ইষ্ক ইবাদাত পর্ব-৩৯+৪০+৪১

0
6131

#ইষ্ক_ইবাদাত
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_৩৯

পুলিশ স্টেশনে অভি কে কাস্টার্ডিতে তাথই এর মৃত্যুর অপরাধে নিলেও এখন সেই অভিযোগ ভুল প্রমাণিত হয়েছে তবে তাথই এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও তাকে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করার অভিযোগ লেগে আছে। তাই তার কাউকে খুন করার অপরাধ থেকে মুক্তি পেলে ও টাকার বিনিময়ে বিক্রি করার অপরাধে থেকে বাঁচতে পারেনি। অভির বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরী হলেও এখনও কোর্টে ওঠেনি।

তানিয়ার অবস্থা আরও করুন। অভির সাথে মিলে তাথই এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা শেষে তাকে খুন করা। সব মিলিয়ে তার অবস্থা করুণ থেকে করুন হয়েছে। আগে থেকেই সে তার ড্যাড এর কাছে মার খেয়েছে আর পুলিশ স্টেশনে আসার পর থার্ড ডিগ্রি ও ছিল। এক জন জনপ্রিয় মডেল হিসাবে তার কিছুটা ছাড় থাকলেও থাকতে পারতো কিন্তু এখানে ব্যবস্থা একটু অন্য রকমের প্রথমত স্টেট মিনিষ্টার এর চাপ আর তার সাথে আছে রেয়ান্স এর পাওয়ার সব মিলিয়ে তানিয়ার অবস্থা পুরো বেহাল।

প্রথম প্রথম তানিয়া মুখ খুলতে না চাইলেও টর্চার রুমে যাওয়ার পর আস্তে আস্তে সব কিছুই কবুল করেছে। তার এখানে এমনিতেও অস্বীকার করার কোনো জায়গা ছিল না আগে থেকেই প্রুফ হাজির ছিল। তাই তার সব কিছু স্বীকার করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।

তানিয়া সেলের এক কোণে পড়ে আছে. দেখতে এখন পুরোই পাগলিদের মত লাগছে চুল গুলো পুরো আউলে আছে মুখ পুরোটাই বিগড়ে গেছে চোখের কোণে রক্ত জমে আছে ঠোঁটের কোল ফেটে রক্তের ধারার রেখা ফুটে আছে। কপালে ফুলে আছে। আর গায়ে মারের আঘাতের দাগ অসংখ্য ফুটে আছে।

-“এই যে আপনার সাথে কেউ দেখা করতে এসেছে। একজন লেডি কনস্টেবল এসে বলে ওঠে।

তবুও তানিয়ার কোনো নড়নচড়ন নেই চুপ চাপ বসে আছে। এটা দেখেই লেডি কনস্টেবল টা এগিয়ে যায়।

-” উফ এদের নাটক দেখলে বাঁচি না। বড় বড় মডেল হয়েও এদের কীর্তি দেখো নাম কমানোর জন্য পর পুরুষ কে নিজের চেহারা দিয়ে বশ করে নেয়। নিজের বোনের হবু বর টা কে ও ছাড়লো সাথে বোন টা কে ও মেরে ফেললো। ছিঃ। লেডি কনস্টেবল তানিয়া কে বাইরে নিয়ে যেতে যেতে মুখ ঝামটা দিয়ে বলে ওঠে।

তানিয়া কোনো কথা না বলে চুপচাপ হাঁটতে থাকে। তাকে আরেকটা সেলে নিয়ে আসে। তানিয়া ভিতরে ঢুকে সামনে তাকাতেই দেখে আগে থেকেই এখানে অভি বসে আছে। অভি কে দেখেই তানিয়া চমকে ওঠে। তার পা থমকে গেছে। লেডি কনস্টেবল টা তানিয়া কে টেনে এনে চেয়ারে বসিয়ে দিয়ে ওদের দিকে একবার ঘৃণা ভরা নজরে তাকিয়ে গুজ গুজ করে ওঠে।

-“যেমন ছেলে তেমনই মেয়েটা দুজনেই চরিত্র হীন ছিঃ। নিজেদের স্বার্থে একটা মেয়েকে বিক্রি করে দিলো আর শেষে কিনা মেরে দিলো। এদের ফাঁসি হওয়া উচিৎ। কিন্তু দেখো কোথায় কি বড়লোকী চাল সব। বলেই বেরিয়ে যায়।

