার ওপরে কথা বলো।তোমার জিব আমি টেনে ছিড়ে ফেলবো, যা বলেছি তাড়াতাড়ি তা-ই কর বেশি কথা আমি পছন্দ করি না। আমাকে তুই ভালো করেই চিনিস, আমার কথা মতো কাজ না হলে আজকেই তোর লাস্ট দিন হবে এই দুনিয়াতে।সাথে তোর বউ, বাচ্চাদের।

__স্যার আপনি আমার কথাটা বুঝতে চেষ্টা করুন,, আমি এখন মেয়েদের কে নিয়ে পুরনো আস্তানায় গেলে রাস্তায় নিশ্চিত পুলিশ আমাদের ধরবে। আর ম্যাডাম জানতে পারলে,, আমাকে চাকরি থেকে বের করে দিবে।

__আচ্ছা তাহলে,,তুই নিজের বরা ডুবির জন্য প্রস্তুত হো।তোর বাসার নিচেই আমি দাড়িয়ে আছি,,এখন ওপরে গিয়ে আগে তোর বউ তারপর তোর বাচ্ছাদের সুট করবো।

__না,, না স্যার আপনি এমনটা করবেন না, আমি এখনই মেয়েদের পুরনো আস্তানায় আনার ব্যবস্থা করছি। আপনি প্লজ আমার বউ, বাচ্চাদের কোনো ক্ষতি করবেন না।

এইতো লাইনে এসেছো, এখন শুধু আমার মেয়েটাকে আমি আমার কাছে পাই। তারপর তোর যা অবস্থা করবো তা তুই কল্পনা ও করতে পারছিস না। আর ম্যাডামের বরা ডুবির ব্যাবস্তা আমি-ই করবো। মনে মনে কথা গুলো বলছে,,, রায়হান।

__আচ্ছা তুমি আসো ওদের কে নিয়ে,, আমি আসছি ওখানে।

__আচ্ছা স্যার।

কলটি কেটে রায়হান গেইটের দিকে আসে বাহিরে বের হবার জন্য, ওখানে আসতে দেখে সেই ছেলেটি এখনো দাড়িয়ে আছে। রায়হান সায়ান কে জিজ্ঞেস করে,,,,

__এই ছেলে, তোমার নাম কি!

__আমার নাম সায়ান মাহমুদ।

__তা কি করো তুমি, পরিবারে কে কে আছে! কোনো কাজ টাজ করো নাকি,, বাবার টাকা নষ্ট করে ঘুরাফেরা করো।

__আংকেল আমি একটা মাল্টিন্যাশনাল কম্পানিতে জব করি।পরিবারে আমি ছাড়া আর কেও নেই,, আব্বু আমার জন্মের আগেই মারা গেছে, আর আমার আম্মু কিছুদিন আগে রোড এক্সিডেন্ট মারা যায়।এখন এই দুনিয়ায় আমার আপন বলতে কেও নেই।

__ওহ্,,আসলে আমি বুঝতে পারিনি তোমার মা-বাবা বেঁচে নেই।

__সমস্যা নেই আংকেল।

__আমি এখন তিশাকে আনতে যাচ্ছি,, তোমার তো আর এখানে থেকে কোনো লাভা নেই তুমি বাসায় চলে যাও। পরে আবার এক সময় না হয় এসে তিশাকে দেখে যেও, তিশা বাসায় আসলে।

__আংকেল,,, না-মানে আপনি যদি কিছু মনে না করতেন আমি আপনার সাথে কি যেতে পারি, তিশাকে আনার জন্য।

এখন কিছুতেই সায়ান কে আমার সাথে নেওয়া যাবে না, তাহলে ওখানে ঝামেলা হতে পারে। আর কোনোভাবে যদি জেনে যায় আমি নারী ব্যবসার সাথে জড়িত,তাহলে সর্বনাশ হয়ে যাবে।

__না, না, তোমার আমার সাথে যাওয়ার দরকার নেই,আমি একাই যেতে পারবো।

__আংকেল আমাকে যেহেতু সাথে নিতে চাইছেন, তাহলে আপনার নাম্বারটা দিয়ে যান। আমি আপনার থেকে কল দিয়ে তিশার খবর নিতে পারবো।

__তুমি তোমার নাম্বারটা আমাকে দিয়ে যাও, তাহলেই হবে। আমি তোমাকে কল করে জানিয়ে দিবো।

তারপর রায়হান সায়ানের থেকে নাম্বার নিয়ে বেড়িয়ে পরে তিশাকে আনার জন্য। সায়ান ও আর দেরি না করে চলে যায় তার বাসার দিকে। এতখন ধরে, রায়হান আর সায়ানেকে কথা বলতে দেখছিলো আহিল দু’তালার ওপর থেকে।

