একটু বেশিই ভালোবাসি পর্ব-১৪

0
3411

#একটু_বেশিই_ভালোবাসি
#Maishara_Jahan
Part……………14

মেঘা আর কিছু বলে না, অয়ন তার পেটে হাত দিয়ে রেখেছে তার কেমন জানি একটা অনুভুতি হচ্ছে। একটা ভালো লাগা অনুভূতি। মেঘা অয়নের সামনে ফিরে তার বুকে মাতা রেখে চোখ বন্ধ করে দেয় লজ্জায় আর বলে,,,

মেঘা,,,,,,,,,, আমারো অনেক ভয় করছে।

সকালে,,,,,,,,,,

মেঘা ঘুমের মধ্যে অন্যদিকে ফিরতে চাই, কিন্তু পারে না। দুই তিন বার চেষ্টা করার পরেও ফিরতে পারছে না। মনে হচ্ছে কেও তাকে শক্ত করে আবদ্ধ করে রেখেছে।

অবশেষে আর না পেরে অলসতা ছেড়ে চোখ মেলে তাকায়। তাকিয়ে থেকে অয়ন তাকে বাহু ডরে আবদ্ধ করে রেখেছে।

মেঘা,,,,,,,,,,,ঘুমিয়ে থাকলে তোমাকে কতো সুন্দর আর মাসুম লাগে আর জেগে থাকলে ডেভিল লাগে।

মেঘা উঠার চেষ্টা করে কিন্তু পারেনা,

মেঘা,,,,,,,,,,, ভাইয়া ভাইয়া,, উঠেন

মেঘা আপ্রান চেষ্টা করছে, আর না পেরে অয়নকে সুরসুরি দেওয়া শুরু করে। অয়ন অনেক চেষ্টা করে না হেসে চোখ বন্ধ করে রাখার কিন্তু পারে না, মেঘাকে ছেড়ে হাসতে থাকে। কিছু ক্ষন পর, হাসি থামিয়ে।

অয়ন,,,,,,,,,,, ওই তুই আমাকে সুরসুরি কেন দিচ্ছিস।

মেঘা,,,,,,,,,,, ভাইয়া তুমি আমাকে এমন ভাবে ধরে ছিলে আর ছারছিলেই না, তো কি করবো আমি।

,,,,,,,,,,,, কি বললি, ভাইয়া মানে। তুই আমাকে ভাইয়া বলে কেনো ডাকছিস।

,,,,,,,,,,, আমি আগে থেকেই তো তোমাকে ভাইয়া বলে ডাকি। এখন আবার কি বলে ডাকবো।

,,,,,,,,,,,, অয়ন বলে ডাকবি।

,,,,,,,,,ঠিক আছে অয়ন ভাইয়া।

,,,,,,,,,,,, শুধু অয়ন, আগে পিছে কিছু লাগানোর দরকার নেয়। আর ভাইয়া যদি তোর মুখ থেকে শুনি তাহলে খবর আছে। চাইলে রাফিকে ভাইয়া বলে ডাকতে পারো।

এটা বলে অয়ন ওয়াশ রুমে ডুকে যায়।

মেঘা,,,,,,,,,,দাঁড়ান আমি আগে যাবো।

,,,,,,,,,,, চাইলে আমার সাথে ডুকতে পারোছ।

,,,,,,,,, থাক লাগবে না, আমি পরেই যাবো। আর গোসল করে বের হবেন কারন আমরা কিন্তু আজকে আমার বাড়ি যাবো। মনে আছে তো।

,,,,,,,, হুমম হুমম।

কিছু সময় পর মেঘা আর অয়ন বেরিয়ে পরে রিমানদের বাসায় যাওয়ার সময়। বাহিরে জোরে বৃষ্টি হচ্ছে। মেঘা বাহিরে তাকিয়ে আছে মন খারাপ করে।

অয়ন,,,,,,, এভাবে মুখ ফুলিয়ে রেখেছিস কেনো।

,,,,,,,,,, আমার না বৃষ্টিতে ভিজতে খুব ইচ্ছে করছে।

,,,,,,,,,,, তুই মুখ ফুলিয়েই রাখ, বৃষ্টিতে ভেজা লাগবে না। মনে নেয় আগের বার বৃষ্টিতে ভিজে কি হয়েছিলো। জ্বরে ঠান্ডায় অবস্থা খারাপ।

