এক ফুল সমুদ্র পর্ব-০৬

0
4787

#এক_ফুল_সমুদ্র
#পর্ব_6
Writer:: Shaanj Nahar Sanjida


হাসি কান্নার মধ্যে দিয়ে আমাদের সকাল পার হলো।আলোকে সমুদ্রের কাছে দিয়ে আমি ভার্সিটিতে গেলাম।অন্যসময় যখন আমি ভার্সিটিতে যাই তখন মা আর মিতু ভাবী ওর খেয়াল রাখে।আজ যেহেতু ওর বাবা এসেছে তাই ওর বায়না আজ বাবার কাছেই থাকবে।যদিও মা বাবা মিতু ভাবী সবাই আজকে বাড়িতে।শুধু আমি আর সোনালী আপু বাহিরে।সোনালী আপু আমি যেই ভার্সিটিতে পড়ি সেই ভার্সিটিতেই মাস্টার্স করছে।তাই প্রায় সময় দুজন এক সাথে যাই।আজও গেলাম।


রুমে
দুপুরে আলো ঘুমাচ্ছে।আর সমুদ্র প্রাণ ভরে মেয়ের ঘুমন্ত চেহারা দেখছে।তখনই দরজায় টোকা পড়লো

আসতে পারি!(আরমান)

বাবা তোমার কি আবার অনুমতি লাগবে নাকি?(সমুদ্র)

না।তুই তো আবার অনুমতি ছাড়া রুমে ঢুকা পছন্দ করিস না তাই বললাম আরকি!(আরমান রুমে ঢুকে)

সমুদ্র তাচ্ছিল্য হাসি দিয়ে
হুম।জানি আমি অনেক খারাপ ছেলে।

না তুই খারাপ ছেলে না।যদিও তোর ব্যবহার অনেক খারাপ।(আরমান বেডে বসতে বসতে)

মাঝে মাঝে বুঝতে পারি না।তুমি কি ইনসাল্ট করছো নাকি প্রশংসা?(সমুদ্র আরমানের কাছে বসে)

হালকা ইনসাল্ট এর উপর ভারী প্রশংসা!(আরমান হাসতে হাসতে সমুদ্রের কাধে হাত রেখে)

বাবা,,(সমুদ্র মুচকি হেসে)

তুই ফুলকে গ্রহণ করতে পেরেছিস বলে আমি অনেক খুশি।(আরমান নিচের দিকে তাকিয়ে)

আমি ওকে আগেই গ্রহণ করেছি বাবা।কিন্তু ওই আমাকে গ্রহণ করতে পারি নি।আমি এখনও ওর প্রকৃত পক্ষে স্বামী হতে পারি নি।(সমুদ্র)

আরমান চুপ করে আছে।

ফুল শুধু তোমার কথায় আমাকে বিয়ে করেছে।কেনো?কেনো ও আমাকে ভালোবেসে বিয়ে করতে পারে নি।আমি তো ওকে বন্ধুর চোখে দেখা অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছি।কিন্তু তবুও ও এখনও শুধু আমাকে ওর বেস্ট ফ্রেন্ড হিসেবেই দেখে।(সমুদ্র)

কিন্তু তুই তো কোনদিন ওকে বলিস নি যে ওকে ভালোবাসিস।বলা দূরে থাক ওকে কোনো দিন বুঝাতেও পারিস নি তুই ওকে ভালোবাসিস।আর আমি তোদের জোর করে বিয়ে দিয়েছি বলে সব রাগ তুই ওর উপর ফেলেছিস।তারপর কি করে আশা করিস ও বুঝবে! ও মানুষ কোনো জোতিষ না।ওকে বুঝাতে হবে।(আরমান)

হুম।ঠিক বলেছো বাবা।এখন থেকে আমি তাই করবো।(সমুদ্র মুচকি হেসে)

হুম।(আরমান)

এইজন্যই কি এসেছিলে?(সমুদ্র)

ও না।আমি এসেছিলাম এইটা জানতে তুই কবে আবার অফিস জয়েন করবি?(আরমান)

