খুনশুঁটির কুঁড়েঘর পর্ব-০৪

0
5607

#খুনশুঁটির_কুঁড়েঘর❤️
#Writer:—#TanjiL_Mim❤️
#part:—04
.
.
🍁
“ভোরের ফুড়ফুড়ে আলোতে ঘুম ভাঙল আমার’!!গ্রামের বাড়ির সকালটা খুব সুন্দর হয়’!!হালকা শীত শীত ভাব একটা’!!পাখির কিচিরমিচির শব্দ উফ কি যে সুন্দর’!!বিছানা থেকে উঠে বসলাম আমি’!!এখনো বেঘোরে ঘুমিয়ে আছে তিশা আর রুহি’!!কাল সারারাত আমার কান্ড দেখে ওরা হাসতে হাসতেই শেষ’!!তবে কাল রাতে আমার খুব ভালো লেগেছে’!!আনমনে হাসলাম আমি’!!তারপর চুপিচুপি বিছানা থেকে নেমে পরলাম আমি’!!তারপর মাথায় ওড়না জড়িয়ে রুম থেকে বেরিয়ে সোজা নিচে নামলাম’!!গ্রামের এই শিশির ভেজা সকালবেলা রাস্তায় দাঁত ব্রাশ করতে করতে হাঁটার বিষয়টা খুব মজাদার’!!চুপিচুপি বাড়ির বাহিরে বেরিয়ে আসলাম’!!গ্রামটা অসম্ভব সুন্দর’!!আর এই মুহুর্তে বাড়ির পিছন দিকে যাচ্ছি আমি’!!বাড়ির পিছন দিকটাও খুব সুন্দর’!!সারি সারি গাছ পালা,,কিছুটা দূরে যেতেই একটা সুন্দর পুকুর আছে সামনে’!!এখানে আমরা আসছি আজ তিনদিন হলো’!!আর প্রতিদিনই এখানে এসে মুখ ধুই আমি’!!বিষয়টা আমার কাছে খুব মজাদার লাগে’!!পুকুর বরাবরই আমার ভালো লাগে কিন্তু সমস্যা হলো আমি সাঁতার জানি না’!!ছোট বেলা থেকে শহরের পরিবেশে বসবাস আমার তাই এমনটা হয়েছে’!!প্রথম প্রথম খুব ভয় লাগলেও এখন আর লাগে না’!!বর্তমানে সেখানের যাওয়ার উদ্দেশ্যেই হাঁটছি আমি’!হালকা রৌদ্রের তাপ আর চারদিকে রয়েছে খেঁজুর গাছসহ বিভিন্ন ধরনের গাছপালা’!! তবে সমস্যা যেটা হলো পুকুরটা কাছে যাওয়ার আগে একটা গাছের “হাক্কা” গ্রামের ভাষায় আর শহরের বাসায় বলতে গেলে ছোট্ট একটা পুল আছে যার নিচে আছে অল্প সংক্ষক কাদা পানি আশেপাশে ধরার মতো কোনো সিস্টেম নেই শুধু ছোট্ট একটা মোটা গাছ রাখা’!!এই জিনিসটা পার হতে প্রতিদিনই সমস্যা হয় মনে হয় কখন যেন পড়ে যাই ওই কাঁদা পানির মধ্যে’!!তবে পড়ে গেলে তেমন একটা প্রবলেম না হলেও পুরো জামাকাপড় ভিজে কাঁদায় মেখে যাবো আমি’!!আর যেটা আমি মটেও চাচ্ছি না’!!প্রতিদিনের মতো জুতো খুলে হাতে নিলাম তারপর ধীরে ধীরে পুলটা পার করতে লাগলাম আমি’!!কিছুক্ষণের মধ্যেই পার হয়ে গেলাম’!!ব্যস আমার কাজ শেষ’!!তারপর গেলাম পুকুরটার কাছে অসম্ভব সুন্দর একটা পুকুর’!!

.

