আয়নায় বন্দী পরী পর্ব-১৮

0
356

#আয়নায়_বন্দী_পরী
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
#পর্ব_১৮

–গায়ের সমস্ত লোম খাঁড়া হয়ে গিয়েছে!আমি যেনো কিছু বলার মতন অবস্থাতে নেই!তাই অদ্ভুত দৃষ্টিতে দারোয়ান আতাউরের দিকে তাকালাম!কিন্তু সে দেখি উল্টো আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে!মনে হচ্ছে যেনো সাপের পাঁচ পা দেখে নিয়েছে সে!তার এমন অদ্ভুত ধরনের চাহনি দেখে তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম,কি হয়েছে দারোয়ন সাহেব?আপনি এমন অদ্ভুত চাহনিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন কেন?

–আকাশ তোমার শক্তি প্রসারিত হতে দেখে নিজেকে অন্যকিছু মনে হচ্ছে!

–মানে কি এসবের!

–মানেটা হলো আমাদের কাছে সুপারন্যাচারাল পাওয়ার থাকা সত্বেও আমরা তোমার থেকে অনেক পিছিয়ে।আর তুমি আমাদের থেকে অনেক আগে।
তোমার শরীরে বর্তমানে তিন জনের শক্তি রয়েছে।

–আমার শরীরে তিন জনের শক্তি রয়েছে মানে কি?
আনহার শক্তিই তো শুধু আমার কাছে আছে।

–হুম আমি সত্যিই বলছি।আর আনহার শক্তি তোমার কাছে আছে,সেটা আমি তুমি এবং সেও জানে।কিন্তু বর্তমানে তুমি যেই শক্তির প্রয়োগ করলে,সেটা অন্যকারো থেকে কনভার্ট হয়েছে তোমার শরীরে।কারন আমাদের কাছে এতো ভয়ংকর রকমের অলৌকিকতা নেই।

–দারোয়ান সাহেব,আপনার কথা শুনে দ্বিধাদ্বন্দে আছি!কারন আমার শরীরে আবার অন্য কারোর শক্তি কনভার্ট হয়েছে কি করে!

–আচ্ছা ক্লিয়ার করছি বিষয়টা তোমাকে।তুমি সেদিন দ্বীপের মাঝে এই কাকাতুয়ার রাজার মেয়ে রূপন্তী না কি,তার সাথে বসে বসে গল্প করেছো।এবং তার কাঁধে মাথা রেখেছো আনহা ভেবে।আর সেই মেয়েটা আনহার রূপ ধারণ করায় তার শক্তি তোমার শরীরে কনভার্ট হয়েছে।

–এমনটা কি করে হয় দারোয়ান সাহেব,রূপন্তী তো তার সোল আমার শরীরে প্রবেশ করায় নি।বা সে কোনো কিছু আমাকে শপেও দেয়নি,যে তার মাধ্যমে আমার কাছে আরো কিছুই শক্তির বিচরণ ঘটবে।

–আকাশ সে তোমার শরীরে নিজের সোল কনভার্ট করেনি ঠিক,কিন্তু তার পরেও তোমার শরীরে তার সুপারন্যাচারাল পাওয়ার কনভার্ট হয়েছে।তার সঠিক কারন হচ্ছে সে আনহার রূপ ধারণ করেছে।এবং তুমি তাঁকে আনহা ভেবে তার কাঁধে মাথা রেখে কিছুটা সময় কাটিয়েছো।সেই তখনি তোমার মাঝে তার মধ্যে থাকা কিচু শক্তির বিচরণ ঘটেছে।আর কাকাতুয়ার প্রহরীরা তোমার শরীরে শিল্ড দেখার কারন হচ্ছে তুমি মানুষ।তোমার আলাদা কিছু শক্তি আছে।পরবর্তীতে তোমার সেই আলাদা শক্তির সাথে আনহার শক্তি এডজাস্ট হয়েছে।এবং তার উপরে এই কাকাতুয়ার রাজার মেয়ের শক্তিও তোমার শরীরে বিচরণ করেছে।যার কারনে তুমি অনেকটা পাওয়ারফুল হয়ে গেছো।এবং এই কারনেই প্রহরীরা তোমার শরীরের মধ্যে শিল্ড দেখতে পেয়েছে।সো তুমি এবার প্রহরীদেরকে এভাবে রেখে সামনে দিকে অগ্রসর হও আমাদেরকে সাথে নিয়ে।আশা করি পরবর্তীতে সমস্যা হলে তোমার মাধ্যমে বেঁচে যাবো আমরা।কেউ কোনো ক্ষতি করতে পারবে না আমাদের।