মাত্র তো এসেছি বাবা।যতো গুলো বছর হারিয়ে ফেলেছি সেগুলো উশুল করে তারপর আবার কাজে ফিরবো।তার তুমি কোনো চিন্তা করো না সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।আমি না থাকলেও কাজের কোনো ক্ষতি হবে না।তাই আমি বেশ কিছুদিন ফ্রী থাকবো।(সমুদ্র)

হুম তাতো জানি।ব্যবসার ক্ষেত্রে তোকে কেউ মাধ দিতে পারবে না।এইজন্যই তো তুই,,,(আরমান কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেল)

কি বলতে চাইছো বাবা! ব্যবসা বাণিজ্য করতে পরিবারকে ফেলে চলে গেছিলাম।(সমুদ্র নিচের দিকে তাকিয়ে)

ওইটা বাদ দে।এখন যেই জিনিস সব চেয়ে ইম্পর্ট্যান্ট।আর সেটা আর কিছু না সোনালী।সোনালীকে উনারা আগেই দেখেছে উনাদের খুব পছন্দ হয়েছে।এখন উনারা তাড়াতাড়ি এসে বিয়ের দিন তারিখ দিন করতে চায়।ওরা চায় পনেরো দিনের মধ্যেই বিয়ে করতে।(আরমান)

এতো তাড়াতাড়ি?(সমুদ্র)

আসলে ছেলের পরিবার সবাই বিদেশে থাকে।বিয়ে করে আবার সবাই চলে যাবে।তবে সমস্যা নেই তুই যদি চাস তাহলে দেরি করতে পারি উনারাদের তেমন কোনো সমস্যা হবে না।(আরমান)

তুমি খোঁজ নিয়ে দেখছো?(সমুদ্র)

হ্যা।ঐযে তোর শাহাদাত আংকেল আছে তোদের।তার ছেলে।(আরমান)

ও।উনি তো অনেক ভালো মানুষ তাহলে কালকেই আসতে বলো উনাকে আর উনার পরিবারকে।(সমুদ্র)

আচ্ছা।তাহলে আমি এখন উঠি।গিয়ে তাদের ফোন করে বলি কালকে আসার কথা।
বলেই আরমান উঠলো।

ওকে বাবা।(সমুদ্র)

আরমান সমুদ্রকে জড়িয়ে ধরে বলল
ভালো লাগলো বাবা তোর সাথে কথা বলে।

সমুদ্র শুধু মুচকি হাসি দিলো।


দুপুর আড়াটায়
আল্লাহ খোদা।মা গো মা।এতো রোদে জিহ্বা অর্ধেক বের হয়ে গেল আমার।(আমি বাড়িতে ঢুকে)

তোর জিহ্বা অর্ধেক বের হয়েছে।আমার জিহ্বা শুকিয়ে কাঠ হয়ে আছে।মনেই হচ্ছে না এইটা জিহ্বা।(সোনালী হাপিয়ে)

এইজন্যই বলি ছাতা নিয়ে বের হতে।কিন্তু কে শুনে কার কথা?(আয়শা রেগে)

আম্মাজান এমনি রোদের তাপে পুড়তে পুড়তে আসছি এখন প্লিজ আপনার রাগের তাপে পুরাবেন না।
বলেই সোনালী উপরে চলে গেলো।

হ্যা,,এখন তো আমার কথা,,
মা আরো কিছু বলতে যাবে তখনই আমি আটকে বললাম

এইবার শিক্ষা হয়েছে।পরের থেকে ঠিক ছাতা নিয়ে যাবো।
বলেই উপরে চলে গেলাম।

দেখলে তো মিতু একটাও আমার একটা কথাও শুনে না।(আয়শা অভিমানী কন্ঠে)

মা,,আপনিও না।ওরা দুজনই তো বাচ্চা মানুষ।আর কে বলেছে কেউ আপনার কথা শুনে না আমি শুনি তো।(মিতু আয়শাকে জড়িয়ে ধরে)

হুম।এক মাত্র তুইই লক্ষী মেয়ে আমার।(আয়শাও মিতুকে জড়িয়ে ধরে)