মেঘা গাড়ির জালানা খুলে বাহিরে হাত বারিয়ে বৃষ্টিতে হাত ভেজাচ্ছে। অয়ন তার হাত বের করে মেঘার হাতে মারতে থাকে। মেঘা ভিতরে হাত ঢুকিয়ে নেয়।

মেঘা,,,,,,,,, মারছেন কেনো। আমার না মেঘা তাই মেঘে ভিজলে কিছু হবে না।

,,,,,,,, তা তো কিছুদিন আগেই দেখেছি।

অয়ন মেঘার হাতটা নিয়ে তার সাদা শার্টটার এক কোনা বের করে মুছে দিতে থাকে। মেঘা অয়নের দিকে মুগ্ধ নজরে তাকিয়ে আছে, ঠোঁট থেকে হাসি যাচ্ছে না।

অয়ন,,,,,,,,,, এমন ভাবে তাকাস না কিছু কিছু হয়।

মেঘা,,,,,,,,,,, কি হয় (অয়নের দিকে মনোযোগ দিয়ে,অন্য মানুষ্ক্য হয়ে)

অয়ন মেঘার দিকে মুখ তুলে তাকায়, তখন মেঘার হুশ ফিরে, মেঘা আবার বাহিরের দিকে ফিরে যায়।
এটা দেখে অয়ন আজানতে হেঁসে ফেলে।

কিছু খন পর তারা পৌঁছে যায়। মেঘা নামতে নেয়, অয়ন তাকে নামতে না করে।অয়ন গিয়ে তাড়াতাড়ি ভিতর থেকে ছাতা নিয়ে আসে, এসে মেঘাকে নিয়ে যায়। এটা দেখে মেঘার বাবার চোখে পানি চলে আসে।

বাবা,,,,,,,,, অয়ন আমার মেয়েকে এতো ভালোবাসে, এটা আমি আগে কেনো দেখিনি। আমার চোখে কেনো ধরা পড়লো না।

রিমান তার বাবার দিকে চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে আছে।

রিমান,,,,,,,,,, শুধু বাবা দেখে কিছু বলাম না। হমু হমু এক আমরাও বাবা হোমু।

বাবা,,,,,,,, আগে হয়ে নে।

রিমান,,,,,,,,,, এমন ভাবে বলছো যেনো জীবনে বাবা হতে পারমু না। আমারো বাচ্চা হবে।

অয়ন আর মেঘা ভিতরে আসে।

মেঘা,,,,,,,,,,, তোর বাচ্চা হবে, তার মানে ভাবি মা হতে চলেছে, সত্যি। (খুচি হয়ে)

ফারিয়া,,,,,,,,,,, সত্যি রিমান আমি মা হতে যাচ্ছি।(পেটে হাত দিয়ে)

রিমান,,,,,,,,, আরে কেও মা হচ্ছে না এখানে, মেঘা তোর কানে প্রবলেম আছে। আর ফারিয়া তুমি কি আমাকে জিজ্ঞেস করছো, তুমি মা হলে কি তুমি বুঝতে পারবে না।

ফারিয়া,,,,,,,,, না আমি ভাবলাম, তুমি ডক্টর হয়তো আমার আগে জেনে গেছো।

রিমান,,,,,,,, আমি এটা বুঝলাম না অয়ন আসছে, এ কারনে তোমরা আমাকে কেনো সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠিয়ে এখানে দাঁড় করিয়ে রেখেছো।

বাবা,,,,,,,,, ও এখন এ বাড়ি জামাই।

রিমান,,,,,,,,, তো কি কোলে নিয়ে নাচমু, ওকে তো কোলেও উঠাতে পারমু না। আচ্ছা যাক, আসছস ভালো করছস, যদিও আমার কোনো রকম লাগছে না, তাও কিছু লাগলে আমাকে ডিস্টার্ব করিছ না বাবাকে বলিস।