চলবে,,,,,,,

#আমাার_গল্পে_আমি_খলনায়ক
#MD_Nachemul_Hasan
#part_16

“রায়হান এসে পড়েছে আগের আস্তানায়, এখন রাজিবের জন্য অপেক্ষা করছে। রাজিব মেয়েদের নিয়ে আসলেই, আগে তিশাকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে হবে। তারপর মনে মনে যে চিন্তা করে এসেছে তা বাস্তবায়িত করতে হবে। আমার মেয়েকে কিডন্যাপ করার মজা আজকে হাড়ে হাড়ে টের পাবেন আপনি ম্যাডাম।কি বলেছিলেন আমি যদি মেয়ে দিতে না পারি তাহলে আমাকে পথে নামিয়ে সারবেন। আবার পুলিশের কাছে ও দিবেন, তাই না! এখন দেখবো কে কাকে পথে নামিয়ে ছাড়ে। আজকে একবার শুধু রাজিব এখানে মেয়ে গুলো কে নিয়ে আসুক। তারপর যা করার বাকিটা আমি করবো,, আপনি শুধু আপনার বরা ডুবির জন্য প্রস্তুথ হোন। এই ডেলিবারিটা কেন্সেল হলে,,আপনার যে কি পরিমান লস হবে, তা আমার থেকে কেও ভালো জানে না।ফরেনারের দের রোষানলে আপনাকে পড়তে হবেই, তখন কে আপনাকে মেয়ের ব্যবস্থা করে দিবে!আমি? তা আর হচ্ছে না। আমাকে দিয়ে এতোদিন নিজের লাভ করিয়ে,,এখন আমাকে বাঁশ দিচ্ছেন। একটা মেয়ের ব্যবস্থা করতে পারিনি বলে, আমার অসুস্থ মেয়েটাকে লোক দিয়ে কিডন্যাপ করিয়েছেন,আবার হাত-পা বেঁধে তাকে ফেলে রেখেছেন। তার শাস্তি তো আপনাকে পেতেই হবে!আমিতো নিজের সহধর্মিণীকেই ছাড় দেই না,আমার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করলে। আর আপনি আবার কোন ক্ষেতের মুলা।আমার একটাই আফসোস আপনাকে সরাসরি কখনো দেখিনি, যদি আপনার চেহারাটা দেখতাম। তাহলে আপনাকে বুঝিয়ে দিতাম রায়হান চৌধুরীর রক্তে হাত দেওয়ার ভয়াবহতা। এখন আপনার সরাসরি তো আর কোনো ক্ষতি করতে পারবো না,,তাই আপনার ফিনানশিয়ালি ক্ষতি করে দিলাম। যাকে বলে টিট ফর টেট। আমি আবার কাওকে ঋনি রাখি না, আমার ক্ষতি করতে চাইলে,সে আমার যে-ই হোক না কোনো তার ক্ষতি করতে আমি দুইবার ভাবি না। এতো বড়ো লস হলে নিশ্চয়ই আপনি চুপ করে থাকবেন না! আমার সামনে এইবারতো আপনাকে আসতেই হবে। আসতেই হবে,,, ম্যাডাম,,, আসতেই হবে,,,,,,, মনে মনে কথা গুলো বলে পৈশাচিক হাসি হাসছে রায়হান।

এরি মধ্যে রাজিব মেয়েদেরকে নিয়ে মালবাহী ট্রাক করে আগের আস্তানার সামনে চলে এসেছে। রাজিবের সাথে আরও কয়েকজন ছেলে আছে , রাস্তায় অবশ্য আসার সময় একবার পুলিশ চেকিং পরেছিলো।রাজিব পুলিশকে মিথ্যা বলে, কোনো ভাবে ওখান থেকে চলে এসেছে। এখানে আসার সাথে সাথেই রায়হান কে কল করতে শুরু করে। প্রথম বার কল না উঠালেও দ্বিতীয় বার কল দিতেই রায়হান সাথে সাথে কল ওঠায়।

__হ্যালো স্যার,,, আপনি কোথায়! আমরা তো পুরনো আস্তানায় চলে এসেছি মেয়েদের কে সাথে নিয়ে। এখানে তো বাহির থেকে গেইট লাগানো। আমারা ভিতরে ঢুকবো কি করে! এখানে বেশিক্ষন দাড়িয়ে থাকলে, আবার সমস্যা হতে পারে।