রুমে ঢুকেই আমি ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।
ফ্রেশ হয়ে বিছানার দিকে তাকাতেই দেখি সমুদ্র আর আলো দুজন ঘুমাচ্ছে।ওদের ঘুমন্ত চেহারা দেখে আমার খুব হাসি পেলো।
দুজন হাত পা ছড়িয়ে ছিটিয়ে হা করে ঘুমাচ্ছে।দুজন যে বাবা মেয়ে এইটাই তার প্রমাণ।তবে আমি একটা কাজ করতে পারি এতো সুন্দর একটা মুহূর্তকে ক্যাপচার করতে পারি।যেই ভাবা সেই কাজ আমি আমার ফোনটা বের করে কয়টা ছবি তুললাম ওদের ঘুমন্ত চেহারার।
পরে গিয়ে আলোর কপালে একটা চুমু দিলাম।আমার মেয়েটা,,,সত্যিই বাচ্চারা ঘুমালে অনেক নিষ্পাপ লাগে।যদিও বাচ্চারা হয়ই নিষ্পাপ।

পরেই সমুদ্রের দিকে তাকালাম।
বাচ্চাকে তো চুমু দিলাম।এখন কি বাচ্চার বাবাকেও একটা চুমু দেবো?দেই।
বলেই সমুদ্রের কাছে গেলাম।
ইস কি সুন্দর লাগছে ওকে!মন চাইছে খেয়ে ফেলি।(আমি সমুদ্রের কাছে বসে)

অন্যদিকে সমুদ্র ফুলের আসার শব্দ শুনে ঘুমের ভান ধরে আছে,,

খা।আমি কি না করছি?(সমুদ্র ঘুমের ভান ধরে মনে মনে)

কিন্তু আপনাকে খেলে আমার হজম হবে না!(আমি ওর পাশে বসে ওর কপালের চুল গুলো সরিয়ে দিতে দিতে)

কুকুরের পেতে ঘি হজম হয় না।(সমুদ্র মনে মনে)

কারণ আপনি মেয়াদোত্তীর্ণ জিনিস।(আমি)

আমি মেয়াদোত্তীর্ণ জিনিস?ফুল তোকে এখন আমি খাবো!(সমুদ্র মনে মনে)

আপনি একটা ডায়বেটিস রোগীর কাছে মিষ্টির মত। খেতেও ইচ্ছে করে আবার খেলেও মরণ।(আমি)

খোদা আমারে উঠাই নাও।এই মেয়ে কি বলছে?(সমুদ্র মনে মনে)

তবে হা বলতে হবে।আমি আপনাকে অনেক মিস করছি।যেমন ডায়বেটিস রোগী মিষ্টি মিস করে!ঠিক তেমন!(আমি)

মিস করেছিস ভালো কথা। ডায়বেটিসকে কেনো টেনে আনতে গেলি!(সমুদ্র)

জানেন আপনি যখন আমার জীবনে প্রথম এসেছিলেন সেই দিনটা আমার এখনও মনে আছে।আমি কোনো দিন ভুলবো না সেইদিন।আমি সেদিন আমার জীবনের প্রথম বন্ধু পেয়েছিলাম।জানেন আমি কতো খুশি ছিলাম।আপনি যখনই রাগ দেখাতেন,,যখনই চিৎকার চেঁচামেচি করতেন তখন কেনো জানি আমার সব কিছুই ভালো লাগলো।জানেন দাদু কি বলতো!আমরা যার বেশি কেয়ার করি তার উপর আমরা বেশি চিৎকার চেঁচামেচি করি।আমার ভালো লাগতো। আপনার চিৎকার চেঁচামেচি আমার কেয়ার মতে হতো।মত হতো এই পৃথিবীতে কেউ তো আছে যে আমার কেয়ার করে।তবে হ্যা বাবা,,মা,,সাগর ভাইয়া,,সোনালী আপু সবাই আমাকে অনেক ভালোবাসতো,,এখনও ভালোবাসে,,তখনও কেয়ার করতো,,এখনও কেয়ার করে।তবে কেনো জানি আপনার কেয়ারটা অন্যরকম ছিল।হয়তো আমরা বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলাম তাই।(আমি)

