কুহেলিকা পর্ব-২

0
3752

“কুহেলিকা”
পর্ব-২
লেখিকা-মুন্নি আক্তার প্রিয়া
.
.
আরাম কেদারায় এক পা তুলে, আরেক পা মাটিতে রেখে সিগারেট ফুঁকছিলেন রমিজ মিয়া। রমিজ মিয়া এই গ্রামের মেম্বার। দিদার আর মুহিবকে এদিকে আসতে দেখে সিগারেটটা মাটিতে ফেলে পা দিয়ে পিষে আগুনটা নিভিয়ে ফেললেন।
“কে রে কোথায় আছিস? দুটো চেয়ার দিয়ে যা তো।”
বাড়ির কাজের লোক দুটো চেয়ার দিয়ে চলে যায়। দিদার চেয়ারে বসতে বসতে বলে,
“কেমন আছেন?”
“আছি আরকি! তোমার খবর কী?”
“ভালো।”
“সাথে কে?”
“আমার বন্ধু।”
“পুলিশ?”
“না। ডিটেকটিভ।”
“অহ। ভালো। শুনেছি গোয়েন্দারা রহস্য উদঘাটন করে। তো আমার বাড়িতে কি কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে নাকি?”
এবার মুহিব হেসে বলে,
“না মশাই। আমরা এসেছি খুনের বিষয়ে কথা বলতে।”
“শুনে আর কী করবা? শোনা পর্যন্তই শেষ। এর রহস্য এখনো কেউ বের করতে পারেনি।”
মুহিব সাবলীলভাবে বলল,
“চেষ্টা করতে তো কোনো আপত্তি নেই।”
“তা নেই। তো বলো আমি কীভাবে তোমাদের সাহায্য করতে পারি?”
“আজ সকালে যে মেয়েটার লাশ পাওয়া গেল তার সম্পর্কে কি আপনি কিছু জানেন?”
“বিশেষভাবে কিছুই জানিনা। আমার মেয়ে আর বউ ভালো বলতে পারবে। আমাদের বাসায় প্রায়ই আসতো। মাঝেমাঝে পাঁচ/দশ টাকা হাতে তুলে দিতাম। খুব শান্ত আর লক্ষী স্বভাবের ছিল।”
“আপনার স্ত্রী বা মেয়ে কেউ বাসায় আছে?”
“আছে।”
“যদি একটু ডেকে দিতেন তাদের।”

মুহিবের কথামত দুজনকেই ডাকা হয়। মুহিব রমিজ মিয়ার মেয়েকে বলে,
“নাম কি তোমার?”
“রিমি।”
“কিসে পড়?”
“সেভেনে।”
“গঙ্গাকে চেনো?”
“হ্যাঁ। গঙ্গা দি খুব ভালো মানুষ ছিল। আমায় অনেক আদর করত। মাঝে মাঝেই আমরা একসাথে ঘুরতে যেতাম।”
“তুমি গঙ্গার বাসায় গিয়েছ কখনো?”
“হ্যাঁ। অনেকবার।”
“কে কে আছে ওর বাসায়?”
“গঙ্গা দির দাদা আর বৌদি।”
“আচ্ছা তুমি রুমে যাও।”
রিমি লাফিয়ে লাফিয়ে রুমে চলে গেল। মুহিব এবার উনার স্ত্রীকে বলে,
“গঙ্গার সাথে ওর দাদা-বৌদির সম্পর্কই কেমন? কিছু বলতো কি আপনাকে?”
“আসলে ওসব কথা গঙ্গার সাথে হতো না। মাঝে মাঝে শাকপাতা নিয়ে আসতো। কখনো রিমির জন্য আম, পেয়ারা নিয়ে আসতো। বাবা-মা কেউ নেই। মায়া হতো খুব। তাই বাড়িতে আসলেই ভালোমন্দ খেতে দিতাম। তবে ওর দাদা তো আপন নয়। বুঝেনই তো সৎ দাদা-বৌদি কেমন হয়।”
মুহিব হেসে বলে,
“আচ্ছা আপনি এখন আসতে পারেন।”
দিদার আর মুহিবও চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়। রমিজ মিয়াকে সালাম দিয়ে বলে,
“আবার কোনো প্রয়োজন হলে আসব।”