__ও্ ,,,,,,, তুৃমি চলে এসেছো! আচ্ছা একটু অপেক্ষা করো আমি গেইট খুলছি।বলেই রায়হান কলটি কেটে দেয়।

ওদের আগের আস্তানাটা একটা বন্ধ পুরনো ফ্যাক্টুররি,অনেক বছর আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই এই ফ্যাক্টরির মালিকের কাছ থেকে এটা কিনে নিয়েছে। রায়হান সময় নষ্ট না করে গেইট খুলে দেয়। তারপর রাজিব মালবাহী ট্রাক নিয়ে একদম ফ্যাক্টুরির ভিতরে ঢুকে পড়ে।তারপর আবার ভিতর থেকে গেইট বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাজিব গাড়ি থেকে নেমে রায়হানের সামনে আসে,,,,

__স্যার,, মেয়েগুলো কে নিয়ে এসেছে। এখন কি করবেন, ম্যাডাম জানতে পারলে কিন্তু আমার সর্বনাশ হয়ে যাবে ।

__নিয়ে এসেছে!আচ্ছা এখন মেয়ে গুলোকে গাড়ি থেকে নামিয়ে ছেলেগুলো কে গাড়ি নি আবার চলে যেতে বলো।

__গাড়ি নিয়ে চলে যাবে কেনো স্যার!তাহলে মেয়ে গুলো কে আবার কি করে নিয়ে যাবো।

__তোমাকে যা বলছি তুমি তা-ই করো! বেশি চিন্তা তোমাকে করতে হবে না।

__কিন্তু স্যার ম্যাডাম কে আমি কি জবাব দিবো!এমনিতেই ম্যাডাম কে না জানিয়ে এখানে এসেছি, এখন যদি ম্যাডাম জানতে পারে তাহলে তো প্রবলেম হয়ে যাবে।

__তুই এতো কথা বলছিস কেনো! তোর কি একটুও জানের মায়া নেই! না নিজের বউ বাচ্ছার জন্য মায়া নেই। আচ্ছা তুই যাস না,, আমার লোক গিয়ে তোর বউ বাচ্ছাদের মেরে দিক।কি বলিস তুই! আর এখানে আমি তোকে মেরে দিবো।

__আমি জানতাম স্যার আপনি এরকম একটা কিছু করতে পারেন তাই আমি ম্যাডাম কে জানাতে চাইছিলাম, কিন্তু ম্যাডামের মুবাইল বন্ধ থাকায় কল করতে পারি নাই। সমস্যা নেই স্যার আপনার ব্যবস্থা করতে আমি এই ছেলেগুলোকে সাথে নিয়ে এসেছি। এখন আপনি যদি আমার বউ বাচ্ছার কোনে ক্ষতি করতে চেষ্টা ও করেন তাহলে,, আমি আপনাকে এখানেই শেষ করে দিবো।
(কথা গুলো বলেই ছেলে গুলো কে গাড়ি থেকে নামতে ডাক দেয় রাজিব) এই কোথায় তোরা তাড়াতাড়ি এখানে এসে এই বুড়ো কে ধর।

রাজিব বলার সাথে সাথে ছেলেরা গাড়ি থেকে নেমে রায়হানের সামনে আসে। আর রায়হান রাজিবের কথা শুনার পর পৈশাচিক হাসি হাসতে হাসতে বলে,,,,

__অনেক বড়ো হয়ে গিয়েছো!তাই না।আমার মাধ্যমে এই লাইনে এসে আমাকেই পথ থেকে সরিয়ে দিতে চাইছো। কিন্তু তুমি এখনো এই মরন খেলায় বাচ্চা। অনেক কিছু এখনো তোমার শিখার বাকি আছে।

__আর কিছু বাকি নেই! আজকেই আপনার শেষ সময়, এখন মৃত্যুর প্রহর গুনতে শুরু করেন।

__আজকে আমার না তোমার শেষ সময় তা এখনই বুঝতে পারবে।আর এই ছেলে গুলো দিয়ে আমাকে মারবে! হা -হা,,,,, তুমি হয়তো জানো না, এই রায়হান চৌধুরী কি জিনিস। যদি জানতে তাহলে এই ভুল কখনে করতে না। কিন্তু আপসোস এখন বলে আর কোনো লাভ নেই!আজকেই তোমাকে মরতে হবে। এতখনে মনে হয় পুলিশ চলে এসেছে।এখন তোমাদের সবাই কে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে আমি ভালো মানুষ সেজে যাবো।

