কুঁড়েঘর পর্ব-১৬ ( প্রথম পরিচ্ছেদ সমাপ্ত)

0
709

#কুঁড়েঘর
#লেখিকা–মার্জিয়া রহমান হিমা
। পর্ব ১৬ ।

রিধিশা ধীর পায়ে ভার্সিটিতে যাচ্ছে। পায়ের ব্যাথা রাতে বেড়েছে। গতকাল ঔষধ কিনে আনবে ভেবেও পড়ে ভুলে যাওয়ায় আর কেনা হয়নি। রাতে কেটে যাওয়া জায়গাটা খানিকটা ফুলে গিয়েছে। ব্যাথাও রয়েছে তাই জোড়ে জোড়ে হাটতে পারছে না।
ভার্সিটির আগে রিধিশার লেকের দিকে চোখ গেলো।
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে উঁকি ঝুঁকি দিয়ে বললো
” এটা নিশাদ না? এই সময়ে এখানে বসে আছে কেনো মূর্তির মতো?” রিধিশা নিশাদের দিকে এগিয়ে যায়।

নিশাদ বসে আছে আর মাথার চুল টানছে মাঝে মাঝে।
রিধিশা নিশাদের দিকে অবাক চোখে তাকালো।
মাথার চুলের এলোমেলো অবস্থা, চোখ জোড়া লাল হয়ে আছে। চেহারায় অসুস্থ ভাব দেখ যাচ্ছে। রিধিশা চিন্তিত গলায় বললো
“কি হয়েছে আপনার?” নিশাদ সাথে সাথে রিধিশার দিকে তাকিয়ে আবার মুখ নামিয়ে নেয়। রিধিশা নিশাদের সামনে বসে বললো
” আপনি কি অসুস্থ?” নিশাদ ‘হুম’ বলে গম্ভীর গলায় সায় জানালো। রিধিশা আবারও জিজ্ঞেস করলো
” কি হয়েছে?”

নিশাদ শান্ত গলায় বললো
” জ্বর এসেছে রাতে।”
” ওও তাহলে এখানে বসে আছেন কেনো? বাসায় গিয়ে রেস্ট নিন! জ্বর নিয়ে ভার্সিটিতে এসেছেন আবার এখানে বসে আছেন কেনো?”
নিশাদ উত্তরে বললো
” এক্সাম ছিলো তাই।” রিধিশা ওও বলে উঠে যাচ্ছিলো। নিশাদ রিধিশার হাত টেনে ধরে নিজেও উঠে দাঁড়ায়। রিধিশা চোখ বড় বড় করে তাকায়। নিশাদ রিধিশাকে বললো
” আচ্ছা রান্না করতে পারো তুমি?” রিধিশা ভ্রু কুঁচকে বললো
” হ্যা,পারি তবে কেনো?”
নিশাদ দাঁত কেলিয়ে রিধিশা হাত ধরে বললো
” চলো আমার সাথে আমার বাসায় চলো।” রিধিশা বিস্মিত হয়ে তাকায়। চেঁচিয়ে বলে উঠে
” কি? আপনার বাড়িতে কেনো যাবো আমি?”
নিশাদ মুখ কুঁচকে বললো
” চেঁচাও কেনো? গেলেই দেখতে পারবে, চলো আমার সাথে।”

রিধিশা নিশাদের থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে রেগে বললো
” যাবো না আমি। বললেই হলো নাকি? এমন ভাবে অধিকার দেখাচ্ছেন যেনো আমি আপনার বউ বা কিছু হই?”
” বউ হলে এভাবে বলতাম না। ঠাস করে তুলে নিয়ে যেতাম।”
নিশাদ রিধিশাকে বাইকের কাছে নিয়ে যেতে থাকে। রিধিশা বারবার জিজ্ঞেস করতে থাকে কেনো নিয়ে যাচ্ছে তাকে। নিশাদ যেতে যেতে বললো
” আজকে বুয়া আসবে না। সকাল থেকে না খেয়ে আছি। আমি খিধে পেটে থাকতে পারি না আর এখন বাইরের খাবার খাওয়ার ইচ্ছে নেই আমার। তাই তুমি রান্না করে খাওয়াবে আজকে।”