–দারোয়ান আতাউরের কথা শুনে চমকে উঠলাম!কারন রূপন্তীর শক্তি আমার শরীরে কনভার্ট হয়েছে সেটা আমার জানাই ছিলো না!দরোয়ান আতাউর এখন ক্লিয়ার করায় জানতে পেরেছি।তবে একটু আগে আমারো অবাক লেগেছে নিজের এমন অদ্ভুত শক্তি দেখে!তবে এখন সব কিছুই ক্লিয়ার।এসব নিয়ে ভাবছিলাম কোনো কথা না বলে।তখনি দারোয়ান আতাউর বলে উঠলো..

–আকাশ এখন এতো কিছু ভাবার সময় নেই আমাদের কারোর হাতে।আমাদের চটজলদি আনহাকে খুঁজে বের করতে হবে।তাড়াতাড়ি আনহার তালাশে সামনে অগ্রসর হও।

–হুম চলেন…
কিন্তু এদেরকে কি করবেন?যারা আমার সামনে এসে মাথা নুইয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

–আকাশ ওরা এভাবেই থাকুক।
আমরা আমাদের কাজ করি।পরে যাওয়ার সময় ওদের ব্যবস্থা করে যেও সম্ভব হলে।

–ঠিক আছে।
তারপর শহরের দিকে যাওয়ার জন্য হাঁটা দিলাম সবাই মিলে।রাস্তাঘাট গুলো কেমন যেনো অদ্ভুত ধরনের!তার উপরে জায়গায় জায়গায় রক্ত পড়ে আসে।যা দেখে বুঝতে বাকি নাই,যে এরা আসলেই শয়তানে বিশ্বাসী।এঁদের মনোভাব শয়তানকে খুশি করা।এসব নিয়ে ভাবতে ভাবতে একটা গ্রামে ঢুকে গেলাম।গ্রামে অনেক কয়টা ঘরবাড়ি দেখা যাচ্ছে।ঘরবাড়ি গুলোর সামনে যেতেই আরো বেশি অবাক হয়ে গেলাম!কারন গ্রামের প্রতিটা ঘরের সামনেই মাঝারি সাইজের একটা বাটি বা পাতিলা রাখা।যেটা কিনা রক্ত দিয়ে পুরোপুরি ভরপুর।তাছাড়া প্রতিটা রক্তে ভরপুর পাতিলা বা বাটির সামনেই একটা করে ভয়ানক নকশা অঙ্কন করা।নকশা গুলা দেখতে অনেক ভয়নাক লাগছে।কারন নকশার আকৃতি ত্রিভুজের মতন হলেও সেই ত্রিভুজের উপরাংশে দুই শিং ওয়ালা একটা শয়তানের মস্তক অঙ্কন করা।এসব দেখে আমার শরীর দিয়ে ঘাম ছুটতে আরম্ভ করেছে।হাঁটা বাদ দিয়ে রেখে দাঁড়িয়ে গেলাম একটা জায়গার মধ্যে।আমার সাথে সাথে সবাই দাঁড়িয়ে গেলো।এবং দারোয়ান আতাউর আমাকে থেমে যাওয়ার কারন জিজ্ঞেস করলো।দারোয়ান আতাউরের কথার উত্তর দিব,এমন সময় দেখি গ্রামের যে কয়টা বাড়ি আছে।সব কয়টার বাড়ির দরজা আপনা আপনি খুলে গেলো।এবং সব কয়টা বাড়ির ভিতর থেকে নরপিশাচের মতন দেখতে কয়েকজন পিশাচ বেরিয়ে আমাদের দিকে এগোতে লাগলো।যাঁদেরকে দেখে কোনো মতেই কাকাতুয়ার গোত্রের লোকেদের মতন লাগছে না।কারন প্রহরীরা দেখতে এক রকম।এবং এরা আরেক রকম।প্রহরীরা রক্ত পান করলেও স্বাভাবিক মানুষের মতন আকৃতি ছিলো তাঁদের।কিন্তু বর্তমানে যারা ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে,তাঁদের চেহায়া দেখে রক্তচোষা হায়েনার মতন লাগতেছে।তার উপরে আবার শরীরের আকৃতি আমাদের দেখেও অনেক বড়।চোখ পাকিয়ে তাঁদের দিকে তাকিয়ে আছি।আর সেই নরপিশাচ গুলা এগোতে এগোতে আমাদের একদম সামনে চলে এসেছে।এমন সময় দারোয়ান আতাউর আমার হাত চেপে ধরে বললো….

