আসমানী পর্ব-০৯

0
139

#আসমানী
#পর্ব_৯
#লেখনীতে_তাহমিনা_মিনা

নাতাশা দম আঁটকে বসে আছে।ইশারায় নাবিলকে বারবার বলছে সামনে থাকা বিপদকে দূরে সরিয়ে রেখে আসতে।কিন্তু বিপদ কি শুধু বলে বিপদ?এই বিপদকে এতো সহজে তাড়ানো যাবে না সেটা তারা দুই ভাই-বোন ভালোভাবেই জানে।

“নুসু,আরেকটু পায়েশ দেই মা?”
“নাহ,খালা।আর খেতে পারবো না।পেট ভরে গেছে।”
“খাবার খেলি কই?কিছুই তো খেলি না।তোদের মতো সময়ে আমরা কত খাবার খেতাম।এখনকার বাচ্চারা তো খেতেই পারে না।”
“জানি, জানি খালা।তোমরা অনেক ভালো মানুষ ছিলে।কোনো দুষ্টুমি করতে না।ভাই-বোনেরা মারামারি করতে না।নানা-নানিকে জ্বালাতন করতে না।আরও যত ভালো কাজ আছে দুনিয়ায়, সবই তোমরা করতে।কিন্তু নানী শুধু আমাদের একবার মিথ্যে কথা বলেছিল।তুমি আর মা নাকি ঝগড়া আর মারামারি করতে করতে বমি করে দিয়েছিলে?”

শাহেদা বেগম অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে ছেলেমেয়েদের সামনে।নাতাশা আর নাবিল হাহা করে হেসে উঠে।নাতাশা বলে,”হ্যাঁ, আর আমরা একটু জোরে জোরে কথা বললেই মনে করো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করে দিয়েছি।”
“কথা বন্ধ করে পড়তে বস গিয়ে।”
নাতাশা মুখ টিপে হেসে বলে,”নানী নাকি তোমাকে একবার ধরে সেই পিটুনি দিয়েছিল?তুমি নাকি নানীর….”

“আমার চোখের সামনে থেকে চলে যা নাতাশা।মেয়েটা খাচ্ছে আর তুই এইখানে এসে বকবক শুরু করেছিস।নাবিল,এইখানে বসে বসে দাঁত কেলানি হাসি বাদ দিয়ে গোসল করে আয়।তোর শরীরের গন্ধে তো টিকা যাচ্ছে না।”
বোনদের সামনে মায়ের কাছে থেকে এইরকম অপমানিত হয়ে মুহুর্তেই মুখের হাসি মিলিয়ে যায় নাবিলের।নাতাশা আবারও ওর দিকে তাকিয়ে হাসে।নাবিলের বিরক্ত লাগে।

“খালা,ভাবী কই?তাকে তো দেখলাম না একবারও।”
“টিউশনি পড়াতে গেছে।”
“তাই নাকি?বাড়ির বউ এইভাবে বিয়ে হয়ে আসতে না আসতেই বাড়ির বাইরে যাওয়ার পার্মিশন দিয়ে দিলে?পরে তো পাখনা গজিয়ে যাবে।”
শাহেদা বেগম অবাক হয়ে বলে,”কি সব বলছিস তুই?মাথা খারাপ হয়ে গেছে তোর?”
খাবার খেতে খেতে নুসাইবা বলে,”মাথা খারাপ হবে কেন? ঠিকই তো বললাম।বাইরের কাজ যেহেতু করছে,পরে কি আর ঘরের কাজ করতে ভালো লাগবে?সারাজীবন তো তুমি মাটির চুলো গুঁতোলে। একটা সিলিন্ডার কিনে রাখছো শুধু খাবার গরম করার জন্য।এতো কষ্ট করে যে রান্না করেছো এতকাল,এখনও যদি ঘরের বউ রান্নায় সাহায্য না করে,তাহলে তুমি আয়েশ করবে কবে?”
শাহেদা বেগম কি জবাব দিবে ভেবে পায় না।এই ছোট্ট মেয়েটির মনের ভিতর যে এতো কুটিলতা, সেটা তো সে ঘুনাক্ষরেও টের পায়নি।কবে এতো বড় হয়ে গেল মেয়েটা?
“কি হলো খালা?কথা বলো না কেন?কখন বের হয়েছে যে এখনও আসার নাম নেই?রান্নাবান্না কি সব তুমিই করো নাকি এখনও?”