বলে হামি তুলতে তুলতে চলে যায়। সবাই তার দিকে তাকিয়ে তার যাওয়া দেখছে৷

ফারিয়া,,,,,,,,,,, তোমরা উপরে যাও, গিয়ে রেস্ট করো।

মেঘা আর অয়ন রুমে যায়।

মেঘা,,,,,,,,,,, তুমিতো অনেকটাই ভিজে গেছো, দাঁড়াও।

মেঘা একটা তোয়ালে এনে অয়নের মাথা মুছতে লাগে। অয়ন মেঘার দিকে তাকিয়ে আছে। মেঘা অয়নের মাথা মুছতে মুছতে অয়নের দিকে তাকায়। হঠাৎ করেই অয়ন মেঘার ঠোটের সাথে ঠোঁট লাগিয়ে দেয়। মেঘা চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে।

একটু পর ছেড়ে দিয়ে তাওয়ালে নিয়ে হাসি দিয়ে রুম থেকে চলে যায়। মেঘা এখনো বরফের মতো দাঁড়িয়ে আছে।

কিছু ক্ষন পরে মেঘা নিচে যায়,অয়ন মেঘার দিকে এক নজর তাকিয়ে আবার রিমানের সাথে কথা বলাতে মনোযোগ দেয়।

দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষে মেঘার বাড়িতে আবার রিনার এন্টি হয়। দরজা খুলতেই মেঘার মাথায় বাড়ি পড়ে। রিনাও মেঘাকে দেখে মুখটা ছোট করে ফেলে।

অয়ন,,,,,,,,, তুমি এখানে, কিছু কাজ থাকলে ফোন করে নিতে।

মেঘা,,,,,,,,(হুহহ আমাকে তুই আর এই রিনাকে তুমি করে ডাকে, ভাব দেখে পারি না)

রিনা,,,,,,,,,, স্যার আসলে কিছু ফাইলে আপনার জরুরি সাইন লাগবে আর কিছু কথাও বলা আছে, কোম্পানির বিষয়ে।

রিমান,,,,,,, ঠিক আছে, তোমরা গিয়ে বরং রুমে গিয়ে কথা বলো।

মেঘা,,,,,,,,,,(আমার জম্মের শত্রু কোথাকার, আমার স্বামীর সাথে আমার রুমে গিয়ে রোমান্স করার বুদ্ধি দিচ্ছে)

মেঘা রাগে রিমানের দিকে তাকিয়ে আছে, রিমান মেঘার তাকানো দেখে আশে পাশে তাকায়।

রিমান,,,,,,,, তুই আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছিস কিন্তু কেনো।

মেঘা,,,,,,,,, তুই অনেক ভালো তো তাই।

রিমান,,,,,,,,, এটা আমি জানি।

মেঘা ও অয়ন আর রিনার পিছনে পিছনে যায়। মেঘা লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছে তারা কি করছে। অয়ন আর রিনা অনেক হেঁসে হেঁসে কথা বলছে।এটা দেখে মেঘার মুখ রাগে লাল হয়ে যায়।

মেঘা,,,,,,,,,,,(এমন কি ছাতার মাথা বলছে যে, তারা এতো হাসছে, কিছু শুনাও যাচ্ছে না। আর একটু দূরে বসে কথা বললে কি হয় অদ্ভুত)

কিছু ক্ষন পরে রিনা উঠে যেতে নেয়, আর পায়ের সাথে বেঝে পড়ে যেতে নেয় আর অয়ন ধরে ফেলে। এটা দেখে মেঘার মনে আগুন জ্বলে উঠে। চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে যায়।

সে রাগে নিচে চলে যায়। রিনা চলে যায়। অয়ন কথা বলার চেষ্টা করছে কিন্তু মেঘা মুখ বার করে আছে।

রিমান,,,,,,,, তোর ঝাড়ুর মতো মুখ এটা আবার ভার করে রাখছস কেনো।

মেঘা সোফা থেকে একটা বালিশ উঠিয়ে রিমানের গায়ে ছুড়ে মারে।

মেঘা,,,,,,,, (আজ মনে করেছিলাম তুমি আমাকেই ভালোবাসো কিন্তু আজ আবার আমাকে ভুল প্রমান করে দিলে। তুমি প্রথমি আমাকে বলছিলে রিনা তোমার গার্লফ্রেন্ড আমিরি বিশ্বাস করতে দেরি হয়েছে)