অভি তানিয়া একে অপরকে দেখে চলেছে। অভি তো চিলের দৃষ্টি নিয়েই তানিয়া কে দেখছে। অভির নজরে যেনো আগুন ঝরছে তার মন চাইছে সে এক্ষুনি এই মেয়েটা কে মেরে ফেলো। আজ তানিয়ার দিকে তাকিয়ে অভির কোনো অনুভূতি জাগছে না আর এক সময়ে এই মেয়ের জন্য সে তাথই কে ঠকিয়েছে ভাবতেই তার গা রৃ রৃ করে উঠছে। অভি তাকিয়ে আছে তানিয়ার মুখের দিকে। যেই সৌন্দর্যের প্রেমে সে পাগল ছিল যে রূপের জন্য তানিয়ার মাটিতে পা পড়তো না মানুষকে মানুষ বলে জ্ঞান করত না। আর আজ সেই সৌন্দর্য হারিয়ে গিয়ে দেখতে একেবারে কুৎসিত হয়ে গেছে। আজ এই মুখের দিকে তাকালে কোনো মুগ্ধ বা নেশা কোনো কাজ করেনা শুধু করুণা দয়া কাজ করে। তানিয়ার মুখের যা অবস্থা এটা দেখলেই সবারই এমন মনে হবে। কারণ এক জন এত সুন্দর মডেল থেকে এত সুন্দর মুখ যেটা এখন দেখার মত অবস্থা নেই স্বাভাবিক দেখলেই করুণা লাগবে।

তানিয়া দেখে অভি তার দিকে ঘৃণা রাগ নিয়ে তাকিয়ে আছে। অভির দিকে তাকাতেই তার নজরে আসে অভির কপালের কাটা দাগ কিছুটা জায়গা ফুলে আছে চোখের তলার রক্ত জমাট জায়গা যেটা আসতে আসতে কমে এসেছে তার শরীরের দাগ ও কমে এসেছে। তানিয়া জানে অভির এই অবস্থার জন্য সেই একমাত্র দায়ী। তার ওই ছবি আর ভিডিও ক্লিপ লিক করার জন্য অভি কে অ্যারেস্ট করা হয়েছে।

-“অভি তুমি কি আমার সাথে দেখা করতে চেয়েছ? তানিয়া বোজা গলায় জিজ্ঞেস করে ওঠে।

-“তোমার সাথে দেখা করার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। অ্যাকচুয়ালি আমি তোমার মুখটা ও পর্যন্ত আর দেখতে চাইনা। অভি বিদ্রুপ করে বলে ওঠে।

-“অভি

-” চিৎকার করে কোনো লাভ নেই। তোমার খুব অহংকার ছিল না তোমার এই সুন্দর চেহারা নিয়ে কিন্তু দেখো তোমার ওই সুন্দর চেহারা এখন কুৎসিত আকার নিয়েছে। যে মুখ দেখলে সবার করুণা হবে দয়া করবে ঘৃণা করবে। অভি বলে ওঠে।

-“অভি তুমি আমার সাথে এই ভাবে কথা বলতে পারোনা। তুমি জানো তুমি কার সাথে কথা বলছো। তানিয়া টেবিলে জোরে আওয়াজ করে বলে ওঠে।

-” বাহ তোমার এখনও মনে হয় যে তোমার সাথে এই ভাবে কথা বলা যাবে না। কে তুমি? কেউ না আগে ছিলে তবে কয়েকমাস আগেই তুমি তোমার নিজের দোষে তোমার সেই জায়গা নষ্ট করে ফেলেছ তুমি নিজের বেইজ্জতি করিয়েছো তুমি তোমার টপ ইন্টারন্যাশনাল মডেল এর খেতাব হারিয়ে ফেলছো। আর এখন তুমি মানান পরিবারের সাপোর্ট ও হারিয়ে ফেলেছো। অভি মুখে আওয়াজ করে বলে ওঠে।

-“তাহলে তুমি এখন কি? কোন পর্যায়ে পড়ো। হুম তুমি একজন খুনী। এখন তুমি একটা দাগী আসামী তাছাড়া কিছু নয় আমি জেলে থাকলেও তোমার আমার লেভেল আলাদা আছে আমি অপরাধ করলেও তোমার মত কাউকে খুন করার অপরাধ করিনি। অভি বলে ওঠে।

-” কি করে পারলে হ্যাঁ? তাথই কে কেনো মেরে ফেললে? কি অপরাধ করেছিলো? তার তো কোনো দোষ ছিলোনা বরং আমরাই তার সাথে অপরাধ করেছি তাকে ঠকিয়ে এসেছি তার কাছে থেকে তার কোম্পানি নিয়ে নিয়েছি যেটা আমরা দুজন এর নামে শেয়ার রেখেছি তুমি ওর থেকে ওর মডেলিং ক্যারিয়ার নিয়ে নিছিলে। শেষ পর্যন্ত ওকে আমরা বিক্রি ও করে দিয়েছিলাম টাকার জন্য যা দিয়ে তোমার ফিল্ম প্রোডাকশন এর সাথে ডিল হয়েছিলো। আমরা ওর সাথে অনেক অন্যায় করেছি হ্যাঁ ওকে বদনাম করতে চেয়েছি ওকে ছাড়তে চেয়েছি কিন্তু ওকে মেরে ফেলতে চাইনি। কিন্তু তুমি ওকে মেরে ফেললে কেনো? অভি হাইপার হয়ে বলে ওঠে।