এতক্ষণ নাতাশা চুপ করে থাকলেও হুট করেই বলে,”আমার ভাবী তো আর বেড়াতে যায় নি।কোনো দাওয়াতেও যায়নি।কোনো রেস্টুরেন্টেও একা খেতে যায়নি।সে পড়াতে গেছে।সে নিজের খরচ নিজে চালাতে পারে।আর কি যেন বললি তুই,খাবার কে রান্না করে?খাবার ভাবীই রান্না করে রেখে গেছে।ভাইয়া তো এই মাসেই চাকরীতে জয়েন করেছে।হাতে তেমন টাকাপয়সাও ছিল না ভাইয়ার।ভাবীই টাকা দিয়েছে ভাইয়াকে।মায়ের মাটির চুলোয় রান্না করতে সমস্যা হয় বলে এখন ঘরেই রান্না করে সবাই কারণ ভাবী নতুন সিলিন্ডার কিনে এনেছে।মায়েরও সমস্যা হয় আর ভাবী জীবনেও মাটির চুলোয় রান্না করেনি।আর ভাবী আমাদের সবার খেয়াল ভালোভাবেই রাখে।সেটা নিয়ে তোকে চিন্তা করতে হবে না।তুই নিশ্চিন্ত মনে ভাবীর বানানো পায়েশ খা।খেয়ে বল কেমন হয়েছে।”

শাহেদা বেগম নাতাশাকে মৃদু ধমক দিয়ে বলে,”নাতাশা,ও তোর বড় বোন হয় না?এইভাবে কেউ কথা বলে বড় বোনের সাথে? যা এখান থেকে।পড়তে বস।আজকে নাতাশা থাকবে।তোর রুমেই থাকবে।সিন্দুক থেকে আরেকটা বালিশ বের কর গে যা।”
নাতাশা বিরবির করে বলে,”বড় বোনের সম্মান পাওয়ার মতো কাজ করলে তো বড় বোনের মতো সম্মান করবো।ও যে কিসের আশায় এখানে এসেছে সে কি আর আমি জানিনা?”

নুসাইবা নত মুখে পায়েশ খেতে থাকে।এতোক্ষণ খাবারটা খেতে ভালো লাগলেও এখন মোটেও আর ভালো লাগছে না।নুসাইবা নিজেই নিজেকে জিজ্ঞেস করে,”আসলেই কি ভালো হয়নি নাকি আসমানী রান্না করেছে শুনেই খারাপ লাগছে?খাবারের কি দোষ নুসাইবা?আজ হয়তো তুই এই বাড়ির মানুষ গুলোর জন্য পরম যত্নে খাবার রান্না করতি যদি সব তোর নসীবে থাকতো।”
★★★
“এভাবে আর কতদিন আসমানী?তুমি প্রায় দেড় মাস ধরে ঐ বাড়িতে আছো।কোনো অস্বাভাবিকতাই কি লক্ষ্য করছো না?”
সামনে থাকা লোকটা ক্ষোভ ঝেড়ে আসমানীকে কথাগুলো বললে আসমানীও বেশ বলিষ্ঠ কন্ঠে বলে,”আপনার ইনফরমেশন যদি মিথ্যে হয় তবেই এমন হওয়ার কথা।”
সামনের লোকটা এবার বেশ রেগেই বলে,”আসমানী,বেশি বলে ফেলছো না?আমি জানি তোমার রাগ করা টা স্বাভাবিক।আমি নিজেও ঐ এলাকায় অনেক ইনফর্মারকে পাঠিয়েছি।তারাও কোনো অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করেনি।তাই তোমাকে পাঠানো হয়েছে ঐ বাড়িতেই।”

