#আয়নায়_বন্দী_পরী
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
#পর্ব_১৭
–কাকাতুয়ার লোকেরা আনহাকে আয়নায় বন্দী করে নিজের সাথে নিয়ে গেছে।যেটা শুনে ইচ্ছে করছে কাকাতুয়ার লোকদেরকে আধমরা করে মেরে মাটির নিচে পুঁতে দিতে।খবিশের দল তোরা খালি একটু অপেক্ষা কর।আমি আসছি তোদের কাছে।তারপর তোদেরকে মেরে তোদের বংশ আমি নির্বংশ করে দিব।এই যে দারোয়ান সাহেব,আমাকে কাকাতুয়ার লোকেদের কাছে যাওয়ার রাস্তাটা বলে দিন।আমি এখুনি সেখানে যাবো।
–যাক অবশেষে তুমি তাহলে আনহাকে বাঁচাচ্ছো কাকাতুয়াদের হাত থেকে।
–না বাঁচিয়ে উপায় তো নেই আর।কারন আনহার থেকে যে আমার অনেক কয়টা প্রশ্নের উত্তর জানার আছে।সো তাঁকে তো বাঁচাতেই হবে।আপনি আমায় খালি রাস্তাটা বলে দিন।
–আকাশ সেখানে তুমি একা যেতে পারবে না।আমি এবং পরী-পালকের সমস্ত দারোয়ান তোমার পথের সঙ্গী হবো।তার আগে তোমায় একটা জিনিস জানিয়ে দেই।দেখো আনহাকে যদি অতিশীঘ্রই মুক্ত করে না আনা হয়,তাহলে কাকাতুয়ার রাজা নিজেই পরী-পালকে তার দলবল নিয়ে ফিরে আসবে।এবং পরী-পালক কে নিজেদের দখলে করে নিবে।
সো আমাদের যা করার খুব জলদি করতে হবে।
–পরী-পালকের কি হলো বা হবে সেটা দেখে আমার কোনো কাজ নাই।আমার কাজ হচ্ছে আনহাকে বাঁচানো।সো আমার পথের সঙ্গী হলে তাড়াতাড়ি সফরে বের হন আমার সাথে।
–হুম বের হচ্ছি।তবে তুমি কয়েকটা সেকেন্ড এখানে বসো।আমি এর মধ্যে একেয়ার কে জাগ্রত করে দিয়ে বাকি দারোয়ানদেরকে সাথে করে নিয়ে আসছি।
–একেয়ার টা কে আবার?
–একেয়ায় হচ্ছে আমাদের পরী-পালকের সব চাইতে ভয়ংকর একটা দারোয়ান।যার মধ্যে আমাদের থেকেও হাজার গুন বেশি অলৌকিক ক্ষমতা আছে।
যাকে কিনা ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে একটা কক্ষের মধ্যে।কারন তার বিশেষ কোনো কাজ নেই আমি থাকতে।কিন্তু এখন যেহেতু আমিই তোমার সাথে সফরে বের হচ্ছি,তাই তাঁকে পরী-পালকের মেইন দরজা বা বর্তামনে বানানো আমাদের জাদুই হোলের সামনে রেখে যাবো।সে একা পাহারা দিলেই কাফি।বাকি আর কারোর কোনো প্রয়োজন পড়বে না।
–ঠিক আছে জলদি করেন।
তারপর দারোয়ান আতাউর চলে গেলো।আর আমি বসে আছি কক্ষের মধ্যে।কিছুক্ষণ পর দারোয়ান আতাউর ফিরে এসে আমায় বললো…
–একেয়ার কে পাহারায় লাগিয়ে দিয়েছি।সো চলো এখন আমরা সফরের জন্য বে হবো।
–হুম চলেন…
কক্ষ ছেড়ে দারোয়ান আতাউরের সাথে সফরের জন্য বের হলাম।কিন্তু যখনি কক্ষ ছেড়ে বের হয়ে পরী-পালকের জাদুই হলের সামনে আসলাম,তখনি বিশাল একটা দানব আকৃতির কাউকে দেখতে পেলাম।
“থ হয়ে তাকিয়ে আছি দানব আকৃতির দেহটার দিকে”।
তখনি আতাউর বলে…
–আকাশ ভয় পাওয়ার কিছুই নেই।এটাই আমাদের একেয়ার।যে কিনা তিনশো বছর পর ঘুম থেকে উঠেছে।
