চলো রোদ্দুরে পর্ব-০৮

0
588

#চলো_রোদ্দুরে
#ফাতেমা_তুজ
#part_8

দুপুরে কল করেছিলো রাদ। বাসা থেকে মেডিকেল ক্যাম্পেইন এর উদ্দেশ্যে বের হয়েছে। নানান কথার সাথে উপদেশ ও দিয়েছে ওকে। সাথে দিয়েছি এতো এতো পড়া। বই গুলো স্পষ্ট আর সহজ ভাষা তে লেখা। তবে দু বছর বই খাতার থেকে দূরে অবস্থান করায় কেমন যেন আড়ষ্টতা কাজ করছে। মুখে বেজে যাচ্ছে প্রায় প্রতি টি লাইন। আর লেখার গতি হয়েছে অনেক ধীর। যাঁর ফলে ভীষন কান্না পাচ্ছে। পুরো বেডে ছড়িয়ে আছে বই। হঠাৎ দরজায় ঠক ঠক আওয়াজ হয়। কিছু টা হতচকিয়ে উঠে ওহ। কলিং বেল এর আওয়াজ এমন বাজে হয় জানা ছিলো না। ঠক ঠক আওয়াজ এর বেল , মনে হয় দরজায় লাথি ঘুষি মারছে কেউ।স্কাফ নিয়ে উঠে যায় ওহ। দরজা খুলতেই অপরিচিত এক মহিলা কে দেখতে পায়। ভদ্রতার খাতিরে সামান্য হেসে বলে
_আপনি?

_টিউটর।

_টিউটর!

_হ্যাঁ।রাদ স্যার আমাকে পাঠিয়েছেন।

_ওহহ ভেতরে আসুন।

মহিলা টি ভেতরে এসে রাদ কে ফোনে ম্যাসেজ করে দেয়। তৎক্ষনাৎ কল আসে ভোরের ফোনে। ‘ ডাক্তার সাহেব ‘ নাম টি দেখেই ধিম ধিম আওয়াজ হতে থাকে অন্তকর্নে।হাসনা সামান্য হেসে বলেন
_আপনি যেতে পারেন। আমি ততক্ষণে আপনার বই গুলো চেইক করি।

_ওকে।

ব্যলকনিতে চলে আসে ভোর। ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে উদ্বিগ্ন কন্ঠ
_তুমি ঠিক আছো?

_জি আমি ঠিক আছি।আপনার শ্বাসের গতি এমন কেন?

_ বলো না আর। বাস মিস করে ফেলেছিলাম। গর্দভ গুলো তে আমার প্রতি খেয়াল ই রাখে নি।

_এখন ঠিক আছে সব?

_হুম। মিসেস হাসনা তোমাকে পড়াবেন। তুমি যেহেতু বই এর জগত থেকে অনেক টা দূরে ছিলে তাছাড়া এখন অনেক নতুন শব্দ আছে যা আগে কখনো দেখোই নি তুমি। তাই ওনাকে টিউটর রেখে দিলাম। রোজ তোমাকে পড়াবে।

_আচ্ছা।

_আর শোনো

_ হ্যাঁ বলুন।

_ টেবিলে মেডিসিন আছে খেয়ে নিও। মাথার ক্ষত টা কিন্তু বেশ ধারালো।

_হুম।

দুজনের মাঝেই নিরবতা ছেয়ে যায়। কে কি বলবে বুঝতে পারে না। ছোট করে রাদ বলে
_ ইচ্ছে হলে ফেসবুকে যেও। তবে অধিক আসক্ত হইয়ো না। আর যখন যেটা প্রয়োজন হবে কাউন্টারে খবর দিবে আর না হয় সোজা আমায় কল করবে।

_ আচ্ছা।

_রাখছি নিজের খেয়াল রেখো।

_আপনি ওহ।

_হুম

ফোন রেখে দেয় রাদ। কেন যেন মন খারাপ হচ্ছে খুব। এবারের ক্যাম্পেইন টা একদম ই ভালো হবে না ওর।