“ঐ বাড়িটাই কেন টার্গেট করলেন আপনি?”
“তুমি তো জানোই একজন ধরা পড়েছিল।তারা ঐ এলাকায় ঐ বাড়ির নাম্বারটাই বলেছে।লোকেশন সে ভুল বলেনি।কিন্তু তাদের বসের নাম টা উচ্চারণ করেনি।আমরা তো অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু… ”
“কিন্তু আপনার অতিরিক্ত রিমান্ড নেওয়ার ফলে লোকটি মারা গেছে,তাইতো?”

সামনের লোকটি কিছুটা ভড়কে গিয়ে বলে,”আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারিনি।তাছাড়া তুমি জানো আমি কেন এমন করেছি।আর এমন ঘটনা হতেই পারে।আমিই তো আর প্রথম না যে এমনটা করেছি।”
“আমি জানি আপনি কেন এমন করেছেন।নিজের একমাত্র ভাইজি নিখোঁজ হওয়ায় পাগল হয়ে গিয়েছিলেন।এইজন্য ভেবেছিলেন রিমান্ডে নিয়ে থার্ড ডিগ্রি দিলেই সব কথা বের হয়ে যাবে।কিন্তু আপনার ভুলের জন্য সে মারা গেছে।আমরা আপনার এই অন্যায় আমরা লুকিয়েছি।আপনার ভাইজির মতো অনেক মেয়েই এখনও নিখোঁজ আছে।অনেকের লাশও পাওয়া গেছে।কত মেয়ে এখনও বিপদের মুখে আছে সেটা আল্লাহই ভালো জানেন।আপনার ভুলের জন্য আমি কিভাবে নিজেকে বিসর্জন দিয়েছি আপনি ভালোভাবেই জানেন।তাই আমার সামনে গলাবাজি করবেন না ভুলেও।”

লোকটা বুঝতে পারে আসমানী রেগে গেছে।সে বেশ ধীরে ধীরে জিজ্ঞেস করে,”কাউকেই কি সন্দেহ হয় না আসমানী?”
“ঐ বাড়ির সবাই খুব ভালো মানুষ।তাদের মধ্যে লোভ নেই বললেই চলে।”
“একজনও কি নেই?”
আসমানী একটু ভেবে বলে,”আমার বড় চাচা শ্বশুর।সে যথেষ্ট লোভী একজন মানুষ।কিন্তু এমন একটা কাজ করতে পারবে কি না সে ব্যাপারে আমার ধারণা নেই।”
কথাটা বলেই আসমানী বুঝতে পারে সে ভুল করে ফেলেছে।নিজেকে সামলে নিয়ে বলে,”আমি নোমান সাহেবের কথা বলেছি।নাহিদের বড় চাচা।”
“হুমম।”
“এইভাবে আর কতদিন স্যার?আপনি আমাকে দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে ঘুরাচ্ছেন।আমি এখানে যে জন্য এসেছি সেটার কোনো ক্লু এখনও আপনি আমাকে দিতে পারেননি।”
“শান্ত হও আসমানী।এই মিশন টা শেষ হয়ে গেলেই আমরা ঐ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।”
“দেড় বছরে আপনারা আমাকে দিয়ে অনেক কাজ করিয়ে নিয়েছেন।আমিও সব করেছি।আপনি জানেন আমি সবই করবো।কারণ আপনাকে আমার দরকার।আপনি চাইলে আমার বিষয়টাও আগে দেখতে পারতেন।”