–দারোয়ান আতাউরের কথা শুনে মাথা আউলে গেছে!কারন তিনশো বছর ঘুমিয়ে থাকা দু’চারটে কথা নয়!তার উপরে এই একেয়ারকে দেখতে অনেক ভয়ংকর লাগছে!আশ্চর্যজনক ভঙ্গিতে একেয়ারের দিকে সেই তখন থেকেই তাকিয়ে আছি!কিন্তু হুট করেই সফরের কথা মনে পড়লো।তাই নিজেকে সামলে নিয়ে আতাউরকে বললাম সফরের জন্য সামনে অগ্রসর হতে।দারোয়ান আতাউর সঙ্গে আরো চারজনকে নিয়ে সফরের উদ্দেশ্যে অন্য একটা রাস্তা ধরে রওয়ানা হয়েছে।আর আমি তাঁদের পিছনে পিছনে হাঁটছি।ঘুটঘুটে অন্ধকার রাস্তা দিয়ে পথযাত্রা শুরু করেছি।পরী-পালকের সীমানা পাড় হতেই রাস্তাটা বিদঘুটে অন্ধকার হয়ে গেছে।দারোয়ান আতাউর অলৌকিক শক্তি দিয়ে আলোর উৎপন্ন করে আমাদেরকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।কিন্তু কিছুটা পথ যাওয়ার পরেই দারোয়ান আতাউর থেমে গেলো।তার থেমে যাওয়া দেখে তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম,কি হয়েছে?
থেমে গেলেন কেন?
–আকাশ সামনে কি কিছু দেখতে পাচ্ছো তুমি?
–দারোয়ানের কথা মতন সামনে তাকাতেই দেখি দানব আকৃতির কয়েকজন নরপিশাচ আমাদের সামনে বরাবর দাঁড়িয়ে আছে।যারা কিনা কোনো কিছু একটাকে চিঁড়ে ফুড়ে খাচ্ছিলো।সব কয়টার মুখে রক্ত লেগে আছে।কিন্তু তারা আমাদেরকে দেখে নিজেদের কাজ ছেড়ে আমাদের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হুম দেখতে পাচ্ছি।কয়েকজন নরপিশাচ আমাদের পথ আঁটকে দাঁড়িয়েছে।
–এখন করনীয় কি বলতে পারো তুমি?
–নাহ পারিনা।
–শুনো ওঁদের সামনে গেলেই ওরা আমাদেরকে নিজেদের আহার বানিয়ে নিবে।তাই তোমার আগে যেতে হবে।কারন তারা তোমার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।কারন তুমি মানুষ।এবং তোমার শরীরে মানুষ এবং পরী-দুই ধরনের শক্তিই বিচরণ করছে।সো তুমি আগে অগ্রসর হও।আর আমরা সবাই তোমার শরীরের সাথে হাতের সাহায্যে কানেক্টেড হচ্ছি।যাতে করে তারা আমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।তোমার কারনেই আমরা বেঁচে যাবো।
–ঠিক আছে আমিই অগ্রসর হচ্ছি।
তারপর সামনের দিকে এগোতে থাকলাম।এবার সবাই নিজের হাতের সাহায্যে আমার সাথে নিজেদের সংযোগ বানিয়ে রেখেছে।যার কারনে সেই নরপিশাচ গুলোর সামনে যেতেই তারা চিৎকার করে আমাদের পথ ছেড়ে দিলো।আর আমরা ভালোয় ভালোয় তাঁদেরকে পিছনে ফেলে সামনে অতিক্রম হয়ে গেলাম।আমরা নরপিশাচ গুলোকে পিছনে ফেলে রেখে এসেছি ঠিক,কিন্তু তারা আমাদের পথ ছাড়ার সময় চিৎকার কেন করেছিলো সেটাই আমার মাথায় খেলছে না!তাই আতাউরকে জিজ্ঞেস করলাম,আচ্ছা তখন তারা এভাবে চিৎকার চেঁচামেচি করেছিলো কেন?
–কারন তারা তোমার কারনেই আমাদেরকে আহার বানাতে পারেনি।তাই তারা চিৎকার করেছে ওভাবে।
–ওহ আচ্ছা এই ব্যাপার!