–আকাশ সবার সংযোগ তোমার সাথে করে নিয়েছি।এবার তোমার কাজ হচ্ছে তড়িৎগতিতে সামনের দিকে দৌড়ানো।আর তোমার সাথে সাথে আমরাও দৌড় দিব।যাতে করে এদের থেকে মুক্তি মিলে।

–কেন আমার শক্তি দ্বারা এদের থেকে মুক্তি পাবো না আমরা?

–আকাশ মুক্তি পাবো কি পাবো না,তা উপর ওয়ালাই ভালো বলতে পারবে।কিন্তু এখন আমাদের কাজ হচ্ছে দৌড়ে পালানো এখান থেকে।কারন এদের মনোভাব ভালো ঠেকছে না।যে কোনো সময় আমরা বিপদের মুখে পড়ে যেতে পারি।সো এখন এখান থেকে কটে পড়াই ভালো।

–আচ্ছা.
তারপর দড়ি ছেঁড়া গরুর মতন দৌড়াতে শুরু করলাম।আর আমার সাথে সাথে সবাই দৌড়াতে আরম্ভ করলো।কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো তারাও আমাদের পিছু নিয়েছে।তারাও আমাদের পিছু পিছু দৌড়াচ্ছে আমাদেরকে ধরার জন্য।কিন্তু আমাদের সাথে তারা দৌড়ে পারে কি করে।বিশেষ করে আমার সাথে।কারন আমরা হলাম মানুষ।আর মানুষ মানে হলো বানরের আরেক রূপ।যারা কিনা একে অপরকে নাকানিচুবানি খাওয়াতে ওস্তাদ।কোনো মতে দৌড়ে গ্রামটা পাড় করে খোলামেলা একটা জায়গার মধ্যে এসে পৌঁছেছি।আমরা গ্রামটা অতিক্রম করতেই আমাদের পিছনে লাগা নরপিশাচ গুলা একটা জায়গায় থেমে গিয়ে চিৎকার করতে লাগলো।যা দেখে আমার বুঝতে বাকি নাই,যে ওদের সীমানা ঐ গ্রাম পর্যন্তই।তারা এর বাহিরে আর আসতে পারবে না।তাই মাটিতে বসে হাঁপাতে লাগলাম।কারন দৌড়ানোর ফলে নিশ্বাস ভারী হয়ে গেছে।এভাবেই কিছুটা সময় বসে নিজেকে শান্ত করলাম।পরে আবার সামনের দিকে হাঁটা ধরলাম।হাঁটতে হাঁটতে বিশাল বড় একটা গেইটের সামনে এসে পৌঁছেছি।যেই গেইটের উপরে কিনা একটা মূর্তি বল্লম হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।আমরা তাঁকে এতোটা ভ্রূক্ষেপ না করে গেইট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করার সিদ্ধান্ত নিলাম।সিদ্ধান্ত মোতাবেক গেইট দিয়ে প্রবেশ করবো,এমন সময় সেই গেইটের উপরে দাঁড়িয়ে থাকা মূর্তিটা একটা রূপ ধারণ করে নিচে নেমে আসলো।এবং নিচে নেমেই তার হাতের বল্লমটা দারোয়ান আতাউরের পেটের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছে।যার ফলে বল্লমটা আতাউরের পেট ছিদ্র করে অপরপ্রান্ত দিয়ে বেরিয়ে গেলো।এবং দারোয়ান আতাউর ব্যথার চোটে ষাঁড়ের মতন চেঁচাতে আরম্ভ করলো।আতাউরের চেঁচানি শুনে গেইটের ভিতর থেকে একজন দৌড়ে বাহিরে আসলো।যাকে দেখে বেশ অবাক হলাম!কারন ব্যাক্তিটা ছিলো রূপন্তী।সে এসেই একটা শব্দ বললো জোরে জোরে,যার ফলে আতাউরকে বল্লম দিয়ে আঘাত করা প্রহরী’টা গেইটের উপরে উড়াল দিয়ে গিয়ে আগের ন্যায় মূর্তির রূপ ধারণ করলো।এবং দারোয়ান আতাউর মাটি থেকে উঠে আপনা আপনি দাঁড়িয়ে গেলো।এমন দৃশ্য দেখে অবাক চোখে রূপন্তীর দিকে তাকিয়ে আছি!তখনি রূপন্তী আমার হাত চেপে ধরে আমাকে সবার থেকে কিছুটা দূরে নিয়ে গেলো।তারপর আমায় বললো…