“অবুঝের মতো কথা কেন বলছো আসমানী?মেয়েগুলোর জীবন ঝুঁকির মধ্যে আছে।আর তুমি তো যা হারানোর তা তো হারিয়েছোই।চাইলেই তো আর ফিরে পাবে না তাদের।তাই আমি তোমার… ”
কথা শেষ করতে পারে না লোকটা।তার আগেই আসমানী বলে,”আপনার ভাতিজি আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।আমি যাদের হারিয়েছি তারাও আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।আপনি তাদেরকে নিয়ে কথা বলছেন যারা আমার পুরো দুনিয়া হলেও আপনি তাদের কখনোই দেখেন নি।তাই আপনি আমার কষ্টটাও বুঝতে পারেন না।কিন্তু আমি আপনার মতো না।আপনার ভাতিজির জন্য না শুধু, আমি সব নিখোঁজ হওয়া মেয়েদের জন্য আপনার কথা শুনছি।কিন্তু এটাই শেষ ।আমি এই মিশন শেষ করার পর আপনার কোনো কথা শুনবো না।তখন আপনি আমার কথা শুনতে বাধ্য।বুঝলেন মিস্টার মঈন?”

“আসতে পারি ভিতরে?”
ঘরের বাইরে কারো আওয়াজ শুনে আসমানী পিছনে ঘুরে দেখে এক যুবক দরজার পাশে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।তাকে দেখে আসমানী একপাশে সরে গিয়ে দাঁড়ায়।যুবকটি আসমানীর সামনে এসে বলে,”অভিনন্দন মিস আসমানী।উফফ, স্যরি,মিসেস আসমানী।তা আপনার এই সংসার সংসার খেলা টা কেমন লাগছে? ”
আসমানী কোনো জবাব না দিয়ে মাথা নিচু করে থাকে।যুবকটি মঈনের দিকে তাকালে মঈন সেই রুম থেকে বের হয়ে যায়।যুবকটি আসমানীর মুখের কাছে এসে বলে,”তুই আমায় ঠকালি আসমানী।বড্ড বাজে ভাবে ঠকালি।”
আসমানী তার থেকে দু পা পিছিয়ে গিয়ে বলে,”আমি কি আপনার সাথে কখনো কমিটেড ছিলাম?কখনোই ছিলাম না।তাই ঠকানোর কোনো প্রশ্নই উঠে না।”
যুবকটি একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলে,”কখনো তো না ও করিস নি আমাকে।আমি তো তোকেই ভালোবেসেছি।কি দরকার ছিল এইসবের মাঝে নিজেকে জড়ানোর?আমি তো ছিলামই।বলেছিলাম আমি তোকে তোর কষ্টগুলো আমি দূর করে দিব।”

আসমানী এবার বেশ জোরে জোরে হেসে বলে,”আমি নিজে থেকে দেড় বছর ধরে এখানে আছি।আজ পর্যন্ত একটা ক্লু ও খুঁজে পাইনি।আর তুমি তো আমার চাইতে উঁচু পদের।তোমার তো দায়িত্বও অনেক।এইসব ছোট খাটো চুরির মামলা কি তোমার দেখার বিষয়? কিন্তু এই একটা চুরি আমার সব শেষ করে দিয়েছে।আমি তাদের কাউকে ছাড়বো না।কথা দিয়েছি আমি।”
আসমানী রুম থেকে ছুটে চলে যায়।যুবকটি তখনও বলে,”তুই আমায় ঠকালিরে আসমানী।বড্ড বাজে ভাবে ঠকালি।”
★★★
রাগে আসমানীর নিজের চুল ছিড়তে ইচ্ছে করছে।কার প্রতি রাগ হচ্ছে সে বুঝতে পারছে না।সে তো এখানে এসেছে তার দরকারে।সে কেন এই মেয়েটাকে সহ্য করতে পারছে না?
“অবস্থা ভালো দেখছি না ভাবী।কিছু একটা করো।”নাবিলের বলা ফিসফিস করে কথাগুলো আসমানীর শরীরে যেন আগুন ধরিয়ে দেয়।
নাবিলকে জিজ্ঞেস করে,” কি কি করেছে এই নাঁচুনি বুড়ি?”
নাতাশা বলে,”তোমার রুমে গিয়ে ভাইয়ার সব জামাকাপড় গুছিয়ে দিয়েছে।তুমি যেখানে রেখেছিলে ভাইয়ার কাপড়, সেখান থেকে সরিয়ে অন্য জায়গায় রেখেছে।ভাইয়ার কিছু নোংরা জামাকাপড় ধুয়ে দিয়েছে।ভাইয়া অফিস থেকে আসার পর শরবত খেতে দিয়েছে।গোসল করার জন্য টিউবওয়েল থেকে নিজে পানি উঠিয়ে দিয়েছে।আবার ভাইয়ার শরীর মোছার জন্য গামছাও এগিয়ে দিয়েছে।”