-“বাবা অভি তোমার কি এখন তাথই এর জন্য ভালোবাসা উথলে উঠছে নাকি? খুব দরদ দেখতে পাচ্ছি তো। এখন আফসোস হচ্ছে নিশ্চয়ই। আহারে। তানিয়া অভির গালে হাত রেখে বলে ওঠে।

-” বেশ করেছি ওকে মেরে ফেলেছি। ওকে আমি ঘৃণা করি এখনও করি। ওর নাম আমি সহ্য করতে পারি না। তাই ওকে মেরে ফেলেছি। তানিয়া বলে ওঠে।

-” বাহ শেষ পর্যন্ত নিজের মুখে সব কিছুই স্বীকার করে নিলি তানি।

পিছন থেকে হাততালি আর কথার আওয়াজ শুনে অভি ও তানিয়া চমকে পিছনে তাকিয়ে থমকে যায়।
.
.
.
. ❤️❤️❤️
. চলবে…..

#ইষ্ক_ইবাদাত
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_৪০

অভি আর তানিয়া পিছন ফিরে তাকাতেই দেখে তোড়া দাঁড়িয়ে আছে তাদের পিছনে। তোড়া কে দেখতেই দুজনের ভ্রু কুঁচকে যায়। আর একটু আগের কথা টা মনে করতেই আরো চওড়া হয়ে যায়। তোড়া ভিতরে আসতে এক জন এসে একটা চেয়ার দিয়ে যায়। তোড়া ওদের দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেসে এগিয়ে গিয়ে বসে পড়ে। তোড়া ওদের সামনে এসে বসে পড়তেই তানিয়া ভ্রু কুঁচকে তাকায় ।

-“তুমি এখানে কি করছো? তানিয়া রাগী ভাবে বলে ওঠে।

-” দেখতে এসেছিলাম বাট এখানে এসে তো স্বীকারোক্তি ও পেয়ে গেলাম। বাই দ্য ওয়ে এতক্ষণ তো তোমরা আমার অপেক্ষায় বসে ছিলে তো তোমাদের অপেক্ষা এখন শেষ। তোড়া কথাটা শান্ত ভাবে বলে ওঠে।

অভি কোনো কথা না বলে চুপচাপ তোড়া কে দেখছে।তার কাছে আজকে এই মেয়েটা বড্ড রহস্যময়ী লাগছে। এতদিন সে যে মেয়েটা কে দেখেছিল তার সাথে কিছুতেই মেলাতে পারছে না। আর তানিয়া সে তো তোড়ার কথা শুনে রাগে বোম হয়ে গেছে।

-“এই স্বীকারোক্তি মানে কি হ্যাঁ? কিসের স্বীকারোক্তি। আর তুমি কেনো এখানে এসেছ? মজা দেখতে এসেছ? আর অপেক্ষা মানে কিসের অপেক্ষা? তানিয়া বলে ওঠে।

-” রাশ্শি জাল গেয়ি লেকিন বাল আভি ভি কায়েম হে। বহত খুব। বিদ্রুপ করে বলে ওঠে তোড়া।

-“এই এই তুমি এখানে কেনো এসেছ বলতো? তানিয়া ভ্রু কুঁচকে বলে ওঠে।

-“তোকে দেখতে এলাম তানি। তুই এখানে ঠিক কেমন আছিস। তোড়া এবার তার গলার ভয়েস চেঞ্জ করে নরম ভাবে বলে ওঠে।

তোড়ার কথা শুনে অভি তানিয়ার ভ্রু কুঁচকে গেছে তানি এটা তো তাথই ডাকতো তাকে আর গলার আওয়াজ তাও খুব চেনা চেনা লাগছে। একদম তাথই এর মত তার সাথে কথা বলছে।

-” এই কে তুমি? আর আমাকে এই নামে কেনো ডাকছো? তানিয়া জিজ্ঞেস করে ওঠে।

-” ওমা একি আমি তোকে প্রথম থেকেই এই ভাবে ডাকতাম তাই না তানি। আর একমাত্র আমি ডাকতাম এই নাম এত জলদি ভুলে গেলি। তোড়া একটা বাঁকা হাসি দিয়ে বলে ওঠে।

