গ্রামের লাজুক মেয়ে পর্ব-২০ এবং শেষ পর্ব | বাংলা রোমান্টিক গল্প গল্পেরমহল

0
2097

#গল্পঃ গ্রামের লাজুক মেয়ে ?
#লেখকঃ Md: Aslam Hossain Shovo
#পর্বঃ ২০…(শেষ পর্ব)

√-সকালে ঘুম ভাঙ্গলো বউয়ের পাপ্পি খেয়ে।

রিতুঃ এই তাড়াতাড়ি বাজার করে আনো যাও, আজ বাসরের কথা ভুলে গেলে..?

আমিঃ না যাবো না। দরকার নেই বাসর করার ?

রিতুঃ বাবু প্লিজ যাও, প্লিজ বাবু…

আমিঃ না গেলে হয় না সোনা?

রিতুঃ না বাবু, যেতেই হবে।

~ ব্রাশ করে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে রুমে এসে দেখি রিতু শুয়ে আসে। ধরলাম চেপে, পাপ্পি দিয়েই যাচ্ছি ~

রিতুঃ এই বাবু, এখন পাজি কাজ করো না প্লিজ…

আমিঃ আরে চুপ করো তো, এখুনি বাসর করে ফেলি..

~ রিতু আম্মু আম্মু বলে চিৎকার করতে শুরু করলো। তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিয়ে উঠে গেলাম। সবাই বলে বিয়ে করলে খুব শান্তি,,,, শান্তি না ঘোড়ার ডিম ~

মার্কেটে গিয়ে তার জন্য শাড়ি, ঘর সাজানোর ফুল সহ সব বাজার করে আনলাম। দুপুরে আশেপাশের সব আত্মীয় স্বজনরা আসবে দাওয়াত খেতে। বাসায় ভরপুর রান্নাবান্নার আয়োজন চলছে। বাবুর্চি এসে রান্না করছে। ঈশা, আমার ছোট ভাই জীবন সহ অনেক জন মিলে আমাদের রুম সাজাচ্ছে। সকালে খুব লজ্জা লাগলেও এখন আর তেমন লজ্জা পাচ্ছি না। ভালোই মজা হচ্ছে। বসে বসে টিভি দেখছি, রিতু পাশে এসে বসে হাত ধরে বললো-

রিতুঃ বাবু এগুলো না করলে হয় না?

আমিঃ কোন গুলো?

রিতুঃ এই যে অনুষ্ঠান করা বা ঘর সাজানো?

আমিঃ তুমি তো বললে এগুলো করতে…

রিতুঃ কিন্তু এখন আমার খুব লজ্জা করছে, তুমি এগুলো বাদ দেও। তুমি এমনিতেই রাতে আদর করো।

আমিঃ তা হবেনা, তা হবেনা। ইচ্ছা যখন তোমার হয়েছে, পূরণ আমি করবোই হি হি…

~ রিতু রাগ হয়ে উঠে চলো গেলো। দুপুরে রান্না শেষ হলে সবাই সব আত্মীয় স্বজনরা খাওয়া দাওয়া করলো। অনেক গুলো গিফট ও পেলাম। বিয়ে বাড়ির মত লাগছে আয়োজন। রিতুকে নিয়ে মায়ার রুমে তাকে সাজিয়ে বসিয়ে রাখছে। সব আত্মীয় স্বজনরা নতুন বউ দেখতে মায়ার রুমে, সাথে দুষ্টুমি করছে সবাই ওই রুমে । আমিও কব্জি ডুবিয়ে খেয়ে নিলাম। খাওয়া দাওয়ার আয়োজন শেষ করে আত্মীয় স্বজনরা যেতে যেতে রাত হয়ে গেলো।
বন্ধুরা তো এটা ওটা কত কিছু শিখিয়ে দিচ্ছে কিভাবে বিড়াল মারতে হবে, সালারা নিজেরা বিয়ে করে নাই আবার আমায় শিখাচ্ছে ?