রিধিশা হা করে তাকিয়ে থাকে। পরক্ষণেই রেগে বললো
” মগেরমুলুক নাকি? বলবেন আর আপনার বাসায় গিয়ে রেঁধে দিয়ে আসবো আমি কি আপনার বাসার বুয়া নাকি?” নিশাদ হেসে বললো
” তুমি হলে একদিনের জন্য আমার বাসার রাঁধুনি, চলো এবার কথা বাড়াবে না। খুধায় মাথা ঘুরছে আমার।”
নিশাদ বাইকে উঠে রিধিশাকে নিয়ে বাসায় ফিরে আসে।

রিধিশা বাইক থেকে নেমে মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকে। নিশাদ রিধিশার হাত টেনে লিফটে উঠলো গিয়ে। ৬ তলার বাটন ক্লিক করে।
নিশাদ ফ্ল্যাটে ঢুকে রিধিশাকে ঢুকতে বললো। রিধিশা ঢোক গিলে ভেতরে ঢোকে। নিশাদ বাঁকা চোখে তাকিয়ে বললো
” এমন ভাব করছো যেনো তোমাকে রেপ করতে নিয়ে এসেছি।” রিধিশা বড় বড় চোখে তাকালো। নিশাদ পাত্তা না দিয়ে রুমে ঢুকে জ্যাকেট খুলে রাখে।
রিধিশা সোফায় বসে চারপাশে তাকালো।
রিধিশা নিচু স্বরে নিশাদকে ডেকে উঠে
” শুনুন! আপনার ফ্ল্যাটে একা আমি কেমন দেখায় না? মানুষ কি ভাব্বে? আমি বরং বাসায় চলে যাই।”
রিধিশা উঠে দ্রুত চলে যেতে নিলে নিশাদ দৌঁড়ে এসে রিধিশার হাত ধরে চোখ রাঙ্গিয়ে বললো
” এক পা বাইরে বের করলে এই বিল্ডিং এর ছাদ থেকে ফেলে দেবো তোমায়। চুপচাপ বসো আমি তোমার প্রবলেম সলভ করছি।”

নিশাদ রিধিশাকে নিয়ে কিচেনে গেলো। রিধিশা চোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে কিচেনের দিকে তাকায়। রিধিশা নাক ছিটকে বলে
” ছি! বুয়া আছে তাও কিচেনের এই অবস্থা?” নিশাদ আড়চোখে তাকিয়ে বললো
” বুয়া তো রান্না করার জন্য। এসব কি করবে নাকি? মাসে ২,৩দিন করে হয়তো। বউ তো নেই যে প্রতিদিন করবে।” রিধিশা মুখ বাঁকিয়ে বললো
” বুঝেছি এখন তাড়াতাড়ি বলুন কি করবো।”
নিশাদ একটা বালতি দেখিয়ে বললো
” এখানে চাল আছে, পাতিল নামিয়ে ভাত বসাও আমি একটু আসছি।”