-“ইম্পসিবেল । এটা হতেই পারে না। তানিয়া ভীতু হয়ে বলে ওঠে।

অভি এতক্ষণ চুপচাপ বসে বসে দেখছিল আর তোড়ার কথা গুলো শুনে সে নিজেই কনফিউশনের মধ্যে পড়ে যায়। এটা সত্যি যে তোড়া কে এই মুহূর্তে তার খুব চেনা মনে হচ্ছে তার গলার আওয়াজ কথা বলার ভঙ্গি ওই ডাক সব কিছু মিলিয়ে একটাই ইঙ্গিত করছে। সব হিসেব নিকেশ এক জায়গায় এসে থেমে গেছে তাথই। কিন্তু এটা কি করে সম্ভব বিল্ডিং থেকে পড়ে গিয়ে ওখানেই তো মৃত্যু হয়ে গেছিলো আর আমরা যাকে নিয়ে এলাম তাহলে সেটা কে ছিল। অভি নিজের মধ্যে ভাবতে শুরু করে দিয়েছে তার মাথায় এখন এগুলো জট পাকিয়ে আছে।

-“কি হতে পারে না তানি আর কেনো হতে পারে না। তোড়া বাঁকা হেসে বলে ওঠে।

-” হতে পারে না কারণ তাথই মারা গেছে। আমি এই আমি নিজের হাতে তাকে ধাক্কা দিয়ে বিল্ডিং থেকে ফেলে দিয়েছি। কিছুতেই বেঁচে থাকতে পারে না কিছুতেই। এই তুমি কে বলতো? তানিয়া বলে ওঠে।

তানিয়ার কথা শুনেই তোড়া ঘর কাঁপিয়ে হাসতে থাকে। তোড়ার এমন হাসিতে অভি তানিয়া দুজনই হকচকিয়ে যায়। তোড়া নিজের হাসি চেপে রেখে তানিয়ার দিকে তাকিয়ে দৃঢ় ভাবে বলে ওঠে।

-“ওয়েল তানি আমি তোকে খুশি করতে পারলাম নারে মরে গিয়ে সো স্যাড। তোড়া মুখের আওয়াজ করে অসহায় হওয়ার ভঙ্গি করে বলে ওঠে।

-” মানে? তোড়ার কথা শুনে অভি তানিয়া প্রায় লাফিয়ে উঠে একসাথে জিজ্ঞেস করে ওঠে।

-“মানে এটাই তোরা চেষ্টা করেও আমাকে মারতে পারিস নি। তোরা আমার পিছনে ষড়যন্ত্র করেছিস কিন্তু সফল হতে পারিস নি আর না কখনো পারবি। তোড়া এবার নিজের রূপে ফিরে এসে কঠিন ভাবে বলে ওঠে।

-” তা… তাথই । তানিয়া অস্পষ্ট ভাবে বলে ওঠে।

-“উহুম । তোড়া ।

-” তাথই তুমি বেঁচে আছো। থ্যাঙ্ক গড তুমি বেঁচে। অভি প্রায় লাফিয়ে উঠে তোড়ার দুই কাঁধ ধরে বলে ওঠে।

তোড়া একবার অভির দিকে তাকিয়ে নিজের কাঁধের দিকে তাকায়। অভির হাত তার শরীরে দেখতে তার পুরো শরীর কিলবিলিয়ে ওঠে। তোড়া ধাক্কা দিয়ে অভি কে নিজের থেকে সরিয়ে দেয়।

-” কেনো অভি তোমার দুঃখ হচ্ছে আফসোস হচ্ছে আমি বেঁচে আছি বলে। তোড়া বলে ওঠে।

-” একদমই না তাথই। আমি খুশি হয়েছি তুমি যে বেঁচে আছো এটা জানতে পেরে। সত্যি বলছি আমি তোমাকে কখনো মেরে ফেলতে চাইনি বিশ্বাস করো। অভি আবারো তোড়ার কাছে আসতে আসতে বলে ওঠে।

-“মেরে ফেলতে চাওনি কিন্তু বিক্রি করে দিয়েছিলে তাই না। তোড়া হাত দেখিয়ে অভি কে থামিয়ে দিয়ে বলে ওঠে।

-” তাথই আই লাভ ইউ। আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমি জানি আমি তখন খুব বড় একটা ভুল করেছি। সত্যি বিশ্বাস করো আমি তখন নিজের মধ্যে থাকতাম না তাই তোমাকে বুঝতে পারিনি। কিন্তু তোমাকে হারানোর পর বুঝতে পেরেছে আমি তোমাকে ভালোবাসি। প্লিজ ফরগিভ মি তাথই প্লিজ। অভি বলে ওঠে।

-” তুমি আমাকে ভালোবাসো রিয়েলি । কয়েকদিন আগে তো তুমি তোড়ার সৌন্দর্যে মুগ্ধ ছিল আর আজ যখন দেখলে তাথই বেঁচে তখন আবার প্রেম জেগে উঠেছে । তোড়া হাসতে হাসতে বলে ওঠে।