সারাদিন আর আমাকে আমার রুমে যেতে দেন নাই। রাত যখন ১১ টা বাজে তখন ভাবি আমার হাত ধরে নিয়ে মায়ার রুমে নিয়ে গেলো। মায়ার রুমে গিয়ে দেখি রিতু লাল শাড়ি পড়ে নতুন বউয়ের মত করে ঘুমটা দিয়ে বসা। ভাবি রিতুকে ধরে আমার পাশে দাঁড় করিয়ে দিলো। তারপর সবাই ছবি তুলতে থাকলো।

ছবি তুলা শেষ হলে ভাবি একটা আয়না এনে রিতুর মুখের নিচে ধরলো। রিতু তখনো ঘুমটা দেওয়া।

ভাবিঃ শুভ কি দেখতে পাচ্ছো তোমার বউকে?

আমিঃ না তো?

ভাবিঃ এবার দেখো, দেখতে পাচ্ছো তো?

আমিঃ তার চোখ বন্ধ থাকলে কিভাবে দেখবো বলুন?

ভাবিঃ পাজি, বউয়ের চোখ বন্ধ তাতে কি? তোমার চোখ তো খুলা, দেখতে সমস্যা কোথায়??

আমিঃ না, আমি এই ঘুমন্ত বউয়ের মুখ দেখতে চাই না ?

ভাবিঃ রিতু তুই তোর সোয়ামীকে একটু চোখ খুলে দেখিয়ে দে, তোর সোয়ামীর যে কত ঢং….

~ আয়নার মধ্যে দেখতে পেলাম রিতু চোখ খুললো। মুচকি হাসি দিলো রিতু আমার মুখ দেখে। আমিও হাসি দিয়ে চোখ মেরে দিলাম ?… ~

ভাবিঃ হয়েছে হয়েছে আর ঢং করতে হবে না। এবার কোলে নেও…

~ আমি সাথে সাথে ভাবিকে কোলে তুলে নিলাম ~

ভাবিঃ ওই পাজি ছাড়ো আমায় ছাড়ো, আমায় কোলে নিয়ে কোথাও যাও? আমায় নিয়ে বাসর করবে নাকি??

আমিঃ বউ যার যার, অধিকার সবার ?

ভাবিঃ ছাড় পাজি ছাড়,,, নাহলে দিলাম কামড়। ওই ছোট দেবর, রিতুকে কোলে নেও তো… ☺

~ তাড়াতাড়ি ভাবিকে নামিয়ে দিলাম কোল থেকে ~

আমিঃ বউ যার যার, অধিকার শুধু তার ?

ভাবিঃ পাজি এই বার লাইনে আইছো ?

আমিঃ উপায় ছিলো না। নতুন বউ আমার ?

~ রুমের মধ্যে সবাই হা হা করে হেসে দিলো ~

ভাবিঃ নেও এবার তোমার বউকে কোলে, তারপর চলো বাসর ঘরে…

~ রিতুকে কোলে তুলে নিলাম। রিতু আমার গলা জরিয়ে ধরলো। সবাই ভিডিও করছে, ফুল ছিটিয়ে দিচ্ছে, পাটি স্প্রে দিয়ে সাদা ভুত করে ফেলছে আমাদের, রিতুর লাল টকটকা শাড়ি সাদা করে ফেলছে। একপা দুইপা করে এগিয়ে যাচ্ছি, সবাই হাসাহাসি চিল্লাচিল্লি করছে। রিতুকে নিয়ে সরাসরি খাটের উপর বসিয়ে দিলাম ~

ভাবিঃ তাহলে শুরু করো দেবরজী বাসর, আমরা দেখি…

আমিঃ ???

ভাবিঃ কি হলো, দেখাবে না?