রুমে ফিরতেই মিসেস হাসনা বলেন
_আপনার জন্য আমি কিছু পড়া রেডি করেছি। যেহেতু এডমিশন টেস্ট এর জন্য এখনো পনেরো দিন বাকি তাই এগুলো পড়ে নিতে পারবেন।

_কিন্তু ম্যাম আমি এগুলো কিছুই বুঝতে পারছি না।

_ডোন্ট ওরি। রাদ স্যার আমাকে সব বলেছেন। একদম ই ভেঙে পরবেন না। মনে রাখবেন চেষ্টাই সফলতা।

_জি।

খুব সুন্দর করে পড়া বুঝিয়ে দেন হাসনা। পড়ার ফাঁকে ফাঁকে টুক টাক কিছু কথা ও হয়। প্রচন্ড মিশুক তিনি। পড়াশোনা শেষ করে একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি তে জব করছেন।সাতাশ বছরের এই রমনী এখন দুই মেয়ের জননী। হাসনার কথা গুলো ভোর কে ভীষন ভাবে আকর্ষন করছে। গ্রামের মেয়ে বলে ভোরের প্রতি কোনো রকম হেজিটেশন নেই। বরং কথা বার্তা খুব ই সুন্দর আর স্বচ্ছ। পড়া শেষ করিয়ে চলে যান তিনি। ডোর লাগিয়ে ছুটে আসে ভোর। টেবিল থেকে ফোন টা বাঘিনীর মতো থাবা দিয়ে তুলে নেয়। ওয়াই ফাই অন করে ফেসবুক লগ ইন করে। সঙ্গে সঙ্গে কতো গুলো নোটিফিকেশন আসে। সেখানে একটা নাম উজ্জ্বল হয়ে ভাসে
‘ ইফতিহার রাদ ‘। ফেসবুক সম্পর্কে কিছু টা অবগত হয়েছে ভোর। সেই অনুযায়ী রাদের রিকোয়েস্ট টা এক্সসেপ্ট করে নেয়। তবে ভাবনায় পরে আইডি টা রাদ ওপেন করে দিয়েছে। সেক্ষেত্রে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিয়ে এক ঘন্টা ঝুলে থাকার কি প্রয়োজন ছিলো?
নিজেই তো রিকোয়েস্ট টা এক্সসেপ্ট করে নিতে পারতো। ছোট্ট মস্তিষ্ক টা এতো শত বুঝে উঠে না। রাদের প্রোফাইল টা ওকে খুব টানছে। তবে শ্বাস প্রশ্বাস কেন ভারী লাগছে?
.

রাতের মধ্য ভাগে এসে বাস থামে। এবারের ক্যাম্পেইন টা পাহাড়ি এলাকায়। বন জঙ্গলের সাথে কিছু টা পরিচয় হবে সকলে, সাথে সামাজিক সেবা। রাদের একটা বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। কিছু নির্দিষ্ট পাহাড়ি লতা দিয়ে ঔষধের রিসার্চ। এই কোর্স টা করেছিলো সে। যাঁর জন্য ছয় মাস পড়াশোনায় প্রচন্ড ক্ষতি হয়। ইনফেক্ট প্রথম সেমিস্টারে একটুর জন্য ফেল থেকে বেঁচে যায়।
তাঁবু গেড়ে থাকবে ওরা। সেই ব্যবস্থাই হচ্ছে। এ দিকে রনিত এসেই অশ্লীল কাজে ব্যস্ত। চোখ সরিয়ে নেয় রাদ। এরা তো নিউইয়র্ক সিটি কে ও হার মানাবে। সবার সামনেই কিস করে যাচ্ছে। ফোন অন করে হলো আরেক ঝামেলা। একদম ই নেট নেই। কিছু টা উপরের দিকে যেতে থাকে রাদ। পেছন থেকে নাহিদ বলে
_এই রাদ কোথায় যাচ্ছিস?

