খুব ভালোবাসি তোকে পর্ব-০৯

0
6057

#খুব_ভালোবাসি_তোকে
#লেখকঃ- Tamim
#পর্বঃ- ৯
,,
,,
,,
,,
৫ বছর পর তামিম আজ আমেরিকা থেকে দেশে ফিরেছে।। কিছুক্ষণ আগেই প্লেন মাটিতে লেন্ড করেছে।। তামিমকে ড্রপ করতে তার আব্বু আর নীলার আব্বু দুজনেই এয়ারপোর্টে এসেছেন।। তামিম প্লেন থেকে নেমে তার আব্বুকে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো।। তামিমের আব্বুও তামিমকে জড়িয়ে ধরলেন আর কেঁদে দিলেন।। এতো বছর পর ছেলেকে কাছে থেকে দেখতে পেয়ে হয়তো রফিক আহমেদের চোখে খুশিতে জল চলে এসেছে।।

তামিমঃ আব্বু কেমন আছ.?

তামিমের আব্বুঃ এইতো আল্লাহ যেমন রেখেছেন, তুই কেমন আছিস বাবা.?

তামিমঃ আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।। চাচ্চু তুমি কেমন আছ.?

নীলার আব্বুঃ এইতো বাবা ভালো আছি।। তোর আসতে কোনো অসুবিধা হয়নি তো.?

তামিমঃ না চাচ্চু কোনো অসুবিধা হয়নি।।

নীলার আব্বুঃ ভাইজান এবার তাহলে বাসায় যাওয়া যাক কি বলেন।।

তামিমের আব্বুঃ হে চল এবার বাসায় যাওয়া যাক।।

তারপর তারা সবাই এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে এসে তাদের গাড়িতে উঠে বসলেন।। তামিমের আব্বু আর নীলার আব্বু সামনের সিটে বসেছেন আর তামিম পিছনের সিটে।। নীলার আব্বু ই গাড়ি ড্রাইভ করছেন।। প্রায় আধা ঘন্টা পর তারা বাসায় এসে পৌছলেন।। সবাই একসাথে গাড়ি থেকে নেমে গিয়ে বাড়ির কলিং বেল বাজালেন।। কিছুক্ষণ পরেই তামিমের আম্মু এসে দরজা খুলে দিলেন আর তামিমকে দেখেই জড়িয়ে ধরে খুশিতে কেঁদে ফেললেন।।

তামিমের আম্মুঃ কেমন আছিস বাবা.?

তামিমঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো তুমি কেমন আছ আম্মু.?

তামিমের আম্মুঃ আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো।। তা ওইখানে গিয়ে তো আম্মুকে ভুলেই গেছিস, কি দরকার ছিল অযথা এইখানে আসার।। মাসে একবার কল করতি আবার ২ মিনিটের বেশি কথাও বলতি না (অভিমানের শুরে)।।

তামিমঃ সরি মাই ডিয়ার আম্মু তোমাকে এতো কষ্ট দেওয়ার জন্য।। কিন্তু কি করবো বল বেশিক্ষণ যদি তোমাদের সাথে কথা বলতাম তাহলে তো আমার পড়াশোনায় মন বসতো না।। আমাকে তো আমেরিকায় পাঠানোই হয়েছে পড়াশোনার জন্য তাইনা.?

তামিমের আম্মুঃ তাই বলে কি আমাদের সাথে একটু সময় নিয়ে কথাও বলা যায়না.? জানিস তোকে ছাড়া এই ৫ টা বছর আমি কতো কষ্টে কাটিয়েছি (বলেই আবার কেঁদে দিলেন)।।

তামিমঃ উফফ আম্মু এখন তো আমি এসেই গেছি আর কোথাও যাচ্ছি না তো তোমাকে ছেড়ে, তাহলে এখন আর কাঁদছ কেন.? এখন কান্না থামাও তো আর আমাকে কি আজ বাহিরেই দাড় করিয়ে রাখবে নাকি.?