আমিঃ কাল সকালে সব বলবো, এখন সবাই কে নিয়ে যাও প্লিজ (ভাবির কানের কাছে মুখ নিয়ে বললাম)

~ ” মনে থাকে যেনো” বলে সবাই কে বললো, চলো চলো বাইরে চলো, বলে ভাবি সবাই কে নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেলেন। আমি রুমের দরজার বন্ধ করে রিতুর কাছে এসে বসলাম ~

আস্তে আস্তে ঘুমটা তুলে দিলাম রিতুর। মেয়ে দেখি লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছে। হা হা, এক সাথে কয়েকদিন থেকেও এতো লজ্জা পাচ্ছে। আমার তো একটুও লজ্জা লাগছে না।

আমিঃ এই রিতু, তুমি এতো লজ্জা পাচ্ছো কেনো?

~ রিতুর কোনো উত্তর নেই, শুধু হাসে ~

আমিঃ পাগলী দেখি এখনো আমায় লজ্জা পাচ্ছে, হা হা…

~ মুখ চেপে ধরে হেসে দিলো রিতু ~

আমিঃ এই যে পাগলী, আমি কিন্তু দেনমোহর একবার দিয়েছি, যতোই লজ্জা পাও, আর দিবো না বলে দিলাম হি হি…

রিতুঃ সয়তান বর একটা। আমি কি চাইছি আবার?

আমিঃ এই তো বউয়ের মুখে কথা ফুটছে। তাই বউ কি মিষ্টি খাবে??

রিতুঃ সোয়ামীর শুধু সব সময় পঁচা কথা ?

আমিঃ এই পিচ্চি, আমি দোকানের মিষ্টির কথা বলছি। ছানার মিষ্টির কথা।

রিতুঃ কোথায় পাবে এখন?

আমিঃ বড় কাকা আসার সময় নিয়ে এসেছে এক বাক্স। তার থেকে অর্ধেক আমি লুকিয়ে নিয়ে চলে এসেছি। শুবশ্রী ভাবিকে তো চিনো না, যদি দেখে তাহলে সকাল হওয়ার আগেই সব শেষ করে ফেলবে…

রিতুঃ নিয়ে আসো তাহলে…

~ আমি মিষ্টির বাক্স নিয়ে রিতুর সামনে বসলাম। আমি আর রিতু মিষ্টি উঠিয়ে উঠিয়ে খাচ্ছি ~

রিতুঃ আমি সবাই কে বলে দিবো তুমি বাসর রাতে বউকে মিষ্টি চুরি করে খাওয়াছো…

আমিঃ তাহলে আমিও বলে দিবো, চুরি করা মিষ্টি আমার থেকে বউ বেশি খেয়েছে ?

রিতুঃ সয়তান, মিষ্টি খেতে দেয়েও এখন খুটা দিচ্ছো তুমি, যাও খাবো না তোমার মিষ্টি ?

আমিঃ এই মিষ্টি আর খেতেও হবে না। আমার দোকানের মিষ্টিও তো খেতে হবে তাই না বলো…

রিতুঃ সয়তান একটা…

~ আমি শুয়ে পড়লাম। রিতু বসেই আছে। বার বার বলছি শুয়ে ঘুমাও, সে শক্ত হয়ে বসেই আছে ~

আমিঃ এই পিচ্চি আর কতক্ষণ বসে থাকলে, এখন শুয়ে পড়ো তো….

রিতুঃ আমি শুয়ে পড়বো প্রমিস, কিন্তু আমার একটা কথা রাখবে বাবু..??

আমিঃ কি কথা বলো..??

রিতুঃ বাবু আমি দেখেছি, আত্মীয় স্বজনরা অনেক গুলো গিফটের বক্স নিয়ে এসেছে। প্লিজ বাবু ওগুলো নিয়ে আসো এখানে…

আমিঃ কেনো?

রিতুঃ সত্যি বলতে ওগুলোর মধ্যে কি কি আছে আমার না দেখে ঘুম আসবে না। প্লিজ বাবু ওগুলো নিয়ে আসো, আমি খুলে খুলে সব দেখতে চাই… ☺

আমিঃ পিচ্চি তুমি পিচ্চিই আছো। বাদ দেও ওগুলো, তোমার জন্য আমার পক্ষ থেকে একটা গিফট আছে দেখবে?