–এই আকাশ তুমি এখানে এসেছো কেন?

–আনহাকে বাঁচাতে এসেছি।

–আকাশ তোমার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে হ্যাঁ বলো তো?তুমি নিজের বিপদ কেন নিজেই ডেকে আনছো?

–রূপন্তী আমার নিজেকে নিয়ে নিজের কোনো ভয় নাই।কিন্তু আমার আনহাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া খুব প্রয়োজন।কারন তার থেকে আমার অনেক কয়টা প্রশ্নের উত্তর জানার আছে।

–আকাশ পাগলামি বন্ধ করে এখান থেকে চলে যাও।কারন তুমি কোনোদিন ও আনহাকে এখান থেকে নিয়ে যেতে পারবে না।

–কেন পারবো না হ্যাঁ?

–কারন প্রথম ধাপেই তোমার লোক আহত হয়েছে।
ভাগ্যিস আমি গেইটের আসেপাশে ছিলাম।না হয়তো কাল তোমাদের সবাইকেই মেরে ফেলতো।কাল কিন্তু অনেক ভয়ংকর।

–রূপন্তী আমি তোমায় আগেই বলেছি যে আমি বিপদ আর ভয়কে কে পরোয়া করি না।করলে কখনো এখানে আসতাম না।সো আমি আনহাকে মুক্ত করে নিয়েই তারপর এখান থেকে যাবো।

–আরেহ আকাশ তুমি বুঝতেছো না আমার কথা।প্লিজ একটু বুঝার চেষ্টা করো।দেখো উপরে দাঁড়িয়ে থাকা মূর্তিটার নাম হচ্ছে কাল।সে কোনো সংকেত পেলেই নিচে নেমে আসে।আর সে সংকেত পেয়েছে বলেই নিচে নেমে এসেছিলো একটু আগে।কিন্তু ভাগ্য ভালো আমি সময়ে চলে এসেছি।কিন্তু প্রতিবার তো আমি তোমাদেরকে রক্ষা করতে পারবো না।কারন এখানে থেকেই আমাদের মেইন শহর শুরু।এবং এই গেইটের মতন আরো দুইটা গেইট আছে ভিতরে।যার মধ্যে এর থেকেও অনেক ভয়ংকর প্রহরী পাহারা দিচ্ছে।যাঁদেরকে অতিক্রম করে শহরে ঢুকা অসম্ভব তোমাদের পক্ষে।

–এই রূপন্তী কিসের অসম্ভব হ্যাঁ?
তুমি না রাজার মেয়ে।তার উপরে আবার ভালোর সঙ্গ দাও।তাহলে তুমি আমাদের সাথে থাকলেই তো আমরা শহরে প্রবেশ করতে পারবো।

–আকাশ আমি তোমাদের সঙ্গ দিতে যদি কেউ একবার দেখে ফেলে,তাহলে সর্বনাশ হয়ে যাবে।

–রূপন্তী তোমার এই ভালোর কোনো দাম নেই।তুমি যদি সত্যিই ভালোর সঙ্গ দিয়ে থাকো,তাহলে আমাদেরকে ভিতরে প্রবেশ করতে সাহায্য করো।
.
আকাশের কথা শুনে রূপন্তী চুপ হয়ে যায়।যার ফলে আকাশ আবার তাঁকে বলে…

–কি সঙ্গ দিবে না?

