খুনশুঁটির কুঁড়েঘর পর্ব-০৮

#খুনশুঁটির_কুঁড়েঘর❤️
#Writer:—#TanjiL_Mim❤️
#part:—08
.
.
🍁
“বাচ্চাদের সাথে ক্রিকেট খেলবে জিসান আর সায়ান’!!আরিয়ানকেও বলে ছিল কিন্তু সে এই মুহুর্তে ব্যস্ত আছে’!!তাই সে পরে খেলবে’!!তাই সে মোবাইল হাতে বসে আছে একটা চেয়ারে’!!আর আরিয়ানের কাছ থেকে কিছুটা দূরে বসে আছে তিশা রুহি’ আর নূর’!!তারা,খেলা দেখতে ব্যস্ত’!!প্রথম টসে জিসান জিতে গেল'”!আর সে প্রথমে বেটিং করবে’!!সময়টা বিকেলবেলা’!!কম করে হলেও ৫ঃ০০টা বাজে………’!!!জিসান একটা উওেজনা মার্কা মুখ নিয়ে ব্যাটটা হাতে নিয়ে দাঁড়ালো আর সায়ান বোলিং করবে’!!আর কিছু ১০ বছরের বাচ্চারা চারিদিকে ফ্লিডিং দিচ্ছে’!!সায়ান জিসানকে বলে উঠলঃ

———“তুই রেডি তো…..

“জিসান একটা এটিটিউড মার্কা লুক নিয়ে বললোঃ

———“হুম দেখবি প্রথম বলেই ছয়……

“জিসানের কথা শুনে সায়ান বলে উঠলঃ

———-“ঠিক আছে আগে মার তো তোর দৌড় কতদূর জানা আছে আমার’!!

“প্রথম বল করতেই জিসান ব্যাট রেখে দৌড়’!!কারন বলটা খুব স্পিডে আসতে ছিল….

“জিসানের এমন কান্ড দেখে তিশাসহ ওখানে উপস্থিত সবাই হেঁসে দিল’!!জিসান সবার হাসি দেখে পুরো মাঠ ঘুরে দৌড়ে এসে জায়গায় দাঁড়িয়ে বললোঃ

———–“এত হাসার কি আছে আমি একটু ব্যায়াম করছিলাম…..

“জিসানের কথা শুনে হাসলো সায়ান’!!তারপর বললোঃ

———-“ঠিক আছে এইবার রেডি তো…….

———-“হুম😎

“সায়ান আবারো দৌড়ে এসে বল করতে যাবে এমন সময় জিসান হাত দিয়ে সায়ানকে থামতে বললো!!সাথে সাথে সায়ান থেমে গেল’!!তারপর বলে উঠলঃ

———“কি হলো আবার……

———-“দাঁড়া এক গ্লাস পানি খেয়ে নি….!!এই বলে জিসান দিল আবার দৌড়’!!সোজা আরিয়ানের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো’!!তারপর আরিয়ানের পাশে থাকা টেবিলের উপর জগ থেকে একগ্লাস ঢেলে ঢক ঢক করে পানি খেয়ে জিসান আবার দৌড়……

“জিসানের কাজে মজা নিচ্ছে সবাই….!!জিসান নিজেও মজা পাচ্ছে’!!জিসান আবার ব্যাট নিয়ে দাঁড়াতেই সায়ান বলে উঠলঃ

———-“তুই কি খেলবি নাকি আমরা চলে যাব……

“সায়ানের কথা শুনে জিসান বলে উঠলঃ

———-“আরে দাঁড়া একটু সময় দে দেখবি প্রথম বলে ছয়…..

———“হুম বুঝতে পারছি এখন বল করি….

———“হুম😎

“সায়ান আবারো দৌড়ে বল করে আসতে লাগলো’!!প্রথম বলে জিসান বল দেখতেই পেল না মারবে কি??

“জিসান কান্ডে সবাই হাসছে’!!জিসান একটু মিন মিন করে বললোঃ

———“এত হাসার কি আছে……

———–“তুই কি আদোও খেলা জানিস……

“এই রকম অনেকে অনেক কিছু বলছে জিসানকে’!!জিসান শুধু মাথা নিচু করে রয়েছে’!!