–হুম…
এবার সামনের দিকে অগ্রসর হও।এসব নিয়ে কথাবার্তা বলে সময় নষ্ট করার মতন বেশি একটা সময় আমাদের হাতে নেই
–হুম চলেন।
সবাই মিলে সামনের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করলাম।এভাবে আরো কিছুটা পথ যাওয়ার পর সেই নরপিশাচ গুলো আবার আমাদের পথের সামনে পড়লো।যেটা দেখে আতাউর আমায় বললো…
–আকাশ ভয় পাওয়ার কিছুই নেই।কারন এই নরপিশাচ গুলো টাইম ওয়ারে আঁটকে গেছে।তারা আমাদেরকে ভক্ষণ করার এতো তীব্র আকাঙ্খা প্রকাশ করেছে,যে তারা সেই আকাঙ্খা কারনে টাইম ওয়ারেরই আঁটকে গেছে।আমার মতে তারা আমাদের সফর যাত্রায় আরো অনেক কয়বার আমাদের সামনে পড়বে।এবং আমাদেরকে আহার করার প্রয়াস করবে।
কিন্তু আমাদেরকে আগের টেকনিক অবলম্বন করে তাঁদের থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে নিয়ে সফর পথযাত্রা শেষ করতে হবে।না হয়তো টাইম ওয়ারের মাধ্যমে তারা আমাদেরকে নিজের আহার বানিয়ে নিবে।
–দারোয়ান আতাউরের কথা শুনে বেশ অবাক হলাম!কারন মানুষটা অনেক বিচক্ষণ।তাই তার পরামর্শ অনুযায়ী চলতে আরম্ভ করলাম।এবারো আগের বারের ন্যায় টেকনিক অবলম্বন করে বেঁচে গেছে সবাই।চলতে চলতে পথযাত্রা শেষ করেছি।কিনে মাঝপথে আরো অনেক কয়বার তারা আমাদের পথে পড়েছে।কিন্তু আতাউরের পরামর্শ অনুযায়ী সবাই কাজ করায় বেঁচে গেছে।সফরের যাত্রা শেষ করে কাকাতুয়াদের শহরের চলে এসেছি।পরী-পালকের মতন কাকাতুয়ারদের ও বিশাল বড় একটা গেইট আছে।যেটা দিয়েই ভিতরে প্রবেশ করতে হবে।সবাই গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে আশপাশ টা ভালো করে অবজারভেশন করছি।ঠিক তখনি আমার চোখ আঁটকে গেলো কাকাতুয়াদের গেইটের উপরে বড় আকারের একটা লিখার দিকে।যার মধ্যে লিখা আছে দ্যা গেইট অফ হেল।যেটা অর্থ হচ্ছে নরকের দরজা।গেইটের উপরে এমন লিখা দেখে মাথা চক্কর খেতে আরম্ভ করলো!কারন কাকাতুয়ার লোকেরা কতোটা বিকৃত মস্তিষ্কের,যে তারা নিজেদের গেইটের মধ্যে এমন ভয়ংকর জিনিস লিখে রেখেছে!মানুষ যতো খারাপ এই হোক না কেন,সবায় চাই নিজের খারাবি টাকে লুকিয়ে রেখে নিজেকে বা নিজেদের’কে ভালো করে রিপ্রেজেন্ট করতে।কিন্তু কাকাতুয়া গোত্রের লোকেরা এতোটা জঘন্য মস্তিষ্কের যে,তারা নিজকে বা নিজেদের’কে নরকের বাসিন্দা বলে দাবী করছে।আসলে ওঁদের নাম যেমন,ওঁদের কাজকর্ম’ও তেমন।সত্যিই তারা শয়তানের অন্ধভক্ত।আমার পাশাপাশি দারোয়ান আতাউর ও সেম জিনিসটা লক্ষ্য করেছে।তাই সে আমাকে বলে…
