কালোবউ পর্ব-২১

0
1004

🖤#কালোবউ🖤
লেখিকাঃ Tahmina Toma
পর্বঃ২১

আকাশঃ মানে????

মেঘলাঃ কিছু না,, আমি একটু একা থাকতে চাই প্লিজ।

আকাশঃ মেঘলা আমার কথাটা,,,,,,,

মেঘলাঃ আপনি শুনতে পাননি,,,আমি একটু একা থাকতে চাই,,,,live me alone(চিৎকার করে)

আকাশঃ (এখন ও রেগে আছে কিছু বলে লাভ নেই। মাথা ঠান্ডা হোক তারপর বুঝিয়ে বলবো। চুপচাপ বেড়িয়ে এসে ছাদে চলে এলাম। এখন সামনে পেলে ঐ কুত্তার বাচ্চা সজীবকে মেরে পুঁতে রেখে দিতাম। এটাতো এর ভাইয়ের থেকেও ইবলিশ।)

মেঘলাঃ (উনার কাছে আমি শুধু প্রতিশোধ নেওয়ার গুটি মাত্র। উনি আপুকে ভালোবাসে। সত্যি আপুর মতো মেয়েই উনার যোগ্য। কিন্তু আমিতো যেমন ছিলাম খুশি ছিলাম। আমার জীবনটা নিয়ে কেন খেললেন?? কেন??চিৎকার করে কেঁদেও মন ভরছে না। উনারতো আমার প্রয়োজন শেষ এখন তাড়িয়ে দিলে আ,,,আমি কোথায় যাবো?? বাবা-মার কাছে। কিন্তু সবাই কী বলবে?? মনে হচ্ছে চারদিক থেকে মানুষ আমাকে দেখে নাক কুঁচকচ্ছে। নানা রকম কথা শোনাচ্ছে,,,

,,,,,,,,এই দেখেছো বাপটা এত কষ্ট করে বিয়ে দিয়েছে স্বামীর ঘর করতে পারলো না। ঠিক আবার বাপের ঘাড়ে উঠেছে।

,,,,,,,,,,ওমন সুন্দর রাজপুত্রের মতো ছেলে এমন কালির পুতুল বিয়ে কেন করেছিলো সেটাই আমি বুঝতে পারছি না।

,,,,,,,,,,,আরে ওসব বড়লোকের ছেলে ফর্তি করতে মন চেয়েছে করেছে। এখন মন ভরে গেছে ছেড়ে দিয়েছে।

,,,,,,,,,,,,আবার বাপটার ঘাড়ে বোঝা হয়ে ফিরেছে।

,,,,,,,,,,,,বাপ আর কয়দিন ঘাড়েতো ওঠেছে ভাইয়ের।

,,,,,,,,,,,,,,আমারতো মাহিনের ওপর মায়া হচ্ছে। কে মেয়ে দেবে এমন ছেলেকে যার ঘাড়ে ডিভোর্সি বোন আছে। ছেলেটার জীবন নষ্ট হয়ে যাবে এই অপয়া মেয়ের জন্য।

,,,,,,,,,,,,,,,একেতো কালির ড্রাম তার ওপর এখন আবার ডিভোর্সি আবার বিয়েও দিতে পারবে না।

মেঘলাঃ চুপ করো তোমরা আমি আর নিতে পারছি না। চারদিকে তাকিয়ে দেখি কেউ নেই। আমিতো রুমে বসে আছি এখানে কেউ নেই। তাহলে এই কথাগুলো,,, হ্যা এই কথাগুলো আমাকে শুনতে হবে প্রতি মুহূর্তে। না না আমি আর এসব কথা শুনতে পারবো না ৷ ক,,,,কি করবো এখন আমি?? কেমন পাগল পাগল লাগছে। কিছু একটা করতে হবে। কিন্তু কী করবো?? একা কোথাও চলে যেতেও পারবো না। রাস্তার মানুষ রুপি পশুগুলো খাবলে খুচলে খাবে। কী করবো এখন আমি?? হ্যা পেয়েছি আর কারো কথা শুনতে হবে না চিরমুক্তির পথ। দরজা অফ করে দিলাম। ফাস্টএইড বাক্স খুজতে লাগলাম পাগলের মতো। এইতো পেয়ে গেছি। কতগুলো মেডিসিন পেয়ে গেলাম। কীসের মেডিসিন জানি না কয়েক পাতা মেডিসিন খেয়ে নিলাম?? তাও শান্তি হচ্ছে না,,, পাগল পাগল লাগছে। টেবিলের ওপর রাখা গ্লাসটা ভেঙে হাতে নিলাম। হাতের শিরায় একটা টান দিলাম। গড়গড় করে রক্ত বের হচ্ছে আমিও চুপচাপ তাকিয়ে দেখছি। আস্তে আস্তে চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে। চোখের সামনে বাবা-মা, ভাই, রুপ আপু আর আকাশের মুখটা ভেসে ওঠলো। আর কখনো দেখবো না এই মুখগুলো।)