_নেটওয়ার্ক পাচ্ছি না।

_সেটা তো আগের ই জানা। পাহাড়ি এলাকায় প্রচন্ড নেট প্রবলেম। রাত অনেক ঐ দিক টা যাস না।

মন খারাপ করে ফেলে ছেলেটা। সন্ধ্যা বেলায় ভোরের সাথে কথা হয়েছে। যদি ও এখন মধ্য রাত তবে মেয়েটা ফেসবুকে আছে কি না সেটা তো দেখা যেত।

সবাই জড়ো হয়ে বসে। কুয়াশার কারনে বেশি দূর চোখ যায় না। আগুন জ্বালিয়ে বেশ আয়েসে বসে আছে দ্বীপ আর রায়া। একে অপরের দৃষ্টি গুনতে ব্যস্ত দুই কপোত কপোতি। এখনো ইনায়া আর রনিত একে অপরের সাথে চিপকে আছে। এবার বেশি বেশি ই হয়ে যাচ্ছে। দুজনের সামনে যেতেই দুজন দু দিকে ফিরে যায়। রাদ বলে
_মারবো এক চড়। যদি উল্টো পাল্টা চিন্তা করেছিস তো সর্বনাশ করে দিবো রাসকেল।

_কামন রাদ এটা অস্বাভাবিক নয়।

_বেশি পাকনামি করবি না রনিত। রায়া ইয়ানা আর সুপ্তি এক তাঁবু তে থাকছে। আর তুই আমার সাথে।

_কিন্তু ভাই এটা তো কথা ছিলো না। আমি তো ইনায়ার সাথে থাকবো ভেবেছি।

_নো ওয়ে।

চোখের ইশারায় ইনায়া কে ফোর্স করতে থাকে রনিত। বেচারির অবস্থা শোচনীয়। বার বার হাত কচলাতে থাকে। দুজনের দৃষ্টি বুজে রাদ বলে
_দেখ ইনায়া আমি সব মেনে নিলে ও এক সাথে থাকা টা কখনোই মেনে নিবো না। তোরা যেভাবে আগাচ্ছিস এতে করে দুজন থেকে তিন হতে সময় নিবি না।

_তোরা কথা বল। আমি গেলাম।

সামান্য লজ্জা পেয়েই চলে যায় ইনায়া। রনিত কে টেনে নিয়ে যায় রাদ। রনিতের গোমড়া মুখ দেখে বিন্দু মাত্র মায়া হয় না ওর।বরং চাঁপা রাগ মিশ্রিত কন্ঠে বলে
_দেখ আমি তুই কিংবা ইনায়া কেউ ই কোনো বাচ্চা নই। মেডিকেলের স্টুডেন্ট আমরা। কোন টা কতো টা উচিত খুব ভালো করেই বুঝি। শারীরিক আর মানসিক দুটো ক্ষেত্রেই মানুষ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে তখনি যখন অধিক কাছাকাছি হয়। তখন ঠিক ভুল বুঝতে পারে না। আমার মনে হয় না আরো ভেঙে বলতে হবে তোকে।

_ব্রো নট ফেয়ার। আমি তোর হেল্প করলাম আর তুই।

_তুই কি তিন নাম্বার সদস্য নিয়ে আসার প্ল্যান করেছিস?

_মোটে ও না। আমি জাস্ট

মাথা চুলকোতে থাকে রনিত। পর পর দুটো কিল বসিয়ে রাদ বলে
_শালা বিয়ে কর আগে। এই ক্যাম্পেইন শেষেই আঙ্কেল কে বলবো আমি।

_পাক্কা?