“এদিকে মীমের পিছন পিছন অন্য আরেকজনও যে এসেছে সেটা হয়তো সে বুঝতেও পারি নি’!!ঘুম থেকে উঠেই আরিয়ান কিছুক্ষনের জন্য জানালার পাশে দাঁড়ায় আর তখন সে “লাল মরিচ” কে বাহিরে একা বের হতে দেখে সেও পিছন পিছন চলে আসে’!!কারন আর যাই হোক সুযোগ পেলে শায়েস্তা করার ইচ্ছে তো তার আছেই’!!আর কাল রাতের যা করছে তার জন্য তো কিছু একটা করতে হবে’!!এই ভেবে সেও চলে আসে পিছন পিছন’!!এই মুহূর্তে আরিয়ানও সেই পুলটার এপারে দাঁড়িয়ে আছে’!!তারপর সেও ধীরে ধীরে পার হয়ে গেল ওপারে…..

“কিছুটা দূরে যেতেই সে দেখতে পেল লাল মরিচ হেঁসে হেঁসে মুখ ধুচ্ছে’!!কিছুক্ষণের জন্য হলেও আরিয়ানের চোখ আঁটকে যায় মীমের ঠোঁটের হাসির দিকে’!!কিছুক্ষন তাকিয়ে রইল আরিয়ান তার দিকে……..

___________________

“বেশকিছুক্ষন পর…….

“সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলাম আচমকা সামনে ফাটা স্পিকারকে দেখে চমকে উঠলাম আমি’!!এই রে এখন এখানে একা পেয়ে মারবে নাকি আমায়’!!একদম কথা না বলে চুপিচুপি এখান থেকে যেতে হবে আমায়’!!এই ভেবে দ্রুত গতিতে হাঁটতে শুরু করলাম আমি’!!হর্ঠাৎই মনে হলো কোথাও একটা আঁটকে গেছে উনি’!!তাই বলে উঠলামঃ

———–“ওইভাবে তাকিয়ে কি দেখছেন বলুন তো…….

“কারো কন্ঠ শুনে আরিয়ান তার ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসলো’!!তারপর বলে উঠলঃ

——-“কই না কিছু না তো…….

——–“ওহ তা এখানে কি করছেন……

——–“তেমন কিছু নয়…….

——–“ওহ ঠিক আছে এই বলে আমি চললাম’!!

“এদিকে আরিয়ান শুধু তাকিয়ে রইল আমার যাওয়ার পানে……’!!হর্ঠাৎই আরিয়ান বলে উঠলঃ

———“এখানে কি করছিলে…….

“আরিয়ানের কথা শুনে থেমে গেলাম আমি’!!তারপর বলে উঠলামঃ

———“না তেমন কিছু নয়………ওই পুকুরটার কাছে আসছিলাম…..মুখ ধুতে……

———-“ওহ তবে এখন কোথায় যাচ্ছো……..

———“বাড়িতে…….

——–“ওহ আচ্ছা ওয়েট একসাথে যাবো আমিও মুখ ধুয়ে আসি……

“আনমনে হেঁসে বললাম আমিঃ

——–“ঠিক আছে……

“আরিয়ানের এমন স্বাভাবিক ব্যবহার আমার কেমন যেন লাগছে’!!উনি কি ভুলে গেলেন নাকি কাল রাতের বিষয়টা!!যাক ভালো হয়েছে যেমনটা ভেবেছিলাম তেমন কিছু নয়……

“কিছুক্ষনের মধ্যে আরিয়ান চলে আসলো’!!তারপর আরিয়ান আমার সামনে এসে বলে উঠলঃ

———“চলো তাহলে যাওয়া যাক……

“কেন জানি মনের ভিতর কু ডাকছে নিশ্চয় ডাল মে কুচ কালা হে না হলে এতটা স্বাভাবিক ব্যবহার ঠিক হজম হচ্ছে নাতো…….

“আমার ভাবনার মাঝেই আরিয়ান বলে উঠলঃ

———-“কি হলো চলো…….