–আকাশ এসব বিষয় নিয়ে না ভেবে চলো ভিতরে প্রবেশ করি।কারন এরা জঘন্য থেকে জঘন্যতর।তাঁদের কে নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা মানে নিজের সময় বরবাদ করা।
–হুম চলেন ভিতরে প্রবেশ করা যাক।
–হুম চলো,কিন্তু তার আগে একটা কথা বলে দেই তোমায়।দেখে আকাশ আমরা তো ভিতরে প্রবেশ করছি ঠিক,কিন্তু এটা এখনো বলতে পারি না,যে আমরা জীবিত ফিরতে পারবো।কারন তাঁদের ভাবমূর্তি সম্পর্কে কোনো কিছুই আমাদের জানা নেই।তবে তুমি জীবিত ফিরতে পারবে।কারন তোমাকে তারা কিছুই করতে পারবে না।সো আমার রিকোয়েস্ট,আমাদের যাই হোক না কেন,তুমি আনহাকে সহিসালামতে মুক্ত করে নিয়ে পরী-পালকে ফিরবে।
–আনহাকে মুক্ত করে নিয়ে পরী-পালকে ফিরবো ঠিক,কিন্তু আপনাদের ও কিছু হতে দিব না আমি।আমি যতোক্ষণ আপনাদের সাথে আছি,ততক্ষণ আপনাদের সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করবো।
–ধন্যবাদ এভাবে সঙ্গ দেওয়ার জন্য।তবে বাকিটা উপর ওয়ালার ইচ্ছা।দেখি তিনি কতটুকু সহায় হন আমাদের উপরে।
–অবশ্যই উপর ওয়ালা আপনাদের সাথে থাকবে।
এবং আমি তার বান্দা হয়ে আপনাদের সাথে থাকবো।
–হুম এবার চলো…
–তারপর সবাইকে নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলাম।গেইট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতেই দেখি কাকাতুয়াদের দারোয়ানরা এক জায়গায় বসে বসে রক্ত পান করছে।যেটা দেখে তৎক্ষনাৎ আমার বমি চলে আসলো।যার ফলে গটগট করে পেট থেকে সমস্ত কিছু উগলে বের করে দিলাম।বমি করার ফলের মাথা ঘুরতে আরম্ভ করেছে।মনে হচ্ছে যেনো এখুনি মাথা ঘুরে পড়ে যাবো।ঠিক সেই মুহূর্তে আতাউর আমাকে আঞ্জা করে ধরে কিছু একটা খাইয়ে দিলো।যার ফলে তৎক্ষনাৎ ঠিক হয়ে গেলাম।অনেকটা স্বস্তি লাগছে এখন।তখনি আতাউর আমায় বললো…
–আকাশ ওরা রক্ত পান নিয়ে বিজি।চলো এই সুযোগে আমরা শহরের ভিতরে ঢুকে পড়ি।তারা কিন্তু এখনো আমাদেরকে দেখে নাই।
–আচ্ছা চলেন।দারোয়ানের কথা মতন শহরে প্রবেশ করার উদ্দেশ্যে হাঁটা দিলাম।তখনি কালো ধোঁয়ার মতন কিছু একটা ঘূর্ণিঝড়ের মতন প্রবল গতিতে ঘুরপাক খেতে খেতে আরম্ভ করলো আমাদের সামনে।আমরা থ মেরে দাঁড়িয়ে আছি!ঘূর্ণিঝড় টা কিছুক্ষণ পর শান্ত হয়ে গেলো।এবং তার মধ্যে থেকে কয়েকজন বেরিয়ে এলো।
যারা বেরিয়ে এসেছে ঘূর্ণিঝড়ের মতন বৈতালের ভিতর থেকে,তারা হচ্ছে কাকাতুয়ার দারোয়ান।যাঁদেরকে কিনা রক্তপান করতে দেখেছি কিছু সময় আগে।তারা আমাদের সামনে কালো স্মোকি থেকে বেরিয়ে এসে নিজের রূপ নিলো।এবং আমাকে বলতে লাগলো..