-” কে কাকে ভালোবাসে।

এই আওয়াজ শুনে সবাই পিছনে তাকায়। অভি তানিয়ার তো মনে হচ্ছে চোখ এক্ষুনি বেরিয়ে আসবে তাদের সামনে স্বয়ং ওয়ার্ল্ড টপ ওয়ান বিজনেসম্যান রেয়ান্স দাঁড়িয়ে আছে। রেয়ান্স ভিতরে এসে তোড়ার কাছে গিয়ে একহাত দিয়ে জড়িয়ে নেয়। তোড়া ও হেসে দেয় রেয়ান্স এর দিকে তাকিয়ে । রেয়ান্স তোড়া কে এই ভাবে দেখতেই তাদের সমস্ত জারি জুড়ি ফুস হয়ে গেছে। অভি তানিয়া দুজনেই কাঁপতে শুরু করে দিয়েছে।

-“অভি বলছে সে নাকি আমাকে ভালোবাসে। তোড়া হাসতে হাসতে বলে ওঠে।

-” ভুলেই ও দ্বিতীয়বার যেনো এই কথাটা মুখ থেকে না বের হয়। ওর দিকে যে তাকানোর চেষ্টা করবে তার চোখ তুলে নিতে আমার দু সেকেন্ড টাইম লাগবে। রেয়ান্স তীক্ষ্ণ ভাবে বলে ওঠে।

-“ওয়াইফি সব রেডি আছে। রেয়ান্স তোড়ার দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে ।

-“তুই আমাকে মেরে ফেলতে চেয়ে ছিলি তাই না এইবার আমি তোকে বোঝাবো মৃত্যু কাকে বলে। ছোটো থেকে আমি কখনো তোকে পর ভাবিনি সব সময়ে আমি তোকে আমার নিজের বোন ভাবতাম আমার সব জিনিষ আমি তোকে দিতাম এমন কি আমার নিজের মা ড্যাড কে তুই আমার থেকে কেড়ে নিয়েছিলি তাও আমি হাসি মুখে মেনে নিয়েছিলাম আমার ক্যারিয়ার ও পর্যন্ত আমি তোকে হাসতে হাসতে দিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু তুই তোর আসল রং দেখিয়ে দিলি। এটা ঠিক রক্ত কথা বলে দেখ তোর রক্ত ও ঠিক বেইমানি করে দিলো। আজ তুই ভয় পাবি মৃত্যু ভয়। তোড়া কঠিন ভাবে বলে ওঠে।

-“তোর জন্য আমি আমার মা কে হারিয়েছি শুধু মাত্র তোর জন্য। তোকে আমি কখনওই বোন ভাবিনি। তোকে আমি ঘৃণা করি শুধুমাত্র ঘৃণা করি। তানিয়া রেগে বলে ওঠে।

-” তাই নাকি দেখা যাক এই আমাকে তুই পায়ে ধরে বাঁচার ভিক্ষা চাইবি। জাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ ।তোড়া চিৎকার করে বলে ওঠে।

এতক্ষণ ওখানে দাঁড়িয়ে রেয়ান্স আর অভি ওদের কথা শুনছিল। ওদের দুজনের কথা শুনেই ওরা হতভম্ব হয়ে গেছে। অভি নিজেও জানতো না যে তানিয়া তোড়া আপন বোন নয়। কিন্তু এদের মধ্যে আরো বড় কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে। আর এদিকে রেয়ান্স এর মনের ভিতরে শুধু তানিয়ার বলা শেষ কথা গুলো কানে বাজছে। কি বলতে চাইলো তানিয়া কি হতে পারে।

—————

আন্ডার কনস্ট্রাকশন বিল্ডিং এর সাততলায় দাঁড়িয়ে আছে অভি তানিয়া রেয়ান্স তোড়া । তাদের দূরে কিছু পুলিশ দাঁড়ানো আছে। বিল্ডিং এর একদম ধারে দাঁড়িয়ে আছে তানিয়া আর তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে তানিয়া আর কয়েক পা পিছনে বিল্ডিং থেকে পড়ে সোজা উপরে যাওয়ার টিকিট কেটে নেবে। তানিয়ার মুখে এখন ভয় এর ছাপ স্পষ্ট. সে ভীতু চোখে একবার পিছনে তো একবার তার সামনে দাঁড়ানো তোড়া কে দেখছে।

তোড়ার মুখে ফুটে আছে হিংস্রতার ছাপ। সে এখন ধরতে গেলে নিজের মধ্যে নেই। সে এক পা এক পা করে তানিয়ার দিকে এগিয়ে আসছে। তানিয়া তার দিকে তোড়া কে এগিয়ে আসতে দেখে আকুতি করতে থাকে।

-“তাথই প্লিজ আমাকে ছেড়ে দে। প্লিজ প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দে। আমি মরতে চাইনা।