———“হুম চলুন’!!তারপর আর কিছু না ভেবেই চললাম আমি আর আরিয়ান একসাথে……

“এবার সমস্যা হলো আরেকটা এখন এই পুলটা কি করে পার করবো’!!যদি পড়ে যাই মান সম্মান তো সব ফালুদা হয়ে যাবে’!!বি পজিটিভ মীম……

“আরিয়ান আমার আগেই চলে গেছে’!!এখন আমি বাকি আছি’!!কি করে পার হবো বুঝতে পারছি না’!!বার বার মনে হচ্ছে আমি পড়ে যাবো তারপর আরিয়ান আমায় নিয়ে হাসাহাসি করবে’!!হর্ঠাৎই আরিয়ান বলে উঠলঃ

———-“হেল্প লাগবে………

———-“না আমি পারবো…….

———-“ঠিক আছে……

“তারপর আমিও আর কিছু না বলে আস্তে আস্তে চলে আসতে নিলাম’!!আর আমার প্রথম ভুল ছিল আমি জুতো খুলি নি’!!যার পরিনতি কিছুটা দূর যেতেই ঠাসস করে পড়ে গেলাম আমি কাঁদা পানির ভিতর’!!ব্যস যেটার ভয় পেয়ে ছিলাম সেটাই হলো’!!এদিকে আরিয়ান আমার কান্ড দেখে হাসতে হাসতে শেষ’!!এই মুহূর্তে নিজের চুল নিজেরই ছিঁড়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে আমার’!!নিজের দোষেই দোষী হলাম আমি’!!ওদিকে আরিয়ান হাসতে হাসতে বললোঃ

———“এই জন্যই বলেছিলাম হেল্প লাগবে,,কিন্তু মহারানীর তো হেব্বি এটিটিউট যার পরিনতি এমন হয়েছে’!!এই বলে হাসতে লাগলো আরিয়ান’!!

“আর আমি শুধু হাবলার মতো তাকিয়ে রইলাম’!!ধীরে ধীরে উপরে উঠতে নিলে আবারো পড়ে যাই আমি’!!অতিরিক্ত পিছলা নিচটা যার কারনে আমি উঠতে পারছি না’!!এদিকে আরিয়ানের হাসির রেশ আরো বেড়ে যাচ্ছে’!!আর আমি শুধু চুপ করে বসে রইলাম’!!হর্ঠাৎ আরিয়ান তার হাত বারিয়ে দিল আমার দিকে’!!তারপর বলে উঠলঃ

———“হাত দেও……

“আমিও হাত বারিয়ে দিলাম তার দিকে’!!হর্ঠাৎই মাথায় শয়তানি মার্কা বুদ্ধি আসলো আমার’!!প্রচুর হাসা হচ্ছিল না আমায় নিয়ে’!!এই ভেবে আরিয়ানের হাত ধরে দিলাম একটান সাথে সাথে আরিয়ানও এসে পরলো কাঁদা পানির ভিতর’!!তারপর আমিও হাসতে লাগলাম…..

“এদিকে আরিয়ান পুরোই ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল’!!সে হয়তো ভাবতেও পারে নি লাল মরিচ এমন কিছু একটা করবে….!!আরিয়ান বিরক্ত মাখা মুখ নিয়ে বললোঃ

———“এটা কি হলো…..

———-“প্রচুর হাসছিলেন না তার শোধ…..

———-“পানিটা কিন্তু প্রচুর ঠান্ডা……..

“আরিয়ানের কথা শুনে
“আনমনে হেঁসে দিলাম দুজনেই’!!

___________________

“রান্না ঘরে দাঁড়িয়ে আছে রুহি’!!তার মায়ের সাথে কাজে হেল্প করছে সে’!!হর্ঠাৎই সেখানে উপস্থিত হলো সায়ান’!কারন সে আরিয়ানকে খুঁজছে’!!সায়ানকে চারিদিকে তাকাতে দেখে রুহি আসলো সামনে’!!একবুক সাহস নিয়ে বলে উঠলঃ

———–“কাউকে খুজছেন ভাইয়া……

“আচমকা কোনো মেইলি কন্ঠ শুনে ঘুরে তাকালো সায়ান মেয়েটির দিকে’!!এই প্রথম হয়তো সায়ান খেয়াল করলো রুহিকে’!!রুহির দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে বলে উঠলঃ

———-“হুম আরিয়ানকে……..