গাড়িতে উঠতে উঠতে দিদার বলে,
“কী বুঝলি?”
“এখনো কিছুই বুঝিনি। গঙ্গার বাসায় গিয়ে দেখি আগে।”
গঙ্গার বাসার সামনে কয়েক বাসায় আগে খোঁজ নিয়েছে দুজন। প্রতিবেশীরা জানিয়েছে গঙ্গার দাদা তেমন একটা অত্যাচার করত না। কিন্তু বৌদিটা খুব দজ্জাল। মুহিব বলল,
“দিদার তুই এখানেই থাক। আমি একা যাব।”
“কেন? আমি সাথে গেলে কী সমস্যা?”
“তোর গায়ে পুলিশের ইউনিফর্ম আছে। তোকে দেখে ঘাবড়ে যেতে পারে। আমি চাচ্ছি শান্তভাবে কিছু জানতে।”
“বেশ! তবে যা।”
দিদারকে রেখে মুহিব একাই যায় গঙ্গার বাসায়। উঠোনে দাঁড়িয়ে উচ্চশব্দে বলে,
“বাড়িতে কেউ আছেন?”
রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে আসে তরতাজা এক মহিলা। গায়ের মাংসের জন্যই বয়সটা একটু বেশি লাগছে। বিরক্তির স্বরে মহিলাটি বলে,
“কেডা আপনি?”
“আমি পুলিশের লোক।”
“আপনার গায়ে তো পুলিশের পোশাক নাই।”
“আমি তো পুলিশ নই। বলেছি পুলিশের লোক।”
গামছা দিয়ে গায়ের ঘাম মুছতে মুছতে বাড়িতে আসে একজন পাতলা গড়নের পুরুষ। যথাসম্ভব গঙ্গার দাদা হবে।
“কেডা আইছে পৌষি?”
“চিনিনা। কয় পুলিশের লোক।”
মুহিব তার দিকে তাকিয়ে বলে,
“আদাব।”
“আপনারে তো চিনলাম না।”
“চেনার কথাও নয়। আমি ডিটেকটিভ।”
“ডিটেকটিভ মানে?”
“গোয়েন্দা।”
এবার দুজনই একটু চমকে উঠল। পৌষি বলল,
“এইখানে কী চান?”
“গঙ্গার বিষয়ে কিছু জানতে চাচ্ছি।”
“যা কওনের তা তো পুলিশরে কইছিই। আর কিছু কওনের নাই। আপনি অহন আইতে পারেন।”
মুহিব বুঝতে পারল এরা সহজে কিছু বলবে না। তাই দিদারকে ফোন করে আসতে বলল। দিদার আসার পরই পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়ে যায়। দুজনই এবার মিনমিন গলায় বলে,
“কী জানতে চান কন?”
মুহিব বলে,
“গঙ্গা তো আপনার আপন বোন না তাই না?”
গঙ্গার দাদা কাঁদতে কাঁদতে বলে,
“আপন বইন না হইলে কী হইব? ওরে আমি কম ভালোবাসি নাই।”
মুহিব দুজনের সাথেই বেশ কিছুক্ষণ কথা বলল। গঙ্গার দাদার কান্না সত্যি না মিথ্যা বোঝা গেল না। তবে পৌষির যে কুমিরের কান্না সেটা ঢের বুঝতে পারে মুহিব। কথার পর্ব শেষ করে দিদার আর মুহিব হাঁটতে থাকে। মুহিব বলে,
“প্যাঁচটা খুব জোড়ালো বুঝলি।”
“তা বো বটেই।”
দিদারের ফোনে একটা ফোন আসে। অফিসের বড়কর্তার ফোন। হঠাৎ দিদারের মুখটা সিরিয়াস হয়ে যায়। ফোন রাখার পরে বলে,
“আবারও খুন!”
.
.
পুলিশকে ইনফর্ম করা হয়েছে। রোহিতের মায়ের আহাজারি করে কান্না সবার বুকে বিঁধছে। যেখানে বাড়িতে হৈহৈ একটা আমেজ ছিল সেখানে এখন বিষন্ন পরিবেশ। পুলিশ আসার পর জায়গাটা ভালো করে তল্লাশি করে। কনস্টেবল শফিক মিয়া হঠাৎই চেঁচিয়ে উঠে বলে,
“স্যার স্যার।”
শফিক মিয়ার চিৎকার শুনে পুলিশ অফিসার সেদিকে এগিয়ে যান।
“স্যার দেখেন, মাথাটা এখানেই আছে।”

সবার মনেই এখন প্রশ্ন। যদি মাথা নেওয়ার জন্য খুনটা না’ই করা হয় তবে খুনটা করল কে? আর কেনই বা করল এই খুন? তবে এতটুকু তো পরিষ্কার মাথাটা কেটে ফেলেছে যাতে সবাই ভাবে এটা কালো যাদুর জন্যই খুন করা হয়েছে। উপস্থিতি কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ রোহিতের ডেডবডি নিয়ে চলে যায়। রোহিতের আত্মীয়রা রোহিতের বাবা-মাকে ভেতরে নিয়ে যায়।

বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে আছে রিশাদ আর নন্দিনী। নন্দিনী ভয়ে গুমোট মেরে আছে। রিশাদ বলে,
“আপনি কি ভয় পাচ্ছেন?”
“পাব না বলছেন? আমি লাশ দেখলে খুব ভয় পাই। তারমধ্যে এটা তো মার্ডার।”
“হুম বুঝেছি।”
“একটা কথা বলি?”
“জি।”
“আপনি এত স্বাভাবিক কীভাবে আছেন? আপনার তো বন্ধু মারা গেল। মানে খুন করা হয়েছে। কান্না তো দূরে থাক।আপনাকে একটু মন খারাপ করতেও দেখিনি।”
“কান্না বা মন খারাপ করলেই কি রোহিত ফিরে আসবে? তাছাড়া প্রায়ই এসব দেখে আর এমন খবর শুনে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এই গ্রামে এমন খুন নতুন না।”
“কিছু মনে না করলে আরেকটা কথা জিজ্ঞেস করব?”
“জি।”
“আপনি কি তখন সত্যিই ওয়াশরুমে গিয়েছিলেন?”
“আপনি কি আমায় সন্দেহ করছেন?”
“না। তেমন নয়।”
“আমার তো তেমনই মনে হচ্ছে। তবে আমি সত্যিই ওয়াশরুমেই গিয়েছিলাম। তাছাড়া এতটুকু সময়ে কাউকে খুন করে আবার গলা কেটে ফেলা সম্ভব আদৌ?”

নন্দিনী চুপ করে থেকে কতক্ষণ ভাবল। সত্যিই তো এত অল্পসময়ে মার্ডার করা সম্ভব হলেও গলা কাটা সম্ভব নয়। রোহিতের লাশ চোখের সামনে ভাসতেই গা শিউড়ে উঠে নন্দিনীর। রিশাদ বলে,
“বিয়ে যখন হচ্ছে না তখন বাড়িতে চলে যাব ভাবছি। আপনি কি যাবেন আমার সাথে?”
নন্দিনী মাথা নিচু করে বলে,
“আমার তো আর যাওয়ার জায়গাও নেই।”
“তাহলে তো হয়েই গেল। চলুন হাঁটা ধরি। সামনের রাস্তা থেকে রিক্সা নেব।”

নন্দিনী আর কোনো কথা না বলে নিঃশব্দে হাঁটা ধরে। কিছুদূর এগোতেই রিক্সা পায়। রিক্সায় উঠে দুজনেই চুপ করে থাকে। নন্দিনী অন্যপাশে ঘাড় ঘুরিয়ে আশপাশটা দেখছে। রিশাদ নন্দিনীর মুখের একপাশটা দেখতে পাচ্ছে শুধু। আজ পূর্ণ চাঁদ উঠেছে আকাশে। আকাশ ভর্তি রয়েছে তারার মেলা। চাঁদের আলোয় নন্দিনীর সাদা পাথরের নাকফুলটা চিকচিক করছে। খুব বেশি সুন্দর নয় নন্দিনী। উজ্জল শ্যামলা গায়ের রং। ডাগর ডাগর দুখানা চোখ। ঘনকালো চুলগুলো কোমড় পর্যন্ত ছুঁইছুঁই। ছিমছাম পাতলা গায়ের গড়ন। রিশাদ গলাটা খ্যাঁক করে পরিষ্কার করে বলে,
“একটা কথা বলতাম।”
নন্দিনী রিশাদের দিকে তাকিয়ে বলে,
“হ্যাঁ বলেন।”
“আমার বাসায় যখন যাচ্ছেন তখন বাড়ির লোকজনদের বিষয়ে একটু ধারণা দেই আপনাকে।”
“হুম।”
“বাড়িতে আমার দুটো মা। আমি ছোট মায়ের সন্তান। বড় মায়ের কোনো সন্তান নেই। আমার আর কোনো ভাই-বোনও নেই। বাড়িতে বাবা, দুই মা, আমি, হাসিব আর দুজন কাজের লোক থাকি। বড় মা খুবই শান্তশিষ্ট। কিন্তু ছোট মা একটু রাগী।”
“আচ্ছা।”
কথা বলতে বলতেই বাড়ির সামনে পৌঁছে যায় ওরা। রিশাদ রিক্সা ভাড়া মিটিয়ে নন্দিনীকে নিয়ে বাসায় যায়। দরজায় বেশ কয়েকবার ঠক ঠক শব্দ করার পর একজন মধ্যবয়সী মহিলা দরজা খুলে দেয়। রিশাদকে বলেন,
“এত তাড়াতাড়ি চলে এলি যে?”
“তুমি খবর শোনোনি কিছু?”
“কী খবর শুনব?”
“ভেতরে গিয়ে বলছি।”
রিশাদ নন্দিনীকে দেখিয়ে বলে,
“ভেতরে এসো। এটা আমার বড় মা।”
“মেয়েটা কে?”
“ও নন্দিনী।”