আকাশঃ অনেক সময় পড়ে নিচে গেলাম। এখন হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছে মেয়েটা। দরজা অফ কেন?? মেঘলা দরজা অফ কেন করেছো?? মেঘপরী একটু দরজটা খুলো প্লিজ। কোন সারাশব্দ নেই। কোন উপায় না পেয়ে দরজা ভেঙে ফেললাম। মেঘলাকে দেখে আমার রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলো। মেঘপরী,,,,,,,,,,,,,

আবিদঃ আবিদা আমাকে কী ক্ষমা করা যায় না??

আবিদা(মেঘলার মা) এভাবে কেন বলছো ভাইয়া??

আবিদঃ আমি বুঝতে পেরেছি রে আমি ভুল করেছি। তুইতো বলেছিলি তুই মাহিদকে ভালবাসিস (মেঘলার বাবা) আমি তোকে ওর থেকে কেড়ে নিতে চেয়েছি। আয়েশা,,, আমার আদরের বোনটাকেতো নিজে দেখে বিয়ে দিয়েছিলাম। যৌতুকের জন্য এত অত্যাচার সয্য করেছে তবু আমাকে কখনো কিছু জানায়নি। শেষে আমার বোনটাকে মেরেই ফেললো(ডুকরে কেঁদে ওঠে)

আবিদাঃ আয়েশা আপু,,,,,,,,,,

আবিদঃ তোর পালিয়ে যাওয়ার ১ বছর পর আয়েশার মৃত্যুর খবর আসে। ছোট একটা ছেলে রেখে চলে গেছে আমার বোনটা। তখনও আমি আমার ভুল বুঝতে পারিনি। আমার মেয়েটাও পালিয়ে গেলো,,, আমাকে জানালোও না সে কাউকে চায়। রেগে যা নয় তাই বলে বের করে দিলাম মেয়েটাকেও। আমি না ভালো ভাই হতে পেরেছি না ভালো বাবা।

রুপঃ আমাকে মাফ করে দাও বাবা। আমি ভেবেছিলাম ফুপির মতো আমাকেও মেনে নিবে না। মাফ করে দাও আমাকে।

আবিদঃ আমাকেও তোরা মাফ করে দে আমি আমার ভুল বুঝতে পারছি। সবসময় বড়রা ঠিক হয়না,, কখনো কখনো ভুলও হয় আর ছোটরাও ঠিক হয়। (আবিদা আর রুপকে বুকে জড়িয়ে)

মাহিদঃ(মেঘলার বাবা) আজ থেকে আর নিজেকে অপরাধী মনে হবে না। এই বুকে মাথা রেখে ২৫ টা বছর ঘুমিয়েছো। প্রতিটা রাত গভীর হলে চোখের পানি ফেলেছো এই বুকে,,, মনে করেছো আমি জানি না। আমিও না জানার অভিনয় করে থাকতাম। কারণ আমার যে করার কিছুই ছিলো না। আজ থেকে অপরাধবোধ আমাকে কুড়ে কুড়ে খাবে না। চোখের পানি মুছে নিলাম।

আবিদঃ মাহিদ ভাই মাফ করবে না আমাকে??