———–“ওহ আরিয়ান ভাইয়াকে!! তাকে দেখে ছিলাম কিছুক্ষণ আগে বাহিরে যেতে……

———-“ওহ ওকে……

“এতটুকু বলে সরে আসে সায়ান’!!আর রুহিও আর কিছু না ভেবে মুচকি হেঁসে তার কাজে চলে যায়…..

“সিঁড়ি বেয়ে একপ্রকার দৌড়ে নিচে আসে জিসান’!!তারপর চিল্লিয়ে উঠলঃ

———“দোস্ত আরিয়ানকে দেখেছিস সকাল থেকে কোথাও দেখছি না……..

“জিসানের কথা শুনে সায়ান বলে উঠলঃ

———-“ওহ নাকি বাহিরে গেছে…..

———–“একা একা চলে গেল(জিসান)….

“এমন সময় সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামলো তিশা’!!কারণ সে তার ওড়না খুঁজে পাচ্ছে না’!!সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের ওড়না না পেয়ে অবাক সে’!!পরক্ষণেই পাশে মীমের ওড়না দেখে সে বুঝে গেছে তার টা মীম নিয়ে গেছে…….’!!তাই সে খুজছে মীমকে তিশা সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতেই জিসান আর সায়ানকে একসাথে দেখে কিছু না বলেই চুপচাপ হেঁটে যেতে লাগলো’!!এই মুহুর্তে তিশা জিসানের উপর রেগে আছে শুধু মাএ তার জন্য কালকে রুহি আর মীমের কাছে হেনস্তা হয়েছে সে’!!তাই একটু রেগে সে’!মুখ ঘোমড়া করে নিচে নামছে তিশা’!!

“এদিকে জিসান তিশাকে দেখে একটা দাঁত কেলানি হাসি দিলো’!!কিন্তু তিশা সেদিকে কোনো লক্ষ্য না দিয়ে মুখ ফুলিয়ে চললো’!!জিসান হয়তো বুঝতে পেরেছে তিশা তারওপর রেগে আছে’!!

“তিশা হাঁটতে হাঁটতে রুহির কাছে গিয়ে দাঁড়ালো তারপর বলে উঠলঃ

——–“মীম কই রে……..

——–“আমি জানি না তো সকাল থেকে দেখিনি ওকে…..(রুহি)

“এমন সময় দরজার সামনে এসে উপস্থিত হলো আমাদের “কাঁচা মরিচ” আর “ফাটা স্পিকার”!!

“তাদের দুজনের অবস্থা দেখে সবাই জাস্ট হা হয়ে তাকিয়ে রইল’!!সবার মুখ থেকে অটোমেটিক বেরিয়ে আসলঃ

——–“তোদের এমন অবস্থা কেমন করে হলো……

“সবার এমন ভাবে তাকিয়ে থাকা দেখে একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলে উঠলামঃ

———“আরে চাপ নিয়েন না বেশি কিছু হয় নি জাস্ট কাঁদা পানির ভিতর’ পড়ে গেছি……

“আমার কথা শুনে জিসান আমাদের সামনে এসে বলে উঠলঃ

———“দুজনে একসাথে…….

——–“না একসাথে নয় প্রথমে আমি তারপর ওনার হা….আর কিছু বলতে পারলাম না তার আগেই আরিয়ান দমক দিয়ে বলে উঠলঃ

———-“তুমি চুপ কর……

“আরিয়ানের দমক শুনে আমি মুখ হাত দিয়ে চুপ…..

“আরিয়ান জিসানের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলঃ

———“বলবো পড়ে আগে চেঞ্জ করে আসি……তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলঃ

———“আর তুমিও যাও…….(দমক দিয়ে)

“আমিও আর কোনো কথা না বলে সোজা দৌড়ে রুমে’!!!উপরে উঠতে নিলে হর্ঠাৎই তুলির বস্তা থুক্কু তুলি আপুর সাথে ধাক্কা লেগে যায় আমার’!!ধাক্কা লাগতেই সে চেঁচিয়ে বলে উঠলঃ

———“ইউ ইস্টুপিট গার্ল এগুলো কি করলে আমার হাতে কাঁদা লেগে গেছে…….