রিতুঃ ? তুমি তো দিবে একটা গিফট, দেখতে বেশি সময় লাগবে না ও আনন্দও কম হবে। ওখানে অনেক গুলো গিফট, অনেক অনেক সময় ধরে দেখবো, অনেক আনন্দ পাবো ☺

আমিঃ চুপ পেত্নী… আমার গিফট দেখো…

~ আলমারি থেকে একটা বাক্স তার সামনে দিয়ে বললাম, খুলতে। সে আনন্দের সাথে খুললো। প্রথম বের করলো অনেক সুন্দর একটা জায়নামাজ ~

রিতুঃ এটা কার জন্য? (জায়নামাজ হাতে নিয়ে)

আমিঃ তোমার জন্য, এখন থেকে প্রতিদিন এই জায়নামাজে নামাজ পড়বে কেমন?

রিতুঃ হুমম আচ্ছা।

~ তারপর বাক্স থেকে রিতু একটা ডাইরি ও কলম বের করলো ~

রিতুঃ এগুলো কার জন্য? (ডাইরি কলম হাতে নিয়ে)

আমিঃ তোমার জন্য। কারণ তুমি তো রাগ হলে মুখ ফুলিয়ে থাকো। কেনো রাগ হলে তাও বলো না, তাই এগুলো তোমার জন্য। যখন রাগ হবে, ডাইরিতে তার কারণ গুলো লিখে রাখবে, যেনো কারণ গুলো জেনে তোমার রাগ ভাঙ্গাতে পারি বুঝলে? আবার কিন্তু গালি লিখে রেখো না, হা হা…

রিতুঃ হি হি, পাগল একটা….

~ তারপর বাক্স থেকে আমি নিজে একটা গোলাপ ফুলের তুরা বের করলাম। তাকে হাত ধরে বসা থেকে দাঁড় করিয়ে আমি হাটু গেরে বসে তাকে উদ্দেশ্য করে বললাম-

আমিঃ- তুমি আমার সারাজীবনের সাথী হবে, আমার সুখের কারন হবে, আমার যখন বুড়ো কালে দাঁত থাকবে না, তখন পান চিবিয়ে দেওয়ার মানুষটা হবে??

রিতুঃ হা হা সয়তান একটা, হবো গো হবো সোয়ামী (বলে হাতের থেকে ফুল নিয়ে আমার গলা জরিয়ে ধরলো)

আমিঃ এই পিচ্চি, গিফট আরেকটা আছে ওটা দেখো…

~ রিতু আমার গলা ছেড়ে বাক্স থেকে একটা ছোট বক্স বের করলো। সেটা খুলে ভিতর থেকে এক ডজন (১২ টা) লিপস্টিক বের করলো ~

রিতুঃ এগুলো কার জন্য? (লিপস্টিক হাতে দিয়ে হেসে হেসে)

আমিঃ তোমার জন্য। তুমি এখন যেই গুলো লিপস্টিক নেও, আমি খেয়ে একটুও মজা পায় না, কেমন টক টক লাগে লিপস্টিক। তাই এই গুলো তোমার জন্য এনেছি, ভালো মানের লিপস্টিক এগুলো, খেয়ে আমি অনেক মজা পাবো মিষ্টি মিষ্টি ?

রিতুঃ দাড়াও তোমায় আমার পঁচা লিপস্টিক খাওয়াবো.. (বলে আমার গলা জরিয়ে ধরে ঠোঁট মিশিয়ে দিলো)

??? সারারাত হাসি, দুষ্টুমি, ভালোবাসা ও রোমান্স হলো ???

~ সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে গোসল করে খাটের সাথে হেলান দিয়ে বসে পিচ্চি বউয়ের কান্ড দেখছি। রিতু আয়নার সামনে বসে বসে পেটের কাপড় সরিয়ে পেট দেখছে। আমি মুচকি মুচকি হাসি দিচ্ছি ওর কান্ড দেখে। এর মধ্যে ভাবির আগমন ~

ভাবিঃ দেবরজী, গতকাল রাতে বিড়াল কি মারতে পারলে?