বাড়ির বৈঠকঘরে বসে একে একে সব বলে রিশাদ। সব শুনে সবাই খুব চিন্তিত হয়ে পড়ল। এই খুনের শেষ কোথায় কে জানে! সব ঠিকঠাক থাকলেও ছোট মা নন্দিনীর বিষয়টা খুব ভালোভাবে যে নিল না এটা তার মুখভঙ্গি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু মুখে সেটা প্রকাশ করলেন না। আলাপ-আলোচনা শেষে সবাই ঘুমাতে চলে গেল। নন্দিনীকে আলাদা একটা ঘর দেওয়া হলো। বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করছে। পেট জানান দিচ্ছে তার খুব খিদে পেয়েছে। সেই যে দুপুরে খেয়েছিল। আর তো খাওয়াই হয়নি। এ বাড়ির কেউও তো খেতে দিল না। কত বাজে এখন? সবার খাওয়া কি আরো আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল? নাহ্! এভাবে আর শুয়ে থাকা যাচ্ছে না। আর যাই হোক, পেটে ক্ষুধা নিয়ে ঘুমানো অসম্ভব। বিছানা ছেড়ে উঠে নন্দিনী এগিয়ে যাচ্ছে রিশাদের রুমের দিকে। ঘুমানোর আগে রিশাদ সবার রুম দেখিয়ে দিয়েছে। রিশাদের রুমের আগের রুমটা রিশাদের ছোট মায়ের। ঐ রুমের সামনে যেতেই কানে ভেসে আসলো ছোট মায়ের কথা।তিনি রিশাদের বাবাকে বলছেন,
“বলি কি তোমার ছেলের কাণ্ডজ্ঞান কোনোদিন হবে না? অপরিচিত একটা মেয়েছেলে কীভাবে বাড়িতে আনে? কখন কি অঘটন ঘটে তা কি বলা যায় বাপু?”
“আহা! এত উত্তেজিত হচ্ছো কেন তুমি? সকালে রিশাদের সাথে না হয় এ নিয়ে কথা বলব।”
“সবকিছুতেই তোমার শুধু পরে আর পরে। যখন কিছু ঘটবে তখন বুঝবে।”

কথাগুলো শুনে কেন জানি নন্দিনীর একটুও খারাপ লাগল না। বরঞ্চ ভালো লাগল। তিনি সব বিষয়েই সতর্ক সেটা বোঝা গেল। নন্দিনী পা টিপে টিপে হাঁটা ধরল। পাছে পায়ের শব্দ শুনে কেউ আবার চোর ভাবে? সব বাড়ির একটাই বারান্দা। বারান্দার শেষ মাথায় কোনো একটা ছেলের অবয়ব দেখা যাচ্ছে। দূরের মৃদু আলোয় হাতের কিছু একটা জ্বলজ্বল করছে। নন্দিনী যদি খুব বেশি ভুল না হয় তাহলে হাতে এটা চাকু। অবয়বটি ওর দিকেই এগিয়ে আসছে।জোরে চিৎকার শুরু করে নন্দিনী। নন্দিনীকে থামিয়ে দিয়ে বলে,
“চুপ চুপ চুপ! আমি হাসিব।”
নন্দিনীর চিৎকারে সবাই রুম থেকে বেরিয়ে আসে। ছোট মা এসে বলে,
“কী হয়েছে? রাত বিরাতে চেঁচাচ্ছ কেন?”
হাসিব বলে,
“নন্দিনী অন্ধকারে আমায় দেখে ভয় পেয়েছিল।”
“অহ। তা মেয়ে রুম থেকে বের হয়েছ কেন?”
নন্দিনী এখন কী বলবে? কিছুই মাথায় আসছে না। থতমত খেয়ে বলে,
“বাথরুম! বাথরুমে যাচ্ছিলাম।”

ছোট মা আরো কিছু বলার আগেই বড় মা বলল,
“এমনিতেই মেয়েটা ভয় পাচ্ছে। আর তুই এখন অদ্ভুত সব প্রশ্ন করছিস। যা সবাই রুমে যা।”
ছোট মা বিরক্ত নিয়ে রুমে চলে গেল।রিশাদের ঘুম ভাঙেনি। ভাঙার কথাও নয়। কারণ রিশাদের ঘুম খুব গাঢ়। বড় মা বলে,
“উঠোনের বাঁ পাশেই বাথরুম আছে। একা যেতে পারবে? নাকি ভয় পাবে?”
“পারব।”
“আচ্ছা যাও।”
সবাই চলে যাওয়ার পর নন্দিনী হাসিবকে বলে,
“আপনার হাতে ওটা কী ছিল?”
“চাকু।”
“কেন? খুন করেন নাকি আপনি?”
উত্তরে হাসিব হোহো করে হেসে উঠে। ভয়ংকর সেই হাসি।

চলবে……