তামিমের আম্মুঃ তোকে আর কোথাও যেতেও দিচ্ছি না, হে বাবা আয় ভিতরে আয় (বলেই তামিমকে ছেড়ে দিলেন)।।

তামিম বাসার ভিতরে ঢুকতেই নীলার আম্মু দৌড়ে এসে তাদের সামনে দাড়ালেন।।

নীলার আম্মুঃ আরে আমার আব্বুটা এসে গেছে.! কেমন আছ তুমি আব্বু.?

তামিমঃ জি আলহামদুলিল্লাহ ভালো, আপনি কেমন আছেন চাচি.?

নীলার আম্মুঃ আমিও ভালো আছি, আচ্ছা এবার তুমি রুমে যাও আর গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও।। এমনিতেই অনেকটা পথ জার্নি করে এসেছ।।

তামিমঃ আচ্ছা চাচি।।

তারপর তামিম নিজের লাগেজটা নিয়ে সোজা নিজের রুমে চলে আসলো।। রুমে এসে তামিম দেখলো তার রুম সে যেভাবে রেখে গেছিল ঠিক সেভাবেই আছে।। হয়তো তার আম্মু সবসময় তার রুমটা ঘুছিয়ে রেখেছেন।। এরপর তামিম ফ্রেশ হতে ওয়াশরুমে চলে গেল।। ফ্রেশ হয়ে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে তামিম বিছানায় শুয়ে শুয়ে রেস্ট নিতে লাগলো।।

দুপুরবেলা খাওয়ার সময় তার আম্মু এসে তাকে খাবার খাওয়ার জন্য ডেকে গেলেন।। তামিমও শুয়া থেকে উঠে সোজা নিচে চলে আসলো।। নিচে এসে তামিম একটা চেয়ার টেনে ডাইনিং টেবিলে বসে পরলো।। তামিম ডাইনিং টেবিলে বসতেই তার আম্মু তার প্লেটে ভাত আর তরকারি বেড়ে দিলেন।। বাড়ির সবাই ডাইনিং টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছে শুধু একজন ছাড়া আর সে হলো নীলা।। তামিম মনে মনে নীলাকেই খুজতেছে, সবাই আসলো তাহলে নীলা কোথায়.? তামিম এবার এদিক সেদিক উঁকিঝুঁকি করে নীলাকে খুজতে লাগলো।। তামিমের উঁকিঝুঁকি দেখে পাশ থেকে নীলার আম্মু তামিমের কাছে এসে বললেন…

নীলার আম্মুঃ কি হলো আব্বু এদিক সেদিক তাকিয়ে কাকে খুজতেছ.?

তামিমঃ না মানে

নীলার আম্মুঃ ওহহ বুঝেছি নীলাকে খুজতেছ তাইতো.? আসলে নীলার ভার্সিটিতে আজ একটা প্রোগ্রাম আছে তাই নীলা সেই সকালেই ভার্সিটিতে চলে গেছে।।

তামিমঃ ওহহ তা নীলু ভার্সিটি থেকে ফিরবে কখন.?

নীলার আম্মুঃ এটা তো আমাকে বলে যায়নি, তবে যাওয়ার সময় বলেছে তার আসতে নাকি সন্ধ্যা হবে।।

তামিমঃ ওহহ

নীলার আম্মুঃ হুম, এবার আর উঁকিঝুঁকি না করে খাও তো।।

তারপর তামিম আর কথা না বাড়িয়ে খাওয়া শুরু করলো।। খাওয়া শেষ হলে তামিম হাত ধুয়ে আবার নিজের রুমে চলে আসলো।। রুমে এসে তামিম দরজাটা ভিতর থেকে লাগিয়ে দিয়ে বিছানায় উঠে ঘুমানোর চেষ্টা করলো।। প্লেনের মধ্যে ভালো করে ঘুম হয়নি তাই এখন চোখ জলছে তামিমের।। বিছানার উপর শুয়ে শুয়ে তামিম নীলার কথা ভাবতে লাগলো।।