-” অভি প্লিজ আমাকে বাঁচিয়ে নাও প্লিজ অভি আমি মরতে চাইনা প্লিজ।

-“তাথই আমি তোর পায়ে পড়ছি প্লিজ আমাকে মেরে ফেলিস না আমি মরতে চাইনা।আমি আমি সব স্বীকার করছি তো আমি সব ঠিক করে দেবো তবুও প্লিজ আমাকে ফেলে দিস না আমি মরতে চাইনা।

এর মধ্যে তোড়া এসেই তানিয়ার কোমরে ধরে পিছনের দিকে ধাক্কা দিয়ে দেয়। সাথে সাথে তানিয়ার মুখ দিয়ে একটা শেষ চিৎকার বেরিয়ে আসে।

-“তাথই…. ।

তানিয়া বিল্ডিং থেকে নিচে পড়ে যায় তোড়ার ধাক্কায়। সাথে সাথে রেয়ান্স আর অভি ছুটে আসে কিন্তু তোড়া নির্বিকার হয়ে দাঁড়িয়ে আছে যেনো এতে তার কিছু যায় আসে না।
.
.
.
. ❤️❤️❤️
. চলবে…..

ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন…..।

#ইষ্ক_ইবাদাত
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_৪১

মাটি থেকে কিছু মিটার ওপরে তানিয়া হওয়ায় ভেসে আছে। তার চোখ এখনও বন্ধ করে রেখেছে মুখ পুরোই ফ্যাকাশে হয়ে আছে । সাত তলা বিল্ডিং থেকে নীচে পড়তে পড়তে হঠাৎ থেমে যেতেই তার মনে হয়েছিলো সে মরে গেছে আর বেঁচে নেই কিন্তু তার গায়ে কোনো আঘাত না লাগায় চোখ খুলে দেখে সে শূন্যে ভেসে আছে। কিন্তু কি করে এবার নিজের শরীরের দিকে তাকাতে দেখে তার কোমরের সাথে ওয়্যার লাগানো আছে কিন্তু কি করে আর কখন লাগানো হলো সে তো কিছুই জানে না। তানিয়া এবার নিচে তাকাতেই তার দম আটকে আসছে নিঃশ্বাস নিতে তার কষ্ট হচ্ছে নাকি নিতে ভয় পাচ্ছে সে বুঝতে পারছে না। তার চোখে মুখের রং উড়ে গেছে। সে ভাবতেই পারছে না সে বেঁচে আছে। এই সব ভাবতে হঠাৎ অনুভব করে সে আস্তে আস্তে উপরের দিকে উঠে যাচ্ছে।

তানিয়ার সারা শরীর কাঁপছে পুরো শরীর ঠান্ডা পড়ে গেছে। তার এখনও মনে হচ্ছে এই ওয়্যার ছিড়ে যদি আবারো সে নিচে পড়ে যায় তাহলে সে আজ নির্ঘাত ভবলীলার সাঙ্গ হবে। ঢোক গিলে গিলে সে নিজের অবস্থান দেখতে থাকে। তার শরীরের ভারসাম্য আসতে আসতে কমে আসতে থাকে।

তানিয়া কে কয়েক জন গার্ড ধরে আবারো বিল্ডিং এর ওপরে তুলে নেয়। তানিয়া কে দাঁড় করিয়ে দিতেই সে হাঁটু গেড়ে বসে পড়ে তার শরীরের সমস্ত ভারসাম্য সে হারিয়ে ফেলেছে দাঁড়িয়ে থাকার মতো শক্তি টাই আর বেঁচে নেই তার সারা শরীর কাঁপছে। তার সমস্ত মনোবল ভেঙে গেছে মৃত্যু কে এত কাছে থেকে দেখে। ভয়ে তার শরীর ঠান্ডা হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ পর হালকা ঝাপসা চোখে চারিদিকে তাকাতেই দেখতে পায় তার ঠিক সামনে তোড়া দাঁড়িয়ে আছে আর তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে রেয়ান্স। আর তাদের থেকে কিছু দূরে আছে অভি ও পুলিশ অফিসাররা।

-“কেমন লাগলো মৃত্যুর মুখের থেকে জার্নি করে এসেছে? নিশ্চয়ই ভালো লেগেছে? এটা ছিল তোমার শাস্তি আমার ওয়াইফ কে মেরে ফেলার চেষ্টা করার জন্য। রেয়ান্স তানিয়া সামনে চেয়ারে বসে বলে ওঠে।

তানিয়া কোনো কথা না বলে বোজা বোজা চোখে পিট পিট করে তাকাচ্ছে ।তার মধ্যে আর কোনো শক্তি বেঁচে মৃত্যু ভয়ের সাথে সাথে তার শরীরের সমস্ত শক্তি গায়েব হয়ে গেছে। তার নিঃশ্বাস নিতে ও কষ্ট হচ্ছে।