মাহিদঃ কী বলছেন ভাইয়া?? আমরা ছোট,,, ভুল আমরা করেছি আমাদের মাফ করে দিন।

,,,,,,,,,,,

আকাশঃ এই মেঘপরী কথা বল না। হাতের রক্তে ফ্লোর ভেসে গেছে। রুমাল দিয়ে হাত পেঁচিয়ে দিলাম। শরীর কেমন ঠান্ডা হয়ে আসছে। ক,,,কী করবো এখন আমি?? সব আমার জন্য হয়েছে। ওর কিছু হলে আমি কীভাবে থাকবো?? আমি কিভাবে বাঁচবো?? এই মেঘপরী কথা বলনা। (তাড়াতাড়ি কোলে করে গাড়ির ব্যাক সিটে শুইয়ে দিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিলাম। হাতপা প্রচন্ড কাঁপছে। কোনরকমে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে কোলে তুলে ভিতরে নিলাম।) ডক্টর প্লিজ ওকে বাঁচান। ওর কিছু হলে আমি বাঁচতে পারবো না।

ডক্টরঃ নার্স উনাকে ইমারজেন্সিতে নিয়ে যান।

আকাশঃ প্লিজ ডক্টর ওকে বাঁচান,,,,, যত টাকা লাগে আমি দেবো। (ডক্টরের হাত ধরে)

ডক্টরঃ মিস্টার আকাশ চৌধুরী টাকা দিয়ে সব হয়না,,, আল্লাহকে ডাকুন। আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

আকাশঃ ডক্টর ভিতরে চলে গেলে হাসপাতালের দেয়াল ঘেঁসে নিচে বসে পড়লাম। মেঘপরী কেন এমন করলে??? কেন???একটাবার আমার কথা শুনতে। চাঁদকে একটা ফোন দিলাম।

চাঁদঃ হ্যা ভাইয়া বলো,,,, কোথায় তুই আর ভাবি কোথায়?? পার্টি শেষ হয়ে গেছে,,, সবাই চলে গেছে।

আকাশঃ চাঁদ,,,,,,,

চাঁদঃ কী হয়েছে ভাইয়া??(ভয় পেয়ে) তোর গলা এমন কেন শুনাচ্ছে?? তুই কাঁদছিস কেন??

আকাশঃ চাঁদ আমার মেঘপরী(ডুকরে কেঁদে ওঠে)

চাঁদঃ ভাবির কী হয়েছে ভাইয়া?? দেখ ভাইয়া ভয় করছে। বল ভাবির কী হয়েছে??

মাহিনঃ মেঘ,,,,,, কী হয়েছে মেঘের??

চাঁদঃ জানি না ভাইয়া ফোনে কেঁদেই যাচ্ছে। কিছু বলতেই পারছে না।

মাহিনঃ হ্যালো ভাইয়া,,,,, মেঘের কী হয়েছে??কোথায় আপনারা??

আকাশঃ স,,,,সাভার,,, এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

মাহিনঃ হ,,,,হাসপাতালে,,,,,, কী হয়েছে আমার বোনের??? হ্যালো,,,,,,,,, ভাইয়া???

চাঁদঃ কী হয়েছে ভাইয়া??

মাহিনঃ আমাদের এখনই সাভার যেতে হবে। আ,,আমার বোনের কিছু একটা হয়েছে।(বাসার ভিতরে গেলাম) ম,,,মা চলো আমাদের যেতে হবে।

মেঘলার মাঃ কোথায় যাবো??

চাঁদঃ কিছু বুঝতে পারছি না। ভাইয়া ফোন দিয়ে বললো ও নাকি হাসপাতালে আর কিছু বলেনি।

সবাইঃ হাসপাতাল,,,,,,,,

মাহিনঃ এখন কথা বলার সময় নেই তাড়াতাড়ি চলো।(সবাইকে নিয়ে হাসপাতালের দিকে রওনা দিলাম। রাস্তা যেন শেষই হচ্ছে না।)

আকাশঃ ডক্টর ম,,মেঘলা কেমন আছে?? ও ঠিক হয়ে যাবেতো?(ডক্টর বের হলেই দৌঁড়ে তার কাছে গিয়ে)