“এদিকে সবাই জিসানকে নিয়ে হাসাহাসি করছে যা তিশার মটেও ভালো লাগছে না কেন লাগছে না ও নিজেও জানে না’!!অটোমেটিক তিশার মুখ থেকে বেরিয়ে আসলোঃ

———–“মিস্টার ”মাল্টিপ্লাক” All The best…….

“এদিকে হর্ঠাৎ……

“তিশার কথা শুনে জিসান তো অবাক’!!কি বললো All The best….মুহূর্তেই জিসানের মধ্যে একটা তীব্র আকাঙ্ক্ষা চলে আসলো’!!এই বলে সে পুরো জোশে ব্যাট নিয়ে দাড়ালো’!!আর হাতের ইশারায় সায়ানকে বললোঃ

———“বল করতে……

“সায়ানও হেঁসে আবারো দৌড়ে এসে বল করলো….’!!সবাই এই মুহুর্তে জিসানের ব্যাটিং এর দিকে মন দিল’!!তিশা,রুহি,নূর এমনকি আরিয়ানও………….

“এইবার জিসান পুরো ফিল্মের হিরোদের মতো নিজের গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে ব্যাট দিয়ে বলটাকে হিট করলো সাথে সাথে বল উড়ছে আকাশে…..

“এদিকে সবাই পুরো হা হয়ে গেল জিসানের কাজে’!!তিশার All the best এর পাওয়ার এত তা হয়তো জিসান নিজেও জানতো না’!!জিসান পুরো জোশ নিয়ে বললোঃ

———-“কি বলেছিলাম ছয় মারবো মারছি দেখছিস সায়ান,আই এম সো জিন্সের প্যান থুক্কু জিনিয়াস…….

“এই বলে সবার মুখের দিকে তাকাতে জিসান অবাক’!!কারণ সবাই একটা রাগী লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে তার দিকে’!!জিসান সবার মুখের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলঃ

————“কি হলো তোদের মুখের অবস্থা এমন কেন হয়ে গেছে’!!

“জিসানের কথা শুনে সায়ান চেঁচিয়ে বলে উঠলঃ

———“তুই গিয়ে এখন বল নিয়ে আয়…..

———“কেন আমি বল আনবো……

———“তুই বল কোথায় মারছিস দেখেছিস…..

———-“কোথায়……..

…………….ফ্ল্যাসবেক………….

“জিসান এত স্পিডে বল আকাশে মারছে যে বল সোজা গিয়ে ছাদে থাকা একটা রুমের মধ্যে কাঁচের জানালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে গেছে…….

“সায়ানের ডাকে জিসান তার ফ্ল্যাসবেক থেকে বাহিরে বেরিয়ে আসলো…..

——–“কোথায় গেছে বুঝতে পেরেছিস এখন তুই গিয়ে বল আনবি…….

———“আমি পারুম না তোর ফ্লিডিং এরা কি করছিলো…..

———“তুই যাবি না মানে তুই মারছোস তুই আনবি……

———“আমি পারুম না (জিসান)…..

———-“তুই পারবি(সায়ান)

“এই নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে গেল’!!আর ওদের এই ঝগড়া দেখে আরিয়ান হাসতে হাসতে গিয়ে ওদের মাঝখানে দাড়িয়ে বললোঃ

———–“ঠিক আছে তোদের কাউকে আনতে হবে না,আমি যাচ্ছি…এই বলে আরিয়ান হাঁটা দিলো’!!আর বাকি সবাই অপেক্ষায় আছে কখন আরিয়ান বল নিয়ে আসবে…….

__________________________________________

___________________

“এদিকে তুলি মনে মনে এক সাঙ্ঘাতিক বিষয় ভেবে রেখেছে’!!এই মুহূর্তে সে মীমকে খোঁজার জন্য ব্যস্ত’!!

.