_ইয়েস পাক্কা। তোদের ভরসা করতে পারছি না আমি।

রাদ আর রনিত দুজনেই চাঁপা হাসি তে মত্ত হয়। একটু দূরে দাঁড়িয়ে বুকে হাত গুঁজে এদের হাসি দেখতে থাকে সুপ্তি। চোখ পিট পিট করে বলে
_দুটোর মধ্যে ই বিশাল ঘাপলা আছে।

সকাল সকাল দাঁত ব্রাশ করার সময় নেই রাদের। ফোন টা নিয়ে চলে এসেছে আরেক প্রান্তে। ভোর কে কল না করা অব্দি শান্তি নেই। যদি ও এতো টা বিচলিত হওয়া বেমানান ই বটে তবে মেয়েটা এখনো অপরিচিত স্থানের সাথে মানিয়ে নিতে পারে নি। সেই কারনে অধিক চিন্তা। রিং হচ্ছে তবে ফোন রিসিভ করছে না। এবার ভয় হচ্ছে খুব। তাই হোস্টেলের কাউন্টারে কল করে। সেখান থেকে জানতে পারে ভোর না কি খেলছে। বিষয় টা অদ্ভুত লাগে ওর কাছে। সকাল সকাল এই বয়সে কি খেলছে মেয়েটা? এখন তো এক্সারসাইজ এর সময়।

সারা দিনে ফোন করার সময় হয় নি ছেলেটার। এতো টাই ব্যস্ত যে লাঞ্চ ও করে নি। তবে এবার রেস্ট এর প্রয়োজন। তিন বার এসে ডেকে গেছে দ্বীপ। শুধু মাত্র ওর জন্য কেউ ই খাবার খায় নি। প্রচন্ড খিদে তে পেট জ্বলে যাচ্ছে রায়ার। রাগ মিশ্রিত মুখে এসে দাঁড়ায়। এক পলক তাকিয়ে রাদ বলে
_আর একটু সময় দেয়, হয়েই গেছে।

রাদের পিঠে কখন থাপ্পড় পরে বুঝতেই পারে না। মেয়েটার হাতে এতো জোড়?
পিঠে হাত বুলাতে বুলাতে রাদ বলে
_কম খা ইয়ার। শরীর টা কি বানাচ্ছিস দেখেছিস?

_তোর না দেখলে ও চলবে হুম। আমার বউ আমি বুঝবো।

_ওরে কান ধরে টান দিয়েছি এ তো দেখি মাথা ও হাজির।

রায়া ভেঙ্চি কেঁটে দ্বীপের গাঁয়ে গা এলিয়ে দেয়। সামান্য কেশে রাদ বলে
_এহেম ভাই। তোরা কাপল রা যা শুরু করেছিস এতে করে অতি শীঘ্রই আঙ্কেল ডাক টা কানে আসবে।

_বললেই হলো আমরা ওদের মতো অশ্লীল নই। আমাদের মাঝে দুরুত্ব থাকে সব সময়।

_ কাদের অশ্লীল বলিস হুম?

ইনায়ার কন্ঠ কানে আসতেই পেছন ঘুরে তাকায় সবাই। চোখ দুটো ছোট ছোট করে তাকিয়ে আছে ইনায়া। ফিচেল হাসে রাদ। এদের ঝগড়া দারুন লাগে। টান টান উত্তেজনা নিয়ে অপেক্ষা করছে ঝগড়া লাগবে ঠিক তখনি কোথা থেকে সুপ্তি এসে বলে
_গাইস স্যার সবাই কে ডাকছেন।

সবাই সেই দিকেই এগিয়ে যায়। এতোক্ষন পর ফোনের কথা মনে পরে ছেলেটার। কাজের মধ্যে গেলে দিন দুনিয়া ভুলে যায়। লক স্ক্রিনে আঠারো টা মিস কল দেখেই বুক কেঁপে উঠে। ভোর কল করেছিলো ওকে?
তৎক্ষনাৎ কল করতে যাবে তখনি সুপ্তি এসে ফোন টা কেড়ে নিয়ে যায়। রাদ বলে
_ফোন দে বলছি।

_দিবো না। আগে বল মেয়েটা কে?

_সুপ্তি ফোন টা দে।

_আগে বল মেয়েটা কে।

ভ্রু কুঁচকে আসে রাদের। রনিত কে মাথা থেকে পা অব্দি পেটাতে পারলে শান্তি মিলবে। ছেলেটা কেন যে একে জানিয়েছে। ধীর পায়ে এগিয়ে আসে ওহ। পেছন থেকে সুপ্তির হাত ঘুরিয়ে বলে
_এতো শক্তি তোর?