ডক্টরঃ দেখুন উনার অবস্থা বেশী ভালো না। অনেক রক্ত বের হয়ে গেছে। আর উনি অনেকগুলো মেডিসিনও খেয়ে নিয়েছে। তাড়াতাড়ি এ বি পজিটিভ রক্তের ব্যবস্থা করুন।

আকাশঃ (ডক্টর চলে গেলো। দাঁড়িয়ে থাকার শক্তি পাচ্ছি না। ফ্লোরে বসে পড়লাম) মেঘপরী তুই এটা আমার সাথে করতে পারিস না। একটা ভুলের শাস্তি সারাজীবনের জন্য দিস না।

মাহিনঃ ভাইয়া,,,,,,,,,,,,,(ডক্টরের সব কথা আমরা শুনেছি। আব্বা মা এসব শুনে ফ্লোরে বসে পড়েছে। মামা তাদের সামলানোর চেষ্টা করছে)

আকাশঃ মাহিন এই সব কিছুর জন্য আমি দায়ী।

রুপঃ হ্যাঁ তুমি দায়ী। তোমার শত্রুতা আমার সাথে ছিলো। আমার নিষ্পাপ বোনটাকে কেন মাঝে এনেছিলে আকাশ?? ( কাঁদার জন্য কথা বলতেও কষ্ট হচ্ছে) দোষটা কী শুরু আমার ছিলো আকাশ?? তুমি কী সত্যি আমাকে কোনদিন ভালোবেসেছিলে যে ছেড়ে যাওয়ার জন্য এভাবে শাস্তি দিলে??

আবিদঃ তুই এসব কী বলছিস রুপ??

রুপঃ আমি ঠিক বলছি বাবা। আজ আমার জন্য আমার মেঘমনিটা জীবন আর মৃত্যুর সাথে লড়ছে। এই আকাশ চৌধুরী আমার ওপর প্রতিশোধ নিতে আমার মেঘমনিকে বেছে নিয়েছে।

মাহিনঃ(আকাশ ভাইয়ার কাঁধে রাখা হাতটা আপনাআপনি পড়ে গেলো।) আপু,,,,এসব কী বলছো তুমি??

রুপঃ আকাশের সাথে আমার দুই বছরের পরিচয় ছিলো। আকাশের বাবার মৃত্যুর পর আমি রবিনকে বিয়ে করি সেটার প্রতিশোধ নিতে আকাশ মেঘমনিকে বিয়ে করেছে। কারণ আমি মেঘমনিকে অনেক ভালোবাসি সেটা আকাশ জানে। আকাশ একটা সত্যি কথা বলোতো কোনদিন আমাকে ভালোবেসেছিলে?? তোমার সাথে একটু ঘুরতে যেতে চাইলে বলতে ফ্রেন্ডদের সাথে টোরে যাচ্ছি। শপিং যেতে চাইলে ক্রেডিট কার্ড ধরিয়ে দিতে। অসুস্থ হলে কোনদিন একটা ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করেছো কেমন আছি? তোমার জীবনে আমার জন্য এক মিনিট সময় ছিলো না। এক্সিডেন্ট করে যখন হাসপাতালে ছিলাম একবার দেখে চলে গিয়েছিলে অথচ আজ দেখো মেঘমনির জন্য পাগলের মতো কাঁদছো,,,,,,, তোমার অবহেলার মাঝে সেখানে কেউ যদি প্রতিটা মুহুর্তে খেয়াল রাখে তার ভালোবাসায় সারা দেওয়া আমার অন্যায় ছিলো? হ্যা আমার ভুল হয়েছে আর সেটা ভুল সময়ে তোমাকে জানানো। তুমি যখন এমনি ভেঙে পড়েছিলে তখন জানানো। সেই ভুলের শাস্তি তুমি আমার বোনটাকে কেন দিলে??(বাবাকে জড়িয়ে চিৎকার করে কাঁদছি।)

আবিদঃ শান্ত হ মা তোর মেঘমনির কিছু হবে না।

রুপঃ ওর কিছু হলে নিজেকে কোনদিন মাফ করতে পারবো না বাবা। আমার ভালোবাসা আজ ওর কাল হয়ে দাঁড়ালো।