রিধিশা পাতিল নামাতে নামাতে নিশাদ কিচেন থেকে বের হয়ে পাশের ফ্ল্যাটে চলে গেলো। সেখানে কলিং বেল বাজালে কিছুক্ষণ পর দরজা খুলে। মহিলা হেসে বললো
” নিশাদ? কি ব্যাপার আজকে হঠাৎ! কিছু লাগবে নাকি?”
নিশাদ মাথা চুলকে বললো
” আসলে আন্টি একটু প্রবলেমে পরেছিলাম তাই আরকি। আন্টি স্নেহা আছে বাসায়?”
স্নেহার আম্মু সায় জানিয়ে বললো
” হ্যা আছে কিন্তু কেনো?”
” আসলে আন্টি আমার এক ফ..ফ্রেন্ড এসেছে, একজন মেয়ে। তো একা থাকতে uncomfortable feel করছে তাই ভাবছিলাম স্নেহা যদি থাকে কিছুক্ষণ।” স্নেহার আম্মু স্নেহাকে ডেকে নিশাদকে বললো
” তুমি এটা বলতে এতো আনইজি ফিল করছো কেনো? তোমাকে এতো বছর থেকে দেখে আসছি আমি। তোমাকে ভালো করেই চিনি কেমন ছেলে তুমি।” নিশাদ মুচকি হাসি দিলো। স্নেহা রুম থেকে দৌঁড়ে এসে নিশাদের কোলে উঠে গেলো। নিশাদ স্নেহাকে নিয়ে রুমে চলে আসে।

রিধিশা উঁকি দিয়ে নিশাদকে দেখে ভ্রু কুঁচকে বললো
” আপনি একটু কাজ করতে গিয়েছিলেন? এতোক্ষণ লাগে কাজ শেষ করতে? ভাত বসিয়েছি আর কি করবো সেটা দিয়ে যাবেন তো!”
” অদ্ভুত বেয়াদব মেয়ে তো তুমি! তোমার সমস্যা সমাধান করতে গিয়েছিলাম আর তুমিই এসব লেকচার দিচ্ছো? উপকারের দাম নেই তোমার কাছে।”
রিধিশা বিরক্ত গলায় বললো
” কতোবার বলবেন একই কথা? বারবার এই কথায় বলেন শুধু। কি রাঁধব সেটা বলুন।” নুশাদ স্নেহাকে সোফায় বসিয়ে ফ্রিজ থেকে চিকেন আর কিছু ভেজিটবলস বের করলো।

রিধিশার হাতে দিয়ে বললো
” এই যে এগুলো আর সব কিছু কিচেনে আছে। আর যদি না থাকে ফ্রিজ থেকে দেখে নিয়ে যেও।”
রিধিশা ভেংচি দিয়ে রান্নাঘরে এসে পড়লো।
স্নেহা এতোক্ষণ রিধিশাকে দেখছিলো হা করে। প্লে’তে পড়া মেয়ে স্নেহা। নিশাদ স্নেহাকে কোলে নিয়ে বসে বললো
” স্নেহা কি খাবে তুমি?” স্নেহা ফিসফিস গলায় বললো
” নিশু ভাইয়া ওই আপুটা কে? কি রাগি বাব্বা!” নিশাদ হা হা করে হেসে দেয়।

নিশাদের হাসির শব্দ শুনে রিধিশা সবজি কাটতে কাটতে বললো
” এই ছেলে কি আগে থেকেই পাগল নাকি অসুস্থ হয়ে হয়েছে? একা একা হেসে যাচ্ছে।” রিধিশা রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে নিশাদের কোলে স্নেহাকে দেখে দৌঁড়ে ওর সামনে আসে। রিধিশা স্নেহাকে দেখিয়ে অবাক হয়ে বললো
” মেয়েটা কে? আপনার মেয়ে নাকি?আপনার বিয়ে হয়েছে?” নিশাদ বোকার মতো স্নেহার দিকে তাকায়।
স্নেহা মিটমিটি করে হেসে যাচ্ছে।
নিশাদ ধমকে বলে উঠে
” এক থাপ্পড় দেবো। আমার বিয়েতে এসেছিলে নাকি তুমি? চোখ কোথায় রাখো? একটু আগে তো ওকেই নিয়ে আসতে গিয়েছিলাম পাশে ফ্ল্যাট থেকে তোমার জন্য।”