রাত ৮ টার দিকে মেঘাদের বাড়িতে রাফি আসে।

অয়ন,,,,,,,,, আপনি এখানে এতো রাতে।

রাফি,,,,,,,,,, আমি মেঘার সাথে দেখা করতে এসেছি।

অয়ন,,,,,,,,কেনো।

রাফি,,,,,,,,, ঐ সাইকোটার একটা খবর পেয়েছি, সে এই শহরেই থাকে, আমরা তার খুব কাছে যে কোনো সময় ধরে ফেলতে পারবো।

মেঘা,,,,,,, এতো খুব ভালো খবর।

রাফি,,,,,,,,, তোমার কারে ওর দেওয়া কোনো চিঠি বা কাগজ বা জিনিস থাকলে আমার দাও।

অয়ন,,,,,,,,,, সে সব কিছু আমার কাছে। কাল আপনার কাছে পৌঁছে যাবে।

রাফি অয়নের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দেয়। কিন্তু তার চোখ অন্য কিছুই বলছে।

রাফি,,,,,,,,, আমার মেঘার সাথে কিছু আলাদা কথা ছিলো।

অয়ন,,,,,,,,, কিসের জন্য।

রাফি,,,,,,,,, এই কেস নিয়েই কিছু জিজ্ঞেসা করার আছে আমার।

অয়ন,,,,,,,, হুমম তো এখানে বলুন।

রাফি,,,,,,,,, এটা আমার মেঘাকে একা জিজ্ঞেস করতে হবে। কারন অপরাধী কে এখনো জানা যায়নি, অপরাধী যে কেও হতে পারে। তাই আমরা কাওকে বিশ্বাস করতে পারছি না।

অয়ন,,,,,,,,, মেঘা বলে দে তুই ওর সাথে একা কথা বলবি না।

মেঘা,,,,,,,,,(অয়ন বলতে পারলে আমি কেনো পারবো না) আমার কোনো সমস্যা নেয়।

অয়ন রাগে তার হাতের মুঠ বন্ধ করে ফেলে।

রাফি আর মেঘা দূরে গিয়ে বসে কথা বলছে।

রিমান,,,,,,,, আমার কেনো জানি এই রাফিকে গন্ডগোল লাগে।

অয়ন,,,,,,,, আমারো, আমি খুঁজে পেলাম না ঐ সাইকোকে আর রাফি এতো তাড়াতাড়ি পেয়ে গেলো। সাইকোর আগে রাফির জন্ম কুন্ঠলি বের করতে হবে।

,,,,,,,,
মেঘা,,,,,,,,,, এই সাইকোর চিন্তা আমার আর ভালো লাগে না। একটু তাড়াতাড়ি কিছু করেন।

রাফি,,,,,,,,, চিন্তা করো না, আমি আছি তো। মেঘার হাতে হাত রেখে)

অয়ন,,,,,,,,,, মেঘার হাত ধরছে কেনো। (রাগ)

অয়ন যেতে নেয় রিমান ধরে ফেলে। মেঘার রাফির ছোঁয়া একদম ভালো লাগছে না, তাই তার হাত সরিয়ে নেয়।

রাফি,,,,,,,,, তোমার গলায় কি।

মেঘা,,,,,,,,,,, কি (গলায় হাত দিয়ে ঘষতে ঘষতে)

রাফি এমনি মেঘার গলায় হাত দিয়ে কিছু একটা ছেড়ে ফেলে দিয়েছে মন করে। মেঘা বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে যায়। এটা তার একদম ভালো লাগে না।

রাফি,,,,,,,, পোকা ছিলো। (অয়ন ভালো করে দেখ)

অয়ন রাগে যেতে নেয়, রিমান জোরে ধরে রাখে।

রিমান,,,,,,,,, রাগ করিস না, পিল্জ কোনো জামেলা করিস না।

রাফি,,,,,,,,, মেঘা আমি এখন যায়।

মেঘা,,,,,,,,কিছু খেয়ে যান।

রাফি,,,,,,, না আরেক দিন, চা তো খেলাম।

রাফি যাওয়ার সময় মেঘাকে একটা ছোট করে গুড বাই হাক দিয়ে চলে যায়। মেঘার এ সব একদম ভালো লাগছে না।