“ফোনে কথা বলছি আমি’!!আমার বড় ভাই রিয়াদের সাথে’!!অনেকদিন হয়েছে এখানে এসেছি কিন্তু খুব একটা কথা হয়নি’!!মা-বাবার সাথে’!!আজকে শুধুমাএ এখানে আসতে পেরেছি ভাইয়ার জন্য’!!ভাইয়ার সাথে কথা বলছি এমন সময় পিছন থেকে ডাক দিল কেউ আমায়’!!পিছন ঘুরে তুলি আফারে দেখে আমি তো অবাক’!!আমায় ডাকছে আজকে সূর্য কোনদিকে যাচ্ছে….’!!তুলি আফার ডাক শুনে আমি ভাইয়াকে বললামঃ

———-“ঠিক আছে ভাইয়া আমি তোমার সাথে পড়ে কথা বলছি’!!আর খুব তাড়াতাড়ি আমরা ঢাকা বেক করছি’!!তুমি আর অল্প কিছুদিন আব্বুকে মেনেজ করো’!!

“আমার কথা শুনে ভাইয়া বলে উঠলঃ

——–“ঠিক আছে আর কোনো সমস্যা হলে আমায় জানাবি কিন্তু…….

———“ঠিক আছে ওকে বাই ভাইয়া…..

——–“বাই….

“ফোনটা কেটে আমি চলে গেলাম তুলি আফার কাছের’!!আমি কাছে আসতেই আপু বলে উঠলঃ

——–“তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে……

———“ওকে বলুন……

———“এখানে নয় ছাদে চলো……

———“ছাঁদে কেন??

——–“আরে চলো না আমি জানি তুমি আমায় খুব একটা পছন্দ করো না তাই হয়তো(নরম স্বরে)

———“না তেমন কিছু নয় ঠিক আছে চলুন……

“তারপর আমি আর তুলি আফায় চললাম ছাঁদের উদ্দেশ্যে……..

___________________

“ছাঁদের উপরে থাকা সেই ফাঁকা আর অন্ধকার রুমটায় দাঁড়িয়ে আছে আরিয়ান’!!যেহেতু সন্ধ্যা হয়ে এসেছে সেহেতু আরো অন্ধকার হয়ে আছে রুমটা’!!আরিয়ান তার ফোনটার লাইট অন করে বল খুঁজতে লাগলো’!!তারপর চলে গেল রুমটার ভিতরে’!!রুমটায় আছে পুরনো সব আসবাবপত্র দিয়ে ভরা’!!পুরো রুমটায় ময়লা আর মাকড়সার জালে ভরা’!!দেখে বোঝাই যাচ্ছে এখানে কেউ তেমন একটা আসে না…….’!!আরিয়ান ঢুকতে ঢুকতে ভিতরে ঢুকে গেল’!!আশেপাশে তাকিয়ে কোথাও বল পেল না আরিয়ান’!!আরো একটু খোঁজাখুজি করতে লাগলো আরিয়ান’!!হর্ঠাৎই চোখ পড়ে গেল আরিয়ানের একটা ভাঙা আলমারির নিচে বলটা ঢুকে পড়েছে’!!আরিয়ান তা দেখে নিচু হয়ে বলটা বের করতে লাগলো’!!কিছুক্ষণের মধ্যে বলটা পেয়েও গেল’!!বলটা নিয়ে বের হতে যাবে এমন সময় কারো মুখের আওয়াজ শুনে থেমে যায় আরিয়ান’!!

.

——–“আচ্ছা শোনো তুমি এই রুমটাতে বসো আমি একটু আসছি কিছু খাবার নিয়ে……..(তুলি)

———“কেন খাবার লাগবে কেন??

———“আরে খেতে খেতে কথা বললে তোমার ভালো লাগবে’!!

———“কি এমন বলবা যে খেতে খেতে শুনতে হবে……

———“তুমি এতো প্রশ্ন করো কেন বলোতো!!

———-“আচ্ছা ঠিক আছে তুমি যাও আমি ছাঁদে বসি…..

———“না ছাঁদে নয় তুমি ওই রুমটায় ঢুকো…..

———“না আমি যাবো না…….

———-“আরে কিছু হবে না এই বলে একপ্রকার জোর জবরদস্তি করে তুলি আমায় ওই রুমটার ভিতরে ঢুকালো’!!তারপর সামনে থেকে দরজা বন্ধ করে দিলো……

“তুলি যে এমন একটা কাজ করতে পারে সেটা আমি ভাবতেই পারি নি’!!আমি দরজা ভিতর থেকে বারি মারতে মারতে বললামঃ

———“তুমি দরজা কেন বন্ধ করে দিলে……

———“কারন আজ সারারাত তুই একা এই অন্ধকার রুমে থাকবি’!!