রিধিশা জিভ কেটে বললো
” দুঃখিত আমি তো খেয়াল করিনি। কি মিষ্টি মেয়ে।” রিধিশা স্নেহাকে কোলে নিয়ে আদর করলো। নিশাদ ভ্রু কুঁচকে বললো
” পরে আদর করবে আগে রান্না করো আর হ্যা পারলে একটু কফি বানিয়ে দিও মাথা ব্যাথা করছে।” রিধিশা চলে গেলো। স্নেহা নিশাদের পাশে বসে বললো
” আপু টা খুব ভালো। একদমই রাগি না।” নিশাদ হেসে উঠে গিয়ে ফ্রিজ থেকে জুস আর ফ্রুটস নিয়ে আসে।
.
আধ ঘন্টার মাঝে নিশাদ তিনবার এসে ঘুরে গিয়েছে খিধে পেয়েছে বলে। নিশাদকে দেখতেও দুর্বল লাগছে। রিধিশা কফির সাথে নাস্তাও বানিয়ে নেয়। রান্না শেষ করতে আরো দেড়ি হবে তাই। টেবিলের উপর নাস্তার প্লেট আর কফি মগ রেখে নিশাদকে বললো
” নাস্তা করে দিয়েছি খেয়ে নিন। রান্না করতে দেড়ি হবে।” নিশাদ মুচকি হেসে স্নেহাকে নিয়ে টেবিলে বসে খেতে থাকে। রিধিশা আবারও কিচেনে চলে গেলো।
.
নিশাদ খেতে খেতে কালকের কথা ভাবলো। গতকাল সাদির সাথে বাইরে গিয়েছিলো। নিশাদের অভ্যাস বাইরে থেকে এসেই গোসল করতে হয়। কালকে বেশি রাত হয়ে গিয়েছিলো আসতে তাই রাতে অনেক্ষণ গোসল করায় জ্বর হয়েছিলো। বন্ধুদের সেবায় সকালের মাঝে জ্বর কমলেও দুর্বলতা কাটেনি। সাথে সকালে কফি না খাওয়ায় মাথা ব্যাথাও বেড়েছিল। সকালেই চারজন বেরিয়ে গিয়েছিলো, বুয়া তাকে ফোন দিয়ে জানিয়েছে আজকে আসবে না তাই রিধিশাকে ধরে এনেছে।

নিশাদ রিধিশাকে ডেকে বলল
” আরেকবার কফি দিতে পারবে?” রিধিশা উঁকি দিয়ে বললো
” মাত্রই তো দিলাম আবার কেনো?” নিশাদ ইনোসেন্ট ফেস বানিয়ে বললো
” মাথা ব্যাথা কমেনি। আরেকবার খেতেই হবে।”
রিধিশা এসে কফি মগ নিতে নিতে সরু দৃষ্টিতে তাকিয়ে তাকিয়ে যায়। স্নেহা নিশাদের কোলে চড়ে বসে বললো
” নিশু! আপুটা তোমাকে রান্না করে দিচ্ছে কেনো? তোমার আন্টি কোথায়?”
” আজকে আসেনি গো।” স্নেহা মন খারাপ করলো।
আরেক মগ কফি খেয়ে নিশাদ বিছানায় শুয়ে থাকে কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে ঘুমিয়েও যায়।
রিধিশা দুটো তরকারি বসিয়ে স্নেহার সাথে বসে গল্প করতে থাকে আবার টিভিও দেখতে থাকে। নিশাদ ঘুমিয়ে যাওয়ায় আর ডাকেওনি।
.

নিশাদ ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে রিধিশা আর স্নেহা সোফায় হেলান বসে দিয়ে টিভি দেখছে।
ঘড়িতে দেখলো ১টা বাজে।
নিশাদ নিজের মাথায় গাট্টা মেরে বিড়বিড় করে বললো
” আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম রিধিশা আছে।”
নিশাদ দুজনের সামনে গিয়ে দেখে রিধিশা ঘুমে ঢুলছে হাতে বই নিয়ে। নিশাদ মুখের সামনে তুড়ি বাজিয়ে বললো
” তোমার কি যেখানে সেখানে বই পড়ার অভ্যাস আছে নাকি? আগে বুঝিনি তো!” রিধিশা চোখ খুলে বললো
” না আসলে আপনার বুক সেলফ থেকেই একটা উপন্যাসের বই নিয়েছিলাম। আপনি ঘুমাচ্ছিলেন তাই চলে যেতে পারছিলাম না।” নিশাদ হালকা হেসে বললো
” গুড গুড! আমি ভেবেছিলাম চলে যাবে তারপর আর ফ্ল্যাটের সব চুরি হয়ে যাবে। রান্না শেষ।”