তামিমঃ ৫টা বছর ধরে নীলুকে দেখা হয়নি, না জানি আমার নীলু এখন কেমন হয়েছে।। তবে নীলু এখন আর আগের মতো বাচ্চা নয়।। সেও এখন ভার্সিটিতে পড়ে, অনার্স ১ম বর্ষে।। এই ৫ বছরে নিশ্চয়ই অনেক বড় হয়েগেছে আমার নীলু।। আমেরিকায় যাওয়ার পর থেকে একটা বারের জন্য নীলু আমার সাথে কথাও বলেনি।।
শুধু প্রথমদিন নীলু আমার সাথে একটু ফোনে কথা বলেছিল।। আর সেদিনই সে বলে দিয়েছিল সে আর আমার সাথে কখনো কথা বলবে না।। যখন আমি দেশে আসবো তখনই সে আমার সাথে কথা বলবে।। নীলুর বলা কথাগুলো এখনও আমার মনে আছে।। নীলু সেদিন অভিমান ভরা কন্ঠে বলেছিল…

তোমাকে না করা সত্ত্বেও তুমি আমায় ছেড়ে আমেরিকা চলে গেলে তাহলে এখন আমি কেন তোমার সাথে কথা বলবো.? তোমার সাথে আমার আরি, আমি আর কখনো তোমার সাথে কথা বলবো না যাও।। তবে তুমি যদি আবার দেশে আস তাহলেই আমি তোমার সাথে কথা বলবো, এর আগে আমি তোমার সাথে আর কথা বলবো না।।

ওইদিন এই কথাগুলো বলার পর নীলু আর আমার সাথে কখনো কথা বলেনি।। আম্মু, চাচি সবাই মিলে অনেক চেষ্টা করেছে আমার সাথে নীলুর কথা বলাতে।। আমার সাথে কথা বলানোর জন্য যতবারই নীলুর কাছে ফোন দেওয়া হতো নীলু ততবারই কল কেটে দিত।। নীলু আমার সাথে কথা না বলেই কল কেটে দিত এতে আমার খুব কষ্ট হতো।।

তারপরও নিজেকে শক্ত রেখে মনে মনে ভাবতাম একদিন তো দেশে ফিরবোই সেদিন নাহয় নীলুর সাথে কথা বলবো।। অবশেষে আজ ৫টা বছর পর দেশে ফিরলাম অথচ এখনো পর্যন্ত নীলুকে দেখতে পেলাম না।। সমস্যা নেই রাতে নাহয় নীলুর সাথে প্রাণ ভরে কথা বলবো।। এখন একটু ঘুমিয়ে পরি, অনেক ঘুম পাচ্ছে।।

তারপর তামিম নীলার কথা ভাবতে ভাবতে একসময় ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে যায়।। এইভাবে দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে আসলো।। এর মধ্যে নীলাও ভার্সিটি থেকে বাসায় এসে পরেছে।। নীলা জানে যে তামিম আজ দেশে ফিরবে।। তারপরও সে তামিমের আসার খবর শুনে বেশি খুশি হয়নি কারণ তামিমের প্রতি তার এখনো অনেক অভিমান জমে আছে, যা সহজে ভাঙবে না।।

তামিমের ঘুম ভাঙলো একেবারে রাত ৮ঃ৩০ তে।। শুয়া থেকেই মোবাইল হাতে নিয়ে টাইম দেখেই তামিম লাফ মেরে উঠলো।। এতো সময় ধরে ঘুমিয়েছিল সে ভাবতেই তার অবাক লাগছে।। অবশ্য এতোটা পথ জার্নি করে এসে এইটুকু সময় ঘুমানো কোনো অস্বাভাবিক ব্যপার নয়।। তারপর তামিম বিছানা থেকে উঠে ওয়াশরুমে গিয়ে হাত-মুখ ধুয়ে নিল।। এরপর আবার ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এসে সে বিছানার উপর বসে পরলো।।