–এই ছেলে তুই কে জানি না।তবে তোর শরীরে কিছু একটার শিল্ড দেখতে পাচ্ছি।যেটা দেখে আমাদের বুঝতে বাকি নেই যে তোর কোনো ক্ষতি আমরা করতে পারবো না।তাই বলি কি তুই আমাদের থেকে কিছু চান্দী সিক্কা নিয়ে তোর সাথের গুলাকে আমাদের হাতে শপে দে।আমরা তাঁদের রক্ত পান করি।এবং তুই মালামাল হয়ে কাকাতুয়া ত্যাগ কর।
–না রে ভাই আমি এতোটা লোভী না,যে কিছু চান্দী সিক্কার জন্য আমার সহযাত্রীদেরকে তোদের হাতে মরতে ছেড়ে দিব।
–তাহলে আর কি করার,জোর করেই তাঁদের থেকে রক্ত পান করবো।
–আমি থাকতে কখনোই তো তোরা সেটা পারবি না।
কারন আমি এঁদেরকে নিজের শিল্ড দ্বারা বাঁচিয়ে নিব।
–পারবো কি না পারবো সেটা তুই আমাদের হাতে ছেড়ে দে।কারন তোর ক্ষতি না করলেও এই কৌশলটা আমাদের জানা আছে,যে কি ভাবে তোকে সাইডে চাপিয়ে তোর সাথের গুলাকে নিজেদের কবলে নিতে হয়।
–আচ্ছা তাহলে নিয়ে দেখা।
এটা বলেই সকলের সাথে নিজেকে সংযুক্ত করে নিলাম।যাতে করে তারা কারোর কোনো ক্ষতি করতে না পারে।তাই সবার সাথে সংযোগ করে নিলাম সফরের মতন করে।আমার কর্মকান্ড দেখে কাকাতুয়ার একজন হাসতে শুরু করেছে।যেটা দেখে প্রচন্ড রাগ উঠছে।কিন্তু আমি সেই রাগের প্রয়োগ না করে সবাইকে আঁকড়ে রেখেছি।কিন্তু হুট করেই আতাউর এবং বাকি চারজন আমার সংযোগ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে কাকাতুয়ার দারোয়ানদের কাছে গিয়ে নিজেকে শপে দিলো।যেটা দেখে আমার চোখ কপালে উঠে গিয়েছে!তখনি আমার সাথে শুরুতে কথা বলা কাকাতুয়ার সেই দারোয়ান আমাকে বলে উঠলো…
–কিরে বলেছিলাম না পারবি না তোর সহযাত্রীকে আঁটকে রাখতে।দেখ সব কয়টাক ম্যানুপুলেট করে নিজের কাছে নিয়ে এসেছি।এবার তারাই তো আমাকে নিজ থেকে রক্ত দিবে।তাঁদের সৃতি শক্তি এখন আমার আয়ত্তে।তুই কোনোদিন ও এঁদেরকে আমার হাত থেকে বাঁচাতে পারবি না।সো এবার নিজের ভালো চাস তো এখান থেকে চলে যা।না হয়তো তোর সহযাত্রীদের ভয়ংকর মৃত্যু তুই নিজের চোখে দেখে বিশাল কষ্ট পাবি।
–কাকাতুয়ার দারোয়ানদের কথা এবং কাজকর্ম দেখে প্রচন্ড পরিমাণে রাগ উঠছে।কারন তারা ম্যানুপুলেট করে নিজের কবলে করে নিয়েছে পরী-পালকের দারোয়ানদেরকে।ইচ্ছে করছে সব কয়টাকে মেরে চেহারার নকশা আরো ভয়ংকর বানিয়ে দিতে।কিন্তু এমনটা তো করা সম্ভব নয়।কারন ইচ্ছা তো ইচ্ছাই।সব ইচ্ছা তো আর বাস্তব রূপান্তরিত করা যায় না।তাই হাবলার মতন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবছি,আচ্ছা কাকাতুয়ার দারোয়ানরা যেভাবে আমার সাথের লোকজনকে ম্যানুপুলেট করেছে,আমি কি চাইলে এমনটা করতে পারবো!নাহ দেখি তো একবার চেষ্টা করে।কারন আমার শরীরেও তো মোটামুটি আনহার কিছু গুন ক্ষমতা বিচরণ করছে।তাই মনে মনে বলতে লাগতাম,কাকাতুয়ার দারোয়ান,তোরা আমার সাথের সঙ্গীগণকে ছেড়ে দে।না হয়তো তোদেরকে পায়ের নিচে কচলে মারবো।মনে মনে এমনটা বলতেই দেখি কাকাতুয়ার লোকেরা আমার সঙ্গী গুলাকে ছেড়ে দিয়েছে।আর তারা ছাড়া পেয়ে দৌড়ে আমার কাছে এসে গেছে।আমার মনে মনে বলা কথার এমন প্রভাবিত রূপ দেখে বেশ আশ্চর্য হলাম!এখনকার আশ্চর্য থেকেও বড় আশ্চর্য করে দিয়ে কাকাতুয়ার দারোয়ানরা আমার কাছে এসে মাথা নুইয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো!যেটা দেখে গায়ের সমস্ত লোম খাঁড়া হয়ে গিয়েছে!আমি যেনো কিছু বলার মতন অবস্থাতে নেই!তাই অদ্ভুত দৃষ্টিতে দারোয়ান আতাউরের দিকে নজর ঘুরালাম।কিন্তু সে দেখি উল্টো আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে!মনে হচ্ছে যেনো সাপের পাঁচ পা দেখে নিয়েছে সে…
চলবে….
গল্পের ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার নজরে দেখবেন।