রিধিশা নিশাদের বই রেখে বললো
” হ্যা অনেক আগেই। আপনি বসুন আমি নিয়ে আসছি।” নিশাদ মাথা নেড়ে হাত ধুয়ে এসে টেবিলে বসলো স্নেহাকে নিয়ে। স্নেহা নিশাদকে বললো
” নিশু আমি যাই হ্যা! নাহলে মাম্মা আমাকে বকা দিয়ে বলবে তুমি কেনো খেয়েছো অন্যের খাবার।” নিশাদ হেসে দেয় স্নেহার বলার স্টাইল দেখে। পড়ে বললো
” আমার সাথে খেলে কিচ্ছু বলবে না। আজকে তোমার আর আমার লাঞ্চ ডেট।” স্নেহা ফিকফিক করে হেসে দেয়।
রিধিশা একে একে সব খাবার এনে নিশাদের সামনে রাখে। নিশাদ রিধিশাকে বললো
” তুমিও বসো! আজকে একসাথে লাঞ্জ করি!”
” নাহ এই সময়ে লাঞ্চ করি না। আপনি খেয়ে নিন।”
নিশাদ মাথা নেড়ে খাওয়া শুরু করে।

খেতে খেতে অবাক চোখে তাকিয়ে বললো
” বাহ ভালোই তো রান্না করো! আমি তো ভেবেছিলাম একদম অখাদ্য রান্না করবে। কিন্তু খেতে একদম মায়ের হাতের রান্নার মতো।” রিধিশা শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো
” আপনার মা, বাবা কোথায় থাকে?” রিধিশার আচমকা এমন প্রশ্নে নিশাদ চমকে যায়। গলায় খাবারও আটকে কাশি উঠে গেলো। রিধিশা চটজলদি পানি এগিয়ে দেয়। নিশাদ স্নেহার সাথে হাসি মজা করে খেতে থাকে। ভাব দেখে মনে হচ্ছেন প্রশ্নটার উত্তর দিতে যেনো ভুলে গিয়েছে। রিধিশাও আর জিজ্ঞেস করলো না।
______

টিউশনি শেষ করে বাসায় ফিরে আসতেই মায়ের ফোন আসে। বাবার ঠিক করা পাত্র কালকে একটা কফি শপে তার সাথে দেখা করতে চায় বলেছে। রিধিশা কি করবে বুঝতে পারছে না। না গেলেও বাবার সম্মানে আঘাত লাগবে আর গেলেও কি হবে সেটা জানে না।

[প্রথম পরিচ্ছদের সমাপ্তি ]

[ সবার উদ্দেশ্যে বলছি দুঃখিত। গল্পটা এমন সময়ে শুরু করেছিলাম যে এর মাঝে শেষ করা সম্ভব হয়নি আর আমার পরীক্ষার সময় ছিলো এটা। পরশুদিন মানে ৩ নভেম্বর আমার টেস্ট এক্সাম। তাই আপাতত গল্পটা লিখতে পারছি না। ইনশাল্লাহ, আমার এক্সাম শেষ হলে আবারও দ্বিতীয় পরিচ্ছদ শুরু করবো তাই গল্পটা এখন এখানেই থেমে থাকবে। এক্সাম টাইমে লিখা সম্ভব না একদমই। আমি নিরুপায়, সবার উদ্দেশ্যে ক্ষমা চাইছি। সবাই আমার টেস্ট এক্সামের জন্য সবাই দোয়া করবেন।]