———“সরি আমি আসলে খেয়াল করি নি…..

———“রাখো তোমার সরি পুরো হাত টা নোংরা করে দিসো তুমি’!!আর এভাবে সকাল বেলা কাঁদা মেখে কোথা থেকে আসছো তুমি……

———“ফাটা স্পিকারকে জিজ্ঞেস করুন সব ওনার জন্য হয়েছে……..

“এতটুকু বলে আমি দৌড়!!

.

“এদিকে তুলি ভাবছে ফাটা স্পিকার সেটা আবার কে??তুলি সামনে তাকাতেই অবাক কারন আরিয়ানও যে কাঁদা মেখে ভুত হয়ে আছে…..

“তুলি কিছু বলতে যাবে তার আগেই আরিয়ান বলে উঠলঃ

——–“আমি ফ্রেশ হয়ে আসি তারপর বলবো….

“এতটুকু বলে আরিয়ানও গো……

“এদিকে সায়ান, রুহি,জিসান,তিশা, তুলি সবাই জাস্ট হা হয়ে তাকিয়ে আছে’!!বিষয়টা কি হলো সব যেন তাদের মাথার উপর দিয়ে গেল….!!হর্ঠাৎই জিসান বলে উঠলঃ

——–“ব্যাপারটা কি হলো দুজনেই পড়ে বলবে বলে চলে গেল’!!কিন্তু সকাল বেলা দুজনে একসাথে এইভাবে কি করছিল……

“জিসানের কথা শুনে তুলির মোটেও ভালো লাগে নি বিষয়টা’!!

__________________________________________

___________________

“সকালে সবার সাথে ব্রেক ফাস্ট করে রুমে আসলাম আমি তিশা আর রুহি’!!ওদের মনে একটাই প্রশ্ন সেটা হলো তখন কি হয়েছিল’!!ওরা বিছানায় বসে পরলো……

——-“বুক চিন চিন করছে হায় মন তোমায় কাছে চায়’!!আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চেঁচিয়ে গানটা গাইলাম আমি’!!এমন সময় তিশা বলে উঠলঃ

——–“তুমি ছুয়ে দিলে হায় আমার কি যে হয়ে যায়……..(চেঁচিয়ে)

“তিশার গান শুনে হাসতে হাসতে শেষ আমি আর রুহি’!!!তারপর রুহিকে বলে উঠলাম আমিঃ

——–“তুই ও একটা গা না তা না হলে সকালের পার্টি জমবে না…….

“রুহি আমার কথা শুনে হেঁসে বললোঃ

——–“ঠিক আছে হুম 1 2 3……

———“বিধি তুমি বলে দেও আমি কার একটি মনের দুজন দাবিদার……(চেঁচিয়ে)

“রুহির গান শুনে হেঁসে দিলাম তিশা আমি দুজনেই’!!তারপর রুহি আর তিশা দুজনেই বলে উঠলঃ

———“এখন বল কি হয়েছিল তখন তোরা দুজন ওইভাবে ভুত কেন হইছিলি…..

———“হুম তোরা শুনবি(আমি)

——–“হুম বল(রুহি)

——–শুনতেই হবে(আমি)

——–“হুম (দুজনেই একসাথে)

——–“ঠিক আছে কাছে আয় বলছি(আমি)

“আমার কথা শুনে তিশা অবাক হয়ে বললোঃ

——-“কাছে আসতে হবে কেন??

——-“আরে বুঝো না কেন সিরিয়াস কিছু কানে কানে বলবো……

“আমার কথা শুনে ওরা দুজনেই একসাথে কাছে এসে দাঁড়ালো তারপর আমি ওদের কানের কাছে আমার মুখ টা নিয়ে আমার এককানে হাত দিয়ে চেঁচিয়ে বলে উঠলামঃ

———-“সময় পাইলে টাংকি মারছে ওহ বন্ধুগন সময় পাইলে টাংকি মারছে…..😂😂
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে………..

❤️❤️❤️[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ’!!!!😂🥱]❤️❤️❤️

#TanjiL_Mim♥️