বিছানায় বসে বসে তামিম ভাবলো, দেশে আসার খবরটা বন্ধুদেরকে জানানো উচিত।। সবাইকে ফোন করে জানিয়ে দেই যে আমি দেশে এসেছি।। তারপর তামিম ফোনটা হাতে নিয়ে একে একে সবাইকে কল দিয়ে জানিয়ে দিল যে সে আজ দেশে ফিরেছে।। তামিম দেশে এসেছে শুনে তার বন্ধুরা তো বেজায় খুশি আর সবাই তাকে দেখা করার কথা বলে।। তামিমও তখন সবাইকে বললো কাল সকালে যেন সবাই —- এই জায়গায় চলে আসে।।

বন্ধুদের সাথে কথা বলা শেষে তামিম আগের ন্যায় বিছানায় বসে রইলো।। কিছুক্ষণ পর তার আম্মু এসে তাকে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য ডেকে গেলেন।। তামিমও আর দেড়ি না করে রুম থেকে বেরিয়ে সোজা নিচে চলে আসলো।। নিচে এসে তামিম দেখলো সবাই ডাইনিং টেবিলে বসে বসে খাবার খাচ্ছে।। ঠিক তখনই তামিমের চোখ পরলো ডাইনিং টেবিলে বসে থাকা একটা মেয়ের দিকে।।
মেয়েটার টানা টানা চোখ, চেহারা একদম ফর্সা, ঠোঁটগুলো একদম গোলাপের পাপড়ির মতো লাল।। চুল গুলো খোলা, দেখে মনে হচ্ছে কোমড় পর্যন্ত চুল যাবে এতোই লম্বা চুল।। মেয়েটাকে দেখে তামিমের আর চিন্তে অসুবিধা হলো না যে এটাই নীলা।।

তামিম দাঁড়িয়ে থেকে এক পলকে নীলার দিকে তাকিয়ে আছে আর মনে মনে ভাবছে, আমার সেই নীলু আজ এতোটা বড় আর এতোটা সুন্দর হয়েছে.! সত্যি নীলুকে দেখতে এখন একদম পরীর মতো লাগে।। তামিম মুগ্ধ নয়নে নীলার দিকে তাকিয়ে আছে কিন্তু নীলা একটা বারের জন্যও মাথা তুলে তামিমের দিকে তাকাচ্ছে না।। তামিম এতে ভালো করেই বুঝতে পেরেছে নীলা এখনো তার উপর অভিমান করে আছে।।

এদিকে তামিমকে অনেক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে নীলার আম্মু এসে তামিমের পাশে দাড়ালেন আর বললেন…

নীলার আম্মুঃ কি হলো আব্বু দাঁড়িয়ে আছ কেন.? টেবিলে গিয়ে বস, খাবার খাবে না নাকি.?

তামিমঃ হে হে খাব (বলেই নীলার থেকে চোখ সরিয়ে নিয়ে একটা চেয়ার টেনে নীলার সামনা-সামনি গিয়ে বসে পরলো)।। তামিম এক লোকমা খাবার মুখে দিচ্ছে আর নীলার দিকে তাকাচ্ছে, কিন্তু নীলা এবারও তামিমের দিকে তাকাচ্ছে না।। সে তার মতো করে খেয়ে যাচ্ছে।। তামিম অর্ধেক খাবার শেষ করতে না করতেই নীলা নিজের খাওয়া শেষ করে উঠে পরলো।। নীলা উঠে পরেছে দেখে তামিমও তারাতাড়ি করে নিজের প্লেটের খাবার শেষ করে হাত ধুয়ে নিজের রুমে চলে আসলো।। আসার সময় তার আম্মু তাকে ডাকছিলেন কিন্তু সে না শুনেই চলে এসেছে।।

তামিম রুমে এসে বিছানায় বসে বসে ভাবছে, আচ্ছা নীলু কি এখনো আমার উপর অভিমান করে আছে.? হয়তো আছে নাহলে খাবার টেবিলে নীলু একবারও আমার দিকে তাকালো না কেন।। নীলুর সাথে তো আমার এখনো কথাই হলো না তাহলে এখন নীলুর এই অভিমান আমি কি করে ভাঙব.?