ইডিয়ট মেয়ে।অন্যরকম ছিল কারণ আমি তোকে ভালবাসি।আর সেই ভালোবাসা,,মা,,বাবা,,সাগর ভাইয়া আর সোনালীর ভালোবাসার মতো না।সেই ভালোবাসা অনেক মূল্যবান।কিন্তু তুই বুঝতে পারছিস না বুঝতে চাইছিস না!তবে যাইহোক তোর মনে অন্য কেউ নেই এইটা জেনে আমি অনেক খুশি হলাম।এখন বন্ধুত্ব সম্পর্কটাকে আমি অন্য নাম দিয়েই ছাড়বো।এইবার আর হাল ছাড়বো না(সমুদ্র মনে মনে)

তবে যাইহোক আপনিও একটা চুমু পাওনা।এখন আমি আপনাকে সেটাই দেবো।
বলেই উনার দিকে এগুতে লাগলাম।
উনার কপালে চুমু দিয়ে যেই চলে যেতে লাগলাম সেই উনি আমাকে ধরে ফেললো।

আপনি এতক্ষন জেগে ছিলেন?(আমি অবাক হয়ে)

হুম।আর তুই যা যা বলেছিস সব শুনেছি।(সমুদ্র দুষ্টু হাসি দিয়ে)

শুনেন আমি কাউকে ভয় পাই না বুঝলেন?এখন হাতটা ছাড়ুন।
বলেই হাত ছাড়ার চেষ্টা করতে লাগলাম।

ছাড়বো না।একে তো আমার ঘুমন্ত অবস্থার সুযোগ নিচ্ছিস।আবার আমাকে আপনি করে বলছিস?আজ তোকে পেয়েছি ছাড়া কোনো কথাই নেই।
বলেই একটানে সমুদ্র আমাকে উনার উপরে চলে নিলো।

আশ্চর্য।মানুষ ঘুমে থাকলে তার ঘুমন্ত অবস্থার সুযোগ নেয়া যায়।আপনি তো আর ঘুমে ছিলেন না।আপনি তো জেগেই ছিলেন তাহলে সুযোগ আর কোথায় নিলাম।
বলেই উনার উপর থেকে উঠার চেষ্টা করলাম।কিন্তু উনি উনার হাত আমার মাথার পেছনে দিয়ে আমার মুখ একদম উনার মুখের কাছে নিয়ে আসলো।

আমি খানিকটা ভয় পেয়ে গেলাম।

তোকে বলেছি আমাকে তুমি করে বলতে কিন্তু তুই শুনলি না।নে এইবার শাস্তি তোর।
বলেই উনার ঠোঁটের সাথে দেখা ঠোঁট মিলিয়ে দিলো।আমি অবাক চোখে শুধু উনার চোখের দিকে তাকিয়ে রইলাম।

কিছুক্ষণ পর
এখন আমাকে তুমি করে বলবি?(সমুদ্র)

হুম।
আমি মাথা নেড়ে।

গুড।
বলেই আমার কপালে একটা চুমু দিলো।পরেই আমাকে বুকে নিয়ে শুয়ে পড়লো।আমিও কেমন জানি বাধ্য মেয়ের মত উনার বুকে গুটিশুটি মেরে শুয়ে রইলাম।


বিকেলে
ঘুম থেকে উঠেই দেখি।আলো আর সমুদ্র নেই।আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে বিছানা গুছিয়ে।নিচে নামতেই দেখি সবাই মিলে জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছে।

বাহ!সবাই দেখি আমাকে ছাড়া আড্ডা দিচ্ছে।(আমি সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে)

তো কি করবো!কেউ যদি কম্বুকর্নের মত ঘুমায় তাতে কি আমাদের দোষ!(সমুদ্র)

দোষ কার তা আমি খুব ভালো করেই জানি।(আমি মুখ ভেংচি দিয়ে সোফায় আলোর পাশে বসলাম)

ফুল।দুপুরে কিছু খেলি না।এখন কি কিছু খাবি?(আয়শা)

না মা কিছু খেতে ইচ্ছে করছে না।(আমি)

তাহলে আমি বরং মুড়ি মাখিয়ে নিয়ে আসি।কি বলো সবাই? খাবে?(মিতু)