———-“প্লিজ আপু এমন করো না আমার যে অন্ধকার রুমে খুব ভয় হয়……

———-“তার জন্যই তো তোকে এখানে রেখে যাচ্ছি…….

———–“প্রচুর জ্বালিয়েছিস তুই আমায়!!আমার বন্ধুদের তুই নিজের বসে করেছিস এমন কি আরিয়ানকেও নিজের করে নিতে চাস তুই…….

“তুলির কথা শুনে আমি যেন অবাকের চরম সীমানায় পৌঁছে গেছি’!!”কি বলছেন উনি আমি আরিয়ানকে নিজের করে নিতে চাই…..

————“এসব কি বলছো তুমি…….

———–“যা বলছি ঠিক বলছি…….

“এই বলে তুলি চলে গেল’!!এই মুহূর্তে সে খুব অানন্দে আছে’!!নাচতে নাচতে গিয়ে নিজের রুমের বিছানায় বসে পরল’!!খুব ভালো লাগছে তার’!!হুট করেই তার মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে গেল’!!তুলি তার মাথাটা ধরে আহ করে চিৎকার দিয়ে উঠল’!!তারপর তাড়াতাড়ি ঔষধ খেয়ে সোজা বিছানায় শুয়ে পরলো’!খুশিতে নাচতে ইচ্ছে করছে
তার’!!এই ভেবে সে ঘুম…….

.

“এদিকে লাগাতার দরজায় বারি মেরে ক্লান্ত আমি’!!চোখ মুখ ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে আমার’!!মাথার ভিতর ভন ভন শব্দ করছে,,হাত থেকে মোবাইলটা পড়ে গেল’!!চারিপাশ ঘুরছে ভিষণ’!!এখন কি করবো আমি,সবকিছু অসহ্য লাগছে আমার’!!কে বাঁচাবে আমায়’!!এই ভেবে নিচে বসে পরলাম আমি’!!শ্বাস নিতেও কষ্ট শুরু হয়ে গেছে’!!আর কিছুক্ষনের মধ্যেই হয়তো আমি দম বন্ধ হয়ে মারা যাবো’!!জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছি আর বলছি আমিঃ

———-“প্লিজ কেউ আলো জ্বালাও আমি আর নিতে পারছি না’!!(চেঁচিয়ে)

“এমন সময় কারো কন্ঠ ভেসে আসলল কানে’!!সে বলছেঃ

———–“লাল মরিচ” ধৈর্য ধরো কিছু হবে না……..

“আরিয়ান তার হাতের লাইটটা জ্বালিয়ে সামনে এসে বসলো আমার’!!তাকে দেখেই হুট করে করে জড়িয়ে ধরলাম আমি’!!তারপর বলে উঠলামঃ

———–“প্লিজ আমায় এখানে একা ফেলে যাবেন না…….’!!আমার এই অন্ধকার একদম সহ্য হয় না’!!চারপাশ ঘুরছে’!!প্লিজ তাড়াতাড়ি আলোর ব্যবস্থা করুন’!!না হলে এখনি দম বন্ধ হয়ে আমি মারা যাবো’!!ওই তুলি আফায় আমায় এখানে আঁটকে চলে গেছে(জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে)

“এদিকে আরিয়ান পড়ে গেল মহা বিপদে এখন কি করবে সে’!!সে ভাবতেও পারছে না তুলি এইরকম একটা জঘন্য কাজ করতে পারে’!!আরিয়ান আমার মাথা হাত দিয়ে বললোঃ

———–“ঠিক আছে তুমি শান্ত হও,,আমি দেখছি কি করা যায়……..

“এই বলে আরিয়ান ফোনটা হাতে নিলো’!!জিসানদের কল করবে তার আগেই ফোনটা ঠাসস করে বন্ধ হয়ে গেল’!!সাথে সাথে পুরো রুম একদম কুটকুটে অন্ধকার হয়ে গেল’!!এই মুহূর্তে আরিয়ান আরো ঘাবড়ে গেল’!!এখনই ফোনটা বন্ধ হওয়া লাগলো’!!