~ রিতু, ভাবির কথার শব্দ শুনে সাথে সাথে পেট ঢেকে ফেললো ~

ভাবিঃ কি গো বোন, কি করছিলি আয়নার সামনে হি হি (রিতুর দিকে তাকিয়ে)

রিতুঃ কিছু না বুবু…

ভাবিঃ আরে বোন আমার, লজ্জা কিসের বল বল, শত হলেও তুই আমার মেজো জা। গল্প শুনাতে দোষ কি..? বল কি কি হলো…

রিতুঃ না বুবু, তুমি যেমন ভাবছো তেমন কিছু হয়নি। এমনি বসে ছিলাম মাত্র আয়নার সামনে।

ভাবিঃ হুমম আমি বুঝি বুঝলি, শুধু শুধু আমায় মিথ্যা বলছিস কেনো হা হা??

রিতুঃ সত্যি বুবু তুমি যেমন ভাবছো, তেমন কিছু হয় নাই…

আমিঃ এই রিতু একদম মিথ্যা বলবে না কিন্তু। এতো কিছু হলো, তারপরেও বলছো কিছু হয় নাই?? (সয়তানি বুদ্ধি নিয়ে)

ভাবিঃ বলো বলো দেবরজী কি কি হয়েছে?

রিতুঃ ওই সয়তান ছেলে, চুপ থাকবে তুমি। কখন কি কথা বলতে হয় বুঝো না বুঝি (লজ্জা পেয়ে)

আমিঃ কেনো গো সুন্দরী, সেই দিন কিছু হয়েছিল না , তাও তুমি হাসি দিয়ে লজ্জায় ফেলে দিলে আমায়, আর আজ সব হয়েছে, আর আজ বলতে মানা করছো (হাসি দিয়ে)

রিতুঃ কি হয়েছে হুমম হুমম??

আমিঃ যদি কিছু না হয়ে থাকে, তাহলে পেট দেখছো কেনো?

রিতুঃ আমার পেট আমি দেখবো। এর জন্য কারণ থাকতে হবে নাকি?

আমিঃ তুমি কেনো দেখছো আমি জানি। তুমি গতকাল আদর খেয়ে আজ পেট দেখছো যে পেটে বেবী এসেছে কিনা তাই তো??

রিতুঃ চুপ সয়তান। আমি তা দেখতে যাবো কেনো… ??

আমিঃ তাহলে বলো কি দেখছিলে?

~ ভাবি আমাদের কথা শোনে শোনে হাসছে ~

রিতুঃ বলবো?

আমিঃ হুমম বলো…

রিতুঃ হাসবে না তো?

আমিঃ হা হা, না হাসবো না বলো…

রিতুঃ তুমি বলছিলে আমায় আদর করে মোটা বানিয়ে দিবে, তাই দেখছিলাম মোটা হয়ে গিয়েছি নাকি (লজ্জা পেয়ে দৌড়ে এসে আমার বুকের মধ্যে মুখ লুকালো)

আমিঃ হা হা হা

ভাবিঃ দুই জনের কত রোমান্স, মরে যায় মরে যায়। সত্যি বলতে কিন্তু তোমাদের দেখে আমার হিংসা হচ্ছে ☺

আমিঃ এখন তো আর হিংসা হবে…

ভাবিঃ কিভাবে…

~ আমি রিতুর মুখ উঁচু করে পাপ্পি দিলাম। ভাবি লজ্জা পেয়ে দৌড়ে রুম থেকে বের হতে হতে বললো “সয়তান দুটোর কোনো লজ্জা শরম নেই, সব লজ্জা চলে গিয়েছে “…
আমি ভাবির কথা শুনে হাসে দিলাম ~

রিতুঃ তুমি আসলে একটা সয়তান…

আমিঃ আমি সয়তান হলে, তুমি সয়তানের বউ পেত্নী।

রিতুঃ কি আমি পেত্নী? দাঁড়াও তাহলে এবার পঁচা লিপস্টিক খাও (বলে চেপে ধরলো— বাকিটা ইতিহাস ?


???????????
??? গল্প সমাপ্ত ???
???????????