আবিদা(মেঘলার মা) আমার মেয়েটাতো যেমন ছিলো খুশি ছিলো। আমার অতিরিক্ত বাস্তবতাবাদী হওয়া আমার মেয়েকে শেষ করে দিলো। ওতো পড়াশোনা করে বড় হতে চেয়েছিলো। কেন আমি বিয়ে দিলাম?? মেঘলার বাবা এত বছর পর পরিবার কী মেয়ের জীবনের বিনিময়ে পেলাম?? পরিবার ফিরিয়ে দিয়ে মেয়েটাকে কেড়ে নেবে?? আর কিছু চাইনা খোদা আমার মেয়েটাকে সুস্থ করে দাও।

মাহিদঃ কিছু হবে না আমাদের মেঘের।

আকাশঃ(রুপতো ভুল কিছু বলেনি। ওকে কী কখনো আমি প্রেমিকার মতো রেখেছি?? ওতো শুধু নামেই আমার প্রেমিকা ছিলো। কোনদিন একসাথে দু’কদম হেটেও দেখিনি। ভুলতো শুধু ওর ছিলো না। আজ এই সবকিছুর জন্য আমি দায়ী।)

মাঃ আকাশ,,,,,,,

আকাশঃ মা এই সবকিছু আমার জন্য হয়েছে। এখন মেঘপরীর কিছু হলে আমি কী করে বাঁচবো মা?? আমার যে এখনই দম বন্ধ হয়ে আসছে। মা আমাকে তুমি মেরে ফেলো। (মায়ের হাত গলায় চেপে ধরে) আমাকে মেরে ফেলো মা(চিৎকার করে কেঁদে)

মাঃ শান্ত হ কিছু হবে না। সব ঠিক হয়ে যাবে।

চাঁদঃ মাহিন ভাইয়া ,,,,,,

মাহিনঃ আমার বোনটার কী হবে চাঁদ?? (চাঁদকে জড়িয়ে ধরে) ও যে আমার কলিজা। ছোটবেলা থেকে একসাথে মারামারি, ঝগড়া, দুষ্টুমি করে বড় হয়েছি। ও আমার ছোট বোনের থেকে বন্ধু বেশি। ওকে যে খুব ভালোবাসি চাঁদ। ওর কিছু হলে আমারও শ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে চাঁদ। আমার কলিজাটা এমন কেন করলো?? ওর ভাই কী ছিলো না। আমার কলিজার জন্য সারা পৃথিবীর সাথে লড়াই করতে আমি প্রস্তুত। তাহলে কেন করলো? (চাঁদকে জড়িয়েই কাঁদতে কাঁদতে বসে পড়লাম)

চাঁদঃ কাঁদবেন না ভাইয়া,,, সব ঠিক হয়ে যাবে। ডক্টর,,,,,

মাহিনঃ ডক্টর আমার বোন???

ডক্টরঃ আপনারা এখনো রক্তের ব্যবস্থা করেননি। রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হতে শুরু করেছে। অনেকগুলো মেডিসিন খেয়ে নিয়েছে। সেগুলো ওয়াশ করা যাচ্ছে না কারণ রক্তক্ষরণের জন্য রোগীর শরীর একদম দূর্বল হয়ে গেছে। এখন ওয়াশ করতে গেলে আরো প্রবলেম হবে,,, আগে রক্তের ব্যবস্থা করতে হবে। মেডিসিন যেন তার কাজ শুরু করতে না পারে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু রোগী রেসপন্স করতে চাইছে না। রোগী নিজেই বাঁচতে চাইছে না। উনি অনেকদিন থেকে ডিপ্রেশনে ভুগছে আপনারা বুঝতে পারেননি। আল্লাহকে ডাকুন। আর রক্তের ব্যবস্থা করুন।

মাহিদঃ ডক্টর রক্ত আমি দিবো আপনি শুধু আমার মেয়েটা ঠিক করে দিন।

মাহিনঃআ,,,আমিও দিবো রক্ত,,,,,,, শুধু আমার বোনটার যেন কিছু না হয়

ডক্টরঃ আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করবো। বাকিটা ওপরওয়ালার হাতে

(আকাশ ওঠে চুপচাপ হাসপাতাল থেকে বেড়িয়ে গেলো)

চলবে,,,,,