“আমার একদম সহ্য হচ্ছে না আর এই অন্ধকার রুম’!!চারপাশ সব ঘুরছে’!!মাথার চারপাশ ঘুরছে’!!শ্বাস কষ্টে দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আমার’!!

“এদিকে আরিয়ান আমি এতটা শান্ত হয়ে যাওয়াতে ঘাবড়ে গেলো সে’!!আরিয়ান আমায় ধরে সামনে এসে বললোঃ

———–“কি হলো তোমার এতটা শান্ত কি করে হয়ে গেলে………

“আরিয়ানের কথা কানে ভাসছে আমার’!!কিন্তু শ্বাস নিতে পারছি না তাই আমি কথা বলতেও পারছি না’!!তারপরও একঝাঁক কষ্ট নিয়ে কাঁপাকাঁপা গলায় বলে উঠলাম আমিঃ

———–“আমি শ্বাস নিতে পারছি না এখানে অনেক অন্ধকার আমি হয়তো এখনি মারা যাবো’!!

“আমার কথা শুনে আরিয়ানের বুকের ভিতরটা দক করে উঠল’!!এসব কি বলছে ও না না এমনটা হতে পারে না’!!আমি যে ওকে নিজের থেকে বেশি চাই…..,এই মুহূর্তে আরিয়ান বুঝে গেছে এই কয়েকদিন কেন রাতে সে ঘুমাতে পারতো না কেন লাল মরিচ জিসানের সাথে কথা বললে জেলাসি ফিল হয়’!!কারন সে যে ভালোবেসে ফেলেছে লাল মরিচকে…….’!!এখন এই ভালোবাসার মানুষকে কষ্ট পেতে একদমই সহ্য হচ্ছে না আরিয়ানের…….

“এসব নানা কিছু ভেবে ভাবছে আরিয়ান’!!এদিকে আমার অবস্থা শেষ’!!শ্বাস নিমিষেই বন্ধ হয়ে যাবে আমার’!!আমি আরিয়ানকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম’!!তারপর বলে উঠলামঃ

——–“প্লিজ কিছু করুন আমি আর নিতে পারছি না’!!ব্যস আর কিছু মনে নেই আমি আরিয়ানকে জড়িয়ে ধরেই অজ্ঞান হয়ে গেলাম’!!

“এদিকে আমার হাত আলগা হতেই আরিয়ান বুঝে গেছে’!!আমি অজ্ঞান হয়ে গেছি’!!আরিয়ান নিজের উপর নিজেই এই মুহুর্তে বিরক্ত ফোনটাকে ইচ্ছে করছে ভেঙে টুকরো টুকরো করে দেই’!!তবে এতটুকু বিশ্বাস ছিল কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে খুঁজতে সবাই এখানে চলে আসবে’!!এই আরিয়ান আমায় শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললঃ

———-“কিছু হবে না তোমার’!!আর তুলির উপর প্রচন্ড বেগে রেগে গেছে আরিয়ান’!!সে ভাবতেই পারছে না তুলি এমন কিছু করবে…….

___________________

“এদিকে তিশা রুহি পুরো বাড়ি খুঁজতে লাগলো মীমকে’!!কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছে না তাকে….
পুরো বাড়িতে মীমকে খোঁজার হট্টগোল পড়ে গেল’!!সবাই এতটাই ব্যস্ত হয়ে গেল যে আরিয়ান যে ছাঁদে গেছে সেটা তাদের মাথা থেকে বেরিয়ে গেছে’!!সবাই ভাবছে তাদের মতো আরিয়ানও মীমকে খুঁজছে…..

“আর অন্যদিকে তুলি মাথা ব্যাথার ঔষধের জায়গায় ঘুমের ঔষধ খেয়ে বেঘোরে ঘুমোচ্ছে’!!সে হয়তো জানেই না তার ছোট্ট ভুলে কতোটা সর্বনাশ হয়ে যাবে’!!আর সেই সর্বনাশে তার নিজের ক্ষতি বেশি হবে…….

“পরেরদিন সকালে……..
!
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে………….

🖤🖤🖤[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ’!]
#TanjiL_Mim♥️