-“তোকে মেরে হাত নোংরা করার কোনো ইরাদা আমার নেই। আমি শুধু তোকে বোঝাতে চেয়েছিলাম মৃত্যু ভয় কাকে বলে আর কেমন লাগে ঠিক। আশা করি তুই এক্সপিরিয়েন্স করে নিয়েছিস যে ঠিক কেমন লাগে। তোড়া তীক্ষ্ণ ভাবে বলে ওঠে।

-” বিশ্বাস কর তোকে বাঁচিয়ে রাখতে ও আমার ইচ্ছা করে না কিন্তু কি করবো বল তুই আর আমি যে একি নয়। আমি যদি আমার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তোকে মেরে ও ফেলি তাহলে তোর আর আমার মধ্যে পার্থক্য কি থাকলো। তোড়া বলে ওঠে।

-“তা তা তাথই। আ আ আমাকে ক্ষমা করে দে। তানিয়া আটকে আটকে বহু কষ্টে কথাটা বলে ওঠে। এই টুকু কথা বলতেও সে হাঁফিয়ে উঠেছে।

-“ক্ষমা হা হা হা। তোড়া হেসে ওঠে। তুই চিন্তা করিস না। আমি তোকে প্রাণে মারিনি কিন্তু তোকে আমি তিলে তিলে মারব। এখন তোকে বাঁচিয়ে নিয়েছি কেনো জানিস। কারণ এখন যদি তুই মরে যেতিস তাহলে তুই শান্তি পেয়ে যেতিস কষ্ট টা কম হতো এক ধাক্কায় সব শেষ। কিন্তু আমি তোকে এত সহজ মৃত্যু দিতে চাইনা তাই তোকে বাঁচিয়ে নিলাম আর সাথে তোকে বুঝিয়ে দিলাম মৃত্যু ভয় কাকে বলে। তোড়া দাঁতে দাঁত চেপে বলে ওঠে।

-“তোকে আমি ধুকে ধুকে মারব প্রতি টা দিন প্রতি টা ক্ষণে তুই তোর মৃত্যুর জন্য ভিক্ষা চাইবি কিন্তু তুই তা পাবি না এমন শাস্তি আমি তোকে দেবো যা মৃত্যুর থেকে ও ভয়ানক হবে তোর পুরো জীবন আমি নরক বানিয়ে দেবো। বেঁচে থেকে ও তোর আফসোস হবে যে আজ কেনো তুই মরে গেলি না। তোড়া তানিয়ার দিকে ঝুঁকে ঝংঙ্কার ভরা আওয়াজে বলে ওঠে।

তানিয়া আসতে আসতে নিশাড় হয়ে যেতে থাকে তার চোখ আর খুলে রাখতে পারে না তার শরীর পুরো ভারসাম্য হীন হয়ে গেছে তার গলা শুকিয়ে গেছে দম আটকে আসছে নিঃশ্বাস নিতে পারছে না আর তার সাথে তোড়ার কথা গুলো শোনার পর আস্তে আস্তে মাটিতে লুটিয়ে পরে তার পুরো শরীর ছেড়ে দিয়েছে।

তানিয়া কে লুটিয়ে পড়তে দেখে তোড়ার ঠোঁটের কোণে একটা বাঁকা হাসি ফুটে ওঠে। সে দূরে দাঁড়ানো গার্ডদের কে ইশারা করতে তারা এসে তানিয়া কে তুলে নিয়ে যায় স্টেচারে করে। তোড়ার এই কাজের জন্য রেয়ান্স আগের থেকে সব ব্যবস্থা করে রেখেছিলো। আর তানিয়া যখন মৃত্যু ভয়ে তোড়ার কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইছিল পাগলের মত তখন তার কোনো দিকে খেয়াল ছিল না। সে শুধু তাকে যাতে ফেলে না দেয় সেই দিকে ধ্যান রেখেছিলো তাই তোড়া যখন তার কোমরে ওয়্যার ক্লিপ লাগিয়ে দিয়েছিলো সে বুঝতেই পারিনি। তোড়া তখন আসতে আসতে তানিয়ার দিকে এগিয়ে গিয়ে তানিয়ার কোমরে ওয়্যার ক্লিপ লাগিয়ে দিয়ে ধাক্কা দিয়েছিলো। তখনকার কথাটা মনে করতেই তোড়ার ঠোঁটে একটা বাঁকা হাসি ফুটে ওঠে। তানিয়া কে তুলে নিতেই তোড়ার তার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে দেখতে থাকে।

-“যা তোকে বাঁচিয়ে তো নিলাম কিন্তু এই বাঁচা টাকেও সহ্য করতে পারবি না আজ থেকে। তোর জ্ঞান ফিরে চোখ খুলে তুই তোর নরক হয়ে যাওয়া জীবন টা কে দেখতে পাবি। তোড়া নিজের মনে বলে ওঠে।