রিমান দেখে অয়ন চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। তাই রিমান অয়নকে ছেড়ে দেয়। আর অয়ন তাড়াতাড়ি গিয়ে মেঘার হাত ধরে রুমে নিয়ে যায়।

মেঘা,,,,,,,,,, কি করছো কি, আমার লাগছে।

অয়ন মেঘাকে রুমে ডুকিয়ে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেয়। অয়ন রাগি ভাবে মেঘা দিকে তাকিয়ে আছে।

মেঘা,,,,,,,,, কি হয়েছে (ভয়ে)

,,,,,,,, তুই ছোট কিছু বুঝিস না। রাফিকে তোর গায়ে হাত লাগাতে কেনো দিলি। কি খুব মজা লাগছে ওর ছোঁয়াতে।

,,,,,,,,,, ভাইয়া মুখ সামলে কথা বলো।

,,,,,,,,,, এখন তো কোনো কথায় হবে না। কোথায় ছুঁয়েছে তোকে। গলার এই জায়গায় না। (পাগলের মতো করে)

অয়ন মেঘাকে জোর করে ধরে গলায় জোরে কামড়ে ধরে। ব্যাথায় মেঘার চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে যায়।

মেঘা,,,,,,,,, ছাড়ো আমায় ছাড়ো, ব্যাথা লাগছে।

অয়ন কোনো কথা শুনছে না। অয়ন মেঘার গলায় কামড়ে দাগ বানিয়ে ফেলে।

,,,,,,, কি আমার ছোঁয়া ভালো লাগি নি। এখনি ভালো লাগবে।

বলে মেঘার ঠোঁটে কিস করতে থাকে। মেঘা ছাড়ানোর চেষ্টা করছে। তার দুহাত দিয়ে অয়নকে ধাক্কাচ্ছে। অয়ন আরো শক্ত করে ধরে মেঘাকে বিছানায় ফেলে দেয়। মেঘার উপরে উঠে দুহাত ধরে ঠোঁটে গলায় পাগলের মতো কিস করতে লাগে।

মেঘা আর না পেরে জোরে জোরে কান্না করে দেয়। মেঘার কান্নার আওয়াজ শুনে অয়নের হুশ ফিরে। সে মেঘার দিকে তাকিয়ে দেখে সে চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে কান্না করছে।

অয়ন মেঘাকে ছেড়ে দেয়। মেঘা অন্য পাশে ফিরে বালিশ আঁকড়ে ধরে কান্না করছে। মেঘাকে দেখে অয়নের কষ্ট হচ্ছে। সে রুম থেকে বেরিয়ে যায়।

মেঘা কান্না করছে আর অয়ন ছাদে বসে নিজেকে দোষ দিচ্ছে। কিছু খন পরে অয়ন রুমে যায় গিয়ে দেখে মেঘা কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছে।

অয়ন মেঘার কাছে গিয়ে তার চোখের পানি মুছে দেয়। মেঘার গলায় রক্ত জমানে দাগ দেখে নিজের উপরি রাগ হচ্ছে অয়নের।

সে একটা মলম এনে, বসে মেঘার গলায় আলতো করে লাগিয়ে দেয়। মেঘা ব্যাথায় কেঁপে উঠে। অয়নের চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে যায়।

অয়ন,,,,,,,,, পিল্জ আমাকে মাফ করে দে। তোর সাথে এমন করবো আমি জীবনেও ভাবিনি। রাগে আমার মাথা ঠিক ছিলো না। তোকে হারানোর ভয় সব সময় আমাকে তাড়া করে বেরাই। পিল্জ আমাকে ভুল বুঝিস না।

আমি জানি আমাকে ছাড়া তুই পূর্ণ কিন্তু আমি তোকে ছাড়া শূন্য। কারন তোকে আমি একটু বেশিই ভালোবাসি। কালি আমি কিছুদিনের জন্য অন্য কোথাও চলে যাবো। জানি এটা সহজে ভুলা সম্ভব না, তবে হতে পারে কিছু দিন আমাকে না দেখলে ভুলে যেতে পারিস।

চলবে,,,,,,,,,,,,,

ভালো লাগলে like, comment করে সাথে থাকুন ধন্যবাদ।