ভাবী আমি তো রেডি।(সমুদ্র)

বড়ো আম্মু আমিও খাবো।(আলো)

ওকে মা আমি এক্ষুনি বানিয়ে নিয়ে আসছি।
বলেই মিতু ভাবী রান্না ঘরে গেলো।

যাই আমিও ভাবীকে গিয়ে একটু সাহায্য করে আসি।(সোনালী)

সূর্য আজ কোন দিকে উঠেছে।তুই ভাবীকে সাহায্য করবি?(সমুদ্র টিটকারি মেরে)

তোর কি হা? যতো সব।
বলেই সোনালী মুখ ফুলিয়ে রান্না ঘরে চলে গেল।

আমি আলোর সাথে কথা বলছি।

আম্মু আজ গোসল করেছো?(আমি)

হুম।আম্মু আজ যখন তুমি ঘুমিয়েছিলে তখন বাবা গোসল করিয়ে দিয়েছে।(আলো)

বাহ!তুমি পারো বাচ্চাকে গোসল করাতে?(আমি)

এইটা কি কোনো রকেট সাইন্স নাকি?না পারার কি আছে?(সমুদ্র ভাব নিয়ে)

জানো আম্মু আব্বু না প্রথমে আমাকে শাম্পুর বদলে কন্ডিশনার দিয়ে দিতে ছিলো।পড়ে আমি বলাতে ঠিক করে দিয়েছে।পড়ে আমার চুলও বাধতে পারেনি।তাই চুলটা বড়ো আম্মু বেধে দিয়েছে।(আলো)

হ্যা রকেট সাইন্স!(আমি সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে তাচ্ছিল্য করে)

সমুদ্র অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিলো।

আমরা তুমুল ঝগড়া নিয়ে ব্যাস্ত তখনই মিতু ভাবী আর সোনালী মুড়ি মাখিয়ে নিয়ে আসলো।

সবাই খেতে ব্যাস্ত তখনই বাবা বলে উঠলো
কালকে সোনালীকে ওরা দেখতে আসবে।আর কালকেই বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করা হবে।

আমরা সবাই অবাক হয়ে গেলাম।

বাবা কাল?(মিতু)

হুম।(আরমান)

পরেই আমি সোনালীর দিকে তাকালাম। ও শুধু আমার দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিলো।

আমিও ভাবলাম এইটাই ভালো।

তাহলে তো অনেক কিছু করতে হবে!বাজার করা তো এখনও বাকি!(আয়শা)

ঠিক।(মিতু)

কোনো চিন্তা নেই।কাল সকাল সকাল আমি আর সমুদ্র মিলে বাজার করে নিয়ে আসবো।(আরমান)

আচ্ছা ঠিক আছে।(আয়শা)


রাতে
আম্মু। ফুপিকে কি কালকে তারা নিয়ে যাবে?(আলো)

না মা। ফুপিকে কালকে তারা দেখতে আসবে!(আমি আলোর জামা পাল্টে)

তোমাকেও বাবা দেখতে এসেছিলো?(আলো)

আমি চুপ করে গেলাম।আর সমুদ্র এতক্ষন লেপটপে কাজ করছিলো আমার কথা শুনে কাজ বন্ধ করে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো।

কিছুক্ষণ পর
সমুদ্র উঠে

মা।আমি তোমার আম্মুকে কিডন্যাপ করে নিয়ে এসে বিয়ে করে ফেলেছি।(সমুদ্র আলোকে কোলে নিয়ে)

আমি মাথায় হাত দিয়ে বললাম
আর কিছু পেলো না বলার।

মানে?(আলো মুখে হাত দিয়ে)

মানে,,,
সমুদ্র আরো কিছু বলতে যাবো তার আগেই আমি বলতে শুরু করলাম

কিছু না কিছু না ঘুমাও
চলো।

বলেই ওদেরকে তাড়া দিয়ে ঘুমাতে পাঠালাম।

পরেই বেলকনিতে গিয়ে অতীতের কথা ভাবতে লাগলাম।যেদিন প্রথম এই বাড়িতে এসেছিলাম।


চলবে,,,