রায়হানের মুখে পুলিশের কথা শুনতেই, রাজিবের সাথে আসা ছেলেগুলো একমুহূর্ত দেরি না করে, গেইট খুলে পালিয়ে যায়। রাজিব ও তাদের সাথে পালাতে নেয় তখনই, রায়হান নিজের পা বাড়িয়ে রাকিব কে নিচে ফেলে দেয়। নিচে পরার কারনে রাজিবের ঠুট কেটে রক্ত পরছে। রায়হান গিয়ে আবার গেইট বন্ধ করে আসে। আর মনে মনে ভাবে এরা কতটা বোকা!শুধু পুলিশের নাম নিয়েছে, আর সাথে সাথে সবগুলো পালাতে শুরু করে। একবার দেখলো না আসলেই কি পুলিশ আসছে! নাকি না।যাক এই মিথ্যা বলটা কাজে দিয়েছে। রায়হান আবার রাজিবের কাছে আসে,,,

__স্যার আমার ভুল হয়ে গিয়েছে আমাকে আপনি মাফ করে দেন। আপনি যা বলবেন আমি তা-ই করবো, প্লিজ আপনি আমাকে মারবেন না। আমার কিছু হলে আমার বাচ্চাদের দেখার মতো কেও নেই।

__এখন ক্ষমা চাইলেতো আর লাভ হবে না রাজিব, প্রথমে ভেবে নিতে হয় যে আমি কার সাথে লাগছি! আমি তার সাথে মাইন্ড গেম খেলে পারবো কি না। কিন্তু, না তুমি তোমার ম্যাডামের কথা শুনে আমার ক্ষতি করতে চেষ্টা করলে। এখন এর শাস্তি তোমাকে পেতে হবেই।

__স্যার প্লিজ আপনি আমাকে মারবেন না! আপনি যা বলবেন আমি তা-ই করবো। আপনার সব কথা শুনবো, তা-ও আপনি আমাকে মারবেন না প্লিজ।

এইতো বাছা পথে আসো,এতখন ধরে তো এই কথাটা শুনবার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। এখন যে করে হোক তোমার থেকে ম্যাডামের নাম্বার বা ছবি দেখতে হবেই।

__যদি তোমার বউ বাচ্ছা, আর নিজেকে বাঁচাতে চাও, তাহলে ম্যাডামের নাম্বার আর ছবি আমাকে দাও। তা না হলে এখনি তোমার শেষ সময়।

__স্যার আমার কাছে ম্যাডামের নাম্বার নেই, যেটা আছে ওইটা এখন আর ইউস করে না। ম্যাডাম আমাকে ভিন্ন ভিন্ন নাম্বারে কল দেয়। আর রইলো ম্যাডামের ছিবি! এইটা আমি দিতে পারবো না, তাহলে আমার বড়ো ক্ষতি করে দিবে।

__নিজের জীবনের থেকে তোমার কাছে ম্যাডামের ছবি বড়ো হয়ে গিয়েছে তাই না! তাহলে তুমি মরো।

কথাটা বলেই রায়হান রাজিবের গলায় রশি পেচিয়ে ধরে।রশি দিয়ে গলা পেচিয়ে ধরতেই, রাজিব ছটফট করতে শুরু করে। বাঁচার জন্য রায়হানের হাতে, খামচে ধরে। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয় না, রায়হান আরো জুড়ে রশি পেচিয়ে টান দেয়। রাজিব ছটফট করতে করতে মারা যায়। রাজিবের নরা-চড়া বন্ধ হয়ে যায়।রাজিব আর এই দুনিয়াতে নেই, এটা বুঝতেই রায়হান গলার মধ্যে পেচিয়ে রাখা রশি সরিয়ে ফেলে। তারপর রাজিবের পকেট থেকে ফোনটা বের করে অন করে। যাক ভালোই হয়েছে ফোনটিতে লক দেওয়া নেই। তারপর রায়হান গ্যালাড়িতে প্রবেশ করে। একে একে সব ছবি দেখতে দেখতে নিচে একটা ছবি দেখার সাথে সাথে রায়হানের মুখের ভাব পরিবর্তন হয়ে যায়।সে যেনো অবাকের চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এটা কি করে সম্ভব! ও কি করে আমাদের ম্যাডাম হতে পারে,,,,,,,,,,,,,

চলবে,,,,,,,