_ব্যাথা পাচ্ছি রাদ।

_হুহ ব্যাথা পাচ্ছি রাদ।

রাদ কে নিজের অনুকরন করতে দেখে তেলে বেগুনে জ্বলে উটে সুপ্তি। তখনি স্যারের ডাক কানে আসে। ফোন টা ছো মেরে নিয়ে যায় রাদ। রাগে গজগজ করতে করতে আসে সুপ্তি।

ক্যাম্পেইন প্রধান স্যার কিছু বিবৃতি দিয়ে চলে যান। সুপ্তি আবারো সুযোগ খুঁজে। তবে সুযোগ মিলে না। সবাই সন্ধ্যার খাবার খেতে ব্যস্ত হয়। আর রাদ ফোন কলে। বেশ কয়েক বার চেষ্টা করে কল ঢুকে ভোরের নাম্বারে। ওপাশ থেকে ভাঙা গলায় ভোর বলে
_কেমন আছেন ডাক্তার সাহেব?

_সর্দি লেগেছে তোমার?

_উহুহ।

_তাহলে গলা টা ভাঙা কেন?

একটু থামে রাদ আবারো বলে
_কেঁদেছো তুমি?

এই সামান্য কথা যে কারো অভিযোগের বিশাল লিস্ট হতে পারে তা কল্পনার অতীত। কান্না মিশ্রিত কন্ঠে গরগর করে ভোর বলে
_ এতো বার কল করেছি আপনি রিসিভ ই করেন নি। আমি তো ভেবেছিলাম রেগে আছেন আমার উপর। কতো রকম চিন্তা হচ্ছিলো জানেন? এ শহর টা অজানা। মানুষ গুলো অজানা। এক মাত্র আপনাকে ভরসা করেছি ডাক্তার সাহেব। পুরো পৃথিবী এক দিকে আছে আর আপনি আরেক দিকে। এতো টাই ভরসা জমেছে আপনার উপর। আর আপনি কি না কল টা রিসিভ করেন না।

_আরে পাগলী মেয়ে একটা। এই সামান্য বিষয়ে কাঁদে কেউ? মেয়েরা বুঝি এমনি হয়। সারাক্ষন চোখের পানি ফেলতে ব্যস্ত। একটু কিছু হলেই চোখ লাল করে ফেলে।

_ডাক্তার সাহেব।

আবারো কান্নায় ভেঙে পরে ভোর। এবার চিন্তা হয় রাদের। বার বার বলে
_তুমি কি ভয় পাচ্ছো ভোর? কোনো অসুবিধা হচ্ছে তোমার।

_না হয় নি।

_তাহলে কষ্ট পেয়েছো ফোন রিসিভ না করায়?

_না কষ্ট পাই নি।

কথাতে প্রচুর অভিমান। হেসে ফেলে রাদ। ফোন নিয়ে ঘাসের উপর বসে। কচি ঘাসের পাতা ছিড়ে বলে
_পাহাড়ের উপর আছি আমি। এখানে নেট নেই বললেই চলে। আর সারা দিন ব্যস্ত ছিলাম। এই যে সন্ধ্যা হয়ে গেছে ডিনার এর সময় হয়ে গেল অথচ আমি লাঞ্চ ও করি নি।

_সেকি আপনি লাঞ্চ করেন নি?

মুহূর্তেই ভোরের কন্ঠের সুর পাল্টে যায়। মৃদু হাসে রাদ। ভোরের আচারন ওকে মুগ্ধ করে। এক বার নয় বরং বার বার মুগ্ধ করে ওকে। শুধু মাত্র একটা ভালো পরিবারের অভাবে দু বছর পিছিয়ে গেল মেয়েটা। তবে থেমে থাকবে না ওহ। ওকে হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে যাবে রাদ। প্রতি টা মানুষের জন্য মোক্ষম জবাব হয়ে ফিরবে ভোর।

চলবে