“আর তোমার ম*দ*না ভাই কিছু বলেনি?”
“আরেহ,আমার ভাই তো গ*বে*ট।ওর কাছে এইসব কোনো বিষয় না।ও ঐ নাঁচুনি কে খেয়ালই করে না।কিন্তু ও খুব সুবিধার মেয়ে না।মায়ের কাছে আজ তোমার নামে উল্টাপাল্টা কথা বলেছে।”
“এখন ও কি করছে রান্নাঘরে?”
“ভাইয়ার জন্য স্যুপ বানাচ্ছে।ভাইয়া খেতে খুব ভালোবাসে কি না।”
“ভালো।তোমরা নিজেদের রুমে যাও।আমি দেখছি ব্যাপারটা।”

নাতাশা আর নাবিল নিজেদের রুমে গেলে আসমানী নিজের রুমে গিয়ে দেখে নাহিদ মোবাইলে কি যেন ঘাটাঘাটি করছে।সে তার সামনে গিয়ে বলে,”মোবাইলে কি এমন আছে তো সখা, যে আমায় চোখে পড়ছে না?”
নাহিদ তার দিকে তাকিয়ে বলে,”ম্যাডাম বুঝি রোমান্টিক মুডে আছেন ভীষণ? ”
আসমানী কিছু বলে না।নাহিদ তাকে ধরতে এলে তাকে দূরে সরিয়ে দিয়ে বলে,”আমাকে কি দরকার?রুমে দেখার জন্য তো মোবাইল আছেই।আর আপনার কাজের জন্য খালাতো বোন।”
“কার কথা বলছো?নুসাইবা?ও তো পাগল,মাথামোটা।”

আসমানী কিছু বলার আগেই খেয়াল করে নুসাইবা আসছে।ওর নুপুরের শব্দ শোনা যাচ্ছে।সে নাহিদের কাছে গিয়ে দু হাতে ওর গলা জড়িয়ে ধরে।নাহিদও ওর কোমড় জড়িয়ে ধরে বলে,”এমনিতে তো ম্যাডামের খোঁজই পাওয়া যায় না।হঠাৎ কি হলো আজ?”

চু*মু খাওয়ার আগ মুহুর্তে রুমের মধ্যে প্রবেশ করে নুসাইবা।তাকে দেখে আসমানী বেশ উচ্চস্বরেই বলে,”কারো রুমে আসার আগে দরজা নক করে আসতে হয়,জানোনা?আর আমরা তো সদ্য বিবাহিত কাপল।”

নুসাইবার চোখে পানি চলে আসে।এমন দৃশ্য দেখার আগে তো তার মৃত্যু হওয়া ভালো ছিল।কোনোভাবে স্যুপ এর বাটি টেবিলে রেখে বলে,”স্যরি,আমি খুব স্যরি।”

আসমানীর কেন যেন হঠাৎ করেই খুব পৈশাচিক আনন্দ হতে লাগলো।হঠাৎ মনে পড়ে যায় তার মায়ের কথা।তার মা বলতো,”নিজের জিনিস খুব যত্ন করে আগলে রাখতে হয়, বুঝলি?না হলে কোন সময় একটা শকুন এসে খুবলে খেয়ে যাবে কিংবা ছোঁ মেরে নিয়ে যাবে,টেরও পাবি না।”
চলবে…….