–আচ্ছা যাও আমি সঙ্গ দিয়ে তোমাদেরকে শহরের ভিতরে প্রবেশ করতে সাহায্য করবো।কিন্তু তার পরে কি ভাবে কি করবে বলো?আনহাকে তোমরা মুক্ত করে কি ভাবে নিয়ে যাবে?

–কি ভাবে মুক্ত করবো আবার।আনহাকে তোমাদের কারাগার থেকে কৌশলে মুক্ত করে নিজের সাথে নিয়ে যাবো।

–আকাশ সেটা তুমি কখনোই পারবে না।কারন আনহাকে কোনো কারাগারে রাখা হয়নি।তাঁকে রাখা হয়েছে হাম্বল নামক এক স্থানে।যেই স্থানে আমার বাবা আর বড় বড় পূজারী ছাড়া কেউ যেতে পারে না।কারন সেখানে যাওয়া পথে সাতটা হাম্বল পড়ে।সেই হাম্বলে সাত ধরনের প্রহরী আছে।যারা আমাদের মতন সাধারণ নয়।তারা এক কথায় বলতে গেলে ঐশ্বর্যের সব চাইতে বড় শয়তান।তাঁদেরকে শয়তানের পূজা করে তৈরী করা হয়েছে।তারা সর্বদা হাম্বলের রক্ষা করে।তাঁদেরকে অতিক্রম করে আসল হাম্বলে যাওয়া,যেখানে কিনা আনহাকে রাখা হয়েছে,তা তোমার জন্য অসম্ভব।
শুধু তুমি কেন।আমাদের পুরা কাকাতুয়ার লোকরা একত্রে মিলেও যদি শক্তির প্রয়োগ করে সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করে,তাও তারা ব্যর্থ হবে।কারন হাম্বলের রক্ষিতাদের কাছ থেকে বেঁচে কেউ সেখানে যেতে পারবে না।তাঁদের কাছে এমন অলৌকিক ক্ষমতা আছে,যে তারা আমাদের কাকাতুয়াকে চাইলে মূহুর্তের মধ্যেই ধুলোয় মিশিয়ে দিতে পারবে।আর তার চাইতেও বড় কথা আনহাকে যেই হাম্বলে রেখেছে,সেখানে শয়তান নিজে শ-শরীরে অবস্থান করছে।তুমি মারা পড়বে এটা চিরন্তন সত্যি।সো প্লিজ তুমি সেখানে যেও না।

–রূপন্তীর কথা শুনে মাথা চক্কর দিতে আরম্ভ করেছে!কারন তার দেওয়া বর্ননা অনুযায়ী সেখানে যাওয়া মানে নিজের মৃত্যুকে নিজেই দাওয়াত দেওয়া।হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছি!কারন কি করবো কিছুই বুঝে আসছে না!কিন্তু আনহাকে বাঁচানো তো আমার জন্য অনেক জরুরী।তাঁকে না বাঁচিয়ে এখান থেকে ফিরে গেলে আজীবন আনহাকে ভালোবাসায় দায়ে কষ্ট পাবো।সো আমার যাই হবে হোক আমি তাঁকে বাঁচানোর জন্য হাম্বলে যাবোই।রূপন্তী মরন উপর ওয়ালার হাতে।শয়তানের হাতে নয়।সো আমি যাবোই।
.
রূপন্তী আকাশের জেদ দেখে কিছু না বলে রাগ করে সেখান থেকে উধাও হয়ে যায়।রূপন্তী চলে যেতেই গেইটের উপর থেকে আবারো কাল নামক প্রহরীটা বল্লম হাতে নিয়ে নিচে নেমে আসে।নিচে নেমে এসে বল্লমটা সোজা তড়িৎগতিতে আকাশের শরীরে ফিক্কা মারে।যার ফলে বল্লমটা আকাশের শরীর ছেদ করে একপ্রান্ত দিয়ে ঢুকে অপরপ্রান্ত দিয়ে বেরিয়ে যায়…

চলবে…..

গল্পের ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার নজরে দেখবেন।