তামিম কথাগুলো ভাবছিল ঠিক তখনই কে যেন তার রুমের দরজা খুলে রুমে ঢুকলো।। তামিম দরজার দিকে তাকিয়ে দেখলো নীলা এসেছে হাতে দুধের গ্লাস নিয়ে।। নীলা দুধের গ্লাসটা নিয়ে তামিমের কাছে এসে দুধের গ্লাসটা টেবিলে রেখে বললো, চাচি আপনার জন্য দুধ পাঠিয়েছেন খেয়ে নেন।।

নীলার কথা শুনে তামিম এবার আরও অবাক হয়ে গেল।। নীলার মুখে “আপনি” শব্দটা শুনে তামিম এবার শিওর হয়ে গেল যে নীলা তার উপর এখনো অভিমান করে আছে।।

নীলা এবার রুম থেকে বেরুনোর জন্য হাটা ধরলো।। তামিম নীলাকে চলে যেতে দেখে ডাক দিয়ে দাড়াতে বলে।। কিন্তু নীলা দাড়ালো না।। তামিম আবার নীলাকে দাড়াতে বললো।। কিন্তু নীলা এবারও দাড়ালো না।। এবার তামিমের মাথাটা হালকা গরম হয়ে গেল।। তামিম বিছানা থেকে উঠে তারাতাড়ি করে নীলার সামনে গিয়ে দাঁড়ায় আর রুমের দরজাটা ভিতর থেকে লাগিয়ে দেয়।। এরপর তামিম নীলাকে টেনে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে নীলার মুখের কাছে তার মুখ নিয়ে বলে…

তামিমঃ ডাকছি যে শুনতে পাস না.? আর এখনো কি তুই আমার উপর অভিমান করে আছিস.?

নীলা কোনো কথা না বলে নিজেকে তামিমের থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে লাগলো।।

তামিমঃ নড়াচড়া করিস না এতো সহজে আমার থেকে ছুটতে পারবি না।।

নীলাঃ ছাড়ুন আমাকে আমার কাজ আছে।।

তামিমঃ কাজ পরে আগে আমার প্রশ্নের উত্তর দে।।

নীলাঃ কীসের উত্তর.?

তামিমঃ এখনো কি আমার উপর অভিমান করে আছিস.?

নীলাঃ নিশ্চুপ।।

তামিমঃ দেখ নীলু এইখানে আমার কি দোষ বল, হঠাৎ আব্বু আমাকে আমেরিকা পাঠানোর কথা বললেন আর আব্বু একবার যা বলেন তা করেই ছাড়েন তুই তো জানিসই।। তারপরও তো বাড়ির সবাই আব্বুকে অনেক রিকুয়েষ্ট করেছে আমাকে আমেরিকা না পাঠানোর জন্য।। কিন্তু আব্বু কারও কথাই শুনলেন না।। এখন তুই ই বল এইখানে আমার কি দোষ.?

নীলাঃ জানি না, দেখি এবার আমায় যেতে দিন।।

তামিমঃ যদি যেতে না দেই তো কি করবি.?

নীলাঃ চিৎকার করবো।।

তামিমঃ ওকে কর দেখি (ডেভিল হাসি দিয়ে)।।

নীলাঃ নিশ্চুপ।।

তামিমঃ কি হলো চিৎকার করছিস না কেন চিৎকার কর।।

নীলাঃ প্লিজ আমাকে ছাড়েন আমার হাতে ব্যাথা পাচ্ছি।।

তামিমঃ সত্যি ব্যাথা পাচ্ছিস.?

নীলাঃ হে

তামিমঃ তোর ব্যাথা একটু কমিয়ে দেই তাহলে।।

নীলাঃ তামিমের দিকে প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তাকালো।।

তামিমঃ ওয়েট দেখাচ্ছি বলেই তামিম আস্তে আস্তে নীলার ঠোঁটের দিকে এগুতে লাগলো।।

নীলাও ব্যাপারটা বুঝতে পেরে নিজের চোখ বন্ধ করে ফেললো।।
.
.
.
.
.
Loading…….