এতক্ষণ ওখানে দাঁড়িয়ে থাকা অভি নিজের চোখে প্রথম থেকে সমস্ত কিছু দেখছিলো। সে তোড়ার এমন রূপ দেখেই ভয়ে কেঁপে ওঠে। তানিয়া কে যখন ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছিলো এক মুহূর্তের জন্য সেও তার মৃত্যু ভয়ে কেঁপে উঠেছিলো কিন্তু তারপরে যখন ওয়্যার দেখেছিলো তখনই শান্ত হয় কিন্তু সেটা পুরো পুরি ভাবে না। সে বুঝতে পেরেছিল তানিয়ার পরেই তার টার্ন আসতে চলেছে এই ভয়ে সে চুপচাপ দেখে গেছে। কিন্তু তোড়ার তানিয়া কে বলা প্রতি টা কথা শুনে তার রুহ কেঁপে ওঠে।অভি এখন নিজেকে স্থির রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে সে তানিয়া কে নিয়ে যেতে দেখছে শান্ত চোখে।

তোড়া এবার তার দৃষ্টি ঘুরিয়ে অভির ওপর নিয়ে যায়। তোড়া দেখে অভি কি ভাবে ভয় পেয়ে গেছে। তবুও নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তোড়া একবার বাঁকা হেসে অভির দিকে এগিয়ে যায়। অভি এতক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকলেও এবার তোড়া কে তার দিকে আসতে দেখে সে কেঁপে ওঠে। তার শরীরের কাঁপান স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে এবার।

-“ভয় লাগছে বুঝি ? আহারে। রেয়ান্স অভি বেচারা ভয় পেয়ে গেছে কি করা যায় বলোতো। তোড়া ঠাট্টার স্বরে বলে ওঠে।

-” আমি তো এটাই চাই ভয় পাও। আরো বেশি ভয় পাও আমাকে দেখে। তবে চিন্তা করোনা তোমাকে আমি তানিয়ার মত শাস্তি দেবো না। যতোই হোক তুমি আমাকে ভালোবাসতে তাই না তাই জন্য তোমার ওপর একটু তো রহম করতেই পারি তাই না। তবে এটা ভেবনা তোমাকে আমি ছেড়ে দেবো। আমাকে বিক্রি করে দেওয়ার মতো ক্রাইম করেছো তুমি সেটা তো এখন ভুগতেই হবে তাই না। তোড়া দাঁতে দাঁত চেপে বলে ওঠে।

-“অফিসার একে নিয়ে যান। আর দেখবেন যাতে এর ভালো রকম যত্ন আত্তির যেনো হয়। আর তানিয়ার ব্যাপার টাও সেটেল করে নেবেন। তোড়া পুলিশ অফিসার এর দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে ।

-” ইয়েস ম্যাডাম আপনি একদম ভাববেন না আমি দেখে নেবো। আর ওটা নিয়ে একদম চিন্তা করবেন। এইসব ক্রিমিনালদের জন্য আমাদের পুলিশ ডিপার্টমেন্ট এর বদনাম হয় আমরা এদের শাস্তি চেয়েও কিছু করতে পারিনা মাঝে মাঝে আমরা নিজেরাই হেল্পলেস হয়ে যাই। বড় বড় মাপের লোকদের পাওয়ার এর জন্য এদের বেশি দিন জেলে আটকে রাখা যায় না আর না যায় এদের বিরুদ্ধে কোনও স্টেপ নেওয়া এরা হাজার ক্রাইম করেও সমাজে বুক চিতিয়ে ঘুরে বেড়ায়। তাই আমি ও চাই এদের শাস্তি হোক। হোক না সেটা ভিন্ন পর্যায়ে। আইনের যেমন কঠিন নিয়ম ও আছে তেমন তার ফাঁক ফোকড় আছে। আর আমরা তো আইনের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু করছিনা। আমরা সব কিছু আইন মোতাবেক করছি। আপনি এর রিপোর্ট খুব তাড়াতাড়ি দেখতে পারবেন। বলেই অফিসার টা হালকা হেসে বেরিয়ে যায় অভি কে নিয়ে।

এতক্ষণ এখানে যা যা কিছু হয়েছে সব কিছুই রেয়ান্স চুপচাপ বসে বসে দেখেছে। তোড়ার শান্ত চেহারার পিছনে এমন ভয়ানক রূপ দেখেই সে অবাক হয়ে গেছে সাথে ইমপ্রেস ও হয়েছে। তবে তার মুখে কোনো এক্সপ্রেশন বোঝা যাচ্ছে না। সে তোড়ার দিকে এক পলক তাকিয়ে তোড়া কে নিয়ে বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে যায়।
.
.
.
. ❤️❤️❤️
. চলবে…….

ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন……।